Logo
শিরোনাম

ইতিহাসের সেরা নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে এই নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোত্তম এবং দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় একটি মাইলফলক।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপষ্টোর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে (এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস) এএনএফআরইএল-এর প্রতিনিধিদলকে তিনি এই আশ্বাস দেন।

এএনএফআরইএল-এর প্রতিনিধিদলে ছিলেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ব্রিজা রোসালেস, বাংলাদেশ নির্বাচন ও গণতন্ত্র কর্মসূচির পরামর্শক মে বুটয়, ক্যাম্পেইন ও অ্যাডভোকেসি বিভাগের সিনিয়র প্রগ্রাম কর্মকর্তা থারিন্দু আবেরথনা, প্রগ্রাম কর্মকর্তা আয়ান রহমান খান এবং প্রগ্রাম অ্যাসোসিয়েট আফসানা আমে।

এএনএফআরইএল হচ্ছে এশিয়ার বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের একটি আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক, যা গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে নির্বাচনী গণতন্ত্রের অগ্রগতিতে কাজ করছে। সংস্থাটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ, গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং নাগরিক অংশগ্রহণে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করে যাচ্ছে।

সাক্ষাৎকালে এএনএফআরইএল বাংলাদেশে চলমান তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে জানায়; বিশেষ করে স্বাধীন, নাগরিক-নেতৃত্বাধীন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ প্রচেষ্টা পুনর্গঠনে তাদের অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে। প্রতিনিধিদল স্টেকহোল্ডার ম্যাপিং ও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করে, যার উদ্দেশ্য হলো নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ জোরদার করা এবং নির্বাচনী স্বচ্ছতা উন্নত করার সুযোগ চিহ্নিত করা।


আরও খবর



নিঃসন্দেহে আমরা ঐতিহাসিক মুহূর্তে আছি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

নিঃসন্দেহে আমরা একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তে উপস্থিত আছি। বিএনপির সঙ্গে আলোচিত বিষয়ে কিছু সামঞ্জস্য ও মতনৈক্য উভয় আছে। আশা করি, আজ আলোচনার সমাপ্তি টানতে পারবো বলে মন্তব্য করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির তৃতীয় দফা বৈঠকের সূচনা বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

এসব বৈঠকের আলোচিত বিষয়গুলো প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হচ্ছে এবং তিনি এ বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন বলেও জানান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন নতুন প্রস্তাব এসেছে, সেসব নিয়ে আমরা ঐকমত্য কমিশন নিজেদের সঙ্গে আলাপ শুরু করেছি। এখন সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যা আলোচনা হচ্ছে, তা প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা।’ দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় ঐকমত্যে পৌঁছানো যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন কমিশনের সহ-সভাপতি।

বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আজ বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার জনপ্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার নিয়ে আলোচনা হবে। রাষ্ট্রের বিষয় তাই তাড়াহুড়ো করে নয়, ধীরে-সুস্থে আলোচনা করছি।‘

যেসব সিদ্ধান্ত জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত হবে, তা জাতীয় জীবনে মহান ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, স্প্রেডশিট নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হওয়ায় তা নিয়ে আলোচনা করা হয়নি। দফা-ওয়ারি বিস্তারিত আলোচনা করছি। সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ যা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছে ও সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় গঠন করার কথা বলা হচ্ছে। এটা সহ-বিচার বিভাগের সব স্বাধীনতায় আমরা বিশ্বাস করি। কিন্তু সব কিছু যেন আইনানুগ ও সাংবিধানিকভাবে হয়। কোনও কিছু যেন অসাংবিধানিকভাবে না হয়।


আরও খবর



যুদ্ধবিরতি হলেও স্থগিতই থাকছে সিন্ধু পানি চুক্তি

প্রকাশিত:রবিবার ১১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ভারত ও পাকিস্তান কয়েকদিনের প্রাণঘাতী লড়াইয়ের পর অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হলেও দুই দেশের পানি ভাগাভাগির গুরুত্বপূর্ণ একটি চুক্তি স্থগিতই থাকছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যস্থতায় ১৯৬০ সালে হওয়া সিন্ধু পানি চুক্তি দুই দেশের মধ্যে সিন্ধু নদ ও এর শাখা নদীগুলোর পানি বন্টন নিয়ন্ত্রণ করে।

কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলা হওয়ার পর এর পেছনে ইসলামাবাদ আছে বলে অভিযোগ করে নয়া দিল্লি সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে।

পাকিস্তান পেহেলগামের সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে। দেশটি জানিয়েছে, তারা ভারতের একতরফাভাবে সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের বিষয়ে আন্তর্জাতিক আইনি পদক্ষেপের দারস্থ হবে।

পাকিস্তানের কৃষি সেচের ৮০ শতাংশ পানি নিশ্চিত হয়েছে এই চুক্তির মাধ্যমে। পাকিস্তানের পানি মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, সিন্ধু পানি চুক্তি (যুদ্ধবিরতি) আলোচনার কোনো অংশ না।

ভারতের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকার কর্মকর্তাও রয়টার্সকে জানান, এই চুক্তির বিষয়ে নেওয়া পদক্ষেপে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া দেয়নি আর পাকিস্তানের পানি মন্ত্রণালয় ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও প্রকাশ্যে কিছু জানাননি।

কাশ্মীর হামলার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছে তার অন্যতম এই পানি বণ্টন চুক্তি।

ভারত সরকারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, দুই দেশের সংঘাতের ক্ষেত্রে বিরতি দেওয়া হলেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাণিজ্য, ভিসা স্থগিতের মতো যে সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলো সব বহাল আছে।


আরও খবর



মহাসমাবেশে আপত্তিকর শব্দচয়নে দুঃখ প্রকাশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত মহাসমাবেশে কোনো কোনো বক্তা নারীদের সম্পর্কে আপত্তিকর শব্দচয়ন করেছেন-এমন অভিযোগে নানা মহলে সমালোচনা হচ্ছে। এই অবস্থায় হেফাজতে ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, কোনো বক্তারা আপত্তিকর শব্দচয়ন হেফাজত সমর্থন করে না। এ ধরনের শব্দ চয়নকে দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত আখ্যায়িত করে তা থেকে বিরত থাকতে দলেন নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছে আলোচিত সংগঠন হেফাজতে ইসলাম। ৬ মে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী এক বিবৃতিতে এই কথা বলেন।

বিবৃতিতে আজিজুল হক বলেন, আমাদের মহাসমাবেশে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে দুজন বক্তা আপত্তিকর শব্দচয়ন করেছেন, যা আমরা সমর্থন করি না। কেউ এতে আহত হলে তাদের প্রতিও আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। একই সাথে সেক্যুলার প্রগতিশীল ঘরানার যারা এতকাল আলেম-ওলামাকে বিদ্বেষমূলকভাবে 'জঙ্গি', 'মৌলবাদী', 'ধর্মব্যবসায়ী' ও 'সাম্প্রদায়িক' বলে কটাক্ষ করে এসেছেন, তাদেরকেও আমরা এ ধরনের আপত্তিকর শব্দচয়ন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই। আর শাপলা চত্বরের গণহত্যায় আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শক্তিকে কারা উৎসাহ দিয়েছিল তা আমরা ভুলে যাইনি।

হেফাজত নেতা বলেন, নারীর প্রতি আমাদের ঘৃণার প্রশ্নই আসে না। মতাদর্শিক লড়াইকে 'নারীর প্রতি ঘৃণা' আকারে দেখাটা স্রেফ মূর্খতা। আমরা আবারও বলছি, যার যার ধর্মীয় বিধান অনুসারে নারীর ন্যায্য অধিকার রক্ষায় আমরাও সংস্কারকাজে সম্পৃক্ত হতে আগ্রহী। কিন্তু শুরুতেই আলেম-ওলামা ও অন্যান্য ধর্মীয় বিশেষজ্ঞকে বাদ দিয়ে একদল এনজিওবাজ নারীবাদীকে নিয়ে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করা হলো। যার ফলে এমন একচেটিয়া প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে, যেখানে সেক্যুলার প্রগতিশীল নারীসমাজের স্বার্থ ও মতাদর্শ রক্ষিত হলেও ধর্মপ্রাণ বৃহত্তর নারীসমাজের ধর্মীয় চিন্তা ও বিবেচনা উপেক্ষিত হয়েছে। এই বৈষম্য মেনে নেওয়ার সুযোগ নেই।

আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, উগ্র ইসলামবিদ্বেষী গোষ্ঠী কর্তৃক আমাদের 'নারীবিদ্বেষী' অপবাদ দেওয়ার অপরাজনীতি বহু পুরনো। অথচ দেশজুড়ে আমাদের মহিলা কওমি মাদরাসাগুলোতে প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য হারে ছাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি বরাদ্দমুক্ত এসব মাদরাসায় সমাজের হাজার হাজার প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত মেয়েদের জন্যও বিনামূল্যে থাকা-খাওয়া, নিরাপত্তা ও ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ফলে এদেশের নারীদের স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধিতে আমাদেরও উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। কিন্তু কখনো আলেম-ওলামার সামাজিক অবদানের স্বীকৃতি দেয়া হয় না। আর আমাদের এই সামাজিক ভূমিকা ও ধর্মীয় অবস্থান আধুনিক ব্যবস্থায় এদেশের নারীকে 'পণ্য' বানানোর পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়নের অন্তরায় বলেই সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী আমাদের বিরুদ্ধে একদল উগ্র নারীবাদীকে লেলিয়ে দিয়েছে বলে আমরা মনে করি। কিন্তু ধর্মীয় ইস্যুতে বাড়াবাড়ি করলে আমরা ছাড় দেবো না।


আরও খবর



জনসমর্থন নেই-এমন কাজ করলে ব্যবস্থা

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ |

Image

জনগণের সমর্থন নেই– এমন কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, রাজনীতিতে ধীরে ধীরে অদৃশ্য শক্তি দৃশ্যমান হচ্ছে। ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্রকারীরাও সক্রিয় হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জনসমর্থন নেই এমন কাজ দলের কেউ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার রংপুর বিভাগের তিন জেলা– লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তারেক রহমান। ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখার ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক এ কর্মশালা আয়োজন করে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটি।

তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচারের ভয়ে কেউ যখন কথা বলতে সাহস পায়নি, তখন আওয়ামী লীগের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিল বিএনপি। ৩১ দফা দেশ ও জাতির জন্য বাস্তবায়ন করতে হবে। রাজনীতিবিদসহ পেশাজীবীরা এটি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবেন। যে কোনো মূল্যে আমাদের সুদৃঢ় ঐক্য ধরে রাখতে হবে। সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে ইস্পাত-দৃঢ় ঐক্যের ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে হবে। না হলে সব অর্জন ব্যর্থ হবে।

তিনি বলেন, তিস্তা নদী নিয়ে বহু রাজনীতি হয়েছে। কিন্তু বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে এ দেশের মানুষের কষ্ট লাঘবের লক্ষ্যে। তিস্তা নদী ঘিরে প্রায় তিন কোটি মানুষের জীবনে প্রভাব পড়ে। কখনও অতিরিক্ত পানি, কখনও পানির তীব্র সংকট। খালখনন ও নদীশাসন আমাদের করতে হবে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ সুবিধা এবং পানির সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে বিএনপি সরকার গঠনের সুযোগ পেলে এ কাজ যে কোনো মূল্যে শুরু করবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, কৃষক যেন শুষ্ক মৌসুমে পানি ব্যবহার করতে পারে, বন্যার ক্ষতি থেকে মানুষ যেন রক্ষা পায়, সেজন্য পরিকল্পিতভাবে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করব।

কর্মশালায় নেতাকর্মীর প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আয়তনে বড় না হলেও জনসংখ্যার ভিত্তিতে একটি বড় দেশ। এ দেশের প্রতিটি অঞ্চলের রয়েছে আলাদা কৃষ্টি ও সংস্কৃতি, যা আমাদের জাতিগত ঐতিহ্য। বিএনপি অতীতে ক্ষমতায় থাকাকালে সংস্কৃতি বিকাশে নানা উদ্যোগ নিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।

তারেক রহমান আরও বলেন, সংস্কৃতি ও খেলাধুলাকে প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে, যাতে শিশুরা মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারে।

এর আগে সকালে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে কর্মশালা উদ্বোধন করেন দলের যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী। লালমনিরহাট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ছাত্রদল নেতা ইকবাল হোসেন শ্যামলের সঞ্চালনায় কর্মশালায় সাবেক তিন সংসদ সদস্য– রাশেদা বেগম হীরা, নেওয়াজ হালিমা আরলি, শাম্মী আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



মার্কিন হামলায় ইয়েমেনে নিহত ১২

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

হুথি বিদ্রোহীরা জানিয়েছেন, মার্কিন বিমান হামলায় ইয়েমেনের রাজধানীতে অন্তত ১২ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন। মার্কিন বার্তাসংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।

হুথি নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরাহ চ্যানেলে সোমবার (২১ এপ্রিল) ভোরে প্রকাশিত একটি ফুটেজে দেখা গেছে, হামলায় যানবাহন ও ভবনের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। কয়েকজন মানুষ শিশুর মরদেহ হাতে আর্তনাদ করছেন আর অনেককে স্ট্রেচারে বহন করে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

সানার শুব জেলায় ফারওয়া মহল্লার এক বাজারে হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে হুথিরা। ওই এলাকা আগেও মার্কিনদের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছিল।

সোমবার গভীররাতে ইয়েমেনের আমরান, হোদেইদা, মারিব এবং সাদা প্রদেশসহ আরও কিছু অংশে হামলা চালানো হয়।

হুথিদের বিরুদ্ধে চলমান মার্কিন অভিযানে হতাহতের এখন পর্যন্ত সর্বশেষ ঘটনা এটি। হামলা বা বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এপির জিজ্ঞাসার জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড।

গত সপ্তাহে, দেশটির রাস ইসা জ্বালানি বন্দরে হামলা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ওই হামলায় অন্তত ৭৪ জন নিহত এবং ১৭১ জন আহত হয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে হুথিরা। ফিলিস্তিনে আগ্রাসন বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত জাহাজে হামলা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি।

২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত শতাধিক বাণিজ্য জাহাজ হুথিদের হামলার শিকার হয়েছে। ওই বাণিজ্য রুট দিয়ে বছরে এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের পণ্য পরিবহন হয়।

ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের স্বঘোষিত প্রতিরোধের অক্ষ (অ্যাক্সিস অব রেজিস্ট্যান্স) গুড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ইরান সমর্থিত হুথিদেরও নিষ্ক্রিয় করার অভিযানে নেমেছে।


আরও খবর