Logo
শিরোনাম

হজযাত্রীর ভিসা বাতিলের সুযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

কোনো হজযাত্রীর ভিসা বাতিলের প্রয়োজন হলে, তা বাতিল করা যাবে। বৃহস্পতিবার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখার উপসচিব মামুন আল ফারুক স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ কথা জানানো হয়।

এটি হজ কার্যক্রম পরিচালনাকারী সব এজেন্সি, লিড এজেন্সির স্বত্বাধিকারী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। 

ধর্ম মন্ত্রণালয় জানায়, সৌদি ই-হজ সিস্টেমে ২০২৫ সালের হজে ভিসা সম্পন্ন হওয়া হজযাত্রীর ভিসা বাতিল করার অপশন চালু হয়েছে। এ সুযোগ দেওয়ার ফলে কোনো হজযাত্রীর ভিসা বাতিলের প্রয়োজন হলে তা বাতিল করা যাবে।

তবে ভিসা বাতিলকারী হজযাত্রীর কাছ থেকে ভিসা ফি ও ইলেক্ট্রনিক সার্ভিস ফি বাবদ প্রদত্ত ৩৬০ সৌদি রিয়াল সমপরিমাণ অর্থ কর্তনযোগ্য হবে। 


আরও খবর

আগামী ২৫ বছর গরমকালে হজ হবে না

মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫




দুর্নীতির বড়পুত্র ঝালকাঠির প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান , ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

দেশের নানা প্রান্তে যখন বিশ্ব দুগ্ধ দিবসে শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পুষ্টিকর দুধ, তখন ঝালকাঠিতে দিবসটি যেন হারিয়ে যায় প্রশাসনিক ফাইলের ভাঁজে। হয়নি কোনো র‍্যালি, বিতরণ করা হয়নি এক ফোঁটা দুধও। অথচ বরাদ্দ ছিল—দুই লাখ আট হাজার টাকা।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালনে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এর বদলে উঠেছে অনিয়ম, গাফিলতি ও দুর্নীতির অভিযোগ।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান স্বীকার করেছেন, এ বছর দিবসটি পালন করা হয়নি। তিনি বলেন, 'বেশ ক’দিন ধরে বৃষ্টি, সামনে ঈদ, র‍্যালির টি–শার্ট এখনো তৈরি হয়নি। তাই কর্মসূচি করা যায়নি।'

তবে বরাদ্দের বিষয়ে তিনি বলেন, 'ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে পাওয়া ২ লাখ ৮ হাজার টাকা এখনো আমার কাছে গচ্ছিত আছে। পরে এই টাকা দিয়ে দিবস পালন করব।'

তবে প্রশ্ন থেকেই যায়—যে অর্থ নির্ধারিত ছিল ১ জুনের কর্মসূচির জন্য, তা ভবিষ্যতের জন্য রেখে দেওয়া কতটা যৌক্তিক?

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ঘুরে ও খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুধু দুগ্ধ দিবস নয়, দপ্তরের অন্যান্য কার্যক্রমেও রয়েছে অনিয়মের অভিযোগ। সরকারি অনুদান, খামার উন্নয়ন প্রকল্প, এমনকি ভেটেরিনারি সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রেও ঘুষ ও পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছেন অনেক খামারি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক খামারি বলেন, 'টাকা না দিলে কোনো কাজ হয় না। সেবা নিতে এলেই হয়রানি শুরু হয়।'

আরেক খামারি বলেন, 'সরকার তো আমাদের উন্নয়নের জন্যই এসব প্রকল্প দেয়। কিন্তু এখানে এসে দেখি উল্টোভাবে চলছে সব কিছু।'

স্থানীয় কয়েকজন খামারি ও সচেতন নাগরিক বলছেন, এমন অনিয়ম চলতে থাকলে জেলার প্রাণিসম্পদ খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর প্রভাব পড়বে গ্রামীণ অর্থনীতিতেও।

তাঁদের মতে, এখনই এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। না হলে সরকারের ভালো উদ্যোগগুলো মাঠপর্যায়ে পৌঁছাবে না।


আরও খবর



ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’: সর্বাত্মক সতর্কতা জরুরি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

শুভাশিস ব্যানার্জি শুভ : সাংবাদিক ও কলাম লেখক

চলতি মাসের ১১ তারিখে ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত একটি খবর বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ফেসবুকে পোস্ট করা খবরটি ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রীক। ঘূর্ণিঝড় পূর্বাভাস শিরোনামে লেখা ফেসবুক পোস্টির হুবুহু লেখাটি হচ্ছে, বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে মে মাসের ২৩ তারিখ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে শক্তি (শ্রীলঙ্কার দেওয়া নাম) ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওড়িশা উপকূল ও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূলের মধ্যবর্তী যে কোনো স্থানের ওপর দিয়ে স্থল-ভাগে আঘাত করার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। ২৪ থেকে ২৬শে মে মধ্যে। তবে সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত বেশি পশ্চিমবঙ্গ ও খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে স্থল-ভাগে আঘাত করার। এই পোষ্টটি যিনি লিখেছেন তার নাম মোস্তফা কামাল পলাশ। তিনি একজন আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক হিসেবে পরিচিত।

ঘূর্ণিঝড় মানে হচ্ছে, এটি একটি নিম্নচাপযুক্ত এলাকা। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র হচ্ছে সেই অঞ্চলের সর্বনিম্ন বায়ুমণ্ডলীয় চাপের এলাকা। কেন্দ্রের কাছে, চাপের গ্রেডিয়েন্ট বল (ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে চাপের তুলনায় ঘূর্ণিঝড়ের বাইরের চাপের তুলনায়) এবং কোরিওলিস প্রভাবের বল আনুমানিক ভারসাম্যে থাকে, অন্যথায় চাপের পার্থক্যের ফলে ঘূর্ণিঝড়টি নিজেই ভেঙে পড়ে। ইংরেজ বিজ্ঞানী হেনরি পিডিংটন ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন নামটির প্রবক্তা। গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় নিয়ে তার গবেষণাপত্র ৪০টি। এগুলো তিনি দ্য জার্নাল অফ দ্য এশিয়াটিক সোসাইটি-তে প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি সাইক্লোন শব্দটিও প্রবর্তন করেন, যার অর্থ সাপের কুণ্ডলী

২০২৪ খ্রিস্টাব্দে ঘূর্ণিঝড় রেমাল-এর কারণে বাংলাদেশে এক ভয়ংকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। স্যাফির-সিম্পসন ঘূর্ণবাত বায়ুপ্রবাহ মাপনী যা সংক্ষেপে এসএসএইচডাব্লিউএস-তে রেমাল-কে গত ১ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে আঘাত হানা সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ওয়েদার ইনফরমেশন সার্ভিস থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশ প্রতিবছর গড়ে অন্তত ৪ বার ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে। বৈশিষ্ট্যগতভাবে, বেশিরভাগ ঘূর্ণিঝড় কেবল বাংলাদেশের প্রভাব বলয়ে প্রবেশ করে না বরং স্থলভাগেও আঘাত হানে।

পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, তুলনামূলকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল হচ্ছে, চট্টগ্রাম, খুলনা এবং ঢাকা। সাধারণত ঘূর্ণিঝড়ের মৌসুম গ্রীষ্মকালীন বর্ষার উপর নির্ভর করে। এর আগের (মে থেকে জুন) এবং পরে (অক্টোবর থেকে নভেম্বর) মাসগুলোতে সবচেয়ে তীব্র ঝড় হয়।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেখানে জলবায়ু সংক্রান্ত সমস্যায় মানবিকতা বিঘ্নিত হয়েছে বা হচ্ছে এমন দেশগুলোয় সরেজমিনে কাজ করছেন ফ্রান্সের সাংবাদিক ম্যানুয়েল ক্যালোকুইস্পে ফ্লোরেস। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে তিনি এসব বিষয়ে কাজ করছেন। যেসব দেশে আপদকালীন সংকটে জাতিসংঘসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক সংস্থাগুলো ত্রাণ নিয়ে যায়, সেগুলোর সুষ্ঠু বন্টন নিয়েও তিনি কাজ করছেন। ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে ঘূর্ণিঝড় রেমাল পূর্ববর্তী সময়ে সাংবাদিক ম্যানুয়েল ক্যালোকুইস্পে ফ্লোরেস বাংলাদেশে এসেছিলেন।

তিনি বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত এবং আক্রান্ত এলাকার মানুষের অসহায়ত্বের কথা জাতিসংঘের কাছে তুলে ধরেন। এক প্রতিবেদনে তিনি লেখেন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দের ২৬ মে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬ টায় বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলায় ঐ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার এবং সেই সময় এর ব্যাস ছিল ১০৩ কিলোমিটার। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সাফির-সিম্পসন শ্রেণীবিভাগ অনুসারে, এটি একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় ঘূর্ণিঝড়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল। বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে রেমাল সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়।

বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশকে সার্বিক সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। তার সেই আবেদন বিশ্ববাসীর কাছে সাড়া জাগায়। তার প্রতিবেদনটি ইউএনএইচসিআর-এ প্রকাশিত।

চলতি বছরে স্যাফির-সিম্পসন স্কেলে কমপক্ষে ৩ নম্বর শ্রেণিতে পৌঁছানো নয়টি গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের স্যাটেলাইট ছবি জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে, ভিন্স (প্রথম সারিতে তৃতীয় চিত্র) সবচেয়ে তীব্র, যার সর্বনিম্ন কেন্দ্রীয় চাপ প্রতি ঘণ্টায় ৯২৩ কিলোমিটার। স্যাফির-সিম্পসন জানায়, গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় সাতটি প্রধান জলাশয়ে তৈরি হবে, যা সাধারণত গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় অববাহিকা নামে পরিচিত। সাম্প্রতিক সময়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিভিন্ন আবহাওয়া সংস্থা গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করবে। যেমন শক্তি-এর নামকরণ করেছে শ্রীলঙ্কা। চলতি বছরের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হল ঘূর্ণিঝড় ভিন্স যার সর্বনিম্ন গতি বেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ৯২৩ কিলোমিটার।

ঘূর্ণিঝড়ের আর্কাইভ ঘেটে জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছে ২০২০ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানআম্ফান ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী এবং বিপর্যয়কর গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়। এর প্রভাবে পূর্ব ভারতে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায় এবং বাংলাদেশে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়। এটি ছিল গাঙ্গেয় বদ্বীপে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলেন, আম্ফান ছিল একটি বিরল ঘূর্ণিঝড় যা ২১ মে ভোরে প্রবল বাতাসের সাথে বাংলাদেশের রাজশাহী থেকে রংপুর পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলে উপর আঘাত হানে। এটি রাজশাহী ও রংপুরের আম উৎপাদনে মারাত্মক ক্ষতি করে।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘূর্ণিঝড় শক্তি-এর সাথে আম্ফান-এর সাদৃশ্য রয়েছে। ২০২০ খ্রিস্টাব্দের ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ১৩ মে শ্রীলঙ্কার কলম্বো থেকে কয়েকশ মাইল (৩০০ কিলোমিটার) পূর্বে অবস্থিত একটি নিম্নচাপ অঞ্চল থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। ২০২০ খ্রিস্টাব্দের ১৫ মে আম্ফান সিস্টেমটিকে একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় নিম্নচাপে উন্নীত করে এবং পরের দিন ভারত আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) একইভাবে পরিস্থিতি অনুসরণ করে। ১৭ মে আম্ফান দ্রুত তীব্রতা অর্জন করে এবং ১২ ঘণ্টার মধ্যে একটি অত্যন্ত তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। সেই সময়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হলে, হয়তো ক্ষয়-ক্ষতি এবং বহু প্রাণ বাঁচানো যেতো বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করেন।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডাব্লিউএমও)-এর সর্বশেষ তথ্য মতে, ঘূর্ণিঝড় শক্তিআম্ফান-এর সাথে ঠিক কতটা সাদৃশ্যময় সেটা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করার মতো পর্যাপ্ত সময় হাতে নেই। সিস্টেমটি ট্র্যাক করার জন্য স্যাটেলাইট ডেটা ব্যবহার করে তারা জানিয়েছে, উষ্ণ সমুদ্রের তাপমাত্রার কারণে প্রায়শই মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঘূর্ণিঝড়ের সঞ্চালন তীব্র হয়। বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বর্তমানে ২৯-৩০ক্কসেলসিয়াস, যা ঘূর্ণিঝড় গঠনের জন্য আদর্শ। বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় শক্তি আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং চলতি মাসের ২৩ মে থেকে ২৮ মের মধ্যে এটি আঘাত হানতে পারে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় শক্তি ২৪ থেকে ২৬ মের মধ্যে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। সম্ভাব্য আঘাতের এলাকা ভারতের ওড়িশা উপকূল থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত। তবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের খুলনা বিভাগ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূল। এখনো ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হয়নি। তবে বঙ্গোপসাগরে যে পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, তা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য অনুকূল বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। পরিস্থিতি যেমন যাচ্ছে, এতে করে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। তাই সবাইকে আগাম সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি যদি বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসে, তাহলে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া, ভারি বৃষ্টি এবং জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। এতে মানুষের জীবন ও সম্পদের ক্ষতির ঝুঁকি বাড়বে।

বিভিন্ন মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে আঘাত হানা গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের ফলে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে প্রায় ১.৫৪ মিলিয়ন মানুষ নিহত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় শক্তির ভয়াবহতা অনুধাবন করতে পারছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। তাদের কেউ কেউ বলছেন, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় শক্তি ২০২৫ সালের প্রথম বড় ঝড় হতে পারে এবং ঘূর্ণিঝড় শক্তি ২০২৫ পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশে ভারী বৃষ্টিপাত আনতে পারে। বিশেষজ্ঞরা উপকূলীয় এলাকার মানুষদের এখন থেকেই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। বিশেষ করে মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাগুলোকে নিরাপদ স্থানে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আশঙ্কায় যে কোনো সময় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার কথাও বলা হয়েছে। অর্থাৎ ঘূর্ণিঝড় শক্তির মোকাবিলায় নিজেদের সর্বাত্মক শক্ত বলয় গড়ে তোলা অত্যাবশ্যক।।



আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




আমরা দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত : ইরান

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

একজন জ্যেষ্ঠ ইরানি নিরাপত্তা কর্মকর্তা কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে বলেছেন, তেহরান দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছে এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আক্রমণ আরও তীব্র করা হবে।

রবিবার (১৫ জুন) নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, ইরান যুদ্ধ শুরু না করলেও এর সমাপ্তি নির্ধারণ করবে। এই সংঘাত নেতানিয়াহুর সংঘাত এবং এর ফলাফল হবে ইসরায়েলি শাসনের ধ্বংস।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ইরান তার জনগণকে রক্ষা করছে। নেতানিয়াহুর উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য আমেরিকান করদাতা নাগরিকদের অর্থ নষ্ট করা হবে কি না সেজন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এদিকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েলে বড় পরিসরে হামলা শুরু করবে—এমন খবর প্রচারের কিছুক্ষণের মধ্যেই শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে জায়নবাদী ইসরায়েল ভূখণ্ডে হামলা শুরু করে ইরান। ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, দেশটির বাহিনী ইসরায়েলি শহরগুলোকে লক্ষ্য করে ড্রোনসহ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে একটি হাইব্রিড আক্রমণ চালাচ্ছে।


আরও খবর



জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন: প্রেস উইং

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের চিন্তাভাবনা করছে বলে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে দাবি করা হয়েছে তা নাকচ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলেছে, এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্ট, তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে উল্লেখ করেছে, বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেমন এক্সে (পূর্বের টুইটার) বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের চিন্তাভাবনা করছে বলে মিথ্যা তথ্য ব্যাপকভাবে ছড়ানো হয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়সহ বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারী এই গুজব ছড়িয়েছে। গুজবে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশের পতাকায় পাকিস্তান ও তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত চাঁদ-তারকার ইসলামী প্রতীক যুক্ত করা হবে।

প্রেস উইং জানায়, ডিজিটালভাবে তৈরি একটি কল্পিত পতাকার ছবি ভাইরাল হয়েছে, যার ভিউ সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ এবং এতে ব্যাপকভাবে সাড়া পড়েছে- বিশেষত পাকিস্তান, তুরস্ক ও মধ্যপ্রাচ্যের দর্শকদের মধ্যে।

প্রেস উইং বলছে, যে তথ্য হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

১৪ জুন ২০২৫ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত কোনো গণমাধ্যম এমন পরিকল্পনা বা আলোচনার ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।

ফ্যাক্ট চেক জানায়, এই বিষয় নিয়ে জাতীয়ভাবে কোথাও আলোচনা হয়েছে এমন কোনো ভিত্তি নেই কিংবা দেশি বা আন্তর্জাতিক নির্ভরযোগ্য কোনো সংবাদমাধ্যম এই পদক্ষেপের কথা কোথাও উল্লেখ করেনি।

বাংলাদেশি ফ্যাক্ট-চেকিং প্ল্যাটফর্ম দ্য ডিসেন্ট জানিয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় একটি ভুয়া প্রতিবেদন প্রচার করেন যার শিরোনাম ছিল বাংলাদেশ তার পতাকায় পাকিস্তান ও তুরস্কের অনুকরণে ইসলামী চাঁদ যোগ করার কথা ভাবছে যা এআই দিয়ে তৈরি করা এবং লেখক রবার্ট ব্রাউনের নামে ৬ জুন প্রকাশিত হয়। এই ভুয়া প্রতিবেদনটিতে কোনো তথ্যসূত্র, প্রমাণ বা যাচাইযোগ্য উৎস নেই।

পাকিস্তানপন্থী এক্স অ্যাকাউন্ট @SouthAsiaIndex নামক আইডি থেকে গত ৪ জুন একটি পোস্ট থেকে এই গুজবের উৎপত্তি হতে পারে। যেখানে প্রথম একটি কাল্পনিক পতাকার ডিজাইন শেয়ার করা হয়। এই একই ছবি পরে সজীব ওয়াজেদের শেয়ার করা ভুয়া প্রতিবেদনে ব্যবহৃত হয়।

প্রেস উইং জানায়, এই মিথ্যাচার পরিকল্পিতভাবে ধর্মীয় প্রতীক ব্যবহার করে জাতীয়তাবাদী বা রক্ষণশীল শ্রোতাদের মধ্যে পরিচয়ভিত্তিক উত্তেজনা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়েছে। এআই প্রযুক্তিতে তৈরি পতাকার ছবি প্রমাণ করে, যে তথ্য ছড়ানো হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

এটাই প্রথম নয়, জুলাই মাসে বাংলাদেশের গণ-আন্দোলনের পরে কয়েকটি অ্যাকাউন্ট- যেমন @AsianDigest- মিথ্যাভাবে দাবি করে যে-ছাত্রনেতারা নতুন জাতীয় পতাকার প্রস্তাব দিয়েছে। সেই পোস্টটি ৯০ হাজারের বেশি ভিউ পায়, পরে তা সম্পূর্ণভাবে খণ্ডন করা হয়, বলে প্রেস উইং জানায়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, এমন কোনো বিষয় শেয়ার করার আগে তা যেন যাচাই করে নেন।

প্রেস উইং জানায়, বাংলাদেশে জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের পক্ষে কোনো আন্দোলন বা দাবি নেই এবং এসব কল্পিত গল্প কেবল সত্যকে বিকৃত করে অপ্রয়োজনীয় বিভেদ তৈরি করতে চায়।

প্রেস উইং বলছে, চলুন আমরা সত্য তথ্যকে প্রাধান্য দিই এবং ভিত্তিহীন গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকি।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




সংকটকে ঘনীভূত করার চেষ্টা করছেন কিছু উপদেষ্টা

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

কোনো দলকে প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। এ সময় চলমান সংকটকে ঘনীভূত করতে কিছু উপদেষ্টা বিতর্কিত ভূমিকা পালন করছেন বলেও দাবি করেন তিনি। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মজয়ন্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কবি কাজী নজরুলের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের বৈশিষ্ট্য নিরপেক্ষ হতে হবে। কোনো দলকে প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের নয়। এমনটা হলে জনগণ তা মেনে নেবে না।

কিছু উপদেষ্টা বিতর্কিত ভূমিকা পালন করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা চলমান সংকটকে ঘনীভূত করার চেষ্টা করছেন। উপদেষ্টারা অর্পিত দায়িত্ব বাদ দিয়ে অন্য কোনো গভীর এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করলে আমরা প্রতিবাদ করবই।

তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো ঘাপটি মেরে বসে আছে। এ সময় প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান রিজভী।

জাতীয় কবিকে নিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সাম্প্রতিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ জাতীয় আন্দোলন সংগ্রামের অনুপ্রেরণা ছিল নজরুল।

তিনি বলেন, কবি কাজী নজরুল ইসলাম লেখণী, সাহিত্যকর্ম, গান থেকে যুগে যুগে মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করছে। জুলাই আন্দোলন ও বিগত ১৫ বছরের আন্দোলনে তিনি আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছেন। শত আঘাতের মধ্যে তার কাছ থেকে বেঁচে থাকার প্রেরণা পেয়েছি।

রিজভী আরও বলেন, শৃঙ্খলমুক্ত হওয়ার জন্য নজরুল আমাদের তাগিদ দিয়েছেন। জাতীয় ও ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে তিনি আমাদের অঙ্গীকারবদ্ধ করেন। তাই তিনি আজও তিনি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।

উল্লেখ্য, জন্মদিন উপলক্ষে ফুল আর শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হচ্ছে বাঙালির প্রাণের কবি কাজী নজরুল ইসলামকে।রবিবার সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কবির সমাধিস্থলে ফুল হাতে ভিড় করেন ভক্ত অনুরাগী সাংস্কৃতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের নেতারা।


আরও খবর