Logo
শিরোনাম

জামিন মেলেনি হেফাজত নেতা মামুনুলের

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

নাশকতার দুই মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে জামিন দেননি আপিল বিভাগ। সোমবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দেন। সেই সঙ্গে তিন মাসের জন্য মামুনুল হকের জামিন শুনানি স্ট্যান্ডওভার করেন আদালত।

এর আগে ৭ মে মামুনুল হকের হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ‘নো অর্ডার’ এ আদেশ দেন। এ সময় আদালতে মামুনুল হকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী।

গত ৩ মে ২০১৩ ও ২০২১ সালে ঢাকার পল্টন ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় করা পাঁচ মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে জামিন দেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে পল্টন ও হাটহাজারীর দুই মামলায় হাইকোর্টের জামিনাদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ।

২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের আলোচিত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের নামে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা করেন মামুনুল হকের দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্না। ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন রয়েল রিসোর্টে জান্নাতসহ মামুনুল হককে আটক করে স্থানীয় লোকজন। পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে জান্নাতকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন মামুনুল। এরপর ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।


আরও খবর

জয় বাংলা' এখন থেকে জাতীয় স্লোগান নয়

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

জামিন পেলেন এসপি বাবুল আক্তার

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪




জয় বাংলা' এখন থেকে জাতীয় স্লোগান নয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

জয় বাংলা জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।

এর আগে, জয় বাংলা কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। গত ২ ডিসেম্বর এ তথ্য জানান অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।

২০২০ সালের ১০ মার্চ জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে রায় দেন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। রায়ের দিন আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী ড.বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

আদালত বাংলায় রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, জয় বাংলা জাতীয় ঐক্যের স্লোগান। জয় বাংলা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের প্রিয় স্লোগান এবং জয় বাংলা ৭ মার্চের ভাষণের সাথে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

রায়ে জয় বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হবে এবং জাতীয় দিবস, সরকারি অনুষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্লোগানটি উচ্চারণের জন্য পদক্ষেপ নিতেও বলা হয়। ২০১৭ সালে ওই রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।


আরও খবর

জামিন পেলেন এসপি বাবুল আক্তার

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪




দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়, একাট্টা দলগুলো

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

দুই মেয়াদের বেশি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পদে না রাখার বিধান যুক্ত করে তা বাস্তবায়ন, নির্বাচনে বিতর্কিত ইভিএম ব্যবহার বাতিল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা পুনঃপ্রবর্তনের দাবিসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু সুপারিশ জানিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কাছে প্রস্তাব দিচ্ছে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল তাদের মতামত সংবলিত প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে।

দলগুলোর প্রস্তাবনার মধ্যে আরো রয়েছে, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের পদক্ষেপ গ্রহণ, তৃণমূলে সাধারণ মানুষের মধ্যে সম্প্রতি ও সৌহার্দ সমুন্নত রাখতে বিদ্যমান দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রথা বাতিল করা, ভোটার তালিকা থেকে মৃত ও বিতর্কিত ভোটারদের বাদ দিয়ে নির্ভুল তালিকা প্রণয়ন এবং কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে যোগ্যদের বাছাই করে নির্বাচন পরিচালনা অর্থাৎ রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগদান।

গত ২৫ নভেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন ব্যবস্থা ও সংস্কার কমিশনের কাছে নির্বাচনী ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত ও কমিশনকে জবাবদিহিতার আওয়তায় আনতে ২২টি প্রস্তাবনা দিয়েছে। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার স্বাক্ষরিত এই প্রস্তাবনাটি নির্বাচন ভবনে জমা দিয়েছে। দলটি প্রস্তাবনায় বলেছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুর্নবহাল করতে হবে। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সংশ্লিষ্ট সবার ঐকমত্য ও সমন্বিত উদ্যোগের ভিত্তিতে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে আইনী বৈধতা দিয়ে সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি সৎ, দক্ষ ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা এবং প্রয়োজনে সংখ্যা বাড়াতে হবে। নির্বাচনের স্বচ্ছতার প্রশ্নে জনগণের আস্থা বজায় রাখার জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে প্রত্যাখ্যাত ও বহুল বিতর্কিত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতি বাতিল করতে হবে।

জাতীয় সংসদে অধিকতর দল ও মতের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাসহ সংসদকে অধিকতর প্রতিনিধিত্বমূলক করার উদ্দেশ্যে, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (প্রোপোশনাল রিপ্রেজন্টেশন-পিআর) প্রথা চালু করতে হবে। নতুন নেতৃত্ব তৈরির প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত বা ত্বরান্বিত করতে দুই বারের বেশি কোন ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী/রাষ্ট্রপতির পদে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ রাখা যাবে না। তৃণমুল পর্যায়ে আবহমানকাল ধরে চলে আসা সামাজিক ঐক্য অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলোতে বিদ্যমান দলীয় প্রতীকের বিধান বিলুপ্ত করতে হবে। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন বাতিল করতে হবে। নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শগ্রহণের বাধ্যবাধকতা না রাখা এবং নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে রাষ্ট্রপতির আদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা এবং বিচারিক ক্ষমতা প্রদান করতে হবে। নির্বাচনে অনিয়ম হলে আংশিক কিংবা সম্পূর্ণ নির্বাচন বাতিল করার সংক্রান্ত আরপিওর ৯১(ক) অনুচ্ছেদ পুনর্বহাল করতে হবে।

এদিকে ইসলামী আন্দোলনের ১৪টি প্রস্তাবের মধ্যে নির্বাচনের ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা, ভোটগ্রহণের পূর্বে ভোটকেন্দ্রের মোট ব্যালট পেপার, তার ক্রমিক নম্বর, শূন্য ব্যালট বাক্স সব দলের পোলিং এজেন্ট এবং সাংবাদিকদের সামনে প্রকাশ করা, ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্টকারী, জালভোট প্রদানকারী এবং নির্বাচন পরিচালনার কাজে নিয়োজিত কেউ পক্ষপাতমূলক আচরণ করলে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আইন করা, যাতে ভবিষৎতে আর কেউ সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্ট করার সাহস না পায়। এছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক নির্বাচনকালীন পর্যবেক্ষক রাখা এবং ইসিকে এমন ক্ষমতা দেওয়া, যাতে কোনো দল ও তাদের সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতাকর্মীরা দুর্নীতি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও মানবতাবাদী অপরাধে লিপ্ত হলে কমিশন তাদের দলীয় নিবন্ধন বাতিল করতে পারবে, আরপিওতে এমন শক্ত বিধান যুক্ত করা।

বাংলাদেশ সমমনা জোটের ২১ প্রস্তাবনার মধ্যে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুনিদিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ করা, অর্থপাচার রোধ ও দুর্নীতির অনুসন্ধান করে শ্বেতপত্র প্রকাশ এবং সংবিধান অনুযায়ী ন্যায়পাল নিয়োগ করা, দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সুসংগঠিত করা ও সীমান্ত হত্যা বন্ধে আন্তজার্তিক সীমান্ত আইন বাস্তবায়ন করা, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতার ভারসাম্য আনা এবং সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের জন্য দল নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা প্রবর্তন করা। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পরও যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন এ সংক্রান্ত আইনের কঠোর বিধান যুক্ত এবং বেআইনি ঘোষণা করা।

আর খেলাফত মজলিশও বেশকিছু সুপারিশ করেছে নির্বাচনী কমিশন ব্যবস্থা ও সংস্কার কমিশনের কাছে। তাদের প্রস্তাবনার মধ্যে নির্বাচনে পেশিশক্তি ও কালোটাকার ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা, ব্যয়ের ক্ষেত্রে গুরুতর অনিয়ম পেলে প্রার্থিতা বাতিল এবং এমনকি নির্বাচিত হলেও তার পদ বাতিল ঘোষণা করার বিধান আইনে সন্নিবেশ করা। ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা এবং চাকুরিজীবীদের জন্য পোস্টার ব্যালট প্রথা সচল রাখা।

এদিকে, প্রত্যেকটি দলই কয়েকটি বিষয় অভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে এর মধ্যে সংখ্যানুপাতে সংসদ গঠন (পিআর প্রথা চালু), তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রীর পদে না থাকা এবং সেনাবাহিনী মোতায়েনে রাষ্ট্রপতির পরামর্শ গ্রহণ এবং নির্বাচনে তাদের বিচারিত ক্ষমতা প্রদান করা।


আরও খবর



দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে । দুই ধরনেই প্রতি লিটারে ৮ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে।

ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এ তথ্য জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন।

এখন প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম হবে ১৭৫ টাকা, খোলা সয়াবিন বিক্রি হবে ১৫৭ টাকা। আগে বোতলজাত তেল ১৬৭ টাকা ও খোলা তেল ১৪৯ টাকা ছিল।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বশির উদ্দিন বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে বাজারে তেলের ঘাটতি রয়েছে, এ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, ভোক্তারাও অস্বস্তিতে রয়েছেন। সেজন্য আমরা তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছি। নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করি বাজারে আর তেলের ঘাটতি হবে না।

তিনি বলেন, গত এপ্রিলে ১৬৭ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল। এরপর এখন পর্যন্ত বিশ্ববাজারে দাম অনেকটাই বেড়েছে। যে কারণে দেশে স্থানীয় মজুতদারি বেড়েছে। তেলের পযাপ্ত মজুত রয়েছে। অনেকে কিনে মজুত করেছে। ভোক্তা অধিদপ্তরের মাধ্যমে আমরা সেটা মনিটরিং করছি। কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কথা বলে এখন একটি যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। আর সমস্যা হবে না।

এ সময় ভোজ্যতেল সরবরাহকারী কোম্পানিরগুলোর সংগঠনের সভাপতি মোস্তফা হায়দার বলেন, কয়েকদিন থেকে আমারা কীভাবে সরবরাহ নিশ্চিত করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করেছি। বিশ্ববাজারে প্রতি টন তেলের দাম ১২০০ ডলারে উঠেছে।

গত এপ্রিলে সরকার যখন তেলের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল, তখন বিশ্ববাজারে প্রতি টন তেলের দাম ছিল ১০৩৫ ডলার। এখন আমরা ১১০০ ডলার ধরে লিটারে ৮ টাকা দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

উপদেষ্টা বলেন, যদিও এখন আমাদের প্রতি টন তেল ১২০০ ডলারে খালাস হচ্ছে। আরও দাম বাড়তে পারে, সে উদ্বেগ এখনো রয়ে গেছে। কারণ বিশ্ববাজার এখনো স্থিতিশীল নয়।

এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা স্থিতিশীল হচ্ছে। তবে আলুর দামে অস্থিরতা এখনো আছে। নতুন আলু উঠলে দুই তিন সপ্তাহের মধ্যে কমে আসবে বলে আশা করছি।


আরও খবর



বায়ুদূষণে দিল্লিতে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ঘন বিষাক্ত ধোঁয়াশায় ভারতের উত্তরাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকা ঢেকে গেছে। দেশটির রাজধানী দিল্লিতে সোমবার (১৮ নভেম্বর) বায়ুর মান এ বছর সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষা কার্যক্রম অনলাইনে চালানোর নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

দিল্লির বাতাসে দূষণের মাত্রা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ২৪ ঘণ্টার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) মান হয়েছে ৪৮৪। এই মান 'চরম বিপজ্জনক' শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। সুইস সংস্থা আইকিউএয়ারের লাইভ র‍্যাংকিং অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর হিসেবে শীর্ষে রয়েছে দিল্লী। শহরের বায়ুতে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ধূলিকণার (পিএম টু পয়েন্ট ফাইভ) উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত মাত্রার ১৩০ গুণ বেশি পাওয়া গেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালে ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে ধূলিকণা, গাড়ির ধোঁয়া ও আশপাশের রাজ্যগুলোতে ফসল কাটার পর অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর ধোঁয়া আটকে থাকে। এতে ধোঁয়াশার (স্মগ) সৃষ্টি হয়।

সোমবার দিল্লি ও চণ্ডীগড় শহরে স্বাভাবিক দৃষ্টিসীমা মাত্র ১০০ মিটারে নেমে আসে। তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কিছুটা বিলম্ব সত্ত্বেও বিমান ও ট্রেন চলাচল অব্যাহত আছে।

চলমান পরিস্থিতিতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম অনলাইনে চালানোর নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি নির্মাণকাজ ও যানবাহন চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।

দেশটির উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা ও রাজস্থানে 'ঘন থেকে অতি ঘন কুয়াশা'র পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর।

বায়ু দূষণ থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক পরে চলাচল করছেন সাধারণ জনগণ। দিল্লির বাসিন্দা অক্ষয় পাঠক ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই-কে বলেছেন, সকালের হাঁটাচলা সাধারণত উপভোগ করেন তিনি। কিন্তু এখন দূষিত বাতাসে চোখ জ্বালাপোড়া করে ও শ্বাস নিতে সমস্যা হয়।

আবহাওয়া পূর্বাভাস দানকারী সরকারি সংস্থা সাফার জানিয়েছে, দিল্লির দূষণের ৪০ শতাংশের জন্য পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলোর কৃষি জমিতে খড় পোড়ানো দায়ী। রবিবার স্যাটেলাইটে ছয়টি রাজ্যে এক হাজার ৩৩৪টি এমন ঘটনা চিহ্নিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, বায়ুদূষণের এই চরম অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে।


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




আইনজীবী সাইফুলের জানাজায় মানুষের ঢল

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

চট্টগ্রাম আদালত চত্বরের ঘটনায় ইসকন অনুসারীদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে। জানাজার সময় লাখো মানুষ উপস্থিত থেকে এই তরুণ আইনজীবীকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। জানাজায় অংশগ্রহণ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, নাগরিক কমিটির সদস্য সারজিস আলমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সাইফুল ইসলামের জানাজার সময় উপস্থিত সবাই গভীর শোক ও শ্রদ্ধার সঙ্গে তাকে বিদায় জানান। তার অকাল মৃত্যুতে, লাখো মানুষের চোখে অশ্রু ছিল এবং চট্টগ্রাম শহর যেন শোকের মেঘে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল। সাইফুলের মৃত্যুর শোক, যেন সবার হৃদয়ে চিরস্থায়ী হয়ে গিয়েছিল। এই শোকাবহ মুহূর্তে, তার শেষ বিদায়ে উপস্থিত সকলের মন একত্রে ভারাক্রান্ত হয়ে উঠেছিল।

এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে সাইফুল ইসলামের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। জানাজার আগে আইনজীবী নেতারা বক্তব্য রাখেন এবং সাইফুলের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। প্রথম জানাজার পর, সাইফুল ইসলাম আলিফের মরদেহ নগরের জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তার বাবা ছিলেন জালাল উদ্দিন। ২০১৮ সালে তিনি জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন এবং পরবর্তীতে হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধন পান।

এদিকে, সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম আদালত বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন আইনজীবীরা। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, সাইফুল ইসলামের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনসহ অন্তত ২০ জনকে আটক করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। পরে, তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পথে ইসকন সদস্য ও চিন্ময়ের অনুসারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তারা আদালত চত্বরে অবস্থিত মসজিদে ভাঙচুর চালায়। একপর্যায়ে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ তাদের বাধা দেন। পরে, সাইফুলকে ধরে নিয়ে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম টাওয়ারের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।


আরও খবর