Logo
শিরোনাম

জাতীয়ভাবে উদযাপিত হবে বাংলা নববর্ষ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

এবার নববর্ষ শুধু বাঙালির উৎসব হিসেবে নয়, বরং চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, মণিপুরী, গারোসহ দেশের সব জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে জাতীয়ভাবে উদযাপিত হবে। এ উপলক্ষে একদিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, সরকার নববর্ষ উদযাপনকে আরো অন্তর্ভুক্তিমূলক করার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এবার থেকে এ সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে নববর্ষের দিন একদিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, যা এতদিন শুধু বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বাঙালিদের জন্য প্রযোজ্য ছিল।

নতুন এই উদ্যোগের মাধ্যমে সরকার দেশের সংস্কৃতিকে আরো বিস্তৃত পরিসরে তুলে ধরতে চায়, যেখানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধ হবে।

অন্যদিকে আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে ভিন্নধর্মী এক আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে প্রথমবারের মতো চাঁদরাতে একটি বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানটি দেশের বহুমাত্রিক সংস্কৃতিকে তুলে ধরার পাশাপাশি সব সম্প্রদায়ের সংস্কৃতিকে সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়ার প্রতিফলন ঘটাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, এ ধরনের উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যেখানে কোনো জাতিগোষ্ঠী বা ধর্মীয় বিশ্বাসের সংস্কৃতিকে অবমূল্যায়ন করা হবে না। বরং সবার সংস্কৃতি সম্মানিত ও স্বীকৃত হবে, যা একটি সত্যিকার অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সহায়ক হবে।



আরও খবর



বাবা ভান্ডারীর ওরশে লাখ লাখ ভক্তের ঢল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মাইজভান্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি বিএসপি'র চেয়ারম্যান  শাহজাদা ডঃ সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আলহাসানী মাইজভাণ্ডারী বলেছেন,আউলীয়া কেরামদের মত ও পথই সঠিক পথ। তিনি বলেন,মাজার ভেঙে নয়, বরং আউলীয়া কেরামদের প্রতি মহব্বতই এনে দিতে পারে শান্তি ও সম্প্রীতি। উপমহাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করেছে ওলি,আউলীয়া,সূফী, সাধকরা।মাজার পন্থীরা কখনো দেশের অশান্তি কামনা করেনা।

৪ এপ্রিল (শুক্রবার)জুম্মার নামাজে খুতবায় তিনি এসব কথা বলেন। মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে হযরত গাউসুল আজ সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবা ভাণ্ডারী (ক:) ৮৯ তম শরীফ উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ ভক্ত আশেকানের ঢল নামে।

৫ এপ্রিল শনিবার ২২ চৈত্র ওরশ শরীফের প্রধান ও শেষ দিবস। আখেরি  মোনাজাত পরিচালনা করবেন, বাবাভাণ্ডারী'র( ক:) প্রভাব প্রপৌত্র, দরবারের সাজ্জাদানশীন ও মোন্তাজেম শাহ সুফি সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী (ম:জি:আ)

ওরশ শরীফকে কেন্দ্র করে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডরীয়াসহ  ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে খতমে কোরআন, খতমে গাউছিয়া শরিফ , গাউসুল আজম বাবাভাণ্ডারী (ক:) রওজায় নতুন গিলাপ ছড়ানো,ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, যৌতুক, মাদক, অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে গণ সচেতনতায় ক্যাম্পিং,ওয়াজ, মিলাদ,ছেমা- কাওয়ালী, তবরুক বিতরণ।


আরও খবর



চলতি অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৩.৯ শতাংশ

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৩ দশমিক ৯ শতাংশ বাড়বে বলে জানিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। দক্ষিণ এশিয়ার গড় প্রবৃদ্ধির অনুমানের তুলনায়, যা অনেক কম। দক্ষিণ এশিয়ায় গড়ে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে এডিবি।

এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক প্রতিবেদনে এডিবি এশিয়ান দেশগুলোর প্রবৃদ্ধির ২০২৫ এবং ২০২৬ সালের পূর্বাভাস দিয়েছে। বাংলাদেশ আগামী অর্থবছরে (২০২৫-২৬) জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ১ শতাংশ হবে বলে অনুমান করেছে এডিবি।বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেবে গত অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ২ শতাংশ।

এডিবি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ২০২৫ সালে ভারতে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ, মালদ্বীপে ৬ শতাংশ, ভুটানে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ এবং পাকিস্তানে ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস দিয়েছে।

বাংলাদেশের ওপর আলাদা উপস্থাপনের জন্য এডিবির ঢাকা কার্যালয় আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। এডিবির মূল প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার পেছনে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, শ্রম অসন্তোষ ও উচ্চ মূল্যস্ফীতিকে মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

এডিবি এশিয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক শুল্ক বৃদ্ধিকে বিবেচনায় নেয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধি এশিয়ার ওপর কেমন প্রভাব ফেলবে, তার ওপর আলাদা পর্যালোচনা রয়েছে এডিবির প্রতিবেদনে।


আরও খবর



দেশে জঙ্গিবাদ উত্থানের মতো কিছুই ঘটেনি

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দেশে কোনও জঙ্গিবাদ সংক্রান্ত সমস্যা উত্থিত হয়নি। তিনি বলেন, আজকের থানা পরিদর্শনের উদ্দেশ্য ছিলো নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ও তাদের খোঁজ-খবর নেয়া। বুধবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর খিলক্ষেত, বাড্ডা, ভাটারাসহ বিভিন্ন থানায় ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ সব কথা বলেন।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কোন পত্রিকা কি বলে তা নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাই না। তবে দেশে জঙ্গিবাদ নিয়ে কোনও উদ্বেগ দেখছি না।

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর প্রথমে সরকার ছিলো না, তবে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। এখন সবাই একত্রে চেষ্টা করছে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও এই উন্নতি অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, এজহারে অনেকের নাম এসেছে, তবে এমন অনেকেই রয়েছে যারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন এবং সে সময় বিদেশে ছিলেন। আমরা প্রপার তদন্ত করছি এবং নির্দোষ কোনও ব্যক্তিকে সাজা দেয়া হবে না।


আরও খবর



দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন টিউলিপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি ও লন্ডনের এমপি টিউলিপ সিদ্দিক বলেছেন, বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রশ্নের উত্তর দিতে তার ‘আইনজীবীরা প্রস্তুত'। ব্রিটিশ সম্প্রচারমাধ্যম স্কাই নিউজকে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপাতত সম্পর্কের বিষয়ে কোনো অনুশোচনা আছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, ‘আপনারা আমার আইনি চিঠিটি দেখুন এবং দেখুন আমার কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আছে কি না... (বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ) একবারের জন্যও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি, কিন্তু তাদের কাছ থেকে শোনার অপেক্ষায় রয়েছি।’

লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেট আসনের এই এমপি গত জানুয়ারিতে ট্রেজারি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। তখন বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি দুর্নীতি তদন্তে তার নাম উঠে আসে। পরে বিরোধীদের ব্যাপক চাপের মুখে তিনি পদত্যাগ করেন।

সরকার ছাড়ার পর এই প্রথম প্রকাশ্যে মন্তব্য করলেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বলেন, ‘মাসখানেক হয়ে গেল অভিযোগ উঠেছে, কিন্তু (বাংলাদেশের) কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।’ এর আগে গত মাসে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস স্কাই নিউজকে বলেছিলেন, টিউলিপ সিদ্দিক ‘দেশে সম্পদ রেখে গেছেন’ এবং তার এ জন্য জবাবদিহি করা উচিত।’

এদিকে টিউলিপ সিদ্দিকের আইনজীবীরা বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) চিঠি লিখে বলেছিলেন যে, অভিযোগগুলো ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’। চিঠিতে বলা হয়, দুদককে ‘২০২৫ সালের ২৫ মার্চের মধ্যে অথবা তার আগে’ টিউলিপ সিদ্দিককে প্রশ্ন করতে হবে, অন্যথায় ‘আমরা ধরে নেব যে, উত্তর দেওয়ার মতো কোনো বৈধ প্রশ্ন নেই।


আরও খবর

মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশি আটক

শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫




উৎপাদন খরচের অর্ধেক দামে আলু বিক্রি

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বগুড়ায় বর্তমানে জাতভেদে প্রতি মণ (৪২ কেজি) আলু বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকায়। এতে প্রতি কেজি আলুর দাম পড়ছে সাড়ে ৭ টাকা থেকে ৯ টাকা। 

বগুড়া জেলার মধ্যে শিবগঞ্জ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি আলু চাষ হয়। আলীগ্রামের কৃষক নাফিসুল ইসলাম টিবিএসকে বলেন, 'প্রতি বিঘা (৩৩ শতক) জমিতে আলু চাষ করতে খরচ হয়েছে ৪০-৪৫ হাজার টাকা। গড়ে ৯০ মণের মতো এবার ফলন হতে পারে। সে হিসাবে, প্রতি মণে প্রায় ৪৫০-৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। 

'কিন্তু বাজারে দাম এর অর্ধেক। এ কারণে এখনও তুলিনি। আরও কয়েকদিন পর তুলে কোল্ড স্টোরেজে রাখব।

কোল্ড স্টোরেজের ভাড়া বৃদ্ধি আরেক দফা চাপ সৃষ্টি করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'গত বছর বস্তা ৩৫০ টাকায় রাখতাম। ৫০ কেজির বস্তায় ৬৫ কেজি আলু ধরত। কিন্তু এবার কেজিতে ৮ টাকা দিতে হবে। ৮ টাকা স্টোরেজ ভাড়া দিয়ে পরে কয় টাকায় আলু বিক্রি করতে পারি, বলতে পারছি না।

একই কথা জানান ফেনিগ্রামের আব্দুল হামিদ। তিনি বলেন, 'পাকড়ি ও স্টিক আলু চাষ করেছি। প্রতি বিঘায় পাকড়ি ৬৫-৭০ মণ এবং স্টিক ৯০ মণের মতো হবে। আমার প্রতি বিঘায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে যারা বীজ কিনে আলু চাষ করে তাদের খরচ আরও অনেক বেশি। গত বছর আলুর দাম বেশি ছিল, এ কারণে বেশি জমিতে আলু চাষ করেছি। কিন্তু এই দামে আলু চাষ করলে কৃষক নিঃস্ব হয়ে যাবে।

গত বছরের বেশিরভাগ সময় আলুর দাম ছিল অস্বাভাবিক বেশি। ফলে বাড়তি লাভের আশায় কৃষকরা আলু চাষ বেশি করেছেন। তবে এখন উৎপাদন খরচও ওঠাতে পারছেন না তারা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, চলতি মৌসুমে ৪.৬৭ লাখ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। তবে এরই মধ্যে আবাদ হয়েছে ৫.২৪ লাখ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৭ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আলু চাষ হয়েছে। 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব অনুযায়ী, গত অর্থবছরে আলুর আবাদ হয়েছিল ৪.৫৭ লাখ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এবার ৬৭ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আলুর চাষ হয়েছে।

ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে পুরো মার্চ মাসজুড়ে মূল মৌসুমের আলু উত্তোলন করেন কৃষকরা। তবে গত বছর আলুর ভরা মৌসুমেই দাম ছিল বেশি। এরপর মে মাসে তা ৫০ টাকা পেরিয়ে যায়। নভেম্বরে আলুর দাম দাঁড়ায় কেজিতে ৮০ টাকা, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার নাগদাহ গ্রামের কৃষক আবু তাহের বলেন, 'এখন আমাদের এলাকায় প্রতি কেজি আলু ১০-১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে ৮ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে। গত দুই দিন ধরে কিছুটা বাড়তির দিকে। তবে ২০ টাকার নিচে হলে কৃষকদের লোকসান হবে।'

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় বিপণন বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম টিবিএসকে বলেন, 'যে বছর দাম বেশি থাকে এর পরের বছর কৃষকরা সে ফসল বেশি করেন। আবার দাম কম থাকলে পরের বছর কম ফসল করেন। এটা কমন সমস্যা। এখন ফলন বেশি হলে আবার দাম কমে যায়। 

'এজন্য আলুর ক্ষেত্রে ভ্যালু অ্যাড করার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। দ্বিতীয়ত গ্রুপ মার্কেটিংয়ে ফোকাস করতে হবে। অর্থাৎ ১০ জন কৃষক আলু চাষ করেন; এর মধ্যে একজন সেগুলো বাজারজাত করবেন। এতে সরাসরি বাজারের সঙ্গে কৃষকরা যুক্ত হবেন।'


আরও খবর