Logo
শিরোনাম

জামালপুর ও নেত্রকোনায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

জামালপুর ও নেত্রকোনা জেলায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। তবে ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলায় বন্যা পরিস্থিতি একই অবস্থায় থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় দেওয়া সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ সংস্থাটি।

বৃহত্তর ময়মনসিংহ এবং উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় মানুষের দুর্ভোগও বেড়েছে। মৌসুমি বৃষ্টি এবং উজানের পাহাড়ি ঢলেই এ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের প্রকৌশলীরা

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, জামালপুর ও নেত্রকোনা জেলায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে। তবে ময়মনসিংহ ও শেরপুরে পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, ময়মনসিংহ বিভাগের কংস, জিঞ্জিরাম, সোমেশ্বরী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ছে। ভোগাই নদের পানি স্থিতিশীল রয়েছে। শেরপুর জেলার ভোগাই নদ, নাকুয়াগাঁও এবং জামালপুর জেলার জিঞ্জিরাম নদী গোয়ালকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে

আবহাওয়া অধিদপ্তরসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য বিশ্লেষণ করে বলা হয়, আগামী তিন দিন ময়মনসিংহ বিভাগ এবং উজানে অতিভারী বৃষ্টি কম হতে পারে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২৪  ঘণ্টা পর্যন্ত ভোগাই নদের পানি ধীরগতিতে কমতে পারে। এতে শেরপুর ও ময়মনসিংহ জেলার ভোগাই নদসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে জামালপুর জেলার জিঞ্জিরাম নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে। অন্যদিকে আগামী ২৪  ঘণ্টায় নেত্রকোনা জেলার কংস নদ ও  সোমেশ্বরী নদীর পানি সমতল বিপৎসীমা অতিক্রম করে সংশ্লিষ্ট কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে৷ তবে পরের দুই দিনে কংস, জিঞ্জিরাম, সোমেশ্বরী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে এবং জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে

রংপুর বিভাগের ব্রহ্মপুত্র নদ ও তার ভাটিতে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী পাঁচ দিন পর্যন্ত নদ-নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী তিন দিন পর্যন্ত সিলেট বিভাগ ও এর কাছাকাছি উজানে অতিভারী বৃষ্টির প্রবণতা কম। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী দুই দিন সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি ধীরে বাড়বে। তবে তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে


আরও খবর



ঢাকায় বাড়তে পারে তাপমাত্রা

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

রাজধানী ঢাকা এবং আশপাশের অঞ্চলের দিনের তাপমাত্রা আজ দুপুর পর্যন্ত আগের তুলনায় কিছুটা বাড়তে পারে। সেইসঙ্গে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। আবহাওয়া শুষ্ক থাকার সম্ভাবনাই বেশি।

বুধবার আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। দিনের তাপমাত্রাও সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। আর এসময় দক্ষিণ-পশ্চিম অথবা দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।

পূর্বাভাসে আরো জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৬ শতাংশ। আর মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়নি বলেও জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে মঙ্গলবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সারা দেশের আজকের সম্ভাব্য পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সেইসঙ্গে রাজশাহী, পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলাগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তার লাভ করতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর



তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০.৮৪ শতাংশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ |

Image

চলতি অর্থবছরের (২৪-২৫) জুলাই-মার্চ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মাসের দেশভিত্তিক রপ্তানি তথ্য থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

জানা গেছে, এই সময়ে ৩০ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। যা পোশাক খাতের স্থিতিস্থাপকতা এবং সম্ভাবনা তুলে ধরে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

তথ্য থেকে জানা যায়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের মোট রপ্তানির ৪৯ দশমিক ৮২ শতাংশই রপ্তানি হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নে। যার মোট বাজার মূল্য ১৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।

এরপরেই রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজার। এ বাজারে মোট রপ্তানি হয়েছে ৫ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক। যা মোট রফতানির ১৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ। যেখানে কানাডার মোট বাজার অংশ ছিল ৯৬৩ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ডলার। যার বাজার অংশ ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। যুক্তরাজ্যের বাজারও গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যার রপ্তানি মূল্য ৩ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশের মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির ১১ দশমিক ১০ শতাংশ ।

প্রবৃদ্ধির দিক থেকে ইইউতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বছরের পর বছর ধরে উল্লেখযোগ্যভাবে ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখিত সময়ে যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৭ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং কানাডা ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, যুক্তরাজ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানি ৪ দশমিক ১৪ শতাংশ এর একটি সামান্য প্রবৃদ্ধির হার প্রদর্শন করেছে।

ইইউর মধ্যে, জার্মানি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার হিসেবে দাঁড়িয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ ৩ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার, স্পেন ২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার, ফ্রান্স ১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার, ইতালি ১ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার, পোল্যান্ড ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার এবং নেদারল্যান্ডস ১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার।

প্রবৃদ্ধির হার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল- জার্মানি (১০ দশমিক ৭২ শতাংশ), ফ্রান্স (১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ), নেদারল্যান্ডস (২৩ দশমিক ১৫ শতাংশ), পোল্যান্ড (১০ দশমিক ৩২ শতাংশ), ডেনমার্ক (১২ দশমিক ৮০ শতাংশ) এবং সুইডেন (১৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ) ।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতেও অপ্রচলিত বাজারে প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, সামগ্রিকভাবে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে মোট রফতানি ৫ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা বাংলাদেশের মোট রফতানির ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ দখল করেছে।

এই বাজারগুলোর মধ্যে জাপান মোট ৯৬০ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন ডলার আমদানি করে শীর্ষে রয়েছে, তারপরে অস্ট্রেলিয়া ৬৫৩ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন ডলার এবং ভারত ৫৩৫ দশমিক ১৫ মিলিয়ন ডলার আমদানি করে।

তুরস্ক এবং মেক্সিকোর মতো দেশগুলোতেও উল্লেখযোগ্য রফতানি হয়েছে। তুরস্কে ৩৫৭ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার এবং মেক্সিকোতে ২৫১ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার, যা প্রশংসনীয়। উল্লেখিত সময়ে ভারতে ২০ দশমিক ৪৫ শতাংশ, জাপান ১০ দশমিক ০৬ শতাংশ, মেক্সিকো ২৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং তুরস্কের ৩২ দশমিক ৫৪ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

রিপোর্টে দেখা গেছে, এই সময়কালে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, তুরস্ক এবং মেক্সিকোতে প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক থাকলেও রাশিয়া, কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মালয়েশিয়ায় রফতানি হ্রাস পেয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া এবং কোরিয়ায় নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি এই বাজারগুলোতে আরও গুরুত্বসহকারে রফতানি বাজার দেখা দরকার।

নিটওয়্যার খাত মোট ১১ দশমিক ২২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে। ওভেন সেক্টরেও ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে প্রবৃদ্ধি ধীর হলেও অপ্রচলিত বাজারে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পয়েছে।

রফতানির চলমান প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে ইইউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল। যা বাংলাদেশের প্রধান বাজার হিসেবে অব্যাহত রয়েছে। যা এই ক্ষেত্রগুলির মধ্যে আরও সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়।

বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক, বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘এটি আমাদের মোট রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে প্রধান ঐতিহ্যবাহী বাজারের তাৎপর্য প্রদর্শন করে।’ তিনি আরও বলেন, অপ্রচলিত বাজারে মাঝারি প্রবৃদ্ধি এই বিভাগে আরও গবেষণা এবং মনোযোগের গুরুত্বকে তুলে ধরে, কারণ এর যথেষ্ট প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে, যা ঐতিহ্যবাহী বাজারের ওপর নির্ভরতা ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করবে।

রুবেল বলেন, স্থায়ী বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা ক্রমাগত বৈশ্বিক পরিবেশকে পুনর্গঠন করছে। এমন সুযোগ তৈরি করছে যা বাংলাদেশ সুবিধা নিতে পারে।

সূত্র : বাসস


আরও খবর



রাখাইনে করিডর বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি: বিএসপি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি বিএসপি’র জাতীয় স্থায়ী পরিষদের এক সভা ১ মে ২০২৫খ্রি: বৃহস্পতিবার পার্টির কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে  বিএসপি’র চেয়ারম্যান ড. শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারীর  সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভা পরিচালনা  করেন পার্টির মহাসচিব  বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আব্দুল আজিজ সরকার। সভায় সম্প্রতি রাখাইনে করিডর ও নারীর সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক  বিএসপি চেয়ারম্যান ড. শাহজাদা  সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী  বলেন, 

তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে রাখাইনে মানবিক করিডর প্রদানের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ঝুঁকিতে ফেলে রাখাইনে যেকোন ধরনের করিডর প্রদান থেকে বিরত থাকতে হবে। আমরা বিশ্বের বুকে নতুন করে আরেকটি গাজা/ফিলিস্তিন দেখতে চাই না। সার্বভৌমত্ব ইস্যুতে সকল রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনার মাধ্যমে জাতীয় সিদ্ধান্ত  গ্রহন করতে হবে। সর্ত সাপেক্ষে মানবিক করিডরের বিষয়ে  অন্তবর্তী সরকারের কাছ থেকে আমরা সুস্পষ্ঠ বক্তব্য আশা করছি।

নারী সংস্কার কমিশনের  প্রস্তাবের বিষয়ে বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী যেকোন সংস্কার প্রস্তাবনা বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি প্রত্যাখ্যান করছে। কেননা, নারী সংস্কার কমিশনের কিছু প্রস্তাবনা সরাসরি কোরআন-সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক।

মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে তিনি বলেন, আধুনিক সভ্যতার মুল কারিগর হচ্ছে শ্রমিক ভাই-বোনেরা। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য মজুরী পায় না। পারিশ্রমিক তাদের হক। শ্রমিকদের পারিশ্রমিক তাদের ঘাম শুকানোর আগে পরিশোধ করার তাগিদ দিয়েছেন রাসুলুল্লাহ সাঃ। আধুনিক বিশ্বে শ্রমিকদেরকে আত্মমর্যাদা নিয়ে বাঁচতে হলে তাদের যুগোপযোগী মজুরি/বেতন নির্ধারণ ও প্রদান জরুরী। এসময় নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনে আইন সংশোধন করার আহবান জানান বিএসপি চেয়ারম্যান।সভায় আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত নেতা মাওলানা  রইস উদ্দিন হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে রইস উদ্দিন হত্যার মামলা গ্রহন করে অপরাধিদের কঠোর স্বাস্থির দাবি  জানান। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএসপি ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা রুহুল আমিন ভূঁইয়া, মুফতি মাওলানা খাজা বাকি বিল্লাহ্ আল আযহারী, অতিরিক্ত মহাসচিব ও স্থায়ী পরিষদ সদস্য মো: আবুল  কালাম আজাদ, স্থায়ী পরিষদ সদস্য মো: আসলাম হোসাইন, মো: ইব্রাহিম মিয়া, শাহ্ আলম অভি, মিরানা জাফরিন  চৌধুরী, সিমা আক্তার প্রমূখ।


আরও খবর



সিন্ধু নদে বাঁধ দিলে হামলা করবে পাকিস্তান

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

পাকিস্তানে সিন্ধু নদের পানিপ্রবাহ বন্ধ করতে ভারত যদি তার সীমানায় এই নদের ওপর বাঁধ বা এ জাতীয় কোনো স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়, সেক্ষেত্রে সামরিক হামলা চালাবে পাকিস্তান। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহম্মদ আসিফ এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন।

শুক্রবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের ‘নয়া পাকিস্তান’ টেলিভিশন প্রোগ্রামে অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন খাজা আসিফ। সেখানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “শুধু বন্দুকের গুলি বা কামানের গোলা ছুড়লেই আগ্রাসন হয় না। বহুভাবে আগ্রাসন চালানো যায়। যেমন সিন্ধু নদের পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া বা পানিপ্রবাহকে ভিন্নপথে চালিত করাও একপ্রকার আগ্রাসন। কারণ এর ফলে ক্ষুধা ও তৃষ্ণার কারণে মৃত্যু হবে লাখ লাখ মানুষের।”

“তাই সিন্ধু নদের পানিপ্রবাহ আটকাতে যদি তারা (নয়াদিল্লি) বাঁধ বা এই জাতীয় স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে— সেক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবেই আমরা আঘাত করব এবং সেই স্থাপনা ধ্বংস করব।”

“তবে আপাতত আমরা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে বিষয়টি (সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি) নিয়ে আলোচনা করছি এবং নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।”

গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যের পেহেলগাঁও জেলার বৈসরণ তৃণভূমিতে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় কাশ্মিরভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই তৈয়বার উপশাখা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট।

স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে হামলাকারীরা অন্তত ২৬ পর্যটককে গুলি করে হত্যা করে, আহত হন আরও বেশ কয়েকজন। নিহতরা সবাই পুরুষ। বস্তুত, ২২ এপ্রিলের হামলা ছিল ২০১৯ সালের পুলোয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মিরে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা।

ভয়াবহ এই হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত এবং তাৎক্ষণিকভাবে সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত, দূতাবাস থেকে কূটনীতিকদের ফিরিয়ে আনা, ভারতে অবস্থানরত পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিলসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয় নয়াদিল্লি।

এদিকে পেহেলগামের হামলার সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করে ইসলামাবাদ। তবে নয়াদিল্লির শাস্তিমূলক পদক্ষেপের পাল্টা জবাব হিসেবে ভারতের জন্য নিজেদের স্থল ও আকাশসীমা বন্ধ, পাকিস্তানে অবস্থানরত ভারতীয়দের ভিসা বাতিল, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য স্থগিতসহ একাধিক পদক্ষেপ নেয় পাকিস্তানও।

এ হামলাকে ঘরে গত ১১ দিন ধরে তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দুই চিরবৈরী প্রতিবেশী দেশেল মধ্যে। গত মঙ্গলবার ভারতের শীর্ষ সেনা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বৈঠকে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে পাকিস্তান হামলার জন্য সবুজ সংকেত তিনি দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনী এখনও কোনো সামরিক পদক্ষেপ নেয়নি, তবে খাজা আসিফ মনে করেন— এখনও দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

“যুদ্ধের হুমকি আমরা এড়িয়ে যেতে পেরেছি— এখনও এমনটা ভাবার সময় আসেনি”, জিও নিউজকে বলেন খাজা আসিফ।


আরও খবর



১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গুজরাটে গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

এক হাজারের বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে ভারতের পশ্চিম উপকূলীয় রাজ্য গুজরাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতভর রাজ্যের আহমেদাবাদ ও সুরাটে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ওই বাংলাদেশিরা গ্রেপ্তার হয়েছে। শনিবার গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি এই তথ্য জানিয়েছেন বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে কমপক্ষে ৮৯০ বাংলাদেশি ও সুরাটে ১৩৪ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে গুজরাটে এখন পর্যন্ত এটিই বৃহত্তম অভিযান বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি।

গুজরাটে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই নির্দেশ উপেক্ষা করে রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের গ্রেপ্তারের পর নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গুজরাটের এই মন্ত্রী।

ভিডিও কনফারেন্সে রাজ্যের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি বলেছেন, ‘‘অবৈধ বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তারে রাজ্য পুলিশ ঐতিহাসিক সাফল্য দেখিয়েছে। আহমেদাবাদ পুলিশ ৮৯০ এবং সুরাট পুলিশ ১৩৪ বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। রাজ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে গুজরাট পুলিশের এটিই সবচেয়ে বড় অভিযান।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশিরা গুজরাটে আসার আগে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থান করেন। সেখানে তারা জাল নথি ব্যবহার করেছিলেন। গুজরাটের এই মন্ত্রী বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অনেকেই মাদক চোরাচালান ও মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত। আমরা দেখেছি, সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা চার বাংলাদেশির মাঝে দু’জন কীভাবে আল-কায়েদার স্লিপার সেলে কাজ করেছেন। গুজরাটে এই বাংলাদেশিদের কার্যক্রমের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করা হবে।

হর্ষ সাংঘভি বলেন, শিগগিরই ওই বাংলাদেশিদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘‘তারা ভারতে ও গুজরাটের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছানোর জন্য যে জাল নথি ব্যবহার করতেন, সেই বিষয়ে তদন্ত করা হবে। একই সঙ্গে যারা তাদের জাল নথি তৈরি করে দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর