Logo
শিরোনাম

ইসলামপন্থী দলগুলোর উচিৎ বিএনপির সাথে বিরোধ সৃষ্টি না করা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

পলাশ রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক :

বেগম খালেদা জিয়া একবার বলেছিলেন, বিএনপির অবস্থান ডানপন্থীদের ডানে এবং বামপন্থীদের বামে। অর্থাৎ বিএনপি একটি উদার মধ্যপন্থী গণতান্ত্রিক দল। বিএনপির রাজনৈতিক আদর্শ 'ইসলাম' নয়, কিন্তু ইসলামী মূল্যবোধের সাথে বিএনপির সম্পর্ক গভীর। কারণ বাংলাদেশের গণমানুষ ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি সংবেদনশীল।

কোনো রাজনৈতিক দলকে জনপ্রিয় করতে হলে সবার আগে জাতীর পার্লস বুঝতে হয়। জাতীর ধর্ম, সভ্যতা, সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হয়। যা বাংলাদেশের বাম ধারার রাজনীতিকরা কখনো বোঝেননি। তারা জাতীর বড় অংশের ধর্ম চেতনার প্রতি উদাসীনতা/তাচ্ছিল্য দেখিয়েছেন। এর ফলাফল আমাদের সামনে পরিস্কার। বাম রাজনীতি বাংলাদেশে সব সময় 'রাজনৈতিক এতিম' থেকে গেছে।

ইতালির রাজনীতিতে বামপন্থীরা বড় দুই শক্তির একটি। অতীতে তারা ক্ষমতায় ছিলো। এখন প্রধান বিরোধী দলে আছে। কই, তারা তো ইতালিয় গণমানুষরে ধর্ম চেতনার প্রতি তাচ্ছিল্যা দেখায় না! গির্জার বিরুদ্ধে, ভ্যাটিকানের বিরুদ্ধে কথা বলে না! মানুষের ধর্ম চর্চা নিয়ে অযাচিত নাক গলায় না!

আমরা সবাই জানি ইতালি ক্যাথলিক অধ্যুষিত দেশ। মোটা দাগে ধর্মকর্ম মানে এরা মূলত উৎসবকেই বোঝে। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলকে বলেন তো- ভ্যাটিকানের বিরুদ্ধে, পোপের বিরুদ্ধে বা গির্জা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে টু-শব্দ করতে! তাদের কোনো সুযোগ সুবিধায় হস্তক্ষেপ করতে! করবে না। কারণ তারা তাদের জাতীর ধর্ম চেতনার খবর রাখে।

বিএনপির সাথে দেশের ইসলাপন্থী দলগুলোর দূরত্ব বাড়ছে। এই দূরত্বকে শত্রুতার পরিণত করছেন বিএনপিরই কিছু নেতা। তারা হঠাৎ ইসলামের সংস্কৃতি, প্রবাহমান ধর্মীয় আচার বিধির বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করেছেন। বিএনপিকে ইসলামের রাজনৈতিক দর্শন বিরোধী দল হিসাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন প্রথম সারির নেতারা। এর ফল কী ভালো হবে? বিএনপিকে তো কেউ ইসলামী দল মনে করে না। বিএনপির রাজনৈতিক আদর্শ ইসলাম নয়, এটা সবাই জানে। বিএনপিকে কেনো গলা বাড়িয়ে এসব কথা বলতে হচ্ছে? বিএনপি কী দেশের গণমানুষের ধর্ম চেতনার প্রতি শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেলছে? বিএনপি কী ইসলাম বিদ্ধেষী আওয়ামীলীগের প্রক্সি দেয়ার চেষ্টা করছে? নাকী ভারতকে খুশি করার জন্য এসব বলছে? নাকী বিএনপির কাঁধে বামের ভুত ভর করেছে?

বাংলাদেশের মানুষের ধর্ম চেতনা, ধর্ম সংস্কৃতি বিরোধী আর ভারতের মোসাহেবি বা গোলামির রাজনীতি মানুষ পছন্দ করে না। গণমানুষের চেতনার বাইরে গিয়ে ভারতকে খুশি করে ক্ষমতায় থাকা যায় না। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো শেখ ফ্যাসিনা।

একদিকে বিএনপি খেলাফত মসলিসের সাথে মিটিং করছে, অন্যদিকে বিএনপির নেতারা ইসলামী মূল্যবোধে আঘাত করে বক্তৃতা করছেন। এটা ভয়ঙ্কর ক্ষতির লক্ষণ। বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রের দল। বিএনপি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের দল। বিএনপি ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল দল। বিএনপি ইসলামপন্থীদের আস্থার দল। বিএনপির নেতা তারেক রহমান জাতীয় ঐক্যমতের সরকার গঠনের স্বপ্ন দেখেন। এই মুহুর্তে বিএনপির আরো সতর্ক হওয়া দরকার। ভারতনীতিতে পরিস্কার অবস্থান থাকা দরকার। দেশের মানুষের পার্লস বুঝে রাজনীতি করা দরকার। বিএনপির নেতারা যখন প্রবাহমান ইসলামী সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কথা বলেন, কিন্তু কাঁটাতারের বিষয়ে নিরব থাকেন, তখন সাধারণ মানুষের কাছে ভিন্ন বার্তা যায়। এই বিষয়গুলো বিএনপিকে আমলে নিতে হবে। এগুলো বাইপাস করে বিএনপি রাজনীতি করতে চাইলে ভুল হবে, অনেক বড় ভুল।

দেশের ইসলামপন্থী দলগুলোরও উচিৎ বিএনপির সাথে বিরোধ বৃদ্ধি না করা। দূরত্বের পারদ আপাতত উপরে উঠতে না দেয়া। বিএনপির সাথে রাজনৈতিক বিরোধে জড়ানোর সময় এখনো আসেনি। এখন বিএনপির সাথে বিরোধে জড়ানো মানে ২৪ এর চেতনাকে দূর্বল করে দেয়া। বিএনপিকে বিপথে ঠেলে দেয়া। সুড়ুৎ বাম এবং ভারতকে সুযোগ করে দেয়া।


আরও খবর



সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসা কখন জরুরি?

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

জীবন মানেই সম্পর্কের মায়াজাল। পরিবার, বন্ধু, প্রেমিক, প্রেমিকা কিংবা জীবনসঙ্গী—প্রতিটি সম্পর্ক আমাদের জীবনের অংশ হয়ে ওঠে। 

কিন্তু কখনও কখনও সম্পর্কগুলো আমাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। তবু, মানুষ সম্পর্ক আঁকড়ে ধরে রাখে, মনে হয়, হয়তো একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। 


কিন্তু সত্যি কি সব ঠিক হয়? 


আর সব ঠিক না হলে, সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসাই কি সঠিক সিদ্ধান্ত নয়?


কেন সম্পর্ক জটিল হয়?


সম্পর্ক তখনই জটিল হয়, যখন সেটা আর হৃদয়ের আরামদায়ক স্থান থাকে না। এটা হতে পারে পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাব, মনোযোগের ঘাটতি, বিশ্বাস ভাঙন, কিংবা অবহেলার কারণে। 


আমরা অনেক সময়ই বুঝে উঠতে পারি না—এই সম্পর্কটা আমাদের জীবনের জন্য উপকারী, নাকি ক্ষতিকর।


তাহলে কখন বুঝবেন সম্পর্ক থেকে সরে আসার সময় এসেছে? 


কিছু বিষয় হিসাব নিকাশ করতে পারেন। 


১. বিশ্বাস ভেঙে গেছে?

সম্পর্কের মূলে থাকে বিশ্বাস। যদি সেটা নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়া আর সম্ভব নয়। প্রতারণা কিংবা কথায় কথায় মিথ্যা বলার প্রমাণ পেলে দ্রুত সরে আসুন।


২. আপনার অস্তিত্বই যেন তুচ্ছ?

যখন সঙ্গী আপনাকে ‘টেকেন ফর গ্র্যান্টেড’ করতে শুরু করে, তখন বুঝতে হবে, এই সম্পর্ক আপনার আত্মসম্মানকে ধ্বংস করছে। মনে রাখবেন, ভালোবাসার সম্পর্কেও আত্মসম্মান জরুরি।


৩. মনোযোগ আর নেই?

ভালোবাসা মানে পারস্পরিক যত্ন। যদি দেখেন, সঙ্গী আপনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে কিংবা আপনাকে অবহেলা করছে, তবে হয়তো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা আর সম্ভব নয়।


৪. শ্রদ্ধার অভাব?

প্রতিটি সম্পর্কের ভিত্তি শুধু ভালোবাসা নয়, শ্রদ্ধাও। যদি সঙ্গী আপনাকে বারবার অপমান করে কিংবা অসম্মান করে, তবে সেটা সম্পর্ক শেষ করার বড় সংকেত।


৫. দৈনিক ঝগড়া?

যদি প্রতিদিনই কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়, এবং সমাধানের চেষ্টা সত্ত্বেও সমস্যার শেষ না হয়, তবে হয়তো সেই সম্পর্ককে আর চালিয়ে নেওয়া উচিত নয়।


মাথায় রাখবেন, সম্পর্ক শেষ হওয়ার মানে জীবনের শেষ নয়। বরং, এটি একধরনের নতুন শুরু। 


নিজেকে ভালোবাসুন, নিজের মানসিক শান্তির গুরুত্ব দিন। সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসা মানে আপনার জীবনে আরও সুন্দর কিছু শুরু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হওয়া।


জীবন ছোট। এমন সম্পর্ক টেনে নিয়ে চলার কোনও মানে নেই, যা শুধু কষ্ট আর হতাশা এনে দেয়। 


তাই নিজের আত্মসম্মান, শান্তি, আর সুখের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিন। 


মনে রাখবেন, সম্পর্কের মানে যদি বোঝা হয়ে যায়, তবে সেটিকে মুক্তি দেওয়াই শ্রেয়। 


জীবন অপেক্ষা করছে নতুন সম্ভাবনায়, নতুন আনন্দে।


আরও খবর

আজকের শিশু আছিয়াদের আর্তনাদ

রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫




ইতিহাস নির্মম, কাউকে ছাড় দেয় না

প্রকাশিত:শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

আমরা ইতিহাসের নায়কদের সম্মান দিতে জানি না। উল্টো ইতিহাস বিকৃত করি। কিন্তু ইতিহাস নির্মম, কাউকে ছাড় দেয় না। তবে বিকৃতকারীরা সব সময়ই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে পড়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান৷

‘৫২-এর ভাষাশহীদদের পরিবারকে পরিপূর্ণ সম্মান দিতে ব্যর্থ হয়েছে রাষ্ট্র’ বলে মন্তব্য করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ভাষাশহীদদের নিয়ে রাজনীতি করা হলেও তাদের পরিবারকে মূল্যায়ন করা হয়নি। বিগত দিনে যারা ক্ষমতায় ছিল এ দায় তাদের।

জামায়াত আমির বলেন, ‘একাত্তরের শহীদদের জাতি মোটামুটি স্মরণ করে। তবে কতটা মর্যাদা দিতে পারে, তা আলোচনার বিষয়। অনুরূপভাবে যারা ভাষা আন্দোলনে জীবন দিয়েছেন অন্তত একুশে ফেব্রুয়ারি সেই দিনটির কথা স্মরণ করুন, তাদের পরিবারকে বুকে টানুন আর সম্মান জানান। তাহলে তারা কিছুটা হলেও প্রশান্তি পাবেন। আর বর্তমান প্রজন্ম এখান থেকে শিক্ষা নেবে।’

ডা. শফিকুর রহমান আফসোস করে বলেন, ‘আমরা ইতিহাসের নায়কদের সম্মান দিতে জানি না। উল্টো ইতিহাস বিকৃত করি। কিন্তু ইতিহাস নির্মম, কাউকে ছাড় দেয় না। তবে বিকৃতকারীরা সব সময়ই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে পড়ে গিয়েছে’।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার গত সাড়ে ১৫ বছর ইতিহাসকে কেটে টুকরো টুকরো করেছে। সব জায়গায় অন্যায্যভাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছিল। প্রত্যেক জাতির যুবসমাজ সাধারণত অন্যায়ের বিরুদ্ধে থাকে, বৈষম্যের বিরুদ্ধে থাকে। আমাদের যুবকরাও সেই গৌরব ধারণ করে চলেছে।’

ভাষা আন্দোলনে তমুদ্দিন মজলিশ, অধ্যাপক গোলাম আযমসহ সংশ্লিষ্ট সবার অবদান সরকারিভাবে সামনে আনার উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান জামায়াত আমির।


আরও খবর



বাদুড়ের শরীরে করোনার নতুন ধরন, ছড়াতে পারে মানবদেহে

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

বাদুড়ের দেহে নতুন করোনাভাইরাসের সন্ধান পেয়েছেন চীনা গবেষকরা। চীনের উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির গবেষকরা নতুন করোনা শনাক্ত করেন। এটি এখনো মানবদেহে শনাক্ত করা না হলেও ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী সেলে এ আবিষ্কারের তথ্য জানানো হয়। গবেষণায় বলা হয়, বাদুড়ের দেহে পাওয়া এইচকেইউফাইভ-কোভ-টু নামের নতুন ভাইরাসটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

উহান ইনস্টিউট অব ভাইরোলজি বাদুড়ের দেহে করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণার জন্য পরিচিত। বলা হয়, কোভিড-১৯ মহামারির শুরু দিকে এই ল্যাব থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে এ বিষয়টি অস্বীকার করে চীন। ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র উহানের ল্যাবটির জন্য সহায়তা স্থগিত করে দেয়।

গবেষকরা বলছেন, এই নতুন আবিষ্কৃত ভাইরাস মানুষ এবং অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর দেহে পাওয়া প্রোটিনের সঙ্গে মিলে কোষগুলোকে সংক্রমিত করতে পারে। এর সঙ্গে করোনাভাইরাস গোত্রীয় মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (মার্স) ভাইরাসের মিল রয়েছে।

এদিকে চলতি বছরের শুরুতে চীনে ছড়িয়ে পড়া হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়। পরে বিশেষজ্ঞরা জানান, এটি একটি সাধারণ ভাইরাস। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সেখানে তাণ্ডব চালানোর পর ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে। এতে বিশ্বজুড়ে ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান। ভাইরাসটির কারছে দীর্ঘদিন প্রায় পুরো বিশ্ব অচল হয়ে পড়ে। এরপর আস্তে আস্তে সবকিছু স্বাভাবিক হতে থাকে।


আরও খবর



মুন্সীগঞ্জে বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :

বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ১৪'ই মার্চ মুন্সীগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় মিরকাদিম পৌরসভার দরগাবাড়ী এলাকায় অবস্থিত সানাই কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরাম এর ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ইফতার ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

আয়োজিত ইফতার মাহফিলে মুন্সীগঞ্জ জেলা সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবী মুশফিক শিহাবের সঞ্চালনায় ইফতার ও দোয়ার মাহফিলের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ শাকিল (প্রকৌশলী)।

বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ইফতার ও দোয়ার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলায় কর্তব্যরত প্রায় ৭০টি সামাজিক ও মানবিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও তৃণমূলের প্রায় পাঁচশতাধিক নেতৃবৃন্দ।


এসময় বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটিকে  ফুল দিয়ে বরণ করেন বিডি ক্লিন বাংলাদেশ মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখা ও বিক্রমপুর রক্তদান সংস্থার সভাপতি মানবিক নেতা এড. মাহামুদ হাসান। এছাড়াও বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের প্রধান উপদেষ্টাকে সম্মাননা স্মারক দিয়ে মানবিক কাজে একাত্মতা প্রকাশ করেন স্বপ্নপূরণ ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি রুবেল মাদবর

বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি প্রকৌশলী সাইফুল বিন বারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ্ আব্দুল বারী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুজন হায়দার জনি, মুন্সীগঞ্জ জেলা সংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জাহাঙ্গীর ঢালী, ভবেরচর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারন সম্পাদক শফিউল্লাহ্ শিকদার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন গজারিয়া উপজেলা ছাত্রদল নেতা সাইদুল ইসলাম শাওন শিকদার, মুন্সীগঞ্জ রক্তদান সংস্থার সভাপতি রায়হান রাব্বি, জাতীয় নাগরিক পার্টির গজারিয়া উপজেলার শাখার সংগঠক প্রকৌশলী নূর আলম হোসেন।

ইফতার পূর্বে মুসলিম উম্মাহ্ শান্তির কামনায় দোয়া করেন বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরামের মুন্সীগঞ্জ জেলার শাখার সভাপতি আবু সাঈদ ভূঁইয়া।

এছাড়াও অনান্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইউনাইটেড যুব ফোরাম মুন্সীগঞ্জ জেলার শাখার সাধারন সম্পাদক ফয়সাল আহাম্মেদ পরাগ সহ কেন্দ্রীয় ও তৃনমূল কমিটির নেতৃবৃন্দ প্রমূখ।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল ক্লাবের নেতৃত্বে সাকিব- রাকিব- হ্নদয়

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের টেক্সটাইল ক্লাবের দ্বিতীয় কার্যনির্বাহী কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে।

আজ বুধবার   (২৬ ফেব্রুয়ারি) ক্লাবটির দ্বিতীয় কার্যনির্বাহী কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সভাপতি পদে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের  চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাকিব হোসাইন খান এবং সাধারণ সম্পাদক পদে একই বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের তৃতীয় বর্ষের  শিক্ষার্থী মো মেহেদী হাসান রাকিব  নির্বাচিত হয়েছেন। এতে সভাপতি পদে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের  চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাকিব হোসাইন খান এবং সাধারণ সম্পাদক পদে একই বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের তৃতীয় বর্ষের  শিক্ষার্থী মো মেহেদী হাসান রাকিব  নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচিত  অন্য সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি পদে মো: হ্নদয় হোসাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নাদিয়া আফরোজ শাওরিন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আশিষ সরকার, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক পদে মার্জিয়া মেহেরীন,দপ্তর সম্পাদক পদে  শফিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ  পদে মো: রিজওয়ান আহমেদ তৌসিফ,ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক পদে মো: ফৈরদাউস, ইভেন্ট  বিষয়ক সম্পাদক পদে সৈয়দ সিয়ামুল হক, নির্বাহী সদস্য পদে সৌরভ পূর্ণকর, রেজোয়ান আল ওয়াসি, আশিক আরফিন ঐশিক,গোলাম রাব্বি, মো:  সাইফুল ইসলাম সাইফুল্লাহ,আজহারুল  ইসলাম, মো: বাদল মিয়া, মেহেরাব হাসান নিবিড়, মো: আরমান ইসলাম ও বিএম শহীদ মাহমুদ নির্বাচিত হয়েছেন।

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নবগঠিত টেক্সটাইল ক্লাবের সকল সদস্যকে আন্তরিক অভিনন্দন  এবং বিগত কমিটির সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহ-শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ আয়োজনসহ এ বিভাগের শিক্ষা এবং গবেষণা কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতে টেক্সটাইল ক্লাব উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করবে বলে আমি আশা করছি। সেই সাথে দেশ ও জাতির যে কোন প্রয়োজনে টেক্সটাইল ক্লাব অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।


সংগঠনটির  সভাপতি সাকিব হোসাইন খান বলেন,ক্লাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত সকলের প্রতি অভিনন্দন এবং একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে এটা স্পষ্ট করতে চাই যে, আমাদের লক্ষ্য থাকবে বর্তমান প্রযুক্তি এবং বৈশ্বিক চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, মাভাবিপ্রবি কে সামনের দিনে আরও সুউচ্চ মর্যাদায় নিয়ে যাওয়া। নানামুখী কার্যক্রমের মাধ্যমে কিভাবে আরও টেকনিক্যালি সাউন্ড প্রকৌশলী হয়ে উঠা যায় সেই মর্মে আমাদের সকলকে মিলে মিশে কাজ করতে হবে। পরিশেষে বলতে চাই, এই নতুন দায়িত্ব আমাদের কাধে কর্তব্যের সাথে বেশ কিছু সুযোগও এনে দিয়েছে দেশের এই চলমান উন্নতিতে আমাদের বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবার জন্য। ক্লাবের কার্যক্রমকে সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনার জন্য সকলের কাছে দোয়া এবং নানা সময়ে সুপরামর্শ কাম্য।

সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাকিব বলেন, ক্লাবের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।এই ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের ও চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয়। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, ক্লাবের উন্নয়ন ও কার্যক্রমকে আরও সমৃদ্ধ করতে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আপ্রান চেষ্টা করব। বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য করার জন্য সেমিনার, গবেষণা কার্যক্রম ও শিল্প সংযোগ বাড়ানোর চেষ্টা  করব।আমাদের লক্ষ্য হলো টেক্সটাইল ক্লাবকে কেবলমাত্র একটি শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নয়, বরং উদ্ভাবন, নেতৃত্ব ও পেশাগত উন্নয়নের একটি কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা,যাতে সকলে একসাথে আমরা টেক্সটাইল ক্লাবকে আরও কার্যকর, গতিশীল ও সমৃদ্ধ করে তুলতে পারি। সকলের সহযোগিতায় টেক্সটাইল ক্লাব হবে উদ্ভাবনের বাতিঘর।ক্লাবের প্রতিটি সদস্যই আমাদের শক্তি, তাদের সমর্থন ও অংশগ্রহণই আমাদের সফলতার চাবিকাঠি।সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ক্লাবকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া  এবং নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করার আহ্বান জানাচ্ছি।

নির্বাচিত সহ সভাপতি  মো. হৃদয় হোসাইন বলেন,মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল ক্লাবের সহ সভাপতি নির্বাচিত হতে পেরে আমি উচ্ছ্বাসিত। আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মন্ডলীর দিকনির্দেশায়, টেক্সটাইল বিভাগের সকলকে সাথে নিয়ে, ক্লাব এবং বিভাগের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করতে চাই।  যে মহৎ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল ক্লাবের অগ্রযাত্রা, সেই শুভযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।

প্রসঙ্গত, টেক্সটাইল ক্লাব বস্ত্র প্রকৌশলীদের ব্যবসা সম্পর্কিত ধারণা বৃদ্ধি, তাদের মধ্যে নেতৃত্বের গুনাবলি বিকাশ, পেশাদারিত্ব জাগ্রত করার পাশাপাশি পেশাদারিত্ব বিকাশের সুযোগ তৈরি করার জন্য নেতৃস্থানীয় টেক্সটাইলের পেশাদারদের সাথে শিক্ষার্থীদের সেতুবন্ধন তৈরি করবে এবং শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তার গুনাবলি অর্জন করতে করতে সাহায্য করবে।


আরও খবর