Logo
শিরোনাম

ইসলামী ব্যাংকের লকার থেকে ১৪৯ ভরি সোনা গায়েব!

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:


চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখার লকার থেকে এক গ্রাহকের ১৪৯ ভরি সোনা চুরি যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। 


সোনা চুরির ঘটনায় ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারাই জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন অভিযোগকারী।


ওই শাখার গ্রাহক রোকেয়া আক্তার বারী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত ১৭ বছর ধরে আমি ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখায় লকার ব্যবহার এবং অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করে আসছি। 


গত ২৯ মে দুপুর দেড়টায় ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখায় কিছু স্বর্ণালংকার আনার জন্য যাই। লকারের দায়িত্বে থাকা অফিসারকে আমার লকার খুলে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করি। 


তিনি চাবি দিয়ে লকার কক্ষের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে ওই অফিসার আমার বরাদ্দকৃত লকারটি খোলা দেখতে পান। এমন ঘটনা দেখে আমি হতভম্ব হয়ে পড়ি।’



রোকেয়া বলেন, ‘লকারে চুড়ি, জড়োয়া সেট, গলার সেট, গলার চেইন, আংটি, কানের দুলসহ ১৪৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ছিল। লকার খোলার পর দেখা যায়, সেখানে মাত্র ১০ থেকে ১১ ভরি স্বর্ণ অবশিষ্ট আছে। খোয়া যাওয়া স্বর্ণালঙ্কারের দাম প্রায় দেড় কোটি টাকা।’


রোকেয়া বারী আরেও বলেন, ‘ব্যাংক থেকে জানানো হয়, এই ঘটনায় তারা তদন্ত করবে। এ বিষয়ে এক সপ্তাহ পরে জানাবে।’ 



রোকেয়া বলেন, ‘পরবর্তীতে তারা এই ঘটনায় চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। 


চুরির বিষয়ে জানতে ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার ব্যবস্থাপক শফিউল মাওলার ব্যক্তিগত মুঠোফোন এবং হোয়াটস অ্যাপ নম্বরে একাধিকবার কল ও মেসেজ করার পরও তিনি সাড়া দেননি।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসলামী ব্যাংকের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, ‘চকবাজার শাখার ঘটনাটি চুরি, মিসিং বা অন্য কোনো ঘটনা কি না, তা তদন্ত চলছে। ব্যংকের একজন ঊর্ধতন কর্মকর্তা রোববার (২ জুন) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টির তদন্ত করবেন।’


এ প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী রোকেয়া বারীর ছেলে ডা. রিয়াদ মোহাম্মদ মারজুকের দাবি, ব্যাংক কর্মকর্তারা তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন যে ঘটনা তদন্তে তারা একটি তদন্ত দল গঠন করেছেন এবং সাত দিনের মধ্যে সঠিক ঘটনা উদঘাটন করবেন। এ ছাড়া অভিযোগ দায়ের না করলেও ঘটনাটি পুলিশকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।


চিকিৎসক রিয়াদ মোহাম্মদ মারজুক বলেন, ‘তার মা ২০০৭ সাল থেকে ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখায় তার স্বর্ণের গহনা রাখার জন্য লকার ব্যবহার করে আসছেন। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ব্যাংকে গিয়ে লকার রুমের ইনচার্জকে তার লকার দেখার অনুরোধ করেন। মায়ের কাছে লকারের মূল চাবি আছে এবং আরেকটি ডুপ্লিকেট চাবি ইনচার্জের কাছে থাকে।’


তিনি বলেন, ‘তারা দুজন লকার রুমে প্রবেশ করেন। তখন ইনচার্জ প্রথমে দেখেন যে মায়ের লকারটি খোলা। পরে আমার মা লকারটি পরীক্ষা করে ব্যাংক কর্মকর্তাদেরকে স্বর্ণালঙ্কার বিষয়টি জানান।’


এ বিষয়ে  ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) আকিজ উদ্দিন বলেন, আমরা বিষয়টি দেখছি। গ্রাহকের কাছে মূল চাবি আছে, কিন্তু আমাদের কাছে নেই। 


তিনি এক মাস আগে ব্যাংকে এসে লকারটি পরীক্ষা করেছিলেন। আমাদের কাছে কোনো গ্রাহকের লকারের সঞ্চয় সম্পর্কে তথ্য থাকে না। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।


চকবাজার থানার ওসি ওয়ালি উদ্দিন আকবর বলেন, লকার রুমে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। ভিকটিম ও তার ছেলে থানায় জিডি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমরা ঘটনাটির গুরুত্বের কারণে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে বলেছি।



আরও খবর



নওগাঁয় মাছ আহরণ দিবস উদযাপন

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর সাপাহারে ব্র্যাক এডাপটেশন ক্লিনিক এর জলবায়ু অভিযোজিত মাছ চাষ কর্মসূচির অধীনে 'মাছ আহরণ দিবস' অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার ৮ জানুয়ারি সকাল সাডরে ৯টায় কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণকারী মহজিদ পাড়া গ্রামের মৎস্যচাষী আব্দুর রহমানের পুকুরে জাল দিয়ে মাছ ধরার মাধ্যমে এই মৎস আহরণ দিবসের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।

পরবর্তীতে মহজিদ পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণকারী সকল মৎস্যচাষীদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রোগ্রাম হেড জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির আবু সাদাত মনিরুজ্জামান খান, সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচি তৈসিফ আহমেদ কোরেশী, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ফাতেমা তুজ-জোহরা।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এডাপটেশন ক্লিনিক এরিয়া ম্যানেজার ডাঃ মোঃ জিল্লুর রহমান, সেক্টর স্পেশালিষ্ট কৃষিবিদ মোঃ মহিদুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক প্রধান শিক্ষক মহজিদ পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রমুখ।

উল্লেখ্য, নওগাঁর সাপাহার উপজেলা বরেন্দ্র অঞ্চল হওয়ায় অধিক খরা প্রবন। জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জলবায়ু সহনশীল মাছ চাষ এই এলাকার জন্য একটি টেকসই সমাধান হতে পারে এই লক্ষ্যে এডাপটেশন ক্লিনিক এর সহযোগিতায় প্রাথমিক পর্যায়ে ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি সাইজের পোনা ছাড়া হয়েছিল যা মাত্র ৪ মাসেই বাজারজাত করা সম্ভব হয়েছে। এর সাফল্য হিসেবে ৪০,০০০ হাজার টাকার পোনা মাছে দ্বিগুণ লাভবান হয়েছে মাছচাষীগণ।


আরও খবর



নওগাঁয় পেয়ারা, ড্রাগন, মাল্টা ও কমলা চাষে সফল হারুন অর রশীদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার:

নওগাঁয় পেয়ারার পাশাপাশি ড্রাগন, মাল্টা ও কমলা চাষে

সফল হয়েছেন কৃষক উদ্যোক্তা হারুন অর রশীদ। তিনি ছোট বেলা থেকেই কৃষি কাজের সাথে জড়িত ছিলেন। কৃষিতে তেমন আয় না হওয়ার কারনে এক সময় কৃষি কাজ ছেড়ে ফলদ বাগান তৈরির উদ্যোগ নেন তিনি। বাড়ির পাশের জমিতেই প্রথমে গড়ে তোলেন পেয়ারার বাগান। সফলও হোন। এরপর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। পেয়ারা চাষে সফলতা পেয়ে বাগানের পরিধি বাড়াতে থাকেন। সেই সাথেই একের পর এক যুক্ত করেন ড্রাগন, মাল্টা, কমলা ও আঙ্গুরের। মাল্টার বাগানে নতুন করে রোপণ করেছেন পেয়ারা ও আম গাছের চারাও। এছাড়া বাগানের উত্তরদিকে পলিনেট হাউজে চাষ করছেন বিষমুক্ত সবজিও। ফলদ বাগানে সফল এই চাষির নাম হারুন অর রশীদ। তিনি নওগাঁর মান্দা উপজেলার সাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা। বাগানে সফলতা পেয়ে তিনি তার একমাত্র ছেলে খালেকুজ্জামান রাজীবকেও এই পেশায় দক্ষ করে তুলেছেন। এখন তার বাগানে রয়েছে ড্রাগন, মাল্টা, পেয়ারা ও কমলার গাছ। অন্য বাগানগুলোতে ফল না থাকলেও মাল্টার বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে মাল্টা। চাষি হারুন অর রশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কৃষি কাজে তেমন সফলতা পাচ্ছিলেন না। ধান, পাট, গম, সরিষাসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে অধিকাংশ অর্থই ব্যয় হয়ে যেত শ্রমিক ও কীটনাশকে। সেই সাথে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এক সময় ফসল চাষ বাদদিয়ে পেয়ারার বাগান তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। শুরুতে বাধা আসলেও পাত্তা দেননি। অল্প দিনেই সফলতা পেয়ে যান। এরপর বাগানের পরিধি বাড়াতে থাকেন। বর্তমানে এই চাষির ৮বিঘা জমিতে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ বাগান। চাষি হারুন অর রশীদ আরো বলেন, বর্তমানে ৩বিঘা জমিতে ড্রাগনের বাগান রয়েছে। শুধু এই বাগান থেকে এ বছর ৮ লাখ ৮২ হাজার টাকার ফল বিক্রি করেছেন তিনি। দাম কম না হলে বিক্রির পরিমাণ আরও বেশি হত। এছাড়া ১বিঘা ১৫ কাঠা জমিতে মাল্টা, ২বিঘা জমিতে কমলা ও ১ বিঘা জমিতে পেয়ারার বাগান গড়ে তুলেছেন। অনেক এলাকায় ধর্ণা দিয়ে বাগানের জন্য উন্নতমানের চারা সংগ্রহ করতে হয় তাকে। সফল এই চাষি আরো বলেন, টেলিভিশন ও ইন্টারন্টের মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব ফসল উৎপাদনে পলিনেট হাউজের বিষয়ে জানতে পারি। এরপর দফায় দফায় যোগাযোগ করি উপজেলা কৃষি অফিসে। আমার আগ্রহ দেখে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পলিনেট হাউজ তৈরিতে সহায়তার আশ্বাস দেন। পরবর্তীতে রাজশাহী বিভাগে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ১৫ কাঠা জমিতে এই পলিনেট হাউজটি তৈরি করে দেয়। শুরুতে মুলা, গাঁজর, ধনিয়া, পালং ও লাল শাকসহ কয়েক ধরনের সবজির চাষ করা হয়েছিল। পলিনেট হাউজটি পরিবেশ বান্ধব। পোকা- মাকড়ের আক্রমণ নেই। তাই এখানে উৎপাদিত সবজিতে কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। এ প্রসঙ্গে মান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, পলিনেট হাউজ উন্নত মানের পলিওয়েল পেপারে আবৃত চাষযোগ্য কৃষি ঘর। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করে নিরাপদ ফসল উৎপাদনে আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি। কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, এই প্রযুক্তি প্রয়োগে আর্দ্রতা ও তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে বছর ব্যাপি উচ্চমূল্যের ফসল ফলানো যায়। এই প্রযুক্তিতে উৎপাদিত ফসল প্রাকৃতিক দুর্যোগেও নিরাপদ ও অক্ষত থাকে। কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না তাই এখানে উৎপাদিত সবজি বিষমুক্ত ও সম্পূর্ণ নিরাপদ। কৃষক হারুন অর রশীদ একজন সফল চাষি ও উদ্যোক্তা বলেও জানান ঐ কর্মকর্তা।


আরও খবর



একই ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

একই ব্যক্তি একই সঙ্গে দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা হতে না পারার সুপারিশ করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী পদে কোনো ব্যক্তি দুবারের বেশি থাকতে না পারা, স্থানীয় সরকারে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনসহ বিভিন্ন সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুই টার্মে সীমিত করারও সুপারিশ করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের নয় পৃষ্ঠার সুপারিশ জমা দেয়। এতে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে এমন সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী (ক) সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সর্বোচ্চ দুই টার্মে সীমিত করা।

(খ) সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে দুবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের অযোগ্য করা।

(গ) একই ব্যক্তি একইসঙ্গে যাতে দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা হতে না পারেন তার বিধান করা। এবং দ্বৈত প্রতিনিধিত্বের সুযোগ বন্ধ হয়।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (ক) দল-নিরপেক্ষ, সৎ, যোগ্য ও সুনামসম্পন্ন ব্যক্তির রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার বিধান করা।

(খ) জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষের সদস্য এবং স্থানীয় সরকারের সকল নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত বৃহত্তর নির্বাচকমণ্ডলীর ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার বিধান করা। কার্যকর সংসদের জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংসদ সদস্যদের প্রত্যাহারের (রিকল) বিধান করা।

সংসদ সদস্যদের সুযোগ-সুবিধা (ক) সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি, আবাসিক প্লট, সব ধরনের প্রটোকল ও ভাতা পর্যালোচনা ও সংশোধন করা।

(খ) একটি সংসদ সদস্য আচরণ আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের বাৎসরিকভাবে সম্পদের হিসাব দেওয়া এবং স্বার্থের দ্বন্দ্বের বিষয়সমূহ ঘোষণা করা।

(গ) সংবিধান লঙ্ঘন করে সংসদ সদস্যদের স্থানীয় উন্নয়নে জড়িত থাকার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের আনোয়ার হোসেন বনাম বাংলাদেশ মামলার রায় কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা এবং ভবিষ্যতে সংসদ সদস্যদের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টার পদ থেকে অপসারণ করা।

(ঘ) সংসদ সদস্যদের জন্য বিশেষ প্রটোকলের অবসান করা।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণ/গণমাধ্যম

(ক) নিশ্চল (স্টেশনারি) পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেওয়া, যাতে পর্যবেক্ষকরা সারাদিন কেন্দ্রে থাকতে পারে, কিন্তু ভোটকক্ষে সার্বক্ষণিকভাবে নয়।

(খ) নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাকে প্রাক-নির্বাচনকালীন পর্যবেক্ষণের অফিসিয়াল অনুমতি দেওয়া।

(গ) পক্ষপাতদুষ্ট ভুয়া পর্যবেক্ষক নিয়োগ বন্ধ করা।

(ঘ) ব্যক্তি পর্যায়ে পর্যবেক্ষক নিয়োগের বিধান চালু করা।

(ঙ) পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন ভবিষ্যতে নির্বাচন ভালো করার জন্য কাজে লাগানোর বিধান করা।

(চ) আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নিয়োগের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধাপগুলো সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষক সংস্থার জন্য সুস্পষ্ট করা। সরকারের পরিবর্তে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেওয়া।

(ছ) নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রদত্ত বৈধ কার্ডধারী সাংবাদিকদেরকে সরাসরি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ, দিনে মোটরসাইকেল ব্যবহার করার অনুমতি প্রদান করা।

নির্বাচনী আচরণবিধি

(ক) ব্যানার, তোরণ ও পোস্টারের পরিবর্তে লিফলেট, ভোটার-প্রার্থী মুখোমুখি অনুষ্ঠান, পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ও সরকারি গণমাধ্যমে প্রচারের সম-সুযোগ দেওয়ার বিধান করা।

(খ) সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ মেনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণার বিধান করা।

(গ) ১৯৯০ সালের তিন জোটের রূপরেখার মতো রাজনৈতিক দলের জন্য আচরণবিধি প্রণয়ন করা।

সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর সংস্কার কার্যক্রম শুরু করবে অন্তর্বর্তী সরকার।


আরও খবর



এক হাসপাতালেই ৫ হাজার রোগী

ভয়াবহ রূপ নিয়েছে রোটা ভাইরাস

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

রোটা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এর ফলে ডায়রিয়া ও কলেরা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় চাঁদপুরের মতলবের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়া ডিজিজ রিসার্স (আইসিডিডিআর’বি) হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ। গত ১৫ দিনে প্রায় পাঁচ হাজার রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। যাদের মধ্যে বেশিরভাগ রোগীই ছিল শিশু।

এদিকে শুধু চাঁদপুরই নয়, আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিনই শিশুসহ নানা বয়সী রোগীর ভিড় বাড়ছে এই হাসপাতালে। সরেজমিনে দেখা যায়, ধারণা ক্ষমতা ছাড়িয়ে যাওয়ায় হাসপাতালের বারান্দায় বেড বসিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ঠাণ্ডা, দূষিত পানি এবং দূষিত খাবার খাওয়ার কারণে এমনটি হচ্ছে বলে ধারণা চিকিৎসকদের।

হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দূর-দূরান্ত থেকে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুদের হাসপাতালে নিয়ে আসছেন অভিভাবকরা। তারা জানান, তিন থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত বাড়িতে পাতলা পায়খানা, বমি হচ্ছিল বাচ্চাদের। বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসায় কাজ না হওয়ায় অবস্থা খারাপ দেখে রোগীদের আইসিডিডিআর’বি হাসপাতালে নিয়ে আসছেন তারা।

আইসিডিডিআর’বি মতলব হাসপাতালের তথ্যমতে, ৭০ শয্যার এ হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৩শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ রোগী এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। ৭ জানুয়ারি ডায়রিয়া আইসিডিডিআর’বি হাসপাতালের শয্যার তুলনায় চারগুণেরও বেশি রোগী এসেছে। আর গত ১৫ দিনে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ৮৪১ জন রোগী। যা গতবছরের তুলনায় অনেক বেশি।

আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে চাঁদপুর, শরীয়তপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনি, মুন্সীগঞ্জ, নীলফামারী জেলাসহ দেশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে এ হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীরা আসছেন।

আইসিডিডিআর'বি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. চন্দ্র শেখর দাস বলেন, রোটা ভাইরাসে আক্রান্তদের পাতলা পায়খানা, বমি সঙ্গে জ্বরও থাকতে পারে। বর্তমানে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে রোগী ভর্তি হচ্ছেন। আমরা রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। যদি শিশু খুব দুর্বল হয়ে নেতিয়ে পড়লে ঘণ্টায় তিন বার বা তার বেশি বমি করলে, শিশুর পেট ফুলে গেলে, শ্বাস কষ্ট হলে, পায়খানায় রক্ত গেলে, জ্বর বা খিচুনি হলে, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে অতি দ্রুত কাছের হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে শিশুকে পরিমাণ মত খাওয়ার স্যালাইন খাওয়াবেন এবং অন্যান্য পথ্য চালিয়ে যাবেন। প্রতি প্যাকেট স্যালাইন আধা লিটার পানিতে গুলিয়ে নিবেন এবং শিশুর যত কেজি ওজন প্রতিবার পায়খানার পর ততো চা চামচ স্যালাইন খাওয়াবেন। অর্থাৎ শিশুর ওজন ১০ কেজি হলে ১০ চামচ স্যালাইন খাওয়াবেন। পাঁচ বছরের শিশুকে একটি করে জিংক ট্যাবলেট দশ দিন খাওয়াবেন। দুই বছরের শিশুকে অবশ্যই মায়ের বুকের দুধ খাবে। ছয় মাসের বেশি বয়সী শিশু খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি বাসায় রান্না করা সব ধরনের খাবার খাবে। রোগীকে বেশি বেশি ডাবের পানি, চিড়ার পানি, সুপ ইত্যাদি খাওয়াবেন। রোগীকে কোমল পানীয়, ফলে জুস, আঙ্গুর, বেদানা খাওয়াবেন না। সাধারণত এই নিয়ম মেনে চললে আক্রান্ত শিশুরা এক সপ্তাহের মধ্যেই সেরে উঠে।

মতলব স্বাস্থ্য ও গবেষণা কেন্দ্র আইসিডিডিআরবির প্রধান ডা. মো. আলফজল খান বলেন, শীতকালে শিশুদের ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে। যা সাধারণত রোটা ভাইরাসজনিত কারণে হয়ে থাকে বলে আমরা মনে করি। গত ১৫ দিন ধরে গড়ে ৩শ’ রোগী আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। যার প্রায় ৮৫ ভাগই দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশু।

তিনি বলেন, পাতলা পায়খানার সঙ্গে বাচ্চার বমি ও জ্বর থাকতে পারে। খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। ছয় মাসের বেশি বয়সী বাচ্চাকে প্রতিদিন একটি করে বেবি জিংক দশ দিন খাওয়াতে হবে। এই ডায়রিয়া ভালো হতে সাধারণত তিন থেকে সাত দিন সময় লাগতে পারে। আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। পরিস্থিতির অবনতি হলে নিকটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করবেন। আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা সামগ্রী, ওষুধ এবং বেডের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতিকে আমরা সফলভাবে মোকাবেলা করতে পারবো বলে আশাবাদী।

ডা. মো. আলফজল খান বলেন, আমাদের তথ্য অনুযায়ী গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি রোগী আসছেন। প্রতি বছরই আমরা দেখছি দূর-দূরান্ত থেকে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীরা মতলব হাসপাতালে আসছেন। যার ফলে আমাদের সেবা দেয়ার এলাকা বাড়ছে। বর্তমানে আমরা প্রায় ৩৫টি উপজেলার মানুষকে ডায়রিয়া স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছি।


আরও খবর

দেশে পাঁচজনের শরীরে মিললো নতুন ভাইরাস

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




ফুলবাড়ীতে, ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ দায়ের

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) :

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে,এক নারীকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করার সময়, ভুক্তভোগী ওই নারী নিজের সম্ভ্রম রক্ষার্থে হাতে বেকি (হাসুয়া) নেয়। পরে ধর্ষণকারীর দুই পায়ের হাঁটুর নিচে বেকির আঘাত লেগে আহত হয়ে পালানোর সময় ভুক্তভোগী নারীর আত্মচিৎকারে তার ছেলে ও ছেলে বৌ সহ আশেপাশের লোকজন উঠে এসে মাছ ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান (৫০) কে আটক করে। পরবর্তীতে তারা জরুরী সেবা পেতে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিলে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। পরে স্থানীয় আদম আলীর সহযোগিতায় হাসপাতালে ভর্তি করান।


শুক্রবার ২৭ (ডিসেম্বর) রাত আটটার দিকে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত শিমুলবাড়ি ঝাউকুটি গ্রামে এঘটনাটি ঘটেছে।এর প্রেক্ষিতে শনিবার রাতে ভুক্তভোগী নারী নিজেই বাদী হয়ে মাছ ব্যবসায়ী লুৎফরের বিরুদ্ধে ফুলবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, ভুক্তভোগী নারীর স্বামী শুক্রবার বাড়িতে না থাকার সুযোগে অভিযুক্ত মাছ ব্যবসায়ী রাতের অন্ধকারে চুপিসারে তার শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে।একপর্যায়ে ভুক্তভোগী নারী নিজের সম্ভ্রম রক্ষার্থে মাছ ব্যবসায়ী কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বেড়ায় গোঁজানো থাকা বেকি (হাসুয়া) হাতে নিলে আবার ও তাকে ধরতে আসলে হাতে থাকা বেকির আঘাতে তার দুই পায়ের হাঁটুর নিচে লেগে জখম হয়। পরে তার আত্নচীৎকারে ছেলে ও ছেলে বৌ সহ প্রতিবেশী কাদের আলী জাহাঙ্গীর আলম সহ লোকজন উঠে এসে মাছ ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান কে আটক করে। পরে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লুৎফর কে উদ্ধার করে স্থানীয় আদম আলী নামের একজনের সহযোগিতায় রাত সাড়ে নয়টার দিকে ফুলবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করান। এঘটনায় ভুক্তভোগী নারী তার পরিবার সহ স্থানীয় লোকজন অভিযুক্ত মাছ ব্যবসায়ী চরিত্র হীন লুৎফর রহমান (৫০) এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।


এব্যাপারে অভিযুক্ত মাছ ব্যবসায়ী লুৎফর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তার মোবাইল ফোনে কল করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।


সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রাশেদুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত লুৎফর রহমান দুই বছর আগেও ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন। এখন তার বয়স হয়েছে সে তিন সন্তানের জনক ছেলে মেয়ে নাতি নাতনি থাকতে, এতকিছুর পরেও এই বয়সে মানুষ কিভাবে এমন জঘন্য কাজে জড়ান এটা আমার বোধগম্য নয়। লুৎফর রহমান ফুলবাড়ী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। শুনেছি ভুক্তভোগী ওই নারী থানায় অভিযোগ করেছেন। আশাকরছি এবারে একটা ন্যায় বিচার পাবেন।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুনুর রশিদ জানান,এঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে,সেটি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।


আরও খবর