Logo
শিরোনাম

জানুয়ারিতে পাঁচ দফা শৈত্যপ্রবাহের আভাস

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

জানুয়ারিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৫টি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে শীত বাড়বে এবং তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নামতে পারে। বুধবার (১ জানুয়ারি) এ তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক।

তিনি বলেন, ‘জানুয়ারিতে একটি থেকে তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি এবং একটি থেকে দুটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। বুধবার থেকে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, সিলেট বিভাগে ঠান্ডার অনুভূতি বাড়বে। ধীরে ধীরে মধ্যাঞ্চল হয়ে দেশের পূর্বাঞ্চল পর্যন্ত এর বিস্তার হতে পারে।

এ আবহাওয়াবিদ বলেন, এই দফাতে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে, যা শুক্রবার পর্যন্ত থাকতে পারে। আগামী কয়েকদিন কুয়াশার ব্যাপ্তিও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরা হিমেল হাওয়ার প্রভাবও বাড়তে থাকবে। পুরো মাসজুড়েই শীতের অনুভূতি বেশি থাকবে।

এদিকে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে। দেশের উত্তরাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দেশের অন্যত্র তা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বুধবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে।


আরও খবর

কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




পদোন্নতি পেলেন মাভাবিপ্রবির ২৩ শিক্ষক

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) বিভিন্ন বিভাগের ২৩ জন শিক্ষক পদোন্নতি পেয়েছেন। এর মধ্যে ১৬ জন সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক এবং সাতজন সরাসরি অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।

এর আগে ২৭ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের ২৪৮তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে চিঠির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানায়।

সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি প্রাপ্তরা‌ হলেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মো. আবু বকর সিদ্দিকী, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ড. মো. দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া ও ড. ওবায়দুর রহমান, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ড. মো. নাজমুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ড. আব্দুল গাফ্ফার খান, ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স (সিপিএস) বিভাগের মোহাম্মদ আশরাফুল আলম, ড. মোছা. নুরজাহান খাতুন, ড. মো. ইসতিয়াক আহমেদ তালুকদার, ড. মো. বশীর উদ্দীন খান ও ড. রুখসানা সিদ্দীকা, ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স (এফটিএনএস) বিভাগের ড. মো. জয়নুল আবেদীন, পরিসংখ্যান বিভাগের ড. মো. দেলোয়ার জাহান মলয়, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) বিভাগের ড. মুহাম্মদ বদরুল আলম মিয়া, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (বিজিই) বিভাগের ড. শাহ আদিল ইশতিয়াক আহমদ, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (ইএসআরএম) বিভাগের ড. মাহমুদা বিনতে লতিফ এবং গণিত বিভাগের ড. মো. আব্দুস সালাম।

এছাড়াও গ্রেড-২ পদে পদোন্নতি পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৭ জন অধ্যাপক। গ্রেড-২ পদে পদোন্নতি প্রাপ্তরা হলেন- গণিত বিভাগের ড. মোহাম্মদ মোকাদ্দেছ আলী, বিজিই বিভাগের ড. মো. মাসুদার রহমান ও ড. আশরাফ হোসাইন তালুকদার, ইএসআরএম বিভাগের ড. মীর মো. মোজাম্মেল হক ও ড. শামীম আল মামুন, সিপিএস বিভাগের ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক এবং আইসিটি বিভাগের ড. মনির মোর্শেদ।


আরও খবর

তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের একদফা ঘোষণা

রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5




ফুলবাড়ী সীমান্তে আলোচিত ফেলানী হত্যার ১৪ বছরেও পায়নি বিচার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, (কুড়িগ্রাম) 

আজ- ০৭(জানুয়ারি)সীমান্তে আলোচিত ফেলানী হত্যার-১৪ বছর।২০১১সালে এইদিনে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের উত্তর অনন্তপুর হাজিটারী সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ ফেলানীকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে লাশ কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখে।এ হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও আজ অবধি কাঙ্খিত বিচার পায়নি তার পরিবার।


পাশ্ববর্তী নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের দক্ষিণ রামখানা কলোনিটারী গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ফেলানী হত্যার এই দিনটির স্বরণে ফেলানীর কবর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করতে ব্যস্ত তার পরিবার।ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম, মা জাহানারা বেগম জানান,আজ ১৪ বছরেও সেই দিনের দুঃসহ স্মৃতির কথা ভুলতে পারিনি, আজ ও সেদিনের তার আত্ম চিৎকারে গভীর রাতে আচমকা ঘুম ভেঙ্গে যায়।আমাদের মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে মানবাধিকার সংস্থা সহ নানান জনের কাছে গিয়েছি কিন্তূ এপর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত বিচার পেলাম না।


২০১৩ সালের ১৩ আগষ্ট ভারতের কুচবিহার জেলার বিএসএফের ১৮১ সদর দপ্তরে অবস্থিত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে ফেলানী হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু হলে ০৫ (সেপ্টেম্বর) সেই কোর্টে অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ১১ (সেপ্টেম্বর)  ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পাবার আশায় ভারত সরকারকে একটি পত্র দিয়ে জ্ঞাত করেন। ২০১৪ সালে ২২(সেপ্টেম্বর) পুনঃবিচার কার্যক্রম শুরু হলেও বিভিন্ন কারণে তা একাধিকবার স্থগিত হয়ে যায়।


পরবর্তীতে ২০১৫ সালের আইন ও সালিশ কেন্দ্র ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চে আরও একটি ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করেন। ৩১(আগষ্ট) ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সেদেশের সরকারকে ফেলানীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ লক্ষ্য রুপি প্রদানের অনুরোধ করেন ,এর জবাবে ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম কে দায়ী করে বক্তব্য দেন। এরপর ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দফায় দফায় শুনানি দিন তারিখ পিছিয়ে গিয়ে একেবারে ২০২০ সালে ১৮ (মার্চ)শুনানির দিন ধার্য হয়ে আজ অবধি শেষ হয়নি সেই বিচার কাজ।


ফেলানী হত্যা মামলার তৎকালীন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সদস্য মানবাধিকার কর্মী, সাবেক পিপি এ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন জানান, আমরা এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচার পাইনি,পেলে মানবাধিকার সুরক্ষার পথ আরও সুগম হতো।


এছাড়াও ২০১৩ সালের ২৭(সেপ্টেম্বর)ফেলানী হত্যার ঘটনায় স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ বিচার এবং ক্ষতিপূরণ আদায়ে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ১ম বাদী ও বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট সালমা আলী ২য় বাদী হয়ে ভারতের আইন ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় (ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়ার) সচিব এবং বিএসএফের মহাপরিচালক কে বিবাদী করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট নয়াদিল্লীতে ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ -৩২ অনুযায়ী একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন।পরবর্তীতে ২০১৫ সালে  ২১ (জুলাই) আবারও ফেলানীর বাবার জন্য অন্তবর্তী কালীন ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি আবেদন করেন।


এবিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট সালমা আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মামলাটি ভারতের নয়াদিল্লীর সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘদিন যাবত ঝুঁলে আছে।


এদিকে ফেলানী হত্যার পর থেকে গত কয়েক বছর ধরে ৭ (জানুয়ারি) কে ফেলানী দিবস ঘোষণা,হত্যার বিচার,তার পরিবার কে আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান ও ঢাকা শহরের উত্তর সিটি কর্পোরেশন বারিধারা পার্ক রোডের নামকরণ ফেলানী স্বরণী রাখার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে ঢাকাস্থ নাগরিক পরিষদ। এতদিন পার হয়ে গেলেও বাস্তবায়ন হয়নি একটিও।

এবিষয়ে ঢাকাস্থ নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন মুঠোফোনে জানান,এবার তারা ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় শুধু স্টিকার লাগাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন,৭ (জানুয়ারি) ফেলানী দিবস পালন সহ সারা বিশ্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে ২০১৫ সালে জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবরে আমরা একটি লিখিত স্বারকলিপি প্রদান করেছিলাম। পরবর্তীতে এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয় এটি বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘের নিকট যে কোন রাষ্ট্রকে এবিষয়ে প্রস্তাব আনতে হবে। সেক্ষেত্রে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা সে উদ্যোগের অপেক্ষায় আছি।


আরও খবর



খাগড়াছড়িতে ৭ মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

খাগড়াছড়ির উপজেলার ৭টি মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের টাওয়ারে সংযোগ বিচ্ছিন্ন যন্ত্রাংশ লুটপাতের অভিযোগ উঠেছে পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে টাওয়ার সংশ্লিষ্টরা। সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া টাওয়ার গুলো সব বেসরকারি টেলি সেবা দাতা প্রতিষ্ঠান রবি কোম্পানীর বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল

নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, গেল ২২ জানুয়ারী ভোরে একযোগে জেলার দীঘিনালা, মানিকছড়ি মাটিরাঙায় হামলার ঘটনা ঘটে পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ' সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবী করে না পাওয়ায় হামলা বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে

দীঘিনালার বাবুছড়ার কার্বারী পাড়া, বাঘাইছড়ি মুখ, জারুলছড়ি, বড়াদম সাধনাটিলা এলাকার টি টাওয়ারের নেটওয়ার্কিং সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়া যন্ত্রাংশ রুমে ভাংচুর লুটপাত করা হয়েছে। একই সাথে মাটিরাঙা মানিকছড়িতে আরও দুটি টাওয়ারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়

বিষয়ে রবি কোম্পানীর স্থানীয় এক প্রতিনিধি নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, প্রতিবছর মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গুলো থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা নিয়ে আসছে পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠনগুলো। এবছরও চাঁদা চাওয়া হয়েছে। তবে কি কারণে টাওয়ারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তা বলা যাচ্ছে না। কোম্পানীর মার্কেটিং নেটওয়ার্কিং টিম আলাদা ভাবে অপারেটিং হয়। নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থাপনা টিমকে বিষয়ে জানানো হয়েছে। তারা উদ্যোগ নিবে

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানান, খাগড়াছড়ির কয়েকটি উপজেলায় রবি কোম্পানীর কয়েকটি টাওয়ার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। বিষয়ে আইনগত ভাবে কেউ এখনও অভিযোগ করেনি

এদিকে, খাগড়াছড়ি ছাড়াও রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার দুইটি ইউনিয়নে রবি কোম্পানীর টাওয়ার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে খবর শোনা যাচ্ছে। এতে করে দুই জেলার লক্ষাধিক মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী গ্রাহক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন


আরও খবর



জাতীয় সরকার ছাড়া জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা সম্ভব নয়

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

জাতীয় সরকার ছাড়া জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা সম্ভব নয় মন্তব্য করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, জাতীয় ঐক্য এবং সংহতির জন্য জাতীয় সরকার গঠনের লক্ষ্যে নতুন করে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে পেশাজীবী অধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি জানান।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জন-আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে ধাবিত হচ্ছে অভিযোগ করে ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, গঠনের পর থেকে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে অন্তর্বতী সরকারের উপদেষ্টারা। সরকারের মধ্যে পরিবর্তন এনে রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। নির্বাচন ডিসেম্বরে বা জুনে যখনই হউক; জাতীয় সরকার ছাড়া কোনো সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। যে রাজনৈতিক দল জাতীয় সরকারে যাবে না, জনগণই তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। ৫ আগস্টের পরেই জাতীয় বা সর্বদলীয় সরকার গঠন জরুরি ছিল। কিন্তু সেটা করা হয় নাই। অন্তবর্তীকালীন সরকার নাম দিয়েই সরকারকে দুর্বল করা হয়েছে। এখন সরকার ও রাজনৈতিক দল মুখোমুখি দাঁড়াচ্ছে। এখন এই অবস্থা যদি চলতে থাকে তবে এই বিভাজনই আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের সুযোগ করে দিবে।

আওয়ামী লীগকে নিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যদি সুযোগ পায়, তাহলে কিন্তু কাউকে ছাড়বে না। আওয়ামী লীগকে কামব্যাক করানোর জন্য ন্যাশনাল, ইন্টারন্যাশনাল অনেক এজেন্ট কাজ করবে, ফান্ড দেবে। কাজেই ছাত্রসহ সব রাজনৈতিক দলকে বলব, আওয়ামী লীগের প্রশ্নে আপনাদের অবস্থান পরিষ্কার করুন এবং করতেই হবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে কোনো ছাত্রকে আমরা শক্ত অবস্থানে দেখছি না। এ বিষয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন চালানোর দরকার ছিল। কিন্তু বুঝতে পারছি না, তারা কেনো আওয়ামী লীগের প্রশ্নে একটা সুবিধাবাদী অবস্থায় আছে।

নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রতি প্রশ্ন রেখে নুর বলেন, নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থী ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা খরচ করে। তারা ধান্দা করার জন্যই টাকা খরচ করে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সংস্কারে যারা কাজ করছেন, তারা কালো টাকা আর পেশিশক্তি ব্যবহার বন্ধে কি কাজ করেছেন আমাদের সেটা জানা নাই। নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে নূন্যতম একটি শর্ত রাখতে হবে। আর নির্বাচন কমিশনকেই প্রার্থীর পোস্টারসহ নূন্যতম খরচ দিতে হবে। এ সময় তিনি উপদেষ্টাদের ভূমিদস্যু এবং লুটেরা দুইটি গ্রুপের বৈঠকের অভিযোগ তোলেন।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান সরকারের উদ্দেশে বলেন, কেন উপদেষ্টারা বিএনপিকে বলছে, তারা কি ১/১১ চায়? বিএনপি তো ১/১১ এর সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী। বরং শোনা যাচ্ছে এই সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টার আশপাশে এক-এগারোর কুশীলবরা ঘোরাফেরা করছে। বরং মানুষের মনে উদ্বেগ যে, এ সরকার ব্যর্থ হয়ে আরেকটি এক-এগারো সৃষ্টি করে কি না।

তিনি আরও বলেন, আমরা সরকারকে বলবো, ব্যর্থ হবেন না। সব রাজনৈতিক দল ও গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে নিয়ে বসুন। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে রোডম্যাপ প্রকাশ করুন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি করার ফলাফল ভাল হবে না।

সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই সরকার গত সাড়ে ৫ মাসে সফলতার মুখ দেখতে পারেনি। বরং পদে পদে ব্যর্থ হয়েছে। এখনো কেনো শেখ পরিবার, আওয়ামী হাইকমান্ড ও তৃণমূল থেকে আওয়ামী পান্ডাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না? কেনো শহীদ পরিবার ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না; শহীদ ও আহতদের সঠিক তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে না? কেনো নিত্যপণ্যের দাম না কমিয়ে, ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়ানো হলো? সরকারের এসব ব্যর্থতা রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে উপদেষ্টারা।

এসময় পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি ডা. জাফর মাহমুদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর সদস্য আবু হানিফ, অ্যাডভোকেট নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, হাবিবুর রহমান রিজু প্রমুখ।


আরও খবর

চলতি বছরই হতে পারে নির্বাচন

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




১৬ বছর পর কারামুক্ত বিডিআরের ১৬৮ সদস্য

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

দীর্ঘ ১৬ বছর পর কারাগার থেকে বের হলেন পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা বিস্ফোরক মামলায় জামিন পাওয়া বিডিআর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ১৬৮ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়।

এর আগে ২১ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়ার আদালত জামিনপ্রাপ্ত ১৭৮ জন আসামির নাম প্রকাশ করেন। এর মধ্যে ১৬৮ জনের তালিকা হাতে পেয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল বলেন, ১৬৮ জনের তালিকা হাতে পেয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। এরপরই বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।

কারগার সূত্রে জানা যায়, মুক্তি পাওয়া ১৬৮ জন বিডিআর বন্দির মধ্যে কাশিমপুর-১ থেকে ২৬ জন, কাশিমপুর-২ থেকে ৮৯ জন, কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি থেকে ১২ জন। আর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৪১ জন বিডিআর বন্দি সদস্যকে মুক্তি দেওয়া হয়।

গত ১৯ জানুয়ারি পিলখানা ট্র্যাজেডির ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলা ও হত্যা মামলার বিচারক একটি রায় দেন। সেখানে নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা ছাড়া বাকিদের জামিনের আদেশ দেন।


আরও খবর

অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না

শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫