
ইউক্রেন
যুদ্ধ নিয়ে ইউরোপীয় মিত্র ও কিয়েভের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।আজ সোমবার
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদে একটি খসড়া প্রস্তাব জমা দেওয়ার পরিকল্পনা
করছে তারা। প্রস্তাবে ইউক্রেন সংঘাতের দ্রুত অবসান করার আহ্বান জানানো হয়েছে। ব্রিটিশ
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
১৫
সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ রাশিয়ার ভেটো ক্ষমতার কারণে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারে
না। গত মাসে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের ফলে কূটনৈতিক ইস্যুতে
নাটকীয় রদবদল এসেছে। কারণ, তিনি ক্রেমলিনের সাথে ভাল সম্পর্ক স্থাপন করেছেন এবং
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ’একনায়ক’
বলে প্রত্যাখ্যান করে তীব্র চাপের মুখে ফেলে দিয়েছেন।
এই
উত্তেজনাপূর্ণ কূটনৈতিক পটভূমিতে, ইউক্রেন এবং অন্যান্য ৫০টিরও বেশি দেশ সোমবার
রাশিয়ার আক্রমণের তৃতীয় বার্ষিকীতে সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব পেশ করার
পরিকল্পনা করছে। যেখানে বলা হয়েছে যে ‘এ বছর’
যুদ্ধ শেষ করা ‘জরুরি’ এবং পরিষদের পূর্ববর্তী দাবিগুলো স্পষ্টভাবে পুনরাবৃত্তি করা হবে।
এতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার হামলা অবিলম্বে বন্ধ এবং রাশিয়ার সেনাদের অবিলম্বে
প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাধারণ পরিষদের ভোট থেকে
বিরত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কিন্তু গত
শুক্রবার জাতিসংঘে পাল্টা একটি নতুন প্রস্তাব উত্থাপন করেছে ইউক্রেনের মিত্র
যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে এই প্রস্তাব দুটি নিয়ে আলোচনা শেষে
ভোটাভুটি হবে।
শুক্রবার
গভীর রাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, মার্কিন প্রস্তাবটি সহজ
(এবং) ঐতিহাসিক। তিনি এটাকে সমর্থন জানাতে জাতিসংঘের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
সংক্ষিপ্ত
শব্দে লেখা মার্কিন খসড়াটিতে ‘সংঘাতের দ্রুত অবসানের এবং ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে স্থায়ী
শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়।’ জাতিসংঘে নিয়োজিত
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবকে ‘একটি
ভালো পদক্ষেপ’ বলে মন্তব্য করেছেন।
কূটনৈতিক
সূত্র থেকে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল
৩টায় নিরাপত্তা পরিষদের ভোটের জন্য এই প্রস্তাবটি জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।