Logo
শিরোনাম

ইন্টারনেটের অভাবে দিনে ৪ হাজার কোটি টাকার লেনদেন ব্যাহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

দশ দিন ইন্টারনেটসেবা বন্ধ থাকায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে। দৈনিক লেনদেন ৬৪৭ থেকে নেমেছে ১১২ কোটি টাকায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য।

ফোরজি ইন্টারনেট চালু ও করোনা মহামারির পর দেশে ক্যাশলেস লেনদেন বেড়েছে কয়েক গুণ।

কিন্তু সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ধস নেমেছে ডিজিটাল লেনদেনে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে লেনদেন কমেছে ৬৫ শতাংশের বেশি।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আগের সপ্তাহের তিন দিনে বা ১১ থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে লেনদেনের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এই সময় দিনে গড় লেনদেন ছিল ৬৪৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

সেখানে পরের সপ্তাহে বা ১৮ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত দেশে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে মোট এক লাখ চার হাজার ২২৬ বার ট্রানজেকশন করেছে গ্রাহকরা। এসব ট্রানজেকশনে লেনদেন হয়েছে মাত্র ৬৭৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। অর্থাত্ দৈনিক গড় লেনদেন নেমেছে ১১২ কোটি টাকায়।

তথ্য বলছে, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হলে গত ১৬ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই ঢাকায় ডাটা সেন্টারে দুর্বৃত্তরা আগুন দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন রাত ৮টার দিকে সব ধরনের ইন্টারনেটসেবা বন্ধ হয়ে যায়।

এতে দেশের ইন্টারনেট ব্যাংকিং বিশেষত এটিএম, পিওএস, কিউআর কোড লেনদেন আশঙ্কাজনকহারে কমে যায়। পাশাপাশি ই-কমার্স লেনদেনসহ সব ধরনের সেবাপ্রাপ্তি শূন্যের কোঠায় নেমে আসে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, সাধারণত অফিস খোলার দিন ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে লেনদেন বেশি হয়। গত ১৮ জুলাই রাতে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই মাধ্যমে লেনদেন সম্ভব হয়নি। ১৮ থেকে ২৩ জুলাই যেই লেনদেন দেখা যাচ্ছে, তা ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ার আগের লেনদেন।

তিনি আরো বলেন, দেশের সংকটময় পরিস্থিতির কারণে সব মাধ্যমেই লেনদেন কমেছে। কিন্তু এটিএম ও পিওএসের লেনদেন স্বাভাবিক ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের এনপিএসবি ও বিইএফটিএন পরিষেবা চালু ছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ১১ থেকে ১৩ জুলাই সারা দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ১৩ হাজার ৪২৮টি এটিএমে মোট ছয় লাখ ১৩ হাজার ৪৫৮টি লেনদেন হয়েছিল। এতে সব মিলিয়ে ৫০৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়। অর্থাত্ দৈনিক লেনদেন ছিল ১৬৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। অথচ কমপ্লিট শাটডাউন ও কারফিউ চলাকালীন ১৮ থেকে ২৩ জুলাই মোট লেনদেন হয়েছে ৩৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এই পাঁচ দিনে গড় লেনদেন ৬০ কোটি ২৩ লাখ টাকা। অর্থাত্ গড় লেনদেন কমেছে ৬৪.২৮ শতাংশ।

তথ্য আরো বলছে, ১৮ থেকে ২৩ জুলাই এক লাখ ১৬ হাজার ২৩২টি পিওএসের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। গড় লেনদেন দাঁড়ায় চার কোটি ৭১ লাখ টাকা। আর ১১ থেকে ১৩ জুলাই এসব পিওএসএ লেনদেন হয়েছে ৪২ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এই তিন দিনে গড় লেনদেন ছিল ১৪ কোটি টাকা। অর্থাত্ সংকটকালীন গড় লেনদেন কমেছে ৬৬.৩৫ শতাংশ।

আর ১১ থেকে ১৩ জুলাই কিউআর কোডের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আর সংকটকালীন ১৮ থেকে ২৩ জুলাই লেনদেন হয়েছে এক কোটি ৪০ লাখ টাকা। অর্থাত্ গড় লেনদেন কমেছে ৯১ শতাংশ।


আরও খবর



ট্রাম্পের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা করতে পারেন মোদি

প্রকাশিত:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটাই মোদির প্রথম মার্কিন সফর। মোদির এই সফরে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ ইস্যু বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে জানা গেছে।

মোদি-ট্রাম্প আলোচনায় আরও গুরুত্ব পেতে পারে বাণিজ্য মাসুল কম করা, আমেরিকা থেকে ভারতের তেল ও প্রতিরক্ষা সামগ্রী কেনা, বেআইনি অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো, চীন ও পাকিস্তান প্রসঙ্গ।

ভারত থেকে রওয়ানা হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বন্ধু ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার জন্য মুখিয়ে আছি। ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন, তখন আমরা একসঙ্গে কাজ করেছিলাম। এই সফরে প্রযুক্তি, বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, বিদ্যুৎ-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করব। দুই দেশের মানুষ যাতে উপকৃত হন, আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করব।

মোদি-ট্রাম্প আলোচনায় নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের প্রসঙ্গ আসবে বলে মনে করেন পররাষ্ট্র বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা। ওপি জিন্দল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত ডিডাব্লিউকে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির এই সফরে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব থাকবে বাণিজ্যের ওপরে। তবে বাংলাদেশ-সহ দক্ষিণ এশিয়া নিয়ে আলোচনা হবে বলেই মনে হয়। তবে এখনই ট্রাম্প বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে কড়া লাইন নেবেন, পুরোপুরি ভারতকে সমর্থন করবেন, তা মনে হচ্ছে না।

শ্রীরাধার মতে, বাংলাদেশ নিয়ে ট্রাম্পের মাথাব্যথা কম। তার অনেক বেশি মাথাব্যথা রাশিয়া ও চীনকে নিয়ে। কিন্তু তিনি কাঁচা খেলোয়াড়ও নন। আর বাংলাদেশের সঙ্গে ট্রাম্পের বাণিজ্যিক স্বার্থ আছে। বাংলাদেশ থেকে যে দামে পোশাক আমেরিকায় যায়, সেটা অন্য কোনো দেশ দিতে পারবে না। আর আমেরিকা নিজের স্বার্থই দেখবে বলে আমার মনে হয়। তবে সাধারণভাবে তিনি ভারতের পাশে থাকবেন।

ভারতের প্রবীণ সাংবাদিক ও কূটনীতি বিশেষজ্ঞ প্রণয় শর্মা ডিডাব্লিউকে বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা স্বাভাবিক। বাংলাদেশের এখনকার অবস্থা, শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া, সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ভারত কীভাবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখে সেটা মোদি জানাবেন।'

প্রণয় জানিয়েছেন, প্রথমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ট্রাম্প দক্ষিণ এশিয়ার বিষয়ে মোদির পরামর্শকে গুরুত্ব দিতেন। ভারতের কথামতো চলার চেষ্টা করতেন। এখানেই ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে তার একটা পার্থক্য আছে। ডেমোক্র্যাটরা মাইক্রো ম্যানেজ করতে ভালোবাসে। তারা তাদের নীতি নিয়ে চলতে ভালোবাসে। ভারতের সেখানে সুবিধা হচ্ছে কি না, তা তারা দেখে না। কিন্তু ট্রাম্প অনেক বেশি করে ভারতের বিষয়টি মাথায় রাখেন।' সূত্র: ডিডাব্লিউ


আরও খবর



ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা কেটে যাবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কারসাজির ক্ষেত্রে বিদ্যমান সিন্ডিকেট সরকারের চেয়ে শক্তিশালী নয়। দেশে বিভিন্ন পণ্যের মজুদ ও সরবরাহের ওপর সরকারের নজরদারি রয়েছে। এই মুহূর্তে ভোজ্যতেলের বাজারে যে অস্থিরতা রয়েছে তা এক সপ্তাহের মধ্যে কেটে যাবে বলে মন্তব্য করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন।

বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত বাংলাদেশ পাটকল কর্পো‌রেশনের খুলনার দৌলতপুর জুট মিলের উৎপাদন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, গত সপ্তাহে কুড়িগ্রামে বন্ধ থাকা সরকারি টেক্সটাইল মিল বেসরকারি খাতে লিজের মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। লিজ গ্রহীতা হিসেবে ব্যবসায়ীরা সেখানে বিনিয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। এ সপ্তাহে ৩টি পাটকল লিজ দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় পাটকল চালুর ক্ষেত্রে কেবল হাজার কোটি টাকা লোকসান ছাড়া দীর্ঘমেয়াদে ফলপ্রসূ কিছুই হয়নি। তাই সরকারের মালিকানায় থাকা জুট ও টেক্সটাইল মিলগুলো ব্যক্তিগতখাতে ছেড়ে দেওয়ায় পরিকল্পনা রয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, দেশে বিদ্যমান সব পাটকল চালু রাখতে বছরে প্রায় ৪০ লাখ মেট্রিক টন পাটের প্রয়োজন। কিন্তু দেশে পাটের উৎপাদন কেবল ১২ লাখ মেট্রিক টন। সারাবিশ্বে বার্ষিক পাটের উৎপাদন মাত্র ২৫ লাখ মেট্রিক টন। সেক্ষেত্রে কেবল পাট দিয়ে এতোগুলো প্রতিষ্ঠান চালু রাখা বাস্তবসম্মত নয়। তাই পাটকলগুলো বেসরকারি খাতে লিজ প্রদানের ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল করে পাটভিত্তিক শিল্পের পাশাপাশি অন্য শিল্প কারখানা স্থাপনের সুযোগ রাখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, খুলনার দৌলতপুর জুট মিলটি বেসরকারি উদ্যোগে চালু হওয়ায় প্রায় ৭০০ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং ক্রমান্বয়ে এখানে আরো ৩ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ ধরনের সফল উদ্যোগ ও বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের পথ খুলে যাবে। মিলটিতে বেসরকারি উদ্যোগে পাটপণ্য এবং জুতার উৎপাদন একসঙ্গে চালু রেখে ইতিবাচক ও লাভজনক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ ধরনের উদ্ভাবনী উদ্যোগ সরকারিভাবে বাস্তবায়ন ততটা ফলপ্রসূ হয় না।


আরও খবর

রমজানে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করবে সরকার

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রমজানে টিসিবির ট্রাকসেল চালু থাকবে

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




পলাশ-শিমুলে সেজেছে ঋতুরাজ বসন্ত

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ঋতুরাজ বসন্তে প্রকৃতি সেজে উঠেছে আপন রূপ রং আর বৈচিত্রে। গাছে গাছে সোভা পাচ্ছে পলাশ আর শিমুল ফুল। সবই যেন জানান দিচ্ছে ঋতুর রাজ বসন্তের রাজত্বকে।

চট্টগ্রাম বোয়ালখালী আমুচিয়া গ্রামে পাহাড় ঘেঁষে বিল আর রাস্তার পাশে দেখা মিলছে বেশ কিছু গাছে ফুটে থাকা আবির রাঙা বাসন্তি ফুলের। মায়াবী এই সৌন্দর্য উপভোগ করে গ্রাম বাংলার প্রকৃতি প্রেমিরা। রক্ত শিমুল আর তপ্ত পলাশের ফাগুন হাওয়ার পরশ লেগেছে প্রকৃতিতে। এই যেন সবুজের রাজ্য রক্তিম আবার শাসন। আগুন লাগা পলাশের কাছে বিদায়ের গল্প বলছে ঝড়া পাতা। পাখির কলতান আরো মধুর করে তুলেছে ঋতু রাজের অস্তিত্বকে। আমুচিয়া পাহাড় ঘেঁষে ঐ রাস্তায় নিরিবিলি পরিবেশে প্রকৃতি প্রেমিদের নয়া বিরাম সৌন্দর্য দেখার এক অপরূপ পরিবেশ। শহরের কোলাহল ছেড়ে জৈষ্ঠ্যপুরা পাহাড় ও আমুচিয়ার পাহাড় ঘেঁষে রাস্তায় নিরিবিলি হাঁটতে ছুটে আসে মানুষ। বসন্ত মৌসুমে এইসব জায়গায় ঘুরতে দেখা যায় প্রকৃতি প্রেমিদের।

ফাগুনের আলতো বাতাসের দোল লাগতেই গাছ থেকে ঝুর ঝুর করে ঝরে পড়ে রাশি রাশি শুকনো পাতা। হালকা দমকা হাওয়ায় কিছুটা ঘূর্ণিপাকে নিচে পড়ার দৃশ্য দেখে অনেকের মনই উদাস হয়। শীত শেষে ফাগুনের এই দিনে গাছের ঝরাপাতা এখনো ঝরছে। আর কিছুদিন পর এসব ডালে ডালে নতুন পত্র-পল্লবে ছেয়ে যাবে। ফাগুনের শেষ দিনে সুবিন্যাস্ত বৃক্ষরাজি বেষ্টিত মেঠো পথে এখনো ঝরাপাতা গড়াগড়ি খায়। হেঁটে যাওয়ার সময় মর্মর শব্দে তাদের উপস্থিতি এখনো জানান দেয়। আর তখনই পাতাকুড়ানিরা শলা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে পাতাকুড়ানোর কাজে। গ্রামাঞ্চলে এ পাতা কুড়িয়ে সেই পাতা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

উপজেলার আমুচিয়া গ্রামের কৃষক কুতুব উদ্দিন বলেন, ‘আমার বাড়িতে দুইটি শিমুলগাছ থেকে যে পরিমাণ তুলা পাই, তা বাজারে বিক্রি করে প্রতিবছর বেশ লাভবান হতে পেরেছি। প্রতিদিন গাছের লাল শিমুল ফুল ও বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখতে গাছতলায় আশপাশের মানুষ ভিড় করে।’

বোয়ালখালীর সারোয়াতলী, গোমদন্ডী, আমুচিয়া, কড়লডেঙ্গা, কানুনগোপাড়া, জৈষ্ঠ্যপুরা ইউনিয়নে গাঁয়ের পথের ধারে অযত্ন-অবহেলায় এখনো কিছু শিমুল ও পলাশগাছের দেখা মেলে। এসব গাছের কোলজুড়ে হেসে উঠেছে রক্তিম ফুল। তবে পরিমাণে খুবই কম।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিমুল ও পলাশ গাছ আমাদের প্রকৃতির অমূল্য সম্পদ। এই গাছগুলো একদিকে যেমন চারপাশের পরিবেশ সুন্দর করে তুলে। তেমনই অন্যদিকে আমাদের জীবনেও নানা ভাবে উপকার করে। বৃক্ষরোপন করা গেলে প্রকৃতির এই সৌন্দর্য বাড়ানো সম্ভব।


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




শুরু হচ্ছে টিসিবির ট্রাকসেল, মিলবে ৫ পণ্য

প্রকাশিত:সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাকসেল কার্যক্রম আজ ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে আবারও শুরু হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে এবার মিলবে ভোজ্যতেল, ডাল, চিনি, ছোলা ও খেজুর। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠানটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিম্নআয়ের উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য (ভোজ্যতেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ওই কার্যক্রমের পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তাদের কাছে ঢাকা মহানগরী ও চট্টগ্রামে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভতুর্কি মূল্যে টিসিবির পণ্য ভোজ্যতেল, ডাল, চিনি, ছোলা ও খেজুর বিক্রি করা হবে।

যেকোনো ভোক্তা লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে পারবেন। ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে বিক্রি কার্যক্রম ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে।


আরও খবর

রমজানে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করবে সরকার

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রমজানে টিসিবির ট্রাকসেল চালু থাকবে

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




এনআইডির তথ্য ফাঁসে জড়িত পাঁচ প্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত:সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তথ্যে ফাঁসের অভিযোগ পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। এনআইডি তথ্য পাচারের অভিযোগে সেবা গ্রহণকারী অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করা হয়েছে। এটি ইচ্ছেকৃত কি না, তার প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার সকালে রাজধানীল আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এনআইডি যাচাই সেবা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে এসব কথা জানান তিনি।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিবি) থেকে নাগরিকের তথ্য ফাঁসের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয় সারা দেশে। সেই সময় প্রতিষ্ঠানটি দায় এড়ালেও পুনরায় যাচাই-বাছাই করে নাসির উদ্দিন কমিশন।

নিবন্ধনের তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাইয়ের চুক্তি লঙ্ঘন করার বিষয় প্রমাণ হলে ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। বিসিসির পর এবার পাঁচ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের প্রমাণ পেল ইসি।

অভিযুক্ত পাঁচ প্রতিষ্ঠান হলো— স্বাস্থ্য অধিদফতর, ইউসিবি ব্যাংকের উপায়, চট্টগ্রাম পোর্ট অথোরিটি, মহিলাবিষয়ক অধিদফতর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে শোকজ করা হয়েছে বলে জানান ইসি সচিব।

জানা যায়, ১৮২টি প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে তথ্য যাচাই করে থাকে। কোন প্রতিষ্ঠানের কতটুকু তথ্য প্রয়োজন, যতটুকু নিচ্ছে তা বেশি নিচ্ছে কি না তিন দিনব্যাপী এই মতবিনিময় অনুষ্ঠান থেকে তা পর্যালোচনা করা হবে অংশীজনদের সঙ্গে।


আরও খবর

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫