Logo
শিরোনাম

জিন্স প্যান্ট ও চোখে কালো চশমা পরলেই স্মার্ট হওয়া যায় না....নওগাঁয় খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

পুরস্কার নেয়া যেমন আনন্দের। তা ধরে রাখাও অনেকটা চ্যালেঞ্জ এবং দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেলো। তাই মনোযোগ সহকারে পড়াশুনা করে এইচএসসিতে ফলাফলও ধরে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে ভাল প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ হবে। জিন্স প্যান্ট ও চোখে কালো চশমা পরলেই স্মার্ট হওয়া যায় না। পড়াশুনাও স্মার্ট হতে হবে। তোমরা সুশিক্ষায় এগিয়ে যাবে এবং মানবিক মানুষ হবে। শনিবার দুপুরে নওগাঁয় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি।

খাদ্যমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, জীবনে বড় হতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। বই আর বালিসকে আপন করতে হবে। মাদক ও মোবাইলের অপব্যবহার হতে নিজেদের কে বিরত রাখার কঠোর সংকল্প থাকতে হবে।

অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের সন্তানরা যেন অসৎ সঙ্গে না জড়ায় সে দিকে লক্ষ্য রাখবেন। সন্তানদের ডিজিটাল প্রযুক্তির ভালো দিক গ্রহণ আর খারাপ বিষয়গুলো বর্জন শেখাতে হবে। মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহার তাদের উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি বেশি করে এটা বোঝাতে হবে। এসময় শিক্ষার্থীদের সাবজেক্ট পছন্দের ক্ষেত্রে তাদের পছন্দ ও পারদর্শিতাকে গুরুত্ব দেওয়ার আহবান জানান তিনি। নওগাঁ চেম্বার অফ কর্মাস এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি ও ইথেন এন্টাপ্রাইজ এর স্বত্তাধিকারী ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যরিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান এবং জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান রিজভী।

পরে ২০২৩ সালে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৫শ' ৭০ জন কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান শেষে ক্রেস্ট, সনদ ও পুরুষ্কার তুলে দেন।


আরও খবর



দেশের নদ-নদীর সংখ্যা ১১৫৬টি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

দেশের নদ-নদীর সংখ্যা কত—এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে বিতর্ক। এবার ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধনের পর সরকারের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে।

মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, খসড়া হিসেবে নদ-নদীর সংখ্যা ১১৫৬টি। বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত সংখ্যা যাচাইয়ের পর এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আরও যাচাইয়ের পর নদ-নদীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর গ্রীন রোডে পানি ভবনে ‘বাংলাদেশের নদ-নদীর সংখ্যা নির্ধারণ’ বিষয়ক অবহিতকরণ সেমিনারে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসানের সভাপতিত্বে সেমিনারে পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, নৌ-পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঞা উপস্থিত ছিলেন।

স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পার হয়ে গেলেও নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদ-নদীর প্রকৃত সংখ্যা সরকারি পর্যায়ে এখনো নির্ভুলভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের হিসাবের সঙ্গে নদী কমিশনের হিসাব, আবার এই দুই সংস্থার সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাব মেলে না।

দখল-দূষণে অনেক নদী এখন বিলীন; যেগুলো খাতা-কলমেও আর সংরক্ষণ করা হচ্ছে না। যা নিয়ে নদী গবেষক ও নদী রক্ষা আন্দোলনের কর্মীরা দীর্ঘদিন কথা বলে আসছেন; গণমাধ্যমেও উঠে আসছে নদী নিয়ে অবহেলার নানা তথ্য।

গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক মাস পর দেশের নদ-নদীর প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণে কাজ শুরু করে অন্তর্বর্তী সরকার। উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান দুই মাসের মধ্যে নদ-নদীর সংখ্যা নির্ধারণ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন।

উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে এই কাজ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড-পাউবো, বিআইডব্লিউটিএ, নদী রক্ষা কমিশন ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়।

সেমিনারে জানানো হয়, বিভাগীয় কমিশনারদের পাঠানো তালিকা অনুযায়ী নদ-নদীর সংখ্যা ১৪৮০টি। অধিকতর যাচাইয়ের পর সারা দেশে নদ-নদীর সংখ্যা ১১৫৬টি। বিভাগ-ওয়ারী এক বা একাধিক জেলায় প্রবাহিত নদ-নদী বিবেচনায় ৮টি বিভাগে নদ-নদীর সংখ্যা ১১৯৬টি। একাধিক জেলায় প্রবাহিত নদ-নদীর সংখ্যা ১৭৯।

সেমিনারে আরো জানানো হয়, ২০২৩ সালে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন কর্তৃক প্রস্তুত করা তালিকায় নদ-নদীর সংখ্যা ছিল ১০০৮টি। ওই তালিকা থেকে ২২৪টি নদী মাঠ পর্যায় থেকে বর্তমান তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়নি। ২০১১ সালে বাপাউবো প্রকাশিত ৪০৫টি নদীর মধ্যে ১৮টি নদী মাঠ পর্যায় থেকে বর্তমান তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়নি। এক বিভাগের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীর সংখ্যা ১১২৩টি। দুই বিভাগে ২৭টি, তিন বিভাগে ৪টি, চার বিভাগের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীর সংখ্যা দুটি।


আরও খবর



নির্বাচনী চাপ বাড়াতে তৎপর বিএনপি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনী পথে দ্রুত হাঁটাতে তৎপর বিএনপি। এজন্য দলের পক্ষ থেকে নানা সভা-সেমিনারে ক্রমাগতভাবে নির্বাচনী রোডম্যাপের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।

বিএনপি মনে করে, বিপ্লব-পরবর্তী প্রয়োজনীয় সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনী কাজও চলমান রাখুক সরকার। কিন্তু সম্প্রতি কয়েকজন উপদেষ্টার বক্তব্যে সহসাই নির্বাচন না দেওয়ার কিছু ইঙ্গিত বিএনপির কাছে স্পষ্ট হয়েছে। এ অবস্থায় বিএনপি টেবিল টকের পাশাপাশি রাজনৈতিক চাপও বাড়াতে চায়। তাতে জামায়াতসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছেও একটা পরিষ্কার বার্তা যাবে।

বিএনপি একটি সূত্র জানায়, নিজেদের পক্ষে জনমত জনমত আছে সেটি শতভাগ প্রমাণ করতে পেরেছে বিএনপি। এবারের বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র‌্যালির জনসমাগম দেখে দলের শীর্ষ নেতারাও বেশ আশাবাদী। সে আশাবাদকে ধরে রেখে দলটি আরো রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে আসতে চায়। চলতি সপ্তাহের একটি স্থায়ী কমিটির একটি বৈঠক আগামী ডিসেম্বর মাসে একই রকম বিজয় র‌্যালি ও ১০ বিভাগে বড় জনসভার পরিকল্পনার নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি মাস ও ডিসেম্বরজুড়ে এই সমাবেশগুলোর আয়োজন করা হবে। দলটির নেতারা বলছেন, গত সরকারের শেষ দিকে সারা দেশে বিএনপি আয়োজিত বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে জন বিস্ফোরণ ঘটেছিল। গণপরিবহন বন্ধসহ সরকারের নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সভার জনসমাগম বেশ আলোচিত ছিল। কিন্তু এবারের অনুকূল পরিবেশ কাজে লাগিয়ে নতুন সমাবেশগুলোতে স্মরণকালের বৃহৎ জনসমাগম ঘটিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে ইতিহাস তৈরি করতে চায় বিএনপি। এ ধরনের সমাবেশগুলোর মাধ্যমে বিএনপি দেশে একমাত্র জনবান্ধব দল এটা যেমন প্রমাণ করবে, সেই সঙ্গে দ্রুত নির্বাচনের দাবিটি আরো জোরালো হবে।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল, পরিবর্তিত সময়ে দলকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসাটা বেশ চ্যালেঞ্জের। এটা নিয়ে আমাদের দলের সবাই কাজ করছেন। আমরা মনে করি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি সামনের নির্বাচনে ভালোভাবেই অংশ নেবে, নির্বাচিত হলে বিএনপি কী করবে এ বিষয়গুলো দেশব্যাপী তুলে ধরতে আমরা আবার তৃণমূলে যেতে চাই। সে লক্ষ্যে দলের সংশ্লিষ্ট নেতারা কাজ করছেন।

অন্তর্বর্তী সরকার তিন মাসেও নির্বাচনী রোডম্যাপের বিষয়টি স্পষ্ট না করায় চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। অন্যথায় আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সোচ্চার হবে দলটি। গত ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়। বিএনপি নেতারা মনে করছেন, রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কার এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া দুটিই সমান্তরালভাবে চলা উচিত। এজন্য সরকারকে অবিলম্বে একটি রোডম্যাপ দিয়ে সামনে এগোনো দরকার। যত দিন পর্যন্ত এই রোডম্যাপ দেওয়া না হবে, তত দিন পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ‘নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার যে শঙ্কা’ রয়েছে, সেটা কাটবে না।

নেতারা বলছেন, একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে এবং এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তবে সরকারের সব কার্যক্রমের ফোকাস হওয়া উচিত নির্বাচন। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী ‘ফ্যাসিবাদী’ সরকারের নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। তাই নির্বাচন নিয়ে জনমনে বিভিন্ন সময় যে শঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে, সেটা কাটাতে এই সরকারকে দ্রুত রোডম্যাপ দিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা দরকার।

বিএনপি মনে করছে, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা এবং নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা- এই দুই ইস্যুতে মাঠের কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে। তাই আগামী ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় আরেকটি বড় র‌্যালিও করবে দলটি।

বৈঠকে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে সম্প্রতি তিনজনের অন্তর্ভুক্তি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিএনপি নেতারা অভিমত দেন যে, এদের মধ্যে দুজনকে নিয়ে নানা মহলে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে ছাত্র-জনতা এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং তারা আন্দোলন করছে। এই নিয়োগ নিয়ে বিএনপিও বিস্মিত। যথেষ্ট যাচাই-বাছাই ও চিন্তাভাবনা করে এদের নিয়োগ দিলে এই বিতর্ক সৃষ্টি হতো না। তাই সরকারের উচিত যথাসম্ভব বিতর্ক এড়িয়ে সামনে অগ্রসর হওয়া। বিতর্কিত কাউকে সরকারে না রাখা এবং ভালোভাবে খোঁজখবর করে দায়িত্বে নিয়ে আসা। এর আগে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদারকে উপদেষ্টা করায় প্রশ্ন তুলে তার পদত্যাগ দাবি করেছিল বিএনপি।


আরও খবর



নায়িকা শিল্পীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা আঞ্জুমান আরা শিল্পী। সালমান শাহ'র সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করে বেশ প্রশংসা পেয়েছিলেন সে সময়। তবে প্রায় দুই দশক ধরে তিনি চলচ্চিত্রে নেই। তবুও দর্শকের আগ্রহ কমেনি তার প্রতি।

এদিকে এই অভিনেত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একই সঙ্গে ফ্রিজ করা হয়েছে তার স্বামী প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি ডা. এইচবিএম ইকবালসহ তার তিন সন্তানের অ্যাকাউন্ট। তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়েছে। সম্প্রতি সব ব্যাংকে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে বিএফআইইউ।

চিঠিতে বলা হয়েছে, হেফজুল বারি মোহাম্মদ ইকবাল ওরফে এইচবিএম ইকবাল, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শিল্পী, ডা. ইকবালের প্রথম স্ত্রী প্রয়াত মমতাজ বেগম পক্ষের সন্তান মঈন উদ্দিন ইকবাল, ইকরাম ইকবাল এবং নওরীন ইকবালের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করার নির্দেশ দেয়া হলো। আগামী ৩০ দিনের জন্য এসব ব্যক্তি ও একক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের হিসাবের লেনদেন স্থগিত থাকবে।

এতে আরও বলা হয়, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২৩(১)(গ) ধারা অনুযায়ী এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এসব ব্যক্তি ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত সব হিসাবের তথ্য আগামী ৪ দিনের মধ্যে পাঠানোর অনুরোধ করা হলো। এসব ব্যক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক হিসাবে লেনদেন যেন শুধু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা সংশ্লিষ্ট বিষয়েই হয়, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের সময়ের সাবেক মন্ত্রী, এমপি, বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, সাংবাদিক, পুলিশসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ বা তথ্য তলব করেছে বিএফআইইউ।

নায়িকা শিল্পীর প্রথম ছবি মোহাম্মদ হোসেন পরিচালিত ‘বাংলার কমান্ডো’ ১৯৯৫ সালের ১১ই মে মুক্তি পায়। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে ‘প্রিয়জন’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘শেষ প্রতীক্ষা’, ‘মুক্তি চাই’, ‘লাভলেটার’, ‘বীর সন্তান’, ‘মিথ্যার মৃত্যু’, ‘দোস্ত আমার দুশমন’, ‘গৃহবধূ’, ‘কে আমার বাবা’, ‘রাজপথের রাজা’, ‘শক্তের ভক্ত’ ও ‘সুজনবন্ধু’।


আরও খবর

জয় বাংলা' এখন থেকে জাতীয় স্লোগান নয়

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

জামিন পেলেন এসপি বাবুল আক্তার

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪




প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে স্থগিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে তাদের নিয়োগ দেওয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগপত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব বিচাপতি মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আদেশ দেন। আগামীকাল বুধবার থেকে এই সাড়ে হাজার শিক্ষককে নিয়োগ পত্র দেওয়ার কথা ছিল।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর মোহাম্মদ আজমী।

এর আগে, গত ৩১ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা চট্টগ্রাম বিভাগের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন হাজার ৫৩১ জন। 

গত ২৮ মে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ঢাকা চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) মৌখিক পরীক্ষাসহ নিয়োগপ্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট। এরপর মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণসংক্রান্ত হাইকোর্ট যে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন, আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেন। পরিপ্রেক্ষিতে মৌখিক পরীক্ষা নেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। 


আরও খবর



তাপমাত্রার পারদ নামল ৯ ডিগ্রিতে, আরও কমবে

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

উত্তরের জেলা নওগাঁয় জেঁকে বসেছে শীত। তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি হিম বাতাস আর ঘন কুয়াশা শীতের তীব্রতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় নওগাঁয় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি বছর এখন পর্যন্ত এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সামনে তাপমাত্রা আরও কমবে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

নওগাঁর বদলগাছী কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, সকাল ৯টায় জেলায় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

গতকাল একই সময়ে সর্বনিম্ন ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। সেই হিসেবে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এই জেলার তাপমাত্রা কমেছে ২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হিমেল হাওয়ায় শীত আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার পর শীতের প্রকোপ একটু বেশি থাকছে। সেই সঙ্গে হিমেল হাওয়া শীতের তীব্রতা কয়েকগুণ বাড়িয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকেই গরম কাপড় পরে চলাফেরা করছেন মানুষ। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে চারপাশ। সকাল ১০টার পর কুয়াশা ভেদ করে সূর্য উঁকি দিলেও বিকেল চারটার পর আবার হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করে।

শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছিন্নমূল আর খেটে খাওয়া মানুষদের দুর্ভোগ বাড়ছে। গরম কাপড়ের অভাবে খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ অনেক কষ্টে দিন পার করছেন। শীতের কারণে কাজে যেতে না পারায় অনেকের সংসার চালাতেও কষ্ট হচ্ছে। অনেক এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ।

সকালে সদর উপজেলার সামনে কথা হয় রিকশা চালক কুরবান আলীর সঙ্গে। ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, সারাদিন যতক্ষণ গরম থাকে তখন যাত্রী পাওয়া যায়। রিকশাও ভালোভাবে চালানো যায়। কিন্তু সন্ধ্যার পর কিংবা খুব সকালে যাত্রী তেমন পাওয়া যায় না। শীতের কারণে রিকশা ঠিকভাবে চালানো যায় না। ফলে আয় উপার্জন কমে গেছে।

এদিকে শীত বাড়ায় জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই বেশি। এসব রোগীর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বেশি। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।


আরও খবর