Logo
শিরোনাম

ইফতারে রাখুন চিকেন স্যুপ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

সংযম ও রহমতের মাস রমজান। রমজান মাস আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু ধর্মীয় দিক থেকে নয়, রোজা পালন করা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। রমজান মাসে আমাদের খাবারের রুটিনে অনেকটা পরিবর্তন আসে। সাহ্‌রি, ইফতার ও রাতের খাবারে পুষ্টিকর খাবার রাখা দরকার।

এই সময় খাবার মেন্যুতে রাখতে পারেন পুষ্টিকর চিকেন স্যুপ

তৈরি করতে যা যা লাগবে :

পানি –  থেকে  কাপ

চিকেনের বুকের অংশ১৫০ গ্রাম (ছোট করে কাটা)

আদা থেকে ৬টি (পাতলা স্লাইস করে কাটা)

রসুন বাটা চা চামচ

গোটা রসুন থেকে ৫টি (পাতলা স্লাইস করে কাটা)

কর্নফ্লাওয়ার টেবিল চামচ

টমেটো – /৫টি (পেস্ট করে রাখা)

গাজর কাপ (কুচি করা)

পেঁয়াজ কুচি টেবিল চামচ

ধনেপাতা কুচি টেবিল চামচ

গোলমরিচ/ চা চামচ

বাটার টেবিল চামচ

ডিম১টি

লেবুর রস টেবিল চামচ

স্বাদমতো লবণ

টেস্টিং সল্ট/ চিমটি

অলিভ অয়েলপরিমাণ মত

যেভাবে তৈরি করবেন :

ছোট করে কেটে রাখা চিকেনগুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। মাঝারি তাপে ফ্রাই প্যানে সামান্য তেল গরম করে চিকেনগুলো তেলে ছেড়ে দিন।

এরপর পরিমাণ মত পানি দিয়ে নিন।


এতে একে একে আদারসুন বাটা এবং গোলমরিচ দিয়ে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে ঢেকে দিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট ঢেকে রাখুন। ফুটে উঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

পানি ফুটে উঠলে অপেক্ষা করুন তেল উপরে উঠে আসা পর্যন্ত। যখন তেল ভেসে উঠবে চুলা বন্ধ করে দিন। চিকেন স্টক রেডি হয়ে গেল।

এবার চিকেন স্টক থেকে চিকেন এর পিস গুলোকে ছেঁকে আলাদা করে নিন একটি বাটিতে।

অন্য একটি বাটিতে  থেকে  চামচ চিকেন স্টক নিয়ে তাতে কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে।

মিশ্রণটিতে এবার একটি ডিম দিয়ে আবার ভাল করে মিশিয়ে নিন।

চুলায় একটি ফ্রাই প্যান দিয়ে তাতে বাটার দিয়ে নিন।


 বাটার গলে আসলে তাতে স্লাইস করা রসুন দিয়ে হালকা ভেঁজে নিন।


 হালকা বাদামী হয়ে এলে এতে কুঁচি করে রাখা পেঁয়াজ দিয়ে হালকা নেড়েচেড়ে নিন।

এবার একে একে কুচি করে রাখা গাজর এবং স্বাদমতো লবণ দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নাড়ুন। একটু হালকা ভেজে নিয়ে এতে টমেটো পেস্ট দিয়ে দিন।

কিছুক্ষণ নেড়ে নিয়ে আগে থেকে আলাদা করে রাখা চিকেন স্টক এবং চিকেনের টুকরাগুলো দিয়ে নিন। ফুটে উঠলে প্রয়োজন অনুযায়ী স্বাদমতো টেস্টিং সল্ট দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন।


 ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর নামিয়ে নিন। নামানোর আগে লেবুর রস এবং ধনেপাতা উপরে ছড়িয়ে দিন।


আরও খবর

শীতের সবজি রান্নার রেসিপি

মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪




রমজানে সুস্থ থাকতে যা করবেন

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

শুরু হচ্ছে রোজার মাস। এ সময় হুট করেই অভ্যস্ত রুটিন বদলে যাওয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। এছাড়া ইফতারে উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া, কম শারীরিক পরিশ্রম করার কারণেও নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। রোজার সময় গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা বাড়ে। রোজা রেখে সুস্থ থাকতে চাইলে কিছু বিষয়ের প্রতি মনোযোগ দেওয়া খুবই জরুরি। 

১. সাহরিতে শাকসবজি, শর্করা যেমন পুরো শস্যের চাল বা পুরো গমের রুটি এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন মুরগির মাংস মুরগির মাংস খান। তবে সাহরি খাওয়া বাদ দেবেন না। কারণ ইফতার পর্যন্ত সারাদিনের জন্য শক্তি দেবে সাহরির সময় খাওয়া খাবার।

২. সাহরি ও ইফতারের সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়া খুব জরুরি। হাইড্রেটেড থাকতে উচ্চ পানিযুক্ত খাবার যেমন ঘরে তৈরি স্যুপ, শাকসবজি, ফল, শসা, লেটুস, টমেটো এবং তরমুজ খান। 

৩. ইফতারে শর্করা গ্রহণ সীমিত করুন। বিশেষ করে মিষ্টি খাবার এবং পানীয় যেমন কেক, মিষ্টি বা কোমল পানীয়। চিনি মেশানো ফলের রস খাওয়াও অনুচিত।

৪. চর্বিযুক্ত খাবার বিশেষ করে ভাজা খাবার যেমন সিঙ্গাড়া, পেঁয়াজু, পাকোড়া খাওয়া সীমিত করুন। লাল মাংসের পরিবর্তে সাদা মাংস বেছে নিন।

৫. লবণের পরিমাণ বেশি এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। 

৬. ধীরে ধীরে খান। সারাদিন রোজা রেখে ইফতারে তাড়াহুড়া করে অনেক খাবার খাবেন না। ইফতারে অতিরিক্ত খাওয়া গ্যাস্ট্রিক ও অস্বস্তির কারণ হতে পারে।

৭. ইফতারের পর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন। 


আরও খবর



বিস্কুট-কেকে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট কমল

প্রকাশিত:শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

বিস্কুট ও কেকের ওপর বর্ধিত ভ্যাট কমিয়েছে সরকার। হাতে ও মেশিনে তৈরি বিস্কুট ও কেকের ১৫ শতাংশ ভ্যাট থেকে অর্ধেক কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ নির্ধারণ করেছে সরকার।

বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়ায় সরকার। এ তালিকায় রয়েছে বেকারিপণ্যে বিস্কুট ও কেকও।

গত জানুয়ারিতে মেশিনে প্রস্তুত করা বিস্কুটে ১০ শতাংশ ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করে সরকার। এছাড়া হাতে তৈরি বিস্কুটের (প্রতিকেজি ২০০ টাকা মূল্যমানের ঊর্ধ্বে) ভ্যাট ১০ শতাংশ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করে সরকার।

একইভাবে কেকের (প্রতিকেজি ৩০০ টাকা মূল্যমানের ঊর্ধ্বে) ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। তবে নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ভ্যাট সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া ইন্টারনেট, ফলের জুস, কলরেটসহ প্রায় শতাধিক পণ্যে ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ায় সরকার।

তবে ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদের মুখে ১০ পণ্য ও সেবায় ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহার করে সরকার। এরপর প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যে ভ্যাট ও শুল্ক কমাতে এনবিআরে একাধিকবার ধর্ণা দেয় বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা)।


আরও খবর

ফল আমদানিতে কমল শুল্ক-কর

মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫




রোহিঙ্গাদের খাবারে বরাদ্দ কমাল জাতিসংঘ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

চলতি মাসের মধ্যে ১৫ মিলিয়ন ডলারের অর্থ সহায়তা জোগাড় করতে না পারলে ১ এপ্রিল থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য খাবারের বরাদ্দ অর্ধেক কমানো হতে পারে। এমন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি। এর ফলে আগে প্রত্যেক রোহিঙ্গাকে প্রতি মাসে মাথাপিছু যেখানে সাড়ে ১২ ডলারের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হতো, তা কমে দাঁড়াবে ছয় ডলারে।

এতে করে প্রতি বেলার খাবারের জন্য বরাদ্দ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ টাকা থেকে কমে হবে আট টাকা। পরিণতিতে আগে থেকেই বিদ্যমান খাদ্য সংকট এবং অপুষ্টি আরও তীব্র আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্টদের অভিমত, এমন উদ্যোগে কক্সবাজার ও ভাসানচরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর তাৎক্ষণিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

এ বিষয়ে গতকাল বুধবার শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, তারা (রোহিঙ্গা) এখন যা পাচ্ছে, সেটাই যথেষ্ট নয়। নতুন করে বরাদ্দ কমে যাওয়ার পরিণাম কী হবে তা অকল্পনীয়।

রেশন কমানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে গতকাল চিঠি দিয়েছে ডব্লিউএফপি। আগের দিন মৌখিকভাবে তা মিজানুর রহমানকে জানানো হয়েছিল। এমন একটি সময়ে ডব্লিউএফপি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বজুড়ে ইউএসএআইডি’র অর্থায়ন বাতিল করেছে। জানুয়ারিতে এ বিষয়ক প্রাথমিক ঘোষণায় জরুরি খাদ্য ত্রাণকে আওতার বাইরে রাখার কথা বলা হয়েছিল।

মিজানুর রহমান জানান, ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তের কারণে বরাদ্দ কমেছে কি না, সেটা ডব্লিউএফপি সুনির্দিষ্ট করে জানায়নি। তবে তিনি জানান, রেশন কমে যাওয়ার সম্ভাব্য কারণ এটাই যে শরণার্থীদের সহায়তায় শীর্ষ দাতা দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র।

মিজানুর রহমানকে পাঠানো চিঠিতে ডব্লিউএফপি উল্লেখ করেছে, তারা রেশনের পরিমাণ সাড়ে ১২ ডলার অব্যাহত রাখার জন্য তহবিল জোগাড়ের চেষ্টা করেছে, কিন্তু প্রয়োজন অনুসারে দাতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ডব্লিউএফপি বলেছে, আমরা স্বীকার করে নিচ্ছি, শরণার্থীরা মানবিক ত্রাণের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। যার ফলে, শরণার্থী পরিবারগুলো তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে হিমশিম খাবে এবং শিবিরে অস্থিরতা বেড়ে যেতে পারে।

কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করেন। তাদের বেশিরভাগই ২০১৭ সালে মিয়ানমারে সহিংসতার সময় পালিয়ে আসে।

গত বছরও প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালেও মাসিক রেশন কমিয়ে আট ডলার করা হয়েছিল। সে সময় সেখানে ক্ষুধা ও অপুষ্টির মাত্রা অনেক বেড়ে যায়।

কয়েক মাসের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাসকারীরা সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খান এবং ১৫ শতাংশেরও বেশি শিশু অপুষ্টিতে ভোগে। পরবর্তীতে রেশনের পরিমাণ আবারও আগের পর্যায়ে ফিরিয়ে আনা হয়।

রোহিঙ্গাদের চাহিদা মেটাতে ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ প্রয়োজন হবে ৮১ মিলিয়ন ডলার। ডব্লিউএফপি’র বাংলাদেশ মুখপাত্র কুন লি বলেন, বর্তমানে রোহিঙ্গাদের জন্য প্রতি মাসে ১৫ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হয়। কিন্তু এবার সেই তহবিল জোগাড় না হওয়ায় অর্থ সহায়তা কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তবে এ মাসের মধ্যে ১৫ মিলিয়ন ডলারের তহবিল জোগাড় করা সম্ভব হলে, আগামী মাসেও একই হারে অর্থাৎ জনপ্রতি সাড়ে ১২ ডলার করে অনুদান দেওয়া সম্ভব হবে।

কক্সবাজারের একটি মানবিক প্রকল্পে কাজ করেন এনজিওকর্মী জসিম উদ্দীন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার প্রায় ৫০ শতাংশই আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এই তহবিল কমানোর অর্থ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর বিপর্যয় নেমে আসা। যার ফলে বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীও প্রভাবিত হবে।

রোহিঙ্গারা যেসব খাবার পেয়ে থাকেন, তার মধ্যে আছে চাল, ডাল, পাঙ্গাস মাছ ও হাস-মুরগি প্রভৃতি। চাহিদার বিপরীতে এর পরিমাণ একেবারে ন্যূনতম।

জসিম উদ্দীন বলেন, চাকরির সুযোগ না থাকায় অনেক রোহিঙ্গা তরুণ শিবির থেকে কাজের খোঁজে বের হন। কেউ কেউ মাদক ও মানব পাচারে জড়িয়ে পড়েন। আমার আশঙ্কা, খাদ্য সহায়তা সীমিত হয়ে পড়ায় রোহিঙ্গারা শিবির থেকে বের হয়ে এসে স্থানীয়দের জীবিকার উৎসগুলো দখল করার চেষ্টা করবে।

এ ব্যাপারে সরকারে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের উচিত শিগগির আন্তর্জাতিক কমিউনিটির কাছে বিষয়টি উত্থাপন করা।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




ঝালকাঠিতে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

মাগুরায় ধর্ষণের ঘটনায় নিহত শিশু আছিয়ার গায়েবানা জানাজা ঝালকাঠিতেও অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ মার্চ) জুম্মা নামাজ শেষে  কেন্দ্রীয় ঈদগাহ জামে মসজিদ মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝালকাঠি জেলার আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহবায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ , সদস্য সচিব রাইয়ান বিন কামাল,যুগ্ম সদস্য সচিব ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতিসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। জানাজায় অংশ নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহবায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, আমরা এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না। ধর্ষকদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকাশ্যে শাস্তি দিতে হবে, যাতে কেউ আর এ ধরনের অপকর্ম করার সাহস না পায়। উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ রাতে মাগুরায় বোনের বাড়িতে আট বছরের শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও নিপীড়নের শিকার হয়। ৮ মার্চ তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ দুপুরে তার মৃত্যু হয়।


আরও খবর



গঙ্গা চুক্তিতে ইতিবাচক হলেও তিস্তায় সম্মতি নেই ভারতের

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেকার গঙ্গা চুক্তি বিষয়ক যৌথ কমিটির ৮৬তম বৈঠক সোমবার (০৩ মার্চ) থেকে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হতে যাচ্ছে। পাঁচ দিনের এই বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছেন ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। ঢাকা ও দিল্লির কূটনৈতিক সম্পর্কের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বৈঠকটিকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে গঙ্গা চুক্তি নিয়ে বৈঠকে বসলেও তিস্তা চুক্তি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনা করতে রাজি নয় দিল্লি। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত এ নিয়ে আলোচনা চায় না দিল্লি।

বস্তুত গতবছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকেই ঢাকা ও দিল্লির এক সময়ের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক শীতল হতে শুরু করে। এরই মধ্যে গত ডিসেম্বরের শুরুতে ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে উগ্র ভারতীয়দের হামলা সেই সম্পর্ক আরও তলানিতে নিয়ে ঠেকায়।

কূটনৈতিক চ্যানেলে ভারত এটাও পরিষ্কার করে দিয়েছে যে বাংলাদেশে কোনো ‘অনির্বাচিত’ বা ‘অন্তর্বর্তী’ সরকারের সঙ্গে তারা পূর্ণ এনগেজমেন্টে যেতে আগ্রহী নয় এবং মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের সঙ্গে তারা এমন কোনো সমঝোতায় যাবে না, যেখানে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রশ্ন আছে।

এই পটভূমিতেও যে গঙ্গা চুক্তি নিয়ে দু'দেশের যৌথ কমিটি মুখোমুখি বৈঠকে বসছে এবং সরেজমিনে ফারাক্কা ব্যারাজ পরিদর্শন করতে পারছে– এটাকে পর্যবেক্ষকদেরও অনেকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন।

বিবিসি জানতে পেরেছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বৈঠকের ব্যাপারে ‘রাজনৈতিক সবুজ সংকেত’ (পলিটিক্যাল ক্লিয়ারেন্স) দেওয়ার পরেই এই বৈঠকের প্রস্তুতি নেওয়া হয়, বাংলাদেশেকে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং যাবতীয় কর্মসূচি ঠিক করা হয়।

এর প্রধান কারণ হলো, ১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক গঙ্গা চুক্তির তিরিশ বছরের মেয়াদ ২০২৬-র ডিসেম্বরেই শেষ হবে– ফলে কোন শর্তে চুক্তিটির নবায়ন করা হবে, সেটি ঠিক করা জরুরি হয়ে পড়েছে। ওই চুক্তির নবায়নের জন্য মাত্র বছর দেড়েকের মতো সময় হাতে আছে বলেই এই বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠকটিকে স্থগিত করতে চায়নি কোনো পক্ষই, দু'দেশের কূটনৈতিক মহলের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা যাচ্ছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি পদস্থ সূত্র বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, গঙ্গা চুক্তির বিষয়টি আলাদা। এখানে টেকনিক্যাল কমিটির বিশেষজ্ঞরা বৈঠকে বসছেন কারণ আমাদের হাতে চুক্তি রিনিউ করার জন্য হাতে খুব বেশি সময় নেই।

তিনি আরও জানাচ্ছেন, তবে অভিন্ন নদী তিস্তার জল ভাগাভাগি নিয়ে ভারত কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনায় যাচ্ছে না। কারণ সেখানে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রশ্ন আছে এবং ভারত মনে করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সেই আলোচনা চালানোর কোনো ‘ম্যান্ডেট’ নেই!

কী হবে বিশেষজ্ঞদের বৈঠকে : ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেকার যৌথ নদী কমিশনের অন্যতম সদস্য মুহাম্মদ আবুল হোসেনের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল গঙ্গা চুক্তি নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেবেন।

গঙ্গা চুক্তিতেই বলা আছে, দু'দেশের বিশেষজ্ঞরা পর্যায়ক্রমিকভাবে ভারতে গঙ্গার ওপর ফারাক্কা ব্যারাজ পয়েন্টে ও বাংলাদেশে পদ্মার ওপর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে জলের প্রবাহ ও অন্যান্য বিষয়ে যৌথ পরিদর্শন করতে পারবেন।

সেই অনুযায়ী, ৮৬তম বৈঠকের অংশ হিসেবে দুই দেশের প্রতিনিধিরাই কলকাতা থেকে ট্রেনযোগে ফারাক্কা পয়েন্টের উদ্দেশে রওনা হয়ে যাবেন। তেসরা ও চৌঠা মার্চ ফারাক্কা ব্যারাজের বিভিন্ন অংশে যৌথ পরিদর্শন অনুষ্ঠিত হবে। ৫ মার্চ (বুধবার) যৌথ কমিটির সদস্যরা আবার কলকাতায় ফিরে আসবেন।

৬ই মার্চ কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে গঙ্গা চুক্তি নিয়ে দু'দেশের 'টেকনিক্যাল কমিটি'র বিশেষজ্ঞদের বৈঠক। পরদিন (৮ই মার্চ) বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।

ভারতের জলসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন, এটি এমনিতে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের রুটিন বৈঠক হলেও যেহেতু গঙ্গা চুক্তির নবায়নের সময় এগিয়ে আসছে তাই এটির ‘আলাদা গুরুত্ব’ আছে।

গঙ্গায় ফারাক্কা পয়েন্টের আগে ও পরে শুষ্ক মৌসুমে জলের প্রবাহ কতটা বজায় আছে, সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান কী বলছে, গঙ্গার জলপ্রবাহের কতটা পদ্মায় আর কতটা ভাগীরথী (হুগলী) নদীতে যাচ্ছে– এই বিষয়গুলো নিয়ে টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠকে চুলচেরা আলোচনা হয়ে থাকে।

আগামী বছর গঙ্গা চুক্তি নবায়নের সময় বাংলাদেশ নতুন ফর্মুলায় জল ভাগাভাগির ওপর জোর দিতে চাইছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, ফলে সে দিক থেকেও এই বৈঠকের আলাদা গুরুত্ব আছে। আর এই বৈঠকের রাজনৈতিক গুরুত্ব হলো, মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের আমলেও ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলকে এই সফরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

তিস্তায় না, কিন্তু গঙ্গাতে হ্যাঁ : গত বছরের ৮ আগস্ট বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিন পরেই ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআইকে একটি সাক্ষাৎকার দেন। সেই সাক্ষাৎকারে আরও নানা বিষয়ের সঙ্গে তিনি বলেছিলেন, তার সরকার ভারতের কাছে অভিন্ন নদী তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যাও দাবি করবে। ওই সাক্ষাৎকারের বক্তব্য স্পষ্টতই ভারতের মনঃপূত হয়নি এবং তারা সেটা ঢাকাকে বুঝিয়েও দিয়েছিল।

দিল্লিতে সরকারি কর্মকর্তাদের বক্তব্য ছিল, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার যেহেতু গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত কোনো সরকার নয় তাই তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো আলোচনাতে যাওয়ারও প্রশ্ন ওঠে না। ফলে গত সাত মাসে তিস্তা চুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি।

এমনকি শেখ হাসিনার বিদায়ের মাত্র দিনকয়েক আগে যে 'তিস্তা মহাপরিকল্পনা'য় ভারতের সক্রিয় যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছিল, সেটাও যথারীতি হিমঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিস্তার ক্ষেত্রে ভারত এক ধরনের অনমনীয় মনোভাব দেখালেও গঙ্গা চুক্তি নিয়ে কিন্তু দিল্লির দিক থেকে এক ধরনের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ওই চুক্তি নবায়নে তাগিদ যে ভারতের দিক থেকেও আছে, সেটা ঘটনাপ্রবাহ থেকেও স্পষ্ট।

ঢাকায় ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিনাকরঞ্জন চক্রবর্তী অবশ্য এর মধ্যে অসুবিধার কিছু দেখেন না।

তিনি বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, “গঙ্গা চুক্তি প্রায় তিন দশক ধরে ‘টেস্টেড অ্যান্ড ট্রাস্টেড’ – মানে ভরসা আর সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। এর মাঝে বাংলাদেশে এমন সরকারও এসেছে যারা ভারতের প্রতি ততটা বন্ধুত্বপূর্ণ নয়, কিন্তু তাতে চুক্তির বাস্তবায়নে কোনো সমস্যা হয়নি। ফলে এই চুক্তিটাকে যে দুই দেশই নবায়ন করতে চাইবে, এটাই তো স্বাভাবিক।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু অন্য দিকে তিস্তার পানি ভাগাভাগি নিয়ে আমরা কিন্তু এখনও কোনো চুক্তিই করে উঠতে পারিনি। ফলে গঙ্গা আর তিস্তার বিষয়টা সম্পূর্ণ আলাদা চোখে দেখতে হবে।

আর যেহেতু ঢাকায় বর্তমান সরকারের সঙ্গে দিল্লি কোনো দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি বা সমঝোতায় যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই তিস্তা নিয়ে আলোচনা না এগোলেও গঙ্গা নিয়ে বৈঠক কিন্তু ঠিকই হচ্ছে—বলেন, সাবেক হাই কমিশনার পিনাকরঞ্জন চক্রবর্তী।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫