Logo
শিরোনাম
উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নওগাঁয় মাটি ব্যবসায়ীদের নতুন কৌশল, রাতের আধারে কাটছে মাটি মাদক সেবনরত অবস্থায় ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গ্রেফতার মাভাবিপ্রবিতে দোল পূর্ণিমা উদযাপিত

ইউক্রেনে ব্যাপক হামলা রাশিয়ার

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনজুড়ে বড় ধরনের হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। রুশ এই হামলার জেরে আহত হওয়ার পাশাপাশি ধ্বংসযজ্ঞের খবর পাওয়া গেছে। মূলত নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে বিজয় দিবস পালনের আগে ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার এই হামলার খবর সামনে এলো।

নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে বিজয় দিবস হিসেবে প্রতিবছর ৯ মে ভিক্টরি ডে রাশিয়ায় ব্যাপকভাবে পালিত হয়। নাৎসি জার্মানির পরাজয়ের বার্ষিকীকে চিহ্নিতকারী এই দিবসটি রাশিয়ার জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ এবং এই দিবসের প্রাক্কালেই রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনীয় শহরগুলোতে হামলার এই ঘটনা ঘটল।

রয়টার্স বলছে, রাজধানী কিয়েভে রাশিয়ার হামলার কারণে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলেছেন। এছাড়া রাশিয়ান নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কৃষ্ণ সাগরের তীরবর্তী ওডেসা শহরে একটি খাদ্যদ্রব্যের গুদামে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এবং ইউক্রেনের অন্যান্য কয়েকটি অঞ্চলেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।

মস্কো মঙ্গলবার তার বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য নাৎসি জার্মানির পরাজয়ের এই বার্ষিকী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এ কারণে মঙ্গলবারের মধ্যে বাখমুতের দখল নিতে রুশ বাহিনী শহরটির দিকে গোলাবর্ষণ আরও তীব্রতর করেছে বলে অবরুদ্ধ শহরটির প্রতিরক্ষার দায়িত্বে থাকা ইউক্রেনের শীর্ষ জেনারেল বলেছেন।

এদিকে কিয়েভের সোলোমিয়ানস্কি জেলায় বিস্ফোরণে তিনজন আহত হয়েছেন এবং সোভিয়াটোশিন জেলায় ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে অন্য আরও দুজন আহত হয়েছেন বলে মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলেছেন। এই দুটি শহরই রাজধানী কিয়েভের কেন্দ্র থেকে পশ্চিমে অবস্থিত।

কিয়েভের সামরিক প্রশাসন বলেছে, ইউক্রেনের রাজধানীতে অবস্থিত জুলিয়ানি বিমানবন্দরের রানওয়েতে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়েছে। এতে সেখানে কোনও আগুন লাগেনি, তবে জরুরি পরিষেবাগুলো সেখানে কাজ করছে। কিয়েভে দুটি যাত্রীবাহী বিমানবন্দর রয়েছে এবং জুলিয়ানি বিমানবন্দর তার একটি।

সামরিক প্রশাসন আরও বলেছে, কিয়েভের কেন্দ্রীয় শেভচেনকিভস্কি জেলায় ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ একটি দ্বিতল ভবনে আঘাত করেছে বলে মনে হচ্ছে এবং এর ফলে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে এই ঘটনায় সম্ভাব্য হতাহতের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, তারা কিয়েভে অসংখ্য বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আক্রমণ প্রতিহত করছে। অবশ্য কিয়েভের দিকে কতগুলো ড্রোন উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।

ওডেসার সামরিক প্রশাসনের মুখপাত্র সেরহি ব্রাচুক তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে একটি বিশাল অবকাঠামোর ছবি পোস্ট করেছেন। ওই অবকাঠামোটি সম্পূর্ণরূপে আগুনে নিমজ্জিত হয়েছে। তিনি বলেছেন, এই খাদ্য গুদামের পাশাপাশি অন্যান্য স্থাপনাতেও রাশিয়া আক্রমণ চালিয়েছে।

মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশজুড়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে বিমান হামলার সতর্কতা জারি ছিল। এছাড়া খেরসনের দক্ষিণাঞ্চলে এবং দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত জাপোরিঝিয়া অঞ্চলেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

জাপোরিঝিয়াতে রাশিয়ান-নিযুক্ত স্থানীয় কর্মকর্তা ভ্লাদিমির রোগভ বলেছেন, রাশিয়ান বাহিনী এই অঞ্চলের ছোট শহর ওরিখিভে একটি গুদাম এবং ইউক্রেনীয় সেনাদের অবস্থানে আঘাত করেছে। রয়টার্স স্বাধীনভাবে এই তথ্য যাচাই করতে সক্ষম হয়নি।

পৃথকভাবে রাশিয়ান বাহিনী রোববার উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলে আটটি স্থানে গোলাবর্ষণ করেছে বলে আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসন এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে।

গত দুই সপ্তাহে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বিশেষ করে ক্রিমিয়াতেও হামলা জোরদার হয়েছে। ইউক্রেন এসব হামলার পেছনে কোনও ভূমিকা রেখেছে কিনা তা নিশ্চিত না করেই বলেছে, শত্রুর অবকাঠামো ধ্বংস করে দীর্ঘ-প্রত্যাশিত স্থল হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।

ইউক্রেনে রাশিয়ার এই আগ্রাসন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় সংঘাতের জন্ম দিয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। এছাড়া আরও লাখ লাখ লোককে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে এই সংঘাত।

 


আরও খবর



ঢাকায় হর্ণ নিষিদ্ধ এলাকায় শব্দ দূষণ সবচেয়ে বেশি

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

দূষণ মানুষের স্নায়ুগুলো ধবংস করে দেয়। ক্রমাগত শব্দ দূষণের ফলে কানের টিস্যুগুলো আস্তে আস্তে বিকল হয়ে পড়ে। তখন মানুষ আর স্বাভাবিক শব্দ কানে শুনতে পায় না। বাংলাদেশে রাজধানী ঢাকা এবং বন্দরনগরী চট্রগ্রামসহ বিভিন্ন নগর-মহানগরে এমনকি কোনো কোনো গ্রামীণ জনপদেও শব্দদূষণের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। শব্দদূষণের কুফল বিষয়ে জনসচেতনতার অভাব এবং শব্দদূষণ প্রতিরোধে যথাযথ প্রশাসনিক নজরদারী ও পদক্ষেপের ঘাটতির কারণেই এমনটি হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ৬০ ডেসিবল শব্দে মানুষের সাময়িক শ্রবণশক্তি নষ্ট ও ১০০ ডেসিবল শব্দে চিরতরে শ্রবণশক্তি হারাতে পারে। সেখানে ঢাকার প্রায় এলাকায়ই শব্দ দূষণের সর্বোচ্চ মাত্রা ১০০ পার করছে বলে জরিপে দেখা গেছে। যা চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে নগরবাসীকে।

সংবাদ সম্মেলন থেকে করণীয়গুলো তুলে ধরা হয়, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা; জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালানো; উচ্চ শব্দসৃষ্টিকারী হর্ন ব্যবহার থেকে বিরত থাকা; উচ্চ শব্দের হর্ণ আমদানী বন্ধ করা; নীরব এলাকায় হর্ণ না বাজানো ও অন্যান্য এলাকায় অপ্রয়োজনে হর্ণ না বাজানোর জন্য মোটরযান ড্রাইভারদের উদ্বুদ্ধ করা; যানবাহন নিয়মিত মেরামত করা; লাউড স্পীকারের ব্যবহারে সচেতন হওয়া; অডিও ক্যাসেটের দোকানে উচ্চ শব্দে গান বাজানো নিয়ন্ত্রণ করা; কলকারখানায় শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা; পরিবেশ অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার, নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উপর ন্যস্ত আইনসিদ্ধ দায়িত্ব ও কর্তব্য আন্তরিকতা, সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করা এবং বিদ্যমান আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা; মোবাইল কোর্ট পরিচালনা; সর্বোপরি জনগণসহ সংগশ্লিষ্ট সকলের সরকারী বিধিবিধান মেনে চলা।


আরও খবর



নওগাঁয় প্রাইভেটকার তল্লাসি, ৭২ কেজি গাঁজা সহ যুবক আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় প্রাইভেট কারে তল্লাশি চালিয়ে ৭২ কেজি গাঁজা উদ্ধার সহ মনির হোসেন (৪২) নামে এক যুবককে আটক করেছে র‍্যাব। এ সময় প্রাইভেট কার চালক কৌশলে পালিয়ে যায়। বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় নওগাঁ সার্কিট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় র‍্যাব-৫ এর কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোঃ শেখ সাদিক। গাঁজা সহ আটককৃত যুবক মনির হোসেন হলেন, সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার কুচরাই গ্রামের মোসলেমের ছেলে। জানা যায়, বুধবার মাদক ব্যবসায়ী মনির ও আলমগীর কুমিল্লা হতে নওগাঁর বদলগাছী এলাকায় প্রাইভেট কার এ গাঁজা নিয়ে আসবে। এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাবের চৌকস আভিযানিক দল নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ৪ মাথায় গোয়েন্দা নজরদারী বাড়িয়ে দিয়ে চেকপোস্ট স্থাপন করে এবং তল্লাশী করার সময় প্রাইভেট কারে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ৭২ কেজি গাঁজা ও প্রাইভেট কার সহ মুনির হোসেন কে হাতেনাতে আটক করেন। তবে চালক আলমগীর কৌশলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে প্রাইভেট কারে লুকিয়ে রাখা গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

মেজর শেখ সাদিক আরো বলেন, আটতকৃত মনির ও পলাতক আলমগীর (চালক) চিহ্নিত পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা কুমিল্লার সীমান্তবর্তী অঞ্চল হতে গাঁজার চালান সংগ্রহ করে আইন-শৃংখলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাইভেট কার নিয়ে গাঁজা সরবরাহ করে আসছিল। বুধবার দুপুরে আটককৃত মুনির হোসেন কে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরণ করেন বদলগাছী থানা পুলিশ।


আরও খবর



নওগাঁয় ছেলের লাঠির আঘাতে প্রাণ গেলো বাবার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর বদলগাছীতে ছেলের লাঠির আঘাতে আহত বাবা নূর ইসলাম (৫২) এর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল বুধবার (২০ মার্চ) ছেলে নাসিম (২০) তার বাবার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। নিহত নূর ইসলাম উপজেলার জালালপুর গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার সকাল থেকে বাবা ছেলে সাংসারিক বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। চলে বিকেল পর্যন্ত। বিকেল ৫ টার দিকে হঠাৎ করে ছেলে নাসিম ও তার বাবা নূর ইসলামের মধ্যে আবারো তর্ক শুরু হয়ে যায়। এর এক পর্যায়ে নাসিম ক্ষিপ্ত হয়ে তার বাবা নূর ইসলামের মাথায় লাঠি দিয়ে সজোরে আঘাত করে। এতে করে নূর ইসলাম আহত হয়ে পড়লে গ্রামবাসী তাকে প্রথমে আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নূর ইসলামকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এব্যাপারে বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান বলেন, নিহত নূর ইসলামের মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া এঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে এবং নিহতের ছেলে পলাতক রয়েছে।


আরও খবর



ছিনতাই হওয়া জাহাজ থেকে নাবিকদের বার্তা

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজটি ২৩ নাবিকসহ সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে গেছে দস্যুরা। বাঁচার আকুতি জানিয়ে জিম্মিরা অডিও বার্তা দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে এমভি আবদুল্লাহ নামের জাহাজটি সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে। এরপর অন্তত ১০০ জলদস্যু জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।

জাহাজে থাকা এক নাবিক জানান, প্রায় শতাধিক জলদস্যু ছোট ছোট বোটে করে প্রথমে জাহাজটিকে ঘিরে ফেলে। পরে তারা সশস্ত্র অবস্থায় জাহাজে উঠে নিয়ন্ত্রণ নেয়। এ সময় নাবিক ও ক্রুদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে জলদস্যুরা কোনো নাবিকের ওপর হামলা চালায়নি।

জানা যায়, জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়েই জলদস্যুরা সেটিকে সোমালিয়ার উপকূলের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। বর্তমানে জাহাজটি সোমালিয়ার বন্দরে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন জাহাজটির একজন নাবিক। ২৩ নাবিককে কেবিনে রাখা হয়েছে।

এরই মধ্যে জাহাজের ২৩ জন ক্রুর পরিচয় মিলেছে। জাহাজের মাস্টার হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের রাশেদ মোহাম্মদ আবদুর, চিফ অফিসার হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের খান মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ, সেকেন্ড অফিসার হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের চৌধুরী মাজহারুল ইসলাম, থার্ড অফিসার হিসেবে আছেন ফরিদপুরের ইসলাম মো. তারেকুল, ডেক ক্যাডেট হিসেবে আছেন টাঙ্গাইলের হোসাইন মো. সাব্বির।

এ ছাড়া চিফ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আছেন নওগাঁর শাহিদুজ্জামান এ এস এম, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আছেন খুলনার ইসলাম মো. তৌফিকুল, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আছেন নেত্রকোণার উদ্দিন মো. রোকন, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের আহমেদ তানভীর, ইঞ্জিন ক্যাডেট হিসেবে আছেন লক্ষ্মীপুরের থান আইয়ুব, ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে আছেন উল্লাহ ইব্রাহিম খলিল, এবিল সি-ম্যান (নাবিক) হিসেবে আছেন নোয়াখালীর হক মোহাম্মদ আনোয়ারুল, চট্টগ্রামের রহমান মো. আসিফুর, চট্টগ্রামের হোসাইন মো. সাজ্জাদ, অর্ডিনারি সি-ম্যান (সাধারণ নাবিক) হিসেবে আছেন নাটোরের মোহাম্মদ জয়, সিরাজগঞ্জের হক মো. নাজমুল, ওয়লার হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের হক আইনুল, চট্টগ্রামের শামসুদ্দিন মোহাম্মদ, বরিশালের হোসাইন মো. আলী, ফায়ারম্যান হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের শাকিল মোশাররফ হোসেন, চিফ কুক হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের ইসলাম মো. শফিকুল, জেনারেল স্টুয়ার্ড হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের উদ্দিন মোহাম্মদ নূর এবং ফাইটার হিসেবে আছেন নোয়াখালীর আহমেদ মোহাম্মদ সালেহ।


আরও খবর



বাইডেন-নেতানিয়াহুর বন্ধুত্বে ফাটল?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় বন্ধু ও সমর্থক যুক্তরাষ্ট্র। গাজা যুদ্ধের মধ্যেও এই বন্ধুত্বের প্রমাণ দিয়ে আসছিল দুই দেশ। লড়াইয়ের জন্য গোলাবারুদ সরবরাহ করে, জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চগুলোতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আটকে দিয়ে বারবার ইসরায়েলের পাশে দাঁড়াচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সেই মজবুত বন্ধুত্বে একটু একটু করে ফাটল দেখা দিয়েছে।

গত সোমবার (২৫ মার্চ) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়েছে। আর তাতে প্রথমবারের মতো কোনো আপত্তি জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি এর আগে অন্তত তিনবার ভেটো দিয়ে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছিল।

সোমবার পাস হওয়া প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি হামাসের হাত থাকা জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির শর্ত রাখা হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের ১৪টি দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। তবে ভোটদানে বিরত ছিল ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।

বাইডেন প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি হতে পারেনি ইসরায়েল। এর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

এরই মধ্যে ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের একটি প্রতিনিধি দলের সফর বাতিল করেছে তেল আবিব। গাজার রাফাহ শহরে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আলোচনার জন্য আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ছিল জ্যেষ্ঠ ইসরায়েলি নেতাদের।

রাফাহ শহরে ইসরায়েলের প্রস্তাবিত অভিযানের বিষয়ে অনেকদিন ধরেই আপত্তি জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই অভিযানের সিদ্ধান্তে অনড়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, শেষপর্যন্ত নেতানিয়াহু যদি যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি উপেক্ষা করে রাফাহ শহরে অভিযান চালান, তাহলে সেটি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষতি করতে পারে। এমনকি, এর জেরে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে অস্ত্র সহায়তা দেওয়াও স্থগিত করতে পারে।

এর মধ্যেই নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আর আপত্তি না করার সিদ্ধান্ত নিলো বাইডেন প্রশাসন।

রিপাবলিকান এবং ডেমোক্রেটিক প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সাবেক আলোচক অ্যারন ডেভিড মিলার বলেন, এর ফলে বাইডেন এবং নেতানিয়াহুর মধ্যকার বিশ্বাস ভেঙে যেতে পারে। বিষয়টি যত্ন সহকারে পরিচালিত না হলে পরিস্থিতি শুধু খারাপের দিকেই হবে।

অবশ্য গাজায় বর্বরতা চালানো ইসরায়েলকে ক্রমাগত সমর্থন দিয়ে যাওয়ায় নিজ দেশেই চাপের মুখে পড়েছিলেন বাইডেন। আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয়বার প্রার্থী হচ্ছেন এ ডেমোক্র্যাট নেতা। কিন্তু ইসরায়েল ইস্যুতে এবার মুসলিম আমেরিকানদের ভোট হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন তিনি।

স্বদেশে চাপে রয়েছেন নেতানিয়াহুও। যুদ্ধের সাত মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো হামাসকে বাগে আনতে না পারা এবং জিম্মি ইসরায়েলিদের মুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায় তার পদত্যাগের দাবি উঠেছে জোরেশোরে। চলছে আন্দোলনও।

এ অবস্থায় প্রতিনিধি দলের ওয়াশিংটন সফর বাতিলের ঘোষণা দিয়ে নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভেটো না দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের আগের অবস্থান থেকে স্পষ্ট পশ্চাদপসরণ এবং এটি ইসরায়েলের যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করবে।

 


আরও খবর