Logo
শিরোনাম

ইতালি যেতে আগ্রহীদের সুখবর দিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ইতালি সরকার লিগ্যাল চ্যানেলে বাংলাদেশ থেকে আরও শ্রমিক নিতে আগ্রহী। সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উপদেষ্টার সঙ্গে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাতিও পিয়ান্তিদোসির সাক্ষাৎ শেষে এ কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, তারা (ইতালি) বলেছেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা কঠোর পরিশ্রমী। সে কারণে তারা আমাদের দেশ থেকে নতুন করে লিগ্যাল চ্যানেলে লোক নিতে আগ্রহী। অন্যদেশের ভিসা নিয়ে সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে যাওয়ার যে প্রবণতা, সেটাতে তারা নিরুৎসাহিত করেছে। আমরা তাদের বলেছি- এতদিন যারা এই লাইনে গিয়েছে তাদেরকেও যেন বৈধতা দিয়ে দেওয়া হয়।

ইতালিতে কী পরিমাণ বাংলাদেশি শ্রমিক আছে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রকৃত সংখ্যাটা তো আমি বলতে পারব না। শুনেছি সেখানে লাখখানেক বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছেন। ওনারা নতুন করে লোক নেবে, তবে প্রোপার চ্যানেলে যেতে হবে।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা কিছু বিষয়ে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে বলেছি। বিশেষ করে পুলিশ, কোস্টগার্ড ও বিজিবির সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য তারা একমত হয়েছেন। তারা আমাদের সহযোগিতা করবেন।

ইতালি কী ধরনের সহযোগিতা দেবে? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তারা মূলত আমাদের ক্যাপাসিটি বিল্ডিংয়ের জন্য প্রশিক্ষণ দেবে।

সম্প্রতি এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা যেন না হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সোমবার (৪ মে) রাতে এ ঘটনায় ৫৪ জনকে গ্রেপ্তার বা আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটানোর চেষ্টা করছে, তাদের কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

জুলাই আন্দোলনে যারা সামনের সারিতে ছিলেন, তাদের ওপর কিছু দিন পরপর হামলা হচ্ছে এতে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন- এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটার সংখ্যা কমে আসছে। আস্তে আস্তে এটা কমে যাবে। যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করবে, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে আগেই যেন ধরতে পারি, সেই ব্যবস্থা আমরা করব।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবি সেন্ট্রাল ড্রামাটিক ক্লাবের নেতৃত্বে নাইম - বাগচী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: 

‎টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাভাবিপ্রবি থিয়েটার সেন্ট্রাল ড্রামাটিক ক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি হিসাবে রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আব্দুল্লাহ আল-নাইম ও সাধারণ সম্পাদক হিসাবে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী অনির্বাণ বাগচী নির্বাচিত হয়েছেন।

‎মঙ্গলবার (২৭ মে) মাভাবিপ্রবি সেন্ট্রাল ড্রামাটিক ক্লাবের সাবেক সভাপতি ছাব্বির মাহমুদ ফয়সাল এক বিবৃতিতে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন।

‎কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাপন, মোঃ ইমরান কায়েস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিথিলা ফারজানা, সেলিম হোসেন শিশির, সাংগাঠনিক সম্পাদক সাদিব হাসান সঞ্জিত, মোঃ রাকিব হাসান, দপ্তর সম্পাদক, শুভ্রা পাল, দিয়া বিশ্বাস, উপদপ্তর সম্পাদক সাকিব আলভী, প্রচার সম্পাদক সাহেদ বিন সুলতান, কাহেনী ও সংলাপ বিষয়ক সম্পাদক মেহেবুবা মাহরিন নোভা, সঙ্গীত ও বাদ্যযন্ত্র বিষয়ক সম্পাদক আসাফ উদ্দিন নাবিল, রূপসজ্জা বিষয়ক সম্পাদক লামিয়া সানজানা অরিন, অনন্দিতা শাহা উপমা, আলোকসজ্জা বিষয়ক সম্পাদক তানভীর আহমেদ রাকিব, স্টেজ সেটিংস সম্পাদক মোঃ আল-আমিন, ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া আসাদুজ্জামান শুভ, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মেহেদি হাসান, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নাজমুস সাকিব নাফিয়ান, কোষাদক্ষ মোঃ হাবিবুর রাহমান, কার্যকারী সদস্য মোঃ আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ, শ্রেয়া শাহা, তাবাসুম জান্নাত মেঘলা, জেরিন তাসনিম, মিনহাজ আহমেদ ইশান, মিথুন হাসান, মোঃ সাফিয়ান আল বারি, জান্নাত আক্তার। উপদেষ্টা মণ্ডলীতে রয়েছেন সহকারী অধ্যাপক শাহীন মাহমুদ, সহকারী অধ্যাপক দীপ্তি ভৌমিক এবং সহকারী অধ্যাপক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক।

‎নবনির্বাচিত সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-নাঈম বলেন, "‎নাটক শুধু বিনোদন নয় — এটি প্রতিবাদের ভাষা, মানবিকতার ভাষা, আত্মঅন্বেষণের এক অসাধারণ মাধ্যম। আমরা যারা এই নাট্য ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত, তারা সবাই বিশ্বাস করি—নাটক সমাজ বদলের এক শক্তিশালী হাতিয়ার। আজ আমাদের সেন্ট্রাল ড্রামা ক্লাব (সিডিসি) শুধুমাত্র একটি সাংগঠনিক নাম নয়, এটি একটি আবেগ, একটি পরিবার, একটি যাত্রা—যেখানে আমরা প্রতিদিন শিখি, গড়ি, ভাঙি, আবার নতুন করে গড়ি।"

নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক অনির্বাণ বাগচী বলেন, " ‎আজ আমাদের সেন্ট্রাল ড্রামা ক্লাব (সিডিসি) একটি নতুন অধ্যায়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই ক্লাব শুধু একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন নয়, এটি একটি পরিবারের মতো—যেখানে আমরা সবাই একসাথে স্বপ্ন দেখি, পরিশ্রম করি এবং মঞ্চের আলোয় নিজেদের প্রকাশ করি। ‎আমরা বিশ্বাস করি, নাটক কেবল বিনোদন নয়—এটি সমাজ পরিবর্তনের এক শক্তিশালী মাধ্যম। আমরা চাই, আমাদের নাটকের মধ্য দিয়ে সমাজে ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দিতে, নতুন প্রজন্মকে সাহসী, সৃজনশীল ও মানবিক করে তুলতে।

‎পাশাপাশি ক্লাবের উন্নয়নের জন্য  কয়েকটি নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে-

‎‎১. নিয়মিত নাট্য কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ আয়োজন

‎২. নবীন সদস্যদের জন্য প্রযোজনাভিত্তিক অভিনয় শেখানো

‎৩. বিনোদনমূলক বিভিন্ন সৃজনশীল নাটক তৈরি ও মঞ্চায়ন

‎৪. সমাজ সচেতনতামূলক নাটক মঞ্চায়ন


আরও খবর



তিস্তায় বাড়ছে পানি, খুলল ৪৪ জলকপাট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ |

Image

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। ফলে লালমনিরহাটসহ উত্তরের কয়েকটি জেলায় তিস্তা পাড়ের হাজারো মানুষ বন্যায় শঙ্কায় আছেন। এ কারণে পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

তিস্তার পানি সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৮৬ মিটার (অটো গেজ), যা বিপৎসীমার মাত্র ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার)।

জানা গেছে, তিস্তা নদীর পানি বাড়লে আগে ক্ষতিগ্রস্ত হয় চরাঞ্চলগুলো। তিস্তাপাড়ে চর রয়েছে ৭৬টি। এসব এলাকায় অধিকাংশ মানুষ বাস করেন নদীর চরজমিতে, যেখানকার ঘরবাড়ি তুলনামূলক নিচু। ফলে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব এলাকায় প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি, সরাসরি বন্যার আশঙ্কা নেই, তবুও স্থানীয়দের মাঝে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

হাতীবান্ধা উপজেলার চর ডাউয়াবাড়ী এলাকার আনোয়ার হোসেন বলেন, বন্যা এলে সবকিছু শেষ হয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মাঠের ফসল, গরু-ছাগল, বাড়ির জিনিস সব ভেসে যায়। এবারও ভয়ে আছি।

জানতে চাইলে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে তিস্তার পানি বাড়ছে।তাই তিস্তাব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।


আরও খবর



সবজি ও মুরগির দাম কমেছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ |

Image

রাজধানীর বাজারে সবজি ও মুরগির দাম কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত আছে ডিমের দামও। অন্য মুদি পণ্যগুলোর দামও স্থিতিশীল। শুক্রবার সকালে রামপুরা, মালিবাগ, খিলগাঁও তালতলা ও সেগুনবাগিচা বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে বেশিরভাগ সবজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পটোল, ঢ্যাঁড়স, চিচিঙ্গা ও কাঁকরোল আছে এই তালিকায়। এছাড়া বরবটি, কচুর লতি, উস্তা, বেগুন, ঝিঙে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।

এদিকে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম নেমেছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে। কিছু বাজারে দাম ১৭০ টাকা হাঁকলেও দরদাম করলে ওই দামে কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ২০ টাকা কম। একইভাবে কমে সোনালী মুরগি প্রতি কেজি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুরগির দাম কম থাকলেও ডিমের দাম মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে। এক সপ্তাহ আগে প্রতি ডজন ডিমের দাম ১০ টাকা বেড়ে ১৪০-১৪৫ টাকা হয়েছে। এখনো সে দামেই পাওয়া যাচ্ছে। নতুন করে দামের কোনো হেরফের হয়নি।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বড় বাজারগুলোতে এখন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা ডজন দরে। পাড়া-মহল্লায় এক ডজন ডিম ১৪৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

পুরোনো মিনিকেট চাল বাড়তি দামে বিক্রি হলেও কিছুটা কমে বিক্রি হচ্ছে বাজারে নতুন আসা মিনিকেট। পুরোনো মিনিকেট চাল যেখানে সর্বনিম্ন ৭২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, সেখানে নতুন মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। তবে ভালো মানের বিভিন্ন ব্র‍্যান্ডের পুরনো মিনিকেট চাল এখনো সর্বোচ্চ ৮৫-৮৬ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

অন্যদিকে মুদি বাজারে তেল চিনি ডালের দামে খুব একটা পার্থক্য দেখা যায়নি। তবে মাছের বাজারে চড়াভাব দেখা গেছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বর্তমানে চাষের মাছের সরবরাহ কিছুটা কম।

বাজারে প্রতি কেজি চাষের চিংড়ি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং নদীর চিংড়ি ১০০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। স্বাভাবিক সময়ে এর দাম কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কম থাকে।

এ ছাড়া কই, শিং, শোল, ট্যাংরা ও পুঁটির দাম বাড়তি। চাষের রুই, তেলাপিয়া ও পাঙাশও আগের চেয়ে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি চাষের রুই, কাতলা ৩২০-৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০-২৪০ টাকা ও পাঙাশ ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর



সচিবালয়, যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেকোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

বুধবার (৪ জুন) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনার বিষয়টি রোববার (৮ জুন) প্রকাশ করা হয়।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, জনশৃঙ্খলা এবং প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে ৯ জুন ২০২৫ খ্রি., সোমবার হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় (হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, কাকরাইল মসজিদ মোড়, অফিসার্স ক্লাব মোড়, মিন্টু রোড) যেকোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ৫ ফেব্রুয়ারি হস্তান্তর করা হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সংস্কার প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। 

পাশাপাশি বিষয়টি কমিশনের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়। মোট ১৭ অধ্যায়ের প্রস্তাবের দ্বাদশ অধ্যায়ে রয়েছে অংশটি। কমিশনের প্রতিবেদনে জনপ্রশাসনে কার্যকারিতার লক্ষ্যে সংস্কারের যৌক্তিকতা প্রসঙ্গে নাগরিক পরিষেবা প্রদানে জনপ্রশাসনের ভূমিকা, নাগরিক পরিষেবার কার্যকারিতা, আমলাতান্ত্রিক লালফিতার দৌরাত্ম সম্পর্কে প্রতিবেদনে সুপারিশমালা পেশ করা হয়েছে। 

সুপারিশে আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার বিষয়ে বলা হয়, নাগরিক সেবা প্রদানের বিষয়ে প্রশাসনিক পদ্ধতি তথা আমলাতান্ত্রিক বিধিবিধান সহজতর ও ডিজিটাল করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে জনপ্রশাসনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। সঠিক নীতি-নির্ধারণের স্বার্থে তথ্য-উপাত্ত ও পরিসংখ্যান নির্মোহভাবে বিশ্লেষণ করা এবং নীতি-নির্ধারকদের কাছে তা পেশ করার নীতি চালু করা যেতে পারে বলে সুপারিশে বলা হয়।

এতে আরো বলা হয়, রাষ্ট্রীয় সম্পদ নাগরিকদের জন্য বরাদ্দ প্রদান টার্গেট জনগোষ্ঠির চাহিদা ও তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে হতে হবে। নাগরিকদের বিবিধ সরকারি পরিষেবা প্রদানের জন্য ওয়ান-স্টপ সার্ভিস সেন্টার স্থাপন করা এবং সেখানে তাদের অভিগম্যতা সহজতর করার উদ্যোগ নিতে হবে। একটি গতিশীল ও কার্যকর পদ্ধতি চালু করতে হবে যাতে নাগরিকদের মতামত দেয়ার সুযোগ থাকে এবং তারা যেন স্বস্তি বোধ করে যে তাদের কথা শোনা হয়।

কার্য সম্পাদনে প্রযুক্তি গ্রহণ ও প্রয়োগ বিষয়ে সুপারিশে বলা হয়, কার্যবিধিমালা, মন্ত্রণালয়/বিভাগের কর্মবন্টন ও সচিবালয় নির্দেশমালা পর্যালোচনা করে তা সংশোধন বা বিয়োজন এবং অনলাইনে তা সহজলভ্য করার উদ্যোগ নিতে হবে। মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোকে ৫টি ক্লাস্টারে ভাগ করা যেতে পারে। সরকারি পরিষেবা সহজতর করার জন্য একটি কেন্দ্রীয় অনলাইন পোর্টাল স্থাপন করা। 

সরকারি পরিষেবা পদ্ধতি গতিশীল করার জন্য ই-গভর্নেন্স কৌশল বাস্তবায়ন করা। ডিজিটাল টুল ও ডাটা ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের অধিকতর দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ খাতে বেশি বিনিয়োগ করা। নাগরিকদের সেবা প্রদান ও সম্পদ বরাদ্দের ক্ষেত্রে নারী ও পিছিয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠিকে প্রাধান্য দিতে হবে। সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তিকরণ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

পরিবেশ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিকেন্দ্রীকরণ ও স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণ বিষয়ে সুপারিশে বলা হয়, পরিবেশ ও ইকো-সিস্টেম সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিবিধান কার্যকরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। পরিবেশ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নিমিত্তে প্রয়োজনীয় নীতি-কৌশল নির্ধারণ ও প্রকল্প বা কর্মসূচি প্রণয়নের আগে পরিবেশ সমীক্ষা ও তার প্রভাব সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে হবে। পরিবেশ ব্যবস্থাপনা কার্যকরভাবে সম্পাদনের জন্য জেলা, উপজেলা ও স্থানীয় সরকারকে ক্ষমতায়ন করার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় ও আন্ত-বিভাগীয় সমন্বয়সাধন জোরদার করতে হবে। 

জাতীয় জলবায়ু পরিবর্তন কৌশলকে সরকারি নীতি-কৌশলের মধ্যে অন্তর্ভুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় টিকে থাকার জন্য প্রকল্প গ্রহণ ও সম্পদ বরাদ্দ করতে হবে। দুর্যোগ মোকাবিলা সংক্রান্ত জাতীয় নীতি-কাঠামো ও দুর্যোগ-পূর্ব সংকেত প্রদান ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।  দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট এনজিওদের সাথে সহযোগিতার ক্ষেত্র বৃদ্ধি করা যেতে পারে বলে সুপারিশে বলা হয়।

জেলা ও উপজেলার সাথে কেন্দ্রের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক স্থাপন বিষয়ে সুপারিশে বলা হয়, স্থানীয় ই-গভর্নেন্স সিস্টেমের সাথে কেন্দ্রীয় ওয়েব পোর্টালের এবং মোবাইল সংযোগের ব্যবস্থা করতে হবে। জনপরিষেবা গ্রহণকারী বিশেষ করে কৃষক, নারী, জেলে ইত্যাদি শ্রেণির নাগরিকরা যাতে সহজে সেবা পেতে পারে সেজন্য সহজগম্য স্থানে সার্ভিস ডেলিভারী পয়েন্ট স্থান করতে হবে।  ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনপরিষেবা প্রদানের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় কারিগরি প্রশিক্ষণ দিতে হবে বলে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের সুপারিশে উল্লেখ করা হয়েছে।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫