Logo
শিরোনাম
উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নওগাঁয় মাটি ব্যবসায়ীদের নতুন কৌশল, রাতের আধারে কাটছে মাটি মাদক সেবনরত অবস্থায় ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গ্রেফতার মাভাবিপ্রবিতে দোল পূর্ণিমা উদযাপিত

জামালপুরের বকশীগঞ্জে শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের বকশীগঞ্জে নিলাক্ষিয়া আর.জে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পিরামিড মিয়ার (পিরামিড বিএসসি) অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন-বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থী অভিভাবকরা। মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয় মাঠে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধনে সহকারী শিক্ষক পিরামিড মিয়াকে চরিত্রহীন, দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে তার শাস্তি ও অপসারনের দাবি জানানো হয়। শিক্ষার্থী অভিভাবকদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অভিভাবক সালেহ আহম্মেদ ময়না,কালু মিয়া,খাদর আলী,হাবিবুর রহমান ও ইউসুফ আলী সরকার প্রমূখ। 

মানববন্ধনে বক্তব্য কালে শিক্ষার্থী অভিভাবক হাবিবুর রহমান বলেন,নিলাক্ষিয়া আর.জে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পিরামিড মিয়ার বিরুদ্ধে সীমাহীন অভিযোগ রয়েছে। স্ত্রী সন্তান থাকার পরেও সনাতন ধর্মাবলম্বী এক ছাত্রীকে বাগিয়ে বিয়ে করেছিলেন তিনি। নারী নির্যাতন মামলায় দুইবার জেলও খেটেছেন। শিক্ষার্থী অভিভাবকদের সাথে সব সময় অশালীন আচরন করেন এই শিক্ষক। তার কাছে প্রাইভেট না পড়লে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। আমরা এই দুর্নীতিবাজ শিক্ষকের অপসারণ চাই। 

অভিভাবক খাদর আলী বলেন, বিদ্যালয়ের সামনেই পিরামিড মিয়ার বাড়ি। যে কারনে সে সব সময় প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে অসদাচরণ করেন। বিদ্যালয়ের পাশেই তার নিজের একটি লাইব্রেরী রয়েছে। তার লাইব্রেরী থেকে শিক্ষার্থীরা যদি খাতা কলম না কিনে তাহলে ক্লাসে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে অসাদাচরন করেন তিনি। এর আগেও একাধিকবার তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। এছাড়া তার অপসারণের জন্য বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক কর্মচারী সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি। 

স্থানীয় বাসিন্দা ইউসুফ আলী সরকার বলেন, পিরামিড বিএসসির কাছে প্রাইভেট না পড়লে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতায় নম্বর কম দেওয়া এমনকি ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। তার দোকান থেকে বেশি দামে শিক্ষার্থীদের খাতা কলম কিনতে বাধ্য করা হয়। এছাড়া এই শিক্ষক সকলের সাথে খারাপ আচরণ করেন। তাই এলাকাবাসীর দাবি এই দুর্নীতিবাজ শিক্ষকের অপসারণ। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষক পিরামিড মিয়া বলেন,আমার একটি দোকান রয়েছে সেটিতে আমি অবসর সময়ে বসি। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। 

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ সুজা উদ্দিন বলেন, সহকারী শিক্ষক পিরামিড মিয়ার বিরুদ্ধে মানবন্ধনের বিষয়টি বিদ্যালয়ের সভাপতির মাধ্যমে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। 

এ ব্যাপারে নিলাক্ষিয়া আর.জে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাত্তার বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভা আহবান করা হবে। সভায় সকলের সিদ্ধান্তমতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



মাহে রমজান: প্রথম তারাবিতে মুসল্লিদের ঢল

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

মুসলিম উম্মাহর কাছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের অমিয় বার্তা নিয়ে ফের এসেছে পবিত্র মাহে রমজান। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে রমজান শুরু। সোমবার (১১ মার্চ) বাদ এশা দেশের মসজিদে মসজিদে তারাবির নামাজের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এর আনুষ্ঠানিকতা। ভোররাতে সেহরি খেয়ে রোজা রাখা শুরু করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

রাতে এশার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের মসজিদে মসজিদে আদায় করা হয় তারাবির নামাজ। প্রথম তারাবির জামাতে নামে মুসল্লিদের ঢল। পাঞ্জাবি-পাজামা পরে জায়নামাজ নিয়ে মুসল্লিরা ছোটেন মসজিদের দিকে।

সিলেটেও ধর্মপ্রাণ মানুষ আদায় করছেন তারাবির নামাজ। হজরত শাহজালাল (র.)-এর দরগাহ মসজিদে তারাবিহ নামাজে অংশ নেন অসংখ্য মুসল্লি। একই সঙ্গে সিলেটের সব মসজিদেও মুসল্লিরা তারাবির জামাতে অংশ নেন।

সন্ধ্যার পর থেকেই খুলনার বিভিন্ন মসজিদে তারাবির নামাজ আদায়ে মুসল্লিদের ভিড় বাড়তে থাকে। কোথাও কোথাও দলবেঁধে, কোথাও পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে তারাবিহ নামাজ আদায়ে মসজিদে আসেন। খুলনার সব মসজিদই অল্প সময়ে পূর্ণ হয়ে যায়। নামাজ শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ ও বাংলাদেশের জন্য দোয়া করেন ইমামরা।

এদিকে পবিত্র রমজানে খতম তারাবি পড়ার সময় সারা দেশে সব মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

আলেমরা জানান, দীর্ঘ ১১ মাসের পাপ পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত হওয়ার অপূর্ব সুযোগ এনে দেয় রমজান। পবিত্র রমজানের আগমনে মুসলিম সমাজ ও ইসলামি জীবন ধারায় এক বিরাট সাফল্যের সৃষ্টি হয়। রমজান হলো ইবাদতের বসন্তকাল। আল্লাহপাক ইবাদতপাগল বান্দাদের ক্ষমা করার জন্য সব আয়োজন করে রাখেন। এ মাসে একটি ফরজ আমলের মূল্য অন্য সময় ৭০টি ফরজ আমলের সমপরিমাণ।


আরও খবর



মুসলিম বিশ্বের কল্যাণ কামনা প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম বিশ্বের উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেছেন।

সোমবার রাতে রমজান উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এতে তিনি বলেছেন, মহান আল্লাহ আমাদের জাতীয় জীবনে পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষা কার্যকর করার তাওফিক দান করুন। মাহে রমজান আমাদের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল শান্তি। সবার জীবন মঙ্গলময় হোক। পবিত্র মাহে রমজানে আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম জাহানের উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করছি।

দেশবাসী ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর প্রতি আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সিয়াম সাধনা ও সংযমের মাস পবিত্র মাহে রমজান আমাদের মাঝে সমাগত। পবিত্র এ মাসে আত্মসংযমের মাধ্যমে আত্মার পরিশুদ্ধি ঘটে ও সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি, নৈকট্যলাভ এবং ক্ষমা লাভের অপূর্ব সুযোগ হয়। সিয়াম ধনী-গরিব সবার মাঝে পারস্পরিক সহমর্মিতা, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা পালন করে।

বাণীতে পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যাবতীয় ভোগবিলাস, হিংসা-বিদ্বেষ, উচ্ছলতা ও সংঘাত পরিহার এবং জীবনের সর্বস্তরে পরিমিতিবোধ, ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শনের মাধ্যমে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন, সব ধরনের কুসংস্কার পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠা করি। সিয়াম পালনের পাশাপাশি বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করি ও ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকি। মহান আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন, আমিন।


আরও খবর



উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের   সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন টেক্সটাইল  অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের  আয়োজনে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার  (২৭ মার্চ ) নানা আয়োজনে সালামের রান্নাঘর জমজম টাওয়ার  ঢাকা উত্তরায় এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো: আবু বক্কর সিদ্দিকী, টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন  সাধারণ সম্পাদক অমিত সরকার, টেক্সটাইল ক্লাবের সভাপতি আল রায়হান ও সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক  সম্পাদক মাহবুব আলম তাছাড়া এই সময় বিভাগটির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।


টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো: আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন অ্যালামনাই এসোসিয়েশন, শিক্ষক এবং টেক্সটাইল ক্লাব, সমন্বয় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এগিয়ে যাবে,টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীদের  পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

টেক্সটাইল  অ্যালামনাই এসোসিয়েশন সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শরিফুল রহমান রাকেশ বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে এবং সামনের দিনগুলোর চ্যালেন্জ মোকাবেলা করবার জন্য “সংঘবদ্ধতা থাকা ” জরুরী এবং আবশ্যক ! আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি ব্যক্তিগত সাফল্যের ঊর্ধ্বে সামষ্টিক তথা সংঘবদ্ধ  সাফল্যই পারে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বস্ত্র প্রকৌশল বিভাগের সুনাম উত্তোরত্তর বৃদ্ধি করতে ! সেই সূত্রে গ্রন্থিবদ্ধ হয়ে  বিভাগের শিক্ষকমহোদয়গণ, এলামনাই এসোসিয়েশন এবং নবগঠিত টেক্সটাইল ক্লাবসহ সকলকে একত্রে কাজ করবার অনুরোধ জানাই !

এসময় টেক্সটাইল  অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা শিক্ষাজীবনের স্মৃতিচারণ করেন এবং যেকোনো প্রয়োজনে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।


আরও খবর



নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট স্থগিত

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

দাবি মানার আশ্বাসে নৌযান ধর্মঘট কর্মসূচি স্থগিত করেছে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন। সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক সরকারি কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম জানান, আমরা কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করেছি। দাবি মানতে গড়িমসি করলে আবারও আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। তিনি জানান, শপথ নেওয়ার পর শ্রম প্রতিমন্ত্রী আজ প্রথম অফিস করলেন। তিনি শিগগিরই আমাদের সঙ্গে আবার বসবেন। আশা করি আমাদের দাবি দ্রুত সমাধান করবেন।

১১ দফা দাবি আদায়ে সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে সারাদেশে নৌধর্মঘট পালনের কথা ছিল। কর্মসূচি স্থগিত করার ফলে সারাদেশে নৌযান চলাচল অব্যাহত থাকবে।

নৌযানশ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, পুলিশি হয়রানি বন্ধ করাসহ ১১ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা করে নৌযানশ্রমিকেরা। দাবির পক্ষসমর্থনে দতরাল বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন নৌযানশ্রমিকেরা।

দাবিগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে, নৌযানশ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস দেওয়া, নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ডাকাতি-ছিনতাই ও পুলিশি হয়রানি বন্ধ করা, নৌপথের নাব্যতা রক্ষা, নৌযানশ্রমিকদের পরিচয়পত্র ও নিয়োগপত্র দেওয়া, রাতে চলাচলের জন্য নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা। এ ছাড়া সব মালিক সমিতিকে এক প্ল্যাটফর্মে এনে সব বন্দরে পণ্য পরিবহন, মালিকপক্ষের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক অমীমাংসিত বিষয়ে আবার চুক্তি করা। চট্টগ্রাম বন্দরে নিরাপদে জাহাজ রাখার জন্য শঙ্খ নদকে উপযোগী করা, চট্টগ্রাম বন্দরে নাবিকদের নিরাপদে ওঠানামার জন্য পাঁচটি ঘাট ইজারামুক্ত করা, আদালতের সিদ্ধান্ত ছাড়া মাস্টার ও ড্রাইভার সনদ বাতিলের কার্যক্রম বন্ধ করা।

বৈঠকে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম, নৌযান মালিক সংগঠনগুলোর নেতা, সরকারের বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তারা অংশ নেন।


আরও খবর



স্বাস্থ্যখাতে এখন থেকে কথা কম, কাজ বেশি হবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

স্বাস্থ্যখাতে এখন থেকে কথা কম, কাজ বেশি হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। আর এর মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা এবং তার ইচ্ছা পূরণ হবে বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর শাহবাগের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা দেশের সাধারণ মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তা করতেন। তিনি দেশ স্বাধীনের পর বেশ কয়েকবারই সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তখন চিকিৎসক নার্সদের উদ্দেশে বলতেন, তোমরা হচ্ছো ডাক্তার, নার্স। তোমরা যদি সময়মতো আসো, সময়মতো সেবা দান করো তাইলে আমি সন্তুষ্ট। তাইলে আমি বুঝবো আমার সারাজীবনের কষ্ট আর দেশ স্বাধীন করা সার্থক।

আজকের অনুষ্ঠানের উদাহরণ দেখিয়ে সামন্ত লাল বলেন, আজ সকাল ১০টায় প্রোগ্রাম শুরু করে সকাল ১১টার মাঝেই শেষ করতে চেয়েছি। আমি চাই এখানে যারা বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসা সেবায় জড়িতরা আছেন তারা এখান থেকে গিয়ে দ্রুত কাজে ফিরে যায়। তাই সময়ের মাঝেই শেষ করব।

চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্ত করার শপথ নিতে হবে। স্বাস্থ্যসেবাকে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে যেন সারাবিশ্বের মানুষ তালি দেয়। তারা যাতে বলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আমি এবং প্রতিমন্ত্রীর একটাই চাওয়া স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। আর এটার সবচেয়ে বড় কারিগর আপনারা।

বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সামন্ত লাল সেন বলেন, জাতির পিতা না থাকলে আজকে আমি থাকতাম না। আজকে মন্ত্রী হতে পেরেছি, আপনারা যারা আমার সামনে এসেছেন তারা কেউই এখানে আসতে পারতেন না।

স্মৃতিচারণ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই মার্চ মাসে আমি থাকতাম ইস্কাটনে। তখন হাতিরপুলে গেলে বঙ্গবন্ধু লুঙ্গি পড়ে নিচে আসতেন। আমাদের সঙ্গে কথা বলতেন। আমরা যারা কাছ থেকে দেখেছি তারা জানি তার দেশের প্রতি কতটুকু ভালোবাসা ছিল।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো অনুষ্ঠান ফাইভ স্টারে হবে না জানিয়ে সামন্ত লাল বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে এই হলেই আমাদের স্বাস্থ্যখাতের সব কনফারেন্স হবে। কোনো ফাইভ স্টার হোটেলে আমরা যাব না। এই প্রতিষ্ঠানকে আমরা জনগণের কাছে নিয়ে যেতে চাই। এখানেই আমাদের আগামী পাঁচ বছরের যত অনুষ্ঠান আছে সব করব।


আরও খবর