Logo
শিরোনাম

ঝালকাঠিতে পরিবেশ বিধিমালা লঙ্ঘন অপরাধে বন্ধ করা হয় অবৈধ ইটভাটা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

বাংলাদেশে পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া ইটভাটা চালু করা অবৈধ এবং পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ। হাইকোর্টের ১৮ মার্চ ২০২৫ তারিখের রায়ে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকলে ইটভাটা অবৈধ বলে গণ্য হবে এবং তা উচ্ছেদ করতে হবে। 

এই আদেশের পর থেকে অবৈধ ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করছেন পরিবেশ অধিদপ্তর। এরই ধারাবাহিকতায় সদর উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাউকাঠি গ্রামে ফারুক সরদারের মেসার্স ষ্টার ব্রিকস নামের ইটের ভাটায় অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা ইয়াসমিন। ভ্রাম্যমান আদালতে প্রসিকিউশন প্রদান করেন পরিবেশ অধিদপ্তর ঝালকাঠি জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মো.আমিনুল হক। 

গনমাধমে এতথ্য জানিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর, ঝালকাঠি জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আনজুমান নেছা বলেন, 'ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত-২০১৯) এর ৫ ধারা লংঘন করার অপরাধে প্রতিষ্ঠান মালিককে একলক্ষ টাকা নগদ জরিমানা করা হয়। একই সাথে ফায়ার সার্ভিসের মেশিনের মাধ্যমে পানি দিয়ে চুল্লীর আগুন নিভিয়ে ও কাঁচা ইট ধ্বংস করে ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।


আরও খবর



দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাইলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো দুর্নীতি। এটা একেবারে রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে। এটা যদি কোনও অবস্থায় কনট্রোলে (নিয়ন্ত্রণে) আনতে পারতাম। এজন্য আমি সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই। আপনারা লোকজনকে সচেতন করুন। আপনারা যদি সত্য কথা লেখেন, তাহলে অনেক কিছু ঠিক হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপির) গাছা থানা পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পুলিশ বাহিনীর সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এজন্য একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আগে বলা হতো, জিডি এবং মামলা পুলিশ নিতে চায় না। এজন্য আমরা ইতোমধ্যে মামলা গ্রহণ প্রক্রিয়া অনলাইনে করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এখন জিডি ঘরে বসেই করা যায়। ফলে মামলা করার জন্য এখন আর মানুষকে থানায় যেতে হবে না, হয়রানি পোহাতে হবে না। “মামলা বাণিজ্য” বন্ধ করার জন্য অনলাইন ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘মামলা বাণিজ্যে, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। মিথ্যা সংবাদ হলে দুর্নীতি যারা করে তারা সুবিধা পায়, পার্শ্ববর্তী দেশও সুবিধা পায়। পুলিশের কেউ মামলা বাণিজ্যে এবং দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হয় ছাড় দেওয়া হবে না। বিভিন্ন পদমর্যাদার ৮৪ জনকে আমরা এটাচ করে রেখেছি। ইতোমধ্যে আমি ৩০-৪০ জনকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। যদি আরও ৩০-৪০ জনকে বাড়ি পাঠাতে হয়, একটুও কুণ্ঠিত হবো না। যদি তারা কোনও রকম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হয়।

৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা বিভিন্ন মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করা যায় কিনা? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন আগে ১০-১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অসংখ্য অজ্ঞাত আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করতো। এবার হয়েছে কী? আপনারাই ১০-১৫ জনের নাম দিয়েছেন, ২০০-২৫০ বেনামি লোক আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এজন্য মামলার তদন্ত দেরি হচ্ছে। এসব মামলায় যেমন দোষী লোকজন আছে, মোটামুটি নির্দোষ অনেক মানুষও রয়েছে বা থাকতে পারে। এজন্য আমরা দেখবো। যারা দোষী তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসবো। যারা নির্দোষ সে যাতে কোনোমতে সাজা না পায় সে ব্যবস্থা করা হবে।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে অচল নগর ভবন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ জুন ২০২৫ |

Image

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে এবার নগর ভবনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন তার সমর্থকরা।

২০ মে সকাল ১০টা থেকে নগর ভবনে অবস্থান নিয়েছেন তারা। নগর ভবনের প্রধান ফটকের সামনে একটি অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে জাতীয় সংগীত, দেশাত্মবোধক গান বাজানো হচ্ছে।

গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া অবস্থান কর্মসূচির কারণে নগর ভবন কার্যত অচল। সেখানে কোনো ধরনের দাপ্তরিক কাজ হচ্ছে না। দুর্ভোগে পড়েছেন সেবা নিতে আসা লোকজন। স্থানীয় সরকার বিভাগের অফিস নগর ভবনে থাকায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া কার্যালয়ে আসতে পারছেন না।

আজ সকাল ১০টা থেকে নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেন ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা। ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নগর ভবনের সামনে আসেন তারা। এ সময় তারা নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিতে থাকেন তারা।

সড়কে অবস্থানের কারণে বঙ্গবাজার থেকে গুলিস্তান গোলাপশাহ মাজার পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।


আরও খবর



ভেনিসে প্রবাস জীবন ও পরকালীন উন্নতি শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ০২ জুন 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

পলাশ রহমান :

ইতালির ঐতিহ্যবাহী শহর ভেনিসে অনুষ্ঠিত হয়েছে “মর্যাদাপূর্ণ প্রবাস জীবন ও পরকালীন উন্নতি” শীর্ষক একটি ব্যতিক্রমধর্মী সেমিনার। শনিবার মাদরাসাতুল ইত্তিহাদ মিলনায়তনে শতাধিক বাংলাদেশি প্রবাসীর অংশগ্রহণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দেশপ্রেম, সামাজিক দায়িত্ববোধ ও নৈতিক জীবনযাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ও সমাজ বিশ্লেষক ইমতিয়াজ আহমদ সজল। তিনি বলেন, “একজন প্রবাসী শুধু তার মাতৃভূমির জন্য কাজ করেন না, বরং যে দেশে থাকেন, তার প্রতিও রয়েছে দায়বদ্ধতা। প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতির জন্য যেমন অক্সিজেন, একই ভাবে তারা রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকটেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন।”


তিনি জুলাই অভ্যুত্থান ইস্যুতে ইতালি প্রবাসীদের সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, “বিভিন্ন দেশে সমাবেশ, বিক্ষোভ ও আন্তর্জাতিক জনমত গঠনে প্রবাসীরা বিশাল ভূমিকা রেখেছেন। এখন সময় এসেছে কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের চিন্তা বাস্তবায়ন করার। প্রবাসীদের চিন্তা ও অভিজ্ঞতা কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে বড় শক্তি হতে পারে।”


সেমিনারের সভাপতি মাওলানা আরিফ মাহমুদ বলেন, “শুধু অর্থ উপার্জনের জন্য প্রবাসে অবস্থান করা সঠিক নয়। একজন মুসলিম হিসেবে পরকালীন মুক্তির চিন্তা করতে হবে। নিজের জীবনকে পরিশুদ্ধ রাখতে হবে। ইসলামে 'হারাম' কাজ থেকে দুরে থাকতে হবে। মদ, জুয়া, সুদ ইত্যাদি থেকে বিরত থাকতে হবে।”


তিনি বলেন, “সুদভিত্তিক অর্থব্যবস্থা মানুষকে প্রতারণামূলক সহজ লোনের মাধ্যমে ফাঁদে ফেলে। এতে মানুষ আত্মিকভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের বিভিন্ন জটিল রোগের মধ্যে অন্তত ৫ শতাংশের পেছনে মদ দায়ী। এটি আত্মমর্যাদা নষ্ট করে, সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, সড়ক দুর্ঘটনার হার ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয় এবং পরিবার ভেঙে দেয়।”


তিনি আরো বলেন, “একটি পাখি তার বাচ্চার মুখে ভালো খাবার তুলে দিতে দূর দূরান্তে উড়ে যায়, অথচ অনেক বাবা-মা হালাল-হারামের তোয়াক্কা না করে বাজার থেকে যা-তা কিনে সন্তানের মুখে তুলে দেন। এটি একজন মুসলিম অভিভাবকের জন্য খুবই দায়িত্বহীন আচরণ। পরকালীন ধ্বংশের পথ”


সেমিনারে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ে আলোচনা করেন ডাক্তার সাজ্জাদ তিশাদ। তিনি বলেন, “ইতালিতে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আইন থাকলেও অনেক সময় তা মানা হয় না। শ্রমিকরা প্রয়োজনীয় সেফটি সরঞ্জাম ব্যবহার না করে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন, আবার মালিক পক্ষেরও রয়েছে অবহেলা। কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনার শিকার হলেও অনেকে যথাযথভাবে হাসপাতালে যান না বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করেন না। ফলে পরবর্তীতে তাদের জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।”


তরুণ গবেষক আবদুল্লাহ সম্রাট বলেন, “ইতালিয় শিক্ষা ব্যবস্থায় কয়েকটি ধাপ রয়েছে, যা জানা প্রতিটি অভিবাসী অভিভাবকের জন্য জরুরি। সন্তানের স্কুলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা, শিক্ষকের পরামর্শ নেওয়া এবং নৈতিক শিক্ষার প্রতি মনোযোগী হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। কারণ, এই সময়ের শিক্ষা ব্যবস্থা নৈতিকতার চেয়ে টেকনিক্যাল দক্ষতায় বেশি গুরুত্ব দেয়। সুতরাং পরিবার থেকেই সন্তানকে নৈতিক শিক্ষায় গড়ে তুলতে হবে।”


তিনি বলেন, “আজকের অনেক বাবা-মা সন্তানদের নৈতিক ভবিষ্যৎ গড়ার বিষয়ে উদাসীন, যা তাদের অন্ধকারে ঠেলে দেয়। একজন অভিভাবকের উচিত সন্তানের চরিত্র গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখা।”


ইতালির নাগরিক সেবা ও কমার্শিয়াল অ্যাসিস্টেন্ট কামরুল হাসান বলেন, “পৃথিবীর সব সম্পর্কেই দেওয়া-নেওয়ার বিষয় রয়েছে। অভিবাসীরা শ্রম দেন, ট্যাক্স দেন, বিনিময়ে রাষ্ট্র তাদের সুরক্ষা ও সুযোগ দেয়। এজন্য রাষ্ট্র ও অভিবাসীদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়া থাকা জরুরি।”


তিনি বলেন, “যদি কেউ ব্যবসায়ী হতে চান, তাহলে সাধারণ ব্যবসায়ী নয়, বরং এক্সপার্টদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হবে। আইন-কানুন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। 


কামরুল বলেন, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, মুসলিম অভিবাসীরা কোথাও সমাজ বা রাষ্ট্রের জন্য বোঝা হয়নি। বরং স্পেনে মুসলিম আগমনের পরই ইউরোপ জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত হয়।”


তিনি আরো বলেন, “প্রত্যেক মুসলিম প্রবাসীর উচিত নিজেকে সব সময় আপডেট রাখা, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দক্ষতা অর্জন করা এবং নৈতিকতা থেকে বিচ্যুত না হওয়া।”


অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান, প্রবাসীদের জীবন মান, নৈতিকতা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে নিয়মিত এমন অনুষ্ঠান আয়োজন অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



নওগাঁয় এবার ৬ কোটি টাকা মূল্যের চামড়ার বাণিজ্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

এবার নওগাঁয় সরকারের বেঁধে দেওয়া দামেই চামড়া ক্রয়-বিক্রয় করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই চামড়া সংরক্ষণ করছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা। এবার নওগাঁয় প্রকার ভেদে গরুর চামড়া ৩ থেকে ৭শত টাকা দরে বিক্রি হলেও ছাগলের চামড়া কিনে লোকসান গুনছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে সঠিক নিয়মে চামড়া সংরক্ষন করার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৭৪ টন লবণ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। তাই এবার নওগাঁয় চামড়া নষ্ট হয়নি এবং ৫ থেকে ৬ কোটি টাকা মূল্যের বাণিজ্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। সূত্রে জানা এবার কোরবানীর ইদে নওগাঁয় ৩লাখ ৭৮ হাজার গবাদিপশু জবাই করা হয়েছে যার মধ্যে সিংহভাগই হচ্ছে গরু। তবে এবার গরুর ল্যাম্পিস্কিন রোগে আক্রান্ত চামড়াগুলোর দাম একেবারেই নেই। এছাড়া গরুর চামড়ার দাম মিললেও প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও ছাগলের চামড়ার দাম নেই। ব্যবসায়ীরা বলছেন শ্রমিক সংকট ও লবণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ছোট ছোট চামড়া সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়। অপরদিকে কোম্পানিগুলোও ছোট ছোট চামড়াগুলো নিতে অনিহা প্রকাশ করে যার কারণে ছাগলের চামড়ার চাহিদা একেবারে না থাকার কারণেই এমন অবস্থার সৃষ্টি। এবার নওগাঁয় ছাগলের চামড়া প্রকার ভেদে ১০ থেকে ২শত টাকা মূল্য পর্যন্ত ক্রয় করা হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।অপরদিকে এবার সরকারের নির্ধারণ করা মূল্য অনুসারে সকল চামড়া ক্রয় করার ঘোষণা হওয়ায় লাভের আশায় গ্রামগঞ্জ থেকে একটু বেশি দামে চামড়া কিনে লোকসান গুনছেন মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা। এদিকে একটি চামড়াও যেন নষ্ট না হয় সেই লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো সরকারের পক্ষ থেকে নওগাঁর ১১টি উপজেলার বড় বড় বিভিন্ন মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিগুলোতে ৭৪ টন লবণ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়েছে যাতে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রাপ্ত চামড়াগুলো পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সহজেই সংরক্ষণ করা যায়। তবে দীর্ঘদিন যাবত ধরে চামড়া নেওয়ার পর কোম্পানিরা ব্যবসায়ীদের পাওনা টাকা সঠিক ভাবে পরিশোধ করে না। তাই শুধু ইদুল আজাহাতেই নয় সারা বছরই একটি কমিটির মাধ্যমে চামড়া শিল্পকে মনিটরিং করার অনুরোধ জানিয়েছেন নওগাঁর চামড়া ব্যবসায়ীরা। নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলার ফড়িয়া চামড়া ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম জানান, ভেবেছিলাম এবার চামড়া কিনে একটু লাভের মুখ দেখবো। কিন্তু প্রতিবছরের ন্যায় এবারোও লোকসান গুনতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের কাছে চামড়া বিক্রি করতে গেলে ক্রুটির শেষ নেই। তাই লোকসান দিয়েই চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে। আর ছাগলের চামড়ার তো কোন দামই নেই। তবে এবার চামড়া নিয়ে মধ্যসত্বভোগীদের দৌরাত্ম বন্ধ হয়েছে।

নওগাঁ চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বলেন, তারা সরকারের বেঁধে দেওয়া দামেই চামড়া ক্রয় করেছেন। তবে এবার শতকরা ২০ থেকে ৩০ ভাগ ল্যাম্পিস্কিন রোগে আক্রান্ত গরু জবাই করা হয়েছে। ফলে দাগ পড়া সেই চামড়াগুলো ফিট হিসেবে নয় কেজি হিসেবে কোম্পানিরা তাদের কাছ থেকে গড় মূল্যে ক্রয় করবে তাই তারাও সেই চামড়াগুলো কম দামে কিনতে বাধ্য হয়েছেন। তবে সরকারি ভাবে বিনামূল্যে লবণ গুলো যদি আদি চামড়া ব্যবসায়ীদের মাঝে দেয়া হতো তাহলে যে পরিমাণ চামড়া এবার নষ্ট হয়েছে তাও নষ্ট হতো না। যেসব প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে লবণ দেওয়া হয়েছে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই জানে না কিভাবে চামড়া সংরক্ষণ করতে হয়। তাই তারা সেই লবণগুলো খোলাবাজারে বিক্রি করে দিয়েছে।

নওগাঁ চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি মো. মমতাজ হোসেন বলেন, এবার নওগাঁতে ৫ থেকে ৬ কোটি টাকা মূল্যের চামড়া ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। যদি কোম্পানিগুলো নগদ মূল্যে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চামড়া ক্রয় করে তাহলেই মঙ্গল। তবে ট্যানারী মালিকদের উপর নির্ভরশীল না হয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সারা বছরই যদি একটি কমিটির মাধ্যমে চামড়া শিল্পকে তদারকি করা হয় এবং চামড়া শিল্পে যে দুর্নীতি আর অনিয়মের সিন্ডিকেট আছে সেগুলো ভেঙ্গে দেয়া যায় তাহলে ধীরে ধীরে আবার চামড়া শিল্পের যৌবন ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন এই চামড়া ব্যবসায়ী। নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, নওগাঁয় চামড়া ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে যেন কোন প্রকারের অরাজকতার সৃষ্টি না হয় এবং সরকারের পক্ষ থেকে প্রদান করা লবণের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঈদের আগেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একাধিক সভা করা হয়েছে। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে চামড়া নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেও প্রচার প্রচারণার চালানো হয়েছে। তাই এবার জেলায় চামড়া সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সরকারের গৃহিত পদক্ষেপগুলো মাঠ পর্যায়ে সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করায় দেশের জাতীয় সম্পদ চামড়া তেমন একটা নষ্ট হয়নি। এছাড়া প্রথমবারের মতো এবার সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে লবণ বিতরণ করায় মধ্যসত্বভোগীদের দৌরাত্ম বন্ধ হয়েছে। এছাড়া নওগাঁ জেলা ভারতের সীমান্তবর্তী হওয়াই এক ইঞ্চি চামড়াও যেন পাচার না হতে পারে সেই বিষয়টি কঠোর ভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। ফলে এবার নওগাঁয় সুষ্ঠ ভাবে চামড়া ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।


আরও খবর



ইতালির ভেনিসে ঈদুল আযহা উদযাপিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

পলাশ রহমান :

ঈদ উল আজহার পবিত্রতা ও ধর্মীয় আবেগে আজ শুক্রবার (৬ জুন) ইতালিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত মুসলিম সম্প্রদায় ঈদের নামাজ আদায় ও কোরবানির মধ্য দিয়ে পালন করেছেন মহান ত্যাগের এই দিনটি। 

ইতালির রাজধানী রোম, মিলানো, সিসিলি, ভেনিসসহ নানা শহরে লাখো মুসলিম প্রবাসীর অংশগ্রহণে ঈদের জামায়াত ধর্মীয় সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ এক দৃশ্যের অবতারণা করে।

প্রায় লক্ষাধিক মুসলিম অভিবাসীর শহর ভেনিসে সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় ঈদের নামাজ। মসজিদুল ইত্তিহাদসহ স্থানীয় কমিউনিটির উদ্যোগে আয়োজিত প্রায় ৩০টি জামায়াতে অংশগ্রহণ করেন ৪০ হাজারের বেশি মুসল্লি। নামাজে অংশ নেয় নানা বয়সের  মুসলিম অভিবাসীরা। ঈদের নতুন পোশাক পরে, আনন্দ ও উৎসাহ নিয়ে মুসল্লিরা জামায়াতে শরিক হন।


ঈদের খুৎবায় মাওলানা আরিফ মাহমুদ বলেন, ত্যাগ, ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানবিক মূল্যবোধের শিক্ষা নিতে হবে পবিত্র ঈদুল আযহার পশু কোরবানির মাধ্যমে।  

তিনি বলেন, কোরবানি কবুল হওয়ার অন্যতম শর্ত হলো- হালাল ইনকাম। হালাল আয় দিয়েই কোরবানি করতে হবে, অন্যথায় তা শুদ্ধ হবে না।

নামাজ শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দোয়া করা হয়।

ঈদের নামাজ শেষ করে প্রবাসীরা পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন, প্রিয়জনদের সঙ্গে ভাগাভাগি করেন ঈদের আনন্দ। প্রযুক্তির সহায়তায় ভিডিও কলে দেশে থাকা আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে সংযুক্ত হন অনেকে। এ সময় তাদের চোখে-মুখে ফুটে ওঠে আবেগঘন মুহূর্ত। ভেনিস বিএনপি'র সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ সেলিম বলেন, প্রবাসে আমাদের আলাদা একটা সমাজ গড়ে উঠেছে ঠিকই, কিন্তু দেশের মানুষদের মিস করি প্রতি মুহূর্তে।

শিশু-কিশোরদের ঈদের আনন্দ বাড়িয়ে তুলতে মসজিদুল ইত্তেহাদ কর্তৃপক্ষ তাদের হাতে তুলে দেন ঈদ উপহার। শহরের পার্ক, খোলা মাঠ ও রেস্টুরেন্টগুলোয় জমে ওঠে আড্ডা। বিকেলে পরিবার-পরিজন নিয়ে ভেনিসের দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে বেড়ান অনেকেই।


বাংলাদেশিদের ঘরে ঘরে রান্না করা হয় ঈদের মজাদার খাবার। সেমাই, পোলাও, বিরিয়ানি, ফিরনি, পায়েস, জর্দার ঘ্রাণে ভরে ওঠে চারদিক। গরুর মাংসের সুগন্ধে ঈদের ঐতিহ্য যেন ছুঁয়ে যায় দেশীয় আবেগকে।

ইতালীয় নাগরিকদের মাঝেও মুসলিমদের এমন রঙিন ও সুশৃঙ্খল ঈদ উদযাপন ভিন্নমাত্রার আগ্রহ ও সৌহার্দ্য সৃষ্টি করে। তারাও উপভোগ করেন মুসলিমদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা।

তবে দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, শুক্রবার কর্মদিবস হওয়ায় ও স্কুল খোলা থাকায় অনেক শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী প্রবাসী ঈদের নামাজে অংশ নিতে পারেননি। ইতালিতে বসবাসরত প্রায় ৭ লাখ মুসলিমের পক্ষে কমিউনিটি ব্যক্তিত্বরা সরকারের কাছে দুই ঈদে ছুটির দাবি জানিয়ে বলেন, প্রাচীন সভ্যতার দেশ ইতালিতে অভিবাসীদের ধর্মীয় অধিকারের প্রতি মানবিক সম্মান প্রদর্শন করা উচিত। এতে ইতালির মানবিক এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা হবে। পারস্পরিক ভ্রাতিত্ববোধ ও সম্মান বৃদ্ধি পাবে। মানবাধিকার রক্ষা হবে।

পবিত্র ঈদ উল আজহা মুসলিমদের জন্য শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং আত্মিক পরিশুদ্ধির এক অনন্য উপলক্ষ। ইউরোপের মাটিতে তা আজ আরও একবার প্রমাণিত হলো ধর্মীয় শ্রদ্ধা, আনন্দ ও একতার মহা মিলনমেলায়।

মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন- ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলোনিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক ব্যক্তিবর্গ।

ভেনিস প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি শাহানুর রহমান উজ্জ্বল বলেন, প্রবাসীদের ঈদ আর বাংলাদেশের ঈদের মধ্যে যোজন যোজন দূরত্ব রয়েছে। প্রবাসীরা প্রবাসে ঈদ করলেও তাদের মন পড়ে থাকে প্রিয় বাংলাদেশে। প্রবাসীরা বাংলাদেশকে বুকে ধারণ করেই বেঁচে থাকে।


আরও খবর