Logo
শিরোনাম

হজযাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া যাবে না কোরবানির টাকা

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় হজ ফ্লাইট ডাটা যথাসময়ে এন্ট্রি করার জন্য হজ এজেন্সিগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে হজযাত্রীদের কাছ থেকে কুরবানির অর্থ না নেওয়ার জন্য তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। এ ছাড়া হজযাত্রীদের মাধ্যমে জর্দার কার্টুন না পাঠানোসহ কতিপয় বিষয়ে হজ এজেন্সিগুলোকে হুঁশিয়ার করেছে। এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় একটি পত্র জারি করেছে।

পত্রে জানানো হয়, গত ১২ মে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জুম প্ল্যাটফর্মে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের জেদ্দা এয়ারপোর্ট সার্ভিসের মহাপরিচালক আব্দুর রহমান ঘ্যানামের সঙ্গে সভা শেষে এসব নির্দেশনা জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

ওই সভায় ধর্ম মন্ত্রণালয় ছাড়াও বাংলাদেশ হজ অফিস, মক্কা ও জেদ্দার কর্মকর্তা এবং হজ এজেন্সির মালিকেরা অংশগ্রহণ করেন।

ওই সভায় সৌদি আরবের পক্ষ থেকে হজ এজেন্সি কর্তৃক ফ্লাইট ডাটা সঠিকভাবে ও নিয়মিত সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি না দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, হজ ফ্লাইট ডাটা এন্ট্রি না দেওয়ার কারণে মদিনা ও জেদ্দা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারছে না সৌদি কর্তৃপক্ষ। ফলে কোন ফ্লাইটে কতজন হজযাত্রী আসছে, তারা কোন মোয়াল্লেমের হজযাত্রী এবং কোন হোটেল বা বাড়িতে তাদের আবাসন ইত্যাদি বিষয়ে সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া হজযাত্রী ও তাদের লাগেজ পরিবহণের ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে। মোয়াল্লেমের প্রতিনিধিও হোটেল বা বাড়িতে সার্ভিস দেওয়ার জন্য উপস্থিত থাকছে না। এ কারণে হজযাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া যাচ্ছে না এবং রুট-টু-মক্কার সুবিধা থেকে হজযাত্রীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।

এ সভায় হজ ফ্লাইট যাত্রা শুরুর পূর্বেই সঠিকভাবে ফ্লাইট ডাটা সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি করার অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

হজ প্যাকেজে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও অনেক এজেন্সি হজযাত্রীদের কাছ থেকে হজে যাওয়ার আগে কুরবানি বাবদ অর্থ নিচ্ছেন। হজযাত্রী তার ইচ্ছা মাফিক সৌদি সরকারের ব্যাংকের কূপন ক্রয় করে বা তার নিজের ব্যবস্থাপনায় কুরবানি সম্পন্ন করবেন। এজেন্সি কোনোভাবেই কুরবানির টাকা নিতে পারবে না। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

ধর্ম মন্ত্রণালয় হজ এজেন্সিগুলোকে আরও কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি সম্পর্কে সতর্ক করেছে। কিছু এজেন্সি তাদের হজযাত্রীদের মাধ্যমে জর্দার কার্টুন পাঠিয়েছে, যা জেদ্দা বিমানবন্দরে আটক হয়েছে। এতে দেশের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। অনেক এজেন্সি হজযাত্রীদের সঙ্গে হজ গাইড বা প্রতিনিধি না পাঠানোর কারণে হজযাত্রীরা বিড়ম্বনায় পড়ছেন।


আরও খবর

পীর হও কিন্তু পীর সেজনা!

শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি শেষ, প্রথম পর্ব শুরু শুক্রবার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব সফল করতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাবলিগ জামাতের সাথীরা। স্বেচ্ছাশ্রমে ইজতেমার ময়দান প্রস্তুতের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আয়োজকদের তথ্য অনুযায়ী, মাওলানা যোবায়ের অনুসারীদের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই ইজতেমা শুরু হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি মাগরিবের নামাজের পর এবং শেষ হবে ২ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে। এর আগে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।

ইজতেমা ময়দানে গিয়ে দেখা গেছে, শীত উপেক্ষা করে স্থানীয় মুসল্লি ও স্বেচ্ছাসেবকরা মাঠ তৈরির কাজে দিনরাত পরিশ্রম করছেন। কেউ শামিয়ানা টানাচ্ছেন, কেউ বিদ্যুতের কাজ করছেন, কেউ বাথরুম পরিষ্কার করছেন, কেউ আবার ময়দান পরিষ্কার করছেন। আল্লাহর মেহমানদের জন্য সবকিছু সুন্দরভাবে প্রস্তুত করতে এভাবেই দিনরাত কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা।

আয়োজকদের সূত্রে জানা গেছে, ইজতেমার ময়দানের ৯৪ শতাংশ প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। মাওলানা যোবায়ের অনুসারীদের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, ময়দান প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষ। কোনো সমস্যা ছাড়াই এবার ইজতেমা সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে আমরা আশাবাদী। এবারের ইজতেমায় দেশ-বিদেশ থেকে প্রচুর সংখ্যক মুসল্লির সমাগম হবে বলে আমাদের ধারণা।

তিনি আরও জানান, ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া প্রথম পর্বে আখেরি মোনাজাত হবে ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি মাগরিবের পর দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে।

ঢাকার কাকরাইল মসজিদ থেকে আসা আব্দুর রকিব বলেন, আমরা ৭০ জনের একটি দল নিয়ে এখানে এসেছি। আল্লাহর মেহমানদের ইবাদতের জন্য সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা মাঠের কাতার সোজা করার কাজ করছি। আল্লাহকে রাজি খুশি করার উদ্দেশ্যে আমরা এই কাজ করছি।

ময়দানের জিম্মায় থাকা সিহাব উদ্দিন জানান, আমি মূল মঞ্চের দায়িত্বে আছি। আমার সঙ্গে থাকা সাথীরা মাঠের বাকি কাজগুলো দ্রুত শেষ করছেন। আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এই কাজ করছি।

বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন। টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান জানান, ইজতেমা ময়দানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় এনে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে নজরদারি করা হবে। মুসল্লিদের যাতে কোনো ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয়, সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছি।

অন্যদিকে, মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইজতেমা আয়োজন করতে পারেন বলে জানা গেছে।

তাদের মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাদের ইজতেমা ৭ ফেব্রুয়ারি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন ১৪ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা করার একটি বার্তা পেয়েছি। বিষয়টি আমরা যাচাই করছি।

ধর্মীয় এই বিশাল সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যকার বিভাজন মিটিয়ে সমঝোতা করার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় মুসল্লিরা।


আরও খবর

পীর হও কিন্তু পীর সেজনা!

শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের শীর্ষে ঢাকা

প্রকাশিত:রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বায়ুদূষণের দিক দিয়ে আজ বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের শীর্ষে অবস্থান করছে ঢাকা। দূষণ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার ঢাকার বাতাসের মান ‘বিপজ্জনক’।

সংস্থাটি জানিয়েছে, আজ সকালে ঢাকার বায়ু মান সূচকের (একিউআই) স্কোর ছিল ৩৭৪। দ্বিতীয় স্থানে আছে মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুন। সকালে সেখানকার একিউআই রেকর্ড করা হয় ২১৬। আর তৃতীয়স্থানে আছে ভারতের দিল্লি। বিশ্বের অন্যতম জনবহুল এ শহরের রবিবার সকালের বায়ু মানের স্কোর ছিল ২১৫। এ দুটি শহরের বাতাস অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বলে জানিয়েছে আইকিউএয়ার।

উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন ধরেই ঢাকা বিশ্বের অন্যতম দূষিত শহরের শীর্ষে অথবা দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে। পরিস্থিতি ভালো না হওয়ায় সাধারণ মানুষ বায়ুজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।


আরও খবর

যাত্রী পরিবহনে রেকর্ড গড়ল মেট্রোরেল

শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ছুটির দিনেও দূষণে বিশ্বে দ্বিতীয় ঢাকা

শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




২০২৪শে সারাদেশে ২৭ হাজার অগ্নিকাণ্ডে নি'হ'ত ১৪০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

২০২৪ সালে সারাদেশে ২৬ হাজার ৬৫৯টি এবং দিনে গড়ে ৭৩টি আগুনের ঘটনা ঘটেছে। বৈদ্যুতিক গোলযোগ, বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা, চুলা ও গ্যাসসংক্রান্ত কারণে আগুনের ঘটনা বেশি ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ডে সারাদেশে ১৪০ জন নিহত এবং ৩৪১ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া বিভাগ জানিয়েছে, গেল বছরে সারাদেশে এই অগ্নিকাণ্ডে ৪৪৬ কোটি ২৭ লাখ ২৮ হাজার ৬৯৭ টাকা সম্পদের ক্ষতি হয়েছে এবং ফায়ার সার্ভিস আগুন নির্বাপণের মাধ্যেমে ১ হাজার ৯৭৪ কোটি ৪৪ লাখ ৭২ হাজার ৮৭৫ টাকার সম্পদ রক্ষা করে। অগ্নিকাণ্ডে সারাদেশে ৩৪১ জন আহত এবং ১৪০ জন নিহত হয়েছেন।

আগুন নির্বাপণের সময় ৩৭ জন বিভাগীয় কর্মী আহত এবং অগ্নি নির্বাপণ ও উদ্ধার কাজ করতে গিয়ে দুইজন কর্মী নিহত হয়েছেন।

অগ্নিনির্বাপণকালে উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক ফায়ার সার্ভিস এর ৩৪টি গাড়ি ভাঙচুর ও ৮টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

অগ্নিকাণ্ডের কারণের বিষয় তুলে ধরে পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২৬ হাজার ৬৫৯টি আগুনের মধ্যে বৈদ্যুতিক গোলযোগে ৯ হাজার ৬৯টি (৩৩.৯৮%), বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা থেকে ৪ হাজার ১৩৯টি (১৫.৫২%), চুলা থেকে ৩ হাজার ৫৬টি (১১.৪৬%), উচ্ছৃঙ্খল জনতা কর্তৃক ৭৮৯টি (২.৯৫%), ছোটদের আগুন নিয়ে খেলার কারণে ৭৫৯টি (২.৮৪%), উত্তপ্ত ছাই থেকে ৭৩৫টি, গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে ৭০৪টি, গ্যাসের লাইন লিকেজ থেকে ৪৬৫টি, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে ৪৪টি (০.৪৫%), কয়েল থেকে ৪৫৫টি এবং আতশ বাজি/ফানুস/পটকা পোড়ানো থেকে ৬৪টি আগুনের ঘটনা ঘটে।

সম্পদের ক্ষয়ক্ষতিভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৪ সালে বাসাবাড়ি/আবাসিক ভবনে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। সারাদেশে বাসা বাড়িতে মোট ৭ হাজার ১৩১টি আগুন লাগে, যা মোট আগুনের ২৬.৭৪ শতাংশ। এছাড়া খড়ের গাদায় ৪ হাজার ৫১৩টি (১৬.৯২%), রান্নাঘরে ২ হাজার ৪১১টি (৯.০৪%), দোকানে ১ হাজার ৮৮৭টি, হাট-বাজারে ৯১১টি, শপিং মলে ৪৮১টি, পোশাক শিল্প ব্যতীত কলকারখানায় ৪৯৪টি, পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে ২৩৬টি, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে ২১১টি, বহুতল ভবনের আগুন (৬ তলার উপরে) ১৫৩টি, রেস্টুরেন্ট ও হোটেলে ১৫০টি, কেপিআই ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে ১২৯টি, হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ১২৬টি, পাট গুদাম-পাটকলে ১২৩টি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ৮৫টি, বস্তিতে ৮৪টি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭৮টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

পরিবহনে আগুনের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৪ সালে সারাদেশে বাস বাদে যানবাহনে ২৬৮টি, বাসে ১১৪টি, ট্রেনে ১৩টি, লঞ্চে ৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

মাসভিত্তিক অগ্নিকাণ্ডের পরিসংখ্যানে জানা যায়, ২০২৪ সালে ফেব্রুয়ারিতে ২৭৩৭টি, মার্চ ৩৪২১টি, এপ্রিল ৩৪২৬টি, মে মাসে ২৬৮৬টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এই চার মাসে গড়ে প্রতিদিন ১০২টি করে আগুন লেগেছে। এছাড়া জানুয়ারি মাসে ২৫১৪টি, জুলাই মাসে ১৪২৭টি, আগস্ট মাসে ২১৬৩টি আগুন লাগে।

অগ্নিকাণ্ডে আহত-নিহতদের পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আহত ও নিহতদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি। সারাদেশে ৩৪১ জন আহতের মধ্যে পুরুষ ২৩৭ ও নারী ১০৪ জন। নিহত ১৪০ জনের মধ্যে ১০৭ জন পুরুষ ও ৩৩ জন নারী।

আহত ও নিহত হওয়ার ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বাসা-বাড়ি/আবাসিক ভবনে (আহত ৭২, নিহত ৩৬), গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ (আহত ৫৩, নিহত ৮) এবং রেস্তোরাঁ ও হোটেলে (আহত ৭৮, নিহত ৪৭) আগুনের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি হতাহত হয়েছেন।

এছাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ২০২৪ সালে সারাদেশে ডুবুরি কার্যক্রমের মাধ্যমে ১৫৬ জন আহত এবং ৭৫০ জন নিহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। আরও ৩০৩টি পশু, ৫০টি পাখি, ২২৭টি প্রাণী উদ্ধার করে।

২০২৪ সালে সারাদেশে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ৯ হাজার ১২৮টি দুর্ঘটনায় উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে ১০ হাজার ৮২৬ জন আহত এবং ২ হাজার ৪৩৭ জন নিহতদের উদ্ধার করে। এর মধ্যে ৬ হাজার ৪০৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ হাজার ৩১৯ জন আহত এবং ১ হাজার ৪৮৪ জন নিহতদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

সারাদেশে অগ্নিপ্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ২০২৪ সালে ১৪৭টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে। এই মোবাইল কোর্টের মাধ্যেমে ১৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে ২ কোটি ৫৮ লাখ ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ৩টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

অগ্নিদুর্ঘটনা কমানোর জন্য সারাদেশে জনগণকে সচেতন করতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ২০২৪ সালে ১৮৯৮৩টি মহড়া, ৩০৩৬টি সার্ভে, ১৫৬৮৪টি গণসংযোগ করেছে। এছাড়া সারাদেশে অগ্নিদুর্ঘটনায় করণীয় বিষয়ে ৭৭৬৯টি প্রশিক্ষণের মাধ্যেমে ১,৪৭,৭১৭ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অপরদিকে ২০২৪ সালে শুধুমাত্র পোশাক শিল্প কারখানায় ৩৯২১টি প্রশিক্ষণ কোর্সের মাধ্যমে ১,৫৬,৮৪০ জন পোশাক শ্রমিককে অগ্নিদুর্ঘটনায় করণীয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ভোটের অধিকার ফেরাতে জনগণকে সংকল্পবদ্ধ হতে হবে

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

গণতন্ত্রবিরোধী ও জনবিচ্ছিন্ন অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার মিলিত দুর্বার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এখন যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতন্ত্র, মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে জনগণকে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হতে হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শুক্রবার গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, একদলীয় বর্বর শাসন দীর্ঘায়িত করার অলীক স্বপ্নে শুধু গণতন্ত্রই নয়- দেশের ঐক্য, সংহতি ও সার্বভৌমত্বকে তারা সংকটাপন্ন করে তুলতেও দ্বিধা করেনি। বিরোধী দলের প্রতি আচরণে তারা (আওয়ামী লীগ) কখনই সভ্য রীতিনীতি অনুসরণ করেনি। তখন কারাগারই ছিল বিরোধী দলের ঠিকানা।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করার লক্ষ্যে বহুদলীয় গণতন্ত্রের গলাটিপে হত্যা করে বহুদলীয় ব্যবস্থার স্থলে একদলীয় সরকার ব্যবস্থা ‘বাকশাল’ কায়েম করে। এই ব্যবস্থা কায়েম করতে গিয়ে তারা জাতীয় সংসদে বিরোধী মতামতকে উপেক্ষা করে এক প্রকার গায়ের জোরেই অমানবিক মধ্যযুগীয় চতুর্থ সংশোধনী আইন পাশ করে। ওই সময় সব সংবাদপত্র বাতিল করে তাদের অনুগত চারটি পত্রিকা চালু রাখার ফরমান জারি করে। দেশবাসীর দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ফলে অর্জিত মানুষের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে তারা ভূলুণ্ঠিত করে সমাজে এক ভয়াবহ নৈরাজ্যের ঘন অমানিশা ছড়িয়ে দেয়।

অপর এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ক্ষমতাকে চিরকাল কুক্ষিগত করার অসৎ উদ্দেশ্যে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেয়। একটি মাত্র দল বাকশাল ছাড়া অন্য সব দল এবং সরকার অনুগত ৪টি সংবাদপত্র ব্যতিরেকে সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, শুধু তাই নয়; সভা-সমাবেশ এবং মানুষের মৌলিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপের মাধ্যমে তারা বাকস্বাধীনতা ও মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব করে মূলত মানবাধিকারকেই পদদলিত করেছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য বাকশালী সরকার চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়েছিল। কথা, চিন্তা, বিবেক, মতপ্রকাশ, সংগঠন ও সমাবেশের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল হুকুমবাদের দৌরাত্ম্যে। বহুত্ত্ববাদীতা বিনষ্ট করে সামাজিক স্থিতি ও ভারসাম্য নষ্ট করা হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি সবসময় জনগণের মৌলিক অধিকার, বাকস্বাধীনতা, সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশ ও জাতির স্বার্থে পতিত অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের রেখে যাওয়া নানাবিধ জঞ্জাল মোকাবিলা করে গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে একযোগে কাজ করতে হবে। গণতন্ত্র হত্যা দিবসে এটিই হোক আমাদের অঙ্গীকার।


আরও খবর

গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণে আসবে সমতা

শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




পুলিশ ও সাংবাদিক একে অপরের পরিপূরক : ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিশেষ প্রতিনিধি:

ডিএমপি কমিশনার শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী এনডিসি বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধমুক্ত সমাজ গড়তে সাংবাদিকদের জোরালো সহযোগিতা প্রয়োজন। সাংবাদিকসহ সকলের সহযোগিতা ছাড়া একা পুলিশের পক্ষে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। পুলিশ ও সাংবাদিক একে অপরের পরিপূরক। 


মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রি.) সকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) এর নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদলের সাথে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।


মতবিনিময় সভায় ডিএমপি কমিশনার ক্র্যাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, যে কোন নিউজ প্রচারের আগে অবশ্যই তার সত্যতা যাচাই করে নিবেন। তাতে ভুল তথ্য প্রচারের সম্ভাবনা থাকে না। অবশ্যই সত্য প্রচার করবেন। সত্য প্রচারে ডিএমপির কোন ধরণের আপত্তি নাই। মানুষের মধ্যে ‘সেন্স অব ইনসিকিউরিটি’ (নিরাপত্তাহীনতা বোধ) সৃষ্টি হয় এমন নিউজ করার আগে অবশ্যই তার সত্যতা ভালোভাবে যাচাই করবেন।  

 

তিনি বলেন, ছোটখাটো সব দাবি নিয়ে লোকজন রাস্তায় নেমে রাজপথ দখল করে আন্দোলন করছে যাতে দ্রুত তাদের দাবিগুলো আদায় হয়। ঢাকা মহানগরীতে এমনিতেই যানজট একটি বড় সমস্যা। একটি রাস্তা বন্ধ হলে শহরের অন্য সকল রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। তাই দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে রাজপথ বন্ধের চর্চা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সকলকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। কোন সভ্য সমাজে রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন করার প্রবণতা দেখা যায় না। সাংবাদিক সমাজকে এ ধরণের প্রবণতার বিরুদ্ধে জনমত গড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। 


সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মোঃ নজরুল ইসলাম, পিপিএম-সেবা বলেন, সাংবাদিকরা তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতা কাজে লাগিয়ে সমাজের নিরাপত্তা সচেতনতা বাড়াতে পারেন। মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজদের কোন রাজনৈতিক বা দলীয় পরিচয় থাকতে পারে না। তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।


মতবিনিময় সভায় ক্র্যাবের সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল বলেন, পুলিশ ও সাংবাদিক একই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে থাকে। ক্র্যাব প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আমরা ডিএমপির সাথে এক সাথে কাজ করে আসছি। আমাদের মধ্যকার এই সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আগের মতো ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।


ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ্ বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পুলিশ ও সাংবাদিক পাশাপাশি থেকে কাজ করতে চাই। আমরা একে অপরের পরিপূরক। মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হই তার ব্যপারে ডিএমপির সহযোগিতা কামনা করছি। 


মতবিনিময় সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মোঃ নজরুল ইসলাম, পিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মোঃ শওকত আলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং ক্র্যাবের সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল, সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ্সহ নবনির্বাচিত ক্র্যাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।


 



আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫