Logo
শিরোনাম

ইটনায় সরকারি স্কুলের তদন্ত রিপোর্টে "জজমিয়া কাহিনী"

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মোঃ মুজাহিদ সরকার কিশোরগঞ্জ ঃ

ইতিহাসের পাতায় জজমিয়ার কাহিনী এক নাটকীয় মিথ্যা গল্প। কোন বানানো গল্প বা নাটকীয় মিথ্যা গল্পের কথা আলোচনা হলেই ইতিহাসের পাতা থেকে "জজমিয়ার" নাম চলে আসে।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমল; ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার লক্ষ্যে তাঁর সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়। এই হামলায় ২২ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন আড়াইশর বেশি লোক, যারা এখনো গ্রেনেড হামলার ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন। তবে এই গ্রেনেড হামলার কথা উঠলেই হতাহত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি আরেকটি নাম ঘুরে ফিরে আসে। তিনি জজ মিয়া। 

গ্রেনেড হামলার ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে বিচারের প্রহসনের নামে লজ্জাজনক এক নাটক সাজায় তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপি সরকার। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ইতিহাসের পাতায় এটি ‘জজ মিয়া নাটক’ নামে জায়গা করে নেয়। গ্রেনেড হামলার সত্যিকারের অপরাধীকে আড়াল করার জন্য নিরপরাধ সিডি বিক্রেতা জজ মিয়াকে আটক করে হামলার মূল হোতা বানানোর চেষ্টা করে বিএনপি সরকার।

তেমনি আর একটি জজমিয়ার কাহিনীর মত ঘটনা ঘটেছে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের ভয়রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তদন্ত রিপোর্টে। 

গত ২৮ আগস্ট "ইটনায় সরকারি স্কুলে বেলা ১২টায় শিক্ষক আসে নাই, ক্লাস নিচ্ছেন দপ্তরী" নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। একই নিউজ বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা যেমনঃ দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক আমার সংবাদ, দৈনিক দেশবাংলা, দৈনিক আজকের পত্রিকা সহ বেশ কিছু অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশিত হবার পর কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিক তদন্তের নির্দেশ দেন ইটনা সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন কে। নির্দেশ মোতাবেক ২৯ আগস্ট তদন্ত করার জন্য ভয়রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কে তদন্ত রিপোর্ট পাঠান তদন্ত কর্মকর্তা।

০৫ আগস্ট (সোমবার) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিক তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেয়ে দুইজন সহকারী শিক্ষক মুক্তাহার ইয়াসমিন এবং পপি দাস কে শোকজ করেছেন বলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। 

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিক জানান, উপজেলা থেকে তদন্ত রিপোর্টে তিনি পেয়েছেন 'ভয়রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের নৈমিত্তিক ছুটি ছিল এবং উক্ত স্কুলে একজন সহকারী শিক্ষক ইকবাল হোসাইন যথাযথ সময়ে স্কুলে উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি স্কুলের দ্বিতীয় তলায় ক্লাসে ছিলেন।

এবার আসি নতুন "জজমিয়ার গল্পে" গত ২৮ আগস্ট প্রকাশিত সংবাদ কে মিথ্যা বানানোর জন্য জজমিয়ার গল্পের মতোই তদন্ত রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে কারন উক্ত তারিখে প্রতিবেদক সরজমিনে যখন ভয়রা স্কুলে উপস্থিত হন তখন ঘড়ির কাটায় সময় আনুমানিক সকাল সারে এগারোটা (১১:৩০) বাজে।

স্কুলে প্রতিবেদক উপস্থিত হবার পর দেখা যায় একটা স্কেল হাতে একজন ব্যক্তি ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনা করাচ্ছেন। তখন সংবাদ প্রতিবেদক ঐ ব্যক্তি পরিচয় জিজ্ঞেস করলে জানতে পারেন তিনি স্কুলের দপ্তরী, উনাকে জিজ্ঞেস করা হয় স্কুলে কোন স্যার-ম্যাডাম নাই? তখন দপ্তরী নূরে আলম প্রতিবেদক কে জানান, প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম স্যারের ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে হাসপাতালে আছেন, বাকি স্যার ম্যাডাম এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করতেছি উনারা মনে হয় রাস্তায় আছেন আপনি একটু অফিসে এসে বসেন, আমি স্যার ম্যাডামকে ফোন দিচ্ছি আর আপনার জন্য চা নাস্তার ব্যবস্থা করতেছি আপনি একটু বসেন। তখন সংবাদ প্রতিবেদক অফিস কক্ষে ঢুকতেই দেখতে পান একজন বসে আছেন তিনি উক্ত বিদ্যালয়ের নতুন কমিটির বিদ্যোৎসাহী মোঃ মাহাতুবুদ্দিন (স্কুলে স্যার-ম্যাডাম নাই এবং দপ্তরী নূরে আলম স্যার-ম্যাডাম কে ফোন দিচ্ছে ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত)।

কোন শিক্ষকদের না পেয়ে প্রতিবেদক সকাল ১১: ৩৯ মিনিটে ইটনা সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন কে মুঠোফোনে বিষয়টি জানানোর পর তিনি বিষয়টি খোঁজ খবর নিচ্ছেন জানান (রেকর্ড সংরক্ষিত)।

প্রতিবেদক বিদ্যোৎসাহী মোঃ মাহাতুবুদ্দিন কে নিয়ে স্কুলে ক্লাস গুলো দেখার জন্য দ্বিতীয় তলায় যান, তখন সাথে উক্ত স্কুলে সাবেক শিক্ষার্থী এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক ছিলেন। স্কুলের দপ্তরী নূরে আলম দ্বিতীয় তলার শ্রেণিকক্ষে তালা খুলে দেখান। তখন দ্বিতীয় তলায় ৬-৮ জন শিক্ষার্থী ছাড়া কোন শিক্ষক ছিলেন না (ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত)। স্কুলের প্রতিটা ক্লাস কক্ষ ঘুরে দেখার পর উপস্থিত সবার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় (ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত)।

তদন্ত রিপোর্টে সরকারী শিক্ষক ইকবাল হোসাইন লিখেছেন তিনি স্কুলে ছিলেন এবং ক্লাস করাচ্ছিলেন তাহলে প্রশ্ন ০১) যখন দ্বিতীয় তলায় সংবাদ প্রতিবেদক, অভিভাবক গিয়েছিলেন দপ্তরি সহ তখন তিনি কোথায় ছিলেন? ০২) দপ্তরী নূরে আলম কেন বলেন নাই একজন শিক্ষক উপরে আছেন? ০৩) একজন অপরিচিত মানুষ স্কুলে গিয়ে ছবি তুলেছেন তখন সহকারী শিক্ষক ইকবাল হোসাইন কেন উনার পরিচয় জিজ্ঞেস করলেন না? ০৪) সহকারী শিক্ষক ইকবাল হোসাইন প্রায় বারোটার সময় স্কুলে উপস্থিত হয়ে সংবাদ প্রতিবেদক চলা যাবার সময় তার সাথে কথা বলেন, বিভিন্ন রিকোয়েস্ট করেন, পরে তিনি কেন প্রতিবেদক এর নৌকা ভাড়া ২০টাকা নৌকার মাঝি কে জোর করে ধরিয়ে দেন? ০৫) সংবাদ প্রতিবেদক স্কুল থেকে চলে আসার পর

সহকারী শিক্ষক ইকবাল হোসাইন কেন সংবাদ প্রতিবেদকের মুঠোফোনে ফোন দিয়ে রিকোয়েস্ট করেন যেন উনার বিষয়টি একটু দেখার জন্য, তিনি যে ১২টার সময় স্কুলে আসছেন এই সময়টা একটু কমিয়ে লেখার জন্য ০৬) প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামকে মুঠোফোনে শিক্ষক নাই বিষয়টি অবগত করলে, তিনি তখন কেন বললেন সহকারী শিক্ষক ইকবাল হোসাইন এবং পপি দাস কিশোরগঞ্জ থেকে আসতেছেন রাস্তায় আছেন, আপনি একটু বসেন (রেকর্ড সংরক্ষিত )। তদন্ত রিপোর্ট জানাজানি র পর আলোচনা ঝড় উঠেছে সচেতন নাগরিক এবং শিক্ষক সমাজে। কেউ কেউ বলছেন ঐ দিন প্রায় ১২:০০ টার সময় ইকবাল কিশোরগঞ্জ থেকে স্কুলে এসেছে এটা আমরা সবাই জানি কিন্তু এখন তদন্ত রিপোর্ট বলতেছে ইকবাল নাকি ঐদিন স্কুলে ছিল, তদন্ত রিপোর্ট মিথ্যা। সচেতন নাগরিক সমাজের দাবি সত্য কে মিথ্যা করার জন্য এই তদন্ত রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে, আবার সঠিক ভাবে তদন্ত করা উচিত। প্রতিবেদক মোঃ মুজাহিদ সরকার বলেন, আমার তথ্য বহুল সত্য প্রতিবেদন কে মিথ্যা করার জন্য একটা অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে। তাদের উদ্দেশ্য আমার সংবাদ টি যেকোন উপায়ে মিথ্যা প্রমাণিত করার পর আমার ক্ষতি করার। সাংবাদিক মুজাহিদ সরকার আরও বলেন, হাওর এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আরও প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে ইনশাল্লাহ। 

তদন্ত রিপোর্ট পাঠানোর বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা এবং ইটনা সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ইকবাল হোসাইন যদি মিথ্যা লিখিত দিয়ে থাকেন এবং তথ্য গোপন করে থাকেন তাহলে আবার তদন্ত করে রিপোর্ট দিব এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিক জানান, তদন্ত রিপোর্টে আলোকে দুইজন সহকারী শিক্ষক কে শোকজ করেছি। শোকজ এর উত্তর আসলে সন্তুষ্টমূলক না হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিব। সহকারী শিক্ষক ইকবাল হোসাইনের তথ্য গোপন করা এবং তিনি ১২টার সময় স্কুলে এসে লিখিত তদন্ত রিপোর্টে বক্তব্য দিয়েছেন তিনি স্কুলে ছিলেন এই বিষয়ে তিনি বলেন, আপনার কাছে যত প্রমাণ আছে আমাকে পাঠান আমি দেখতেছি এই রকম হলে সেও শাস্তি পাবেন।


আরও খবর



নওগাঁয় ''সুফলা নওগাঁ এগ্রো প্রজেক্ট'' এর সু-ফল পাচ্ছে কৃষি উদ্যোক্তারা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর রাণীনগরের “সুফলা নওগাঁ এগ্রো প্রজেক্ট” একটি সমবায় ভিত্তিক একটি কৃষি প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যই নতুন নতুন জাতের উচ্চ মূল্যের ফসল ফলিয়ে সমবায় ভিত্তিক এই কৃষি প্রতিষ্ঠানটি নিজ এলাকা সহ দেশের কৃষি জগতে অগ্রনী ভূমিকা রাখায় কৃষি উদ্যোক্তাদের কাছে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। 

''সুফলা নওগাঁ'' বর্তমানে দেশের নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তাদের কাছে অনুপ্রেরণার বাতিঘর হিসেবে আলো ছড়িয়ে আসছে। 

উত্তরবঙ্গের মধ্যে প্রথম বারের মতো এই প্রজেক্টে নতুন সংযোজনের মাধ্যমে চাষ করা হচ্ছে টিস্যুকালচারের জি-৯ জাতের উচ্চ ফলনশীল কলা। দেশের সাধারণ কলার চেয়ে অধিক লাভজনক হিসেবে জি-৯ জাতের কলা বর্তমানে এই অঞ্চলের কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে চলেছে। এই কলার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে জি-৯ জাতের কলা পাঁকার এক সপ্তাহ যাবত সংরক্ষণ করা সম্ভব। এছাড়াও সাধারণ কলার চাইতে এই কলার পুষ্টিগুনও অনেক বেশি বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। 

প্রজেক্টের পরিচালক হাবিব রতন বলেন তরুন বেকার এবং প্রান্তিক কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে ২০১৯ সালে সম্মিলিত ভাবে গড়ে তোলেন “সুফলা নওগাঁ এগ্রো প্রজেক্ট” নামের ব্যতিক্রমী কৃষি প্রতিষ্ঠানটি। প্রায় ৬ মাস অর্থ সংগ্রহের পর উপজেলার চকাদিন গ্রামে দুই একর জমি ১০ বছরের জন্য লিজ নিয়ে শুরু হয় মিশ্র ফল বাগান সৃজনের কাজ। বর্তমানে তা সম্প্রসারিত হয়ে চার একর জমিতে বিস্তার লাভ করেছে। করোনাকালীন সময়ে বীজ-বিহীন চায়না-৩ লেবু চাষে সবচেয়ে বেশি পরিচিত করে তোলে সুফলা নওগাঁকে। এরপর থেকে আর পেছন ফিরে দেখতে হয়নি। বর্তমানে প্রজেক্টটি সম্প্রসারিত করে অন্যান্য স্থানে চাষ করা হচ্ছে নানা জাতের উচ্চ মূল্যের ফসল। বর্তমানে নতুন করে আশা জাগাচ্ছে উচ্চ ফলনশীল দীগন্ত জি-৯ জাতের কলা ও বানানা ম্যাংগো আম চাষ।  


জি-৯ জাতের কলা চাষ নিয়ে হাবিব রতন আরো জানান, উত্তরবঙ্গের মধ্যে এই প্রথম নওগাঁ জেলায় টিস্যুকালচারের জি-৯ জাতের কলার বাণিজ্যিক বাগান সুফলা নওগাঁর হাত ধরেই সূচিত হয়েছে। রোগ-বালাই প্রতিরোধী ও রপ্তানী যোগ্য জি-৯ জাতের কলার চাষ দারুন লাভজনক। প্রচলিত কলার গাছে প্রতিটি কাঁদিতে কলা পাওয়া যায় ৬০-১২০টি আর জি-৯জাতের কলার প্রতিটি কাঁদিতে ২০০-২৪০টি কলা পাওয়া যায়। সম্ভাবনাময় জি-৯কলা চাষ সম্প্রসারণে আগ্রহী কৃষকদের নিয়ে উদ্বুদ্ধকরণ সভা এবং প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে। আলট্রা হাইড্রেনসিটিতে ব্যানানা ম্যাংগো আম বাগানও সৃজন হয়েছে। তারা এই অঞ্চলের কৃষিকে আরো আধুনিক ও লাভজনক করতে আধুনিক প্রযুক্তিতে উচ্চ মূল্যের সবজিও চাষ করছেন এবং সেগুলো বিস্তারের আশায় আশেপাশের অঞ্চলের আগ্রহী কৃষকদের মাঝেও চারা সহজেই পৌছে দিচ্ছেন। বর্তমানে তাদের প্রজেক্টে আধুনিক ফল যেমন মাল্টা, কমলা, ড্রাগন ও অন্যান্য ফলের আধুনিক জাত চাষ করা হচ্ছে। ফলে এই প্রজেক্টে ১২-১৫ জন স্থানীয় বেকার মানুষের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হয়েছে। প্রতিদিনই এই অঞ্চল সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কৃষি উদ্যোক্তারা তাদের প্রজেক্ট পরিদর্শন করছেন। তাদের এই প্রজেক্ট দেখে অনেকেই আধুনিক লাভ জনক কৃষির প্রতি ঝুঁকছেন আর তাদের সহযোগিতা নিয়ে গড়ে তুলছেন নতুন নতুন কৃষি প্রজেক্ট। 

সিলেট থেকে এই প্রজেক্ট পরিদর্শন করতে আসেন কৃষি উদ্যোক্তা আব্দুল মোমিন। তিনি তার প্রতিক্রিয়ায় জানান দেশের কৃষিকে আরো আধুনিক ও কৃষকদের অল্প পরিশ্রমে এবং কম খরচে অধিক লাভবান করতে সুফলা নওগাঁ প্রজেক্টের অবদান অনেক। এই প্রজেক্টের মাধ্যমে কৃষি উদ্যোক্তাদের মাঝে কম মূল্যে বিভিন্ন ফসলের চারা সরবরাহ করাসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়। নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে ও জি-৯ জাতের কলার চাষসহ উচ্চ মূল্যের বিভিন্ন ফল চাষে অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছে সুফলা নওগাঁ। আমিও তাদের কাছ থেকে অনেক উচ্চ ফলনশীল জাতের চারা সংগ্রহ করেছি।

রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা হক বলেন, সুফলা নওগাঁ এগ্রো প্রজেক্ট কৃষির জগতে এক ব্যতিক্রমী নাম। আধুনিক কৃষির অনুপ্রেরণা হচ্ছে সমবায় ভিত্তিক এই প্রজেক্টটি। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সুফলা নওগাঁকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রেখেছি। পড়ালেখা শেষ করে চাকরীর পেছনে না ছুটে সুযোগ থাকলে সুফলা নওগাঁর মতো কৃষি প্রজেক্ট গড়ে তোলা সম্ভব। ডিজিটাল যুগে এখন সবকিছুই হাতে মুঠোয়। এছাড়া নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তাদের সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের সহযোগিতাও প্রদান করা হচ্ছে। তাই সুফলা নওগাঁর মতো এমন কৃষি প্রজেক্ট গড়ে তোলা সম্ভব হলে একদিকে যেমন দেশের কৃষি ও কৃষকরা আধুনিক হবে তেমনি ভাবে কৃষকরাও ফসল চাষে অধিক লাভবান হতে পারবেন। 


আরও খবর



গৌরবদীপ্ত বিজয়ের মাস ডিসেম্বর

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শুরু হলো গৌরবদীপ্ত বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। বাঙালির ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম পূর্ণতা পেতে শুরু করে ডিসেম্বরের শুরু থেকে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে এ মাসের ১৬ তারিখে চূড়ান্ত বিজয়ের মাধ্যমে বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে গৌরবের অধ্যায় রচিত হয়। বিশ্বের মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।

৩০ লাখ শহীদ আর অসংখ্য মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল এ বিজয়। তাই মহান এ মাস উদযাপনে জাতীয় কর্মসূচির পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কর্মসূচি।

এর মধ্যে, আজ বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে এক বিজয় র‌্যালি বের করা হবে। এটি স্মৃতি চিরন্তন চত্বর (উপাচার্য ভবন সংলগ্ন রাস্তা) থেকে বের হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা চত্বরে গিয়ে শেষ হবে। র‌্যালি শেষে স্বাধীনতা চত্বরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বক্তব্য রাখবেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে দেশাত্মবোধক গান (মুক্তির গান ও বিজয়ের গান) পরিবেশিত হবে।

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বাঙালি জাতি হাজার বছরের শৃঙ্খল থেকে মুক্তির লক্ষ্যে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে আসে। এ আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক শাসন, শোষণ, নির্যাতনের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আন্দোলন এক পর্যায়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়। ধারাবাহিকভাবে চলে আসা এ আন্দোলন-সংগ্রাম ১৯৭১ এর মার্চে এসে স্ফুলিঙ্গে রূপ নেয়।

৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে জাতিকে দিক নির্দেশনা দেন। বাঙালির এ স্বাধীনতার আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিতে থাকে পাকিস্তানি জান্তারা। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বর্বরোচিতভাবে বাংলাদেশের নিরীহ মানুষের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে। এরপরই ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। শুরু হয় বর্বর পাকিস্তানি বাহিনীর বাঙালি নিধন অভিযান।

তবে পাকিস্তানের এই বর্বরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় বাংলার সর্বস্তরের মানুষ। হাতে তুলে নেয় অস্ত্র, শুরু হয় রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ নয় মাস পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে চলে বাঙালির মরণপণ যুদ্ধ। বীরত্বপূর্ণ মুক্তিযুদ্ধের এক পর্যায়ে বাঙালি বিজয়ের দিকে ধাবিত হতে থাকে। ডিসেম্বর মাসে মুক্তিযুদ্ধ চূড়ান্ত বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছায়।

একপর্যায়ে বাঙালির বীরত্বের কাছে পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হয় আধুনিক অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। এই ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই মুক্তিযুদ্ধের পরিণতি বিজয়ে দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এই মাসের শুরুর দিকে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে তৎকালীন বিশ্বের দুই পরাশক্তির অবস্থান প্রকাশ্যে চলে আসে। যদিও আগে থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের পক্ষে এবং তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন (রাশিয়া) বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নেয়।

কিন্তু ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ জাহাজ পাঠায়। সঙ্গে সঙ্গে সোভিয়েত ইউনিয়নও বাংলাদেশের পক্ষে যুদ্ধ জাহাজ পাঠানোর ঘোষণা দেয়। এ ছাড়া আগে থেকেই ভারত সার্বিকভাবে বাংলাদেশে পক্ষে দাঁড়ায় এবং সরাসরি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় মিত্রবাহিনী অংশ নেয়।

শরণার্থীদের আশ্রয়, খাদ্য, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেয় ভারত। তবে পাকিস্তানের পক্ষের ছিল চীন। বাংলাদেশের বিজয়কে ঠেকাতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব আনা হলে তাতে ভেটো দেয় রাশিয়া যা বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত আরও জোরালো হয়ে উঠে।

মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ মরণপণ যুদ্ধের কাছে টিকতে না পেরে এবং বিশ্ব জনমতের চাপে পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। এই প্রেক্ষাপটে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে বাংলাদেশ। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে।

 


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করায় তিন হেবি ওয়েট প্রার্থকে শোকজ করেছে ইসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সাকিব আল হাসানকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। 

আগামী ১ ডিসেম্বর বিকালে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) মাগুরা-১ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সত্যব্রত শিকদার স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, আপনি সাকিব আল হাসান, মাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণার পর গত ২৯ নভেম্বর ঢাকা থেকে মাগুরা আগমনের সময় পথিমধ্যে কামারখালী এলাকা থেকে শোডাউন করে গাড়িবহর নিয়ে মাগুরা শহরে প্রবেশ করেন। 

নাগরিক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তাতে জনগণের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেন। যা বিভিন্ন অনলাইন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়।

 এর মাধ্যমে আপনি সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ৬(ঘ), ৮(ক), ১০ (ক) এবং ১২ ধারার বিধান লঙ্ঘন করেছেন।

 ওই আইন ভঙ্গের কারণে কেন আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা অনুসন্ধান কমিটির দপ্তরে আগামী ১ ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় সময় স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।

অন্যদিকে, বিধি ভঙ্গের কারণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানকে শোকজ করেছে ইসি। 

আজ বৃহস্পতিবার একই ধরনের চিঠি দেওয়া হয়েছে ঢাকা-১৯ থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে।

এছাড়া নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীরকেও শোকজ করা হয়েছে।

  ১ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় জবাব দিতে বলা হয়েছে।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




আবারও কমলো রেমিটেন্স

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সদ্য সমাপ্ত নভেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে। বিদায়ী মাসে বৈধ পথে ১৯৩ কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। গত অক্টোবরের চেয়ে প্রায় ৫ কোটি ডলার কম। রবিবার (৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনের এসব তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, নভেম্বরে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা। আগের মাসে যা ছিল ১৯৭ কোটি ৭৫ লাখ ডলার।

আলোচ্য মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মাধ্যমে ১৪ কোটি ৪২ লাখ ডলার এবং বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ কোটি ৩২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে পৌঁছেছে। আর বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭২ কোটি ৬৭ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫৯ লাখ ২০ হাজার ডলার।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, গত নভেম্বরের শুরুর দিকে ডলারের রেট বেশি ছিল। ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপে সংকটের মধ্যেও মার্কিন মুদ্রার দাম কমায় ব্যাংকগুলো। এতে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন প্রবাসীরা। সঙ্গত কারণে প্রবাসী আয় হ্রাস পেয়েছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের অক্টোবরে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১৯৭ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। এর আগে সেপ্টেম্বরে এসেছিল ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স পৌঁছেছে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আগস্টে এসেছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। সবমিলিয়ে চলমান অর্থবছরের (জুলাই-নভেম্বর) মোট ৫ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৮৮১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার।

২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরে তা আসে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার।


আরও খবর

উত্তাপ ভোগ্যপণ্যের বাজারে

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

দাম বাড়ল এলপি গ্যাসের

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩




নতুন সঙ্গীকে প্রকাশ্যে আনলেন শ্রাবন্তী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

টলিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের জীবনে এল নতুন সঙ্গী। অভিনেত্রী নিজেই সে সঙ্গীকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসলেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে দেওয়া পোস্টে নতুন সঙ্গীকে হাজির করেন শ্রাবন্তী। তাতে দেখা যায়, রাতের পোশাক পরে আছেন তিনি।

তার কোলে রয়েছে একটি কুকুর ছানা। ছবিতে তাকে হাস্যোজ্জ্বল দেখা যাচ্ছে। ছবিটি পোস্ট করে শ্রাবন্তী লিখেছেন, আমার রূপকথার গল্পের পরিবারে তোমাকে স্বাগত। শ্রাবন্তী এমনিতেই প্রাণীপ্রেমী। তার বাড়িতে এতদিন তিনটি প্রাণী ছিল। এবার যুক্ত হল আরও একটি।

শ্রাবন্তীর কোলে তারে পরিবারের নতুন সদস্যকে দেখে খুশি টলিউডের অনেকেই। মিমি চক্রবর্তী, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় অনেকেই মন্তব্য করেছেন তার পোস্টে।

মিমি লিখেছেন, নাম কী পুচকুটার? উত্তরে শ্রাবন্তী জানিয়েছেন পশুটির নাম রেখেছেন রোজ়।

শ্রাবন্তীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। একাধিক বিয়ে ও প্রেম নিয়েই মূলত এসব সমালোচনার মুখ পড়তে হয়েছে তাকে। তবে আপাতত ছেলে, বন্ধু এবং পোষা প্রাণীদের নিয়ে নিজের সংসার গোছাচ্ছেন শ্রাবন্তী।


আরও খবর

সৈকতে উষ্ণতা ছড়াচ্ছেন মিম !

শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3