সদরুল আইন,গাজীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
আগামি ১৯ শে মে গাজীপুর জেলা আ.লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলণ। এই সম্মেলণকে সফল করতে আগামিকাল বৃহস্পতিবার(২১ এপ্রিল) বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
গাজীপুর জেলা সম্মেলণের পূর্বেই জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জামিল হাসান দূর্জয়ের দেওয়া একটি বক্তব্য গাজীপুর তথা বিশেষ করে শ্রীপুরে ব্যাপকভাবে আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে এবং সর্বত্র তা আলোচিতও হচ্ছে।
সুলতান উদ্দিন মেমোরিয়াল একাডিতে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আ.লীগের সম্মেলণে তার সাধারন সম্পাদক পদ প্রাপ্তিকে প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত করে বলেছেন " আমি পরাজিত হওয়ার জন্য পৃথিবীতে জন্মাইনি, আমি পরাজিত হবার জন্যে পৃথিবীতে আসি নাই।"
তার এ বক্তব্যকে ঔদ্ধত্বপূর্ণ অরাজনৈতিক,অজ্ঞতাপূর্ণ এবং নিজেকে বিশেষ ব্যক্তি হিসেবে জাহির করার অপরিপক্ক মানসিকতার বর্হিপ্রকাশ বলে রাজনৈতিক সচেতন মহল মনে করছেন।
কেউ কেউ বলছেন, এ ধরনের বক্তব্য একজন অপরিপক্ক আত্ম অহমিকায় ভরা রাজনৈতিকের মুখেই মানায়।দূর-দৃষ্টিসম্পন্ন, বিচক্ষণ কোন রাজনৈতিকের মুখে এ ধরনের ঔদ্ধত্বপূর্ণ অগ্রিম বক্তব্য মানায় না।
বেশিরভাগ মানুষ, তার এ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেছেন,একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে এই নেতা প্রধানমন্ত্রী তাকে অগ্রিম মনোনয়ন দিয়ে দিয়েছেন বলে জনসভাসমুহে এবং এলাকায় মাইকিং করে বর্তমান সাংসদ ইকবাল হোসেন সবুজ'র লাখ লাখ নেতা কর্মিদের মনোবল ভেঙ্গে দিতে যে স্ট্যান্ডবাজি ও চতুরতার আশ্রয় নিয়েছিলেন জেলা সম্মেলণে সাধারন সম্পাদক হচ্ছেন এটা তারই অগ্রীম পদধ্বনীর মত অসাড় আষাঢ়ে গল্পের মতও হতে পারে।
অন্যদিকে অনেকেই বলেছেন,একাদশ সংসদ নির্বাচনের পূর্বে এক হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে একটি বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে মনোনয়ন কেনার যে গল্প ও প্রপাগন্ডা গাজীপুর-৩ আসনে ছড়িয়েছিলেন এটা তারই পদধ্বনী।
কোনভাবেই তার এ বক্তব্য রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না বলে মন্তব্য করেছেন বেশিরভাগ মানুষ।
কেউ কেউ বলেছেন জামিল হাসান দুর্জয় তো একাদশ সংসদ নির্বাচনে সাংসদ ইকবাল হোসেন সবুজ'র কাছে পরাজিত হয়েছেন।এর পরও তিনি পরাজিত হতে পৃথিবীতে আসেনননি,জন্মাননি এ ধরনের অহমিকাপূর্ণ অসত্য কথা জনসমুখে বলেন কি করে।তার অগ্রীম এ চরম অহমিকাপূর্ণ বক্তব্যের উৎসই বা কি।
উল্লেখ্য, জামিল হাসান দুর্জয়ের নিকট নেতা কর্মিদের মাধ্যমে এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে যে, ১৯ মে'র জেলা সম্মেলণে তিনি বর্তমান সাধারন সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ এমপিকে হটিয়ে জেলার সাধারন সম্পাদক হচ্ছেন।
আ.লীগ প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাকি এক কেন্দ্রিয় দায়িত্বশীল নেতার মাধ্যমে তাকে এ বিষয়টি অগ্রীম জানিয়ে দিয়েছেন।এরই প্রেক্ষিতে তিনি এ ধরনের দাম্ভিক বক্তব্য প্রদান করেছেন বলে অধিকাংশ মানুষ মন্তব্য করছেন।
এছাড়া একাদশ সংসদ নির্বাচন পরবর্তি প্রায় ৪ বছর অনেকটা পর্দার আড়ালে থাকা জামিল হাসান দুর্জয়ের শীর্ষ নেতা কর্মিরা বলতেন তিনি পরিবর্তন হয়ে গেছেন,রাজনৈতিক পরিপক্কতা অর্জন করেছেন, তাদের সেই গল্প, সেই জনশ্রুতি মিথ্যা প্রমান করে দিয়ে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ঘুম ভেঙ্গে, খোলস ছেড়ে, তিনি তার চিরায়ত চরিত্রে ফিরে গেলেন এমনটিও মনে করছেন অনেকেই।