Logo
শিরোনাম

জেলেনস্কির ইতালি, জার্মানি ও ফ্রান্স সফরে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ইতালি, জার্মানি ও ফ্রান্স সফরে গিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরো সহায়তা ও সমর্থন পেলেন। ইউরোপীয় ঐক্যে বিশেষ অবদানের জন্য শার্লেমান পুরস্কারও গ্রহণ করলেন জেলেনস্কি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পর পর তিনটি ইউরোপীয় দেশ সফর করে ইউক্রেনের জন্য আরো সমর্থন ও সামরিক সহায়তা নিশ্চিত করলেন। সেই সঙ্গে ইতালি, জার্মানি ও ফ্রান্স ইউক্রেনের প্রতি অবিচ্ছিন্ন সহায়তার অঙ্গীকার করছে। রোমে পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে নিজস্ব উদ্যোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

যুদ্ধের শুরুর দিকে ইউক্রেনের জন্য জার্মানির সমর্থন ও সহায়তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব, ধীরগতি নিয়ে কিয়েভে যথেষ্ট ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছিল। তারপর ধীরে ধীরে সেই কালো মেঘ কেটে গেছে। বার্লিন সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি একাধিক ক্ষেত্রে সত্যিকারের বন্ধু ও সহযোগীদেশ হিসেবে জার্মানির ঢালাও সহায়তার ভূয়সী প্রশংসা করেন। ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পরই জার্মানির অবস্থান তুলে ধরেন তিনি। 

 এ ছাড়াও জেলেনস্কি দাবি করেছেন, ইউক্রেন শুধু আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নিজস্ব ভূখণ্ড রাশিয়ার দখলমুক্ত করতে সংগ্রাম চালিয়ে যাবে, রাশিয়ার ভূখণ্ড দখলের কোনো চেষ্টা করবে না। অতীতের উত্তেজনা কাটিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের নেতৃত্বেরও প্রশংসা করেন জেলেনস্কি। সেই সঙ্গে জার্মানির জনগণ ও করদাতাদের প্রতি ইউক্রেনের মানুষের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

উল্লেখ্য, জেলেনস্কির সফরের ঠিক আগে জার্মানি আরো এক দফা সামরিক সহায়তার ঘোষণ করেছে। ২৭০ কোটি ইউরো মূল্যের সেই প্যাকেজের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট শলৎসের কাছে উন্নত বোমারু বিমান সরবরাহের অনুরোধ করেন। তিনি সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশকে নিয়ে এক ফাইটার জেট কোয়ালিশনগঠনের উদ্যোগের কথাও বলেন। শলৎস অবশ্য সেই অনুরোধ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি।

রবিবার জেলেনস্কি জার্মানির পশ্চিমে আখেন শহরে শার্লেমান পুরস্কার গ্রহণ করেন। ইউরোপীয় ঐক্যের জন্য জেলেনস্কি ও ইউক্রেনের মানুষকে যৌথভাবে এ বছরের পুরস্কার দেওয়া হলো। পুরস্কার গ্রহণ করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি ইউক্রেনের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছেন, যা প্রতিদিন নিজেদের স্বাধীনতা এবং ইউরোপীয় মূল্যবোধ রক্ষার জন্য লড়াই করছেন। তাদের প্রত্যেকে আজ এখানে উপস্থিত থাকলে ভালো হতো।

জেলেনস্কির মতে, ইউক্রেন শান্তি ছাড়া কিছুই চায় না। একমাত্র বর্তমান সংকটে জয়ের মাধ্যমে সেই লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব। ইউক্রেন যুদ্ধ ইউরোপের ভবিষ্যৎও নির্ধারণ করতে পারে বলে জেলেনস্কি মনে করেন। কারণ রাশিয়া যেকোনো ধরনের নিষ্ঠুরতা ও পাপের মাধ্যমে ইউরোপীয় একত্রীকরণের ইতিহাসের চাকা পেছন দিকে ঠেলতে বদ্ধপরিকর।

জার্মানির পর ফ্রান্স সফরে গিয়েও জেলেনস্কি আরো সমর্থন পেয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ প্যারিসে জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাতের পর আরো লাইট ট্যাংক ও আর্মার্ড যান সরবরাহের ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দেবে ফ্রান্স। রবিবার জেলেনস্কির সফরের শুরুতেই ম্যাখোঁ এক টুইট বার্তায় লেখেন, ইউরোপের সঙ্গে ইউক্রেনের বন্ধন আরো বাড়ছে। সেই সঙ্গে রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়ছে।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরও খবর



শাকিব খানের তাণ্ডবেই আগ্রহ বেশি দর্শকের

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

সিনেমাপ্রেমীদের আনন্দ দ্বিগুণ করতে প্রতি বছর চমৎকার গল্প নিয়ে হাজির হন নির্মাতারা। ঈদে চলচ্চিত্র মুক্তি দিতে তাদের দৌড়ঝাঁপ থাকে তুঙ্গে। এবারের কোরবানির ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ছয়টি সিনেমা। এর মধ্যে দেশব্যাপী একাই রাজত্ব করছে শাকিব খানের তাণ্ডব। ঈদে রেকর্ডসংখ্যক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় সিনেমাটি। দেশের ১৩২টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় তাণ্ডব। মুক্তিপ্রাপ্ত সব সিনেমা হলে তাণ্ডবেরই দর্শক বেশি লক্ষ করা যায়।

ট্রিজার, ট্রেলার রিলিজ হওয়ার পর থেকেই তাণ্ডব সিনেমা নিয়ে দর্শকের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। ঈদের দিন সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই দেখা গেল সে নিদর্শন। সিনেমাপ্রিয় দর্শকরা বলছেন তাণ্ডব সিনেমা দেখে তাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন শাকিব খানের এর আগের সিনেমা তুফান কিংবা বরবাদকেও ছাড়িয়েছে তাণ্ডব

বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে তাণ্ডব দেখে বের হওয়া এ দর্শক বলেন, সিনেমাটি এত ভালো লাগবে ভাবিনি। তাণ্ডবের পরতে পরতে চমক ছিল। বিশেষ করে শেষের ১০ মিনিট খুব ভালো লেগেছে।

রায়হান রাফীর নির্মাণের প্রশংসা করছেন অনেক দর্শক। তারা বলছেন, রাফীর নির্মাণ অসাধারণ। বাংলা সিনেমায় নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন রায়হান রাফী। একের পর এক ভালো সিনেমা উপহার দিয়ে নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন রায়হান রাফী। তাণ্ডব সিনেমা নিয়ে সিনেপ্লেক্সের কর্মকর্তারা বলছেন, এবারের ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত অন্যান্য সিনেমার তুলনায় সবচেয়ে বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে তাণ্ডব সিনেমার। তাণ্ডবে শাকিব খানের বিপরীতে এবারই প্রথম বড় পর্দায় পা রাখলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর। শাকিব খান ও সাবিলা জুটিকে প্রথমবার পর্দায় দেখতে হলে এসেছেন অনেক দর্শক।

রাজধানীর বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, অন্য সিনেমার তুলনায় শাকিব খানের তাণ্ডবেই আগ্রহ বেশি দর্শকদের। তবে কম বেশি অন্য সিনেমাগুলোও দেখছে দর্শক। তাণ্ডবের পর এবারের ঈদে দেশের ১৬টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে শরিফুল রাজ ও তাসনিয়া ফারিণ অভিনীত ইনসাফ। সিনেমাটি দেখে দর্শকরা রাজ ও তাসনিয়া ফারিণের অভিনয়ের প্রশংসা করছেন। প্রশংসা করছেন তাদের অভিনীত আকাশেতে লক্ষ তারা গানের। এক দর্শক বলেন, শুধু আকাশেতে লক্ষ তারা এ গানের কারণেই সিনেমাটি দেখতে এসেছি।

তানিম নূরের উৎসব সিনেমাটি দেখতেও দর্শক পরিবার নিয়ে হলে আসছেন। স্টার সিনেপ্লেক্সের পাঁচটি ও যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাস ও কেরানীগঞ্জের লায়ন সিনেমায় মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি।

এছাড়া এবারের ঈদে ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স, যমুনা ব্লকবাস্টার ও লায়ন সিনেমায় মুক্তি পেয়েছে এশা মার্ডার: কর্মফল৷। সিনেমাটিও দেখছেন অনেকে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কিংবা নির্মাতার পক্ষ থেকে এখনো হল লিস্ট প্রকাশ করা হয়নি টগর সিনেমার। জানা গেছে, স্টার সিনেপ্লেক্স, যমুনা ব্লকবাস্টার, লায়ন সিনেমার পাশাপাশি ঢাকার আজাদ সিনেমা হলে চলছে সিনেমাটি। স্টার সিনেপ্লেক্স, যমুনা ব্লকবাস্টার ও লায়ন সিনেমায় দেখা যাচ্ছে নীলচক্র। দীর্ঘদিন পর পর্দায় ফিরেছেন আরিফিন শুভ। শুভ ভক্তরাও প্রশংসা করছেন তার অভিনীত নীলচক্র সিনেমার।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে১৬ আইনজীবীর সদস্যপদ বাতিল

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠি জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, সম্পাদকসহ আওয়ামীপন্থী ১৬ জন আইনজীবীর সদস্যপদ বাতিল করেছে বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ।

সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. নাসিমুল হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ২২ এপ্রিলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে সদস্যপদ বাতিলের সুনির্দিষ্ট কারণ কিংবা সমিতির গঠনতন্ত্রের কোন ধারায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তা স্পষ্ট করা হয়নি।

সদস্যপদ বাতিল হওয়া আইনজীবীদের মধ্যে রয়েছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পিপি আবদুল মান্নান রসুল, সাবেক সহসভাপতি মঞ্জুর হোসেন ও তাঁর পুত্র মোর্শেদ কামাল, সাবেক জিপি তপন কুমার রায় চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এপিপি এম আলম খান কামাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এপিপি আ.স.ম. মোস্তাফিজুর রহমান (মনু), সাবেক সভাপতি মো. মাহাবুবুর রহমান তালুকদার, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী সমিতির সদস্য সচিব জি.কে মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক এপিপি সঞ্জয় কুমার মিত্র, মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, কার্তিক চন্দ্র দত্ত, সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর শামীম, তানজিলা হক, মো. আবুল বাশার এবং জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এস. এম. রুহুল আমীন রিজভী।

সদস্যপদ বাতিলের বিষয়ে কার্তিক চন্দ্র দত্ত বলেন, "আমাদের আইনজীবী সমিতির সদস্য পদ অন্যায় ভাবে বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ  করবো।"

এ বিষয়ে সমিতির ভর্তি বিষয়ক সম্পাদক আক্কাস সিকদার বলেন, “শুধু আওয়ামীপন্থী নয়, আরও প্রায় ৩০ জনের সদস্য পদ বাতিল নিয়ে সভায় প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে কিন্তু সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়নি। সাধারণ সভা ছাড়া আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি এভাবে বিপুল সংখ্যক  সদস্যদের পদ বাতিল করতে পারে না।  এ বিষয়টি সাধারণ সভায় আলোচনার কথা ছিল। তাছাড়া ভিজিলেন্স উপকমিটির মতামত ব্যতিত কারো বিরুদ্ধে  শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া যায়না।'  

সমিতির নির্বাহী সদস্য ও যুবদল নেতা আনিসুর রহমান খান বলেন, “চিঠিতে যেটা বলা হয়েছে, যে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেটা সত্য নয়। কার্যনির্বাহী কমিটিতে এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা সাধারণ সভায় বিষয়টি তোলার পরামর্শ দিয়েছিলাম।”

অন্যদিকে, সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও শহর বিএনপির সভাপতি মো. নাসিমুল হাসান বলেন, "আমরা জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে উল্লেখিত ১৬ জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। কমিটির প্রতিবেদনে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাঁদের বিভিন্ন অন্যায় কর্মকাণ্ডসহ আইনজীবীদের মারধর, মামলা হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। জেলা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্রের বিধি মোতাবেক তাঁদের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।

সদস্যপদ বাতিল নিয়ে ঝালকাঠি আইনজীবী মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলছেন, বিষয়টি রাজনৈতিক প্রভাবিত এবং গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে নেওয়া হয়েছে। 


আরও খবর



মিয়ানমার উপকূলে নৌকা ডুবে ৪২৭ রোহিঙ্গার মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

সমুদ্রপথে যাত্রার সময় মিয়ানমার উপকূলে পৃথক দুটি নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ৪২৭ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে নৌকাডুবির ঘটনাগুলো ঘটেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। ২৩ মে রাত ৮টার দিকে কক্সবাজারস্থ ইউএনএইচসিআরের যোগাযোগ কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই ধরনের বিপজ্জনক সমুদ্রযাত্রায় প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজনের মৃত্যু বা নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এতে আন্দামান সাগর ও বঙ্গোপসাগর বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সমুদ্রপথগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।

সংস্থাটির প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, দুটি নৌকায় মোট ৫১৪ জন রোহিঙ্গা ছিলেন। ৯ মে প্রথম নৌকাটি ডুবে যায়, যেখানে ২৬৭ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের অনেকেই বাংলাদেশে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির থেকে এবং বাকিরা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে যাত্রা করেছিলেন। এই দুর্ঘটনায় মাত্র ৬৬ জন বেঁচে যান। পরদিন ১০ মে দ্বিতীয় নৌকাটিও ডুবে যায়। তাতে ২৪৭ জন রোহিঙ্গা ছিলেন, যারা একইভাবে কক্সবাজার ও রাখাইন থেকে এসেছিলেন। এই নৌকা থেকে মাত্র ২১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা যায়।

বর্তমানে বেঁচে যাওয়া মানুষদের পরিচয় ও বিস্তারিত তথ্য যাচাই করছে ইউএনএইচসিআর। এছাড়া আরও একটি নৌকার খবর পাওয়া গেছে, যাতে ১৮৮ জন রোহিঙ্গা ছিলেন। নৌকাটিকে ১৪ মে মিয়ানমারে আটকে দেওয়া হয়।

ইউএনএইচসিআরের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক হাই কিয়ং জুন এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, সহায়তা তহবিল কমে যাওয়ায় রোহিঙ্গাদের মানবিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। ফলে নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনের আশায় অনেকেই প্রাণঝুঁকি নিয়ে বিপজ্জনক সমুদ্রযাত্রায় নামতে বাধ্য হচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়- আশ্রয়প্রদানকারী প্রথম দেশগুলোতে কার্যকর সুরক্ষা নিশ্চিত করা, দায়িত্ব ভাগাভাগি এবং সমুদ্রপথে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালানো জীবন রক্ষার জন্য অত্যন্ত জরুরি। সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়ায় বর্ষা মৌসুম শুরু হয়েছে। ফলে সাগর উত্তাল, বাতাস ও বৃষ্টি প্রবল। এই সময়ে সমুদ্র পাড়ি দেওয়া আরও বিপজ্জনক। সমুদ্রে বিপদগ্রস্তদের জীবন রক্ষা করা আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনের অধীনে একটি মানবিক বাধ্যবাধকতা ও দীর্ঘদিনের দায়িত্ব। ইউএনএইচসিআর এ অঞ্চলের দেশগুলোকে অনুরোধ করছে, যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৫ সালে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইউএনএইচসিআরের ৩৮৩ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে শরণার্থী ও আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীর জীবন স্থিতিশীল করতে এই তহবিল ব্যবহার হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র ৩০ শতাংশ সংগ্রহ করা গেছে।

এ বিষয়ে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতা মো. জোয়ের বলেন, দালালদের প্রলোভনে পড়ে সাগরপথে পাড়ি দিচ্ছেন রোহিঙ্গারা। মূলত রোহিঙ্গারা যাতে রাখাইনে ফেরত না যায় সেজন্য দালালরা এ ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। ফলে এ ধরনের মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না। আসলে এটি খুবই দুঃখজনক। এটি বন্ধে সরকারের উচিত মানব পাচারকারী (দালালদের) বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।


আরও খবর



সরকার নগদ পরিচালনায় স্বতন্ত্র বোর্ড গঠন করবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান নগদ পরিচালনায় স্বতন্ত্র বোর্ড গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রোববার সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের পর এ নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর দুই জনই কথা বলেন। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত সরকারের আমলে নগদে যত অনিয়ম যা হয়েছে, ইতোমধ্যে তা বের করা হয়েছে। এর মধ্যে হঠাৎ করে আরেকটা গ্রুপ ঢুকে নগদের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, যাদের নামে মামলা রয়েছে। তারা কেউ নগদে ঢুকতে পারবে না। সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, নগদকে পুনর্গঠন করে আলাদা স্বতন্ত্র বোর্ডের কাছে দেওয়া হবে। এটা বাংলাদেশ ব্যাংক ও ডাক বিভাগ পরিচালনা করবে না। পুরোপুরি স্বতন্ত্র বোর্ড পরিচালনা করবে। অর্থ উপদেষ্টার মতে, নগদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার ভূমিকা গ্রহণকারী মো. শাফায়েত আলমকে পদত্যাগ করতে হবে। কারণ তারা অবৈধভাবে এটি দখল করেছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক যার নামে মামলা করেছে তাকেই আবার নগদের সিইও করা হয়েছে- সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন কথা বলা হলে ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বিচারাধীন থাকায় এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলা ঠিক নয়। তবে সরকার তা মানবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক তার (সাফায়েত আলমের) বিরুদ্ধে মামলা করেছে, তা চলমান। তাহলে কি ডাক বিভাগের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরোধ সৃষ্টি হবে? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কোনো বিরোধ হবে না।

গভর্নর বলেন, তার (সাফায়েত আলমের) সিইও পদে থাকার কোনো অধিকার নেই। অবশ্যই উনি জালিয়াতি করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী শুনানির দিন উপস্থিত হননি। এর কারণ কী? এমন প্রশ্নে আহসান এইচ মনসুর বলেন, কারণ বাংলাদেশ ব্যাংককে এ বিষয়ে জানানো হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসক নিয়োগে আট সপ্তাহের জন্য যে, স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে, তা ছিল হাতে লেখা।

এর আগে গতকাল শনিবার জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকে নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, নগদের আগের বোর্ডে যারা ছিলেন তারা বিপুল আর্থিক অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। যেহেতু প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে কোটি কোটি জনগণের সম্পৃক্ততা আছে এবং শত শত কোটি টাকার আমানত এখানে জড়িত- তাই বাংলাদেশ ব্যাংক সাময়িক প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব নেয়।

আরিফ হোসেন খান বলেন, নগদে অর্থ তছরুপের ঘটনায় যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়, তাঁদের মধ্যে একজন আসামিকে প্রধান নির্বাহী নিয়োগ করা হয়। তাঁকে নগদের পরিচালনা পর্ষদ নিয়োগ দেয়নি, নিয়োগ দিয়েছেন পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধান নির্বাহী। তাঁরা দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের যাঁরা কাজ করছিলেন, তাঁদের সব ধরনের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেন। ফলে গ্রাহকেরা ঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছেন। এ জন্য দ্রুত এই মামলার নিষ্পত্তি হওয়া দরকার। ১৯ মে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।


আরও খবর



ট্রান্সশিপমেন্ট সংকট পেরিয়ে আকাশপথে বিজয়ের পথে বিমান কার্গো

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের মূল চালিকাশক্তি হলো ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।প্রতিবছর গড়ে ২,১০,০০০ মেট্রিক টন রপ্তানি এবং ১,২১,০০০ মেট্রিক টন আমদানি পণ্য এই বিমানবন্দর দিয়ে পরিবাহিত হয়। পক্ষান্তরে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বছরে রপ্তানি হয় গড়ে মাত্র ৩,৩৫২ মেট্রিক টন এবং আমদানি ২,৯২০ মেট্রিক টন।

অর্থাৎ দেশের আকাশপথের বাণিজ্য কার্যক্রম প্রায় পুরোটাই ঢাকার উপর নির্ভরশীল। এর বাইরেও কিছু পণ্য সড়ক পথে ভারতে পরিবহন করে সেখান থেকে ট্রান্সশিপমেন্ট করা হতো, ভারত যখন হঠাৎ করে বাংলাদেশের পণ্যের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে দেয়, তখন রপ্তানিকারকরা কিছুটা অনিশ্চয়তায় পড়ে যান। কিন্তু ভারতীয় এই সুবিধা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও থেমে থাকেনি বাংলাদেশ থেকে আকাশ পথে পণ্য পরিবহন বরং এটি বাংলাদেশর আকাশ পথে পণ্য পরিবহনের নতুন দ্বার উন্মুক্ত করেছে। এর পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

সাময়িক এই সংকটময় সময়েই এগিয়ে আসে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অফ বাংলাদেশ,রপ্তানিকারকগণ এবং এই উদ্যোগের প্রাথমিক ধাপে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে ফ্রেইটার অপারেশনের উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়। এ লক্ষে ২০২৫ সালের মার্চ থেকে সিলেট বিমানবন্দরে কার্গো সেবার জন্য বাধ্যতামূলক Safety and Security Compliance নিশ্চিত করতে ইউরোপিয় ইউনিয়ন এবং UK থেকে RA3 সার্টিফিকেশন ভেলিডেশন করা হয়, যা ২০২৮ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। যার ফলশ্রুতিতে ২০২৫ সালের ২৭ এপ্রিল বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সিলেট থেকে স্পেনের জারাগোজা গন্তব্যে প্রথম এয়ার ফ্রেইটার অপারেশন আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর থেকে মে মাস পর্যন্ত সপ্তাহে ১ টি করে ডেডিকেটেড কার্গো ফ্রেইটার পরিচালনা করা হচ্ছে। জুন ২০২৫ থেকে সপ্তাহে ২ টি করে ফ্রেইটার পরিচালিত হবে। বর্তমানে সপ্তাহে অন্তত চারটি ফ্রেইটার পরিচালনার প্রস্তুতি রয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের।

এছাড়া চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকেও কার্গো ফ্রেইটার অপারেশন চালুর প্রস্তুতি চলছে। সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরির কাজ হাতে নেয়া হয়েছে এবং নিয়মিত ফ্লাইটের পাশাপাশি কার্গো ফ্লাইট চালুর জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স প্রস্তুত রয়েছে। একইসাথে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে-কক্সবাজার বিমানবন্দর। সুদৃঢ় অবকাঠামো ও সম্প্রসারিত রানওয়ে সুবিধার মাধ্যমে এটিকে দেশের চতুর্থ বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথ চালু হওয়ায় এবং চট্টগ্রাম থেকে এর দূরত্ব মাত্র ১৮০ কিলোমিটার হওয়ায় এখানে কম খরচে ও কম সময় কার্গো পরিবহণ সম্ভব। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে প্রয়োজন বিমানের জনবল, কার্গো ওয়্যারহাউজ এবং হ্যান্ডলিং সরঞ্জাম, যার প্রস্তুতি নিয়েও এগিয়ে চলছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

এদিকে ঢাকায় নবনির্মিত তৃতীয় টার্মিনাল চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। অত্যাধুনিক এই টার্মিনাল চালু হলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কার্গো পরিচালনা সক্ষমতা প্রায় তিনগুণ বাড়বে। ২০১৯ সালে যেখানে মোট আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ কার্গো পরিবহনের পরিমাণ ছিল প্রায় ৩ লক্ষ ৩৪ হাজার মেট্রিক টন, ২০২৫ সালের মধ্যে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৪ লক্ষ ৩৪ হাজার মেট্রিক টন। ২০৩৫ সালের মধ্যে সম্ভাব্য এয়ার কার্গো পরিবহণ হবে প্রায় ৬৬৩ হাজার মেট্রিক টন। এই প্রস্তুতি ও রূপান্তরের মূল চালিকাশক্তি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, যারা নতুন কার্গো টার্মিনাল পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, জনবল এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিত করতে আগেই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। নতুন কার্গো টার্মিনালের জন্য ৩৩৫টি হাইড্রোলিক হ্যান্ড ট্রলি, ৮টি টো ট্রাক্টর, ১৮টি মিনি ফর্ক লিফট, ১৪টি ফর্ক লিফট এবং ৬টি বাগি সহ— মোট ৩৮১টি আধুনিক কার্গো হ্যান্ডলিং সরঞ্জাম সংযোজন করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে, যার মধ্যে সিংহভাগ সরঞ্জাম ইতোমধ্যে সংযোজিত হয়েছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিমানের কার্গো বিভাগ রেকর্ড পরিমান আয় করেছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আন্তর্জাতিক কার্গো পরিবহনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও গুণগত মানের নিশ্চয়তা হিসেবে RA3 (Regulated Agent Third Country) এবং ACC3 (Air Cargo or Mail Carrier operating into the European Union from a Third Country Airport) সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে। এই সার্টিফিকেশন দু’টি ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং UK-তে কার্গো পাঠানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা বিমানের সক্ষমতা ও মান বজায় রাখার প্রতীক।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৪৮টি আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের নির্ধারিত কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। বিমান কার্গো বিভাগ সিডিউল ফ্লাইট এ সাথে সাথে প্রতি বছর গড়ে ২,১০০টি নন সিডিউল কার্গো চার্টার ফ্লাইট দক্ষতার সাথে হ্যান্ডলিং সম্পন্ন করে, যা এর কার্যকর অপারেশনাল সক্ষমতা এবং বৈশ্বিক এয়ার কার্গো পরিবহন ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রতিফলন।

ভবিষ্যৎ উন্নয়নমূলক কৌশলের অংশ হিসেবে, বিমান কার্গো বর্তমানে ইতিহাদ এয়ারওয়েজ, এমিরেটস, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, গালফ এয়ার, রয়েল ডাচ এয়ার, এয়ার ফ্রান্স সহ অনন্যা স্বনামধন্য এয়ারলাইন্সের সাথে স্পেশাল প্রোরেট এগ্রিমেন্ট (SPA), ব্লক স্পেস এগ্রিমেন্ট (BSA), কোড-শেয়ারিং এবং কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে কার্গো নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, পরিবহন ক্ষমতার সর্বোত্তম ব্যবহার এবং উন্নতমানের সেবা প্রদানের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ নিশ্চিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।একই সাথে ঢাকা হয়ে ট্রানজিট/ট্রান্সফার কার্গো পরিবহনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।

সংকটকে সম্ভাবনায় রূপান্তর করার যে সাহস, নেতৃত্ব এবং নিরলস প্রয়াস প্রয়োজন, তা আজকের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স প্রমান করেছে। আকাশপথে বাংলাদেশের কার্গো পরিবহণ খাতে এই প্রগতির পেছনে বিমান শুধু একজন অংশীদার নয়—এক নির্ভরযোগ্য অগ্রদূত। কার্গো এখন কেবল পরিবহন সেবা নয়, এটি দেশের স্বপ্ন, গর্ব ও বিশ্বজয়ের প্রতীক। আর সেই প্রতীকে নতুন ডানা যোগ করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫