জাতিসংঘে ভাষণ ও মিলাদে মোস্তফা (দঃ) এর শুভ উদ্বোধন
বিগত ২০০০ সালের ২৮-৩১শে আগষ্ট জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বিশ্বশান্তি সম্মেলন (ঞযব গরষষবহরঁস ডড়ৎষফ ঢ়বধপব ংঁসসরঃ ড়ভ জবষরমরড়ঁং ধহফ ঝঢ়রৎরঃঁধষ খবধফবৎ) অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে উদ্বোধন করেন তৎকালিন জাতিসংঘ মহাসচিব কফি আনান। এ সম্মেলনে পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্মের শীর্ষ স্থানীয় ধর্মগুরু ও আধ্যাত্মিক শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন আওলাদে রাসূল (দঃ) শায়খুল ইসলাম হযরত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ মইনুদ্দিন আহমদ আল্-হাসানী ওয়াল্ হোসাইনী (মাঃজিঃআঃ)।
জাতিসংঘে আয়োজিত উক্ত কনফানেন্সে হুজুর কেবলা ভাষণে বলেনঃ আজকের জাতিসংঘ বিশ্ব-শান্তি ও সকল ধর্মের ও বর্ণের মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ, হানাহানি, যুদ্ধ, ক্ষুধা ও দরিদ্র নিসনের যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, তা আজ থেকে ১৪০০ বছর পূর্বে আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (দঃ) ‘মদিনার সনদের’ মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে উপহার দিয়েছিলেন, যা জাতিসংঘ আজ বাস্তবায়ন করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সম্মেলন সমাপনী দিবসে প্রার্থনা পর্বে আওলাদে রাসূল (দঃ) সৈয়দ মইনুদ্দিন আহমদ আল্-হাসানী ওয়াল্ হোসাইনী (মাঃজিঃআঃ) মিলাদ শরীফ (ছালাত ও সালাম) পরিচালনা করেন এবং সমগ্র বিশ্ববাসীর সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মুনাজাত পরিচালনা করেন। জাতিসংঘের ইতিহাসে তিনিই প্রথম ব্যাক্তিত্ব, যিনি মিলাদে-মোস্তফা (দঃ) এর শুভ উদ্বোধন করেন। মিলাদ মাহফিলে রাবেতার মহাসচিব আবদুল্লাহ ওমর নাসিফ, ইরাক, ইরান, ভারত ও পাকিস্থানসহ বিভিন্ন দেশের ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উজবেকিস্তান সরকার ও ইউনেস্কোর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বিশ্ব-আধ্যাত্মিক সম্মেলনে আমন্ত্রিত এবং ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ কর্তৃক বিপুলভাবে বিরল সম্মানে ভূষিত।
২০০০ ইং সালের ১৭-১৮ই সেপ্টেম্বর উজবেকিস্তান সরকার প্রধানের আমন্ত্রণে এবং ইউনেস্কোর তত্ত্বাবধানে উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে হোটেল শেরাটনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক আধ্যাত্মিক সম্মেলনে অষ্ট্রেলিয়া, আজারবাইজান, বেনিন, চীন, ফ্রান্স, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইস্রাইল, জাপান, সুদান, কাজাখাস্তান, মরক্কো, সউদী আরব, স্পেন, শ্রীলংকা, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, তিউনিশিয়া, তুরস্ক, ভ্যাটিকান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে ধর্মীয় আধ্যাত্মিক শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহন করেন। বড় শাহজাদা আল্হাজ্ব শাহ্সূফী সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী ওয়াল্ হোসাইনী (মাঃজিঃআঃ) সফরসঙ্গী ছিলেন। জর্দানের প্রিন্স আল্-হাসান বিন্ তালাল স্বাগত বক্তব্য রাখেন। সভাপতিত্ব করেন ইউনেস্কো সদর দপ্তর হতে আগত ডাইক্টের ডায়েন (উড়ঁফড়ঁ উরবহব)। ইন্টারন্যাশনাল এ কনফানেন্সে মুর্শেদ কেবলা বিশেষভাবে সমাদৃত হন। তাসখন্দ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। উজবেকিস্তান সরকার তাঁকে বিশেষ ফ্লাইটে পবিত্র বুখারী নগরীতে নিয়ে যান। তিনি হযরত ইমান বুখারী (রঃ), ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রঃ) এবং শায়খ বাহাউদ্দিন নক্শবন্দী (রঃ) প্রমুখ মনীষীদের মাজার জিয়ারত করেন।