Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

ইতিহাসের এক জ্বলন্ত সাক্ষী মহররম মাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

মাহমুদুল হক আনসারী : চার সম্মানিত মাসের প্রথম মাস মহররম, যাকে আরবের অন্ধকার যুগেও বিশেষ সম্মান ও মর্যাদার চোখে দেখা হতো। আবার হিজরি সনের প্রথম মাসও মহররম। শরিয়তের দৃষ্টিতে যেমন এ মাস অনেক তাৎপর্যপূর্ণ, তেমনি এই মাসে সংঘটিত ঐতিহাসিক ঘটনার বিবরণও অনেক দীর্ঘ। আমরা দেখতে পাই, ইতিহাসের এক জ্বলন্ত সাক্ষী মহররম মাস। ইসলামের অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সূত্রপাত হয় এ মাসে। শুধু উম্মতে মুহাম্মদিই নয়, বরং পূর্ববর্তী অনেক উম্মত ও নবীদের অবিস্মরণীয় ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল এই মাসে।

নামকরণ থেকেই প্রতীয়মান হয় এ মাসের ফজিলত। মহররম অর্থ মর্যাদাপূর্ণ, তাৎপর্যপূর্ণ। যেহেতু অনেক ইতিহাস-ঐতিহ্য ও রহস্যময় তাৎপর্য নিহিত রয়েছে এ মাস ঘিরে, সঙ্গে সঙ্গে এ মাসে যুদ্ধবিগ্রহ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ছিল, এসব কারণেই এ মাস মর্যাদাপূর্ণ। তাই এ মাসের নামকরণ করা হয়েছে মহররম বা মর্যাদাপূর্ণ মাস। মহররম সম্পর্কে (যা আশহুরে হুরুমের অন্তর্ভুক্ত তথা নিষিদ্ধ মাস) পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর বিধান ও গণনায় মাসের সংখ্যা ১২। যেদিন থেকে তিনি সব আসমান ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। তন্মধ্যে চারটি হলো সম্মানিত মাস। এটাই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান। সুতরাং তোমরা এ মাসগুলোর সম্মান বিনষ্ট করে নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না’- (সূরা তওবা : ৩৬)। অর্থাৎ সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকে আল্লাহতায়ালা ১২টি মাস নির্ধারণ করে দেন। তন্মধ্যে চারটি মাস বিশেষ গুরুত্ব ও তাৎপর্য বহন করে। ওই চারটি মাস কী কী? এর বিস্তারিত বর্ণনা হজরত আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, হাদিসে উল্লিখিত হয়েছে, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, ‘এক বছরে ১২ মাস। এরমধ্যে চার মাস বিশেষ তাৎপর্যের অধিকারী। এরমধ্যে তিন মাস ধারাবাহিকভাবে (অর্থাৎ জিলকদ, জিলহজ ও মহররম) এবং চতুর্থ মাস মুজর গোত্রের রজব মাস’- (সহিহ বোখারি : ৪৬৬২ ও মুসলিম : ১৬৭৯)।

মহররম মাস সম্মানিত হওয়ার মধ্যে বিশেষ একটি কারণ হচ্ছে আশুরা (মহররমের ১০ তারিখ)। এ বসুন্ধরার ঊষালগ্ন থেকে আশুরার দিনে সংঘটিত হয়েছে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা ও হৃদয়বিদারক কাহিনি। অনেকেই না বুঝে অথবা ভ্রান্ত প্ররোচনায় পড়ে আশুরার ঐতিহ্য বলতে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রিয়তম দৌহিত্র, জান্নাতের যুবকদের সরদার হজরত হুসাইন (রা.)-এর শাহাদাত ও নবী পরিবারের কয়েকজন সম্মানিত সদস্যের রক্তে রঞ্জিত কারবালার ইতিহাসকেই বুঝে থাকে। তাদের অবস্থা ও কার্যাদি অবলোকন করে মনে হয়, কারবালার ইতিহাস ঘিরেই আশুরার সব ঐতিহ্য, এতেই রয়েছে আশুরার সব রহস্য। আসলে বাস্তবতা কিন্তু এর সম্পূর্ণ বিপরীত। বরং আশুরার ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে প্রাচীনকাল থেকেই। হজরত হুসাইন (রা.)-এর মর্মান্তিক শাহাদাতের ঘটনার অনেক আগ থেকেই আশুরা অনেক তাৎপর্যপূর্ণ ও রহস্যঘেরা দিন। কারণ কারবালার যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৬১ হিজরির ১০ মহররম। আর আশুরার রোজার প্রচলন চলে আসছে ইসলাম আবির্ভাবেরও বহুকাল আগ থেকে। তবে এ কথা অনস্বীকার্য যে, আবহমানকাল থেকে আশুরার দিনে সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনা যেমন অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি হিজরি ৬১ সনে আশুরার দিন কারবালার ময়দানের দুঃখজনক ঘটনাও মুসলিম জাতির জন্য অতিশয় হৃদয়বিদারক ও বেদনাদায়ক। প্রতি বছর আশুরা আমাদের এই দুঃখজনক ঘটনাই স্মরণ করিয়ে দেয়। তবে এও বাস্তব যে, এ ঘটনাকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে না পেরে আজ অনেকেই ভ্রষ্টতা ও কুসংস্কারের অন্ধকারে নিমজ্জিত। যারা কারবালার মর্মান্তিক ঘটনাকে ব্যথাভরা অন্তরে স্মরণ করে থাকেন, তারা কোনো দিনও চিন্তা করেছেন যে, কী কারণে হজরত হুসাইন (রা.) কারবালার ময়দানে অকাতরে নিজের মূল্যবান জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলেন। তাইতো অনেকেই মনে করেন যে, জারি মর্সিয়া পালনের মধ্যেই কারবালার তাৎপর্য! হায়রে আফসোস! কী করা উচিত! আর আমরা করছি কী? হজরত হুসাইন (রা.)-এর উদ্দেশ্য ও আদর্শ বাস্তব জীবনে অনুসরণ করাই হবে এ ঘটনার সঠিক মর্ম অনুধাবনের বহিঃপ্রকাশ। হজরত হুসাইন (রা.)-ও রাসুলে করিম (সা.)-এর প্রতি মহব্বত ও আন্তরিকতার একমাত্র পরিচায়ক।

মহররম মাসে রোজা রাখা সম্পর্কে অনেক বিশুদ্ধ হাদিস বর্ণিত হয়েছে। বিশেষভাবে আশুরা অর্থাৎ মহররমের ১০ তারিখে রোজা রাখার ফজিলত সম্পর্কে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। একটি হাদিস থেকে প্রতীয়মান হয়, ‘রমজান মাসের রোজা ফরজ হওয়ার আগে আশুরার রোজা উম্মতে মুহাম্মদির ওপর ফরজ ছিল। পরবর্তী সময়ে অবশ্যই ওই বিধান রহিত হয়ে যায় এবং তা নফলে পরিণত হয়। হাদিস শরিফে হজরত জাবের (রা.) সূত্রে বর্ণিত আছে, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের আশুরার রোজা রাখার নির্দেশ দিতেন এবং এর প্রতি উৎসাহিত করতেন। এ বিষয়ে নিয়মিত তিনি আমাদের খবরাখবর নিতেন। যখন রমজানের রোজা ফরজ করা হলো, তখন আশুরার রোজার ব্যাপারে তিনি আমাদের নির্দেশও দিতেন না এবং নিষেধও করতেন না। আর এ বিষয়ে তিনি আমাদের খবরাখবরও নিতেন না’ (সহিহ মুসলিম শরিফ : ১১২৮)। ওই হাদিসের আলোকে আশুরার রোজার শ্রেষ্ঠত্ব প্রতীয়মান হয়। এমনকি ওই সময়ে তা ফরজ ছিল। বর্তমানে এই রোজা যদিও নফল, কিন্তু অন্যান্য নফল রোজার তুলনায় অধিক গুরুত্বপূর্ণ। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) আশুরা ও রমজানের রোজা সম্পর্কে যে রূপ গুরুত্ব প্রদান করতেন, অন্য কোনো রোজা সম্পর্কে সেরূপ গুরুত্বারোপ করতেন না’- (সহিহ বোখারি ও মুসলিম)। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) এই রোজা নিজে পালন করেছেন এবং উম্মতকে রাখার প্রতি উৎসাহিত করেছেন। তাই এর পূর্ণ অনুসরণ ও আনুগত্যের মধ্যেই নিহিত রয়েছে উম্মতের কল্যাণ। এ ছাড়া অসংখ্য হাদিসে আশুরার রোজার ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।

মুসলিম শরিফে হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘মহানবী (সা.) যখন আশুরার দিনে রোজা রাখেন এবং অন্যদেরও রোজা রাখার নির্দেশ প্রদান করেন, তখন সাহাবিরা অবাক হয়ে বলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! ইহুদি-নাসারারা তো এই দিনটিকে বড়দিন মনে করে। আমরা যদি এই দিনে রোজা রাখি, তাহলে তো তাদের সঙ্গে সামঞ্জস্য হবে। তাদের প্রশ্নের উত্তরে রাসুল (সা.) বললেন, ‘(তারা যেহেতু এদিন একটি রোজা পালন করে) আগামী বছর ইনশাআল্লাহ আমরা এই ১০ তারিখের সঙ্গে ৯ তারিখ মিলিয়ে দুই দিন রোজা পালন করব’ (সহিহ মুসলিম : ১১৩৪)।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি আশুরার দিনে আপন পরিবার-পরিজনের মধ্যে পর্যাপ্ত খানাপিনার ব্যবস্থা করবে, আল্লাহপাক পুরো বছর তার রিজিকে বরকত দান করবেন’ (তাবরানি : ৯৩০৩)। উল্লিখিত হাদিস সম্পর্কে আল্লামা ইবনুল জাওযিসহ অনেক মুহাদ্দিস আপত্তিজনক মন্তব্য করলেও বিভিন্ন সাহাবি থেকে ওই হাদিসটি বর্ণিত হওয়ায় আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ুতিসহ অনেক মুহাক্কিক আলেম হাদিসটিকে গ্রহণযোগ্য ও আমলযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন।

অতএব যদি কেউ উপরোক্ত হাদিসের ওপর আমল করার উদ্দেশ্যে ওইদিন উন্নত খানাপিনার ব্যবস্থা করে, তাহলে শরিয়তে নিষেধ নেই। তবে স্মরণ রাখতে হবে, কোনোক্রমেই যেন তা বাড়াবাড়ি ও সীমালঙ্ঘনের স্তরে না পৌঁছে।

লেখক : প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট [email protected]


আরও খবর



বিআরটি প্রকল্প: উত্তরায় ১৪ দিন যানজটের শঙ্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

উত্তরা এলাকায় বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কাজের জন্য উত্তরা এলাকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ১৪ দিন যানজট হতে পারে। এজন্য পথে চলাচলকারীদের হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে বের হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক এ এস এম ইলিয়াস শাহ্।

সোমবার (৪ মার্চ) এক বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনায় এ অনুরোধ জানান তিনি। নির্দেশনায় বলা হয়, বিআরটি প্রকল্পের আওতাভুক্ত উত্তরা এলাকায় (বিমানবন্দর থেকে আজমপুর) সড়কের পূর্ব ও পশ্চিম পার্শ্বে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে ১৮ মার্চ সকাল ৬টা (১৪ দিন) পর্যন্ত প্রতিদিন সড়কের উন্নয়ন কাজ চলবে।

সড়ক উন্নয়ন কাজ চলমান অবস্থায় ঢাকা থেকে ময়মনসিংহমুখী ও ময়মনসিংহ থেকে ঢাকামুখী যানবাহন চলাচলে যানজট সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায়, উক্ত করিডোরে চলাচলের জন্য সবাইকে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে বের হওয়ার জন্য সবিনয় অনুরোধ করা হলো।

এ বিষয়ে সবার সহানুভূতি ও সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।


আরও খবর



বাংলাদেশের ফিজিওথেরাপি সোসাইটির ইফতার মাহফিল ও স্বজন সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

২১শে মার্চ রোজ বৃহস্পতিবার ঢাকার শের-এ-বাংলা নগরে অবস্হিত  বাংলাদেশের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা পেশার সূতিকাগার "জাতীয়  অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পূনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর)" এ অনুষ্ঠিত হলো "ইফতার মাহফিল ও স্বজন সভা ২০২৪"। উক্ত অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক,ফিজিওথেরাপি শিক্ষাবিদ এবং ছাত্রছাত্রী অংশ গ্রহণ করে।অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন  শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক ফিজিওথেরাপি কনসালটেন্ট  এবং বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের সাবেক ফিজিওথেরাপির অধ্যাপক ডা. মো: মনিরুজ্জামান। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে  ফিজিওথেরাপি পেশার  প্রাচীন ও প্রফেশনাল  সংগঠন "বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি সোসাইটি (বিপিএস)" এবং বিপিএস এর সহযোগী সংগঠন " বাংলাদেশ ফিজিক্যাল থেরাপি এ্যাসোসিয়েশন(বিপিএ).।এছাড়া সহ আয়োজক হিসেবে " নিটোর ফিজিওথেরাপি এলামনাই এসোসিয়েশন "ও "নিটোর ফিজিওথেরাপি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন" ভূমিকা পালন করে। উক্ত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিপিএ ও বিপিএস এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. সফিউল্লাহ প্রধান  । এছাড়া বিপিএস ও বিপিএ এর নির্বাহী সভাপতি সহঃ অধ্যাপক  ডা. প্রদীপ কুমার সাহা,  সাধারণ সম্পাদক ডা. মো.  তৌহিদুজ্জামান এবং "বাংলাদেশ শিশুকল্যান পরিষদের " এর পরিচালক "ডা. ইয়াসমিন আরা ডলি " বক্তব্য রাখেন। পরে দেশ ও জাতির শান্তি কামনা এবং ফিজিওথেরাপি পেশার উত্তরোত্তর উৎকর্ষ কামনা করে দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।


আরও খবর



ড. ইউনূসকে ১১৯ কোটি টাকা কর পরিশোধের নির্দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে ১১৯ কোটি টাকা কর পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ২০১১ সাল‌ থেকে টানা ৫ বছরে গ্রামীণ কল্যাণ ট্রাস্টের আয়কর বাবদ এই অর্থ পরিশোধ করতেই হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।

বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

কর ফাঁকিসংক্রান্ত বিষয়ে এর আগে ইউনূস সেন্টার একটি বিবৃতি দিয়েছিল। বিবৃতিতে তারা কর বকেয়ার বিষয় স্পষ্ট করে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছিল। ইউনূস সেন্টার বলছে, প্রফেসর ইউনূসের যে টাকা নিয়ে পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশনে আলাপ চলছে, তার পুরোটাই প্রফেসর ইউনূসের অর্জিত টাকা।

বিবৃতিতে বলা হয়, তার (ড. ইউনূস) উপার্জনের সূত্র প্রধানত তার বক্তৃতার ওপর প্রাপ্ত ফি, বই বিক্রিলব্ধ টাকা এবং পুরস্কারের টাকা। এর প্রায় পুরো টাকাটাই বিদেশে অর্জিত টাকা। এই টাকা বৈধভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলে আনা হয়েছে। কর বিভাগ তা অবহিত আছে। কারণ, সব টাকার হিসাব তার আয়কর রিটার্নে উল্লেখ থাকে।

এতে আরও বলা হয়েছে, তিনি জীবনে কোনো সম্পদের মালিক হতে চাননি। তিনি মালিকানামুক্ত থাকতে চান। কোথাও তার মালিকানায় কোনো সম্পদ নেই (বাড়ি, গাড়ি, জমি বা শেয়ার ইত্যাদি)। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন তার উপার্জনের টাকা দিয়ে ২টি ট্রাস্ট গঠন করবেন। তিনি তাই করেছেন।


আরও খবর



নির্ধারিত দামে কোথাও মিলছে না খেজুর

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

অতি সাধারণ ও নিম্নমানের খেজুরের খুচরা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এতে দোকানদারদের অতি সাধারণ বা নিম্নমানের খেজুর প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি করতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোছা: ফুয়ারা খাতুন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে আমদানি করা বিভিন্ন মানের খেজুরের আমদানি মূল্য, আরোপিত শুল্ক ও করাদি এবং আমদানিকারকের অন্যান্য খরচ বিশ্লেষণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রতি কেজি খেজুরের মানভিত্তিক যৌক্তিক মূল্য নিরূপণ করা হয়েছে।

যদিও সরকার নির্ধারিত দামে কোথাও খেজুর মিলছে না। বাজারে সবচেয়ে কম দামের খেজুর জাইদি জাতের। এই খেজুর প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। যেটির সরকার নির্ধারিত দাম ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত বছর রোজায় যে খেজুর পাইকারি ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, সেই খেজুরের ওপরে এবার শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে ২০৮ টাকা। এতে পাইকারি বাজারেই খেজুরের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবে এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।

বাদামতলীর খেজুর ব্যবসায়ী শাওন বলেন, আমরা পাইকারি ব্যবসায়ীরা সবসময় অল্প লাভেই বিক্রি করে থাকি। আমাদের চিন্তা থাকে লাভ অল্প হলেও বিক্রি যদি বেশি হয়, তা হলে লাভ এমনিতে বেশি হবে। আমাদের বিক্রি হয় কেনার ওপর ভিত্তি করে। যেই খেজুর আগে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করতাম, সেখানে এখন ৩৫০ টাকা শুল্ক দেয়া লাগছে। তা হলে বোঝা যাচ্ছে, ভ্যাট বাড়ানোর ফলে খেজুরের দাম বেড়েছে। এই বিক্রেতার দাবি, সরকার যদি শুল্ক কমিয়ে দেয় তা হলে খেজুরের দাম অটোমেটিক কমে যাবে। জনগণের ভোগান্তি হবে না। এখন সবাই একতরফা ব্যবসায়ীদের দোষারোপ করছে। আসল ঘটনা তো অন্য জায়গায়। আমরা আমদানি করি, সেটির শুল্ক যদি বেশি দিতে হয়, তাহলে দাম তো বাড়বেই। এটি হচ্ছে মৌসুমি ব্যবসা। ফলে খুচরা বিক্রেতারা যে দামে কেনেন, তার চেয়ে বেশি মুনাফায় খেজুর বিক্রি করছেন।

 

খেজুর কিনতে এসে জসিম উদ্দীন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে খেজুর গত বছর কিনেছিলাম ৩০০ টাকায়, সেটি চাইছে ৬৫০ টাকা। পছন্দও হচ্ছিল না। পরে বাধ্য হয়ে ১২০০ টাকা কেজি খেজুরের ২০০ গ্রাম কিনলাম। পরিচিত দোকানদার মন খারাপ বুঝে বললেন, 'জায়গামতো কোনো খবরদারি বা নজরদারি কোনোটাই নেই। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বাদামতলীতে খেজুরের বস্তাপ্রতি দাম বাড়ানো হয়েছে গড়ে কমপক্ষে এক হাজার টাকা। এক দিকে রমজানে স্কুল খোলা রাখতেই হবে, সেটা নিয়ে কতো কোর্টকাচারি চলল। খেজুরে বাড়তি দাম, বরই খাওনের পরামর্শ মন্ত্রীর। সেটা নিয়েও কতো কত সমালোচনা। কিন্তু খেজুর নাগালে এলোই না।' বাদামতলীর ব্যবসায়ীরা বলছেন, জাত ও আকার অনুযায়ী দেশে কমপক্ষে ৩০ ধরনের খেজুর বিক্রিক্র হয়। এর মধ্যে দাম কম হওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে 'জাইদি' ও বস্তায় আসা খেজুর। এটি আসে ইরাক থেকে। এ ছাড়া আজোয়া, মরিয়ম, মাসরুক, ডালা-আলজেরিয়া, নাঘাল, সায়ের, মডজুল, থকালমি, ফেনছি, ইরান ও জর্দানের মরিয়ম, লাকজারি, সুগাই, তিউনিসিয়া থাল, সুফকারি, জাম্বু, মাবরুম, দাব্বাস, রেজিজ, আমিরাতের লুলু ও বারহিল বাজারে
এসব খেজুরের চাহিদা রয়েছে।


দেশের বাজারে প্রতি কেজি মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, মাবরুম ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, মেডজুল ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা, দাবাস ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি। আজোয়া মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি। আজোয়া এবং মরিয়ম ক্ষেত্র বিশেষে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আরও বেশি দামের খেজুরও আছে। তবে সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে জাইদি খেজুর, দাম প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। গত বছরের তুলনায় পাইকারি বাজারে সব ধরনের খেজুরের দাম কেজিতে ১০০ থেকে ৪০০ টাকা বেড়েছে।


আরও খবর

তরমুজের ব্যাপক দরপতন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

ভারতজুড়ে কার্যকর হলো সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে সোমবার (১১ মার্চ) এই সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সিএএ চালু করার কথা ঘোষণা দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে সংসদে আইনটি পাস হওয়ার প্রায় চার বছর পর চালু হলো নতুন এই নাগরিকত্ব আইন।

গত মাসেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, এই আইন নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য, এটি কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়। এর লক্ষ্য হলো নির্যাতিত অমুসলিম অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পরই চালু হলো সিএএ।

এদিকে সিএএ নিয়ে সরকারের বিজ্ঞপ্তি জারির ঠিক আগেই সংবাদ সম্মেলন করে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, কারো অধিকার কেড়ে নেওয়া হলে আন্দোলন হবে। তবে আইনটা আগে আমি দেখব। যদি দেখি কোনো শ্রেণির মানুষের ওপর বৈষম্য হচ্ছে, তাহলে তার বিরোধিতা করব। কোনো বৈষম্য মানব না।

তিনি আরও বলেন, দেশের কিছু ভালো হলে আমরা যেমন অভিনন্দন জানাই তেমনি দেশের কোনো খারাপ হলে আমরা তাকে সমর্থন করতে পারি না। আমি সকলকে বলব, আপনারা ভয় পাবেন না, চিন্তা করবেন না। আধার কার্ড যখন বাতিল হচ্ছিল, আমরা রুখে দাঁড়িয়েছিলাম। আজও যদি কারো অধিকার কেড়ে নেওয়া হয় তৃণমূল একমাত্র দল এই ইস্যুতে সবার প্রথমে সরব হবে।

ভারতজুড়ে সিএএ আইন কার্যকর করার খবর পেয়েই আনন্দে মাতলেন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার মতুয়া অধ্যুষিত ঠাকুরনগরের মানুষজন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বরে ভারতের সংসদে পাস হয় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। এই আইন অনুযায়ী ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে আসা অমুসলিম নাগরিকরা (হিন্দু শিখ খ্রিস্টান, জৈন, পার্সি, বৌদ্ধ) ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবেন।

যদিও এই আইনের বিরোধিতা করে প্রতিবাদে নেমেছে কংগ্রেস, তৃণমূলসহ বিরোধী দলগুলো। তাদের দাবি ধর্মের ভিত্তিতে এই আইন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এই আইনকে কেন্দ্র করে ভারতজুড়ে সে সময় সহিংসতা, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভে নষ্ট হয় কোটি কোটি রুপির সরকারি সম্পত্তি, মৃত্যু হয় প্রায় শতাধিক বিক্ষোভকারীর।

সে সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের যুক্তি ছিল, করোনার কারণেই এই আইনের রূপায়ণ শুরু করা যাচ্ছে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের স্পষ্ট বার্তা ছিল, এই আইন নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য, এটি কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়। সিএএ হলো বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে নির্যাতিত উদ্বাস্তুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের একটি আইন।

সোমবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশিত প্রামাণিক গণমাধ্যমকে জানান, ভারতের কোনো নাগরিকের নাগরিকত্ব যাবে না। এটা মানুষকে নাগরিকত্ব পাইয়ে দেওয়ার আইন, কারোর নাগরিকত্ব ছিনিয়ে দেওয়ার আইন নয়। আমি সবাইকে বলব নিশ্চিন্তে থাকুন।


আরও খবর