Logo
শিরোনাম

ইসরায়েলে পাল্টা হামলার নির্দেশ খামেনির

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ইসরায়েলে প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের প্রধান ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইরানি এক কর্মকর্তার বরাতে সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, তাদের সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে গত সপ্তাহে ইসরায়েল যে হামলা চালিয়েছে তার কঠোর এবং অভাবনীয় জবাব দেওয়া হবে।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন নির্বাচনের আগে ইরান প্রতিশোধমূলক এই হামলা চালাবে না। তবে অন্যান্য সংবাদমাধ্যম বলেছে ৫ নভেম্বরের নির্বাচনের আগেই হতে পারে হামলা।

সিএনএনও এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই হামলা চালাতে পারে ইরান।

গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলে ১৮১টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়ে ইরান। এর জবাবে ২৬ অক্টোবর ইরানের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালায় ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। এতে ইরানের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যদিও ইরান প্রথমে দাবি করেছিল ইসরায়েলি হামলায় তাদের খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে পরবর্তীতে হামলার তীব্রতা পর্যবেক্ষণ ও চার সেনার মৃত্যুর পর আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি গত সোমবার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বলেন, ইসরায়েলকে এই হামলার জবাব দিতে হবে। নয়ত তারা পরাজিত হিসেবে অভিহিত হবেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস ইসরায়েলি গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছেন, ইরান এবার সরাসরি তাদের ভূখণ্ড থেকে হামলা না চালিয়ে ইরাক থেকে হামলার পরিকল্পনা করছে। আর এই হামলায় কয়েক শ ড্রোন ও ব্যালিস্টিক মিসাইল ব্যবহার করা হতে পারে। ইরান তাদের নিজ ভূখণ্ড থেকে সরাসরি হামলা করবে না কৌশলের অংশ হিসেবে। তাদের ধারণা যদি ইরাক থেকে হামলা চালানো হয় তাহলে ইসরায়েল ইরানে সরাসরি কোনো হামলা চালাবে না।

এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার বলেন, তারা ইতোমধ্যে ইরানের বেশির ভাগ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছেন। এখন ইসরায়েলের হামলা ঠেকানোর সক্ষমতা ইরানের নেই। ফলে তারা ইরানের যেখানে খুশি সেখানে হামলা চালাতে পারবেন।


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




দেশের নদ-নদীর সংখ্যা ১১৫৬টি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

দেশের নদ-নদীর সংখ্যা কত—এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে বিতর্ক। এবার ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধনের পর সরকারের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে।

মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, খসড়া হিসেবে নদ-নদীর সংখ্যা ১১৫৬টি। বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত সংখ্যা যাচাইয়ের পর এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আরও যাচাইয়ের পর নদ-নদীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর গ্রীন রোডে পানি ভবনে ‘বাংলাদেশের নদ-নদীর সংখ্যা নির্ধারণ’ বিষয়ক অবহিতকরণ সেমিনারে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসানের সভাপতিত্বে সেমিনারে পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, নৌ-পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঞা উপস্থিত ছিলেন।

স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পার হয়ে গেলেও নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদ-নদীর প্রকৃত সংখ্যা সরকারি পর্যায়ে এখনো নির্ভুলভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের হিসাবের সঙ্গে নদী কমিশনের হিসাব, আবার এই দুই সংস্থার সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাব মেলে না।

দখল-দূষণে অনেক নদী এখন বিলীন; যেগুলো খাতা-কলমেও আর সংরক্ষণ করা হচ্ছে না। যা নিয়ে নদী গবেষক ও নদী রক্ষা আন্দোলনের কর্মীরা দীর্ঘদিন কথা বলে আসছেন; গণমাধ্যমেও উঠে আসছে নদী নিয়ে অবহেলার নানা তথ্য।

গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক মাস পর দেশের নদ-নদীর প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণে কাজ শুরু করে অন্তর্বর্তী সরকার। উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান দুই মাসের মধ্যে নদ-নদীর সংখ্যা নির্ধারণ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন।

উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে এই কাজ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড-পাউবো, বিআইডব্লিউটিএ, নদী রক্ষা কমিশন ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়।

সেমিনারে জানানো হয়, বিভাগীয় কমিশনারদের পাঠানো তালিকা অনুযায়ী নদ-নদীর সংখ্যা ১৪৮০টি। অধিকতর যাচাইয়ের পর সারা দেশে নদ-নদীর সংখ্যা ১১৫৬টি। বিভাগ-ওয়ারী এক বা একাধিক জেলায় প্রবাহিত নদ-নদী বিবেচনায় ৮টি বিভাগে নদ-নদীর সংখ্যা ১১৯৬টি। একাধিক জেলায় প্রবাহিত নদ-নদীর সংখ্যা ১৭৯।

সেমিনারে আরো জানানো হয়, ২০২৩ সালে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন কর্তৃক প্রস্তুত করা তালিকায় নদ-নদীর সংখ্যা ছিল ১০০৮টি। ওই তালিকা থেকে ২২৪টি নদী মাঠ পর্যায় থেকে বর্তমান তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়নি। ২০১১ সালে বাপাউবো প্রকাশিত ৪০৫টি নদীর মধ্যে ১৮টি নদী মাঠ পর্যায় থেকে বর্তমান তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়নি। এক বিভাগের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীর সংখ্যা ১১২৩টি। দুই বিভাগে ২৭টি, তিন বিভাগে ৪টি, চার বিভাগের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীর সংখ্যা দুটি।


আরও খবর



ক্ষমতা কারো জন্য চিরস্থায়ী নয়: কাদের সিদ্দিকী

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, যে মানুষটির (মওলানা ভাসানীর) জন্ম না হলে আমরা আজকে বাংলাদেশের নাগরিক হতাম না, যে মানুষটির জন্ম না হলে পাকিস্তান হতো না আর পাকিস্তান না হলে বাংলাদেশ হতো না। বাংলাদেশ না হলে আজকে আমাদের এই অবস্থা হতো না। তার অনাদর দেখে খুব কষ্ট লাগে, খুব খারাপ লাগে। 

রোববার (১৭ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। 

এসময় কাদের সিদ্দিকী বলেন, অতি সম্প্রতি বাংলাদেশে একটা মারাত্মক পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু অতীতের বর্জন করে অস্বীকার করে এই পরিবর্তন যদি কেউ করতে চাই। তাহলে আহাম্মকের স্বর্গেই বাস করছে। দুদিন পরে তাদেরকেও রকম হতে হবে। মানুষ খুব আশা করেছিল কিন্তু গত তিন মাসে মানুষের আশার মতো ফল পাই নাই। 

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের যে উপার্জন তারা বাজারে যেতে পারছে না, স্ত্রী-সন্তান পরিবার নিয়ে খেতে পারছে না ভালোভাবে। তারপরেও মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী পীরে কামেল এরকম অলি, এরকম জনগণের বন্ধু এই উপমহাদেশে খুব কম আছে। আমি আল্লার কাছে প্রার্থনা করি আল্লাহ তাকে যেন বেহেস্ত নসিব করেন। তার উসুলাই বাংলাদেশের মানুষকে শান্তিতে রাখেন। 

কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, যারা সরকার চালাচ্ছে তাদেরকে অনুরোধ করবো-তারা যেন দেশের মানুষের কথা বিবেচনা করেন। ক্ষমতা কারো জন্য চিরস্থায়ী নয়। যারা ছিলেন তাদের জন্য যেমন নয়, আজকে যারা এসেছেন তাদের জন্যও নয়। এজন্য দেশের মানুষের কথা চিন্তা করুন। দেশের মানুষকে সম্মান করুন, অতীতকে সম্মান করুন। 


আরও খবর



দেশের প্রেক্ষাগৃহে দুই নতুন সিনেমা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

প্রেক্ষাগৃহের মুক্তি পেয়েছে দুটি সিনেমা। আহসান সারোয়ারের ‘রং ঢং’ ও রেজাউর রহমানের ‘থার্টি সিক্স টোয়েন্টি ফোর থার্টি সিক্স’। চার বছর সেন্সর বোর্ডে আটকে থাকার পর আলোর মুখ দেখছে রং ঢং, অন্যদিকে ওয়েব ফিল্ম হিসেবে নির্মিত হলেও সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে থার্টি সিক্স টোয়েন্টি ফোর থার্টি সিক্স।

রং ঢং : চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির কিছু নবীনের প্রতারিত হওয়ার ঘটনা নিয়ে ২০১৬ সালে আহসান সারোয়ার শুরু করেছিলেন রং ঢং সিনেমার শুটিং। দেশের বিভিন্ন স্থানে তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলেছে দৃশ্য ধারণের কাজ। ২০১৯ সালে সেন্সর বোর্ডে জমা পড়লে আটকে যায় সিনেমাটি। প্রথমে সংশোধনী দিলেও পরবর্তী সময়ে নিষিদ্ধ করা হয়। চার বছর সেন্সরে আটকে থাকার পর গত বছর আপিলের মাধ্যমে ছাড়পত্র পেয়েছিল সিনেমাটি।

অবশেষে আজ দেশের পাঁচটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে রং ঢং। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, আরমান পারভেজ মুরাদ, লুৎফুর রহমান জর্জ, ফারুক আহমেদ, ডা. এজাজুল ইসলাম, প্রাণ রায়, রাকিব হোসেন ইভন, মাখনুন সুলতানা মাহিমা, সোহেল মণ্ডল প্রমুখ।

থার্টি সিক্স টোয়েন্টি ফোর থার্টি সিক্স : অসংখ্য ক্যাজুয়াল ও অনলাইন ডেটিংয়ের পর বিয়ের জন্য রাজি হয় প্রিয়ন্তী। তার একটাই চাওয়া—ডেস্টিনেশন ওয়েডিং। মানে বাড়ি কিংবা কনভেনশন সেন্টারে নয়, দূরে কোনো পর্যটনকেন্দ্রে হতে হবে এই বিয়ের আয়োজন। প্রিয়ন্তীর ডেস্টিনেশন ওয়েডিং প্ল্যানের দায়িত্ব পায় সায়রা। প্রিয়ন্তীর বিয়েকে কেন্দ্র করে সেখানে ঘটতে থাকে নানা ঘটনা।

এমন গল্পে রেজাউর রহমান বানিয়েছেন থার্টি সিক্স টোয়েন্টি ফোর থার্টি সিক্স। এতে প্রিয়ন্তী চরিত্রে দেখা যাবে প্রার্থনা ফারদিন দীঘিকে আর সায়রা চরিত্রে আছেন কারিনা কায়সার। সিনেমাটি নির্মিত হয়েছিল ওয়েব ফিল্ম হিসেবে। গত ১৮ জুলাই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। তবে দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে কর্তৃপক্ষ।

পরবর্তী সময়ে চরকি জানায়, ওটিটিতে নয়, সিনেমা হলে দেখা যাবে প্রিয়ন্তীর বিয়ে। এতে আরও অভিনয় করেছেন সৈয়দ জামান শাওন, গোলাম কিবরিয়া তানভীর, মিলি বাশার, মানস বন্দ্যোপাধ্যায়, শহীদুল আলম সাচ্চু, রোজী সিদ্দিকী প্রমুখ। আজ দেশের ২৩টি হলে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি।



আরও খবর

রটারডাম উৎসবে ‘কাজলরেখা

রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪




উৎপাদন বাড়লেও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

স্বাধীনতার পর থেকে উৎপাদন বেড়েছে কয়েকগুণ, তবুও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ। বাজারে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দামে নাকাল অবস্থা মধ্য ও নিম্নবিত্তের।

বিশ্লেষকরা বলছেন, একদিকে কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি পুরোপুরি ব্যবহার শুরু করা যায়নি। অন্যদিকে বাজার চলে গেছে সিন্ডিকেটের কবজায়।

দেশে পণ্যের দাম একবার বাড়লে আর কমার লক্ষণ থাকে না। বিশ্বের দাম বৃদ্ধির এমন বিরল চিত্রের দেখা মিলবে বাংলাদেশে। এতে বঞ্চনার শিকার কেবল সাধারণ মানুষ। শুধু তাই নয়, সরকারি কাগজে-কলমে মূল্যস্ফীতি গত কয়েক বছরে যে হিসাব দেখানো হয়েছে, বাস্তবে তার পরিমাণ অনেক বেশি।

বিভিন্ন পরিসংখ্যান বলছে, স্বাধীনতার পর থেকে দেশের ধানের উৎপাদন বেড়েছে সাড়ে তিনগুণ, ১০ গুণ বেড়েছে গম উৎপাদন। সবজি ও মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৪ থেকে ৭ গুণ। তারপরও কেন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পারছে না বাংলাদেশ?

এ বিষয়ে সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, আমাদের সমসাময়িক দেশগুলো যেভাবে কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়িয়েছে, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনও অনেক পিছিয়ে।

বিআইআইএসএসের গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবির বলেন, আমাদের বাজারব্যবস্থা পুরোপুরি সিন্ডিকেটভিত্তিক হওয়ায় এবং তাদের ব্যাপক প্রভাব থাকার কারণে আমরা সুফল পাচ্ছি না। কৃষকরা দাম পাচ্ছেন না। তারা ঋণের জালে আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে যারা কৃষি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, খাদ্যপণ্যের ব্যবসা যারা করছে তারা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছেন। তারা অর্থ পাচার করছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং কারসাজিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন তারা।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




কমদামে বিমানের টিকিট কেনার ৭টি টিপস

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

১. মঙ্গলবার এবং বুধবার বুক করুন

মঙ্গলবার এবং বুধবার হল বিমান টিকিট কেনার সেরা দিনগুলির মধ্যে একটি। 

বেশিরভাগ এয়ারলাইনস সাধারণত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭:০০ টায় তাদের বুকিং

 সিস্টেম আপডেট করে। 

কারণ এয়ারলাইনস জানে যে বেশিরভাগ যাত্রী শুধুমাত্র সপ্তাহের দিনগুলোতে টিকিট বুক করার সময় পান। 

পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রমাণিত হয়েছে, আমাদের বেশিরভাগই সাধারণত শুক্রবার, শনিবার কিংবা রবিবার টিকিটের দাম দেখেন।

২. আগে বুক করুন, তবে খুব বেশি আগে নয়

অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে, ভ্রমণের তারিখের কমপক্ষে ২১ দিন আগে টিকিট বুক করা উচিত। বেশিরভাগ এয়ারলাইনস তাদের সিস্টেমগুলো এমনভাবে সেট করেছে যাতে যত বেশি সম্ভব টিকিট বিক্রি করতে পারে। তাই, সিস্টেমের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট কোটা থাকে কমদামে টিকিটের জন্য। 

উদাহরণস্বরূপ, ঢাকা থেকে লন্ডনের ফ্লাইটের জন্য সিস্টেমে নির্ধারণ করা হয় যে প্রথম ২০ জন যাত্রী সবচেয়ে কম দাম পাবেন। পরবর্তী ২০০ জন মাঝারি দাম পাবেন, এবং বাকিরা সম্ভবত আরও বেশি মূল্য দিতে হতে পারে। 

সংক্ষেপে, এয়ারলাইন্সের সিস্টেম ঢাকা থেকে লন্ডন যাওয়ার সময় তারা যে মার্জিন চায় তার উপর ভিত্তি করে টিকিটের দাম নির্ধারণ করবে।

৩. উড়ার জন্য উপযুক্ত দিন

মঙ্গলবার বা বুধবার উড়ার জন্য টিকিট বুক করার চেষ্টা করুন। বেশিরভাগ এয়ারলাইনস এই দুই দিনকে ‘কম ব্যস্ত দিন’ হিসেবে নির্ধারণ করে বুকিং সিস্টেমের জন্য। এয়ারপোর্টও সাধারণত এই দুই দিন অন্যান্য দিনের তুলনায় কম ব্যস্ত থাকে, বিশেষ করে শুক্রবার এবং রবিবার যখন বুকিং সিস্টেম এবং এয়ারপোর্ট অনেক ব্যস্ত হয়ে ওঠে।

৪. আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য 'বেস্ট ডিল' খুঁজুন

বেশিরভাগ এয়ারলাইনস আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য প্রায় ১১ থেকে ১২ সপ্তাহ আগে 'বেস্ট ডিল' অফার করে। তাই, এই সময়ের মধ্যে নিয়মিত টিকিটের দাম পরীক্ষা করুন।

৫. ছোট এয়ারপোর্ট বেছে নিন

এই পদ্ধতি চেষ্টা করতে পারেন, যা হল প্রধান এয়ারপোর্টে না নেমে গন্তব্যের কাছাকাছি একটি ছোট এয়ারপোর্টে নামা। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি লন্ডনে যেতে চান, অনেকেই সাধারণত হিথ্রোতে নামেন। পরের বার, হিথ্রোতে না নেমে, হিথ্রোর কাছাকাছি একটি ছোট এয়ারপোর্ট যেমন ম্যানচেস্টারের এয়ারপোর্টে নামার চেষ্টা করুন। তারপর ম্যানচেস্টার থেকে আপনি ট্রেনে করে লন্ডনে যেতে পারেন। এই পদ্ধতি চেষ্টা করুন।

৬. 'কুকিজ' ক্লিয়ার করুন

অনেকে এটা জানেন না। যদি আপনি ৩০ দিনের মধ্যে এয়ারলাইনসের ওয়েবসাইটে গিয়ে থাকেন, তাহলে আপনার ল্যাপটপ, স্মার্টফোন এবং পিসি থেকে কুকিজ ক্লিয়ার করুন। 

কারণ এই কুকিজের মাধ্যমে এয়ারলাইনসের বুকিং সিস্টেম মনে করবে যে আপনি বারবার তাদের ওয়েবসাইট দেখেছেন। 

তাই, বুকিং সিস্টেম একই দাম দেখাবে এমনকি যদি আপনি বহুবার ওয়েবসাইটে যান, কখনও কখনও দাম বাড়তেও পারে! 

তাই, আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজারের কুকিজ ক্লিয়ার করার অভ্যাস তৈরি করুন। 

আপনি যদি জানেন না কিভাবে তা মুছতে হয়, তাহলে গুগলকে জিজ্ঞাসা করুন!

৭. দাম যাচাই করুন

গুগল করতে এবং আপনি যে টিকিট কিনতে চান তার দাম অন্যান্য ওয়েবসাইটে যাচাই করতে অলস হবেন না। 


আরও খবর

আমাদের মফস্বল সাংবাদিকতা ও কিছু কথা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বামী কত প্রকার? ---- স্বামীপেডিয়া

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪