Logo
শিরোনাম

ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’র অভিযোগ জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞের

প্রকাশিত:রবিবার ১১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image


একটি স্কুল লক্ষ্য করে শনিবার ইসরাইলি হামলায় ৯৩ জন নিহত হওয়ার পর, জাতিসংঘে নিযুক্ত এক বিশেষজ্ঞ গাজা যুদ্ধে গণহত্যার দায়ে ইসরাইলকে অভিযুক্ত করেছেন। স্থানীয় উদ্ধারকারীরা ওই হামলার কথা জানায়।



এ ঘটনার পর জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি অঞ্চলে নিযুক্ত অধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক ফ্রান্সেস্কা আলবানিজ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ বলেন, ইসরাইল সেই সময়ে এক ফিলিস্তিনি প্রতিবেশী এলাকায় হামলা চালিয়ে একই সময়ে একটি হাসপাতাল, একটি স্কুল ও এক শরণার্থী শিবিরে গণহত্যা চালিয়েছে। খবর এএফপি’র।


আরও খবর

পদত্যাগে রাজি, বললেন মমতা

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ সফরে আসছেন ডোনাল্ড লু

বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪




নওগাঁয় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

সিনিয়র রিপোর্টার :

দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশ ক্রমে বর্তমান আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় ও সম্প্রীতি প্রীতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে নওগাঁর মান্দা উপজেলার গণেশপুর ইউনিয়নের সতীহাটে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মান্দা উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন মান্দা উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক ও গণেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল ইসলাম চৌধুরী (বাবুল)। 

এসময় মান্দা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শামসুল হক বাদলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, মান্দা উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক এ.কে.এম নাজমুল হক নাজু,

যুগ্ম-আহবায়ক তোফাজ্জল হোসেন টুকু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন খান, মান্দা উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ, সদস্য রফিকুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক বেলাল হোসেন, এ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান ও সিদ্দিক হোসেন, উপজেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ রানা এবং উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম হোসেন প্রমূখ। 

এছাড়াও ভারশোঁ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী কাবুল, সাধারণ সম্পাদক গোলাম সাকলাইন চারু, ভালাইন ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, পরানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গোলাম মোস্তফা, মান্দা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সদস্য রফিকুল ইসলাম, গণেশপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য শহিদুল ইসলাম, নাজিম উদ্দিন ও মিঠন, মৈনম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাহারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, প্রসাদপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শাহ জামাল, ফরিদুজ্জামান, একেএম ফজলুল হক বাচ্চু, কুসুম্বা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম মোর্শেদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গুলজার হোসেন, তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউন্নবী হুদা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার, নুরুল্যাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আহম্মেদ, যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক আবু তালেব, কাঁশোপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহিদুজ্জামান সোহান, কসব ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হাসেম, সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী মাস্টার, বিষ্ণপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ ও মামুনুর রশিদসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, সেচ্ছাসেবকদল, কৃষকদল এবং ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।


আরও খবর



রামপালে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের আনন্দে স্বামী শফিকুলের দুধ দিয়ে গোসল

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image




রামপাল ( বাগেরহাট) প্রতিনিধি 
স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের আনন্দে দুধ দিয়ে গোসল করেছেন শফিকুল ইসলাম (৩৮) নামের এক ব্যক্তি। সে বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার পেড়িখালী এলাকার আমীর আলীর ছেলে।

শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে দীর্ঘ ১৬ বছরের  দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনে কষ্ট পাওয়ার বদলে মনের আনন্দে চেয়ারম্যানের মোড়ে জনসম্মুখে বালতি ভর্তি দুধ দিয়ে গোসল করেন তিনি।
এর আগে গত (২০ আগস্ট) তার স্ত্রী তাকে ডিভোর্স পেপার পাঠিয়ে দেন। সে ডিভোর্স পেপার হাতে পেয়ে স্বাক্ষর করে পাঠিয়ে দেন।

শফিকুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, আজ থেকে প্রায় ১৬ বছর আগে বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার সোনাইলতলা ইউনিয়নের বকুলতলা গ্রামের রুস্তম আলী সরদারের মেয়ে মুসলিমা বেগমের সাথে দুই পরিবারের সম্মতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। বিয়ের পর তাদের জীবন সুখে শান্তিতে কেটে যাচ্ছিল। তাদের লামিয়া খাতুন (১২) নামের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

গত বছর তিনেক আগ থেকে তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন সময় তার স্ত্রী ঝগড়া বিবাদ বাঁধিয়ে তার বাবার বাড়িতে চলে যান। এরপর তাকে অনেক বুঝিয়ে শফিকুলের সংসারে ফেরাতে ব্যর্থ হন তিনি।

শফিকুল ইসলাম আরো বলেন, আমার কপালে আল্লাহ যা লিখছেন তাই আমার হবে। আমি এই পারিবারিক কলহ থেকে মুক্তি পেয়েছি এটাই আমার জন্য আনন্দের ব্যাপার। ১৬ বছরে আমার স্ত্রী আমাকে অনেক নির্যাতন করেছে। আমি এক পর্যায়ে অসহায় হয়ে পড়েছিলাম। আমি চাই আমার স্ত্রী আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে সে যেখানে ভালো থাকবে, সেখানেই ভালো থাকুক। আমি তার জন্য দোয়া করি। শফিকুল দুধ দিয়ে গোসল করবে খবরটি মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। বিষয়টি দেখতে প্রতিবেশীরা ও উৎসুক জনতা ভিড় জমান চেয়ারম্যানের মোড় এলাকায়।


আরও খবর



নওগাঁয় র‌্যাবের অভিযান, সাড়ে ২৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক বিক্রেতার স্ত্রী আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় সাড়ে ২৭ কেজি গাঁজাসহ কুলসুম (৩৫) নামের এক নারী মাদক বিক্রেতা কে আটক করেছে র‌্যাব-৫ এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা। এসময় আটককৃত নারী মাদক বিক্রেতার স্বামী আব্দুল জলিল র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৭ টারদিকে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার লক্ষীপোল বুজরুক এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাঁজা সহ তাকে আটক করেন

র‌্যাব। শুক্রবার ৩০ আগষ্ট সকালে গাঁজাসহ নারীকে আটক করার সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট কাম্প থেকে জানানো হয়,

আটককৃত কুলসুম ও তার পলাতক স্বামী জলিল লক্ষীপোল এলাকার বাসিন্দা।

আটককৃতের স্বামী জলিল একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। সে নওগাঁ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক সংগ্রহ করতো। এরপর স্ত্রী কুলসুম এর মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন এলাকায় খুচরা ও পাইকারী বিক্রি করতো। এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত কয়েকদিন ধরে র‌্যাব-৫, এর গোয়েন্দা দল তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় বদলগাছী উপজেলার লক্ষীপোল বুজরুক এলাকায় অভিযান চালায় র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে একটি কলা বাগানের ভিতর মাটির নিচে অভিনব কায়দায় মজুদ করে গাঁজা উদ্ধার সহ মাদক বিক্রেতা কুলসুমকে আটক করেন। তবে এসময় তার স্বামী জলিল কৌশলে পালিয়ে যায়। কুলসুম এর দখলে থাকা সাড়ে ২৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

এঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ অনুযায়ী নওগাঁর বদলগাছী থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন র‌্যাব।


আরও খবর



দুর্নীতির অপর নাম প্রকৌশলী জাহেদুল, বদলির দাবি কর্ণফুলী ছাত্র-জনতার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image



নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম কর্ণফুলী উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের প্রকৌশলী মো. জাহেদুল আলম চৌধুরী’র বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। এমনকি উপজেলা এলজিইডি অফিসের কার্য সহকারি মো. জসিম উদ্দিন ও মো. শেখ নাছির উদ্দিনকে নিয়ে গড়ে তুলেছেন তিনি একটি বেপরোয়া লুটপাট সিন্ডিকেট।

এই এক প্রকৌশলী ও দুই সহকারি মিলে সরকারি উন্নয়নমূলক নানা প্রকল্পে গোপনে পছন্দনীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ঠিকাদারদের কাজ ভাগ বন্টন করে দিয়ে ভূয়া বিল ভাউচার তৈরি করে সরকারি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। এমনকি ঠিকাদারদের থেকে উপরি নিয়ে নিম্নমানের উন্নয়ন কাজ করিয়ে একই প্রকল্প কাগজে কলমে একাধিকবার দেখিয়েছেন বলেও স্থানীয়দের মন্তব্য পাওয়া গেছে।

কেননা, কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানের সাথে এই তিনজনের এতটাই সখ্যতা ছিলো যে শত অনিয়ম করলেও কোন জনপ্রতিনিধিরা অভিযোগ তোলার সাহস পায়নি। তারা যেটাই বলেছেন সেটাই সফল করেছেন। ফলে, গত ৮ বছরে অধিকাংশ ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা কোন সন্তোষজনক প্রকল্পের দেখা পাননি।

সূত্রের দাবি, এই এলজিইডি প্রকৌশলী জাহেদুল আলম কর্ণফুলী উপজেলায় যোগদানের পর থেকে অতীত রেকর্ড ভেঙে উন্নয়নমূলক কাজে ব্যাপক লুটপাট হয়েছে। তার হাল আমলের গত ১৬ মাস ও বিগত অর্থ বছরের পিআইসি ও আরএফকিউ প্রকল্প তালিকা যাচাই-বাছাই করলে সব দুর্নীতি অনিয়ম পরিলক্ষিত হবে। পাশাপাশি এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বদলি চেয়েছেন কর্ণফুলীর অধিকাংশ লোকজন ও ছাত্র জনতা।

যদিও উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী কর্ণফুলীতে যোগদানের দেড় বছরের অধিক সময় হলেও বাকি দুই কার্য সহকারি জসিম ও নাছির একই উপজেলা কর্ণফুলীতে বিগত ৬ বছর যাবৎ কর্মরত রয়েছেন। এরা উপজেলা চেয়ারম্যানের সহযোগি হিসেবে প্রকল্পে লুটপাটের নেপথ্য নায়ক ছিলেন বিগত বছরে।

কিন্তু উপজেলা সৃষ্টির গত ৮ বছরে কর্ণফুলী এলজিইডি অফিসে হয়েছে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি। এর মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এসব ঘটনাকে লুটপাটের মহোৎসব হিসেবে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এসব অপকর্মের নেপথ্যে ছিল উপজেলা চেয়ারম্যান, বিগত ও বর্তমান সময়ের এলজিইডি প্রকৌশলী ও গুটিকয়েক অফিস সহকারি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার এক কর্মকর্তা জানান, 'ক্ষমতার দাপটে উপজেলা চেয়ারম্যান সব অপকর্মকে নির্বিঘ্ন করতে কলকাঠি নাড়তেন। মন্ত্রীর ভয় দেখাতেন।'

সম্প্রতি, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় আসা বরাদ্দ ১৮টি প্রকল্পে ৩৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকার নামে বেনামে প্রকল্প বিলিয়েছেন। অথচ প্রকল্পগুলো এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। কিন্তু কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে এ অর্থ তোলা হয়েছে গত ২৪ জুন। উন্নয়নের নামে করা এসব পিআইসি (প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন কমিটি ) প্রকল্পগুলো ক্রস চেক করে পুনরায় স্বচ্ছ ভাবে কাজ করার দাবি জানিয়েছেন কর্ণফুলীবাসী।

এছাড়াও জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা থোক বরাদ্দের আওতায় রাস্তা, ড্রেন নির্মাণ ও সংস্কারের বিভিন্ন প্রকল্প দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকার কাজ দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে গোপনে ভাগাভাগি করে দিয়েছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী জাহেদুল। ১০ প্রকল্পে পুরো ৫০ লাখ টাকাই দুই ঠিকাদারের লাইসেন্সে দিয়ে মোটা অঙ্কের সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এমনকি গত ১১জুন একই অর্থ বছরে আসা সাবেক সংসদ সদস্যের নামে উপজেলা উন্নয়ন সহায়তা থোক বরাদ্দের ২৫ লাখ টাকা তিন প্রকল্পের নাম দিয়ে সড়কের কাজ না করেও প্রকল্প সম্পন্ন দেখিয়ে গত ২৪ জুন ২৫ লাখ টাকা তুলে নিয়েছেন। দুদক অভিযান চালিয়ে গত ৮ বছরের অডিট প্রতিবেদন চাইলে ভয়ঙ্কর তথ্য উদঘাটন হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

আরো জানা গেছে, উপজেলার খোয়াজনগরের ১৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঠিকাদার কাজ করলেও এই এলজিডি কর্তা ছিলেন নীরব।

এছাড়াও গত বছরে ইউজিডিপি (জাইকা প্রকল্প) অর্থায়নে ৪০ লাখ টাকা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ক্রয় ও উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবন নির্মাণে গত ২০২০ সালে আসা ৪০ লাখ টাকা ও সম্প্রতি ইউএনও বাসভবনের প্রাক্কলনসহ আনুমানিক ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে। তার কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতেও মুখ খুলছে না এলজিইডি প্রকৌশলী ও কর্মচারীরা।

এ বিষয়ে জানতে কর্ণফুলী উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. জাহেদুল আলম চৌধুরী’র মুঠোফোনে একাধিকবার কল ও হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিয়েও কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুমা জান্নাত বলেন, ‘আমি যোগদান করেছি মাত্র কয়েক মাস হলো। যদি কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন যথাযথভাবে না হয় তাহলে বিধি মোতাবেক অবশ্য আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

চট্টগ্রাম এলজিইডি অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসান আলীর মুঠোফোনেও একাধিকবার কল করলেও ফোন রিসিভ হয়নি। পরে সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী সুমন তালুকদার এর কাছে কর্ণফুলী উপজেলা প্রকৌশল অফিসের নানা অনিয়ম আর দীর্ঘদিন দুই কার্য সহকারি কর্মরত থাকার বিষয়টি জানালে তিনি নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানাবেন বলে নিশ্চিত করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২-এর সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক বলেন, ‘উপজেলার যেকোন সরকারি প্রকল্পে লুটপাট ও সরকারি কর্মকর্তারা দুর্নীতি করলে যে কেউ দুদকে লিখিত অভিযোগ দিতে পারে। দুদক তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেবেন।’

চট্টগ্রাম বিভাগীয় এলজিইডি কার্যালয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব ও অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবু জাফর মো. তৌফিক হাসান বলেন, ‘বিষয়টির খোঁজ খবর নিয়ে কোন অনিয়ম থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


আরও খবর



নোয়াখালীতে 'মার্চ ফর জাস্টিস' অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ |

Image

মোঃ সিনান তালুকদার নোবিপ্রবি প্রতিনিধি;

আজ (১৫ ই আগস্ট) নোবিপ্রবিসহ নোয়াখালীর সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে  'মার্চ ফর জাস্টিস' অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সকাল ৯ টায় মাইজদী বাজার থেকে মিছিল শুরু হয়ে পৌর বাজার এলাকায় অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। হত্যার বিচার, আহতদের সুচিকিৎসা ও বিগত ১৬ বছরে গুম, খুন ও দুর্নীতির বিচারের দাবিতে "বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন "নোয়াখালীর আহ্বানে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার লক্ষ্যে সুবিচার নিশ্চিত সহ নানান স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা।


পৌর বাজার এলাকায় অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে নোয়াখালী জেলায় আওয়ামীলীগ কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। বৈষম্যে বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আরিফুল ইসলাম বলেন " দীর্ঘ ১৬ বছরের অপশাসনের পর স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন‌ হয়েছে। চলমান আন্দোলনে আওয়ামী লীগে ও এর অঙ্গ সংগঠন গুলো যে পরিমাণ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে তারপর তাদের আর কোনো অধিকার নেই রাজনীতি করার। ফলেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা নোয়াখালী জেলায় আওয়ামীলীগ কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করছে।"


বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার আশা ব্যক্ত করে নোবিপ্রবি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহমুদুল হাসান আরিফ  বলেন -" ৭১ সালে বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার লক্ষ্যে ৩০ লক্ষ্য শহিদের বিনিময়ে ও আমরা একটা আদর্শ রাষ্ট্র গঠন করতে পারিনি। কিন্তু ২৪ সালের গন আন্দোলন আমাদের আশা‌ দেখাচ্ছে। সকলে শ্রেণী- পেশার মানুষের জন্য সম অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমার সোনার বাংলাদেশ গড়বো।


আন্দোলন চলাকালীন হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবি করে নোয়াখালী সরকারি কলেজের অন্যতম সমন্বয়ক মাজহারুল ইসলাম  বলেন " কোনো খুনি যেন ছাড় না পায়। প্রত্যেক অপরাধিকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে সুষ্ঠ বিচার সম্পন্ন করতে হবে।" আহতদের জন্য সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানান এ শিক্ষার্থী।


অবস্থান চলাকালে বিভিন্ন স্লোগান ও গানে গানে মেতে উঠে শিক্ষার্থীরা।


আরও খবর