Logo
শিরোনাম

জাতীয় শিশু পুরস্কার পেলো নৃত্যাঞ্জলি একাডেমি নওগাঁ'র ৪ ছাত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টারঃ


জাতীয় শিশু পুরস্কার পেলো নৃত্যাঞ্জলি একাডেমি নওগাঁ'র ৪ ছাত্রী।

গত ২৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ফেডারেল সাংস্কৃতিক পরিষদ (বাফেসাপ) আয়োজিত জাতীয় শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা "নাচে-গানে পরিচয়" অনুষ্ঠানে ঢাকা কচিকাঁচা আসরে অংশ গ্রহন করে নৃত্যাঞ্জলি একাডেমি নওগাঁ'র ৪ জন ছাত্রী জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন। এসময় বিজয়ী ৪ জন ছাত্রীকে পুরস্কার এর পাশাপাশি সনদপত্র দেওয়া হয়।

নৃত্যাঞ্জলি একাডেমি নওগাঁ'র পরিচালক মোঃ শহিদুল ইসলাম সেলিম জানান, "বাপেসাপ" জাতীয় পুরস্কার "নাচে-গানে পরিচয়" ২০২২ অনুষ্ঠানে নৃত্যাঞ্জলি একাডেমি নওগাঁ'র ৪ জন ছাত্রী অংশ গ্রহন করে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। পুরস্কার প্রাপ্ত ছাত্রীরা হলেন,

সস্তিকা দও রিমঝিম, রিদিলা রহমান ইপসি, শ্রাবন্তী সাহা ও তাবাসসুম আকতার শশী।

৪ জন ছাত্রী জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার পাওয়ায় নৃত্যাঞ্জলি একাডেমির পরিচালক আরো বলেন, শুদ্ধ নৃত্য চর্চা দিয়ে এভাবেই আগামীতেও সামনে এগিয়ে যেতে চাই ছাত্রী সহ আমারা সকলে।


আরও খবর



কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের ১০ চুক্তি স্বাক্ষর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

দ্বৈতকর পরিহারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ ও কাতার।

মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।

চুক্তিগুলো হলোউভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষাসংক্রান্ত চুক্তি, দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকিসংক্রান্ত চুক্তি, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতাসংক্রান্ত চুক্তি, সাগরপথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি এবং দুদেশের ব্যবসা সংগঠনের মধ্যে যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠনসংক্রান্ত চুক্তি।

আর সমঝোতা স্মারকগুলো হলোকূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, শ্রমশক্তির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং বন্দর ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।

এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠক হয় তাদের। দুপুরে চামেলী হলে দুদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আমির।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




দাম কমল ২৩ ধরনের হার্টের রিংয়ের

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

দেশে হৃদরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ২৩ ধরনের রিংয়ের দাম কমিয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী সর্বনিম্ন ২০ হাজার ও সর্বোচ্চ ৬৮ হাজার টাকায় পাওয়া যাবে রিং।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ও অন্যান্য দেশের হার্টের রিং উৎপাদনকারী কোম্পানির প্রতিনিধি এবং ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্টদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির হার্টের রিংয়ের দাম কমানো হয়েছে।

তবে সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বরে নির্ধারিত দামের থেকে বেশি দামে এই মূল্য নির্ধারণ করেছে অধিদপ্তর। নতুন করে হার্টের রিংয়ের দাম নির্ধারণ করায় রিং ভেদে দাম বেড়েছে ২ হাজার থেকে প্রায় ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।

ইউরোপীয় আমদানিকারকেরা রিং সরবরাহ বন্ধ রাখায় বাজারে সংকট তৈরি হয়েছিল বলে দাম কিছুটা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজেসের পরিচালক ও ডিজিডিএর বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য ডা. মীর জামাল উদ্দিন।

তিনি বলেন, গত বছরের ডিসেম্বরে হার্ট রিংয়ের দাম কমানো হলে ইউরোপিয়ান রিং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো আদালতের দারস্থ হয়েছিল। রিটের মিমাংসা হওয়ার পরে তাদের প্যারেন্ট কোম্পানির প্রতিনিধিদের নিয়ে আমরা বসেছিলাম। ওই দামে রিং বিক্রি করলে তাদের ক্ষতি হচ্ছে বলে তারা জানিয়েছে। তাদের পক্ষে ওই দামে রিং সরবরাহ করা সম্ভব নয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, হার্টের রিংয়ের মূল্য হ্রাসে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ডিজিডিএ নতুন নির্ধারিত দামের সঙ্গে ২০২১ ও ২০২২ সালের রিংয়ের দামের তুলনা করেছে। সে হিসেবে রিংয়ের দাম কমেছে। তবে সেখানে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বরে নির্ধারণ করা দামের উল্লেখ নেই।

অধিদপ্তরটির পরিচালক (প্রশাসন) মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন থেকে রিংয়ের দাম কমানোর চেষ্টা করছিলাম। এর প্রেক্ষিতেই এটা করা হয়েছে। সবগুলো হাসপাতালে নতুন এই মূল্য তালিকা টানিয়ে রাখতে হবে।

বাংলাদেশে হৃদরোগের চিকিৎসায় বিভিন্ন দেশের তৈরি ২৬ ধরনের রিং ব্যবহার হয়ে থাকে। নতুন মূল্য তালিকায় এগুলোর দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। মাস কয়েক আগে ৩টি স্টেন্টের দাম কমানো হয়েছিল, যেগুলো এখন অপরিবর্তিত রয়েছে।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ঔষধ প্রশাসন যখন রিংয়ের দাম নির্ধারণ করে দেয় তখন আমদানিকারকদের একটি বড় অংশ নতুন মূল্য নিয়ে আপত্তি তুলেছিলে। যা পরবর্তীতে আদালতেও গড়িয়েছিল। তবে এবার নতুন দাম নির্ধারণ করার পর এখন পর্যন্ত কোনো আপত্তি দেখা যায়নি।

কোন রিংয়ের কত দাম নির্ধারণ-

পোল্যান্ডের তৈরি অ্যালেক্স প্লাস ব্র্যান্ডের দাম ৬০ হাজার টাকা, অ্যালেক্স ব্র্যান্ড ৬০ হাজার টাকা, অ্যাবারিস ব্র্যান্ড ৬০ হাজার টাকা করা হয়েছে।

জার্মানির করোফ্ল্যাক্স আইএসএআর ব্র্যান্ডের দাম ৫৩ হাজার টাকা, করোফ্ল্যাক্স আইএসএআর নিও ব্র্যান্ড ৫৫ হাজার টাকা, জিলিমাস ব্র্যান্ড ৫৮ হাজার টাকা করা হয়েছে।

সুইজারল্যান্ডের ওরসিরো ব্র্যান্ডের দাম ৬৩ হাজার টাকা, ওরসিরো মিশন ৬৮ হাজার টাকা করা হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার তৈরি জেনোস ডেস ব্র্যান্ডের দাম ৫৬ হাজার টাকা করা হয়েছে।

স্পেনের ইভাসকুলার এনজিওলাইটের দাম ৬২ হাজার টাকা করা হয়েছে।

জাপানের আল্টিমাস্টারের দাম ৬৬ হাজার টাকা করা হয়েছে।

নেদারল্যান্ডসের অ্যাবলুমিনাস ডেস প্লাসের দাম ৬৩ হাজার টাকা করা হয়েছে।

ভারতে তৈরি মেটাফর ব্র্যান্ডের দাম ৪০ হাজার টাকা, এভারমাইন ফিফটি ব্র্যান্ড ৫০ হাজার টাকা, বায়োমাইম মর্ফ ৫০ হাজার টাকা, বায়োমাইম ৪৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাফিনিটি-এমএস মিনির দাম ৬০ হাজার টাকা, ডিরেক্ট-স্টেন্ট সিরো ৬৬ হাজার টাকা এবং ডিরেক্ট-স্টেন্ট ৩০ হাজার টাকা করা হয়েছে।

সিঙ্গাপুরের তৈরি বায়োমেট্রিক্স নিওফ্ল্যাক্সের দাম ৬০ হাজার টাকা, বায়োমেট্রিক্স আলফা ৬৬ হাজার টাকা এবং বায়োফ্রিডম ৬৮ হাজার করা হয়েছে।


আরও খবর

তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকার উপায়

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




নিত্যপণ্যের দামে দিশেহারা ভোক্তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। বিশেষ করে রোজাকে কেন্দ্র করে দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। বিভিন্ন সময় ভোক্তা অধিদপ্তর নানা উদ্যোগ নিলেও তেমন কোনো কাজে আসছে না।

রোজার মাসকে কেন্দ্র করে বাজারে প্রতিটি নিত্যপণ্যের নিজেদের মতো বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। এতে করে সাধারণ মানুষ নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে পারছে না। দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে কিছু কিনতে গিয়েও থমকে দাঁড়ান মধ্যবিত্তরা।

তাছাড়া গত বছর রোজায় সাধারণ ক্রেতা যে দামে পণ্য কিনেছে। চালতি বছরের রমজানে তা বেড়েছে অনেক। ফলে খরচও বেড়েছে গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। প্রতিটি জিনিসের দাম দফায় দফায় প্রতিযোগিতামূলকভাবে বাড়ছে।

বাড়তি খরচের কথা চিন্তা করে সকল ক্রেতাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, রমজান আসলে আমাদের দেশে সকল জিনিসের দাম বেড়ে যায়। জিনিসের দাম বাড়লেও কারো আয় বাড়েনি। ফলে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে নিত্যপণ্যের দাম অস্থির হয়ে আছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো উদ্যোগ যখন কাজে আসছে না। কারণ অতি মুনাফাখোর জোট বেঁধে সিন্ডিকেট করেছে। প্রতিটা পণ্যের দাম প্রতিনিয়ত কোন না কোনোভাবে বেড়েই চলেছে। ফলে স্বস্তির দেখা যাচ্ছে না ক্রেতারা।

রোজাকে কেন্দ্র করে দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানীর কঠালবাগান বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, রোজাকে সামনে রেখে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। দাম বাড়লেও মান বাড়েনি। আমি গত সপ্তাহে যে-সকল দামে মালামাল কিনেছি আজ তা অনেকটাই বেড়েছে।

আরেক ব্যবসায়ী বলেন, সব জিনিসের দাম বেড়েছে কথাটি ঠিক নয়। তবে আমাদের প্রয়োজনীয় অনেক কিছুর দামই বাড়তি অবস্থায় রয়েছে। এতে করে ক্রেতা কমেছে আগের তুলনায় অনেক। আবার অনেকে দাম বেশির কারণে প্রয়োজনের তুলনায় কম জিনিস কিনেছে।

একটি বেসরকারি কোম্পানির চাকরিজীবী মাহদীউজ্জামান কাঠাবাগান কাঁচাবাজারে আসেন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য। তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, গত কিছু দিন আগে যে দাম ছিল আজ তা বিক্রি হচ্ছে আরও বেশি দামে। প্রতিদিনই কোন না কোন পণ্যের দাম বাড়ছে।

আরিফ নামের আরেক ক্রেতা বলেন, রমজানে অন্য মাসের তুলনায় বেশি পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়। কিন্তু প্রতিটি পণ্যের দামের বৃদ্ধির ফলে তা সম্ভব হবে না। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণেই দাম রাড়ছে।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৮০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, শসা ৭০ টাকা, খিরাই ৬০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৩০  থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা এবং সজনে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, ব্রুকলি ৩০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং গাজর ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  

এসব বাজারে লেবুর হালি ২০ থেকে ৬০ টাকা, ধনেপাতা কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।

লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ টাকা, মূলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৫০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৫০০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্রয়লার ব্রয়লার মুরগি থেকে ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া সোনালি ৩২০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৪০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।

মাছ বাজারে দেখা যায়, ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়,  তেলাপিয়া ২২০ টাকায়,  কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, দেশি কই ১০০০ টাকা, মেনি মাছ ৭০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ১০০০টাকা, বেলে মাছ ৭০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন  বলেন, ব্যবসায়ীরা রমজান মাসকে সুযোগ হিসাবে নিয়েছে। তাদের এক মাস ব্যবসা করে সারা বছরের লাভ করতে চায়। ব্যবসায়ীরা গত বছরের চেয়ে চলতি বছরে দাম বাড়ার পেছনে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কথা বলছে। অথচ এসবই হচ্ছে ভিত্তিহীন অজুহাত। তারা অতি মুনাফা লাভের মনোভাব থেকেই দাম বৃদ্ধি করছে।

কিছুদিন আগে এস আলমের চিনি কারখানায় আগুন লাগার পরপরই চিনির দামটি বেড়ে গেছে। সেখানে যে চিনি নষ্ট হয়েছে তার রিফাইন যোগ্য চিনি ছিল না। কিন্তু তারপরেও দাম বেড়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা যখন অজুহাত পায় তখনই দাম বাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে এটি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

ক্যাবের সহ-সভাপতি বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ না আসার সাথে সাথে দেশের পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। অথচ অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ না আসার সাথে দাম বৃদ্ধির কোন নিয়ম নেই। ব্যবসার নিয়ম হচ্ছে পণ্য যদি বেশি দামি কেনা হয়, তাহলে বেশি দামে বিক্রি করবে। আর যদি কম দামে কেনা হয়, তাহলে কম দামে বিক্রি করতে হবে। এসবের পেছনে ব্যবসায়ীরা মূল দায়ী। আমাদের দেশীয় পণ্যের সাথে ডলারের কোন সম্পর্ক নেই। অথচ এই সকল জিনিসপত্রের দামও বাড়ছে।

তিনি আরও বলেন, এরজন্য ব্যবসায়ীর সাথে সাথে যারা তদারকি করছেন তাদের গাফিলতি রয়েছে। সঠিক আইনের প্রয়োগ করলে তখনই এই অনিয়ম বন্ধ হওয়া সম্ভব। বিভিন্ন সময় অভিযান হলে সব জায়গায় হচ্ছে না। ফলে এর প্রভাব তেমন একটা নেই। মন্ত্রিপরিষদের বিরাট একটি অংশ ব্যবসায়ী শ্রেণি হওয়ার কারণে এসব দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে বা দাম বাড়ার পরও কমছে না বলে মন্তব্য করেন ক্যাবের এই সহ-সভাপতি।


আরও খবর

গরমে ফ্যান এসির দাম বাড়ছে

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ফের নয়া রেকর্ড গড়ল সোনা

সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪




মোরেলগঞ্জে সিকিউরিটি গার্ডকে মারপিট

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মহিলা কৃষি প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউটের সাবেক সিকিউরিটি ম্যানকে আলতিবুরুজ বাড়িয়া গ্রামের মো. নিজাম উদ্দিন শেখকে মারপিট করেছে একই প্রশিক্ষনের ফিসারী কর্মী সোহাগ মোল্লা। এ ঘটনায় মোরেলগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আহত নিজাম উদ্দিন মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লের্ক্সে ভতি করা হয়েছে।  

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মো. নিজাম উদ্দিন শেখ বলেন, আমি প্রাইড সিকিউরিটি কোম্পানির গার্ড হিসেবে ৪ বছর চাকুরি করি। চাকুরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে “গফফার সিকিউরিটি সার্ভিস কোম্পানি আমাকে দুই মাসের জন্য অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেন। মহিলা কৃষি প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউট থেকে আমি চলে আসার ৮ মাস পরে গত ১৯ মার্চ একটি কারণ দর্শানো নোটিশে উল্লেখ করে সংস্থার ৪ হর্স ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বৈদ্যিুতিক মটর টুরি হয়ে গেছে। মটরটি চুরির বিষয় আমি কিছুই জানি না মর্মে ৩১ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টায় নোটিশের লিখিতভাবে জবাব দিতে দিতে গেটে গিয়ে আমি আমার জবারের নোটিশখানা বিবাদীদ্বয়ের হাতে দিলে খামটি খুলে জবাব পড়ার পরে বিবাদীগন আমাকে অশ্লীন ভাষায় গালিগালাজ করে বলেন, তুই যে এ ধরনের কথাবার্তা কেন লিখে এনেছ সোহাগ মোল্লা ও জিয়াউর মোল্লা উত্তেজিত হয়ে চর ছাপ্পর, বুকে পিঠে মাথায় শরীরের বিভিন্নস্থানে কিল ঘুষি মারে। আমি এ ঘটনার প্রশাসনের প্রতি ন্যায় বিচার দাবি করছি।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস (২০২৪) উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি  পালন করা হয়েছে। 

আজ ২৬ মার্চ ২০২৪, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রশাসনিক ভবনের সামনে ভাইস-চ্যান্সলর প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন, প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ আর এম সোলাইমান ও কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. সিরাজুল ইসলামকে নিয়ে  জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন । এর পর বিশ্বিবদ্যালয়ের পক্ষ থেকে  ক্যাম্পাসস্থ মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা ভাষ্কর্য পত্যয়'৭১ ও বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। 

এছাড়াও অফিসার্স অ্যাসোয়েশন, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারি সমিতি, বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ, ভাসানী পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাঁধন এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসস্থ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও  প্রত্যয়'৭১ এর পাদদেশে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এর পর বিশ্বিবদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন।  

এছাড়া বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মিলাদ ও  দোয়া মাহফিল ও এবং ক্যাম্পাসস্থ মন্দিরে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।  সকল কর্মসূচিতে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, চেয়ারম্যান, হল প্রভোস্টসহ বিভিন্ন অফিস প্রধান,  শিক্ষক-শিক্ষার্থী,  ও কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।


আরও খবর