Logo
শিরোনাম

ইসরায়েলের ঘাঁটিতে হামলা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের একটি সামরিকঘাঁটিতে হামলা চালানোর ভিডিও প্রকাশ করেছে। নতুন করে ইসরায়েল ঘাঁটিতে এ হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ।

সংগঠনটি জানিয়েছে, একটি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এ হামলা চালানো হয়েছে। আর হামলায় যে ক্ষেপণাস্ত্রটি ব্যবহার করা হয়েছে সেটিতে একটি ক্যামেরা লাগানো ছিল।

তারা আরও জানিয়েছে, যেখানে হামলা চালানো হয়েছে, সেখানে ইসরায়েলিদের গোয়েন্দা নজরদারির সরঞ্জামাদি ছিল। এ ছাড়া ওই স্থান থেকে তারা ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ত।

ইসরায়েলের সামরিক অবকাঠামোতে হামলা চালাতে যে ক্ষেপণাস্ত্রটি ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি একটি ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বলে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষেপণাস্ত্রটিতে লাগানো ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছে এটি ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের একটি সামরিকঘাঁটিতে ছোড়া হচ্ছে। যে ঘাঁটিতে হিজবুল্লাহ এর আগেও একাধিকবার হামলা চালিয়েছে।

নতুন করে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরায়েলের ওই ঘাঁটির ভেতর সরাসরি আঘাত হানতে দেখা যায়। এবারই প্রথমবার হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চালানো হামলার এমন ভিডিও প্রকাশ করেছে।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজাভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এর পরের দিন থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে বিক্ষিপ্ত হামলা চালানো শুরু করে হিজবুল্লাহ, যা এখন পর্যন্ত চলছে।

যুদ্ধের শুরুতে ধারণা করা হয়েছিল, হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পূর্ণ যুদ্ধে জড়াবে। কিন্তু সেই পথে না গিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের ব্যস্ত রাখতে প্রতিদিনই বিক্ষিপ্ত হামলা চালাচ্ছেন হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা।


আরও খবর

মিল্টনের আঘাতে লণ্ডভণ্ড ফ্লোরিডা

শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪




সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলায় বিপিজেএ’র উদ্বেগ

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে মামলা করা এই সরকারের প্রতিশ্রুতির লঙ্ঘন বলে মনে করছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে খুনের মামলা করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।

বুধবার রাজধানীর বনানীতে বিপিজেএর এক সভায় এসব কথা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে

সভায় বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার বাকস্বাধীনতা ও স্বাধীন সাংবাদিকতার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার কথা জানিয়েছে। কিন্তু তারা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সারাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে মামলা করা হচ্ছে, যা এই সরকারের প্রতিশ্রুতির লঙ্ঘন। এ ধরনের মামলা প্রচলিত আইনের অপব্যবহারকে উৎসাহিত করেও বলে মনে করছে তারা

সাংবাদিকদের অপরাধের বিচারে প্রেস কাউন্সিল ভূমিকা রাখতে পারে উল্লেখ করে সভায় বলা হয়, সাংবাদিকেরা কোনো অপরাধ করে থাকলে বা অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ ধারা অনুসরণে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। সাংবাদিকতার নামে কেউ বিগত সরকারের নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ডকে সমর্থন দিয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে প্রেস কাউন্সিলে একটি কমিটি গঠন করে তদন্ত ও অনুসন্ধান করা যেতে পারে। সেখানে প্রেস কাউন্সিল আইনে তার সাজা হতে পারে। সাংবাদিকদের অন্যান্য অপরাধের ক্ষেত্রেও প্রেস কাউন্সিলের সুপারিশের ভিত্তিতে প্রচলিত আইনে বিচার হতে পারে

বিপিজেএ জানিয়েছে, বিগত সরকারের সময়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, সাইবার নিরাপত্তা আইনসহ নিবর্তনমূলক বিভিন্ন আইন প্রয়োগের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধের প্রয়াস চালানো হয়েছিল, যা বিশ্বে অত্যন্ত নিন্দিত ও সমালোচিত হয়েছিল। এখন সাংবাদিকদের নামে এভাবে ক্রমাগত হত্যা মামলা দেওয়ার প্রবণতাও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করছে। এসব মামলায় অভিযুক্ত সাংবাদিকদের কোনো সংশ্লিষ্টতা না পাওয়া গেলে তাঁদের দ্রুত অব্যাহতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিপিজেএ

সভায় বিপিজেএর সভাপতি হারুন আল রশীদের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি মসিউর রহমান খান, অর্থ সম্পাদক শরীফ খিয়াম আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক জেসমিন মলি এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য আজমল হক হেলাল, এমরান হোসাইন শেখ, সামসুদ্দিন আহমেদ, মো. সাইফুল্লাহ ও মিজানুর রহমান


আরও খবর



জামালপুর ও নেত্রকোনায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

জামালপুর ও নেত্রকোনা জেলায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। তবে ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলায় বন্যা পরিস্থিতি একই অবস্থায় থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় দেওয়া সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ সংস্থাটি।

বৃহত্তর ময়মনসিংহ এবং উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় মানুষের দুর্ভোগও বেড়েছে। মৌসুমি বৃষ্টি এবং উজানের পাহাড়ি ঢলেই এ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের প্রকৌশলীরা

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, জামালপুর ও নেত্রকোনা জেলায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে। তবে ময়মনসিংহ ও শেরপুরে পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, ময়মনসিংহ বিভাগের কংস, জিঞ্জিরাম, সোমেশ্বরী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ছে। ভোগাই নদের পানি স্থিতিশীল রয়েছে। শেরপুর জেলার ভোগাই নদ, নাকুয়াগাঁও এবং জামালপুর জেলার জিঞ্জিরাম নদী গোয়ালকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে

আবহাওয়া অধিদপ্তরসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য বিশ্লেষণ করে বলা হয়, আগামী তিন দিন ময়মনসিংহ বিভাগ এবং উজানে অতিভারী বৃষ্টি কম হতে পারে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২৪  ঘণ্টা পর্যন্ত ভোগাই নদের পানি ধীরগতিতে কমতে পারে। এতে শেরপুর ও ময়মনসিংহ জেলার ভোগাই নদসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে জামালপুর জেলার জিঞ্জিরাম নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে। অন্যদিকে আগামী ২৪  ঘণ্টায় নেত্রকোনা জেলার কংস নদ ও  সোমেশ্বরী নদীর পানি সমতল বিপৎসীমা অতিক্রম করে সংশ্লিষ্ট কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে৷ তবে পরের দুই দিনে কংস, জিঞ্জিরাম, সোমেশ্বরী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে এবং জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে

রংপুর বিভাগের ব্রহ্মপুত্র নদ ও তার ভাটিতে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী পাঁচ দিন পর্যন্ত নদ-নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী তিন দিন পর্যন্ত সিলেট বিভাগ ও এর কাছাকাছি উজানে অতিভারী বৃষ্টির প্রবণতা কম। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী দুই দিন সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি ধীরে বাড়বে। তবে তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে


আরও খবর



আত্মহননের সাংবাদিকতা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

পুলক ঘটক, সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক :

আত্মহত্যা অবশ্যই বেদনাদায়ক। এর পেছনের ঘটনাও সাধারণত সংবেদনশীল ও বেদনাদায়ক হয়ে থাকে। তাই আত্মহত্যার ঘটনার সংবাদ-মূল্য অনস্বীকার্য। কিন্তু নিউজ ভ্যালু আছে এবং পাঠক চাহিদা আছে বলেই কি এই জিনিস প্রকাশ্যে বিক্রি করা উচিত?

বিষের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও তা ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। আত্মহত্যার ঘটনাগুলো বিষ স্বরূপ, যা বিতরণের সময় বাংলাদেশের গণমাধ্যম এর নেতিবাচকতা বিবেচনায় নেয় না, যা দুর্ভাগ্যজনক।

পেছনের ঘটনা যতই বেদনাদায়ক হোক, আত্মহত্যা একটি অপরাধ। এই অপরাধটি সংক্রামক বৈশিষ্ট্যর। আত্মহননের মনস্তত্ব সংক্রামক এবং এটি একটি ব্যাধি – যা গবেষণায় প্রমাণিত। আত্মহত্যার ভাইরাস জনসমাজে ছড়ানোর দায়িত্ব মিডিয়া নেবে কেন?

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চিত্রনায়ক সালমান শাহ'র আত্মহত্যার সংবাদ প্রচারের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে এই সেলিব্রেটির বেশ কয়েজন তরুণ ভক্ত আত্মহত্যা করেছিল। মিডিয়া সেই সংবাদগুলিও প্রচার করেছিল।

একটি আত্মহত্যার ঘটনা অন্যকেও আত্মহননে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। সাংবাদিকতায় এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হয়। আমরা যখন বিদেশি মিডিয়ায় কাজ করি তখন সম্পাদকীয় নীতিমালার এই বিষয়গুলো মানি। অথচ নিজ দেশে মানি না।

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢুকে একজন মানুষ নিজেকে হত্যার মতো গর্হিত কাজ করার ফলে, এরপর অন্যকেউ এরকম কর্মে উদ্বুদ্ধ হবে কিনা তা মাথায় রাখা উচিত।

প্রথমত: সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে আত্মহননকে দুস্কর্ম হিসেবেই উপস্থাপন করা উচিত। পিছনে যে কারণই থাক, সেই কারণে একজন ব্যক্তি যেমন কাউকে হত্যা করার অধিকার রাখে না, তেমনি নিজেকেও হত্যা করার অধিকার রাখে না।

নিজেকে হত্যাকারী ব্যক্তিকে হিরো হিসেবে উপস্থাপন করা যাবে না, যেমন একজন খুনি, ডাকাত বা আত্মঘাতি জঙ্গিকে হিরো হিসেবে উপস্থাপন করা যায় না।

আত্মহননকারীর প্রতি সহানুভূতি মিশ্রিত সংবাদ পরিবেশন অন্যকেও এধরনের অপকর্মে উৎসাহিত করতে পারে। এধরনের সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহানভূতিব্যঞ্জক দৃষ্টিভঙ্গিতে ভাইরাল হলে তা সমাজের জন্য আরও ক্ষতির কারণ হয়।

যতই সংবেদনশীল হোক, এই নিউজ পত্রিকার প্রথম পাতায় কভার করা উচিত নয়। ভেতরের পাতায় দিতে হবে, যাতে এর ফোকাস কম হয়। সংবেদনশীলতা যতটা সম্ভব কমিয়ে সংবাদটি উপস্থাপন করতে হবে। গণপাঠক টার্গেট করে নয়, শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং একাডেমিক প্রয়োজনে সতর্কতার সাথে সংবাদটি যাবে।

এধরনের সংবাদ টেলিভিশনে প্রচার না করাই ভাল।

আত্মহত্যার বহুবিধ কারণ থাকে। সেগুলো নিরসন করতে না পারা রাষ্ট্রের ব্যর্থতা। ঘটনার তদন্ত করে কারণ খুঁজে বের করা এবং প্রতিকার নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।



আরও খবর

থেমে যাওয়া মানে জীবন নয়

রবিবার ২৩ এপ্রিল 20২৩




রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সেনাপ্রধান।

সাক্ষাৎকালে সেনাপ্রধান সেনাবাহিনীর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। তিনি জানান, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য দেশব্যাপী সেনাবাহিনীর ইউনিটগুলো কাজ করে যাচ্ছে।

এসময় রাষ্ট্রপতি বলেন, সেনাবাহিনী দেশের মানুষের কল্যাণে এবং জান-মালের নিরাপত্তা প্রদানে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ভবিষ্যতেও প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ দেশ ও জনগণের যেকোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনী জনগণের পাশে থাকবে।


আরও খবর



সাবেক মন্ত্রীসহ ১২০ জনের অনিয়ম অনুসন্ধানে দুদক

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর নড়েচড়ে বসেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এ পর্যন্ত আলোচিত ১২০ জন সাবেক শীর্ষ আমলা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ব্যবসায়ী, পুলিশের অনিয়ম ও দুর্নীতির অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে সংস্থাটি। তাদের সম্পত্তি, নামে-বেনামে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে  টাকার পরিমাণ খোঁজ নিচ্ছে তারা। এর মধ্যে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (বিএফআইইউ) তাদের সম্পদের তথ্য চাওয়া হয়েছে। অনেকের বিদেশে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে

এমনকি বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে ৭১টি দেশে চিঠি দিয়েছে দুদক। আবার অনেকে দুর্নীতির  জালে ধরা পড়ার আশঙ্কায় গা ঢাকা দিয়েছেন। বিদেশে পালিয়েছেন অনেকে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে অনেকে ধরা পড়েছেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের তিন শতাধিক ব্যক্তির তালিকা ধরে এগোচ্ছে দুদক। 

ইতোমধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী (জাভেদ), সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, ফেনী-২ থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এবং ঢাকা-২০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদসহ তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুদকের একাধিক ল গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া অর্থপাচারসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা

 দুদকের সর্বশেষ অনুসন্ধানের আওতায় আসা এই ১২০ জনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ গ্রহণ ব্যাংক ঋণ ও  শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, অর্থ পাচার, নিয়োগ বাণিজ্য,  টেন্ডারবাজি, কমিশন বাণিজ্য, সরকারি ও  বেসরকারি জমি-সম্পত্তি দখল, লুটপাটসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে



তদন্ত  সংশ্লিষ্টরা জানান, এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ আমলের ২০ মন্ত্রী, ৮ প্রতিমন্ত্রী, ৫২ এমপি, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ের ৪ উপাচার্য, ২ মেয়র ও সচিব, উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাসহ সাবেক-বর্তমান অনেকে রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪৮ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা  দেওয়া হয়েছে

দুদক থেকে জানা যায়, গত ১৫ আগস্ট সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের বিরুদ্ধে ঘুষ, নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত দিয়ে বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এখন পর্যন্ত ১০০ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।

গত বুধবার দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরীসহ সাবেক ১০ জন এমপিসহ ২০ নেতার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান  শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আপাতত তাদের মামলা দায়েরের দিকে না গিয়ে অনুসন্ধানের তালিকা বড় করার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন। তাদের অনেককেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গ্রেপ্তার করেছে

দুদকের তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, দুদকের এখন কৌশল হচ্ছে, সংবাদপত্র কিংবা ব্যক্তি মাধ্যমে বিগত সরকারের দায়িত্বশীল কারও বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এলে এই গোয়েন্দা ইউনিট থেকে সেসব অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেলে প্রকাশ্যে অনুসন্ধান শুরু করবে। সম্প্রতি দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন একই সুরে বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের তথ্যে প্রাথমিক সত্যতা থাকায় কমিশন তাদের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এভাবে আওয়ামী লীগ সরকারের তিন শতাধিক ব্যক্তির তালিকা ধরে এগোচ্ছে কমিশন

দুদকের তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, গত বৃহস্পতিবার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে নিয়োগ বাণিজ্য করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। অনুসন্ধান টিমে আরও রয়েছেন, দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদিন, সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ জিন্নাতুল ইসলাম ও মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন। 

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের একান্ত সচিব (পিএস) হারুন-অর রশিদ বিশ্বাস। নিয়োগ-বাণিজ্য, জমি দখল, লুটপাট ও প্রকল্পের নামে অর্থ আত্মসাৎ করে গড়েছেন হাজার কোটি টাকার সম্পদ। অবৈধ সেই সম্পদের পাহাড়ের সন্ধানে তাকে ও তার স্ত্রী ওয়াহিবা আক্তার এবং মেয়ে দোয়া বিনতে রশীদের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দিয়ে সরকারি-বেসরকারি অন্তত ৯৯টি প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র তলব করে চিঠি দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান কর্মকর্তা। চলতি সপ্তাহের বিভিন্ন সময়ে দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমের সই করা তলবি চিঠিতে তাদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব, সঞ্চয়পত্র, জমি, ফ্ল্যাট ও শেয়ারসহ বিভিন্ন নথিপত্র তলব করা হয়েছে বলে জানা গেছে

দুদক  সূত্র জানায়,  রাজধানীর কল্যাণপুরে হারুন বিশ্বাসের নিজের নামে চারটি ফ্ল্যাট ও ঢাকার সাগুফতায় রয়েছে ২০ কাঠা জমি। হারুন বিশ্বাস ও মন্টু বিশ্বাস প্যাদারহাট ওয়াহেদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জমি এবং নিয়োগ-বাণিজ্য করে প্রায় তিন কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। মণ্টু বিশ্বাস দক্ষিণ কাজীরচর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ-বাণিজ্য করে এক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরে মুলাদী থানার ৭ নম্বর কাজীরচর ইউনিয়নে প্রায় ২০০ বিঘা জমি ক্রয় করেন

মণ্টু বিশ্বাসের মাছের ঘের ও গরুর খামার আছে। এমনকি সরকারি খাল দখল করে ১৫ একর জমির ওপর গড়েছেন মাছের ঘের। এ ব্যাপারে দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম জানান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে

অভিযোগ রয়েছে আসাদুজ্জামান খান ও তার সহযোগীরা সিন্ডিকেট করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে নিয়োগ দিতেন। তৎকালীন মন্ত্রীর সাবেক পিএস অতিরিক্ত সচিব ড. হারুন অর রশীদ বিশ্বাসের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে হারুন অর রশীদ অবসরে গেলেও এই মন্ত্রণালয়ের সব ঘুষ দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যরা ছিলেন যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন, সহকারী একান্ত সচিব মনির হোসেন ও জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু। ঘুষের বিশাল অংকের টাকা বিদেশে পাচার করে দিতেন। যাতে কেউ ঝুঁকিতে থাকতে না হয়। 

এ ছাড়া অনুসন্ধান শুরু হয়েছে আলোচিত সাবেক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল, সাবেক ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপসহ চার সাবেক এমপি, সমালোচিত ব্যবসায়ী এস আলম, ব্যবসায়ী সাইফুল আলম (এস আলম) ও পদ্মা ব্যাংকের পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সদ্য পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, ঢাকা ওয়াসার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীসহ অনেকের বিরুদ্ধে। 

ব্যবসায়ী সাইফুল আলম (এস আলম) ও পদ্মা ব্যাংকের পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের বিরুদ্ধে দেশের ব্যাংকগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ রয়েছে। এস আলমের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের উপ-পরিচালক ইয়াসিন আরাফাতের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে

আর চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের উপ-পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেনকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক বাড়ি রয়েছে এমন অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক। সোবহানের সম্পদ অনুসন্ধানে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) করেছে দুদক

দুদক সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (বিএফআইইউ) একাধিক প্রভাবশালীর সম্পদের তথ্য চাওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এসব তথ্য পাওয়া গেলে আরও প্রভাবশালীর দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করতে পারে দুদক। সূত্রগুলো জানায়, দুদকের তদন্ত দলকে সার্বক্ষণিক একটি গাড়ি সরবরাহ করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ে অভিযুক্তদের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো চালায়

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর নামে সরকার নির্ধারিত অতিরিক্ত ফি বাবদ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও তার পরিবার, সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবঃ) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ও সাবেক সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের নেতৃত্বাধীন একটি সিন্ডিকেট। মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর নামে সরকার নির্ধারিত অতিরিক্ত ফি বাবদ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বিশাল এই সিন্ডিকেটটি

চক্রটি চাকরির ভুয়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে শ্রমিকদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। এর সঙ্গে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিশন থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হওয়ার পর দুদকের উপপরিচালক নুরুল হুদার নেতৃত্ব তিন সদস্যের টিম গঠন করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়

যাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু ॥ আওয়ামী লীগ আমলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী (জাভেদ), নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়কমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান, রেলমন্ত্রী মো. জিলুল হাকিম, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান

এ ছাড়া আওয়ামী লীগ আমলের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, শ্রম প্রতিমন্ত্রী  মন্নুজান সুফিয়ান, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে

অন্যদিকে বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম বিশবিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মুনাজ আহমেদ নূর, চট্টগ্রাম বিশবিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য শিরীণ আখতারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। 

অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠা গত ১ নভেম্বর সাবেক সংসদ সদস্য শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার ও স্ত্রী তৌফিকা আহমেদের বিদেশযাত্রায়ও আদালত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন আদালত। গত ২ সেপ্টেম্বর সাবেক ১৭ মন্ত্রী ও ৯ সংসদ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন আদালত। এছাড়া গত ২৯ আগস্ট সাবেক ৯ মন্ত্রী ও ৫ সংসদ সদস্যের বিদেশযাত্রায় আদালত নিষেধাজ্ঞা দেন

বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার উদ্যাগ ॥ বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে এখন পর্যন্ত ১২ দেশে ৭১টি মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে ২৭টি এমএলএআরের জবাব পেয়েছে সংস্থাটি। মঙ্গলবার দুদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান

দুদক মহাপরিচালক জানান, বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, মালয়েশিয়ায়, সিঙ্গাপুরে মানি লন্ডারিং বেশি হয়। পাচার হওয়া অর্থের তথ্য চেয়ে দুদক ৭১ টি চিঠি পাঠিয়ে জবাব পেয়েছে মাত্র ২৭টির। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে দুদক কীভাবে সহযোগিতা পেতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে  বৈঠকে

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই), ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস ফর ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি), বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) ধারাবাহিকভাবে দুদকের সঙ্গে পাচারকৃত অর্থ ফেরতসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সভা করেছেন

এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আলোচিত কয়েকজন প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে। যার মধ্যে রয়েছে ছাগল কাণ্ডে নাম আসা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। এ ছাড়া করোনা রিপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. আবুল কালাম আজাদ, সাদিক এগ্রোর মালিক ইমরান হোসেনের নামে মামলা করেছে দুদক। মধ্য জুলাই থেকে দুদকের কার্যক্রমে কিছুটা ধীর গতি দেখা যায়। এ সময় কমিশনের মামলা, অভিযোগপত্র কিংবা অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত ছিল কম


আরও খবর