Logo
শিরোনাম

জাতির পিতার শোক দিবস পালন করায় ঢাবি অধ্যাপক ড. জামালের অফিস কক্ষ ভাঙ্গচুর ও তালাবদ্ধ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক::


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম শোক দিবস পালন করায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের শিক্ষক, সিনেট সদস্য সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড.আ.ক.ম.জামাল উদ্দীনকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করার দাবিতে তার অফিস কক্ষ বুধবার সকালে (২১ আগস্ট) ভাঙ্গচুর ও লুটপাট করে তালা মেরে দেয়।


এতে পরীক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র, মার্কস, বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র, ফাইনাল ও মিট-টার্মের উত্তরপত্র, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরপত্র, মার্কস, ব্যাক্তিগত সার্টিফিকেট সমূহ, ব্যাংক ডকুমেন্টস কার্ড, টাকা-পয়সা ও ল্যাপটপ সহ মূল্যবান ব্যবহার্য্য সামগ্রী খোয়া যাওয়ার আশংকা তৈরি হয়েছে।


তারা বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার পদত্যাগের দাবীতে তার কক্ষেও তালা মেরে দেয়। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ৪ দফা দাবীতে বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে বিভাগীয় অফিস থেকে বের করে দিয়ে সকল কলাপসিবল গেটসমূহ তালাবদ্ধ করে সকল একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা করে।


উল্লেখ্য,  গত ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২৪ উপলক্ষে পূর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ী ১৪ই আগস্ট রাত ৯টার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আ.ক.ম জামাল উদ্দীন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীসহ বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে মোমাবাতি প্রজ্জলনের জন্য ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডের মাথায় পৌছালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা দেশীয় অস্ত্রসহ তাকে এবং তার সাথে থাকা নেতাকর্মীদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে অতর্কিত হামলা চালায়।


আনুমানিক রাত ৯টা ১০ মিনিটে তাদের হাত থেকে প্রানভয়ে বাঁচার জন্য অধ্যাপক জামাল দৌড় দেন। সেসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা তাকে ধাওয়া করে কয়েক দফা মারতে মারতে রাসের স্কয়ারের সামনে থেকে স্কয়ার হাসপাতালের মাঝামাঝি পর্যন্ত নিয়ে যায়। সেখানে চতুরদিক থেকে অধ্যাপক জামালকে ঘিরে আবারও উপর্যুপরি মারতে থাকে। এতে তিনি রক্তাক্ত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে মৃত ভেবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা তার হাতে থাকা মোবাইল ফোন এবং কাছে থাকা টাকা পয়সা নিয়ে অধ্যাপক জামালকে ফেলে যায়। 


এসময় স্থানীয় জনতা তাকে উদ্ধার করে রিক্সায় করে পশ্চিম রাজা বাজারের একটি বাসায় নিয়ে যান। সেখানে ওই বাড়ির দারোয়ান প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে জ্ঞান ফেরান।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ইতোমধ্যেই এই ঘৃণিত হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে। 



আরও খবর

এইচএসসি ও সমমানের ফল মঙ্গলবার

শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪




পীরগাছায় পূজামন্ডব পরিদর্শন করলেন জামায়াতের নেতৃবৃন্দ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ


রংপুরের পীরগাছার পূজামন্ডব পরিদর্শন করে খোঁজ-খবর নেন উপজেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ। বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন দূর্গা মন্দির পরিদর্শন শেষে উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোস্তাক আহমেদ বলেন, প্রত্যেক জাতির নিজস্ব ধর্মীয় সংস্কৃতি আছে। হিন্দু ভাইয়ের সবচেয়ে বড় উৎসব হচ্ছে এই দূর্গা পুজা। ইসলাম ধর্ম  শিক্ষা দিয়েছে যার যার ধর্ম তারা সঠিকভাবে পালন করবে। রাসূল্লাহ (সা.) বলেছেন, সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম দেশে সংখ্যালঘিষ্টরা হচ্ছে একটা আমানত। তারা যদি তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করতে কোন বাধাপ্রাপ্ত হয় তাহলে রাসূল্লাহ (সা.) কেয়ামতের দিন মুসলমানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করবেন।

ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আব্দুর জব্বার বলেন, এদেশে যত ধর্মের মানুষ বসবাস করি না কেন? সকলেই আমরা এদেশেরই নাগরিক। নাগরিক সূত্রে আমরা একে অপরের ভাই। এই শারদীয় দূর্গা পুজা যাতে করে তারা নির্বিঘ্নে, নিঃসংকোচে, শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করতে সক্ষম হয়। এব্যাপারে আমাদেরও কিছু দায়দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। কোন কুচক্রি মহল যাতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে এজন্য আমাদের সচেতন থাকতে হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম, থানা ওসি নুরে আলম সিদ্দিকী, উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির মো. আলতাফ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক জাকির হোসেন, ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী আবু সুফিয়ান, ইউনিয়ন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারী জিল্লুর রহমান, সাবেক শিবির নেতা জহির উদ্দিন জুয়েল, রাজু মুন্সী, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।


আরও খবর



নওগাঁয় প্রায় ১৪ মন বিস্ফোরক দ্রব্যসহ ব্যবসায়ী আটক

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ জেলা শহরের পুরাতন মাছ বাজার (মসলাপট্টি) কাজী মার্কেটের তৃতীয় তলায় ভাড়াকৃত গোডাউন হতে প্রায় ১৪ মন (৫৫৩.৭ কেজি) অবৈধ বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করেছে র‍্যাব। রবিবার দিবাগত রাত ১০ টারদিকে শ্রী রুপম কুমার (৩৫) নামের এক যুবককে আটক করেন। এ সময় সালাউদ্দিস বিহারী (৪৫) নামের অন্য যুবক পালিয়ে যায়। 


আটককৃত রুপম নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার জোতহরি গ্রামের নিবারণ চন্দ্র বর্মণের ছেলে ও পলাতক সালাউদ্দিস বিহারী নওগাঁ সদর থানার খাস নওগাঁ গ্রামের মৃত শামছুল হকের ছেলে। সোমবার সত্যতা নিশ্চিত করে র‍্যাব কাম্প থেকে জানানো হয়, রুপম একজন চিহ্নিত অবৈধ বিস্ফোরক ব্যবসায়ী। সে সিলেটের শায়েস্তাগঞ্জ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে চা পাতার নাম করে বিস্ফোরক দ্রব্য সংগ্রহ করতো এবং নওগাঁ ও পার্শ্ববর্তী জেলার সীমান্ত এলাকা হতে অবৈধ বিস্ফোরক দ্রব্য সংগ্রহ করে সালাউদ্দিনের যোগসাজসে নওগাঁসহ পার্শ্ববর্তী জেলাসমুহে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে খুচরা ও পাইকারী বিক্রি করতো। এ খবর জানার পর অভিযান চালিয়ে রোপমের ভাড়াকৃত গোডাউন থেকে সেগুলো ক্রয়-বিক্রয়ের সময় হাতেনাতে আটক করা হয়। পরবর্তীতে রোপম অকপটে প্রকাশ্যে স্বীকার করে সে এবং পলাতক সালাউদ্দিন দীর্ঘদিন যাবত নাশকতা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের কাজে ব্যবহৃত বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বিস্ফোরক দ্রব্যাদি অবৈধভাবে সংগ্রহ করে ভাড়াকৃত নিজ নিজ গোডাউনে রেখে বিক্রয় করে আসছিল। এঘটনায় নওগাঁ সদর মডেল থানায় বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইন-১৯০৮ অনুযায়ী একটি মামলা দায়ের করে সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



৮০ টাকার নিচে মিলছে না সবজি

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

আমরা নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষ। মাছ-মাংস-ডিম এখন আশাও করি না। শেষ ভরসা সবজি, সেটাতেও আগুন। ডাল-আলু দিয়ে ভাত খেতেও এখন কষ্ট হয়ে যায়।

বুধবার (৯ অক্টোবর) এ ভাবেই নিজের কষ্টের কথা জানাচ্ছিলেন রাজধানীর শনির আখরা বাজারে কেনাকাটা করতে আসা মো. রাকিব হোসেন।

দীর্ঘদিন ধরেই নিত্যপণ্য, কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস, এমনকি মসলাজাত পণ্যের দামে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। বাজার অস্বস্তিতে ভোগান্তির অন্ত নেই। বিভিন্ন সময় নানান পণ্যের দাম কিছুটা ওঠা-নামা করলেও বাজার ছুটছে ঊর্ধ্বমুখী। মাছ, মাংস, ডিম কিংবা সবজি, কোনোটিরই দাম নাগালে নেই। এতে নাজেহাল সাধারণ ক্রেতারা।

এদিন রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নিউমার্কেট ও হাতিরপুলসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে প্রায় প্রতিটি সবজির দাম। শুধুমাত্র আলু ও পেঁপে বাদে ৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি মিলছে না।

এসব বাজারে প্রতি কেজি ধনেপাতা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, বরবটি ১৩০ টাকা, বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ঢেঁড়শ ১০০ টাকা, ধুন্দুল ৯০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, মুলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, লতি ১০০ টাকা, সিসিঙ্গা ১০০ টাকা ও পটোল ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি শিম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, টমেটো ২৪০ টাকা, গাজর ১৩০ টাকা, কাঁকরোল ১২০ টাকা, কচুরমুখী ৮০০ টাকা, পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা, শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০-১০০ টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা। আর প্রতি পিস লাউ ৮০-১০০ টাকা, ফুলকপি ৭০-৮০ টাকা, বাঁধাকপির জন্য ৮০-১০০ টাকা গুনতে হচ্ছে।

শাকের বাজারে প্রতি আঁটি লাউশাক ৪০ টাকা, পালংশাক ৪০ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা, লালশাক ২০ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, ডাঁটাশাক ২০ টাকা, মুলাশাক ২০ টাকা ও কলমিশাক ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর স্থিতিশীল রয়েছে কাঁচা মরিচের দাম ৩০০-৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পণ্যটি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাম্প্রতিক বন্যা ও বৃষ্টির প্রভাবে সবজির সরবরাহ কমেছে। সেই সঙ্গে মৌসুম শেষ দিকে হওয়ায় উৎপাদনও কমেছে। ফলে বাড়তি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে। তবে, শীত মৌসুমের সবজি বাজারে আসা শুরু হলে সবজির দাম কমবে।

কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা রবিউল ইসলাম বলেন, পাইকারি সবজিই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। দু-একটি সবজি ছাড়া কোনোটিই ৮০ টাকার নিচে নেই। বেশির ভাগ সবজির দাম ১০০ টাকার ওপরে। ফলে বেচাবিক্রি কমে গেছে।

এদিকে, বাজারে মাছ বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৭০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, প্রতি কেজি নদীর পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়, বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায়।

তবে ইলিশের দাম স্থির আছে। দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজি হারে ২২০০-২৩০০ টাকায়। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৭০০-১৮০০ টাকায়। আর ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজিতে ১৫০০-১৬০০ টাকা ও ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জন্য কেজিতে গুনতে হচ্ছে ১২০০-১৩০০ টাকা পর্যন্ত।

বিক্রেতারা বলছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যার কারণে বেড়েছে মাছের দাম। বন্যার পানিতে শত শত একর মাছের ঘের পানির নিচে চলে গেছে। ফলে বাজারে সরবরাহ কমেছে। এ জন্য বেড়েছে মাছের দাম।

মুরগির দাম নিয়ন্ত্রণহীন। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা ও সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায়। আর সাদা লেয়ার ২৫০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। এ ছাড়া, জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। এছাড়া, প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে তার প্রভাব পড়েছে। বন্যায় ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে ফলে মুরগির দাম চড়া।

এদিকে খুচরা ও পাইকারি উভয় ক্ষেত্রে ঝাঁঝ বেড়েছে পেঁয়াজের। খুচরায় প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। এ ছাড়া, ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পাইকারি পর্যায়ে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১১২ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ৯৬ টাকায়। প্রতি কেজিতে ৫-১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি দেশি রসুন ২৪০ টাকা, আমদানি করা রসুন ২৬০ টাকা ও মানভেদে আদা বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৮০ টাকায়।

ভোক্তাদের কথা মাথায় রেখে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মুরগি ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। কিন্তু তার যেন প্রতিফলন নেই বাজারে। এলাকাভেদে ডজনপ্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়।

বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের এমন দামে হতাশ ক্রেতারা। তারা বলছেন, সরকার বদলেছে, তবে বাজার সিন্ডিকেট একই আছে। আর সিন্ডিকেটের কবলেই জিম্মি ভোক্তার পকেট। এ অবস্থা থেকে যেন আর পরিত্রাণ নেই!

টাস্কফোর্স গঠন নিয়ে ভোক্তরা বলছেন, বাজারে নেই টাস্কফোর্সের তদারকি কার্যক্রম। এতে বাজার অস্থির করে ভোক্তার পকেট কাটার সুযোগ পাচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। শুধু পদক্ষেপ নিলেই হবে না, বাজার নিয়ন্ত্রণে গৃহীত পদক্ষেপের কার্যকর প্রয়োগ করতে হবে।


আরও খবর

কমেছে ডিম-পেঁয়াজ-আলুর দাম

শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪




আ. লীগসহ ১৪ দলের নামে ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ০২ অক্টোবর 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

গণহত্যার সরাসরি হুকুমদাতা হিসেবে আওয়ামী লীগ এবং ১৪ দলের শরিক রাজনৈতিক দলগুলোর নামে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার (০২ অক্টোবর) চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বরাবর এ অভিযোগ দাখিল করেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ

অভিযোগে বলা হয়, সরাসরি হুকুমদাতা হিসেবে আওয়ামী লীগ এবং ১৪ দলের শরিক রাজনৈতিক দল- সাম্যবাদী দল, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, জাসদ (ইনু), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মেনন), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল, তরিকত ফেডারেশন, গণতন্ত্রী পার্টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), গণআজাদী লীগ, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, বাসদ ও জাতীয় পার্টি-জেপির বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ গঠন করে তদন্তপূর্বক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক

৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে ভারতে অবস্থান করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে মোট ৩০টি পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি চিফ প্রসিকিউটর বরাবর জমা দেওয়া হয়। বাকিগুলো তদন্ত সংস্থায় দাখিল করা হয়

এসব অভিযোগের মধ্যে আগে কয়েকটিতে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও তার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে পৃথকভাবে ১৪ দলের নামে আজই প্রথম অভিযোগ দায়ের করা হলো


আরও খবর



রাজ্যকে নিয়ে আবেগঘন পোস্ট পরীমণির

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

অভিনেত্রী পরীমণি কর্মজীবনের চাইতে ব্যক্তিগত জীবনে অত্যাধিক আলোচিত হলেও কর্মজীবনে তিনি নিজস্ব সাফল্যের উচ্চ শিখরে পৌঁছেছেন। ব্যক্তিজীবনে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা শরিফুল রাজকে। এরপর তাদের কোলজুড়ে আসে ছেলে ‘শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য’।

সম্পর্কের টানাপোড়নে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন এই তারকা দম্পতি। বর্তমান সময়ে কাজের পাশাপাশি ছেলে রাজ্যকে নিয়েই সময় কাটছে। বিভিন্ন সময় ছেলের সঙ্গে কাটানো খুনসুটির নান মুহূত্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে থাকেন

সম্প্রতি ভক্তদের মাঝে এক ভিডিও শেয়ার করেছেন। যেখানে পরী তার ছেলে রাজ্যকে নিয়ে কোথায় ঘুরতে গেছেন এবং ফেরার পথে কারের ভেতর থেকে বাইরে দাড়িয়ে থাকা একঝাক বাচ্চাদের দেখে রাজ্য হাত নাড়াচ্ছে যেন তাদের সঙ্গে মিশে গেছে

ভিডিওর ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন, আমি ওর মধ্যে এখনই একটা স্টারডম দেখতে পাই। ভীষণ রকম লিডারশীপ ব্যাপারটাও তার মধ্যে আছে। খুব সহজে সবার সাথে মিশে যাওয়ার একটা দারুন গুন তার এই ছোট্ট থেকেই হচ্ছে

পরী শেষে বলেন, ‘সবার ভালোবাসা কেড়ে নেয় সে কিভাবে যেন! আমি শুধু মুগ্ধ হয়ে দেখি। দেখতেই থাকি! একজন মানবিক মানুষ হয়ে জগতে পুণ্যের আলো ছড়াও বাজান আমার, দোয়া।’

সেই পোস্টের কমেন্ট বক্সে ভক্ত-অনুরাগীর পরী ও তার ছেলের জন্য দোয়া ও ভালোবাসার সিক্ত করছেন। কমেন্ট বক্সে নাফিসা লিখেছেন, ওরে কিউট বাবাটা আল্লাহ তোমাকে সব সময় হাসিখুশি রাখুক ভালো রাখুক দোয়া করি আমিন

সুমাইয়া সুলতানা নামে আরেকজন বলেন, আপনাদের জন্য ভালোবাসা ও দোয়া রইল, বাবুটা দিন দিন অনেক বেশি ‍কিউট হয়ে যাচ্ছে। লিটন আহমেদের ভাষ্য, পরীমনিকে দেখলেই বুঝা যায় ও কতটা মিসুক, পরীমনি তোমার জন্য দোয়া রইল


আরও খবর

আসছে রাফি-রুবেল-পূজার ‘ব্ল্যাক মানি

মঙ্গলবার ০৮ অক্টোবর ২০২৪

ব্যান্ডের পুরোনো দিন ফেরানোর উদ্যোগ

সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪