Logo
শিরোনাম

ঝালকাঠির সড়কে দানব হয়ে উঠেছে অবৈধ ডাইসু, নীরব প্রশাসন

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার বিভিন্ন সড়কে অনুমোদনহীন যানবাহনের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে  তিন চাকার ডিজেলচালিত ডাইসু চলাচলের ফলে সড়কগুলো হয়ে উঠেছে ঝুঁকিপূর্ণ। এসব যানবাহনের চালকদের বেশিরভাগেরই নেই বৈধ লাইসেন্স বা কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ, ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। একদিকে চালকরা নিজেরাই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন, অন্যদিকে পথচারীদের জন্যও তৈরি হচ্ছে মৃত্যুঝুঁকি।

নলছিটির বিভিন্ন সড়কে চলাচল করা তিন চাকার এই ডাইসুগুলো মূলত ইট, বালু ও কাঠ পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হয়। তবে অদক্ষ চালকদের নিয়ন্ত্রণে থাকার কারণে এগুলো ভয়ংকর হয়ে উঠছে। গত কয়েক বছরে উপজেলার সড়কগুলোতে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার বেশিরভাগই ডাইসুর কারণে ঘটেছে।

২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ডাইসু দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান মো. নয়ন হোসেন নামে এক হেলপার।

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে নলছিটির সূর্যপাশা গ্রামের বাসিন্দা রুবেল হাওলাদার ডাইসু উল্টে চাপা পড়ে মারা যান। 

এছাড়া ২০২২ সালে শুকতারা ব্রিকস এলাকায় ইটবোঝাই ডাইসুর নিচে চাপা পড়ে ভাবনা নামে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিহত হয়। স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপে ঘটনাটি ধামাচাপা পড়ে এবং ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে মীমাংসা করা হয়।

সুবিদপুর ও কুশঙ্গল ইউনিয়নের ইটভাটাগুলোতে প্রতিদিন ৪০-৫০টি ডাইসু চলাচল করে। বিশেষ করে পূর্ব গোদন্ডা সড়কে এসব যানবাহনের আধিপত্য বেশি। ভারী যানবাহনের চাপে সড়কের অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে, বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।

এছাড়া শব্দ ও বায়ুদূষণের কারণেও ভোগান্তিতে পড়ছেন স্থানীয়রা। ফজরের নামাজের পর থেকেই এসব যানবাহনের শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন পূর্ব গোদন্ডার বাসিন্দারা। রাস্তায় উড়তে থাকা ইটের গুঁড়া ও ধুলাবালিতে শ্বাসকষ্টসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

এছাড়াও উপজেলার পৌর এলাকা,দপদপিয়া,  মগড়, কুলকাঠি সহ একাদিক এলাকায় অবৈধ যানবাহনের বেপরোয়া গতিতে মাঝে মধ্যে ঘটছে দুর্ঘটনা।  কখনো কখনো রাস্তার পাশে খাদে উল্টে পরে থাকতে ও দেখা যায় এসব ঝুঁকিপূর্ন অবৈধ যানবাহন। 

স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে অনুমোদনহীন যানবাহন বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছেন। একাধিকবার জনপ্রতিনিধিদের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। প্রতিটি দুর্ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্থানীয় মহলে প্রতিবাদ হলেও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে।

অভিযোগ রয়েছে, এসব অবৈধ যানবাহনের মালিকদের মধ্যে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা রয়েছেন, ফলে তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করতে সাহস পান না সাধারণ মানুষ। মৌখিকভাবে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হলেও তেমন কোনো প্রতিকার মেলেনি। ইটভটা যেসব এলাকায় বেশি সে এলাকায় এসব অবৈধ যানবাহনের দাপট দেখা যায় ও বেশি। 

নলছিটির সাধারণ মানুষ দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তারা চান, প্রশাসন অবৈধ যানবাহন বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করুক এবং অদক্ষ চালকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিক। সামনে ঈদুল ফিতর তখন ডাইসু দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে সড়ক পরিনত হতে পারে মৃত্যুপুড়িতে।

স্থানীয় সচেতনমহল বলেন, এখনই কার্যকর উদ্যোগ না নিলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অনুমোদনহীন যানবাহন নিয়ন্ত্রণ, দক্ষ চালকদের প্রশিক্ষণ ও সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নিলে দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব। অন্যথায় নলছিটি উপজেলার সড়কে দুর্ঘটনা বাড়তে থাকবে বলে মনে করেন তারা।  আরও বলেন সময় এসেছে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার না হলে এই প্রাণঘাতী অব্যবস্থাপনা নলছিটিকে আরও গভীর সংকটে ফেলবে।

নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আঃ সালাম জানান, খুব শিগগিরই এসব অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধের শেষ দেখতে চায় চীন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনৈতিক পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা এখন পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যযুদ্ধে রূপ নিচ্ছে। সব দেশের ওপর পালটা শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করলেও চীনের পণ্যে স্থগিত না করে উল্টো শুল্ক ২১ শতাংশ বাড়িয়েছে। এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, চীনকে রুখতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এমন গোপনীয় অস্ত্র আছে, যার ভয়াবহতা সম্পর্কে কেউ কল্পনাও করতে পারবেনা।

যুক্তরাষ্ট্রে গত বছর চীন প্রায় ৪৩৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র ১৪৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য চীনে রপ্তানি করেছে। নতুন শুল্কের কারণে উভয় দেশের শিল্প ক্ষেত্রে তীব্র সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। মার্কিন শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো অতিরিক্ত খরচ, কর্মী ছাঁটাই এবং প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। 

বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, দুই দেশের শুল্ক যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ৮০ শতাংশ বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা। এতে বৈশ্বিক জিডিপি ৭ শতাংশ কমে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন, চীনকে মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী গোপন অস্ত্র আছে। তিনি বলেছেন, এসব অস্ত্রের ভয়াবহতা সম্পর্কে কেউ কখনো ধারণাও করতে পারবে না। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সামরিক ক্ষমতার পাশাপাশি আরও শক্তিশালী অস্ত্র আছে। 

বুধবার ওভাল অফিসে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, চীনের পরবর্তী পদক্ষেপ এবং সম্ভাব্য বাণিজ্য যুদ্ধ নিয়ে আপনি আতঙ্কিত কি-না। জবাবে ট্রাম্প বলেছেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বিশ্বের অন্যতম একজন স্মার্ট লোক। তিনি এমন কাজ করবেন না। ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র খুবই শক্তিশালী দেশ। এই দেশটির এত ক্ষমতা ও অস্ত্র আছে যে, বিশ্বের কেউ সেই সম্পর্কে ধারণাই করতে পারে না।

এদিকে চীন ও ইউরোপের কাছেও অস্ত্র আছে। সেটি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে সয়া বীজ। এই বীজ যে কোনো আকারে পুরো বীজ, পশুখাদ্য বা তেল হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি শিল্পের একটি মূল উপাদান। এটি আমেরিকার কৃষি আয়ের অন্যতম বড় উৎস এবং দেশের জিডিপির প্রায় ০.৬ শতাংশের সমান। মার্কিন কৃষি বিভাগ অনুযায়ী, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে সয়া বীজ উৎপাদনকারীর সংখ্যা ৫ লাখেরও বেশি এবং এই শিল্পের মাধ্যমে প্রায় ২ লাখ ২৩ হাজার পূর্ণকালীন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এই শিল্পের মূল্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১শ ২৪ বিলিয়ন ডলার, যা অনেক দেশের অর্থনীতির চেয়েও বেশি।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ধারাবাহিক শুল্ক আরোপের জবাবে চীন পাল্টা শুল্ক আরোপের মাধ্যমে কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। বেইজিং স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, তারা এই শুল্ক যুদ্ধের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে। চীন অভিযোগ করেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপ জোরপূর্বক ও অনৈতিক এবং তারা এই বিষয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছে। তীব্র বাকযুদ্ধের পাশাপাশি চীন এখন কৌশলগতভাবে অন্যান্য দেশের সঙ্গে জোট গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছে, যাতে আমেরিকার ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করে এই শুল্কনীতি প্রত্যাহার করা যায়। 

চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে তারা বাণিজ্য জোরদার করতে আলোচনায় বসেছে। তবে চীনের প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, তারা চীনের সঙ্গে একজোট হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ৯০ দিনের জন্য নতুন শুল্ক প্রয়োগ স্থগিত করার ঘোষণার পর পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। 

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উচ্চ আমদানি শুল্কের কার্যকরের বিষয়ে ৯০ দিনের জিন্য স্থগিত রাখার ঘোষণার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রেকে আলোচনার সুযোগ দিতে চায়।


আরও খবর

মার্কিন হামলায় ইয়েমেনে নিহত ১২

সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫




নওগাঁয় স্কুল ছাত্রী সানজিদাকে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় দাদা ও চাচা কর্তৃক শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী সানজিদাকে হত্যা করা হয়েছে এমন দাবি করে দাদা ও চাচার বিচার দাবিতে শুক্রবার ১৮ এপ্রিল নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহত স্কুল ছাত্রী সানজিদা'র স্বজনরা। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত স্কুল ছাত্রী সানজিদা (১৬) এর মামা ফজলুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সানজিদা'র মা খুশি বেগম, নানা মোসলেম প্রামানিক, চাচা সাইফুল ইসলাম মন্ডল ও মামা হামিদুল প্রামানিক।

লিখিত বক্তব্যে স্কুল ছাত্রী সানজিদার মামা ফজলুর রহমান বলেন, দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রী কিশোরী সানজিদা নওগাঁর আত্রাই উপজেলার আন্দার কোটা গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী শামসুল মন্ডলের মেয়ে ও উপজেলার ঘোষগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রী ছিলো। সানজিদার

বাবা দীর্ঘদিন ধরে সৌদী আরবে ও আরব আমিরাত (দুবাই) অবস্থান করছেন। শামসুল মন্ডলের স্ত্রী খুশি বেগম মেয়ে সানজিদাকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বাস করে আসছিলেন। শামসুল তার বসত-ভিটার উত্তর পাশে বাবা মোসলেম মন্ডলের কাছ থেকে জমি কিনে নিয়ে ৪ বছর আগে মাটির বাড়ি তৈরি করেন। সেই বাড়িতে স্কুল ছাত্রী সানজিদা ও তার মা বসবাস করাকালে সেই জায়গায় পাকা বাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নিলে এতে প্রবাসী শামসুলের বাবা মোসলেম ও ভাই সাজিম মন্ডল বাঁধা দেয় এবং বসতভিটার উত্তর পাশে পাকা বাড়ি না করে দক্ষিণ পাশে নীচু জায়গাঁয় বাড়ি নির্মাণ করার জন্য বলে আসছিল। এনিয়ে বিরোধ শুরু হয়। এরপর থেকে স্কুল ছাত্রী সানজিদা ও তার মায়ের সাথে তার দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিমের প্রায় পারিবারিক বিরোধ লেগে থাকতো। সেই জেরে দাদা মোসলেম মন্ডল ও চাচা সাজিম মন্ডল গত ৯ এপ্রিল হত্যার উদ্দেশ্যে সানজিদার শরীরে বিষ প্রয়োগ করেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১২ এপ্রিল রাতে সানজিদার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে স্কুল ছাত্রী সানজিদা বলে গেছে তার দাদা ও চাচা তার শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করেছে। এই বক্তব্যের ভিডিও ধারণ করা আছে। 

এ ঘটনায় রাজশাহী রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে সানজিদার দাদা মোসলেম মন্ডল ও চাচা সাজিম মন্ডল পলাতক রয়েছেন। এসময় আরে উল্লেখ করা হয়, গত ৯ এপ্রিল সানজিদা প্রাইভেট পড়ে সকাল ১১টারদিকে বাড়িতে আসে। এ সময় সাংসারিক কাজে সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়ির বাইরে ছিলেন। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সানজিদার দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিম সানজিদার ঘরের ভেতরে যায়। দাদা মোসলেম সানজিদার পাশে বসে এক পর্যায়ে তাকে জাপটে ধরে এবং চাচা সাজিম পকেট থেকে বিষের ইনজেকশন বের করে তার বাম হাতের শিরায় জোর করে ইনজেকশন প্রয়োগ করেন। সানজিদার মা খুশি বেগম বাড়িতে এসে মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় পেয়ে প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় মেয়ে সানজিদাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ঐ দিনই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১২ এপ্রিল রাতে তার মৃত্যু হয়। ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক স্কুল ছাত্রী সানজিদা হত্যায় জড়ীত তার দাদা মোসলেম ও চাচা সাজিমের বিচার দাবি করা হয়। অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে সাজিম মন্ডলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি। অপরদিকে এব্যাপারে জানতে চাইলে আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ

শাহাবুদ্দীন বলেন, ঐ ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে যেহতু রাজশাহী রাজপাড়া থানায় ইউডি মামলা হয়েছে এবং ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এজন্য ময়না তদন্ত প্রতিবেদন এর পরি-প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


আরও খবর



নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

দেশের সব জায়গায় ঈদের জামাতে যারা শরীক হয়েছেন ও নারী-প্রবাসী শ্রমিকসহ সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ নৈকট্য ও ভালোবাসার দিন। আমাদের মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে স্থায়ীভাবে সেই ঐক্য গড়ে তুলতে চাই।

জাতীয় ঈদগাহ ঈদুল ফিতরের নামাজের পর দেওয়া এক বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূস।তিনি আরও বলেন, আমাদের মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে,‌ সব প্রতিকূলতার সত্ত্বেও সেই ঐক্য অটুট রাখতে হবে।

সেই সঙ্গে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি ও বাধা সত্ত্বেও নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা করেন তিনি।

এ সময় জাতীয় ঈদগাহে প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

এর আগে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে দুই ঘণ্টা আগে থেকেই মুসল্লিরা রাজধানীর হাইকোর্টসংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করেছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পল্টন মোড়, মৎস্য ভবন এবং হাইকোর্টের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে মুসল্লিরা ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করেছেন। একইভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রান্তেও দীর্ঘ লাইন ছিল।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক ইমাম হিসেবে এ জামাতে দায়িত্ব পালন করেন, এবং ক্বারী হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রায় ৩ লাখ ২২ হাজার ৮০০ বর্গফুট আয়তনের এই মাঠে একসাথে ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।


আরও খবর



স্মার্ট কার্ড সেবা থেকে বঞ্চিত সাড়ে ৬ কোটি মানুষ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা দিতে দেশের নাগরিকদের স্মার্ট কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিতরণ কর্মসূচি শুরুর পর প্রায় সাড়ে আট বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো স্মার্টকার্ড পাননি সাড়ে ছয় কোটির মতো নাগরিক।

ইসির সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। এখন পর্যন্ত স্মার্ট কার্ড পেয়েছেন ৭ কোটি ১৯ লাখ ৩৪ হাজার নাগরিক। অর্থাৎ স্মার্ট কার্ড হাতে পায়নি এমন ভোটারের সংখ‌্যা ৬ কোটি ৬৬ লাখ ১ হাজার ১৫৩ জন, যার মধ্যে বিতরণের অপেক্ষায় আছে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৩ হাজার ২৭১টি।

২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে নির্বাচন কমিশন। সে হিসাবে আট বছর পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও সব নাগরিকের হাতে স্মার্ট কার্ড পৌঁছে দিতে পারেনি নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি।

স্মার্ট কার্ড বিতরণে ধীরগতির কারণ জানতে চাইলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এস এম হুমায়ুন কবীর ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমাদের এখন প্রায়োরিটি কাজগুলো হচ্ছে আমরা যে ভোটার নিবন্ধন করছি সেটি সংশোধনের যেসব আবেদন করা হচ্ছে, সেগুলো নিষ্পন্ন করা এবং ইসির প্রতিদিনের যেসব কাজ থাকে সেটা। এসব কাজের কারণে আমরা কিন্তু স্মার্ট কার্ড বিতরণ করতে পারছি না। নিবন্ধনের কাজ শেষ হয়ে গেলে তখন আমরা স্মার্ট কার্ড বিতরণে মনোযোগ দিতে পারব। এছাড়া সকলকে স্মার্ট কার্ড দেওয়ার লক্ষে আমরা নতুন স্মার্ট কার্ড কেনার প্রক্রিয়া চলমান রেখেছি।’

জানা গেছে, ভোটার তালিকার ভিত্তিতে নাগরিকদের উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ২০১১ সালে আইডিইএ (স্মার্টকার্ড) প্রকল্পটি হাতে নেয় কমিশন। তারপর দীর্ঘ চার বছর নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে স্মার্টকার্ড তৈরির দিকে এগোয় সংস্থাটি। এক্ষেত্রে ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান অবার্থার টেকনোলজিসের সঙ্গে ওই সময়ের ৯ কোটি ভোটারের জন্য নয় কোটি ব্ল্যাংক স্মার্টকার্ড তৈরি করে দিতে ২০১৫ সালের ১৪ জানুয়ারি চুক্তি করে ইসি। যার মেয়াদ ছিল ১৮ মাস। কিন্তু মেয়াদ বাড়ানোর পরেও ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত চুক্তিতে উল্লেখিত কার্ড সরবরাহ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। ফলে সে বছরের শেষের দিকে অবার্থারের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, অবার্থার ১ দশমিক ৫১ ডলার দরে ৭ কোটি ৭৩ লাখ কার্ড সরবরাহ করতে পেরেছিল। সেই মোতাবেক আগের ১ কোটি ২৭ লাখ নাগরিকের কার্ড ঘাটতি ছিল। এই কয়েক বছরে ভোটার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। সব মিলিয়ে আরও প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটির মতো ব্ল্যাংক কার্ড তৈরি এবং তাতে নাগরিকের তথ্য সংযুক্ত করে বিতরণে যেতে হবে। এজন্য ইতিমধ্যে আইডিইএ দ্বিতীয় প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আর ১ হাজার ৮০৫ কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে তিন কোটি কার্ড দেওয়ার কথা থাকলেও ডলারের দাম বাড়ায় ২ কোটি ৩৬ লাখ ৩৩ হাজার ৭২০টি কার্ড দেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি-বিএমটিএফ। অবশিষ্ট কার্ডগুলো প্রকল্পের মেয়াদ শেষে রাজস্ব খাত হতে ক্রয়ের ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। তবে নতুন প্রকল্প থেকে কার্ড তৈরি ও বিতরণেও তেমন অগ্রগতি নেই। ১১৪ উপজেলার ভোটারের স্মার্টকার্ড ছাপানোই হয়নি বলে জানিয়েছেন অনেক কর্মকর্তা।

ইসির স্মার্ট কার্ড বিতরণের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এ পর্যন্ত মোট স্মার্ট কার্ড প্রিন্ট হয়েছে ৮ কোটি ৬৭ লাখ ৩৭ হাজার ৬৬৩টি। বিতর‌ণ করা হয়েছে ৭ কোটি ১৯ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯২টি। আর বিতরণের অপেক্ষায় আছে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৩ হাজার ২৭১ টি।

নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, এনআইডির (স্মার্ট কার্ড) যে ব্লাংক কার্ড, এটা একটা ক্রাইসিস তৈরি হয়েছে বেশ কিছু দিন ধরে। তিন কোটি কার্ড কেনার জন্য সেনাবাহিনীর সঙ্গে চুক্তি হয়। কিন্তু ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে সেনাবাহিনী আমাদের দিতে পারছে না মর্মে চিঠি দেয়। পরে এটা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। এতে সিদ্ধান্ত হয়, তারা ১৭২ টাকা করে আমাদের কার্ড দেবে। কিন্তু সে সময় সেনাবাহিনী রাজি ছিল না। পরে এটা নিয়ে একটা ওপেন টেন্ডারে যাওয়ার পরিকল্পনা হয়েছিল। এরপর সেনাবাহিনী ১৭২ টাকা করে দিতে রাজি হয়। সে অনুযায়ী কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৪০৬ কোটি টাকায় যতগুলো কার্ড হয় সেগুলো তাদের কাছ থেকে নেওয়ার।


আরও খবর



মার্চে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১১.৪৪ শতাংশ

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

চলতি অর্থবছরের মার্চ মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ আয় করেছে ৪.২৫ বিলিয়ন বা ৪২৫ কোটি ডলার, যা আগের বছরের মার্চের চেয়ে ১১.৪৪ শতাংশ বেশি। ২০২৪ সালের মার্চে পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ৩.৮১ বিলিয়ন বা ৩৮১ কোটি ডলার।৭ এপ্রিল রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) বাংলাদেশ রপ্তানি খাতে প্রশংসনীয় উন্নতি করেছে। মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৭.১৯ বিলিয়ন ডলার, যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের একই সময়ের ৩৩.৬১ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ১০.৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি।

বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের প্রধান ভিত্তি হিসেবে পরিচিত তৈরি পোশাক খাত (আরএমজি) পূর্বের মতোই শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত তৈরি পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০.৮৪ শতাংশ বেশি।

শুধু মার্চ মাসেই এই খাতে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৩.৪৫ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের মার্চে ছিল ৩.০৭ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাবে ১২.৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।


আরও খবর