Logo
শিরোনাম

জানা গেল তাহসানের ‘আলো’ গান কাকে নিয়ে লেখা!

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

তুমি আর তো কারো নও শুধু আমার, যত দূরে সরে যাও রবে আমার, স্তব্ধ সময়টাকে ধরে রেখে, স্মৃতির পাতায় শুধু তুমি আমার, কেন আজ এত একা আমি, আলো হয়ে দূরে তুমি, আলো আলো আমি কখনো খুঁজে পাবনা, চাঁদের আলো তুমি কখনো আমার হবে না... এই গানের কথাগুলো এখনো সঙ্গীতপ্রেমীরা নিজের অজান্তে গেয়ে ওঠেন। আলো গানটি কাকে নিয়ে লেখা? সম্প্রতি এমন প্রশ্ন ঘুরছে চারপাশে। আসলেই তাহসান এই আলো গানটি কাকে নিয়ে লিখেছেন? এই গানের প্রেক্ষাপটই বা কী?

তাহসানের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তার বহুল আলোচিত এই গান সম্পর্কে। তাহসান বললেন, ‘আলো গানটি ২০০৬ সালে লেখা। তখন আমি বাতি নিভিয়ে ঘর অন্ধকার করে ফেলতাম। সেই অন্ধকারে জোছনা দেখতাম। তখন কবি কবি একটা ব্যাপার ছিল আর কি। তখন আমার মা মাঝে মধ্যে ঘরে ঢুকে বলতো তোর কী সমস্যা, সারাদিন চাঁদের দিকে তাকায়ে থাকিস কেন? চাঁদের সঙ্গে অনেক আগে থেকেই আমার একটা টান ছিল, প্রত্যেকেরই থাকে প্রকৃতির সঙ্গে একটা যোগাযোগ তৈরি করার। আমিও প্রকৃতির সঙ্গে অর্থাৎ চাঁদের সঙ্গে স্থায়ীভাবে যোগাযোগ তৈরি করতাম। তখনই ইচ্ছে ছিল যে কিছু একটা লিখবো।’

ব্যক্তিগত ঘটনা থেকেই এই গানের উৎপত্তি জানিয়ে তাহসান বললেন, ‘এই গানটি যখন লেখা হয়, সেটা আমার একটা পারসোনাল স্টোরি। কাউকে কখনো বলিনি, হয়তো পুরোপুরি বলতেও পারবো না। তবে কাছাকাছি যাই, আমাদের জীবনে আমরা যখন কোনোকিছু পেয়ে যাই, তখন কিন্তু যে মর্মটা সেটা হারিয়ে ফেলি আস্তে আস্তে। আপনি হৃদয়ের গভীর থেকে যদি কোনো জিনিস চাচ্ছেন- এটা যদি দূর থেকে অ্যাপ্রেসিয়েট করেন আর ওটা যদি না পান তাহলে ঐ অনুভূতিটা সারাজীবন থেকে যায়। চাঁদের আলোটা রূপক অর্থে সেই অনুভূতি। আমি তাকে অনেক ভালোবাসি, আর আমি তাকে পাবো না- এই অনুভূতিটা ধারণ করি বলেই প্রেমটা সারাজীবন থেকে যায়। আমাদের পছন্দের সবচেয়ে প্রিয় জিনিসটাও যদি পেয়ে যাই, তখন কিন্তু কদর করতে পারি না।’

জনপ্রিয় এই গায়ক উদাহরণ টেনে বললেন, ‘আমি সবসময় ভাবতাম আমার লিভিং রুমে যদি একটা পিয়ানো থাকতো তাহলে হয়তো প্রতিদিন ৩-৪ ঘণ্টা বাজাতাম। কিন্তু দেখেন আমার লিভিং রুমে পিয়ানো আছে। আমি কিন্তু প্রতিদিন বাজাই না। ঠিক ওই সেন্সটাই একটা স্পেসিফিক ঘটনা থেকে আমার মাথায় এসেছিল। সেটা হয়তো বলতে পারছি না। একটা জিনিসের ওপর আমার ইমোশন এসেছিল, যেহেতু আমি সেই ইমোশন এক্সপ্লোর করতে পারবো না, ওটাই আমার বুকের ভেতরে ধরে রেখেছিলাম। আমরা প্রতিটা মানুষই মনে হয় ওটা করি। সবাই হয়তো আমার সেই গানে জিনিসটা ফিল করতে পেরেছে, চাঁদকে আমরা দেখতে পাই কিন্তু কখনো নিজের হবে না।


আরও খবর



গরু মাংসের কয়েকটি স্পেশাল রেসিপি

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

রেসিপি রিমিস ড্রিম: 

সারাদেশে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে উদযাপিত হচ্ছে কোরবানির ঈদ। কোরবানির ঈদের মূল খাবারগুলো তৈরি হয় মাংস দিয়ে। ঈদে তৈরি করতে জেনে নিন সচরাচর করা হয় না, মাংসের এমন কয়েকটি স্পেশাল রেসিপি।

গরুর মাংসের শাহী রেজালা

উপকরণ: ১ কেজি গরুর মাংস, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদা-রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, লবণ, কেওড়া জল, কিশমিশ, আলুবোখারা, টক দই, বাদাম বাটা, চিনি, কাঁচামরিচ বাটা, জায়ফল-জয়ত্রী-পোস্তদানা বাটা, গরম মসলা (এলাচ, দারচিনি), তেজপাতা, তেল।

রান্নার পদ্ধতি: মাংস ধুয়ে সব মসলা ও টক দই দিয়ে মেরিনেট করে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর তেলে পেঁয়াজ, আদা-রসুন, বাকি মসলা দিয়ে মাংস কষান। সেদ্ধ হয়ে এলে কেওড়া জল, কিশমিশ, আলুবোখারা দিয়ে ঢেকে দিন। ঝোল ঘন হলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

কড়াই গোস্ত

উপকরণ: ১ কেজি গরুর মাংস, পেঁয়াজ কুচি, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, মাংসের মসলা, দারচিনি, এলাচ, জায়ফল-জয়ত্রী বাটা, টক দই, টমেটো কিউব, তেজপাতা, রসুন, তেল, লবণ।

রান্নার পদ্ধতি: মাংস সব মসলায় মেখে ২৫ মিনিট মেরিনেট করুন। প্যানে তেল গরম করে মেরিনেট করা মাংস দিয়ে কষান। সেদ্ধ হয়ে গেলে অন্য কড়াইয়ে টমেটো, রসুন, পেঁয়াজ ভেজে কষানো মাংস দিন। ২-৩ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে ফেলুন।

গার্লিক বিফ

উপকরণ: ১ কেজি মাংস, পেঁয়াজ, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, আদা-রসুন বাটা, রসুন কোয়া, ধনে-জিরা গুঁড়া, টেস্টিং সল্ট, টমেটো সস, টক দই, গরম মসলা, তেল, লবণ।

রান্নার পদ্ধতি: সব উপকরণ মিশিয়ে মাংস মেরিনেট করে রাখুন। তেলে পেঁয়াজ ভেজে মাংস কষান। সেদ্ধ হয়ে গেলে টমেটো সস, রসুন কোয়া ও কাঁচামরিচ দিয়ে কিছু সময় দমে রাখুন।

গরুর মাথার মাংস ভুনা

উপকরণ: গরুর মাথার মাংস, পেঁয়াজ কুচি, টমেটো, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, আদা-রসুন বাটা, ধনে-জিরা গুঁড়া, সরিষার তেল, গোলমরিচ, তেজপাতা, গরম মসলা।

রান্নার পদ্ধতি: তেলে পেঁয়াজ ভেজে সব মসলা দিয়ে কষান। মাংস দিয়ে গরম পানি দিয়ে দিন। ঢেকে রান্না করুন যতক্ষণ না সেদ্ধ হয়। শেষে গরম মসলা ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

গরুর মাংসের কালা ভুনা

উপকরণ: ২ কেজি হাড় ছাড়া মাংস, বিভিন্ন গুঁড়া মসলা (হলুদ, মরিচ, জিরা, ধনে), পেঁয়াজ বাটা, আদা-রসুন বাটা, গরম মসলা, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ, সরিষার তেল, লবণ।

রান্নার পদ্ধতি: সব মসলা দিয়ে মাংস মেখে জ্বাল দিন। সেদ্ধ হয়ে গেলে অন্য কড়াইয়ে তেলে পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ ভেজে মাংস কষান যতক্ষণ না কালো হয়ে আসে। খেয়াল রাখুন পুড়ে না যায়।

ঝুরা মাংস

উপকরণ: ১ কেজি গরুর মাংস, পেঁয়াজ কুচি, আদা-রসুন বাটা, মরিচ গুঁড়া, জিরা গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, বাদাম, সরিষা বাটা, তেজপাতা, গরম মসলা, তেল, লবণ।

রান্নার পদ্ধতি: তেলে পেঁয়াজ ভেজে মসলা দিয়ে কষান। মাংস দিয়ে সেদ্ধ করুন। পানি শুকিয়ে এলে ঝুরা করে অন্য কড়াইয়ে পেঁয়াজ ভেজে ভাজা মাংস দিন। গরম মসলা ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

গ্রিল বিফ 

উপকরণ 

মাংসের পাতলা টুকরো ৬ পিস, সরিষা বাটা ২ টেবিল চামচ, ওয়েস্টার সস ২ টেবিল চামচ, লবণ ও গোলমরিচ পরিমাণ মতো, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ ও টকদই ২ টেবিল চামচ।  

রান্নার পদ্ধতি: হাড় ছাড়া মাংস টুকরো করে ধুয়ে নিন। তারপর সব উপকরণ দিয়ে মেখে রাখুন অন্তত চারঘণ্টা। এবার গ্রিলের ওপর দিয়ে দুই পাশই গ্রিল করতে হবে বাদামি রং না হওয়া পর্যন্ত। তৈরি হয়ে গেলে গরম গরম পরিবেশন করুন।

মেজবানি মাংস   

উপকরণ : গরুর মাংস, কলিজা ও হাড় মিলিয়ে ৫ কেজি, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, আদা বাটা ৩ টেবিল-চামচ, রসুন বাটা ২ টেবিল-চামচ, লাল মরিচ বাটা ৩ টেবিল-চামচ, জিরা গুঁড়া দেড় টেবিল-চামচ, ধনে গুঁড়া ১ টেবিল-চামচ, হলুদ গুঁড়া ২ টেবিল-চামচ, সাদা তিল বাটা ১ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজ বাটা আধা কাপ, সরিষা তেল আড়াই কাপ, মিষ্টি জিরা বাটা ১ চা-চামচ, রাঁধুনি বাটা ১ চা-চামচ, সরিষা বাটা ১ টেবিল-চামচ, পোস্তদানা বাটা ১ টেবিল-চামচ, তেজপাতা ৭-৮টি, এলাচ, দারুচিনি ও লবঙ্গ বাটা ১ টেবিল-চামচ, কাবাব চিনি বাটা ১ টেবিল-চামচ, জয়ফল-জয়ত্রি বাটা ১ চা-চামচ, গোলমরিচ বাটা ১ চা-চামচ, মেথি বাটা ১ চা-চামচ, পানি ৪-৫ কাপ ও লবণ স্বাদমতো।

রান্নার পদ্ধতি: তেলে পেঁয়াজ কুচি লাল করে ভেজে গরম মসলা ছাড়া বাকি মসলা ও মাংস দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিন। আধা ঘণ্টা পর ৪-৫ কাপ গরম পানি দিয়ে ঢেকে দিন। মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে গরম মসলা দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রেখে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানি মাংস।  

গরুর মাংসের স্টেক   

উপকরণ: হাড় ছাড়া গরুর মাংস ৫০০ গ্রাম, আদা পেস্ট আধা চা চামচ, হট টমেটো সস ১/২ কাপ, গোল মরিচ গুঁড়া সামান্য, রসুন পেস্ট আধা চা চামচ, জিরার গুঁড়া সামান্য স্টেক স্পাইস পরিমাণমতো, অলিভ অয়েল ২ টেবিল চামচ, লবণ ও মরিচ-স্বাদমতো।

রান্নার পদ্ধতি: মাংস পছন্দমতো কেটে ধুয়ে নিন। একটি পাত্রে সব উপকরণ নিয়ে ভালোভাবে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার স্টেকগুলো মসলা মেখে মেরিনেট করে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিন। গ্রিলে স্টেক দিয়ে মাঝারি তাপমাত্রায় গ্রিল করুন। ওভেনেও গ্রিল করে নিতে পারেন।  

লক্ষ্য রাখবেন স্টেক যেন খুব শক্ত না হয়ে যায়। এরপর স্টেকের ওপর গ্রেভি দিয়ে আপনার পছন্দমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার স্টেক।


আরও খবর

ভালো লিচু চিনবেন যেভাবে

শুক্রবার ২৩ মে ২০২৫




মেস থেকে মাভাবিপ্রবির শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ২১ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

‎মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :‎

‎মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ২০২০–২১ সেশনের শিক্ষার্থী মো. জুনায়েদ হোসেনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২০ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী সন্তোষ পুরাতন পাড়ার একটি ছাত্রাবাস থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।‎

‎বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. ইমাম হোসেন জানান, সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তিনি ঘটনাটি জানতে পারেন এবং সঙ্গে সঙ্গে উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। কাগমারী পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিলে পুলিশ এসে মেসের রুম থেকে লাশ উদ্ধার করে এবং পরে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, জুনায়েদ দীর্ঘদিন ধরে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন, যা তাকে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

‎কাগমারী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ছাইফুল ইসলাম বলেন, প্রক্টর আমাকে ফোনে জানালে আমরা গিয়ে দরজা ভেঙে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু বলা না গেলেও পুলিশ এটি আত্মহত্যা বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করছে। তবে তদন্তের পর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করা যাবে বলে জানায় তারা।

‎জুনায়েদের অকালমৃত্যুতে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। সহপাঠীরা গভীর কষ্ট ও বিস্ময় প্রকাশ করে জানান, জুনায়েদ ছিলেন একজন অত্যন্ত ভদ্র, মৃদুভাষী ও শান্ত স্বভাবের তরুণ। তিনি কারও সঙ্গে কখনো তর্কে জড়াতেন না, সবসময় হাসিমুখে কথা বলতেন। বন্ধু ও সহপাঠীদের সঙ্গে ছিলেন আন্তরিক, সহযোগিতাপরায়ণ এবং বিনয়ী। 

‎মরদেহ উদ্ধারের পর তাঁর রুমে একটি দেয়ালে ইংরেজি ভাষায় লেখা একটি বাক্য পাওয়া যায়—"The world is a fine place and worth fighting for." (পৃথিবীটা একটা চমৎকার জায়গা এবং এর জন্য লড়াই করা মূল্যবান)। উক্তিটি বিখ্যাত আমেরিকান ঔপন্যাসিক ও সাংবাদিক আর্নেস্ট হেমিংওয়ের। এই লাইনটিই হয়তো তাঁর মনের দ্বন্দ্ব এবং জীবনের প্রতি একধরনের উপলব্ধিকে প্রকাশ করে।

‎মো. জুনায়েদ হোসেনের বাড়ি গাজীপুর জেলার পূবাইল গ্রামে। তাঁর অকাল মৃত্যুতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গভীর শোক প্রকাশ করেছে।


আরও খবর



ইসরায়েলে পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইরান

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালাতে প্রায় ১০০টি ড্রোন পাঠিয়েছে ইরান।ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী শুক্রবার এই তথ্য জানিয়ে বলেছে, তারা এসব ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করতে কাজ করছে।

এর আগে আজ ভোররাতে ইরানের বিভিন্ন স্থানে আকাশপথে হামলা চালায় ইসরায়েল।ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফরিন সাংবাদিকদের বলেন, ইসরায়েলের ভূখণ্ডের দিকে প্রায় ১০০টি ড্রোন পাঠিয়েছে ইরান, যেগুলো আমরা প্রতিহত করার চেষ্টা করছি।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডেফরিন জানান, ইরানে ইসরায়েলি হামলায় ২০০টি যুদ্ধবিমান অংশ নেয়, যেগুলো দেশটির ভেতরে প্রায় ১০০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।

গত রাতের ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রধান ও ইরানের জরুরি কমান্ডের প্রধান নিহত হয়েছেন বলে জানান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডেফরিন।

ইরানজুড়ে পাঁচটি ধাপে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। অজ্ঞাতনামা একজন ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা টাইমস অব ইসরায়েল পত্রিকাকে এ কথা জানিয়েছেন।

একই কর্মকর্তা বলেন, ইরানে শত শত হামলা চালানো হয়েছে। অন্তত আটটি শহরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে। সূত্র : এএফপি


আরও খবর



বাংলাদেশে সামরিক স্থাপনা প্রতিষ্ঠার কথা ভাবছে চীন

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ২১ জুন ২০২৫ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিআইএ) জানায়, চীন হয়তো বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও মিয়ানমারসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে সামরিক স্থাপনা প্রতিষ্ঠার কথা বিবেচনা করছে। সম্প্রতি ‘২০২৫ ওয়ার্ল্ডওয়াইড থ্রেট এসেসমেন্ট’ বা ‘বার্ষিক হুমকি মূল্যায়ন’ শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন দাবিই করেছে সংস্থাটি।

তবে এসব দেশে চীন ঠিক কী ধরনের সামরিক উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে, তা নিয়ে প্রতিবেদনে কোনো তথ্য উল্লেখ করেনি ডিআইএ। চীনের পক্ষ থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের এই দাবির বিপরীতে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা ধরনের হুমকি নিয়ে প্রতি বছর প্রতিবেদন প্রকাশ করে ডিআইএ। সম্প্রতি ২০২৫ সালের ১১ মে পর্যন্ত পাওয়া তথ্য নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে তারা। প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়া অংশে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারতের বিভিন্ন হুমকির কথা বলা হলেও বাংলাদেশের কোনো উল্লেখ নেই। তবে চীনের যেসব পরিকল্পনা বা হুমকির বিষয়ে বলা হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারও রয়েছে।

চীনের বিষয়ে সতর্ক করে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার এই প্রতিবেদনে বলা হয়, পূর্ব এশিয়ায় প্রধান শক্তিধর দেশ হওয়ার কৌশলগত লক্ষ্য বজায় রেখেছে চীন। তাইওয়ানকে মূল ভূখণ্ড চীনের সঙ্গে একীভূত করা, চীনের অর্থনীতির উন্নয়ন ও স্থিতিস্থাপকতাকে এগিয়ে নেওয়া ও মধ্য শতাব্দীর মধ্যে প্রযুক্তিগতভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে দেশটি বিশ্ব নেতৃত্বের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জও জানাচ্ছে।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, কূটনৈতিক, তথ্যগত, সামরিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মোকাবিলা করার জন্য চীন তার বৈশ্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করে চলেছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ইন্দো-প্যাসিফিক অর্থাৎ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও তার আশপাশের অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। এই প্রতিযোগিতায় চীনকে আরও ভালোভাবে প্রস্তুত করতে তিনি নানা উদ্যোগ নিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মার্কিন সামরিক জোট ও তার নিরাপত্তা অংশীদারত্বের জন্য যে সমর্থন রয়েছে, সেটিকে দুর্বল করা।

যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা দিতে চীন কোন কোন অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতির কার্যক্রম শুরু করেছে এবং কোন দেশগুলোতে শুরু করার চিন্তা করছে, তা মার্কিন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে চীনের ‘গ্লোবাল মিলিটারি অপারেশনস’ শীর্ষক অনুচ্ছেদে বলা হয়, চীনে থেকেই টানা লম্বা সময় কার্যক্রম চালানোর জন্য পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) বা গণমুক্তি বাহিনীর ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত করছে দেশটি। এছাড়া আরও শক্তিশালী বিদেশি সরবরাহ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করছে চীন।

ডিআই’র দাবি, পিএলএ সেনাদের আরও বেশি দূরত্বে মোতায়েন বজায় রাখার জন্য অবকাঠামোও তৈরি করছে জিনপিং সরকার। এই প্রচেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক কার্যক্রম কিংবা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন সম্ভবত মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), কিউবা, কেনিয়া, গিনি, সেশেলস, তানজানিয়া, অ্যাঙ্গোলা, নাইজেরিয়া, নামিবিয়া, মোজাম্বিক, গ্যাবন, বাংলাদেশ, পাপুয়া নিউগিনি, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ ও তাজিকিস্তানে পিএলএ’র সামরিক উপস্থিতির কথা বিবেচনা করছে।

গত ৫ এপ্রিল কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও চীনের পিএলএ বাহিনীর একটি প্রতিনিধিদল কম্বোডিয়ার রিম নৌ ঘাঁটিতে যৌথ লজিস্টিকস ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, চীনের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলেছে, কেন্দ্রটি সন্ত্রাসবাদ দমন, দুর্যোগ প্রতিরোধ, মানবিক সহায়তা ও প্রশিক্ষণের মতো ক্ষেত্রে যৌথ অভিযান কার্যক্রমকে সহযোগিতা করবে।

চীনের এ ধরনের কার্যক্রম কেমন হতে পারে, এ নিয়েও প্রতিবেদনে ধারণা দেওয়া হয়। এতে জানানো হয়, চীন বিভিন্ন দেশে একটি মিশ্র ব্যবস্থায় এসব কার্যক্রম চালায়। এতে গ্যারিসন বাহিনী অর্থাৎ নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থানরত সেনা ও ঘাঁটি রাখা হয়। এছাড়া যেসব দেশে এসব কার্যক্রম চালানো হয়, সেসব দেশের বাহিনীও তাদের সঙ্গে যুক্ত হয় ও সুবিধা পায়। এর বাইরে বাণিজ্যিক অবকাঠামোও থাকে এতে। গত বছর তানজানিয়ায় এমনই করেছে চীন।

ডিআইএ’র প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, গত বছর তানজানিয়ায় একটি অত্যন্ত সুপরিকল্পিত মহড়া পরিচালনা করে পিএলএ, যা আফ্রিকায় চীনের সর্ববৃহৎ সামরিক মহড়া। এই মহড়ায় সমুদ্র ও আকাশপথে ১ হাজারেরও বেশি সেনা মোতায়েনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দেয় চীনের সামরিক বাহিনী।


আরও খবর



ক্ষোভে রাস্তায় চামড়া ফেলে গেলেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ |

Image

অধিকাংশ মৌসুমি ব্যবসায়ী লোকসানে বিক্রির পাশাপাশি কেউ কেউ সড়কে-মহল্লায় কাঁচা চামড়া ফেলে গেছেন। মূলত সিন্ডিকেটের কারণে বর্ধিত দামের পরিবর্তে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন চামড়া সংগ্রহকারীরা। গরুর চামড়ার দামে দরপতনে ছাগলের চামড়া বিক্রিই হয়নি। চামড়া সংগ্রহে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর অব্যবস্থাপনায় চামড়া নিয়ে এবারো লোকসান ও পচনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।

ঈদুল আজহার দিন রাজধানীর মোহাম্মদপুর, সায়েন্স ল্যাব ও পুরান ঢাকার পোস্তা এলাকায় বেশির ভাগ গরুর কাঁচা চামড়া ৬৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৯০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে। ছোট চামড়ার দাম উঠেছে ৫৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা। রাজধানীর চামড়ার দাম অনেকটা বিগত বছরের মতোই ছিল।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, এ বছর কোরবানির পশুর চাহিদা প্রায় ১ কোটি ৩ লাখ ৮০ হাজার। সেখানে গরু-ছাগলসহ কোরবানির জন্য প্রস্তুত ছিল প্রায় ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার পশু। চলতি বছর কোরবানির ঈদের মৌসুমে ৮০ থেকে ৮৫ লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন ট্যানারি মালিকরা।

গত ২৬ মে কোরবানির পশুর চামড়ার দর নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে ঢাকায় গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় ৬০-৬৫ টাকা, যা গত বছর ছিল ৫৫-৬০ টাকা। ঢাকার বাইরের গরুর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫-৬০ টাকা, যা গত বছর ছিল ৫০-৫৫ টাকা। এছাড়া ঢাকায় সর্বনিম্ন কাঁচা চামড়ার দাম ১ হাজার ৩৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর ঢাকার বাইরে সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ১৫০ টাকা। এছাড়া খাসির লবণযুক্ত চামড়া ২২ থেকে ২৭ টাকা ও বকরির চামড়া ২০-২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

আড়তদাররা জানিয়েছেন, লবণযুক্ত চামড়ার যে দাম সরকার নির্ধারণ করেছে সেটি আড়ত থেকে ট্যানারি মালিকদের জন্য নির্ধারিত। সাধারণ মৌসুমি ক্রেতারা কাঁচা চামড়া কিনেই ব্যাপারীদের কাছে বিক্রি করে দেন। এক্ষেত্রে দরদাম করে তুলনামূলক কম দামে চামড়া কিনছেন তারা। প্রতিটি কাঁচা চামড়া লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াকরণে আরো ৪০০ টাকার মতো খরচ হয়। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা শুরুতে দাম ধরে রাখায় পরবর্তী সময়ে কম দামে চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

এদিকে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ কোরবানি হওয়া চট্টগ্রাম জেলায় চামড়া খাতে সবচেয়ে বড় ধস গেছে। চট্টগ্রামে প্রতিটি চামড়া বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে। তবে কোরবানি ঈদের দিন সন্ধ্যার পর থেকে চামড়ার দাম আরো কমে যায়। কেউ কেউ লোকসানে বিক্রি করলেও এক পর্যায়ে সড়কে চামড়া ফেলে গেছেন মৌসুমি বিক্রেতারা। রোববার দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রাম শহর থেকে সিটি করপোরেশন অন্তত ১০ টন পচা চামড়া সড়ক থেকে অপসারণ করেছে।

জানতে চাইলে বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাবেক সভাপতি মো. মুসলিম উদ্দিন বলেন, সরকার লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছে ১ হাজার ১৫০ টাকা। একটি ২০ ফুটের চামড়ায় ৪০০-৫০০ টাকা খরচ হয় প্রক্রিয়াজাত করতে। ট্যানারি মালিকরা চামড়া ক্রয়ের সময় প্রতিটি চামড়ায় ২০ শতাংশ বাদ দিয়ে হিসাব করেন। এ কারণে লবণ ছাড়া চামড়া বেশি দামে কেনার সুযোগ নেই। তবে শুরুতে সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা পর্যন্ত চামড়া সংগ্রহ করা হলেও ঈদের দিন রাতে সর্বনিম্ন ২০০ টাকায় চামড়া বিক্রি হয়েছে।

চট্টগ্রামের পাঠানটুলী এলাকার মো. জাহিদ নামের এক মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিটি ৪০০ টাকা করে ১৮টি চামড়া সংগ্রহ করেছিলাম। পরিবহন ও শ্রমিক মজুরিসহ দাম ৪৫০ টাকার মতো। কিন্তু প্রতিটি চামড়া ৪০০ টাকা করে বিক্রি করে দিয়েছি।

নগরীর চৌমুহনী এলাকার চামড়া ব্যবসায়ী মো. মনজু মিয়া বলেন, ১১০টি চামড়া প্রতিটি গড়ে ৪৮০ টাকা করে সংগ্রহ করেছি। কিন্তু ব্যাপারীরা বাড়তি দাম দিতে চায়নি। নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে শেষ পর্যন্ত ৩৫০ টাকা করে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছি। বড় আড়তদার ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারণে বিগত দেড় দশক ধরে চামড়া ব্যবসায় লোকসান দিতে হচ্ছে। এ বছর সিন্ডিকেট থাকবে না আশা করে চামড়া সংগ্রহ করেছিলাম। কিন্তু এবারো লোকসান দিতে হয়েছে।

নগরীর দেওয়ানহাট ও চৌমুহনী, দুই নম্বর গেট এলাকায় শত শত মৌসুমি ব্যবসায়ী দাম না পেয়ে সড়কের পাশে চামড়া ফেলে চলে গেছেন। চৌমুহনীতে কয়েকজনের একটি মৌসুমি ব্যবসায়ী গ্রুপ দাম না পেয়ে প্রায় ২ হাজার চামড়া ফেলে গেছেন।

চামড়ার পচন ও দাম না পাওয়ার জন্য এ বছর শিল্প মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেশব্যাপী বিনামূল্যে ৩০ হাজার টন লবণ বিতরণ কার্যক্রমকে দায়ী করেছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। তাদের দাবি, সরকার ৩০ হাজার টন লবণ দেয়ার কথা বললেও বিতরণ করেছে মাত্র এক-চতুর্থাংশ। ফলে এ বছর মৌসুমি ব্যবসায়ীরা লবণ সংগ্রহ করেননি। যার কারণে কাঁচা চামড়া নিয়ে বিক্রির জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে। এ সুযোগে আড়ত ও ব্যাপারীরা দাম কমিয়ে দিয়েছেন। এক পর্যায়ে পচন ধরতে শুরু করলে কম দামে বিক্রিতে বাধ্য হয়েছেন তারা।

জানতে চাইলে চট্টগ্রামের চাক্তাই এলাকার মেসার্স লাল মিয়া সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আসাদ বলেন, আমরা কোরবানির অনেক আগেই পশুর চামড়া সংগ্রহ নিয়ে সংকটের কথা জানিয়েছিলাম। সরকার বিনামূল্যে দেশব্যাপী লবণ দেয়ার কথা জানানোয় কেউই লবণ সংগ্রহ করেনি। আবার সরকারও এক-চতুর্থাংশের বেশি লবণ দেয়নি। যার কারণে পাইকারি পর্যায়ে দেশব্যাপী চামড়ার জন্য নির্ধারিত মোটা লবণের সরবরাহ সংকট ও দাম বেড়ে যায়। মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা শতভাগ কাঁচা চামড়ার বিপণনে বাধ্য হন। যার সম্পূর্ণ সুযোগ নিয়েছেন আড়ত, ব্যাপারী ও ট্যানারি মালিকরা। পাশাপাশি দেশের শত শত লবণ মিল মালিক বড় লোকসানে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

চট্টগ্রামের আড়তদার সমিতির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহবুবুল আলম জানান, মৌসুমি বিক্রেতারা শুরুতে বাড়তি দাম দিয়ে চামড়া বিক্রি করেনি। অনেকে আবার দেরিতে চামড়া এনেছিলেন। এতে চামড়া পচে গেছে। চামড়া পচে যাওয়ায় কেউ কেনেননি। তবে তারা শুরুতে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দিয়েও একেকটি চামড়া কিনেছেন। শেষ দিকে ২০০ টাকায়ও চামড়া নিয়েছেন। কেউ কেউ ক্রেতা না পেয়ে চামড়া ফেলে যাওয়ার বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

অনেক আড়তদার বলছেন, মৌসুমি ব্যবসায়ীদের একটি বড় অংশ লবণযুক্ত চামড়ার দামের সঙ্গে কাঁচা চামড়ার দাম গুলিয়ে ফেলেন। এতে অনেক সময় তারা বেশি দামে চামড়া কিনে ক্ষতিগ্রস্ত হন। এবারো সেটা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা।


আরও খবর