Logo
শিরোনাম

ঝিকরগাছায় যৌতুকলোভী ও নারী নির্যাতন; হাসপাতালে গৃহবধু

প্রকাশিত:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিকরগাছা : যশোরের ঝিকরগাছায় যৌতুকলোভী ও নারী নির্যাতনকারীদের চক্রান্তের বিষে হাসপাতালে ভর্তি গৃহবধু ইভা খাতুনের (২০)। এ ঘটনায় আহতের পিতা ইকরামুল হক (৪৪) বাদি হয়ে ৪জনকে বিবাদী করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পারিবারিক এই সংঘাতে থানার অভিযোগে বিবাদী হয়েছেন উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের দোশতিনা গ্রামের আমজাদ ঢালীর ছেলে আঃ কুদ্দুস আলী (৩০), আমজাদ ঢালীর স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫০), আমজাদ ঢালী (৫৫) ও বিদ্যুৎ হোসেন (৩০)।

থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের ডহর-মাগুরা গ্রামের বাদি (ইকরামুল হক) এর একমাত্র মেয়ে ইভা খাতুনের (২০) সাথে ০১ বছর পূর্বে একই উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের দোশতিনা গ্রামের ২ ও ৩নং বিবাদীর ছেলে ১নং বিবাদীর সাথে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে হয় ও ০৪ নং বিবাদী বাদির মেয়ের চাচাতে দেবর। বিবাদীরা অত্যন্ত খারাপ, যৌতুকলোভী ও নারী নির্যাতনকারী লোক। বিয়ের পর বাদি তার মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে অদ্যবধি ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা মূল্যের জিনিসপত্র ও স্বর্ণালংকার (৪ আনা ওজনের স্বর্ণের আংটি) বিবাদীদের নিকট দেওয়ার পরও যৌতুক লোভী পরিবারের যৌতুকের দাবিতে ১,২ও ৩নং বিবাদীরা বাদির মেয়ের উপর প্রতিনিয়ত অত্যাচার নির্যাতন করে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে বিবাদী ৪ জন মিলে বাদির মেয়েকে লোহার শাবল দিয়ে মারপিট করে। এরপর ৩ ও ৪ নং বিবাদীরা বাদির মেয়েকে মাটিতে ফেলে হাত পা চেপে ধরে এবং ২নং বিবাদী তার (ইভা খাতুনের) মুখে ঘাস মারা তেল (বিষ) ঢেলে দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা চালায়। বিষক্রিয়ার ফলে বাদির মেয়ে মৃত্যুর যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে দাপাদাপি শুরু করলে এলাকাবাসীরা তাৎক্ষণিক ভাবে বাদির মেয়েকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের পর অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় উক্ত হাসপাতালে ভর্তি রাখেন। বর্তমানে আহত বাদির মেয়ে ইভা খাতুন মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এঘটনায় আহতের পিতা বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।   

অভিযোগের বিবাদী কুদ্দুস আলী বলেন, আমার মায়ের সাথে আমার গন্ডোগোল হচ্ছিল সেই সময় ও এসে ঝামেলা করছিল। আমি ওতে সরে যেতে বললে ও ঘরে গিয়ে স্প্রে করার ঔষুধ খেয়েছে। আমরা ওকে মারেনি।

থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ ও পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম আলী বলেন, পারিবারিক গোলযোগের উপর একটি অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগের উপর অতি দ্রুত তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



আওয়ামী লীগ জুলুমবাজ দল

প্রকাশিত:রবিবার ২০ অক্টোবর ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ |

Image

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ জুলুমবাজ দল

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের চেয়ে জুলুমবাজ আর নেই। তারা সারা জাতীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল। মামলা, হামলা, খুন, গুম ও ধর্ষণসহ অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণতি হয়েছিল। দেশের মানুষ ছিল তাদের কাছে অসহায়। তারা বিচারের নামে প্রহসন করে আমাদের ১১ নেত ও শত শত কর্মীকে হত্যা করেছে

১৯ অক্টোবর বিকেল ৩টায় নওগাঁ শহরের নওযোয়ান মাঠে রুকন সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন

জামায়াতে ইসলামী বিভক্ত কোনো জাতী দেখতে চায় না মন্তব্য করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, যারা একটা জাতীকে বিভিন্ন ধোয়া তুলে টুকরো টুকরো করে বিভক্ত করতে চায়, তারা জাতীর দুশমন। রাজনীতি ও দল যার যার অবস্থানে থাকবে। কিন্তু জাতীয় স্বার্থে সবাই এক। কোনো বৈরি শক্তি ও শত্রু শক্তি কখনো বিজয়ী হতে পারে না

তিনি আরও বলেন, আল্লাহ যদি কখনো দেশ পরিচালনার দায়িত্ব আমাদের দেন, আমরা সেবক হবো। যারা মালিক হয়েছে তাদের পরিণতি চোখের সামনে আপনারা দেখেছেন। মানুষের সঙ্গে গাদ্দারি ও ধোঁকা দিলে কি হয়। এ থেকে সব রাজনৈতিক দলের শিক্ষা নেওয়া উচিত

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও রাজশাহী অঞ্চল পরিচালক অধ্যক্ষ মো. শাহাবুদ্দীন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী অঞ্চল সহ-পরিচালক অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরী আমির ড. মো. কেরামত আলী


আরও খবর

জামায়াতে ইসলামী জুলুম করবে না

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




নওগাঁয় শিক্ষকদের দাবী বাস্তবায়নে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের ৯তম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবীতে নওগাঁয় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে । বৃহস্পতিবার বিকেলে নওগাঁ পিটিআই গেটের সমানে প্রধান সড়কে প্রাথমিক শিক্ষক সমন্বয় পরিষদ এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

শিক্ষক সমন্বয় পরিষদের নেতা আহসান আলী’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন চকআতিথা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান, সমন্বয়ক মাসুদ রানা, আব্দুল হাই আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল হাকিম ও মেজবাউল হক প্রমুখ। বক্তারা বলেন, সুশিক্ষিত জাতি গঠনে প্রাথমিক শিক্ষা ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। প্রাথমিকের শিক্ষকরা শিক্ষার সূতিকাগার হিসেবে কাজ করেন। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষকদের ভূমিকা সব থেকে বেশি। তারপরও দীর্ঘদিন ধরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। স্নাতক বা সমমানের যোগ্যতায় পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক, মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, উচ্চ মাধ্যমিক যোগ্যতাধারী ডিপ্লোমাধারী নার্স, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের ১০ম গ্রেডে বেতন দেওয়া হচ্ছে। সেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক নিয়োগ শর্তাবলীতে স্নাতক বা সমমানের যোগ্যতাধারীদের শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে বেতন দেওয়া হচ্ছে। এরপরও স্নাতক বা সমমানের যোগ্যতা সম্পন্নধারী সহকারি শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি, সিলেকশন গ্রেড, টাইমস্কেল বিভিন্ন জটিলতায় বন্ধ রাখা হয়েছে। অপরদিকে ৮ম শ্রেণি পাশের একজন গাড়িচালক বেতন পায় ১২তম গ্রেডে। এ থেকে বোঝা যায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কতটা অবহেলিত। শিক্ষকদের মাসে দুইশত টাকা মাত্র টিফিন ভাতা প্রদান করা হয়। যা লজ্জাজনক। হিসাব করলে দিনে মাত্র ৬.৬৬ টাকা টিফিন ভাতা পড়ে । এই ৬.৬৬ টাকা (টিফিন ভাতা) দিয়ে বাজারে এককাপ চা পানও সম্ভব নয়। এ সময় বক্তারা আরো বলেন, শিক্ষার ভিত্তি মজবুত করতে হলে অবশ্যই প্রাথমিক শিক্ষকদের সঠিক মর্যাদা দিতে হবে। এ জন্য অনতিবিলম্বে তাদের ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা দরকার। এ যৌক্তিক দাবি পূরণ না হলে পরবর্তীতে আরো বৃহত্তম কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা। মানববন্ধন শেষে শিক্ষকরা জেলা প্রশাসক বরাবর  স্মারকলিপি প্রদান করা হয় ।


আরও খবর



অভয়নগর উপজেলায় বাংলাদেশ গন অধিকার পরিষদের সমন্বয়কদের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪ |

Image



 নিজস্ব প্রতিবেদক , খুলনাঃ


যশোর জেলার  অভয়নগর উপজেলায় ছাত্র যুব শ্রমিক, 

পেশাজীবী ও গণঅধিকার পরিষদের সমন্বয়ে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত  অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন 

মোঃ ইসরাফিল হোসেন সদস্য সচিব গণ অধিকার পরিষদ অভয়নগর উপজেলা,  সঞ্চালনা ও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোসাম্মাৎ কবিতা খাতুন কেন্দ্রীয় খুলনা বিভাগীয় উপ কমিটির প্রধান সমন্বয় শ্রমিক অধিকার পরিষদ, প্রধান অতিথি মোঃ জিল্লুর রহমান সাবেক যুগ্ন আহবায়ক যশোর জেলা, উপস্থিত ছিলেন লিমা খাতুন সাবেক সিনিয়র ছাত্রনেত্রী ছাত্র অধিকার পরিষদ যশোর জেলা উপস্থিত ছিলেন মোঃ রাকিব হোসেন ছাত্রনেতা ছাত্র অধিকার পরিষদ যশোর জেলা, উপস্থিত ছিলেন মোঃ সাইফুল ইসলাম সাবেক সদস্য সচিব যুব অধিকার পরিষদ অভয়নগর উপজেলা,উপস্থিত ছিলেন সাবেক যুবনেতা মোঃ মুফতি হাসান যুব অধিকার পরিষদ অভয়নগর উপজেলা উপস্থিত ছিলেন, উপস্থিত ছিলেন সোলাইমান হোসেন যুব নেতা উপস্থিত ছিলেন মফিজুর রহমান শ্রমিক নেতা,আরো উপস্থিত ছিলেন অভয়নগর উপজেলার নেতা  কর্মী।  বক্তারা বর্তমান প্রেক্ষাপটের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন এবং কোন দখল চাঁদাবাজি কোন প্রকার অন্যায় এই দেশে আর হতে দেওয়া চলবে না কেউ অন্যায় করলে সাথে সাথেই প্রতিহত করা হবে কোন প্রকার বৈষম্যর ঠাঁই হবে না ছাত্র জনতার বিজয় কোনভাবেই বিফলে যেতে দেওয়া যাবে না সকলে ঐক্যবদ্ধ থেকে বাংলাদেশকে একটি সুন্দর রাষ্ট্র হিসেবে বিনির্মাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে বলেন এবং অভয়নগর উপজেলাকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সামনের দিকে এগুনোর কথা বলেন জনতার অধিকার আমাদের অঙ্গীকার


আরও খবর



গৃহভিত্তিক নারীশ্রমিকদের শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্তির দাবি

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

গৃহভিত্তিক নারীশ্রমিকদের শ্রম আইন-২০০৬ ও লেবার ফোর্স সার্ভেতে অন্তর্ভুক্ত করা দাবি জানানো হয়েছে। এসব নারীশ্রমিকের বর্তমান কর্মপরিবেশ ও সামাজিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর পরিচালিত গবেষণার ফলাফলবিষয়ক একটি জাতীয় অবহিতকরণ (কনসালটেশন) ও পরামর্শমূলক কর্মশালায় এই দাবি জানানো হয়।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর গুলশান-২ এলাকায় হোটেল লেক ক্যাসেলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন কর্মজীবী নারী। এতে সহযোগিতা করে ফ্রেডরিখ ইবার্ট স্টিফটুং (এফইএস) বাংলাদেশ কার্যালয়।

গৃহভিত্তিক নারীশ্ররমিকদের নিয়ে পরিচালিত গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন গবেষণা দলের প্রধান ও ক্রিয়েটিভ পাথওয়েজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিয়া হক। গবেষণার ওপর ভিত্তি করে তিনি গৃহভিত্তিক নারী শ্রমিকদের বর্তমান কর্ম পরিস্থিতি ও সামাজিক সুরক্ষার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানে মূল আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ। তিনি বলেন, গৃহভিত্তিক নারীশ্রমিকেরা কত ধরনের কাজ করছেন, তা চিহ্নিত করে তাদের বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সমীক্ষায় আনতে হবে। আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে হলে তাদের বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এ যুক্ত করতে হবে।

দলগত কাজের ভিত্তিতে নীতিনির্ধারকদের করণীয়, ট্রেড ইউনিয়ন ও সুশীল সমাজের করণীয় বিষয়ে বেশকিছু সুপারিশ উঠে আসে কর্মশালায়। এগুলো ভবিষ্যত অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জরুরি। গবেষণা ও থিমেটিক আলোচনা থেকে উঠে আসা সুপারিশগুলোর মধ্যে আছেগৃহভিত্তিক নারীশ্রমিকদের শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে একটি বিশেষ দল তৈরি, সংজ্ঞা নির্ধারণ করা, কত ধরনের গৃহভিত্তিক শ্রমিক রয়েছে তা ম্যাপিং করা এবং তাদের সচেতনতা বৃদ্ধিসহ সংগঠন গড়ে তোলা।

কর্মজীবী নারীর সহ-সভাপতি ও নারীশ্রমিক কণ্ঠ-এর যুগ্ম সমন্বয়ক উম্মা হাসান ঝলমলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ট্রেড ইউনিয়ন বিশেষজ্ঞ সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ। উদ্বোধনী বক্তব্য দেন এফইএসের বাংলাদেশ কার্যালয়ের আবাসিক প্রতিনিধি ড. ফেলিক্স গ্যার্ডেস। এতে থিমেটিক আলোচনার সঞ্চালনা করেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন ও অক্সফামের (বাংলাদেশ) প্রকল্প সমন্বয়ক শাহাজাদী বেগম।

কর্মশালায় আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক তাসনুভা অনন্যা, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোস্তফা মাহমুদ সারোয়ার, কল-কারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক (স্বাস্থ্য) ইফফাত আরা।

কর্মশালার সঞ্চালনা ও সমাপনী বক্তব্য দেন কর্মজীবী নারীর অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক সানজিদা সুলতানা। প্রচেষ্টায় সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান এফইএসের (বাংলাদেশ) প্রকল্প উপদেষ্টা আরিফা এস আলম। অনুষ্ঠানে জাতীয়-আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাসহ ট্রেড ইউনিয়ন নেতা, গৃহভিত্তিক নারীশ্রমিকেরা অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর

মানুষের প্রত্যাশা মেটানো কঠিন কাজ

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪




সফটওয়্যারের কৃত্রিম পরিবেশনা

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ নভেম্বর 2০২4 |

Image

ড. এম. মেসবাহউদ্দিন সরকার

ভার্চুয়াল শব্দের বাংলা অর্থ হলো অপার্থিব (অর্থিব) আর রিয়েলিটি হলো বাস্তবতা। কিন্তু ডিজিটালি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি মানে হলো কম্পিউটার সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার দিয়ে তৈরি কৃত্রিম পরিবেশনা, যার বাস্তবে কোনো অস্তিত্ব নেই। প্রকৃত অর্থে বাস্তব নয় কিন্তু বাস্তবের ন্যায় চেতনা উদ্রেককারী বিজ্ঞাননির্ভর কল্পনাকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বলে। এটি মূলত কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত সিমুলেশন বা মডেলিংয়ের মাধ্যমে এমন একটি কৃত্রিম ত্রিমাত্রিক পরিবেশ তৈরি করে, যেখানে একজন ব্যবহারকারী তার আশপাশের পরিবেশের মতোই সবই জীবন্ত উপলব্ধি করতে পারে। যেমন- বাস্তবে কখনোই বন্যপ্রাণী মহাকাশে উঠতে পারে না

কিন্তু ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে দর্শককে তা বাস্তবের চাইতেও জীবন্ত দেখানো হয়। বিভিন্ন এনিমেশন মুভি বা থ্রি-ডি গেমের সংস্পর্শে গেলেই দেখা যায় এমন বাস্তবতা। হলিউডের মতো বড় বড় ফিল্ম স্টুডিওর বিশ্ব চলচ্চিত্রে, বিজ্ঞাপন ফার্মে এবং বিভিন্ন টিভি চ্যানেলগুলোতে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রচুর চাহিদা রয়েছে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে মানুষের সৃজিত নিউরাল ইন্টারফেস বা মানব-মেশিন সংস্পর্শের সৃষ্টি করে তথা মানুষের মধ্যে অভিজ্ঞতা অংশগ্রহণ করতে সাহায্য করে।

প্রযুক্তিটি এমন একটি থ্রিডি বা ইমার্জিভ অভিজ্ঞতা সৃষ্টি করে, যা ব্যবহারকারী প্রাকৃতিক পরিবেশের মতো অনুভব করতে পারে। তবে এগুলোকে আকর্ষণীয় ও উপভোগ্য করার জন্য কিছু টুলস এবং ডিভাইস ব্যবহার করতে হয়। যেমন ১. হাতের ডেটা গ্লোভ, ২. বডি স্যুট, ৩. মাথায় হেড মাউন্টেড ডিসপ্লে, ৪. ইফেক্টর, রিয়েলিটি সিমুলেটর, সফটওয়্যার এপ্লিকেশন ইত্যাদি


ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সঙ্গে সংযোগ সাধনে ইফেক্টর হিসেবে হাতের ডেটা গ্লোভ, বডি স্যুট ও মাথায় হেড মাউন্টেড ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়। রিয়েলিটি সিমুলেটর ইফেক্টরকে সংবেদনশীল তথ্য দেওয়া এবং এর সঙ্গে সংযুক্ত বিভিন্ন সেন্সরগুলোকে উত্তেজিত করে। এই সবের পেছনে কাজ করে সিমুলেশন সফটওয়্যার এপ্লিকেশন। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সাধারণত ৫ ধরনের হয়ে থাকে। যেমন ১. সম্পূর্ণরূপে নিমজ্জিত (Fully-immersive): প্রকৃতি ও পরিবেশের অকল্পনীয় জগতের অনুভূতি পেতে এক বিশেষ কৃত্রিম পরিবেশ (Artificial environment) তৈরি করে যা দেখে ব্যবহারকারী তার ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে পারে। যেমন- সমুদ্রের তলদেশে তিমি মাছের দেখা কিংবা জঙ্গলে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় টার্জেনের মতো উড়ে বেড়ানো সবই পরিপূর্ণভাবে অনুভব করা যায়

২. সেমি-ইমার্সিভ (Semi-immersive): Fully-immersive I Non-immersive-এর মাধ্যমে তৈরি হয় semi-immersiveকম্পিউটারের মাধ্যমে ও মাউসের সাহায্যে character-এর বৈশিষ্ট্য নিজের ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারা। ৩. নন-ইমার্সিভ (Non-immersive)- সফটওয়্যারের মাধ্যমে কৃত্রিম পরিবেশ তৈরি করা হয়। ব্যবহারকারীরা অ্যানিমেশন বা গেমস খেলার মাধ্যম নন-ইমার্সিভের বিষয়টি উপভোগ করতে পারে। ৪. অগমেন্টেড রিয়েলিটি হলো একটি ইন্টারেক্টিভ অভিজ্ঞতা, যা কম্পিউটার-জেনারেটেড ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য তথ্য দিয়ে বাস্তব জগতকে উন্নত করে।

সফ্টওয়্যার, অ্যাপস এবং হার্ডওয়্যার (যেমন- অজ চশমা) ব্যবহার করে অগমেন্টেড রিয়েলিটি ডিজিটাল কন্টেন্টকে বাস্তব জীবনের পরিবেশ এবং বস্তুর ওপর ওভারলে করে। ৫. কোলাবোরেটিভ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এটি একটি সহযোগিতামূলক ভার্চুয়াল পরিবেশ, যা অনেক অংশগ্রহণকারীর সহযোগিতা এবং মিথস্ক্রিয়া করার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং এর প্রভাব বড় দূরত্বে ছড়াতে পারে। সাধারণত বিতরণকৃত সিমুলেশন, থ্রিডি মাল্টিপ্লেয়ার গেমস, পাবজি (চটইএ) গেম, সহযোগী প্রকৌশল সফ্টওয়্যার, সহযোগী শিক্ষার অ্যাপ্লিকেশন এবং অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনগুলো সাধারণত ভাগ করা ভার্চুয়াল পরিবেশের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যবহার বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ১. বিনোদন এর সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যবহার হলো গেমিং। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির গেমগুলো ব্যবহারকারীদের একটি সম্পূর্ণ নতুন জগতে নিয়ে যায় এবং তাদের একটি অনন্য অভিজ্ঞতা প্রদান করে। এছাড়াও সিনেমা, ভিডিও এবং অন্যান্য বিনোদনমূলক সামগ্রী তৈরিতেও ব্যবহৃত হচ্ছে। ২. শিক্ষা শিক্ষাক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা দূরবর্তী স্থানগুলো ভ্রমণ করতে পারে, ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো পুনর্জীবিত করতে পারে এবং এমনকি জটিল ধারণাগুলোকে আরও সহজে বুঝতে পারে

শিক্ষকরা তাদের পাঠদান ভার্চুয়ালি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শেয়ার করেন প্রজেক্টরের সাহায্যে। এতে তারা প্র্যাকটিকাল উপায়ে সব শিখতে পারছে। ৩. চিকিৎসা মেডিক্যাল শাখায় জটিল সার্জারি বা রোগ নির্ণয়ে বর্তমানে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এক বিশাল জায়গা দখল করে আছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির অনেক অ্যাপ্লিকেশন আছে, যেগুলোর মাধ্যমে ব্যথা উপশম করতে, আতঙ্কজনিত ব্যাধিগুলোর চিকিৎসা করতে, এমনকি অস্ত্রোপচারের আগে রোগীদের প্রস্তুত করতে ব্যবহার করা হয়।

সিমুলেটেড সার্জারির মাধ্যমে নতুন ডাক্তার কিংবা মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নিতে পারে। ৪. প্রশিক্ষণ প্রশিক্ষণ ক্ষেত্রেও ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মাধ্যমে কর্মীদের বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া, নতুন সরঞ্জাম ব্যবহার করতে শেখানো এবং তাদের কর্মক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। ৫. যুদ্ধ পরিচালনা ও প্রশিক্ষণ সামরিক ও বিমানবাহিনীর যুদ্ধ পরিচালনা, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র চালনা, নৌবাহিনীর ডুবোজাহাজ পর্যবেক্ষণ করা ইত্যাদি ভার্চুয়াল পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব হয় ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে। 
৬. প্রদর্শনী জাদুঘরে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রয়োগের মাধ্যমে দর্শনার্থীদের জন্য ইতিহাস ও ঐতিহ্যসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করা খুবই সহজ হয়। ৭. কোয়ালিটি কন্ট্রোল প্রোডাকশনের গুণগতমান যাচাই-বাছাই করার জন্য ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করা যেতে পারে। ৮. গবেষণা নকশা, প্রকৌশল, বিপণন ইত্যাদি নানা ধরনের গবেষণার কাজে সিমুলেশনের মাধ্যমে কম্পিউটারের থ্রিডি ইমেজ ব্যবহার করা যায়

৯. মহাকাশ যাত্রা নভোচারীদের ভার্চুয়াল পরিবেশে মহাকাশে অভিযান পরিচালনা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদানে সহায়ক। ১০. ভার্চুয়াল মিটিং অনলাইন যোগাযোগ, যা বিভিন্ন ভৌত অবস্থানের লোকদের একই ভার্চুয়াল রুমে মিলিত হতে তাদের মোবাইল বা ইন্টারনেট সংযুক্ত ডিভাইস ব্যবহার করতে সক্ষম করে। বিগত করোনাকালে বিশ্বব্যাপী মানুষে মানুষে সংযুক্ত ছিল ভার্চুয়াল রিয়েলিটির এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সাহায্যে প্রযুক্তিতে অনেক উন্নতি হয়েছে বটে, কিন্তু মানুষের জীবনে এর অনেক নেতিবাচক প্রভাবও পড়ছে। এগুলো হলো ১. বাচ্চারা গেমসের ওপর দিন দিন আসক্ত হয়ে পড়ছে। তাদের দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তির ক্ষতি হতে পারে। এমনকি কর্নিয়াও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ইষঁব যিধষব নামে এক ধরনের গেমস সফটওয়্যার মানুষের মাঝে ভয়ের সৃষ্টি করেছিল। অনেক ছেলেমেয়ে এই গেমের নেশায় পড়ে জীবন দিয়েছে পর্যন্ত। ২. কল্পনা জগতের প্রতি মানুষ বেশি আসক্ত হয়ে পড়ছে

সেজন্য সমাজে মনুষ্যত্বহীনতার মতো বিষয়গুলো বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইচ্ছামতো কল্পনার জগতে বিচরণের সুযোগ লাভের ফলে মানুষ বাস্তবতার অনুভূতি সম্পর্কে উদাসীন থাকছে। ৩. একে অপরের মাঝে পারস্পরিক ইন্টারেকশনের অভাবে সমাজে অনিশ্চয়তা বিরাজ করতে পারে। 
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ইতিহাস দেড়শ
বছরের বেশি। শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন ফরাসি কবি ও নাট্যকার অ্যান্টনিম আরচিউড তার লেখা ১৮৩৮ সালে প্রকাশিত গ্রন্থে। এরপর আঠারো শতকে ত্রিশের দশকে স্টেরিওস্কোপ আবিষ্কারকালে ইমেজ প্রোজেক্ট করার জন্য একটি টুইন মিরর ব্যবহার করা হয়, যেখানে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ধারণা পাওয়া যায়। এছাড়াও ডেমিয়েন ব্রডরিকের নামক সায়েন্স ফিকশনেও ভার্চুয়াল রিয়েলিটি শব্দটি ব্যবহৃত হয়। ১৯৬১ সালে সেন্সোরমা সেমুলেটর নামক একটি যন্ত্র আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে বাস্তব উপায়ে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি উপস্থাপন করলেও, সেখানে কোনো প্রকার কম্পিউটার প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয়নি

পরবর্তীতে মরটন হেইলিং গড়ৎঃড়হ ঐবরষরম  কর্তৃক ১৯৫৭ সালে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির কারিগরি উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রাখেন। অবশ্য ১৯৮০ দশকের মধ্যভাগে জারন জেনিয়ার সর্বপ্রথম একে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি নামকরণ করেন। পরবর্তীতে ভিজুয়াল প্রোগ্রাম ল্যাব এর প্রতিষ্ঠাতা হ্যাকার লেনিয়ার ১৯৮৪ সাল থেকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করেন। যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে এই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। 

লেখক : অধ্যাপক এবং তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, আইআইটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়


আরও খবর

৬ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ইমো

সোমবার ২৮ অক্টোবর ২০২৪

গেইমিং পিসি বানাতে যা করবেন

রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪