Logo
শিরোনাম

জীবিত আছিয়াদের নিরাপত্তা দিবে কে.? নওগাঁয় ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাতেমা

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

জীবিত আছিয়াদের নিরাপত্তা দিবে কে? এ স্লোগানকে সামনে রেখে নওগাঁয় ফাতেমা ছোঁয়া নামের এক শিক্ষার্থী অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিশু ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করার দাবিতে নওগাঁ জেলা শহরের মুক্তির মোড় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন নওগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। 

সোমবার সন্ধ্যায় শিক্ষার্থী ফাতেমা ছোঁয়া মুখে কালো কাপড় বেধে, হাতে প্রতিবাদী পোস্টার নিয়ে ঘন্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

প্রতিবাদী ফাতেমা ছোঁয়া'র বাবা দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড "যাযাবর" এর সঙ্গীত শিল্পী ক্যাপ্টেন জানান, বর্তমান সময়ে আমার আপনার বাচ্চা নিরাপদ নয়। প্রতিনিয়ত ভঁয় কাজ করে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে আমরা দেখেছি সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় অজস্র শিশু ও নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। আর কতো? আমরা আর কতো প্রান হারাতে দেখবো?  আর কবেই বা আমার আপনার সন্তানরা ভঁয় মুক্ত সত্যিকারের স্বাধীন দেশ পাবে। স্বাধীন বাংলায় কোন ধর্ষকের স্থান নাই।  আমরা আছিয়ার কাছে ক্ষমা প্রার্থী, জীবিত আর কোন আছিয়াকে আমরা হারাতে চাইনা। মৃত আছিয়াসহ সকল ধর্ষণের ও নির্যাতনের শিকারে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দোষিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হোক। এব্যাপারে স্থানীয় সচেতন ব্যক্তি এনাম হক বলেন, মাগুরায়  ধর্ষনের শিকার হওয়া ৮ বছরের শিশু আছিয়ার মর্মান্তিক মৃত্যু অত্যান্ত দুঃখজনক ও লজ্জাজনক। সম্প্রতি সারাদেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন যেভাবে বেড়ে চলছে তার প্রতিবাদ হিসেবে আজকের এই অবস্থান কর্মসূচি সত্যিই প্রসংশার দাবিদার।  দেশব্যাপী এমন অপকর্মের ধিক্কার জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনে জড়িত সকল অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।  ধর্ষকদের চিহ্নিত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ফাঁসি কার্যকর করার জোর দাবী জানান তিনি।


আরও খবর



‘র’ নিষিদ্ধের সুপারিশ মার্কিন ফেডারেল কমিশনের

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র)’ নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে মার্কিন ফেডারেল সরকার গঠিত কমিশন। শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গুপ্তহত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে এ সুপারিশ করা হয়। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দেশটির ফেডারেল সংস্থা কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ) ২০২৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে এই সুপারিশ করেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ভারতে সংখ্যালঘুরা দিন দিন অমানবিক আচরণের শিকার হচ্ছে জানিয়ে ইউএসসিআইআরএফের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, কমিউনিস্টশাসিত ভিয়েতনাম ধর্মীয় বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ ও কড়াকড়ি আরোপ করেছে। সেই কারণে ভিয়েতনামকে ‘কান্ট্রি অব পার্টিকুলার কনসার্ন’ বা বিশেষ উদ্বেগের দেশ হিসেবে তালিকাভুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে। চীনকে নিয়ে অভিন্ন উদ্বেগের কারণে ভারতের মতো ভিয়েতনামের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখেছে ওয়াশিংটন।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, এশিয়া ও অন্যান্য অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবেলায় দীর্ঘদিন ধরে নয়াদিল্লিকে সহায়ক শক্তি হিসেবে দেখছে ওয়াশিংটন। সে কারণেই ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো বরাবরই এড়িয়ে গেছে। তবে এই সংস্থা সুপারিশ বাধ্যতামূলক না হওয়ায় র-এর ওপর মার্কিন সরকার যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে না, তা জোর দিয়েই বলা চলে।

২০২৩ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ওপর ভারতের নজরদারির ঘটনা যুক্তরাষ্ট্র-ভারত মৈত্রীর সম্পর্কে নতুন জটিলতা সৃষ্টি করে। সাবেক ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা বিকাশ যাদবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শিখ নেতা হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনেছে। তবে, ভারত বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখে আসছে দেশটি।

প্রতিবেদনে ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মার্কিন কমিশন বলেছে, ‘২০২৪ সালে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ও বৈষম্য বেড়েই চলেছে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) গত বছরের নির্বাচনী প্রচারণায় ‘মুসলিমসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে ও ভুল তথ্য ছড়িয়েছে।’ গত বছর এপ্রিলে মুসলমানদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে উল্লেখ করে মোদি বলেছিলেন, তারা ‘বেশি বেশি সন্তান’ নেয়। এর সঙ্গে কংগ্রেসসহ বিরোধীদের ভোটের স্বার্থ রয়েছে বলে মোদির অভিযোগ।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে মার্কিন সংস্থাটির প্রতিবেদনে। তবে নয়া দিল্লি এসব প্রতিবেদনকে ‘গভীরভাবে পক্ষপাতদুষ্ট’ বলেছে। ২০১৪ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা মোদি বরাবরই ধর্মীয় বৈষম্য ও নিপীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এসব অভিযোগের বিপরীতে তার ভাষ্য, তার সরকারের বিদ্যুতায়ন ও ভর্তুকি থেকে সংখ্যালঘুরা ব্যাপকভাবে উপকৃত।

ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের জন্য ভারতকে ‘কান্ট্রি অব পার্টিকুলার কনসার্ন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করার পাশাপাশি নিখিল যাদব ও র—এর বিরুদ্ধে ‘সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপের’ সুপারিশ করেছে ইউএসসিআইআরএফ।

মানবাধিকারকর্মীরা বরাবরই ভারতীয় সংখ্যালঘুদের দুর্দশার কথা তুলে ধরছেন। ভারতে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের ছড়াছড়ি, জাতিসংঘের দৃষ্টিতে চরম বৈষম্যমূলক নাগরিকত্ব আইন, ধর্মবিশ্বাসের স্বাধীনতা ক্ষুণ্নকারী আইন, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা বাতিল ও মুসলমানদের মালিকানাধীন স্থাপনা ভেঙে ফেলার কথা তুলে ধরেছেন তারা।

উল্লেখ্য, ইউএসসিআইআরএফ উভয়দলীয় সরকারি সংস্থা। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ধর্মীয় স্বাধীনতা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এবং করণীয় সুপারিশ করে। আর ভারতের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৮ সালের সেপ্টেম্বরে। সাধারণত বিদেশি সরকার, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গের তথ্য সরবরাহ করে সংস্থাটি।


আরও খবর

মার্কিন হামলায় ইয়েমেনে নিহত ১২

সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫




থাইল্যান্ডে ভূমিকম্প : মুহূর্তে ধসে পড়ল বহুতল ভবন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

থাইল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রাজধানী ব্যাংককে ভূমিকম্পে নির্মাণাধীন একটি বহুতল ভবন মুহূর্তে ধসে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে প্রচারিত ভবনগুলো কাঁপতে দেখা গেছে। আতঙ্কে লোকজন রাস্তায় ছোটাছুটি করেন।

এনডিটিভিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিডিওতে দেখা গেছে, বড় একটি বহুতল ভবন সম্পূর্ণরূপে ধসে পড়ছে। স্থানীয়রা ভবনটির ভেঙে পড়ার ছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করছেন।

ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি বড় বহুতল ভবনের ছাদ থেকে সুইমিং পুলের পানি বাইরে নিচের দিকে ছিটকে পড়ছে। আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি বাড়ির ছোট সুইমিং পুলের পানি প্রচণ্ডভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ছে, যা দেখতে ​​সুনামির মতো।

ব্যাংককে ভূমিকম্পের কারণে ভবনগুলো দুলতে শুরু করে। কয়েককটি ভবনের জানালাও ভেঙে পড়তে দেখা গেছে। অনেক সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবনের ছাদ থেকে আস্তরণ খসে পড়েছে। ব্যাংককে বিভিন্ন ভবন থেকে লোকজন বের হয়ে এসে রাস্তায় জড়ো হন।

আজ শুক্রবার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলে ৭ দশমিক ৭ এবং ৬ দশমিক ৪ মাত্রার দুটি বড় ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ঢাকা থেকে ৫৯৭ কিলোমিটার দূরে মিয়ানমারের মান্দালয় ৭ দশমিক ৭ রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল সাগাইং শহরের ১৬ থেকে ১৮ কিলোমিটারের মধ্যে, যা রাজধানী নেপিদো থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে।


আরও খবর

মার্কিন হামলায় ইয়েমেনে নিহত ১২

সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫




আরও বেশি জনশক্তি নেয়ার জন্য সৌদি রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি জনশক্তি নেয়ার জন্য সৌদি রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।

উপদেষ্টার সঙ্গে বুধবার সকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে সৌদি আরবের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত Essa Bin Yousef Bin Essa AlDuhailan সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

বৈঠকে সৌদি আরবে বসবাসরত বৈধ পাসপোর্টবিহীন ৬৯ হাজার বাংলাদেশী নাগরিকদের অনুকূলে পাসপোর্ট ইস্যু/রি-ইস্যু সংক্রান্ত বিষয়াদি সহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকের শুরুতে রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্যতম বৃহৎ অংশীদার। একক দেশ হিসেবে সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী কাজ করছে। বর্তমানে সৌদি আরবে ৩.২ মিলিয়ন বাংলাদেশী বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত হয়েছে। এটিকে ৪ মিলিয়নে উন্নীত করতে তিনি রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন।

বাংলাদেশের উন্নয়নে সৌদি আরবের সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, জনশক্তি রপ্তানির পাশাপাশি দু'দেশের মধ্যে ব্যবসা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পর্যটন ও সংস্কৃতি সহ বিভিন্ন খাতে প্রভূত সহায়তা বিদ্যমান। তিনি বলেন, সৌদি আরব সবসময় বাংলাদেশের পাশে ছিলো, অদূর ভবিষ্যতেও থাকবে। তিনি আরও বলেন, করোনাকালীন সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তান সহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে সৌদি আরবের ফ্লাইট বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশের সঙ্গে তা সচল ছিলো।

রাষ্ট্রদূত বলেন, রাজকীয় সৌদি সরকারের গৃহীত নীতি অনুযায়ী সেদেশে বসবাস ও চাকরি করা সহ আইনগত সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য বৈধ পাসপোর্ট থাকা আবশ্যক। সৌদি সরকারের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশী পাসপোর্ট/ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে সেদেশে প্রবেশ করেছেন কিন্তু বর্তমানে কোনো বৈধ পাসপোর্ট নেই এমন লোকের সংখ্যা আনুমানিক ৬৯ হাজার। তিনি বলেন, সরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের আলোচনায় ৬৯ হাজার ব্যক্তির পাসপোর্ট ইস্যু /নবায়নের জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ জানিয়ে আসছিলো। উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে দু'দেশের মধ্যে একটি প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়েছিলো এবং এতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মোঃ খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি সহ স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



৩৭ শতাংশ শুল্ক স্থগিত চেয়ে ট্রাম্পকে চিঠি

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা ৩৭ শতাংশ শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত চেয়ে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, আমরা আপনাকে আশ্বস্ত করছি, আপনার বাণিজ্য এজেন্ডা সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নে সহযোগিতার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশে। আপনার ঘোষণার পর আমি আমার উচ্চ প্রতিনিধিকে ওয়াশিংটন ডিসিতে পাঠিয়েছি যাতে ১৭ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল বাজারে আমেরিকান রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো যায়। আমরাই প্রথম দেশ যারা এ ধরনের ইতিবাচক উদ্যোগ নিয়েছি।

‘আমরাই প্রথম দেশ যারা রপ্তানির ওপর স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য বহু বছরের চুক্তি করেছি। আমাদের কর্মকর্তারা তখন থেকেই বাংলাদেশে আমেরিকান রপ্তানি দ্রুত বাড়ানোর জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা চিহ্নিত করতে কাজ করছেন। বাণিজ্য উপদেষ্টা আমাদের বিশদ কার্যক্রম নিয়ে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদারে কাজ করবেন।


আরও খবর



বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে বড় ধাক্কা

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প দেশের মোট রফতানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি জোগান দেয় ও প্রায় ৪০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। এ ছাড়া দেশের জিডিপির প্রায় ১০ শতাংশ এ শিল্প থেকে আসে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নতুন শুল্ক দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের এ বিপর্যয় ভারতের জন্য সুযোগ তৈরি করতে পারে।

বৃহস্পতিবারের ঘোষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন, যা এশিয়ার এ স্বল্পোন্নত দেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি খাতকে কঠিন সংকটে ফেলতে পারে।

সকালে এ ঘোষণা শুনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার শাহিদুল্লাহ আজিম বলেন, আমরা জানতাম যে কিছু একটা আসছে, কিন্তু এত বড় ধাক্কা আসবে তা কল্পনাও করিনি। এটি আমাদের ব্যবসার জন্য ও হাজার হাজার শ্রমিকের জন্য ভয়ংকর খবর।

শাহিদুল্লাহ আজিমের প্রতিষ্ঠান উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন খুচরা বিক্রেতাদের জন্য পোশাক সরবরাহ করে।

তিনি জানান, এ নতুন শুল্কের কারণে বিদেশি ক্রেতারা বিকল্প বাজারের দিকে ঝুঁকতে পারে, যা বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে দুর্বল করবে।

বাংলাদেশের বাজার ও অর্থনীতি বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদি যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের এ শুল্কনীতির প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

ট্রাম্পের ঘোষণার পরপরই বাংলাদেশের পোশাক শিল্প উদ্যোক্তারা সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন। বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) একজন প্রতিনিধি বলেছেন, আমরা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি ও তারা বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে দেখছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশকে এখন কৌশলগত পদক্ষেপ নিতে হবে। সবার আগে প্রয়োজন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা বাড়ানো। সেই সঙ্গে বিকল্প বাজার খোঁজা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন ও মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তানি বাড়ানোর কৌশল নিতে হবে। আবার রপ্তানিকারকদের জন্য সরকারকে বিশেষ সহায়তা প্রদান করতে হবে, যাতে তারা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে।

বাংলাদেশের পোশাক শিল্প নেতারা বলছেন, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার, ব্যবসায়ী ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অংশীদারদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় প্রয়োজন।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য বিষয়ক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি ও আশা করছি যে আলোচনা এ শুল্ক ইস্যু সমাধানে সহায়ক হবে।

পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইভিন্স গ্রুপের প্রধান আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী বলেন, গত বছর বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর থেকেই মার্কিন ক্রেতারা ভারতকে বিকল্প হিসেবে দেখছিল। এখন নতুন শুল্কের কারণে এ প্রবণতা আরও বাড়বে।

ভারতীয় পোশাক রপ্তানির ওপর ট্রাম্পের শুল্ক হার ২৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের তুলনায় কম।

এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ৩০টি পোশাক ব্র্যান্ড বাংলাদেশ থেকে ভারতমুখী হওয়ার পরিকল্পনা করছে, যা বাংলাদেশের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানির মাত্র ৬-৭ শতাংশ আসে ভারত থেকে, যা বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের তুলনায় কম। তবে নতুন পরিস্থিতিতে ভারত এই বাজারে আরও বড় অংশ দখল করতে পারে।


আরও খবর