Logo
শিরোনাম

জিকির-বয়ানে মশগুল মুসল্লিরা

প্রকাশিত:শনিবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের দ্বিতীয় দিন শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি)। ময়দানে জিকিরে ও বয়ানে মশগুল রয়েছেন মুসল্লিরা। ভোরে ফজরের নামাজের পর চলছে ধর্মীয় বয়ান। ফজরের পরে বয়ান করছেন ভারতের মাওলানা সাঈদ বিন সাদ। বাংলা তরজমা করছেন মুফতি ওসামা ইসলাম। আসরের নামাজের পর অনুষ্ঠিত হবে যৌতুক বিহীন গণবিয়ে।

আগামীকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে শুরু হবে আখেরি মোনাজাত। আর আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সাদপন্থীদের তাবলীগ জামাতের এবারের বিশ্ব ইজতেমা।

ইজতেমার আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, ইজতেমা ময়দানের ৮৯টি খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন দেশ-বিদেশি লাখো মুসল্লি। ফজরের নামাজের পর পিনপতন নিরবতায় ধর্মীয় বয়ান শুনছেন তারা। বয়ানের পর এগুলো থেকে নেওয়া শিক্ষা নিয়ে প্রতিটি খিত্তায় দল বেঁধে নিজস্ব আমিরের (দলনেতা) নেতৃত্বে হবে আলোচনা।

সকাল সাড়ে ১০টায় তালিমে হালকা মোয়াল্লেমেরদের নিয়ে কথা বলবেন মাওলানা আব্দুল আজিম।

তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বিরা আরবি, উর্দু ও হিন্দিতে বয়ান করলেও তাৎক্ষণিকভাবে এগুলো বাংলা, ইংরেজিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া যারা তাবলীগের দাওয়াতী কাজে বের হবেন খিত্তা অনুযায়ী তাদের তালিকাভুক্ত করা হবে।

ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম বলেন, ইজতেমার দ্বিতীয় দিনে যোহরের নামাজের পরে বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা শরিফ, বাংলা তরজমায় মাওলানা মাহমুদুল্লাহ, আসরের পরে বয়ান করবেন পাকিস্তানের মাওলানা ওসমান, বাংলা তরজমায় মাওলানা আজিম উদ্দিন। বয়ানের পরে অনুষ্ঠিত হবে যৌতুক বিহীন গণবিয়ে।

তিনি বলেন, মূল বয়ান মঞ্চের পাশে শরীয়া আইন অনুযায়ী কনের অনুপস্থিতিতে তার অভিভাবক, বর ও আত্মীয়-স্বজনের উপস্থিতিতে এ বিবাহ অনুষ্ঠিত হবে। মাগরিবের পরে বয়ান করবেন ভারতের মুফতি ইয়াকুব, বাংলা তরজমায় মাওলানা মনির বিন ইউসুফ।

রবিবার ফজরের পরে বয়ান করবেন ভারতের মুফতি মাকসুদ, বাংলা তরজমা করবেন মাওলানা আব্দুল্লাহ। বয়ানের পরেই হেদায়াতি বয়ান ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। মজলিশে শূরার সদস্যদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন ভারতের মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ।

এদিকে, ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের সুবিধার্থে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ১৫ হাজার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ময়দানের ভেতরে ও বাইরে কাজ করছে। সিসিটিভি ও ওয়াচ টাওয়ার দিয়ে পুরো ময়দান ও আশেপাশের এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এছাড়া জেলা প্রশাসন, সরকারের বিভিন্ন দফতরের লোকজন সমন্বিতভাবে কাজ করছেন।

 


আরও খবর



সমুদ্রে মাছ ধরায় ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সমুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিন সব প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যেকোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এইচ এম খালিদ ইফতেখার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা ২০২৩-এর বিধি ৩-এর উপবিধি (১)-এর দফা (ক)-তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, সরকার, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতি বছর ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিন সব মৎস্য নৌযান কর্তৃক যেকোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল।


আরও খবর



দমনপীড়নে অংশ না নিতে সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিল জাতিসংঘ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

গত বছরের জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের সময় দমনপীড়নে অংশ না নিতে জাতিসংঘ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিল বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।, তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দমনের পথে গেলে শান্তিরক্ষা মিশনে তাদের অংশগ্রহণ বন্ধের সতর্ক বার্তা দিয়েছিল জাতিসংঘ।

সম্প্রতি বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের হার্ডটক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বুধবার (৫ মার্চ) বিবিসির ওয়েবসাইটে অনুষ্ঠানের এই পর্ব প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে গাজা, সুদান, ইউক্রেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘকে ক্ষমতাহীন মনে হচ্ছে বলে জানান বিবিসির উপস্থাপক স্টিফেন সাকার। জবাবে উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করেন ভলকার তুর্ক।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, জুলাই-আগস্টে ব্যাপক আন্দোলন করেছিল শিক্ষার্থীরা। শেখ হাসিনার সরকার দমনপীড়ন চালিয়েছিল। তাদের (ছাত্ররা) জন্য বড় আশার জায়গা ছিল আসলে আমরা কী বলি, আমি কী বলি, আমরা কী করতে পারি এবং আমরা ওই পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করি।

‘আমরা সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিলাম, যদি তারা জড়িয়ে পড়ে তাহলে আর শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণকারী হিসেবে থাকতে পারবে না। ফলে আমরা পরিবর্তনটা দেখতে পেলাম। ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের দায়িত্ব নিলেন। ফলে স্পটলাইটে কী ব্যবস্থা নিতে হবে, তা আমরা এখানে দেখলাম।’ বলেন ভলকার তুর্ক।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক এই হাইকমিশনার বলেন, অধ্যাপক ইউনূস যখন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নিলেন, তিনি আমাকে তাৎক্ষণিকভাবে বললেন, আপনি কি একটি তথ্যানুসন্ধানী দল পাঠাতে পারেন, পরিস্থিতির ওপর গুরুত্ব দিতে পারেন এবং সেখানে যা ঘটছি, তা তদন্ত করতে বললেন। আমরা এগুলোই করেছিলাম। এবং এটা কার্যত সাহায্য করেছিল।

ভলকার তুর্ক আরও বলেন, আমি গত বছর বাংলাদেশে গিয়েছিলাম। আমরা একটি অবস্থান নেওয়ায়, আমরা কথা বলায় এবং তাদেরকে সহযোগিতা করায় ছাত্ররা আমাদের প্রতি খুব কৃতজ্ঞ ছিল।

২০২৪ সালের জুলাইতে শুরু হওয়া সরকারি কোটা সংস্কারের আন্দোলন সংহিসতার জেরে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। আন্দোলন ঠেকাতে ব্যাপক দমন পীড়ন চালায় আওয়ামী লীগ সরকার। তীব্র আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।

জুলাই হত্যাকাণ্ড নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত দল অনুসন্ধান চালায়। ১৩ ফেব্রুয়ারি সেই তথ্যানুসন্ধানের প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দ্বারা সংগঠিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্বিচারে গ্রেফতার, নির্যাতন ও অতিরিক্ত বল প্রয়োগের মতো ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা উঠে এসেছে। এসব ঘটনায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন গোষ্ঠী, সংগঠন, বিভিন্ন নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা জড়িত ছিলেন বলে প্রতিবেদনটিতে তুলে ধরা হয়েছিল।

বুধবার (৫ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ছয়টার পর জেনেভায় বাংলাদেশে জুলাই-আগস্ট বিক্ষোভের সঙ্গে সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের ওপর জাতিসংঘের মানবাধিকার তথ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ভলকার তুর্ক।

সেখানে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ দমাতে শেখ হাসিনাসহ সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছিলেন বলে জানান তিনি।


আরও খবর



প্যাস্টেল নাকি - গাঢ় কোনটি হবে আপনার পছন্দ

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

বছর যেন চোখের পলকে কেটে যাচ্ছে, আর ঈদ-উল-ফিতর উদযাপনের প্রস্তুতিও ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। এবারের ঈদ ফ্যাশনে বৈচিত্র্য ও আধুনিকতার এক অপূর্ব সমন্বয় দেখা যাচ্ছে। উৎসবের আমেজকে ধারণ করে প্যাস্টেল ও গাঢ়উভয় ধরনের রঙই দাপট দেখাচ্ছে ফ্যাশন দুনিয়ায়।

প্যাস্টেল রঙের মোহনীয়তা, যারা হালকা ও আরামদায়ক রঙের প্রতি আকৃষ্ট, তাদের জন্য প্যাস্টেল শেডের পোশাক একদম পারফেক্ট। পাউডার ব্লু, ব্লাশ পিংক, ল্যাভেন্ডার ও মিন্ট গ্রিন এই বছর বিশেষ জনপ্রিয়। সূক্ষ্ম এমব্রয়ডারির ব্লাশ পিংক আনারকলি কিংবা লেস-ডিজাইন করা মিন্ট গ্রিন কামিজ সেট আপনাকে দিবে অনন্য লুক। হ্যান্ড পেইন্টেড শাড়িও ট্রেন্ডে রয়েছে, যেখানে ফুলেল নকশা ও মোটিফের ছোঁয়া যুক্ত করা হয়েছে। সকালে সাদা কাফতানের সঙ্গে রূপার গয়নার সংযোজন সত্যিই নজরকাড়া।

গাঢ় রঙের গ্ল্যামার, গাঢ় রঙের পোশাক সবসময়ই আত্মবিশ্বাস ও শক্তিশালী উপস্থিতির প্রতীক। গাঢ় সবুজ, উজ্জ্বল মেজেন্টা ও আকর্ষণীয় লাল এবারের ঈদ ফ্যাশনে বিশেষভাবে জনপ্রিয়। জারদৌসি কাজ করা মেজেন্টা কামিজ, সূক্ষ্ম এমব্রয়ডারি করা লাল কাফতান বা সোনালি সুতার ওড়নার সঙ্গে লাল কামিজসবই ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিকতার মিশ্রণে তৈরি। অ্যান্টিক সোনার গয়না, বোল্ড মেকআপ ও গাঢ় লিপস্টিকের সংযোজন এই পোশাকগুলোর গ্ল্যামার আরও বাড়িয়ে তুলবে।ডিজাইন ও কাটছাঁট, এবারের ঈদ ফ্যাশনে লম্বা হেমলাইন, ভারি ঘের ও সূক্ষ্ম হাতে কাজ করা নকশার ব্যবহার বিশেষভাবে লক্ষণীয়।

রেশম ও আরি কাজের সংযোজন যেকোনো পোশাককে অনন্য মাত্রা দিচ্ছে। কাফতান, অনারকলি ও শাড়িতে এই কারুকাজ বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।অনুষঙ্গ ও স্টাইলিং, সাজে পরিপূর্ণতা আনতে অনুষঙ্গের গুরুত্ব অপরিসীম। প্যাস্টেল পোশাকের সঙ্গে মুক্তার গয়না ও ন্যুড টোনের জুতো মানানসই, অন্যদিকে গাঢ় রঙের পোশাকের সঙ্গে মোটা সোনার গয়না, এমব্রয়ডারি করা পটলি ব্যাগ বা ঐতিহ্যবাহী খুসসা জুতা সাজে বিশেষ মাত্রা যোগ করবে।

ব্যক্তিগত স্টাইলের গুরুত্ব, ঈদের ফ্যাশন মানেই ব্যক্তিত্ব ও ঐতিহ্যের সম্মিলন। কেউ হয়তো সাদা কাফতানের কোমল সৌন্দর্যে মুগ্ধ হবেন, আবার কেউ বেছে নেবেন গাঢ় সবুজ আনারকলির বোল্ড লুক। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পোশাক নির্বাচন করা, যা আত্মবিশ্বাস ও উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে।


আরও খবর

এই বছরের ঈদ ফ্যাশন

বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫




হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে ছোলার আমদানি

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

রমজান উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে ছোলা আমদানি। যার প্রভাবে বাজারে কমতে শুরু করেছে ছোলার দাম। গত এক সপ্তাহ আগেও বাজারে ছোলা বুটের কেজি ছিলো ১২৫ টাকা কেজি, বর্তমান দাম কমে তা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে। পাশাপাশি অন্যান্য ডাল, মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে মোটাটা ১০০ টাকা ও দেশিটা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি। বুটের ডাল ১২০, খেঁসারির ডাল ১০৫, মাসকলাই ১৮০ ও মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি দরে।

দাম কমে যাওয়ায় খুশি সাধারণ ক্রেতারা। সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে হিলি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।

হিলি বাজারে ছোলা কিনতে আসা জাকিরুল ইসলাম বলেন, রমজান মাসে ছোলার প্রয়োজন বেশি হয়। বিশেষ করে ইফতারের জন্য ছোলার প্রয়োজনীয় অপরিসীম। তাই বাজারে ছোলা কিনতে আসছি। তবে দাম আগের চেয়ে কম। এর আগে ১২০ টাকা কেজি কিনেছিলাম এখন ১০০ টাকা কেজি কিনলাম।

হিলি বাজারে ছোলা বুট ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান হোসেন বলেন, বর্তমান ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দরে পর্যাপ্ত ছোলা আমদানি হচ্ছে। পাশাপাশি অন্যান্য দেশ থেকেও ছোলা আমদানি করছেন সরকার। মূলত রমজান মাসে এসব পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখার জন্যই আমদানি করা হচ্ছে। আমরা ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি হিসেবে ছোলা বুট খুচরা বিক্রি করছি। আগের থেকে ক্রেতাও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, পবিত্র মাহেরমজানে বাজারে ছোলা বুটের দাম কম এবং স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে পর্যাপ্ত ছোলা আমদানি করা হচ্ছে। কয়েক মাস আগেও এই বন্দরে দিনে এক থেকে দুই ট্রাক ছোলা আমদানি হতো। বর্তমান রমজানকে ঘিরে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ট্রাক ছোলা বুট আমদানি হচ্ছে। যার কারণে খুচরা বাজারে কমে গেছে ছোলার দাম।

হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শফিউল ইসলাম বলেন, বেশ কিছুদিন থেকে এই বন্দরে ছোলা আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শুল্কমুক্ত ভাবে পণ্যটি আমদানি হচ্ছে। যেহেতু রমজান মাস চলে এসেছে, সেহেতু আমরা কাস্টমসের সকল কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সম্পূর্ণ করে পণ্যটি ছাড়করণ করা হচ্ছে। এতে করে ব্যবসায়ীরা দেশের বাজারে নিত্যপণ্যগুলো সরবরাহ করতে পারছেন।


আরও খবর



ত্বক ভালো রাখতে ঘুমানোর আগে কী কী করবেন?

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

ঠান্ডা তাপমাত্রা এবং বাতাস আপনার ত্বকে বিশেষ করে কঠোর হতে পারে। শীতের এই সময়ে আপনার ত্বককে নরম এবং কোমল রাখার জন্য এখানে কিছু সহজ টিপস রয়েছে। বিউটি এক্সপার্টরা বলছেন, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মাত্র পাঁচ মিনিট ব্যয় করলেই উপকার মিলবে ত্বকের। চলুন জেনে নেওয়া যাক, এই পাঁচ মিনিটে কী কী করবেন?

প্রথমে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

তারপর ত্বকের ধরন বুঝে মেখে ফেলুন টোনার।

ক্লিনজিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং, অর্থাৎ সিটিএম-এর নিয়ম মেনে সবশেষে ময়েশ্চারাইজার মাখতে হয়। রূপচর্চা শিল্পীরা বলেছেন, এই পর্যায়ে ময়েশ্চারাইজারের বদলে মাখতে পারেন নারকেল তেল।

নারকেল তেল দিয়ে মিনিট দুয়েক মুখে ম্যাসাজ করুন। ত্বক যদি শুষ্ক হয়, তাহলে সারারাত ওইভাবে মুখে তেল রেখে দিতে পারেন।

ত্বক তৈলাক্ত ভাব হলে ম্যাসাজ করার পর ওয়েট টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন।

নারকেল তেলের মধ্যে কী এমন আছে?

নারকেল তেল সাধারণত চুলেই মাখা হয়। তবে এর মধ্যে যে পরিমাণ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, তা ত্বকে কোলাজেন উৎপাদনে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। ফলে বলিরেখা তো পড়েই না, উল্টে মুখের টান টান ভাব বজায় থাকে। এ ছাড়া ত্বকের প্রয়োজনীয় নানা ধরনের ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে নারকেল তেলে। এগুলো নিষ্প্রাণ ত্বকের হারানো জেল্লা ফিরিয়ে দিতে পারে।

মুখে নারকেল তেল ম্যাসাজ করলে কী হবে?

ত্বকের জেল্লা বজায় রাখবে নারকেল তেল। নারকেল তেলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে সঠিক পদ্ধতিতে মুখে এই তেল ম্যাসাজ করতে পারলে জেল্লা বৃদ্ধি পাবে। লিম্ফ্যাটিক নিষ্কাশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুখের জমে থাকা ফ্লুইড বের করে দেওয়া যায়।

যেহেতু নারকেল তেলে ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, তাই ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা সহজ হয়। ত্বকের যাবতীয় ক্ষয়ক্ষতি পূরণ হয় রাতে। তাই হালকা গরম তেল মুখে ম্যাসাজ করলে উপকার মিলবে।

অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান রয়েছে নারকেল তেলে, যার মাধ্যমে ত্বকে জমে থাকা টক্সিন দূর হয়ে যায়। ওপেন পোরসের সমস্যাও ধীরে ধীরে কমে আসে।


আরও খবর

এই বছরের ঈদ ফ্যাশন

বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫