Logo
শিরোনাম

ইউক্রেনে রাশিয়ার রাজনৈতিক পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে, দাবি যুক্তরাজ্যের

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে নিয়মিত গোয়েন্দা তথ্য প্রকাশ করছে যুক্তরাজ্য। শনিবার সর্বশেষ প্রকাশিত গোয়েন্দা প্রতিবেদনে  যুক্তরাজ্য দাবি করেছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার রাজনৈতিক পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে।

ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গোয়েন্দা তথ্যে বলা হয়, রাশিয়া শুধুমাত্র ইউক্রেনের খেরসন অঞ্চলে মস্কোপন্থী নেতা বসাতে সক্ষম হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, ইউক্রেনে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, খেরসন অঞ্চলে রাশিয়া সামরিক প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে। মস্কো গণভোটের মাধ্যমে অঞ্চলটিকে তাদের সঙ্গে যুক্ত হতে বলেছে। গণভোট অনুষ্ঠিত হলে রাশিয়া সুকৌশলে তাদের স্বপক্ষে ফলাফল নিয়ে আসবে বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

তবে ইউক্রেনের শুধুমাত্র একটি অঞ্চলে রাশিয়া এটা করতে সক্ষম হলেও অধিকাংশ অঞ্চলে ব্যর্থ হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সূত্র: বিবিসি


আরও খবর

ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট?

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল ক্লাবের নেতৃত্বে রায়হান - সাজিদ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের টেক্সটাইল ক্লাবের যাত্রা শুরু হয়েছে। আজ রবিবার (২৪ মার্চ) ক্লাবটির প্রথম কার্যনির্বাহী কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সভাপতি পদে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আল রায়হান এবং সাধারণ সম্পাদক পদে একই বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ সাজিদুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। 


বিজয়ী অন্য সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি পদে লিটন মাহমুদ,  যুগ্ম সাধারন সম্পাদক পদে মুশফিকুর রহমান ইফতি, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মাহবুব আলম, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক পদে  মো: হৃদয় হোসাইন, দপ্তর সম্পাদক পদে এস.এম হাসিব , অর্থ বিষয়ক সম্পাদক পদে বিথী আফরোজ লিছা,  ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক পদে ইউসুফ চৌধুরী,   ইভেন্ট ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক পদে মিমতাজুল ইসলাম তামিম, নির্বাহী  সদস্য পদে আশিকুর রহমান,  মশিউর রহমান, আকতারুল ইসলাম, আলভী রহমান, হৈমন্তী সরকার, সৌরভ পূর্ণকর, রিজওয়ান আহমেদ তৌসিফ,  শ্রাবন্তী সরকার রাত্রি,  ফেরদাউস,  সজীব দেবনাথ,  হৃদয় হোসেন ও বাদল নির্বাচিত হয়েছেন।


টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং  বিভাগের  চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নবগঠিত টেক্সটাইল ক্লাবের সাথে সংশিষ্ট সকলকে অভিনন্দন। নবগঠিত টেক্সটাইল ক্লাব মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষা, গবেষণা এবং সহশিক্ষা-কার্যক্রমকে আরো বেগমান করবে বলে আমি আশাবাদ ব্যক্ত করছি।


টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের  সহযোগী  অধ্যাপক এ.কে.এম আয়াতুল্লাহ হোসনে আসিফ  বলেন, একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, ভ্রাতৃত্ববোধের সম্পর্ক উন্নয়ন, সর্বোপরি বিভাগের একাডেমিক এবং সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলোকে আরো গতিশীল করার জন্য উক্ত টেক্সটাইল ক্লাব অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। 


সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি আল রায়হান বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে তৈরী পোশাক শিল্প কিংবা আরএমজি সেক্টর থেকে যা টেক্সটাইলেরই অংশ। মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ  গুলোর মধ্যে অন্যতম। আমাদের অনেক দিনের স্বপ্ন একটি টেক্সটাইল-ক্লাবের যা শিক্ষক মহোদয়গণের অকুণ্ঠ সমর্থনে এবং শিক্ষার্থীদের পরিশ্রমে গঠিত হয়েছে। আশা করি, এই টেক্সটাইল-ক্লাবের মাধ্যমে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়ুয়া সকল শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। ভবিষ্যতে আমাদের ক্লাব হতে বিভিন্ন প্রকার ওয়ার্কশপ, সেমিনার, ফেস্টিভ্যাল প্রোগ্রাম আয়োজিত হবে। এই ক্লাবটির মাধ্যমে উপকৃত হবেন সকল সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং অর্জিত অভিজ্ঞতায় নিজেকে শাণিত করবেন, এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। 


প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাজিদুল ইসলাম বলেন, টেক্সটাইল ক্লাব উদ্ভাবন ও সহযোগিতার এক অসাধারণ পথ উন্মোচন করবে বলে আমরা বিশ্বাসী। টেক্সটাইল  ক্লাব তার প্রতিটি সদস্যের  নিজ নিজ অনন্য চিন্তা-ভাবনা,  দৃষ্টিভঙ্গি এবং প্রতিভা বিকাশে সাহায্য করবে। "টুগেদার ইউ ক্যান" স্লোগানের সাথে এগিয়ে যাবে এই টেক্সটাইল ক্লাব।


প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো: হৃদয় হোসাইন বলেন, মেধা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল ক্লাবকে দেশের মধ্যে সুপরিচিত করে তুলতে চাই। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল ক্লাবকে একটি দেশ সেরা ক্লাবে পরিণত করতে পারবো। যে মহৎ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে মাভাবিপ্রবি  টেক্সটাইল ক্লাবের অগ্রযাত্রা, সেই শুভযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।


প্রসঙ্গত, টেক্সটাইল ক্লাব বস্ত্র প্রকৌশলীদের ব্যবসা সম্পর্কিত ধারণা বৃদ্ধি, তাদের মধ্যে নেতৃত্বের গুনাবলি বিকাশ, পেশাদারিত্ব জাগ্রত করার পাশাপাশি পেশাদারিত্ব বিকাশের সুযোগ তৈরি করার জন্য নেতৃস্থানীয় টেক্সটাইলের পেশাদারদের সাথে শিক্ষার্থীদের সেতুবন্ধন তৈরি করবে এবং শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তার গুনাবলি অর্জন করতে করতে সাহায্য করবে।


আরও খবর



মাইজভান্ডারী তরিকার সাথে কাদেরিয়া তরিকার মজবুত সেতুবন্ধন বিদ্যমান

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: আল্লামা শেখ সৈয়দ আফিফ উদ্দিন আল জিলানি আল বাগদাদি বলেছেন, রমজানকে আমাদের সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর আস্তানা-এ-ঈছাপুরী দরবার শরিফে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। হযরত মাওলানা শাহসুফি সৈয়দ আবদুচ্ছালাম ঈছাপুরীর (রহ.) ৪০তম বার্ষিক ওরস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে মাহফিল এন্তেজামিয়া কমিটি। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভাণ্ডারী। সভায় সভাপতিত্ব করেন পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান ও মাহফিল এন্তেজামিয়া কমিটির সভাপতি সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। সৈয়দ আফিফ উদ্দিন আল জিলানি বলেন, হজরত মোহাম্মদ মোস্তফা (সা.)'র ওপর কোরআর নাজিলের পাশাপাশি রেসালত ঘোষণা হয়েছে রমজানে। ‘লা ইলাহা ইল্লাহু মুহাম্মদুর রাসুল্লাহ’ পর্যন্ত রেসালতের এই বাণিও রমজানে হয়েছে। কোরআন শরিফ মক্কার জমিনে জবলে নূরে, গারে হেরায় রাসুলের ওপর নাজিল হয়েছে; যেটি উম্মুল কিতাব, সেই কারণে মক্কার নাম হয়েছে উম্মুল কোরা। হজরত জিব্রাইলকে (আ.) ফেরেশতাদের সর্দার বলা হয়; তিনি সব ফেরেশতার সরদার হয়েছেন রাসূলের কাছে আসার কারণে। চট্টগ্রামকে ‘মদিনাতুল আউলিয়া’ সম্বোধন করে বলেন, মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফ জেয়ারত ও আবদুচ্ছালাম ঈছাপুরীর ওরসে হাজির হতে পেরেছি। এজন্য আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া শুকরিয়া। তিনি বলেন, আপনারা অত্যন্ত ভাগ্যবান; কারণ আপনারা অলি আল্লাহর শহরে জন্মগ্রহণ করেছেন। অলিদের আশপাশে আছেন। এ সময় তিনি মাইজভান্ডার দরবার শরীফ যিয়ারতকালে হযরত শাহসুফি সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী'র আতিথেয়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

মাইজভান্ডারী তরিকার সাথে কাদেরিয়া তরিকার মজবুত সেতুবন্ধন বিদ্যমান মন্তব্য করে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী বলেন, ১৫৭১ সালে আব্দুল কাদের জিলানির বংশধর সৈয়দ হামিদুদ্দিন আল কাদেরি গৌরী তিনি সে সময় বাগদাদে বিচারক ছিলেন। বাংলাদেশের তখনকার সুলতান তাকে গৌরে নিয়ে আসেন বিচারের কাজ করার জন্য। সে থেকেই তারা এ দেশেই রয়ে গেছেন। এরপর তিনি চট্টগ্রামে চলে যান। আমাদের পূর্বপুরুষরা চট্টগ্রামে ইসলামের অনেক খেদমত করেছেন। এ ধারাবাহিকতায় মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফে আমাদের পূর্বপুরুষরা অবস্থান করেন। তিনি আরো বলেন, হজরত গাউছুল আজম সৈয়দ আবদুল কাদের জিলানির (রা.) বংশধর মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ জেয়ারত করেছেন। তাসাউফ তরিকত সহ সমসাময়িক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমাদের মাঝে আলোচনা হয়েছে। এতে কাদেরিয়া তরিকার সাথে মাইজভান্ডারী তরিকার সেতুবন্ধন আরও মজবুত হয়েছে। আমরা একসঙ্গে সারা বিশ্বে ইসলাম ও কাদেরিয়া তরিকার জন্য কাজ করবো। ফিলিস্তিনের মুসলমানদের ওপর নির্যাতন চলছে। তারা সেহেরি ও ইফতার পর্যন্ত করতে পারছে না। আমরা দোয়া করছি, ইহুদি-নাসারাদের নির্যাতন মোকাবেলায় আল্লাহ পাক মজলুম ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদেরকে শক্তি দান করুক। প্রধান আলোচক আরো বলেন, আমরা চেষ্টা করি মানুষকে আলোকিত করার। কারণ একজনকে আলোকিত করলে তার মাধ্যমে ১০০ মানুষ আলোকিত হবে। এ ১০০ মানুষের সঙ্গে যারা সম্পর্ক রাখবে তারাও আলোকিত হবে। এভাবে হাজার হাজার মানুষ আলোকিত হবে। সুফিবাদের মাধ্যমে ইসলামকে ছড়িয়ে দেওয়াই মাইজভাণ্ডার শরিফসহ সুফি দরবারগুলোর মূল উদ্দেশ্য। সুফিজমই হচ্ছে আসল ইসলাম যারা মানুষের ক্ষতি করে না। সব সময়ই কল্যাণ চিন্তা করে। কারণ ইসলাম হচ্ছে শান্তি, কল্যাণ ও সম্প্রীতির ধর্ম। সে ধারাতেই মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফ যুগ যুগ ধরে পরিচালিত হচ্ছে।

৪০ তম এই ওরস মাহফিলে শেখ সৈয়দ আফিফ উদ্দিন আল জিলানির শাহজাদা শেখ সৈয়দ আবদুর রহমান আল জিলানি আল বাগদাদি, শাহসুফি সৈয়দ আবদুচ্ছালাম ঈছাপুরীর আওলাদ শাহজাদা সৈয়দ সফিউল আজম, সৈয়দ আশরাফুজ্জামান, সৈয়দ আমানুল্লাহ আহসান, সৈয়দ এহসানুল করিম, সৈয়দ ফয়জুল আজিম ও সৈয়দ মশিউর রহমানসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ফরিদপুরে বাস-পিকআপ ভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১৩

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

ফরিদপুরের কানাইপুরে বাসের সঙ্গে পিকআপের সংঘর্ষের ঘটনায় আরও দুইজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল আটটার দিকের ওই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৩ জনে।

দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর দুইজনের মৃত্যু হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। অন্য ১১ জন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।

এর আগে ১১ জনের প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন ফরিদপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিরাজ। তিনি বলেন, সকাল আটটার দিকে কানাইপুরের তেঁতুলতলা এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ইউনিক পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত ব্যক্তিদের নামপরিচয় জানাতে পারেননি এসআই মিরাজ। তিনি বলেন, নিহতরা পিকআপের যাত্রী ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তারা পিকআপে চড়ে আলফাডাঙ্গা থেকে ফরিদপুর যাচ্ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।


আরও খবর



১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি ‘বিপর্যয়কর ক্ষুধার’ সম্মুখীন

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় টানা ছয় মাস ধরে আকাশ ও স্থলপথে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ওই ভূখণ্ডটিতে তীব্র মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বাড়ছে খাদ্য সংকট। এর ফলে গাজার ১০ লাখেরও বেশি মানুষ তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, যুদ্ধের কারণে গাজায় নজিরবিহীন মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। ১০ লাখের বেশি মানুষ বিপর্যয়কর ক্ষুধার সম্মুখীন

সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, গত ৭ অক্টোবরে পর থেকে গাজায় নিহতের সংখ্যা থামছেই না। এতে এখন পর্যন্ত এক লাখ সাত হাজারের বেশি মানুষ হতাহত হয়েছেন।

এদিকে গাজায় গণহত্যার বিষয়ে সতর্ক করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল ইসরায়েলের কাছে সব ধরনের অস্ত্র বিক্রি বন্ধের দাবি জানিয়েছে। কারণ ইসরায়েলের হামলায় এরই মধ্যে গাজায় ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।

এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাস করেছে সংস্থাটি। ৪৭ সদস্যের সংস্থাটিতে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ২৮টি। বিপক্ষে ৬টি ও ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে ১৩ দেশ।

গত বছরের ৭ অক্টোবর সীমান্ত ভেঙে ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। ওই হামলার প্রতিশোধ নিতে সেদিন থেকেই গাজায় আকাশপথে হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। পরে স্থল অভিযানও শুরু করে দেশটি।

ইসরায়েলি হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হামলায় পুরো গাজা ভূখণ্ড প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

দখলদার ইসরায়েলি হামলায় গত ছয় মাসে এক লাখের বেশি মানুষ হতাহত হয়েছেন। হামলায় অন্তত ৩৩ হাজার ৯১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৫ হাজার ৭৫০ জন।


আরও খবর

ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট?

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিন দিন বাড়ছে বায়ুদূষণ। রাজধানী ঢাকাও দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণের কবলে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলে শহরটির বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি হয়। কিন্তু কয়েক দিনের তীব্র গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় ঢাকার বাতাস স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫৭ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে মেগাসিটি ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

তবে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২২৫ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। এ ছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু শহরের স্কোর ১৭৬, তৃতীয় অবস্থানে থাকা মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহরের স্কোর ১৬৩ আর ১৫৭ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর