Logo
শিরোনাম

জন্মনিয়ন্ত্রণে আগ্রহ কমছে

প্রকাশিত:শনিবার ২৬ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

সারা দেশে সরকারি জন্মনিয়ন্ত্রণ সেবা নেওয়ার হার কমছে। অনেকে হাতের নাগালের প্রচলিত জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করেন। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত পাঁচ বছরে সাত ধরনের সেবা নেওয়ার হার কমেছে প্রায় ২৪ শতাংশ। আর ছয় বছরের হিসাব করলে এসব সেবা নেওয়ার হার কমে দাঁড়ায় প্রায় ৩৭ শতাংশ। তবে ঢাকার দম্পতিদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতি গ্রহণের হার কমছে বেশি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রচারের অভাবে দম্পতিরা দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন। এ কারণে তারা গর্ভধারণ রোধে হাতের নাগালে থাকা পদ্ধতিই বেশি গ্রহণ করেন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মানুষকে সচেতন করতে প্রচার চলছে।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর জুলাই থেকে জুন পর্যন্ত অর্থবছর ধরে উপাত্তের হিসাব রাখে। ২০১৭–১৮ থেকে ২০২১–২২ অর্থবছরের উপাত্ত পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আটটি বিভাগেই দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতি গ্রহণের হার কমেছে। পাঁচ বছরে সারা দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণে সব ধরনের সরকারি সেবা নেওয়ার হার প্রায় ২৪ শতাংশ কমেছে। আর স্থায়ী পদ্ধতি নেওয়ার হার কমেছে ৩৩ শতাংশ।

দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী পদ্ধতির ৯০ শতাংশের বেশি সেবা দিয়ে থাকে সরকারি সেবাকেন্দ্র। বেসরকারি সংস্থা সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানিও (এসএমসি) কিছু সেবা দিয়ে থাকে।

ঢাকায় কমেছে যে কারণে :  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যঝুঁকি, যৌন অক্ষমতা, ভবিষ্যতে সন্তান নিতে পারবেন না-অনেকের মধ্যে এমন ভুল ধারণা রয়েছে। এসব ধারণা ভাঙাতে সরকারের যথাযথ উদ্যোগ নেই।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের জন্মনিরোধ সেবা ও সরবরাহ কর্মসূচি (সিসিএসডিপি) ইউনিটের সহকারী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, দীর্ঘমেয়াদি সেবার ক্ষেত্রে সরকারি সুবিধা গ্রামপর্যায়ে বেশি। ঢাকাসহ অন্যান্য সিটি করপোরেশন এলাকায় এ সুবিধা কম। তবে প্রশিক্ষণ, বিলবোর্ড, বিজ্ঞাপন, টক শো ইত্যাদি উপায়ে দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতির বিষয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে।

সচেতনতা বাড়াতে হবে : স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সংগঠন অবসটেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) সভাপতি অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগম বলেন, কনডমে ৮ শতাংশ অকার্যকারিতা আছে। খাওয়ার বড়িতে ৯৯ শতাংশ কার্যকারিতা থাকলেও বেশির ভাগ নারী নিয়ম মেনে সেবন করেন না।

ফেরদৌসী বেগম বলেন, অপরিকল্পিত গর্ভধারণে নারীর স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে, শিশুটিরও যত্নের ঘাটতি হয়। অস্ত্রোপচারে সন্তান জন্ম দেওয়া (সি সেকশন) নারী বারবার গর্ভধারণ করলে প্লাসেন্টা আক্রিটা সিনড্রোম বা পিএএস দেখা দেয়। এটা একধরনের অস্বাভাবিক গর্ভধারণ। এতে জরায়ুতে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা নিতে সচেতনতা বাড়াতে প্রচার দরকার।


আরও খবর

তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকার উপায়

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




শ্রীনগরে চাঁদাবাজি মামলায় রাসেল গ্রেফতার রাকিবসহ অন্যান্যরা পলাতক

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

শ্রীনগর(মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে চাঁদাবাজি মামলার আসামী রাসেল মোড়ল(৩৮) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২নং আসামী রাকিব, অমিত খান,ইব্রাহীমসহ অন্যান্যরা পলাতক রয়েছে।

বুধবার সকালে শ্রীনগর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস এলাকায় থেকে শ্রীনগর থানা পুলিশ রাসেল মোড়লকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেন। এসময় ঐ মামলারন অন্যান্য আসামীরা কৌশলে পালিয়ে যায়।

গ্রেফতারকৃত আসামী রাসেল মোড়ল উপজেলার শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়নের সেলামতি স্বাগতমপাড়া এলাকার ইয়াছিন মোড়লের ছেলে। পলাত আসামী রাকিব শ্রীনগর ইউনিয়নের হরপাড়া এলাকার ইদ্রিসের ছেলে,অমিত খান রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের দক্ষিন রাঢ়ীখাল এলাকার মৃত মোতালেব খানের ছেলে বর্তমানের শ্রীনগর গোল্ডেনসিটি এলাকার ভাড়াটিয়া ও ইব্রাহী সেলামতি স্বাগতমপাড়ার আব্দুল আলীর ছেলে।

মামলা সুত্রে জানা যায়, বাদীনি মাহমুদা আক্তার এর স্বামী ফরিদুল জীবিকার তাগিদে মালয়েশিয়াতে থাকেন। গ্রেফতার আসামী রাসেল মোড়লসহ রাকিব,অমিত খান ও ইব্রাহীমগং সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ, ভুমিদুস্য প্রকৃতির লোক হওয়ায় এলাকায় বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকায় ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। বাদীনি স্বামী বিদেশে থাকায় আসামীগণ তার বাড়িতে গিয়ে বলে এলাকায় শান্তিতে থাকতে হ়লে তাদেরকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে। তানা হলে শান্তিতে থাকতে দিবে না বলে হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। ঘটনার দিন গত ৩০শে মার্চ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আসামীগণসহ আরো অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০জন হাতে রামদা, শাবল, বটি, কোদাল ইত্যাদি নিয়ে বাদীনির বসত বাড়িতে গিয়ে চাঁদার টাকার জন্য বাদীনিকে গালিগারাজ শুরু করে। বাদীনি দক্ষিন ভিটির ঘর হতে বের হয়ে আসামীদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করায় আসামী রাকিব তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্য মাথার কোপ মেরে মারাত্বক আহত করে। এক পর্যায়ে বাদীনির পড়নের কাপড় দিয়ে তার হাতমুখ বেধে রেখে ঘরে থাকা আলমারী, সুকেস, ওয়ারড্রপ ও ৩ ভরি স্বর্ণালকারসহ বাদীনির উত্তর ভিটির একটি দেড়তলা টিনের বসতঘর ভেঙ্গে নিয়ে যায়।  পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় বাদীনিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। বাদীনি সুস্থ্য হয়ে ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ দিলে শ্রীনগর থানার মামলা নং-১৮(৫)২৪ রুজু হয়। 

মামলা তদন্তকারী অফিসার শ্রীনগর থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) আরিফুল ইসলাম বলেন, মামলার ১নং আসামী রাসেল মোড়লকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। রাকিব, অমিত খানসহ অন্যান্য পলাতক আসামীদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।


আরও খবর



ঢাকায় প্রথম রিকশা প্রচলনের ইতিহাস এবং দেশে দেশে রিকশার বৈচিত্র্যময় নাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

প্রাচীনকাল থেকেই জাপানে রিকশা প্রচলনের কথা জানা যায়। রিকশা শব্দটি জাপানি, যা জিনরিকিশা থেকে আগত। জিন শব্দের অর্থ মানুষ, রিকি অর্থ শক্তি, শা অর্থ বাহন। একসঙ্গে অর্থ দাঁড়ায় মানুষ্য শক্তি দিয়ে চালিত বাহন। 

মূলত উনিশ শতকের শেষে চাকা আবিষ্কারের ধারাবাহিকতায় রিকশার উত্থান। রিকশার প্রচলন প্রথম কে করেন, তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। ধারণা করা হয়, ১৮৭০ সাল নাগাদ জাপানের সিমালয়ে মিশনারি হিসেবে কাজ করা মার্কিন নাগরিক জোনাথন স্কোবি এর উদ্ভাবন করেন। 

তখনকার রিকশাগুলো তিন চাকার ছিল না। দুই দিকে দুই চাকা আর সামনের চাকার বদলে একজন মানুষ ঠেলাগাড়ির মতো এটি ঠেলে নিয়ে যেত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জ্বালানি সংকটের কারণে জাপানে রিকশা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেলেও এখন জাপানে রিকশার প্রচলন নেই।

বাংলাদেশে রিকশা জাপান থেকে আসেনি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশের পরে বাংলাদেশে রিকশার আগমন। বিশ শতকের শুরুর দিকে অবিভক্ত বাংলার কলকাতায় রিকশার প্রচলন শুরু হয়। একই সময় বার্মার রেঙ্গুনে রিকশা বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। 

ধারণা করা হয় ১৯১৯ বা ১৯২০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে রিকশার আগমন বার্মার রেঙ্গুন থেকে চট্টগ্রাম হয়ে। যদিও ঢাকায় এর আগমন ঘটে কলকাতা থেকে। ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জের ইউরোপীয় পাট ব্যবসায়ীরা তাঁদের নিজস্ব ব্যবহারের জন্য কলকাতা থেকে ঢাকায় রিকশা নিয়ে আসেন। অনেকের মতে, ঢাকায় রিকশার লাইসেন্স দেয়া হয় ১৯৪৪ সালের দিকে।

অন্য সূত্র হতে জানা যায়, ঢাকায় প্রথম রিকশা আসে ১৯৩৬ বা ১৯৩৭ সালে। সেই সময়ে চন্দননগর এলাকায় ছিল ফরাসি উপনিবেশ এবং তাদের প্রভাব। তখনই ঢাকার মৌলভীবাজারের দুজন সেখান থেকে নিয়ে আসেন দুটি ‘সাইকেল রিকশা’। এই দুই রিকশার দাম পড়েছিল ১৮০ টাকা। 

ব্যবসার জন্য রিকশা আনা হলেও প্রথমদিকে তা সুখকর হয়নি। ব্যবসা জমাতে বেশ বেগ পেতে হয় তাদের। কারণ অন্যের ঘাড়ে চেপে চলতে লোকেরা প্রথমে লজ্জা পেতো। কেউ রিকশায় চললে রাস্তার ছেলেরা পিছনে ছুটত।মৌলভীবাজারের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে অনেকেই রিকশা আমদানি করতে থাকেন। সেই সময়ে একজন রিকশাচালক দিনে ৩টাকা থেকে সাড়ে তিন টাকা উপার্জন করতেন।

চাহিদা বাড়ছে দেখে ঢাকার মিস্ত্রীরা নিজেরাই রিকশা বানানোর কাজ শুরু করে। যেসব মিস্ত্রীরা আগে সাইকেল সারাইয়ের কাজ করতো তারাই এ কাজ শুরু করে। স্থানীয় মুসলিম এবং বসাকরা এই কাজে পারদর্শী ছিলো। 

অল্প সময়েই তারা নতুন জিনিস আয়ত্ব করে নিতেো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রিকশা তৈরির কাজ ব্যাপকভাবে চলতে থাকে। কারণ তখন বাইরে থেকে রিকশা আনা সম্ভব ছিল না। পরে শুরু হয় ওই রিকশায় বাহারি রঙ করে আকর্ষণীয় করে তোলার কাজ।

১৯৪১ সালে ঢাকায় রিক্সার সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৭টি। ১৯৪৭ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮১টি। বর্তমানে ঢাকাতেই ৩ থেকে ৭ লাখ রিক্সা রয়েছে। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, ঢাকায় কমপক্ষে ৫ লক্ষাধিক রিক্সা চলাচল করে।

ঢাকার ৪০ শতাংশ মানুষ রিক্সায় চলাচল করে।রিকশার আকার, গঠন বিভিন্ন রকম হওয়ায় দেশভেদে এর ভিন্নতা রয়েছে। চীনে সানলুঞ্চে, কম্বোডিয়ায় সিক্লো, মালয়েশিয়ায় বেকা, ফ্রান্সে স্লাইকো নামে রিকশা অধিক পরিচিত। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এটি পেডিক্যাব নামেও পরিচিত। 


ছবি: জাপানী রিকশা (আনুমানিক ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দ)


আরও খবর



কৃষি প্রতিবেশ বিদ্যা চর্চা দুর্যোগ মোকাবেলায় সহায়ক বিষয়ে কর্মশালা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:

নেত্রকোনায় কৃষিপ্রতিবেশ,জলবায়ু ন্যায্যতা ও খাদ্যসার্বভৌমত্ব পরিস্থিতির উপর অনলাইন ও নাগরিক সাংবাদিক নিয়ে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।


গত ২৭-২৮ মার্চ জেলার আটপাড়া উপজেলার রামেশ্বরপুরে বারসিক নেত্রকোনা রিসোর্স সেন্টারে গ্লোবাল গ্রীন গ্রান্ডস ফান্ড ইউ এস এ আর্থিক সহযোগিতায় দুইদিন ব্যাপ্তী এই কর্মশালার আয়োজন করে বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক।


নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া,আটপাড়া,নেত্রকোনা সদর,মোহনগঞ্জ,কলমাকান্দা,পূর্বধলা ও মদন উপজেলার  ২৫ জন সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সহায়কের ভূমিকা পালন করেন প্রাণবৈচিত্র্য ও খাদ্যনিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক,

সৈয়দ আলী বিশ্বাস এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বারসিক নেত্রকোনার আঞ্চলিক সমন্বয়কারী অহিদুর রহমান।


কর্মশালায় সাংবাদিকরা নিজ এলাকার কৃষি,পরিবেশ,ফসলবৈচিত্র্য,নদী,হাওর,জলাধার,গাছ,মাছ,প্রাণিসম্পদ, মাটি,পানি,বায়ু, বর্তমান পরিস্থিতি ও অতীতের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। সহায়ক সৈয়দ আলী বিশ্বাস কৃষি প্রতিবেশবিদ্যা, জলবায়ূ ন্যায্যতা ও খাদ্যসার্বভৌমত্ব বিষয়ে আলোচনার পর অংশ্রহণকারীরা নেত্রকোনা  অঞ্চলের কৃষিপ্রতিবেশ অবক্ষয়ের বিষয়টি তুলে ধরেন। 


আলোচনায়‘এগ্রোইকোলজি’ বা কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা হলো বিজ্ঞান, নীতি—দর্শন, অনুশীলন—চচার্ এবং জনআন্দোলনের বিষয়,জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে নেত্রকোনা অঞ্চলে দুর্যোগ,কৃষি ফসলের ক্ষেত্রে সংকট,বৈচিত্র্যতা কমে যাওয়াসহ প্রকৃতিগত বিপর্যয়   বিষয়গুলো উঠে আসে। টেকসই খাদ্যব্যবস্থা রূপান্তরের জন্য উপযোগী কাঠামোকে বুঝতে সহায়তা করে কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা। কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা সামাজিক ও রাজনৈতিক মাত্রাগুলোকে সন্নিবেশন করে আঞ্চলিক খাদ্যব্যবস্থার সুশাসনকে নিশ্চিত করে, যা খাদ্য সার্বভৌমত্বের আন্দোলনকে বেগবান করার কথা আলোচনায় উঠে আসে।


আলোচনায় যেসব বিষয় ওঠে আসে তা হলো, প্রান্তিক কৃষকদের অধিকার  সুরক্ষা, কৃষকের স্থানীয় বীজসম্পদ সংরক্ষণ, কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা চর্চা, জৈবকৃষি চর্চা, ভূ গর্ভের পানির ব্যবহার কমিয়ে আনা, ফসলবৈচিত্র্য বৃদ্ধি করা, জৈবকৃষি চর্চাকে সম্প্রসারণ, কৃষকের মাঝে সচেতনতা তৈরী, জলাধার গুলোকে খনন ও সুরক্ষা করা, জনআন্দোলন শুরু করা, মাটিকে ভালো রাখার জন্য, জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিত করা।


সংবাদকর্মীরা নিজ নিজ এলাকার পরিবেশ প্রকৃতি,কৃষি,জলাভূমি, বিল গাছ,মাছ,মাটি পানি বায়ুর সংকটগুলো তুলে আনেন এবং প্রত্যেকেই এলাকার বিষয়গুলো প্রতিবেদন আকারে লিখে উপস্থাপন করেন। এলাকার পরিবেশগত সংকটগুলো সমাধান করলে ও চর্চা করলে কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা সুরক্ষিত হবে। কৃষিপ্রতিবেশ সুরক্ষিত হবে বাস্তুতন্ত্র ঠিক থাকবে এবং  কৃষকের খাদ্যসার্বভৌমত্বও নিশ্চিত হবে। 


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে রাজধানীর নিরাপত্তা জোরদার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

ঈদের আনন্দ পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। ফাঁকা ঢাকায় অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোনো ঘটনা মোকাবিলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বৈঠক হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ও নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে। চুরি ছিনতাইসহ ঈদকেন্দ্রিক সব ধরনের অপরাধ দমনে দেয়া হয়েছে একগুচ্ছ নির্দেশনা। মহাসড়কেও ডাকাতি ছিনতাই রোধে নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

গ্রামে ছুটছে মানুষ। উপলক্ষ ঈদ, তাই আগ্রহটাও বেশি, সংখ্যাও অনেক। তবে এবারের ঈদে মানুষ ঢাকা ছাড়ছে অন্যান্য বারের চেয়ে কিছুটা বেশি। কারণ লম্বা ছুটি।

ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা সাধারণ মানুষের চাপও বাড়ছে। এতে ফাঁকা হতে শুরু করেছে রাজধানী। আর ফাঁকা ঢাকায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা অপ্রতাশিত নয়। বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে স্বর্ণের দোকান ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা বেশি ঘটে। মহানগর পুলিশ বলছে, এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে। বৈঠক হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ও নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে। দেয়া হয়েছে একগুচ্ছ নির্দেশনা।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, বাড়িওয়ালা এবং দোকান মালিকদের নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথার্থ করে রাখার কথা বলা হয়েছে। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার, অফিসার ইনচার্জ, বিওপি (বর্ডার আউটপোস্ট) পুলিশ অফিসারদেরকে এ বিষয়ে বলা হয়েছে।

পুলিশ বলছে, ১৪টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে নগরবাসীকে। এর মধ্যে অন্যতম অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি।

এ বিষয়ে ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ঢাকার বাসিন্দাদেরকে খুব দামি জিনিসপত্র থাকলে সেটিকে সাবধানে রাখতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া যারা গ্রামে যাচ্ছেন, তারা প্রত্যেকে যেন গ্যাসের চুলাগুলো বন্ধ করে যান। গ্যাস সিলিন্ডার থাকলে যেন সাবধানে নিরাপদ জায়গায় বন্ধ করে রেখে যান।

এদিকে হাইওয়েতে ডাকাতি, ছিনতাইরোধে তৎপর আছে পুলিশ। ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।

ঢাকার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ঈদযাত্রা যেন সুন্দর, নির্বিঘ্ন এবং যানজটমুক্তভাবে নিরাপদে আনন্দমুখর পরিবেশে হয়, সেটি নিশ্চিত করতে আমাদের জেলা পুলিশের ১ হাজার ২০০ সদস্য ট্রাফিক এবং নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত থাকবেন।

সব ব্যাংক এবং এটিএম বুথের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের পাশাপাশি ঢাকায় প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার পথে থাকছে ২৪ ঘণ্টার চেকপোস্ট।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




ভুলভাবে রাঁধা ভাতে হতে পারে ক্যান্সার!

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

পৃথিবীর অনেক দেশের মানুষেরই প্রধান খাদ্য ভাত। কিন্তু এই ভাতও ডেকে আনতে পারে নানা ধরনের বিপদ। রান্নার পদ্ধতিগত ভুলের কারণেই এই সমস্যা হতে পারে। তেমনই বলছে হালের গবেষণা।

সম্প্রতি ইংল্যান্ডের কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন গবেষক সারা পৃথিবীর নানা প্রান্তের চালের নমুনা নিয়ে গবেষণা করেছেন। দেখা গেছে, মোটামুটি বেশির ভাগ জায়গার চালেই নানা ধরনের কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। আর্সেনিক জাতীয় এই কীটনাশক শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

এই রাসায়নিক শরীরে গেলে কী হতে পারে?

গবেষকরা দেখিয়েছেন, আর্সেনিক জাতীয় এই রাসায়নিক শরীরে গেলে বিষক্রিয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে খুব অল্প পরিমাণে গেলে, তা সহজে টের পাওয়া যায় না। বহু দিন পরে তার প্রভাব বোঝা যায়। টানা বহু বছর ভাতের মাধ্যমে এই রাসায়নিক শরীরে গেলে তা ক্যান্সারের আশঙ্কাও বাড়িয়ে দেয়।

কী পদ্ধতিতে রান্না করলে এ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে?

দেখা গেছে, রান্নার আগে চাল ভিজিয়ে রাখলে তা থেকে আর্সেনিক আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসে। বেশিরভাগ জায়গাতেই রান্নার আগে চাল ভিজিয়ে রাখা হয়। কিন্তু গবেষকদের বক্তব্য, অন্তত ৮-৯ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে চাল। তার কমে লাভ হবে না। ৮ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত আর্সেনিক চাল থেকে বেরিয়ে যেতে পারে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। সে ক্ষেত্রে ক্যান্সারজাতীয় অসুখের আশঙ্কা কমবে।

 


আরও খবর

গরমে কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

বিভিন্ন দেশে ঈদের জনপ্রিয় খাবার

শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪