Logo
শিরোনাম

হু'র আঞ্চলিক পরিচালক হলেন সায়মা ওয়াজেদ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে ৮-২ ভোটের ব্যবধানে এ পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

১ নভেম্বর নয়াদিল্লিতে নতুন আঞ্চলিক পরিচালক পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সায়মা ওয়াজেদ পেয়েছেন ৮টি দেশের সমর্থন। অন্যদিকে নেপালের প্রার্থী পেয়েছেন ২টি দেশের সমর্থন। এ অঞ্চলে সংস্থাটির সদস্য ১১টি দেশ। এরমধ্যে মিয়ানমার এবার ভোট দিতে পারেনি। এর ফলে আগামী ৫ বছরের জন্য দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।

অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা এর আগেও জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় অটিজম বিশেষজ্ঞ এবং পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

আঞ্চলিক প্রধান হিসেবে এখন দায়িত্ব পালন করছেন ভারতের পুণম ক্ষেত্রপাল। সায়মা ওয়াজেদ পুতুল দায়িত্ব গ্রহণ করলে তিনিই হবেন এ পদে প্রথম বাংলাদেশি।

এর আগে সরকার সায়মা ওয়াজেদকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক প্রধান হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়ন দেয়। প্রতিবেশী ভারত বাংলাদেশের প্রার্থীকে সমর্থন দেয়।


আরও খবর

শীতে সুস্থ থাকতে যা খাবেন

মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩




আ. লীগের স্বতন্ত্ররা ঢালাওভাবে নির্বাচন করতে পারবেন না : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বিশেষ প্রতিবেদক :আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ঢালাওভাবে নির্বাচন করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

 তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতাসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রেখে সমন্বয় হবে এসব বিষয়ে।

শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

এসময় বিএনপির ১৫ জন কেন্দ্রীয় নেতাসহ সাবেক ৩০ সংসদ সদস্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘৩০ দলের নির্বাচনে অংশ নেয়া বড় সাফল্য। বিএনপিরও ১৫ কেন্দ্রীয় নেতা, ৩০ সাবেক সংসদ সদস্য এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

 ইউরোপ-আফ্রিকা-ল্যাটিন আমেরিকায় অনেক দেশেই নির্বাচনে বিরোধী দল অংশ নেয় না। তাতে কি নির্বাচন অবৈধ ধরা হয়? কিছু দল না এলেই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না, অবৈধ হবে, এমন তো কথা নেই।

তিনি বলেন, ৩০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এটা একটা বড় সাফল্য। বিএনপিরও অনেকে অংশ নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান, মনজুর আলম, শওকত মাহমুদ, তৈমুর আলম খন্দকার, শমসের মবিন চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আহসান হাবীব, এ কে এম ফখরুল ইসলামসহ ১৫ জন কেন্দ্রীয় নেতা এবং শাহ মোহাম্মদ জাফর ও মেজর আখতারুজ্জামানসহ সাবেক ৩০ জন এমপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে বহুদিন পর উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা যাচ্ছে সারা দেশে। চোখে পড়ার মতো উৎসব। জনগণের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশই হচ্ছে নির্বাচন, কোন দল এল, না এল সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।

ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপি নেতা শাহজাহান ওমরকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতা শাহজাহান ওমর আওয়ামী লীগ করতে ভালোলাগা থেকেই এসেছেন। এটা দলের কৌশলগত সিদ্ধান্ত।

শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতাসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রেখে সমন্বয় হবে এসব বিষয়ে।

 ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও ঢালাওভাবে নির্বাচন করতে পারবে না।

কারও কথায় বা বাধায় নির্বাচনের ট্রেন থামবে না বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণের অংশগ্রহণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন মূল বিষয়। কোনো রাজনৈতিক দল অংশ নেবে বা না নেবে সেটা নিয়ে ভাবনা নেই।

 সুন্দর অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বিরাজমান। সে জন্য আপসহীন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সময়মতোই দেয়া হবে ইশতেহার; প্রায় চূড়ান্ত। সুবিধাজনক সময়ে ঘোষণা করা হবে।’

তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে দেশে যে সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করছে সেই বিষয়ে টিআইবি কিংবা সুজনের (সুশাসনের জন্য নাগরিক) মুখে কোনো কথা নেই। অথচ তারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা বলে।

কাদের বলেন, বিএনপি নামে একটি দল আন্দোলনের যে চক্রান্ত করছে, আমি চ্যালেঞ্জ করছি, তাদের একটা হরতাল-অবরোধ, কোনো আন্দোলন সফল হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। তবে সন্ত্রাস তারা করতে পেরেছে।

এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এবং কার্যনির্বাহী সদস্য শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




নওগাঁয় সড়কে রাখা একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

নওগাঁর মহাদেবপুরে পাম্পের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। 

রবিবার ২৬ নভেম্বর দিনগত রাত পনে ১২ টারদিকে মহাদেবপুর উপজেলা কমপ্লেক্সের পূর্বগেট সংলগ্ন মাসুদ ফিলিং স্টেশন এর সামনে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

এসময় সেখানে পার্ক করে রাখা রাহি ট্রাভেলস এর একটি বাসে কে বা কারা (দূর্বৃত্তরা) আগুন ধরিয়ে দিলে বাসে দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে আগুন। আগুনের খবর পেয়ে সাথে সাথে থানার টহল পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে পৌছান। এরপর ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিস এর কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

মহাদেবপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম লিডার আশরাফুর রহমান জানান, বাসের ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।

এব্যাপারে মহাদেবপুর থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিষয়টি তদন্ত পূর্বক জড়ীতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়া হবে।


আরও খবর



খালেদা জিয়ার উপদেষ্টাসহ বিএনপির দুই কেন্দ্রীয় নেতা বহিষ্কার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সদরুল আইন : দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান ও শাহ মো. আবু জাফরকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করেছে দলটি।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুষ্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান এবং বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো. আবু জাফরকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। 

 শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টু এবং ঢাকা জেলাধীন ধামরাই পৌর বিএনপির সভাপতি দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জুকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করে দলটি।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




নেত্রকোনায় প্রতিবন্ধী পরিবারের মাঝে পণ্য সামগ্রী বিতরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

তেলিগাতী আদর্শ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য পণ্য সামগ্রী বিতরণ।

বৃহস্পতিবার(১৬ নভেম্বর) দুপুরে আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়নের মালয়েশিয়া প্রবাসী মিজানুর রহমানের সহযোগীতায় তেলিগাতী আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে উক্ত খাদ্য পণ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো: শামসুল ইসলাম, আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মুহা: জিয়াউর রহমান, সহকারী শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাজহারুল আলম, সম্রাট মিয়া সহ  সমিতির অন্যান সদস্যরা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা।

২০২১ সালে  প্রতিবন্ধীদের কে নিয়ে  করে তুলা হয় প্রতিবন্ধীদের  সহায়তায় তেলিগাতী আদর্শ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সমিতি। সমিতির সদস্য প্রায় চারশত।নিয়মিত এই সমিতিটির প্রতিবন্ধী পরিবারদের সহায়তায় করে যাচ্ছে।


আরও খবর



শিপমেন্ট নিয়ে বেকায়দায় রপ্তানিকারকরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধী দলগুলোর ডাকা হরতাল এবং কয়েক দফার অবরোধে আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহনে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। শিল্পের জন্য আমদানিকৃত কাঁচামাল সময়মতো কারখানায় পৌঁছাতে না পারায় তৈরি পোশাকসহ সামগ্রিকভাবে ব্যাহত হচ্ছে দেশের শিল্পখাত। এতে ক্রেতার বেধে দেয়া সময়ে পণ্য রপ্তানি নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন রপ্তানিকারকরা। সৃষ্টি হয়েছে শিপমেন্ট বিলম্বসহ নানান জটিলতা। শুধু তাই নয়, অবরোধের প্রভাবে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের সকল রুটে পণ্য পরিবহন ভাড়া বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। এতে চরম বেকায়দায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কমে যাচ্ছে তৈরি পোশাকের অর্ডার।

বিকেএমইএর এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম বলেন: টি-শার্টের একটি চালান ১৫ নভেম্বর সমুদ্র পথে জার্মানিতে শিপমেন্ট হওয়ার কথা ছিল। চলমান অবরোধের কারণে সময়মতো কারখানায় ফ্রেব্রিক পৌঁছানো যায়নি। একইসাথে ছিল গ্যাসের সংকটও। সময়মতো ফ্রেব্রিক না পাওয়ায় এখনও সব পণ্য প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি। ক্রেতার বেধে দেয়া টাইমলাইন অনুযায়ী এখন বাধ্য হয়ে এয়ার শিপমেন্ট করা ছাড়া উপায় নেই, বলেন তিনি। মোহাম্মদ হাতেম আরও জানান, অবরোধের আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে চট্টগ্রামে আমরা ১২ হাজার টাকায় গাড়ি পাঠাতে পারতাম। এখন সেই ভাড়া দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে ২৫ হাজার টাকায় পৌঁছেছে। সকাল ১০টায় এবং রাত ১০টায় শিডিউল করে কারখানা থেকে রপ্তানি পণ্যগুলো চট্টগ্রামে পাঠাতে হচ্ছে। একইভাবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানি পণ্যও শিডিউল করে কারখানায় আনতে হচ্ছে। 

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পোর্ট অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি মো. লিয়াকত আলী হাওলাদার বলেন: অবরোধ কর্মসূচির কারণে পরিবহন সংকট রয়েছে। এ কারণে এখন আমদানিকারকদের চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকায় পণ্য পরিবহনে ১৫ হাজার টাকার জায়গায় প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে। বাংলাদেশ ট্রাক শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাঈন উদ্দিন বলেন, পণ্য পরিবহনের সময় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ২টি এবং কুমিল্লায় ২টি প্রাইম মুভার আগুনে পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এছাড়া, প্রতিদিনই গাড়ি পোড়ানো হচ্ছে। সড়কে গাড়ি চালানো নিয়ে চালকরা আতঙ্কিত। এমন পরিস্থিতিতে ভাড়া আগের তুলানায় বেড়েছে।


তৈরি পোশাকের অর্ডার কমেছে চট্টগ্রাম বন্দরে: হরতাল অবরোধসহ চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় চট্টগ্রামের পোশাক কারখানায় কমতে শুরু করেছে ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্রেতাদের অর্ডার। নভেম্বরের প্রথম ১০ দিনে অক্টোবরের প্রথম ১০ দিনের তুলনায় তৈরি পোশাক শিল্পের অর্ডার কমে গেছে ২০  শতাংশের বেশি। নভেম্বরের শেষ নাগাদ অর্ডার কমার হার ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গার্মেন্টস মালিকরা। চট্টগ্রামে বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত ৩৫০টি কারখানাসহ বিকেএমইএ সদস্যভুক্ত এবং ইপিজেডকেন্দ্রিক প্রায় ৪৫০টি পোশাক কারখানা তৈরি পোশাক রপ্তানির সাথে যুক্ত। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিমাসে গড়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ২০০ মিলিয়ন ডলারের অর্ডার পায় এসব প্রতিষ্ঠান। তবে এখন এই পরিমাণ অর্ডার পাচ্ছে না গার্মেন্টস মালিকরা। অক্টোবরে চট্টগ্রামের গার্মেন্টস মালিকরা অর্ডার পেয়েছিলেন ১১৩ মিলিয়ন ডলার।

গার্মেন্টস মালিকরা জানিয়েছেন : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে অর্ডার কমে গেছে। এরমধ্যে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ক্রেতারা অর্ডার আরও কমিয়ে দিচ্ছেন। বিজিএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, চলতি বছরের অক্টোবরের প্রথম ১০ দিনে বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত চট্টগ্রামের প্রায় ৩৫০টি গার্মেন্টসে তৈরি পোশাকের অর্ডার ছিল প্রায় ৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। নভেম্বরের প্রথম ১০ দিনে এই অর্ডার নেমে এসেছে ৩৫ মিলিয়ন ডলারে। অর্থাৎ, নভেম্বরের প্রথম ১০ দিনে চট্টগ্রামে বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত গার্মেন্টসগুলোতে অর্ডার কমেছে ২০. ৪৫ শতাংশ।

চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার ডেলিভারি কমেছে ৫০ শতাংশ: স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সাধারণত প্রতিদিন প্রায় ৪,০০০ থেকে ৪,৫০০ কন্টেইনার সরবরাহ করা হয়। প্রায় ৬,০০০ থেকে ৭,০০০ ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান এবং প্রাইম মুভার কন্টেইনারগুলো পরিবহন করে। কিন্তু দফায় দফায় অবরোধ কর্মসূচির প্রভাবে বর্তমানে কন্টেইনার ডেলিভারি নেমে এসেছে ২,০০০ এ। একইসাথে বন্দরে পণ্যবাহী গাড়ি আসার সংখ্যাও কমে গেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। আমদানিকারক এবং সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চলমান অবরোধের কারণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি নিতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

বিএনপির অবরোধকালীন সময়ে বন্দরের কন্টেইনার ডেলিভারির তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ ডেলিভারি কমে গেছে। গত ২৭ অক্টোবর কন্টেইনার ডেলিভারি হয়েছিল ৪১৩২ টিইইউ। এর পর ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত গত ১৯ দিনের মধ্যে ১০ দিন কন্টেইনার ডেলিভারি হয়েছে ২,০০০ থেকে ৩,০০০ টিইইউসের মধ্যে। ৯ দিন কন্টেইনার ডেলিভারি হয় ৩,০০০ থেকে ৫,০০০ টিইউএসম পর্যন্ত। অবরোধের কারণে বন্দর থেকে কন্টেইনার ডেলিভারির শিডিউলও বদলে যাচ্ছে। শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরও অবরোধের সময় ডেলিভারি না নিয়ে অবরোধ নেই এমন দিনে কন্টেইনার ডেলিভারির দিকে ঝুঁকছেন ব্যবসায়ীরা। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি কন্টেইনার ডেলিভারি দিতে গিয়ে বাড়তি চাপে পড়ছেন বন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মীরাও। এমন পরিস্থিতিতে আমদানিকারকরা পণ্য ডেলিভারিতে সরকারি ছুটি কিংবা অবরোধ নেই এমন দিনকেই বেছে নিচ্ছেন।

স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে, কোনো বাড়তি চার্জ ছাড়াই বন্দর থেকে কন্টেইনার নেয়ার জন্য ৪ দিনের গ্রেস পিরিয়ড পান আমদানিকারকরা। এই প্রাথমিক গ্রেস পিরিয়ডের পরে, আমদানিকারকদের প্রথম সপ্তাহে ২০-ফুট কন্টেইনারের জন্য প্রতিদিন ৬ ডলার করে জরিমানা দিতে হয়। দৈনিক এই জরিমানা দ্বিতীয় সপ্তাহে দ্বিগুণ হয়ে ১২ ডলার এবং ২১তম দিন থেকে বেড়ে ২৪ ডলার হয়। ৪০-ফুট কন্টেইনারের জন্যও একই প্যাটার্নে চার্জের পরিমাণ হয় দ্বিগুণ। চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে কন্টেইনার ধারণ সক্ষমতা ৫৩,৫১৮ টিইইউ। ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বন্দরের ইয়ার্ডে কন্টেইনার রয়েছে ২৭,৬৬৫ টিইইউ।


আরও খবর

উত্তাপ ভোগ্যপণ্যের বাজারে

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

আবারও কমলো রেমিটেন্স

সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩