Logo
শিরোনাম

জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আশেকদের কথা ভেবেছেন সৈয়দ মইনুদ্দীন (কঃ)

প্রকাশিত:শনিবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

হযরত সৈয়দ  মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী এমনই এক মহান অলিয়ে কামেল ছিলেন, যিনি বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে অন্ধকার পথ থেকে আল্লাহ্ ও রাসুলের (সাঃ) পথে এনেছেন। হাজার হাজার বিধর্মীরা তার পবিত্র হাতে হাত রেখে শান্তির ধর্ম ইসলাম গ্রহন করেছেন। 

ফুলের মধু আহরনে মৌমাছিরা যেমন পাগলপারা হয়ে যায়। বাবা মইনুদ্দীন নামটাও ঠিক তেমনই। চৌম্বকের দুই বিপরীত মেরুর যেমন আকর্ষণ, বাবা মইনুদ্দীন এবং তার আশেকদেরও তেমন। 

২০১১ সালের ১৭ই আগস্ট হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী (রঃ) মহামহিম স্রষ্টার ডাকে সাড়া দেন৷ তার এ ওফাত সম্পর্কেও তার অজানা কিছুই ছিল না। 

প্রায় ২/৩ বছর আগে থেকেই তিনি যেখানেই সফরে যেতেন, দরবারের মাহ্ফিলগুলোতে তিনি সকলকে বলতেন এটাই তার শেষ সফর এবং স্বীয় স্থলাভিসিক্ত স্নেহধন্য শাহ্জাদা হযরত সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী (মাঃজিঃআঃ) এর হাত মুবারক উঠিয়ে সকলের মাঝে পরিচয় করিয়ে দিতেন। 

তিনি জানতেন তার জানাযা শরীফে এত মানুষের সমাগম হবে যে, তা সামলানো অত্যন্ত কঠিন হবে। আশেকদের যেন অংশগ্রহণে কষ্ট না হয়, সে জন্য তিনি তার স্থলাভিষিক্ত শাহ্জাদাকে অসিয়ত করেন, পৃথকভাবে ৩ টি প্রধান স্থানে জানাযাহ্ শরীফ আয়োজনের জন্য। 

তিনি বলেন, ঢাকাতে মিরপুর-১ হযরত শাহ্ আলী বাগদাদী (রঃ) এর মাযার শরীফ প্রাঙ্গনে, আমার প্রিয় খলিফা মাওলানা নুরুল ইসলাম জামালপুরী (রঃ) এর ইমামতিতে  ১ম জানাযা, চট্টগ্রাম শহরের জাতীয় মসজিদ জামিয়াতুল ফালাহ্ ময়দানে খতিবে বাঙ্গাল মাওলানা  জালালুদ্দিন আল ক্বাদেরী (রঃ) এর নেতৃত্বে ২য় জানাযা এবং মাইজভাণ্ডার শরীফে হযরত সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী (মাঃজিঃআঃ) এর ইমামতিতে সর্বশেষ ও প্রধান  নামাযে জানাযাহ্ শরীফ অনুষ্ঠিত হবে। 

হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী (রঃ) সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে ওফাত বরণের পরে, সিঙ্গাপুরে দুটি জানাযা শরীফ অনুষ্ঠিত হয়। হাজার হাজার প্রবাসী ও স্থানীয় মুসলিম এতে অংশগ্রহণ করেন। 

হযরত শাহ্জালাল (রঃ) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হযরতের কফিন মুবারক আগমন করলে, এয়ারপোর্টে লাখো জনতার ভীড়ে এক আবেগঘন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়৷ চারদিকে তীব্র যানজটের দেখা দেয়। 

ঢাকাস্থ হযরত শাহ্ আলী (রঃ) মাজার প্রাঙ্গনে জানাযা শরীফের ব্যাপ্তি মিরপুর-১ ওভারব্রিজও অতিক্রম করে। বাংলাদেশের মাননীয় রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রীবর্গ, সিটি মেয়র,  রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বুদ্ধিজীবীগণ সহ লাখ লাখ জনতা এতে অংশগ্রহণ করেন। 

চট্টগ্রামের জানাযা শরীফের জানাযা, চট্টগ্রামের ইতিহাসে অন্যতম বৃহত্তম জানাযা শরীফ। স্মরণকালের দীর্ঘ এ জানাযা শরীফেও সিটি মেয়র, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ওলামায়ে কেরামগণ সহ লাখ লাখ জনতা শরীক হন। 

এরপর শুক্রবার ১৯শে আগস্ট, ২০১৭, ১৯ শে রমজান বাদ জুম'আ লাখ লাখ মানুষের অংশগ্রহণে হযরতের সর্বশেষ জানাযা শরীফ অনুষ্ঠিত হয়। জামাআত এত দীর্ঘ ছিল যে, নাজিরহাট পর্যন্ত ব্যাপ্তি ছড়িয়ে পড়ে৷ দরবার শরীফের মসজিদ, বাড়ি, খানকাহ্, মঞ্জিলগুলোর ছাদেও তিল পরিমাণ জায়গা অবশিষ্ট ছিল না৷ 

সুবহান আল্লাহ্ সুবহান আল্লাহ্! সার্থক জীবন বাবা মইনুদ্দীন ক্বেবলা ক্বাবার৷ যার প্রয়াণে চোখের পানি ঝরিয়েছেন, জানাযা শরীফে শরীক হয়েছেন কোটি মানুষ৷ এর চেয়ে কারো জীবনে আর কি চাওয়া থাকতে পারে! মহান আল্লাহর জন্য যারা নিজেদেরকে উৎসর্গ করেন, মহান আল্লাহ্ও তাদেরকে এভাবেই সম্মানিত করেন। 

পবিত্র কুরআনুল কারিমে আল্লাহ্ পাক বলেন,, "সম্মান আল্লাহর জন্য, আল্লাহর রাসুলের (সাঃ) জন্য এবং মু'মিনদের জন্য"


আরও খবর



ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ। দিনটি নিয়ে গত ১৫টি বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে নানা আনুষ্ঠানিকতা থাকলেও আজ নেই কোনো আয়োজন।

১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। এই ভাষণের মধ‍্য দিয়ে তিনি পরবর্তী দিক নির্দেশনা দেন। এদিন লাখো মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে শেখ মুজিব বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেবো। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো, ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা।

এই ভাষণ বাঙালির স্বাধীনতা-মুক্তি ও জাতীয়তাবোধের প্রতীক হয়ে ওঠে সেসময়। হয়ে ওঠে মুক্তিযুদ্ধের রণকৌশল। এটি বাঙালির রাজনৈতিক দলিল। বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণটি যুদ্ধকালে বাঙালি জাতির জীবনে অত্যন্ত গুরুত্ব ও তাৎপর্য বহন করেছে এবং বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণার অনির্বাণ শিখা হয়ে অফুরন্ত সাহস যুগিয়েছে।

মাত্র ১৯ মিনিটের ভাষণে তিনি ইতিহাসের পুরো চিত্র মানুষের সামনে তুলে ধরেন। তিনি ভাষণে সামরিক আইন প্রত্যাহার, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া এবং বিভিন্ন স্থানের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানান।

শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের এই ভাষণ জাতিসংঘের ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এছাড়া এ ভাষণটি পৃথিবীর অনেক ভাষায় অনূদিত হয়েছে। প্রতি বছর ৭ মার্চে এই ভাষণটি সারাদেশে মাইকে বাজানোর ব্যবস্থা করতো আওয়ামী লীগ। তবে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় কোথাও নেই আওয়ামী লীগ। ফলে নেই তাদের কোনো আয়োজনও।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল ক্লাবের নেতৃত্বে সাকিব- রাকিব- হ্নদয়

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের টেক্সটাইল ক্লাবের দ্বিতীয় কার্যনির্বাহী কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে।

আজ বুধবার   (২৬ ফেব্রুয়ারি) ক্লাবটির দ্বিতীয় কার্যনির্বাহী কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সভাপতি পদে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের  চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাকিব হোসাইন খান এবং সাধারণ সম্পাদক পদে একই বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের তৃতীয় বর্ষের  শিক্ষার্থী মো মেহেদী হাসান রাকিব  নির্বাচিত হয়েছেন। এতে সভাপতি পদে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের  চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাকিব হোসাইন খান এবং সাধারণ সম্পাদক পদে একই বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের তৃতীয় বর্ষের  শিক্ষার্থী মো মেহেদী হাসান রাকিব  নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচিত  অন্য সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি পদে মো: হ্নদয় হোসাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নাদিয়া আফরোজ শাওরিন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আশিষ সরকার, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক পদে মার্জিয়া মেহেরীন,দপ্তর সম্পাদক পদে  শফিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ  পদে মো: রিজওয়ান আহমেদ তৌসিফ,ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক পদে মো: ফৈরদাউস, ইভেন্ট  বিষয়ক সম্পাদক পদে সৈয়দ সিয়ামুল হক, নির্বাহী সদস্য পদে সৌরভ পূর্ণকর, রেজোয়ান আল ওয়াসি, আশিক আরফিন ঐশিক,গোলাম রাব্বি, মো:  সাইফুল ইসলাম সাইফুল্লাহ,আজহারুল  ইসলাম, মো: বাদল মিয়া, মেহেরাব হাসান নিবিড়, মো: আরমান ইসলাম ও বিএম শহীদ মাহমুদ নির্বাচিত হয়েছেন।

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নবগঠিত টেক্সটাইল ক্লাবের সকল সদস্যকে আন্তরিক অভিনন্দন  এবং বিগত কমিটির সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহ-শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ আয়োজনসহ এ বিভাগের শিক্ষা এবং গবেষণা কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতে টেক্সটাইল ক্লাব উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করবে বলে আমি আশা করছি। সেই সাথে দেশ ও জাতির যে কোন প্রয়োজনে টেক্সটাইল ক্লাব অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।


সংগঠনটির  সভাপতি সাকিব হোসাইন খান বলেন,ক্লাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত সকলের প্রতি অভিনন্দন এবং একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে এটা স্পষ্ট করতে চাই যে, আমাদের লক্ষ্য থাকবে বর্তমান প্রযুক্তি এবং বৈশ্বিক চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, মাভাবিপ্রবি কে সামনের দিনে আরও সুউচ্চ মর্যাদায় নিয়ে যাওয়া। নানামুখী কার্যক্রমের মাধ্যমে কিভাবে আরও টেকনিক্যালি সাউন্ড প্রকৌশলী হয়ে উঠা যায় সেই মর্মে আমাদের সকলকে মিলে মিশে কাজ করতে হবে। পরিশেষে বলতে চাই, এই নতুন দায়িত্ব আমাদের কাধে কর্তব্যের সাথে বেশ কিছু সুযোগও এনে দিয়েছে দেশের এই চলমান উন্নতিতে আমাদের বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবার জন্য। ক্লাবের কার্যক্রমকে সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনার জন্য সকলের কাছে দোয়া এবং নানা সময়ে সুপরামর্শ কাম্য।

সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাকিব বলেন, ক্লাবের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।এই ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের ও চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয়। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, ক্লাবের উন্নয়ন ও কার্যক্রমকে আরও সমৃদ্ধ করতে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আপ্রান চেষ্টা করব। বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য করার জন্য সেমিনার, গবেষণা কার্যক্রম ও শিল্প সংযোগ বাড়ানোর চেষ্টা  করব।আমাদের লক্ষ্য হলো টেক্সটাইল ক্লাবকে কেবলমাত্র একটি শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নয়, বরং উদ্ভাবন, নেতৃত্ব ও পেশাগত উন্নয়নের একটি কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা,যাতে সকলে একসাথে আমরা টেক্সটাইল ক্লাবকে আরও কার্যকর, গতিশীল ও সমৃদ্ধ করে তুলতে পারি। সকলের সহযোগিতায় টেক্সটাইল ক্লাব হবে উদ্ভাবনের বাতিঘর।ক্লাবের প্রতিটি সদস্যই আমাদের শক্তি, তাদের সমর্থন ও অংশগ্রহণই আমাদের সফলতার চাবিকাঠি।সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ক্লাবকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া  এবং নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করার আহ্বান জানাচ্ছি।

নির্বাচিত সহ সভাপতি  মো. হৃদয় হোসাইন বলেন,মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল ক্লাবের সহ সভাপতি নির্বাচিত হতে পেরে আমি উচ্ছ্বাসিত। আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মন্ডলীর দিকনির্দেশায়, টেক্সটাইল বিভাগের সকলকে সাথে নিয়ে, ক্লাব এবং বিভাগের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করতে চাই।  যে মহৎ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল ক্লাবের অগ্রযাত্রা, সেই শুভযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।

প্রসঙ্গত, টেক্সটাইল ক্লাব বস্ত্র প্রকৌশলীদের ব্যবসা সম্পর্কিত ধারণা বৃদ্ধি, তাদের মধ্যে নেতৃত্বের গুনাবলি বিকাশ, পেশাদারিত্ব জাগ্রত করার পাশাপাশি পেশাদারিত্ব বিকাশের সুযোগ তৈরি করার জন্য নেতৃস্থানীয় টেক্সটাইলের পেশাদারদের সাথে শিক্ষার্থীদের সেতুবন্ধন তৈরি করবে এবং শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তার গুনাবলি অর্জন করতে করতে সাহায্য করবে।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রে শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাত, নিহত ৩১

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি রাজ্যে ভয়াবহ টর্নেডো আঘাত হেনেছে। এতে কমপক্ষে ৩৪ জন মারা গেছেন, যার মধ্যে কেবল মিসৌরিতেই রয়েছে ১২ জন।

ঝড়ে বহু গাড়ি উল্টে গেছে এবং ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। কানসাসে ধুলো ঝড়ের কারণে ৫৫টিরও বেশি গাড়ি দুর্ঘটনায় কমপক্ষে আটজন মারা গেছেন। খবর বিবিসির।

ট্র্যাকার পাওয়ারআউটেজের তথ্য অনুসারে, শনিবার সন্ধ্যায় মিশিগান, মিসৌরি ও ইলিনয়সহ পাঁচটি রাজ্যে ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন ছিল। পূর্ব লুইসিয়ানা, পশ্চিম জর্জিয়া, মধ্য টেনেসি ও পশ্চিম ফ্লোরিডা প্যানহ্যান্ডেলজুড়ে টর্নেডো সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই অঞ্চলে আরো তীব্র ঝড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রাজ্যজুড়ে বেশ কয়েকটি টর্নেডো আঘাত হানার সঙ্গে সঙ্গে মিসিসিপিতে ছয়জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন গভর্নর টেট রিভস।

দেশটির জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র জানিয়েছে, শুক্রবার রাত এবং শনিবার ভোরে ২৬টি টর্নেডো আঘাত হেনেছে। আরকানসাস, ইলিনয়, মিসিসিপি ও মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের কিছু অঞ্চলে শক্তিশালী বজ্রপাত হয়েছে। এতে অনেক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের গভর্নর ব্রায়ান কেম্প। যেকোনো সময় নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার ব্যাপারে সতর্কতা করেছেন তিনি।


আরও খবর



রমজানের আগেই বেড়েছে লেবুর দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

সিয়াম সাধনার মাস রমজান আসতে এখনো বাকি এক সপ্তাহ। কিন্তু রোজা শুরুর আগেই ইফতার সামগ্রীর অন্যতম উপাদান লেবুর দাম বেড়েছে। বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে, আরও বাড়ার শঙ্কা।

বাজারে ঘুরে দেখা যায় বড়ো সাইজের এলাচি লেবু ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মাঝারি সাইজের সিলেটি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে।

জানা গেছে, এক মাস আগেও যেই লেবু বিক্রি করা হয়েছে ৩০ টাকা দরে; তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। তবে লেবুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আগের তুলনায় বিক্রি অনেক কমেছে।

বিক্রেতারা জানান, যেখান থেকে তারা লেবু কিনে আনেন সেখানেই দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। এজন্য তাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। দাম বেশি শুনে অনেক ক্রেতা লেবু না কিনে চলে যায়। এক মাস আগেও এই লেবু তারা ৩০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন।

খিলগাঁও বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. সাগর বলেন, পাইকারিতে হঠাৎ করে দাম বেড়ে গেছে। তাই আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলেই বেশি দামে বিক্রি করছি। পাইকারিতে দাম কমলে খুচরা বাজারেও কম দামে বিক্রি করব। এক মাস আগে এই লেবুর দাম ছিলো ৩০ টাকা বলেন তিনি।

আরেক সবজি বিক্রেতা মো. রাব্বি বলেন, রমজান মাসে সব সময় লেবুর দাম বৃদ্ধি থাকে। এবার রোজার আগেই লেবুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন লেবুর সিজন না হওয়ায় দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। রমজান মাসে লেবুর দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানান এই বিক্রেতা।

আজকে বাজারে টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, দেশি গাজর ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শিম ৩০-৪০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, পটোল ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, ধনেপাতা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আর মানভেদে প্রতিটি লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০ টাকা, ফুলকপি ২০ থেকে ২০ টাকা, বাঁধাকপি ২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকা দরে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ২৪০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকা কেজি, দেশী মোরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা।


আরও খবর

ফল আমদানিতে কমল শুল্ক-কর

মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫




কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের সাথে ভেনিস বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল

প্রকাশিত:সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

ইতালি ব্যুরো :

ইতালির বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে ভেনিসের কমিউনিটিকে অন্যতম বড় কমিউনিটি হিসেবে গণ্য করা হয়। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের হিসাবে এ কমিউনিটির সদস্য সংখ্যা এখন ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে।

এখানে কমিউনিটি ভিত্তিক রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, আঞ্চলিক, ধর্মীয়সহ বহু সংগঠন রয়েছে। একই সাথে রয়েছে প্রবাসী সাংবাদিকদের সার্বজনীন সংগঠন ভেনিস বাংলাদেশ প্রেসক্লাব। সুষ্ঠু এবং সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের মাধ্যমে এ সংগঠনটির জন্ম হয়। কমিউনিটির সকল ভালো কাজের সাথে এ সংগঠনটি আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। ভেনিস বাংলাদেশ প্রেসক্লাব আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা পলাশ রহমান। 


তিনি বলেন, চলতি বছরে ভেনিসের স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশী কমিউনিটি ঐক্যবদ্ধ থাকলে রাজনৈতিকভাবে আমাদের অবস্থান আরো দৃঢ় হবে। একই সাথে সত্যিকারের বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রবাসী সাংবাদিক এবং কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে। 

প্রেসক্লাবের সভাপতি এস কে এম ডি জাকির হোসেন সুমনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ সোহেলের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে বক্তৃতা করেন উপদেষ্টা আমিনুল হাজারী, সহ-সভাপতি সোহানুর রহমান উজ্জ্বল, অর্থ সম্পাদক জুম্মান অনিক মাতবর ও আনোয়ার হোসেন রানা।

কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,  ভেনিস বাংলা স্কুল উপদেষ্টা বিল্লাল হোসেন ঢালী, রফিকুল ইসলাম, সম্মিলিত নাগরিক কমিটির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার, কিশোর খন্দকার, শাহাদাত হোসেন,  শরিফুল আলম মৃধা, যুবদল সভাপতি আকবর খান, সাধারণ সম্পাদক ফকরুল চৌধুরী, ও ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন।

সভাপতির বক্তৃতায় জাকির হোসেন সুমন উপস্থিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 

উপদেষ্টা আমিনুল হাজারী বলেন, সমাজের সব ধরনের সংগঠনে মতভিন্নতা, বিভেদ থাকে। এগুলোকে গুরুত্ব যারা দেয় তারা অসংগঠনিক মানুষ। তাদের এড়িয়ে কমিউনিটির ঐক্য ধরে রাখতে হবে।

ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, ভেনিস বাংলা স্কুলের নির্বাহী কমিটির সভাপতি সৈয়দ কামরুল সরোয়ার, মাস্টার হাকিম শেখ, প্রমূখ।

বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের শান্তি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন হাফেজ আব্দুস সালাম এবং কোরআন তেলাওয়াত করেন মোবারক হোসেন।


আরও খবর

রোহিঙ্গারা মায়ানমারে ফিরতে চায়

শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫