Logo
শিরোনাম

ঝালকাঠি শহরের ডাক্তার পট্টিতে ইফতারীর সময় ডাকাতির চেষ্টা

প্রকাশিত:সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠি শহরের প্রাণকেন্দ্র ডাক্তার পট্টিতে (স্বর্ণকার পট্টি) দুর্ধর্ষ ডাকাতির চেষ্টা। রবিবার সন্ধ্যায় ইফতার চলাকালীন সময়ে বোমা বিস্ফোরণে ঝালকাঠি শহর কেঁপে উঠে। এৎসময় সাতটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এর গ্লাসে ২ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। গ্লাস বেদ করে গুলি বের হয়ে যায় কিন্তু গুলিতে কেহ আহত হয় নি। বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ডাকাতরা একটি মিনি পিকআপ করে শহরের সাধনা মোড় হয়ে ফায়ার সার্ভিস চাদকাঠি হয়ে ঝালকাঠি বরিশাল সড়কে উঠে ষাইট পাকিয়া হয়ে বরিশাল শহরের দিকে চলে যায়।  এ সময় ষাইট পাকিয়া ও জেলা পুলিশ লাইনের সামনে পুলিশ বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এতে ২ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ দিকে ১ জন পথচারী আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিদর্শন করেছে। ঝালকাঠি শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ দিকে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট শাহাদাত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, পতিত স্বৈরাচারের দোসররা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার জন্য এবং মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য ডাকাতি চেষ্টা বোমা বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে। জেলা বিএনপি এই ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বিএনপি জনগণকে সাথে নিয়ে এই ধরনের অরাজকতা ও অপকর্ম প্রতিরোধ করবে। এ দিকে জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মোঃ শামীম তালুকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য একটি চক্র সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য এধরনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সদর থানার ওসি মনিরুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, সন্ধ্যায় ইফতারের জন্য সবাই যে যার মতো ব্যস্ত ছিল। সেই সুযোগে ডাকাতির পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু তা স্থানীয়দের সচেতনতার কারণে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। আমরা সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করে সনাক্ত করণের চেষ্টা করছি।


আরও খবর



ঢাকায় ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি, কিউলেক্সের যন্ত্রণা

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শুকনো মৌসুমেও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়ি, স্থাপনায় পাওয়া যাচ্ছে এইডিস মশার লার্ভা, মিলছে পূর্ণ বয়স্ক মশাও।এ বছর প্রথম তিন মাসে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা মাথায় রেখে বর্ষার আগেই এইডিস মশার এই উপস্থিতিকে আশঙ্কাজনক বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

এজন্য মশা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

ঢাকার মিরপুরের লালকুঠি এলাকায় ২৪ মার্চ গিয়ে দেখা যায়, মশার ওষুধ ছিটাতে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছিল তিনজনের একটি দল। তাদের দুজন বিভিন্ন জায়গায় মশার লার্ভা খুঁজছিলেন, একজন ছিটাচ্ছিলেন ওষুধ।

তাদের মধ্যে যে দুজন লার্ভা খুঁজছিলেন তারা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের গবেষণাগারের কর্মী। অন্যজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন-ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতা বিভাগের মশক নিয়ন্ত্রণকর্মী।

মশা নিয়ন্ত্রণে ঢাকার এই নগর সংস্থাটি নিয়মিত বিভিন্ন এলাকা পর্যবেক্ষণে রেখেছে, এজন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের সঙ্গে একটি চুক্তি আছে তাদের।

দলটির সঙ্গে লালকুঠির প্রথম কলোনির ১৫টি বাসায় গিয়ে ফেলে রাখা কলসি, পানি জমিয়ে রাখার ড্রাম এবং পানির মিটারে এইডিস মশার লার্ভা দেখা গেছে। ওইসব বাড়ির বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেছে, বেশিরভাগ পাত্রেই লার্ভা জমেছে তাদের অসচেতনতায়।

কলোনির একটি টিনশেড বাসায় থাকা বটগাছের নিচে একটি কলসি রাখা। দীর্ঘদিন ফেলে রাখায় ওই কলসিতে পানি জমে আছে। আর তাতে জমে জন্মেছে এইডিস মশার লার্ভা।

সে বাসার একজন ভাড়াটিয়া বলেন, বাড়িওয়ালা বটগাছের নিচে ওই কলসি রেখেছেন। পরিষ্কার করা হয়নি হয়তো, এ কারণে মশা ডিম পাড়ছে হয়তো।

ওই কলোনির আরেকটি বাড়িতে পানি রাখার দুইটি ড্রামে এইডিস মশার লার্ভা পান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে আসা এই কর্মীরা। ওই বাড়ির মালিকের মেয়ে ডায়না আক্তার বলছিলেন, এলাকার লাইনে ঠিকমত পানি আসে না। এজন্য পানি জমিয়ে রাখতে হয়।

রাত ৩টা-৪টার দিকে পানি আাসে। প্রতিদিন বালতিতে পানি ভরি, থালাবাসন ধোয়ার কাজে তা ব্যবহার করি। পানি তো ঢাকনা দিয়ে রাখি। এরপরও মশা সেখানে ডিম পাড়ল কীভাবে বুঝতে পারছি না। ঢাকনা দিয়ে রাখলেও লার্ভা পাওয়া যায়

প্রথম কলোনির ২২৭/ডি নম্বর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির উঠানে রাখা একটি বড় বালতিতে পানি জমানো। পানি জমে আছে আরেকটি ছোট বালতিতেও। পরীক্ষা করে দুটি বালতিতেই এইডিস মশার লার্ভা পান জরিপে আসা কর্মীরা।

যাদের ঘরের বালতিতে লার্ভা পাওয়া গেছে তারা বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাননি।

ওই বাড়ির আরেকটি বাসার বাসিন্দা হেনা বেগম বলেন, আমাদের বাসায় কোনো মোটর নাই, এজন্য টেনে পানি আনা যায় না। সাপ্লাইয়ের যে পানি আসে তা বালতিতে জমাইয়া রাখতে হয়। এ কারণে মনে হয় মশা ডিম পাড়ছে।

ওই এলাকায় মশার উপস্থিতি কেমন জানতে চাইলে মো. তরিকুল ইসলাম নামে একজন বলেন, বাসায় প্রচুর মশা। রাতে ঘুমাতে কষ্ট হয়। মশার কয়েল জ্বালাই, মশারি টানাই, তাও কামড়ায়, বেশি কামড়ায় বাচ্চাদের।

মশার গতিপ্রকৃতি, প্রজাতি বৈচিত্র, মৌসুমী অবস্থা পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে ডিএনসিসি। মশা ধরার জন্য পাঁচটি অঞ্চলে ফাঁদ পাতা হয়েছে, যাকে ডিএনসিসি বলছে সেনটিনাল সাইট। একটি সাইটে লাইট ট্র্যাপ,এইডিস এক্স স্মার্ট ট্র্যাপ ও গ্র্যাভিড ট্র্যাপ- এই তিন ধরনের ফাঁদ থাকে।

লাইট ট্র্যাপে সব ধরনের পূর্ণবয়স্ক মশা ধরা হয়। এইডিস স্মার্ট ট্র্যাপে পূর্ণবয়স্ক এইডিস মশা এবং গ্র্যাভিড ট্র্যাপে এইডিস মশা ডিম পাড়ে, সেখান থেকে লার্ভা হয়।

প্রতি সাতদিন পর পর এসব ফাঁদ পরীক্ষা করা হয়। ফাঁদে পাওয়া মশার সংখ্যা গণনা করে ওই এলাকায় মশার উপস্থিতির একটি ধারণা নেওয়া হয়।

মিরপুরের লালকুঠি এলাকায় ডিএনসিসির ১০ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারেও এই ফাঁদ বসানো হয়েছে।

২৪ মার্চ কমিউনিটি সেন্টারের ওই ফাঁদে মশা দেখতে যান মশক নিয়ন্ত্রণকর্মীরা। লাইট ট্র্যাপে শত শত মশা মরে আছে। আর এইডিস স্মার্ট ট্র্যাপে দুটি পূর্ণ বয়স্ক মশা পাওয়া গেছে। তবে গ্র্যাভিড ট্র্যাপে কোনো লার্ভা পাওয়া যায়নি। ফাঁদে কতগুলো মশা পাওয়া গেছে সে বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি তারা। তবে তারা জানান, সংখ্যাটি অনেক।

পরিস্থিতি কেমন

সোমবার লালকুঠি এলাকার প্রথম কলোনির ১৫টি বাড়ি পরিদর্শন করে পাঁচটি বাড়িতে ছয়টি পাত্রে মশার লার্ভা পান ডিএনসিসির কর্মীরা। হিসাব করে দেখা গেছে, এতে ওই এলাকার ব্রুটো ইনডেক্স ৪০ ও হাউজ ইনডেক্স ৩৩ দাঁড়ায়।

কোনো এলাকার ব্রুটো ইনডেক্স ২০ ও হাউজ ইনডেক্স ১০ এর বেশি হলে সেখানে মশার ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি আছে বলে ধরে নেন কীটতত্ত্ববিদরা।

কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর আহমেদ বলেন, এটা খুবই হাইলি উপস্থিতি। সামনে বর্ষায় মশা আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা আছে। গত বছর চিকুনগুনিয়ায় অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। এবারও ডেঙ্গুর পাশাপাশি চিকুনগুনিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, ডিএনসিসির সঙ্গে চুক্তির থাকায় তারা জরিপের কোনো তথ্য দিতে পারবেন না। তথ্যের জন্য ডিএনসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

তবে কবিরুল বাশার বলেন, এখন বৃষ্টি নাই, এখন যদি ব্রুটো ইনডেক্স ৪০ হয় বৃষ্টির সময় সেটা ৮০ হয়ে যাবে। মানে মশার উপস্থিতি থাকবে আশঙ্কাজনক।

এ কারণে বছরের শুরুতে বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগেই যদি আমরা এইডিস মশার প্রজননস্থল নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। তাহলে বর্ষা মৌসুমে মশার উপদ্রব কম হবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী দাবি করেন, গত দেড় মাস ধরে এইডিস এবং কিউলেক্স- দুই ধরনের মশার উপস্থিতিই কমেছে। এ কারণে ঢাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও কমেছে।

কিছু কিছু পকেট এলাকায় বিশেষ করে উত্তরার কিছু এলাকায় কিউলেক্স মশা কিছুটা পাওয়া যাচ্ছে। মশা নিয়ন্ত্রণে আমরা উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছি। নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তারপরও মানুষের অসচেতনতায় কিছু এলাকায় মশা জন্মাচ্ছে। অনেক বাড়িতে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের কর্মীদের ঢুকতেই দেওয়া হয় না, সেখানে ওষুধ দিবে কীভাবে?

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, শনিবার পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি হওয়া রোগীসহ চার মাসে সারাদেশে হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯০২। তাদের মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

২০২৪ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন। মৃত্যু হয়েছিল ৫৭৫ জনের।

যন্ত্রণা দিচ্ছে কিউলেক্স মশা

ঢাকায় শীতের পর থেকে শুরু হয়েছে কিউলেক্স মশার উপদ্রব। বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে তারা অভিযোগ করেছেন, এই মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ তারা।

ডোবা-নালা পরিষ্কার না করা এবং মশার ওষুধ না ছিটানোর কারণে কিউলেক্স মশার উপদ্রব বেড়েছে বলে অভিযোগ নগরবাসীর।

ঢাকার ভাসানটেক সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ভাসানটেক বস্তির মাঝখানের ঝিলটি কচুরিপানায় ভর্তি। এই জলাধার পরিষ্কার করা হয় না। তাই বদ্ধ পানিতে কিউলেক্স মশার বংশ বিস্তার হচ্ছে।

ভাসানটেক বস্তির বাসিন্দা আহমেদ আলী বলেন, বিকাল থাইকা মশার অত্যাচার শুরু হয়। কোনো জায়গায় দাঁড়ানোর উপায় থাকে না। সারাক্ষণ কানের কাছে ভনভন করে।

মিরপুর ১৪ নম্বর এলাকার গৃহিনী জেমমিন আক্তার বলেন, বিকেলেই বাসায় মশার কয়েল জ্বালিয়ে দিই। রাতে ঘুমানোর আগে কয়েল নিভিয়ে মশার টানিয়ে নিই। কিন্তু তারপরও মশার হাত থেকে বাঁচার উপায় থাকে না। কোনো কারণে বাইরে বের হলেই ভেতরে মশা ঢুকে যায়। বাচ্চাটাকে কামড়ায় বেশি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মশার উপস্থিতি নিয়ে কোনো জরিপ করছে না। এ কারণে ওই এলাকায় বর্তমানে মশার পরিস্থিতি কী তা বোঝার উপায় নেই।

তবে গত বছরের নভেম্বর মাসে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় জরিপের ফলে দক্ষিণ সিটিতে মশার উপস্থিতি বেশি পাওয়া গেছে।

সে জরিপ অনুযায়ী, তখন দুই সিটি করপোরেশনের ৯৯টি ওয়ার্ডের ৫৬টি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ওয়ার্ড ছিল ৩৫টি; বাকি ২১টি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি)।

আসছে বর্ষায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী প্রস্তুতি জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নিশাত পারভীন বলেন, কিউলেক্স মশার উপদ্রব কমে এসেছে। আর সামনে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে। আমরা সে অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করেছি। মশার ওষুধ ছিটানো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি আমরা মানুষকে সচেতন করব।


আরও খবর



মিয়ানমারে ফের ভূমিকম্প, নিহত ছাড়াল ৩০০০

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মিয়ানমারের ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৩০০০ ছাড়িয়েছে। শুক্রবারের (২৮ মার্চ) পর থেকে একের পর এক কম্পন অনুভূত হয়েছে দেশটিতে। বুধবার (২ এপ্রিল) রাতেও ৪.৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছে।

শুক্রবারের জোরালো ভূমিকম্পের পর থেকে এখনও মাঝে মধ্যে কম্পন (আফটারশক) হয়ে চলছে মিয়ানমারে। বুধবার রাতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে মিয়ানমারে।

ভারতের ভূবিজ্ঞান সর্বেক্ষণ সংস্থা (ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি) অনুসারে, কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৮। ভূপৃষ্ঠ থেকে ২৫ কিলোমিটার গভীরে কম্পনটি অনুভূত হয়েছে। বুধবার বিকেলে ৪.৩ মাত্রার আরো একটি কম্পন অনুভূত হয়েছে মিয়ানমারে।

ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মিয়ানমারে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুক্রবার থেকে ৩০০০-এরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি চলছে। তার মধ্যে এই ভূমিকম্পে পরিস্থিতি আরো উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।

দেশটির জান্তা-বিরোধী পিপল্‌স ডিফেন্স ফোর্স আগেই ভূমিকম্প পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছিল। বুধবার মায়ানমারের জুন্টা সেনাও সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে।

গত শুক্রবার সকালে প্রথমে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মায়ানমারের মাটি। তার পর থেকে পর পর ১৫ বার ভূকম্প-পরবর্তী কম্পন হয়েছে সে দেশে। ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ভেঙে পড়েছে বহু ভবন, রাস্তা, সেতু। আহত হয়েছেন প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষ। খোঁজ মিলছে না ৪ শতাধিক মানুষের।

এরই মধ্যে বুধবার মিয়ানমারের এক হোটেলের ধ্বংসাবশেষ থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে এক যুবককে।

শুক্রবারের ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ থাইল্যান্ডেও। দেশটির রাজধানী ব্যাংককে একটি নির্মীণাধীন ৩০তলা ভবন ভেঙে পড়ে। সেখানে বহু মানুষের মৃত্যুর কথা জানা গেছে।

উদ্ধারকারীদের ধারণা, এখনো অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন। তাদের খুঁজে বের করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল।


আরও খবর

মার্কিন হামলায় ইয়েমেনে নিহত ১২

সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫




ডিম মুরগির ন্যায্য দাম না পাওয়ায়, বিপিএর উদ্বেগ প্রকাশ

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে জানাচ্ছে যে, দেশের প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারিরা অবহেলিত হচ্ছেন এবং বর্তমানে কর্পোরেট কোম্পানি ও সিন্ডিকেটের চক্রের কারণে তারা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দেশের কৃষির গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ পোল্ট্রি খাত, যেখানে লাখো প্রান্তিক খামারি তাদের কঠোর পরিশ্রম, বিনিয়োগ এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন করছেন, কিন্তু তাদের অমূল্য পরিশ্রমের সঠিক মূল্য পাচ্ছেন না।

পোল্ট্রি খামারিরা এখন নানা সমস্যার মুখোমুখি। প্রথমত, অত্যধিক খরচ এবং কম দামে বিক্রি হচ্ছে তাদের পণ্য। অধিকাংশ খামারি তাদের উৎপাদিত মুরগি, ডিম, খাদ্য এবং অন্যান্য পণ্য সঠিক মূল্যে বিক্রি করতে পারছেন না। এদিকে, কর্পোরেট কোম্পানি ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজারের মূল্যের ওপর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ তৈরি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে খামারিদের সঠিক দাম না পাওয়ার কারণে তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছেন না।

দ্বিতীয়ত, খামারিদের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার অধিকার প্রতি পদে পদে লঙ্ঘিত হচ্ছে। কর্পোরেট সিন্ডিকেট এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের মধ্যে লেনদেনের ফলে খামারি তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত লোকসানের শিকার হচ্ছেন। তাছাড়া, প্রান্তিক খামারিরা খুবই সীমিত সম্পদ নিয়ে কাজ করেন এবং তারা তাদের পণ্যের যথাযথ মূল্য পেলে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।

এছাড়া, খামারিদের কাছে যথাযথ তথ্যের অভাব, প্রযুক্তির অভাব, বাজার বিশ্লেষণ এবং দিকনির্দেশনার অভাব তাদের আরও বেশি অসহায় করে তুলেছে। প্রান্তিক খামারিরা জানেন না কখন এবং কীভাবে তাদের পণ্য বাজারে বিক্রি করা উচিত, এবং এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য এবং সহায়তা পেতে তারা উপেক্ষিত হচ্ছেন।

এসব পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে এবং পোল্ট্রি খাতের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে একটি সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং ন্যায্য বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজন। বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছে, খামারিদের জন্য একটি টেকসই নীতি বাস্তবায়ন করা হোক, যেখানে সিন্ডিকেটের অবৈধ প্রভাবকে প্রতিহত করা হবে এবং তারা সঠিক মূল্য পাবে।

এছাড়া, প্রযুক্তির উন্নয়ন, ডিজিটাল মার্কেটপ্লেস, বাজার বিশ্লেষণ এবং নির্দেশনা প্রদান—এই সব কিছুই খামারিদের সহায়তায় প্রয়োগ করা জরুরি। সরকারের পাশাপাশি, আমাদের সকল ব্যবসায়ী, প্রতিষ্ঠান এবং সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই খাতের উন্নয়ন সম্ভব।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) সশব্দ প্রতিবাদ জানাচ্ছে। খামারিরা যদি তাদের ন্যায্য মূল্য পায়, তবে তারা শুধু তাদের পরিবারের জন্য না, বরং পুরো দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবদান রাখতে সক্ষম হবে। আমরা বিশ্বাস করি, এ ধরনের সমস্যাগুলি সমাধান করতে আমরা সবাই একসাথে কাজ করতে পারলে পোল্ট্রি খামারিরা তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে এবং পোল্ট্রি খাত একটি সুষ্ঠু এবং শক্তিশালী খাত হিসেবে গড়ে উঠবে।


আরও খবর



গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে সড়ক অবরোধ-বিক্ষোভ

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :

গাজায় চলমান গণহত্যা ও মানবিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে লক্ষ্মীপুরে উত্তাল হয়ে উঠেছে জনসাধারণ। সোমবার সকালে লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের উত্তর তেমুহানী এলাকায় সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। “নো ওয়ার্ক, নো স্কুল” কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত এই মানবিক প্রতিবাদে হাজারো কণ্ঠে ধ্বনিত হয় “গাজার মানুষ একা নয়”, “ইসরায়েলি বর্বরতার বিচার চাই”, “মজলুমের পক্ষে বিশ্ব মুসলিমকে এক হতে হবে”।  সড়ক অবরোধের ফলে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। উত্তর তেমুহানীতে একের পর এক খণ্ড খণ্ড মিছিল এসে একত্রিত হয়ে রূপ নেয় বিশাল মানবজটে। এই সময় বিক্ষোভকারীরা গাজায় ইসরায়েলি হামলার ছবি ও ব্যানার নিয়ে সংহতি জানান নিহত শিশু, নারী ও অসহায় জনগণের প্রতি।

লক্ষ্মীপুর সদর ছাড়াও রায়পুর, চন্দ্রগঞ্জ, মান্দারী, রামগঞ্জ, রামগতি ও কমলনগরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায়ও একই দাবিতে মানববন্ধন, দোয়া মাহফিল ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। এসব কর্মসূচিতে অংশ নেয় বিএনপি, জামায়াত ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হেফাজতে ইসলাম, তৌহিদী ছাত্র-জনতা ও সাধারণ ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের জনগণ।

বক্তারা বলেন,“ইসরায়েল কুলাঙ্গারদের হাতে আমাদের ভাই-বোনদের রক্তে ভেসে যাচ্ছে গাজার মাটি। আজ চুপ করে থাকা অপরাধ। মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই বর্বরতার জবাব দিতে হবে। মানবতা আজ রক্তাক্ত।”

এই মানবিক আন্দোলনের মাধ্যমে লক্ষ্মীপুরবাসী গাজাবাসীর পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছে। তারা চায়, বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হোক, গাজার শিশুর কান্না যেন আর কোনো হৃদয়কে অচেতন না রাখে।


আরও খবর



এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হওয়া উচিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিশ্চিত করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের ওপর যুক্তিযুক্ত পর্যায়ে শুল্ক বজায় রাখার আহবান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, শুল্ক সহনীয় পর্যায়ে না রাখলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ব্যাহত হবে।

সফররত মার্কিন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল চুলিকের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

সফররত কর্মকর্তারা ঢাকায় মার্কিন ডেপুটি হেড অব মিশনের গুলশান বাসভবনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠন করেন। এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদও উপস্থিত ছিলেন।

আমীর খসরু বলেন, ‘আলোচনার সময় অর্থনৈতিক দিক এবং শুল্কের বিষয়টি উঠে এসেছে। আমরা শুল্ক বিষয়ে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা মার্কিন নেতাকে বলেছি, শুল্কের বিষয়টি সব অংশীদারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।শুল্ক সহনীয় পর্যায়ে না রাখলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ব্যাহত হবে।

বিএনপি নেতা বলেন, আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক কিছুটা টানাপড়েনের সম্মুখীন হবে। আমরা এ বিষয়ে যা করতে যাচ্ছি তা বলেছি। আমরা এটি নিয়ে আরো কাজ করছি।

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তাঁদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। কারণ মার্কিন পক্ষ নির্বাচন কখন অনুষ্ঠিত হবে এবং এ বিষয়ে বিএনপির আবস্থান কী তা জানতে আগ্রহী।

বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা বৈঠকে জানিয়েছি, এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত। আমরা সংস্কারের রূপরেখা তৈরি করতে পারি, যার ওপর এক মাসের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে।’ তিনি বলেন, যদি ঐকমত্য অর্জন করা হয় তবে জুলাইয়ের সনদে সব দল স্বাক্ষর করা সময়ের ব্যাপার মাত্র।

বিএনপি নেতা বলেন, তাঁরা মার্কিন কর্মকর্তাকে বলেছেন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার না হওয়ার কারণে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অসুবিধা হচ্ছে। জনসমর্থনের মাধ্যমে পরিচালিত একটি নির্বাচিত সরকারের পক্ষে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ।


আরও খবর