Logo
শিরোনাম
নওগাঁর সীমান্তে গুলিতে নিহত যুবকের মৃতদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ মোরেলগঞ্জে প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে গৃহিনীকে রাস্তায় ফেলে মারপিট: ইমাম আটক সুনামগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ নজির হোসেনের দাফন সম্পন্ন উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

জাপানে সুপার টাইফুনের আঘাত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০22 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

সুপার টাইফুন নানমাডলের আঘাতে লণ্ডভণ্ড জাপানের দক্ষিণের দ্বীপ কিউশুসহ বেশ কিছু জায়গা। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ৯০ লাখ মানুষকে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।

রোববার পূর্বাভাস অনুযায়ী প্রবল শক্তি নিয়ে আঘাত হানে সুপার টাইফুন নানমাডল। ঝড়ে তাণ্ডবের কারণে এদিন রাতেই জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে কাটিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। টাইফুনের আঘাতে জাপানে প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। যার অধিকাংশই কিউশুতে। সুপার টাইফুনের কারণে জাপানে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে এবং কিছু কারাখানা উৎপাদন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনা এড়াতে বাতিল করা হয়েছে বুলেট ট্রেন পরিষেবা, ফেরি এবং শতাধিক ফ্লাইট। অনেক দোকান এবং অন্যান্য ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে।  


আরও খবর



দেশের সব রেস্তোরাঁ বন্ধের হুমকি মালিক সমিতির

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

দেশের রেস্টুরেন্ট খাতের বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানকে রক্ষা করার জন্য সবার সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। অন্যথায় রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় আগামী ২০ মার্চ (বুধবার) মানববন্ধন করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

এরপরও সমস্যার সমাধান না হলে প্রতীকী হিসেবে ১ দিনের জন্য সারা দেশে সব রেস্তোরাঁ বন্ধের কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

সোমবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন সংগঠনটির মহাসচিব ইমরান হাসান।

সম্প্রতি বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের পর সরকারি বিভিন্ন সংস্থার অভিযানকে নৈরাজ্য আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, রমজান মাসে সিলগালা নাটক বন্ধ করুন। সরকারি সকল সংস্থার নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে অবহেলার দায় ব্যবসায়ীদের উপর চাপানো হচ্ছে। ঢালাওভাবে রেস্তোরাঁ সেক্টরটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। সিলিন্ডারের কারণে শ্রমিক কর্মচারীদের গ্রেপ্তার কারা হয়েছে। অনেক কাগজ-ডকুমেন্ট থাকার পরও রাজউক অনধিকার চর্চা করছে। স্বাধীন দেশে এটা কোনোভাবে কাম্য নয়।

সরকারি বিধি অনুযায়ী কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হলে কমপক্ষে ৬ মাস পূর্বে নোটিশ প্রদান করতে হবে। সময় বেধে দিতে হয় কিন্তু বিনা নোটিশে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।

সংগঠনটির মহাসচিব বলেন, এই প্রথম আমরা রাজউকের এফ ১ ও এফ ২ বিষয়টি শুনেছি। রাজউক যে নৈরাজ্য চালাচ্ছে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। রাজউকের এফ ১ ও এফ ২ এর নামে যে নৈরাজ্য চলছে তা সঠিক নয়। রাজউক যে উদ্দেশ্যে ভবন নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিল, সেইভাবে যদি ভবনটি ব্যবহার না হয় তাহলেও আইন অনুযায়ী কমপক্ষে ১২ মাসের সময় দিয়ে নোটিশ দিতে হবে।

রেস্তোরাঁ সেক্টরটি ক্ষতিগ্রস্ত সেক্টর উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনাকালীন সময়ে সরকারি কোনো প্রণোদনা বা কোনো রকমের সহায়তা আমরা পাইনি। এর পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য ব্যবসায়ীকভাবে এই সেক্টরটি পিছিয়ে পরে। অনেক চেষ্টা করে ঘুরে দাড়াতে চাচ্ছে এই সেক্টরটি কিন্তু হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আবার ভয়াবহ সঙ্কটে এই সেক্টর। রমজানের মধ্যেও শ্রমিক কর্মচারীদের গ্রেপ্তার ও রেস্তোরাঁ অভিযান বন্ধ হয়নি। এছাড়া নীতিবাচক প্রচার-প্রচারণার প্রেক্ষিতে রেস্তোরাঁয় গ্রাহক আসা কমে গেছে। রাতারাতি এই সেক্টর গড়ে উঠেনি। নানা ধরনের লাইসেন্স বা অনুমতি নিয়ে এবং সরকারকে ভ্যাট, ট্যাক্স দিয়ে এই সেক্টর গড়ে উঠেছে।

প্রায় ১২টি সংস্থা রেস্তোরাঁ শিল্পটি মনিটরিং করে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বিজিএমইএ এর আদলে রেস্তোরা সেক্টরকে যুগোপোযুগী ও কর্মমুখী করে এগিয়ে নিতে চাই। এখন সময় এসেছে রোস্তোরাঁয় হয়রানি বন্ধ করে খুলে দেওয়ার। রেস্তোরাঁ যদি বন্ধ থাকে তাহলে রেস্তোরাঁর মালিক কিভাবে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে বেতন ভাতা ও বোনাস প্রদান করবে? আইনি নোটিশ, গ্রেপ্তার ও প্রতিষ্ঠান বন্ধের মাধ্যমে রেস্তোরাঁ সেক্টরে যে অবিচার ও জুলুম চলছে তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে সঙ্কট উত্তরণের কোনো নির্দেশনা না দিয়ে গ্রেপ্তার ও রেস্তোরাঁ বন্ধের মাধ্যমে কোনো সুফল বয়ে আসবে না। ফায়ার সেফটি ও নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে এসওপি প্রদান করা যেতে পারে।

সঙ্কট সমাধানে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করার প্রস্তাব দিয়ে ইমরান হাসান বলেন, এ সঙ্কট উত্তোরণের রাস্তা বের করতে হবে। মাথা ব্যথা হয়েছে বলে মাথা কাটা যাবে না। ঝুঁকিপূর্ণ ও অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো চিহ্নিত করা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করা যেতে পারে। টাস্কফোর্স এর মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের কারণগুলো চিহ্নিত করতে হবে। সে অনুযায়ী টাস্কফোর্স নির্দিষ্ট একটি এসওপি তৈরি করবে। দেশের সব রেস্টুরেন্ট সেবাকে একটি সংস্থার অধীনে এনে লাইসেন্স প্রদান করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা একই ব্যবসার জন্য একাধিক সংস্থার নিকট যেতে চাই না, এতে আমাদের খরচ ও হয়রানি দুটাই বৃদ্ধি পায়।

একইসঙ্গে সঙ্কট সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা প্রত্যাশার কথাও বলেন তারা।

এর আগে গত ৫ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, রাজধানীতে কয়েকদিনের অভিযানে প্রায় ৪০টির মতো রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার জন্য তার কার্যালয়ে সংগঠনটি চিঠি পাঠিয়েছে বলেও জানানো হয়।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডের একটি রেস্টুরেন্ট ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২২ জন।

 


আরও খবর



দেশের ৩৮ শতাংশ ভবন অগ্নিঝুঁকিতে

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

রোকসানা মনোয়ার :  অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে দেশের ৩৮ শতাংশ ভবন। এর মধ্যে আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাছাড়া দেশের দুই গুরুত্বপূর্ণ শহর ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৫৪ শতাংশ ভবন অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে ।

সম্প্রতি প্রকাশিত ফায়ার সার্ভিসের একটি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর সারা দেশে ভবনগুলোর অগ্নিনিরাপত্তার বিভিন্ন বিষয় পরিদর্শন করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।

এদিকে চট্টগ্রামের বিএম ডিপো কিংবা বনানীর এফআর টাওয়ার, পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টা ও নিমতলীর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এখনও সবার মনে দাগ কাটে। এসব ঘটনায় হতাহতের পরিবারগুলো এখনও লাল আগুনের নীল কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছে। প্রায় প্রতিবছরই ঢাকাসহ সারা দেশে এমন অগ্নিকাণ্ডে হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতির পরও কার্যকর উদ্যোগ নেন না সংশ্লিষ্টরা। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বারবার চিঠি দেওয়া হলেও টনক নড়ে না তাদের। বড় কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলে অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে কেউ মাথাও ঘামান না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রতিবেদনটি তৈরি করতে ৫ হাজার ৮৬৯টি ভবন পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিস। এতে ২ হাজার ২২৩টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। এর মধ্যে অতিঝুঁকিপূর্ণ ৬৭১টি এবং ১ হাজার ৬০৬টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে। একই সঙ্গে অগ্নিনিরাপত্তায় ৩ হাজার ৯৬টি ভবনে সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়া গেছে।

সবচেয়ে বেশি ঢাকায় ৫৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং সবচেয়ে কম ময়মনসিংহে ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ ভবন অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। চট্টগ্রামে অগ্নিঝুঁকি রয়েছে ৫৪ দশমিক ২৯ শতাংশ ভবনে। এ ছাড়া বরিশালে ২৯ দশমিক ৬২ শতাংশ, খুলনায় ৪১ দশমিক ৪৬ শতাংশ, রংপুরে ২৪ শতাংশ, সিলেটে ১৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ, রাজশাহীতে ১৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং ময়মনসিংহে ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ ভবন অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে।

ঢাকায় সরকারি-বেসরকারি ১ হাজার ১৬২টি ভবন পরিদর্শন করে ৬৩৫টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে ফায়ার সার্ভিস। যার মধ্যে ১৩৬টি ভবন অতিঝুঁকিপূর্ণ এবং ৪৯৯টি ঝুঁকিপূর্ণ। আর ৫২৭টি ভবনের অগ্নিনিরাপত্তা সন্তোষজনক।

চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১ হাজার ৬৭৬টি ভবন পরিদর্শন করে ৯১০টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে ফায়ার সার্ভিস। এ এলাকায় অতিঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ৪৬৩টি ভবন অতিঝুঁকিপূর্ণ এবং ৪৪৭টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শন করা ভবনগুলোর তথ্যানুযায়ী, বরিশালে ৬৯২টি ভবন পরিদর্শন করে ২০৫টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। খুলনায় ৪১০টি ভবন পরিদর্শন করে ১৭০টি, রাজশাহীতে ৯৩৫টি ভবন পরিদর্শন করে ১৪০টি, রংপুরে ৫১২টি ভবন পরিদর্শন করে ১২৩টি, সিলেটে ১৭২টি ভবন পরিদর্শন করে ৩৪টি এবং ময়মনসিংহে ৩০৬টি ভবন পরিদর্শন করে ৬টি ভবন অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

ফায়ার সার্ভিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিদর্শনের সময় ভবনের মাটির নিচের জলাধারের ধারণক্ষমতা, অবস্থানকারীর সংখ্যা, প্রবেশদ্বারের প্রশস্ততা, ধোঁয়া ও তাপ শনাক্তকরণ যন্ত্রের উপস্থিতি, মেঝের আয়তন, জরুরি নির্গমন সিঁড়ি, লিফট ইত্যাদি খতিয়ে দেখে ভবনগুলোকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ ও ‘অতিঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

এর আগে ঢাকায় বড় কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর ২০১৭ সালে ভবনগুলোর ওপর বিশেষ জরিপ চালায় ফায়ার সার্ভিস। হাসপাতাল, মার্কেট, আবাসিক হোটেল ও উঁচু ভবনগুলোর অগ্নিনিরাপত্তা নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেখানে দেখা যায় ঢাকার অধিকাংশ ভবনই অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। ওই রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী ঢাকার ৯৬ শতাংশ বিপণিবিতান, ৯৮ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ৯৮ শতাংশ হাসপাতাল-ক্লিনিক অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে।

ভবনের অগ্নিনিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক করা হলেও সরকারি কিংবা বেসরকারি কর্তৃপক্ষ কেউই আমলে নেয় না। ফায়ার সার্ভিসের কাছে আইনি ক্ষমতা না থাকায় কোনো ধরনের ব্যবস্থাও নিতে পারে না তারা। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপরেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে মালিকদের চিঠি দেই। আমাদের কাজ সমস্যা চিহ্নিত করা, মানুষকে সচেতন করা।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বল প্রয়োগ করা আমাদের কাজ নয়। যারা মানছে না আমরা তাদেরও চিহ্নিত করি। আইন প্রয়োগ করার জন্য অন্য সংস্থা রয়েছে।

জানতে চাইলে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘অগ্নিনিরাপত্তার সঙ্গে অনেকগুলো সংস্থা জড়িত। এসব সেবা-সংস্থার মধ্যে আন্তঃযোগাযোগের ঘাটতি আছে। যথাযথ সমন্বয় ও আইনের প্রয়োগ না থাকায় অনেকেই অগ্নিনিরাপত্তা নিয়ে উদাসীন। তবে মানুষের জীবনের নিরাপত্তার প্রশ্নে সরকারের কঠোর হতে হবে।

তিনি বলেন, ‘সংস্থাগুলোর মধ্যেও অনেক সময় ভীতি কাজ করে। কেননা বহুতল ভবনগুলোর মালিক সবাই প্রভাবশালী। কখন কার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে কী হয়ে যায়, তাদের ভেতর এমন এক ধরনের চাপ কাজ করে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ মেহেদী আহসান বলেন, ‘সরকারি ভবনের চেয়ে ব্যাক্তিমালিকানাধীন ভবনে অগ্নি ঝুঁকি বেশি। সরকারি ভবনগুলোতে অনেকাংশেই অগ্নিনির্বাপক ব্যাবস্থা থাকে। তাই নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভবন মালিকদের নিজ থেকে উদ্যোগী হতে হবে। তারা নিজেরা ভবনের অগ্নিনির্বাপক ব্যাবস্থা নিশ্চিত না করলে ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারের সংস্থাগুলোকে জননিরাপত্তার বিষয় চিন্তা করে কঠোর হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসেরর অবশ্যই করণীয় আছে। ভবন নির্মাণের আগে তারা সার্টিফিকেট দেয়। অগ্নিনির্বাপক ব্যাবস্থা যথাযথভাবে অনুসরণ করা না হলে ভবনের অনুমোদন হওয়ার কথা না। যারা ফায়ার সেফটি ছাড়া ভবন নির্মাণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।

অন্যদিকে গত বছরের ৪ জুন চট্টগ্রামের বিএম ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হন ৫১ জন। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডে ৭১ জন মারা যান। একই বছর ২৮ মার্চ বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লেগে ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ৭০ জন আহত হন। ২০১০ সালে পুরান ঢাকার নিমতলীতে অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জন মানুষ প্রাণ হারান।

ফায়ার সার্ভিসের ওই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২২ সালে সারা দেশে ২৪ হাজার ১০২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৯৮ জন এবং আহত হয়েছেন ৪০৭ জন। নিহতদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীও রয়েছেন ১৩ জন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে সারা দেশে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৩৪২ কোটি ৫৮ লাখ ৫১ হাজার ৩৮৯ টাকা। আর উদ্ধার করা মালামালের আনুমানিক মূল্য ১ হাজার ৮০৮ কোটি ৩২ লাখ ৬৪ হাজার ৬৬০ টাকা। এ ছাড়া ৯ হাজার ৫১৭টি অগ্নিকাণ্ডের অপারেশনে যাওয়ার আগে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

এসব অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে পুরুষ ৭২ জন ও নারী ১৩ জন। অগ্নিনির্বাপণে গিয়ে দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিহত হয়েছেন ১৩ জন এবং আহত হয়েছেন ৪০৭ জন।

প্রতিবেদন আরও বলা হয়, নদীপথসহ পুকুর ও ডোবায় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে সাহায্যের জন্য ফায়ার সার্ভিসে কল আসে ১ হাজার ৫৫৬টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৯৩৮ জন। আহত হয়েছেন ১৪৪ জন। যাদের সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া ৫১৪টি দুর্ঘটনার কবল থেকে ৫৩০টি পশুপাখি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ১১ হাজার ৯১১টি অন্যান্য দুর্ঘটনায় আহত হন ১৩ হাজার ১৬৮ জন। আর নিহত ২ হাজার ৫২২ জন। এসব দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ১০ জন কর্মীও আহত হয়েছেন।

সারা দেশে সবচেয়ে বেশি ৩৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে। এ ছাড়া বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা থেকে ১৬ দশমিক ০৮ শতাংশ, চুলা থেকে ১৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং ১৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ অজ্ঞাত কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ।


আরও খবর



সর্দি-কাশির প্রকোপ, হাসপাতালে ভিড়

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

রোকসানা মনোয়ার : ঠান্ডা-সর্দি, কাশি আর জ্বর থেকে সেরে উঠতেই পারছে অনেকে। তাদের মধ্যে রয়েছে অনেক শিশুও। শীত শেষে বসন্তের শুরুর দিক থেকে সর্দি-কাশি কিংবা জ্বরে ভুগছে অনেকে। চিকিৎসকরা বলছেন, এসবের পেছনে বায়ুদূষণ একটি বড় কারণ হিসেবে কাজ করছে। দূষণের কারণে মানুষের ভোগান্তি বেশি। সুস্থ থাকতে তাই স্বাভাবিক জীবনযাত্রার দিকে বাড়তি নজর দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার গোলাম নবী জানান, জ্বর, ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টের রোগী এখন বেশি পাচ্ছেন তারা। প্রতিদিন ১৫০-২০০ রোগী আসছে এসব লক্ষণ নিয়ে। শ্বাসকষ্টও হচ্ছে অনেকের।এই সময়ে অ্যাজমা বা হাঁপানির রোগীদের বেশি ভুগতে হচ্ছে।

ঢাকা শিশু হাসপাতালে এখন যেসব রোগী আসছে, তার মধ্যে সর্দি-কাশি ও ঠাণ্ডায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যাই বেশি বলে জানাচ্ছেন এই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।

হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঠান্ডা, জ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি, যা হাসপাতালে রোগী বাড়াচ্ছে।শিশু হাসপাতালের বহির্বিভাগে অন্য সময়ে দিনে গড়ে ৮০০ থেকে ৯০০ জন রোগী আসলেও এখন সে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ জনে। এর মধ্যে অনেক শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় তাদের ভর্তি করানো হচ্ছে।

তিন সপ্তাহ ধরে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন রাজধানীর মিরপুরের হোসনে আরা বেগম। এখন ইনহেলার আর নেবুলাইজিং ছাড়া চলতে পারছেন না তিনি। পঞ্চাশোর্ধ এই নারী বলেন, শীতের শেষ দিকে এই যে সর্দি-কাশি হঠাৎ বেড়ে গেল, আর কমছে না। একদিন নেবুলাইজিং না করালে ঘুমাতে পারি না। ইনহেলার নিচ্ছি দুইটা। এমনিতে অ্যাজমার সমস্যা ছিল, সেটা এখন বেড়ে গেছে।বাইরে বের হলেই কষ্ট হয় বেশি, ধুলাবালিতে সমস্যা বেড়ে যায়।মোহাম্মদপুরের একটি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক আরিফ হোসেন মাসখানেক আগে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হলেও কাশি তার পিছু ছাড়ছে না। আরিফের ভাষ্য, চিকিৎসকের কাছে গিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ নিয়েও তার কাশি সারেনি।

যখন ঠান্ডা-জ্বর ছিল, ডাক্তারের কাছে গেলাম। কাশির জন্য অ্যান্টিবায়োটিক দিল। একটু কমল। এখন আরো বেড়ে গেছে। আবার ডাক্তারের কাছে গেলাম। পরে এক্সরে করে ডাক্তার বলল, ফুসফুসে ইনফেকশন হয়েছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ লেলিন চৌধুরী বলছেন, বায়ুদুষণ এবার সর্দি-কাশিতে মানুষকে বেশি ভোগাচ্ছে। ফেব্রুয়ারি মাসের অর্ধেক সময়ই বায়ু দূষণে ঢাকা শীর্ষে ছিল। এই দূষণের কারণে মানুষের শ্বাসতন্ত্রের সমস্যাও বেড়েছে বলে জানান তিনি।আন্তর্জাতিক বায়ুমান পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি মাসের ১৩ দিন ঢাকার বাতাসের মান ছিল খুবই অস্বাস্থ্যকর। গেল মাসজুড়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল উপরের দিকে। ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, এমন সময়ে যখন সর্দি-কাশির ভাইরাস কারো শরীরে প্রবেশ করে, তখন সেটি মরার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মত একটি অবস্থা তৈরি করে।শীত শেষে বসন্তের আগমনের সময় বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকে ও দূষণও বেড়ে যায় জানিয়ে তিনি বলেন, তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারণে কিছু ভাইরাস জাতীয় রোগের প্রাদুর্ভাব এসময় বেড়ে যায়। এর মধ্যে অন্যতম একটি ভাইরাস হচ্ছে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। যার কারণে সর্দি-কাশি হয়।

যখন বায়ু দূষণ বেড়ে গিয়ে আমাদের শ্বাসতন্ত্রকে সংবেদনশীল ও অসুস্থ করে তোলে, তখন ইনফ্লুয়েঞ্জা বা সর্দি-কাশির ভাইরাস তীব্র করে তোলে। ফলে অন্য সময়ে যে প্রভাব বিস্তার করে, তার চেয়ে এ বছর বায়ুদূষণ বাড়ার কারণে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে।


আরও খবর



মামলা নিতে পুলিশের অবহেলার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী:

সোনাইমুড়ীতে থানা পুলিশ মামলা নিতে সময় ক্ষেপন, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করা, হুমকী-ধুমকী ও অব্যাহত হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তার পরিবারের সদস্যরা।

সোমবার বিকেলে উপজেলা সাংবাদিক কর্ণার সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্যে উপজেলার আবিরপাড়া মৃত বদু মিয়ার ছেলে কামাল হোসেন বলেন, পার্শ্ববর্তী গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে মো: হৃদয় ও নাজির আহম্মেদের ছেলে মো: সোহেল তার একটি সরিষাক্ষেত কিছুদিন পূর্বে হালচাষ করে নষ্ট করে দেয়। এই বিষয়ে স্থানীয় গ্রাম্য শালিশে তাদের জরিমানা করা হয়। সেই ঘটনায় তারা জরিমানা তো দেয়নি বরং কামাল হোসেনকে অনেকবার মেরে ফেলার হুমকী দেয়। গত ১০ই র্মাচ ২০২৪ রোববার রাতে তিনি বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে হুকু মিয়ার বাড়ীর পাশে হৃদয় ও সোহেল পথরোধ করে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ী মারধর করে। এসময় তার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে কামাল হোসেনের  পরিবার তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। 

কামাল হোসেন ১১ই মার্চ সোমবার সোনাইমুড়ী থানায় মামলা করার জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।তিনি দাবী করেন  ঘটনার তদন্ত্যের নামে সোনাইমুড়ী থানার দারোগা কাউসার, ওসি ও তার নিজের জন্য কামাল হোসেনের কাছে অনৈতিক সুবিধা দাবী করেন। পরে কামাল হোসেন নোয়াখালী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানের কাছে অভিযোগ করলে পুলিশ সুপার থানা পুলিশকে মামলা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়। থানা পুলিশের দায়িত্বে অবহেলার সুযোগে রবিবার (১৭ই মার্চ) সন্ধ্যা ৭.৩০ এর দিকে আবার সেই হৃদয় ও সোহেল ও আরও ৮/১০ জন সন্ত্রাসী মোটর সাইকেলে এসে কামালের বাসায় ককটেল বিস্ফোরণ করে ও বাড়ীর দরজা, জানালায় ভাংচুর করে। 

সংবাদ সম্মেলনে কামাল হোসেন আরও দাবী করেন, ঘটনার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও সন্ত্রাসীদের পুলিশ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদত দিচ্ছে। এসময় তিনি সন্ত্রাসীদের এই অব্যাহত হামলা, হুমকী-ধামকী, পুলিশের দায়িত্বে অবহেলা, মামলা নিতে অনৈতিক দাবীর বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার ও পরিবারের নিরাপত্তা চান।


আরও খবর



নওগাঁয় এক নারী এনজিও কর্মকর্তার মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় এক নারী এনজিও কর্মকর্তার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার ২১ শে মার্চ দিনগত সন্ধারাতে নওগাঁ শহরের রজাকপুর মধ্যপাড়া এলাকার জৈনক লিয়াকত আলীর বাসা সাবিনা ইয়াসমিন (৩৯) নামে নারী এনজিও কর্মকর্তার মৃতদেহ উদ্ধার করেন নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশ। সাবিনা ইয়াসমিন (সম্পতি গ্রাহকদের রাখা আমানতের কয়েক কোটি টাকা নিয়ে উধাও হওয়া) সুরমা মাল্টিপারপাস কো- অপারটিভ সোসাইটি লিঃ নামে এনজিও এর নওগাঁ জেলা প্রধান কার্যালয় এর সহকারী হিসাব রক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানাগেছে। নিহত সাবিনা ইয়াসমিন নওগাঁর মান্দা উপজেলার কসব ইউনিয়ন এর চকবালু এলাকার মৃত সৈয়দ পিয়াদার এর মেয়ে ও একই উপজেলার জোঁত-বাজার নুরুল্যাবাদ এলাকার প্রবাসী জৈনক হেলাল উদ্দীন এর স্ত্রী এমন পরিচয় নিশ্চিত করেছেন নিহতের দুলাভাই হোসেন আলী। স্থানিয় সুত্র জানায়, সুরমা মাল্টিপারপাস কো- অপারটিভ সোসাইটি লিঃ নামে একটি এনজিও বেশ কিছুদিন আগে গ্রাহকদের রাখা আমানতের কয়েক কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায়। এরপর থেকে ঐ এনজিও এর সকল শাখার কার্যক্রম হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায়। যে-সকল কর্মকর্তা কর্মচারী সুরমা মাল্টিপারপাস কো- অপারটিভ সোসাইটি লিঃ নামক এনজিও টিতে কর্মরত ছিলেন তারা পড়ে যায় বিপদে। নিহত সাবিনাও চাকুরী করার সুবাদে এলাকার পরিচিত জনদের কাছ থেকে টাকা আমানত হিসেবে জমা রাখে এই এনজিওতে। হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়ার পর থেকে সেও বিপদে পড়ে। আমানতকারীর চাপ সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে অনেকে ধারণা করছেন। বাড়ির মালিক লিয়াকত আলী বলেন, সাবিনা গত বছর এর মার্চ মাসে তার বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বাসায় ওঠেন। তার স্বামী দেশের বাহিরে থাকেন এবং তার কর্মরত অফিস সংলগ্ন বাসা হওয়ার কারনে সে দু' তালার একটি ফ্লাট ভাড়া নিয়ে একা বসবাস থাকতেন।

এব্যাপারে নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আঃ গফুর জানান, স্থানিয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে ঘটনাস্থলে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহটি উদ্ধার পূর্বক নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।

ময়না তদন্তের রির্পোট হাতে পাওয়ার পরই মৃত্যুর সঠিক কারন জানাযাবে। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে তারপর মৃত্যুর সঠিক কারন জানতে ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এব্যাপারে আইনানুগ পদক্ষেপ পক্রিয়াধীন বলেও জানিয়েছেন তিনি।


আরও খবর