Logo
শিরোনাম

জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ১৪ দলের

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

গণভবনে ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব গ্রহীত হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ১৪ দল মনে করে সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে যে সন্ত্রাস এবং নাশকতা হয়েছে এর পিছনে জামায়াত-শিবির কলকাঠি নেড়েছে। ১৭ জুলাই থেকে ঢাকায় যে সন্ত্রাসী তাণ্ডব হয়েছে এর মূল কারিগর ছিল স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি জামায়াত-শিবির।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে এটা রাজনৈতিক কিছু নয়, এটা সম্পূর্ণভাবে জঙ্গিবাদী কাজ। 

এর আগে, এদিন সকালে দুষ্কৃতকারীদের আগুনে পুড়ে যাওয়া সেতু ভবন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কার্যালয় পরিদর্শন করেন ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু।

পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

আমু বলেন, পরাজিত শক্তি এই দেশকে অকার্যকর করতে চায়। ছাত্ররা বলেছে ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে তারা জড়িত নয়, কিছু দুর্বৃত্ত এই কাজ করেছে। দুষ্কৃতকারীরা বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিতে চেয়েছে।

১৪ দলের এই সমন্বয়ক বলেন, যারা সহিংসতার মাধ্যমে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করেছে তারা স্বাধীনতার শত্রু, দেশের শত্রু।


আরও খবর



জয় বাংলা' এখন থেকে জাতীয় স্লোগান নয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

জয় বাংলা জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।

এর আগে, জয় বাংলা কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। গত ২ ডিসেম্বর এ তথ্য জানান অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।

২০২০ সালের ১০ মার্চ জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে রায় দেন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। রায়ের দিন আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী ড.বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

আদালত বাংলায় রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, জয় বাংলা জাতীয় ঐক্যের স্লোগান। জয় বাংলা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের প্রিয় স্লোগান এবং জয় বাংলা ৭ মার্চের ভাষণের সাথে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

রায়ে জয় বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হবে এবং জাতীয় দিবস, সরকারি অনুষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্লোগানটি উচ্চারণের জন্য পদক্ষেপ নিতেও বলা হয়। ২০১৭ সালে ওই রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।


আরও খবর

জামিন পেলেন এসপি বাবুল আক্তার

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪




কক্সবাজারে পর্যটক ভোগান্তির চরম আশঙ্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

পর্যটনের রাজধানী খ্যাত জেলা কক্সবাজার। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ভ্রমন পিপাসু মানুষের প্রধান আকর্ষণ। প্রতিবছর ডিসেম্বর টু ফেব্রুয়ারীতে লাখো লাখো পর্যটকদের পদভারে মুখরিত থাকে এ শহরটি। বছরের অন্যান্য সময় ও পর্যটক থাকে কমবেশি। পর্যটকদের সুবিধার্থে সরকারী ও বেসরকারী ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে আবাসিক হোটেল মোটেল জোন, টুরিস্ট পুলিশ, পর্যটন সেল, মেরিন ড্রাইভ রোড়, আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর ও বিভিন্ন বিনোদনমুলক ব্যবস্থা। সব বিষয়ে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলে ও সম্পূর্ণ হ-য-ব-র-ল অবস্থায় রয়েছে পরিবহনের জন্য নির্দিষ্ট টার্মিনালের।

দেশের সকল জেলা হতে আগত দূরপাল্লার বাস রাখার জন্য ২০০১ সালে নির্মিত হওয়া একটি নির্দিষ্ট বাসটার্মিনাল থাকলেও সেখানে গাড়ি রাখার জায়গা নেই বললেই চলে। গাড়ি রাখবার জায়গা গুলোতে গড়ে তোলা হয়েছে আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্ট, গ্যারেজ, কাউন্টার এবং অসংখ্য বেকারী। এসব আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্ট, গ্যারেজ ও বেকারীর মালিক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

ঝিলংজা ইউনিয়নের আওতাধীন এলাকায় নির্মিত হওয়া টার্মিনালটি শুরু থেকেই সম্পূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণের দায়ীত্ব দেওয়া হয় কক্সবাজার পৌরসভাকে। ফলে যতবার পৌরসভার মেয়রের পরিবর্তন হয়েছে ততবারই গাড়ি রাখবার জায়গা গুলো দলীয় নেতৃবৃন্দ ও মেয়র-কাউন্সিলরদের নামে বে-নামে নামেমাত্র মুল্যে লীজ দেওয়ার নামে দখল করা হয়েছে। শুরুতে ২৫০-৩০০ গাড়ি রাখার লক্ষ্যে টার্মিনালটি নির্মিত হলেও বর্তমানে গাড়ি রাখা যায় সর্বোচ্চ ৫০-৬০ টি।

কক্সবাজার বাসটার্মিনালে ১৫ বছর ধরে ব্যবসা করে আসা আমির হোসেন বলেন, এক সময় বাসটার্মিনালে অনেক প্রসস্থ জায়গা ছিল, তখন ২৫০-৩০০ দূরপাল্লার বাস রাখার স্থান ছিল। তবে বর্তমানে সর্বোচ্চ ৫০ টির বেশি বাস রাখার জায়গা নেই। বেশির ভাগ গাড়ি রাখবার জায়গাতে নির্মিত হয়েছে আবাসিক হোটেল, গ্যারেজ, বেকারী দোকান এবং কাউন্টারের মাধ্যমে দখল করা হয়েছে। আর এই দখলেন মুল কারিগর অবশ্যই সাবেক ২ মেয়র, মুজিবুর রহমান ও মাহবুবুর রহমান এবং পৌর সচিব।

আগামী মাস হতে পর্যটন মৌসুম আরম্ভ হবে। পর্যটকদের বহন করে নিয়ে আসা দূরপাল্লার বাস গুলো রাখার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় তীব্র যানজটের শংঙ্খায় আছেন ব্যবসায়ীরা। যানজটের ফলে পর্যটকরা অতিষ্ট হয়ে উঠে অনেক সময় ফিরে যায় নির্দিষ্ট সময়ের আগেই। মৌসুম শুরু হওয়ার আগে থেকেই লিংকরোড় হতে ডলফিন মোড় পর্যন্ত মহাসড়কের দুপাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে পার্কিং করা হয় দূরপাল্লার বাস। মৌসুম শুরু হলে তার আকার আরো বাড়বে নিঃসন্দেহে। মহা সড়কে এভাবে বাস পার্কিং করে রাখলে তীব্র যানজটের শঙ্কা রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে ট্রাফিক বিভাগে নিয়োজিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) জসিম উদ্দিন চৌধুরী পিপিএম বলেন "জেলার একমাত্র বাস টার্মিনালটি পৌর কতৃপক্ষ গ্যারেজে পরিনত করে রেখেছে। দূরপাল্লার বাস তো দুরে থাক স্বল্পপাল্লার বাস গুলো এখন মহা সড়কের পার্শ্বের কাউন্টার স্থাপন করে যাত্রী সেবা দিচ্ছে। যার কারনে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। শুক্র শনিবার অতিরিক্ত পর্যটকবাহী গাড়ি শহরে প্রবেশের কারনে পাবলিক টার্মিনালে গাড়ি পার্কিংয়ের পর ও অতিরিক্ত গাড়িগুলো মহাসড়কে পার্কিং করতে বাধ্য হয় এবং আমরা ও কিছুটা সময় ছাড় দিয়ে থাকি।

পুলিশ সুপার অফিস থেকে একটি অনলাইন টার্মিনাল চালু করেছি, সেখানে সিডিউল থাকে কোন গাড়ি কোন কাউন্টার হতে কয়টায় ছাড়াবে সেটির। আমরা চেষ্টা করছি আগত পর্যটন মৌসুমে যানজট সম্পূর্ণ নিরসনের এবং একটি পর্যটন বান্ধব ট্রাফিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা আমাদের লক্ষ্য।

এ বিষয়ে আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক নেতা করিম এর কাছে জানতে চাইলে জানান:- আমরা বিগত কয়েক বছর ধরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা সভায় বারবার অভিযোগ দিয়ে আসছি টার্মিনাল সংস্কার করে কার্যকর টার্মিনালে রুপান্তর করতে। ওনারা ও আমাদের আশ্বাস দেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করেননা। বর্তমান টার্মিনালটি একপ্রকার গ্যারেজ বলা চলে। এটিকে কার্যকর টার্মিনালে রুপান্তর করতে পারলে মহাসড়কে গাড়ি পার্কিং আশি ভাগ কমে যাবে বলে আমার বিশ্বাস"।

আগামী পর্যটন মৌসুমকে সামনে রেখে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালটিকে গ্যারেজ হতে প্রকৃত টার্মিনালে পরিনত করে দূরপাল্লার ও স্বল্পপাল্লার বাস পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করে মহাসড়কের যানজট নিরসন করার অনুরোধ জানান পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এতে করে পর্যটন ভোগান্তি অনেকাংশে কমে আসবে এবং পর্যটকের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে।


আরও খবর

প্যারিস, প্রেম ও ভালোবাসার শহর

রবিবার ২৪ নভেম্বর 20২৪




লন্ডনে সর্বদলীয় উলামা সমাবেশে আমীরে জামায়াত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আলেমদের মধ্যে শুধু ঠোঁটের ঐক্য নয়, রূহানী ঐক্য প্রয়োজন। রূহানী ঐক্য হলে আমরা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে অবারিত বারাকা লাভ করব। আমরা ঐক্য চাই, আবার বিভিন্ন শর্ত দিয়ে বসে থাকি। একজন শর্ত দিলে তো অন্যজনও শর্ত দেবেন। এভাবে শর্তের বেড়াজালে শেষ পর্যন্ত ঐক্য প্রক্রিয়া কঠিন হয়ে যায়। আমাদের দেশে আলেম উলামার মধ্যে ছোট খাটো বিষয়ে কিছু মতানৈক্য রয়েছে। সবার চিন্তা ও কর্মপরিধি একই ধরণের নয়। কিন্তু যারা জীবনের পাথেয় হিসেবে কোরআনকে কবুল করেছেন, হযরত মুহাম্মদ (স) এর নেতৃত্বকে অকুন্ঠচিত্তে গ্রহণ ও স্বীকৃতি দেন এবং সাহাবায়েকেরাম (রা) কে আল্লাহ ও রাসূল (স) এর আনুগত্যের ক্ষেত্রে বাস্তব মডেল মনে করেন, এই তিন জায়গা ঠিক থাকলে আমাদের মধ্যে ঐক্য হওয়া সম্ভব। এখানে আর কোন কিছু বাধা দিতে পারবে না।” 

তিনি ১১ নভেম্বর’২৪ পূর্ব লন্ডনের মায়েদা গ্রিল হলে অনুষ্ঠিত বৃটেনের সর্বদলীয় উলামা সংগঠন “বাংলাদেশি উলামা মাশায়েখ ইউকে” কর্তৃক আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বাংলাদেশী উলামা-মাশায়েখ ইউকে’র সভাপতি মাওলানা এ কে মওদুদ হাসান এর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মাওলানা শাহ মিজানুল হক-ও মাওলানা এফ কে এম শাহজাহান এর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন কাউন্সিল ফর মস্ক এর ও ইশায়াতুল ইসলামের চেয়ারম্যান মাওলানা হাফেজ শামসুল হক, খেলাফত  মজলিসের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল কাদির সালেহ, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মুফতি শাহ সদরদ্দীন, দাওয়াতুল ইসলাম ইউকের আমীর শায়খ আব্দুর রহমান মাদানী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ডক্টর শুয়াইব আহমদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা ফয়েজ আহমদ প্রমুখ।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দ্বীন কেবল একা জামায়াতে ইসলামীর নয়, এটি সবার। সুতরাং আমরা সবাইকে নিয়ে দ্বিনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব। সবাইকে ভাই এবং বন্ধু মনে করে বুকে জড়িয়ে ধরে সামনে আগানোর চেষ্টা করব আমরা। 

মতবিনিময় সভায় তিনি উপস্থিত উলামা মাশায়েখদেরকে Four Dimensional Way তে দেখার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য যত ইসলামী সংগঠন ও মারকায রয়েছে, আপনারা আমাদের মধ্যে কোন ভুল দেখলে আমাদেরকে সংশোধন করে দেয়ার চেষ্টা করবেন। আপনারা এভাবে সহযোগিতা করলে আমাদের জন্য দ্বীনের পথে চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে। আপনাদের ও আমাদের মধ্যে পারস্পরিক দোয়া, ভালবাসা ও সহযোগিতা থাকলে আমরা এগিয়ে যেতে পারব। আমরা কাউকে দালাল মনে করে ইনভেলাপে ঢুকিয়ে দেবনা, বরং ভুল করলে শুধরে দেয়ার নীতি অনুসরণ করব।” 

তিনি বৃটেনকে A hub for intellectual excellence হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “বৃটেনকে বিশ্বের বুদ্ধিভিত্তিক চর্চার কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এমন একটি পরিবেশে আপনারা আছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চেয়েও বেশি স্বাধীনতা এখানে আপনারা ভোগ করছেন। এখানে আপনাদের মেধার বিকাশের ক্ষেত্রে কেউ বাধা দেয় না। যেমনটি বাংলাদেশে বিভিন্নভাবে বাধা দেয়া হয়। এখানে মেধার চর্চা বেশি হওয়ার কারণে আপনাদের উপর আমাদের হকও বেশি। আপনারা সে হক আদায় করবেন ইনশাআল্লাহ।”


আরও খবর



ছুটির দিনে বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শুক্রবার, ছুটির দিন। সরকারি সব প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ বন্ধ। তারপরও বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে রাজধানী ঢাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হো চি মিন শহর।

শুক্রবার সকাল ৮টা ৫৬ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।

বিশ্বের বায়ুদূষণ তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা ঢাকার দূষণ স্কোর ২৪২ অর্থাৎ এই শহরের বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা হো চি মিন শহরের দূষণ স্কোর ১৯০ অর্থাৎ সেখানকার বাতাসও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।

তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের দুটি শহর করাচি ও লাহোর। ভারতের দিল্লি রয়েছে ৭ নম্বরে।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর।

১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।


আরও খবর

ঢাকায় নাগরিক সেবা পেতে ভোগান্তি

শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪




অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এই মুহূর্তে সহযোগিতা করা উচিৎ

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, ‘আমাদের জায়গা থেকে আমরা মনে করি অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারকে তিন, চার, পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার কথা বলছি না। আবার কেউ যদি বলে ছয় মাস, এর মতো অযৌক্তিক কোন কথা হতে পারে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ১০০ দিনে যে প্রত্যাশা ছিল, তা পূরণ হয়নি, তবে রাজনৈতিক দলগুলো সহযোগিতা করলে এই সরকারের অবস্থান আরও ভাল হতো। সকল রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এই মুহূর্তে সহযোগিতা করা উচিৎ। তারা যদি সরকারকে সহযোগিতা করে তাহলে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। নির্বাচন দ্রুত হবে। রবিবার (১৭ নভেম্বর) রাতে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে এসে সাংবাদিকদের সাথে তিনি এসব কথা বলেন।


সারজিস আলম বলেন, এই সংস্কার সিস্টেমের প্রত্যেকটি জায়গায় রাজনৈতিক দলগুলো দেশের কথা, দেশের মানুষের কথাকে প্রায়োরিটি না দিয়ে কিভাবে ব্যক্তির স্বার্থ প্রাধান্য পায়, দলীয় স্বার্থ প্রাধান্য পায়, কিভাবে নিজের দলের মানুষকে একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানো যায়। এগুলো নিয়ে তারা ব্যস্ত হয়ে গেছে। বাজারে গেলে সাধারণ মানুষ চাহিদা মতো কেনা-কাটা করতে পারে না। বাজার সিন্ডিকেটগুলো হাত বদল হয়েছে।


তিনি আরও বলেন, দুই হাজার মানুষ পরিবারের সদস্যদের কথা চিন্তা না করে জীবন দিয়েছে শুধু মাত্র একটি নির্বাচনের জন্য নয়। তাহলে বিগত ১৬ বছরে সকল মানুষ এক সাথে রাজপথে নেমে যেতো। এই মানুষগুলো এক সাথে নেমেছে যখন খুনি হাসিনার করাপটেড প্রত্যেকটি সিস্টেম ধ্বংশ হয়ে গিয়েছিল। মানুষ প্রত্যেকটি জায়গায় মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। সাধারণ মানুষের সেবা পেতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাচ্ছিল। মানুষকে টাকা দিতে হতো, সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি ছিল, তখন এই সামগ্রিক সিস্টেমগুলোর বিরুদ্ধে ছাত্র জনতা এক সাথে রাজ পথে নেমেছিল। ১৬ বছরে যে সমাধানটি রাজনৈতিকভাবে হওয়ার কথা ছিল, সেই খুনি হাসিনার পতন হয়েছে ছাত্র জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নাতি মাহমুদুল হক সানু, সমন্বয়ক মো. মাহিম সরকার, টাঙ্গাইলের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আল আমিন, মো. কামরুল ইসলাম, আল আমিন সিয়াম প্রমুখ।


আরও খবর