Logo
শিরোনাম

জটিল রোগের চিকিৎসা দেশেই সম্ভব: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের নানামুখী চেষ্টায় প্রান্তিক মানুষের দোর গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে গেছে। হৃদরোগ ও জটিল নানা রোগের চিকিৎসা ও পরীক্ষা নিরীক্ষা এখন দেশেই সম্ভব উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য মানুষের বিদেশ মুখী হবার প্রয়োজনীয়তা কমে এসেছে। রাজধানীতে কার্ডিওভাসকুলার আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেয়া ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয় হৃদরোগজনিত কারণে। বাংলাদেশে মোট মৃত্যর প্রায় ৭৩ শতাংশই অসংক্রামক রোগে। যার ৩০ শতাংশের কারন হৃদরোগ।

হৃদরোগের ভয়াবহতা ও চিকিৎসার খুঁটিনাটিঁ নিয়ে সোনারগাঁ হোটেলে আয়োজিত; আন্তর্জাতিক কার্ডিওভাসকুলার সায়েন্টিফিক সম্মেলন ভিডিও বার্তার মাধ্যমে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বলেন, হৃদরোগের চিকিৎসায় দেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। সরকারি সব হাসপাতালে এ রোগের উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে। বিশেষায়িত হাসপাতালও নির্মাণ করা হয়েছে।

দেশেই এখন জটিল রোগের চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্ভব উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের নানামুখী পদক্ষেপে স্বাস্থসেবা এখন প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌছে গেছে।

সম্মেলনে অংশ নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বললেন, শারীরিক পরিশ্রম না করা ও খাদ্যভাসসহ নানা কারণে এখন সববয়সী মানুষেরই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে।

সম্মেলনে দেশ বিদেশের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকরা অংশ নেন।


আরও খবর



বিশ্ব জলবায়ুর নেতিবাচক আচরণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আগামীর বাংলাদেশে ব্যাপক অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, অসময়ে প্রবল বন্যা, মরুময়তা, ঘূর্ণিঝড়, নিম্নচাপ, খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্র্যোগের সম্ভাবনা ইতোমধ্যে লক্ষ করা গেছে। সম্প্রতি আমাজনের জঙ্গলের তীব্র আগুন এবং বাহামা দ্বীপপুঞ্জে প্রবল ঘূর্ণিঝড় বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের বিধ্বংসী প্রভাবের প্রমাণ। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশগত সমস্যা পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে প্রকট।

 

ভৌগোলিক অবস্থান, ঘন জনবসতি, জীবিকার জন্য প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীলতা এবং দারিদ্র্যসহ নানা কারণেও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্বের বিচারে দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকা, পূর্বাঞ্চলের হাওর-বাঁওড়, উত্তরাঞ্চলের খরাপ্রবণ এলাকা বিশ্বের সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ।


জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতেও শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ হিসেবেও বাংলাদেশের নাম রয়েছে সর্বাগ্রে। ভূ-গর্ভ থেকে অতিরিক্ত পানি উত্তোলনের ফলে পানির স্তর ক্রমশ নিচে নেমে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের তথ্যানুসারে, ঢাকা শহরের পানির স্তর বর্তমানে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭০ ফুটের অধিক নিচে। বিগত ৫০ বছরে ধ্বংস হয়ে গেছে বাংলাদেশের ৫২০টি নদী। এক আন্তর্জাতিক গবেষণার তথ্য মতে, ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। জলবায়ুর আমূল পরিবর্তনের কারণে বন্যা ও খরার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। উত্তাপ বাড়ার কারণে হিমবাহের গলন আরও বাড়বে। হিমালয় অঞ্চলে তৈরি হবে অসংখ্য হিমবাহ লেক।

এসব লেকে বিস্ফোরণ হলে মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বাংলাদেশ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ব-দ্বীপ বাংলাদেশ, এখানে জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিজনিত বিভিন্ন হুমকি ও চ্যালেঞ্জের ঝুঁকি অধিক। সেক্ষেত্রে জলবায়ুর চরমভাবাপন্ন বৈরী আচরণ এবং পরিবেশের অবনমন টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে চ্যালেঞ্জস্বরূপ।

জলবায়ু বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্যানেলের (আইপিসি) সম্প্রতি রিপোর্টে উল্লিখিত জাতিসংঘের বিজ্ঞানীদের একটি প্যানেল হুঁশিয়ার করেছে, মানুষের নানা কর্মকাণ্ডের পরিণতিতে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে দ্রুত সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে এবং প্রতিনিয়ত বরফ গলছে। মেরু অঞ্চলের বরফের আচ্ছাদন বিলীন হওয়ার কারণে কার্বণ নিঃসরণের মাত্রাও বেড়ে চলছে। বিভিন্ন জীবজন্তুর আবাসস্থল বদলাচ্ছে। এই শতকের শেষ ভাগে যদি বিশ্বের তাপমাত্রা ১.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায় তবে তার পরিণতি কী হতে পারে সে বিষয়ে বিজ্ঞানীরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

ভীতিকর দিক হচ্ছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সমুদ্র এবং বরফে আচ্ছাদিত অঞ্চলের বরফ দ্রুত গলার ফলে প্রাণিজগতের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। মানুষের নানা কর্মকাণ্ডে পরিবেশে যে বাড়তি তাপ তৈরি হচ্ছে তার ৯০ শতাংশই শুষে নেয় সাগর। ১৯৯৩ সাল থেকে শুষে নেওয়ার এই মাত্রা দ্বিগুণ বেড়েছে। একই সঙ্গে গলছে অ্যান্টার্কটিকা এবং গ্রিনল্যান্ডের বরফও। দেখা গেছে, ২০০৭ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত যে হারে অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলছে তা তার আগের ১০ বছরের তুলনায় তিনগুণ।

জানা যায়, সারা বিশ্বে ১ লাখ ৭০ হাজার হিমবাহ রয়েছে, যা পৃথিবীর ৭ লাখ ৩০ হাজার বর্গকিলোমিটার জায়গাজুড়ে বিদ্যমান। এ থেকে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির হার ৭ সেন্টিমিটার। বিশেষ করে, আন্দিজ, মধ্য ইউরোপ ও উত্তর এশিয়ায় যেসব হিমবাহ রয়েছে, সেগুলোর বরফ ২১০০ সাল নাগাদ ৮০ শতাংশ গলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর এসব বরফগলা পানি গিয়ে পড়বে সাগরে। ফলে সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা সহজেই অনুমেয়। আইপিসির শেষ রিপোর্টে জানা যায়, সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা ১.১ মিটার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে যা আগের ধারণার চেয়ে ১০ সেন্টিমিটার অধিক। আর তা হলে মারাত্মক পরিবেশ ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বিশ্বের এক ডজনের বেশি বড় বড় শহর। পরিবেশবাদীদের আশঙ্কা, সাগরের উচ্চতা বাড়লে নিচু উপকূলীয় এলাকার ৭০ কোটি মানুষ বিপদে পড়বে। সাগরের তাপমাত্রা বাড়লে আবহাওয়াও দিন দিন বিরূপ আচরণ শুরু করবে।

জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়ও বেড়ে যাবে। ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের বেশকিছু জায়গায় বড় ধরনের জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কাও করছেন বিজ্ঞানীরা। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্তি নেই স্থলভাগের খুব ভেতরের বসবাসরত মানুষগুলোর। বন্যায় ক্ষতির মাত্রা বেড়ে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ হয়ে যেতে পারে। সাগরের ৯০ শতাংশ প্রবাল বিলীন হতে পারে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে। মাছের শরীরে পারদের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, জলজ প্রাণীর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বাড়তি তাপ। সাগরের তাপমাত্রা কমিয়ে রাখতে রয়েছে বেশকিছু করণীয়। তার জন্য কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমপক্ষে ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে ২০৩০ সালের মধ্যে।

বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় পরিবেশবান্ধব অর্থনীতি নিশ্চিতকরণের জন্য জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা, কার্বন নিঃসরণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমানোর কোনো উদ্যোগ লক্ষ করা যায়নি। অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ বন্ধে এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা দিতে অর্থ বরাদ্দে আজও তেমন সাফল্য অর্জিত হয়নি। আইনি কাঠামো বাস্তবায়নে তেমন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্যে আসেনি অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলো। অথচ প্যারিস সম্মেলনে ২০১৫ সালের মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণতা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি না বাড়ার বাধ্যতামূলক চুক্তিরও সিদ্ধান্ত ছিল।

এ ছাড়াও বৈশ্বিক উষ্ণায়ন প্রতিরোধে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার লক্ষ্য নির্ধারণে ধনী দেশগুলো ২০২০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ শতকরা ৪০ ভাগ কমিয়ে আনার কথা ছিল। চুক্তিতে আইনি বাধ্যবাধকতার মধ্যে এনে কোপেনহেগেন গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড গঠনেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব উদ্যোগ উষ্ণায়ন রোধে তেমন কার্যকর ভূমিকা রাখেনি। সেই চুক্তির ফলে কার্বন নির্গমন ২০৫০ সালের মধ্যে কার্যত শূন্যে নামিয়ে বিভিন্ন দেশকে এই মুহূর্তে কার্বন নির্গমন ব্যাপক হারে কমানো জরুরি হয়ে পড়েছে। কার্বন নিঃসরণ কার্যকরভাবে বন্ধ বা হ্রাস করা সম্ভব না হলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব বর্তমান শতাব্দীতে তীব্রতর হতে থাকবে।
 
ভবিষ্যতে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং যেসব অঞ্চলে পর্যাপ্ত ক্ষতি হয়েছে সেখানে অভিযোজন ব্যবস্থা গ্রহণে বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসতে হবে ।

প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী উন্নয়নশীল বা অনুন্নত দেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অভিযোজন প্রক্রিয়ায় এবং বিকল্প জ্বালানির সন্ধানে সহায়তার লক্ষ্যে উন্নত বা তুলনামূলক ধনী দেশ ২০২০ সাল থেকে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা এবং এই অর্থের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধির যে প্রস্তাব রয়েছে তা বাস্তবায়ন আবশ্যক। বর্তমান জ্বালানি ব্যবস্থার কাক্সিক্ষত পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে জ্বালানি সংরক্ষণ, গতানুগতিক জ্বালানি চাহিদা হ্রাস, বিদ্যমান যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি দক্ষতার উন্নয়ন, জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার জোরদার করাও জরুরি। বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাব প্রতিরোধ নিশ্চিত করে সামষ্টিক উন্নয়নে সাহায্য-সহযোগিতা বিনিময়, উন্নত বিশ্বের কার্বন নিঃসরণ, জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ন্ত্রণসহ পরিবেশবান্ধব টেকসই উন্নয়ন অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।

 বাংলাদেশে খরাসহিষ্ণু কৃষিপণ্য উৎপাদন, আধুনিক পদ্ধতিতে শস্য ও বীজ সংরক্ষণসহ কৃষিজমি রক্ষার্থে বনভূমি উজাড়, জলাধার ভরাট বন্ধ করা ভিন্ন কোনো বিকল্প নেই। ব-দ্বীপ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য প্রকল্পিত দীর্ঘ মেয়াদি ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০, নীতি এবং অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ডেল্টা ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ্রোচ গ্রহণ পরিবেশের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে হবে।

চরম ঝুঁকির মধ্যে থাকা মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় চ্যালেঞ্জ। জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা মানুগুলোকে বাঁচাতে না পারলে বিশ্বসভ্যতাই হুমকির মুখে পড়বে। ইন্টারন্যাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টারের হিসাব অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গত ৬ বছরে বাংলাদেশের ৫৭ লাখ মানুষ গৃহহারা হয়েছে। ঢাকার বস্তি এলাকায় বাসবাসকারীদের প্রায় ৭০ শতাংশ পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে স্থানান্তরিত হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএমও। জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের সম্মুখীন হন বাংলাদেশের নারীরা।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের ৮০ শতাংশই নারী। জলবায়ু, খাদ্য উৎপাদন ও নারী- তিনটি একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ১৯ জেলাধীন ১৪৭ উপজেলায় ২০১১ সালের আদমশুমারির ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের মধ্যে ৪৯ শতাংশ নারী। নিমজ্জিত নিম্নাঞ্চলে লবণাক্ত পানি বৃদ্ধির কারণে সেখানে বসবাসরত জনগোষ্ঠী পরিবেশগত, অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্যগতসহ জীবন-জীবিকাজনিত নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন। ফলে ঘটছে তাদের পেশার পরিবর্তন। কর্মস্থানের খোঁজে ত্যাগ করছে পুরান আবাসভূমি। বাড়ছে কর্মস্থানহীনতা, পরিবর্তন হচ্ছে তাদের জীবন ও জীবিকা এবং পেশার ধরন।

আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ও রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ২০১৫ সালে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) রোডম্যাপ চূড়ান্ত করে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারী ও শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নারী ও শিশুর সামাজিক সুরক্ষাকরণ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও আন্তর্জাতিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশ।


আরও খবর



প্রাথমিক শিক্ষায় দেশ সেরা হওয়ায় গাড়ী বহর নিয়ে সংবর্ধনা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

কুমিল্লা ব্যুরো :

প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে বাংলাদেশের সেরা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন।

ঢাকা ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ও প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে এ পদক গ্রহণ করেন তিনি।

এদিকে প্রাথমিক শিক্ষায় দেশ সেরা হাওয়ার খবরে বিশাল গাড়ী বহর নিয়ে সংবর্ধনার আয়োজন করেন দাউদকান্দি উপজেলাবাসী। দুপুরে দেশ সেরা চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন ঢাকা থেকে পদক নিয়ে দাউদকান্দি টোলপ্লাজা এলাকায় আসলে কয়েক হাজার লোকজন তাকে ফুল ছিটিয়ে অভিনন্দন জানান। 

পরে সহস্রাধিক মোটরসাইকেল ও বাড়ী বহরের একটি দল মহাসড়ক দিয়ে মিছিল নিয়ে ঘুরে গৌরীপুর বাজার হয়ে দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে একত্রিত হয়। এসময় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ চেয়ারম্যানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। 

উল্লেখ্য মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন দাউদকান্দিতে প্রাথমিক শিক্ষার ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়েছে। ইতোমধ্যে তিনি জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। 

ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে শতভাগ রঙিন বই নিশ্চিতকরণ, স্কুল ড্রেস, কাব ড্রেস, ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ, বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণ, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, পর্যাপ্ত শিক্ষকসহ বিভিন্ন রকমের উন্নয়নমূলক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন তিনি।


আরও খবর



আগামী সপ্তাহে আঘাত হানতে পারে কালবৈশাখী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

মুন্সি মো: আল ইমরান :বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে একাধিক জেলায় আগামী সপ্তাহে কালবৈশাখীর আশঙ্কা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তা গণেশ কুমার দাশ হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, উত্তর প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র পর্যন্ত একটি গভীর অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে। তাই বিহার, ছত্তিশগড়ের দিকে আবহাওয়া সংক্রান্ত কিছু গতিবিধি ধরা পড়ছে, যা ধীরে-ধীরে পশ্চিমবঙ্গের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

শনিবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের কয়েকটি জায়গায় বজ্রবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদের কয়েক জায়গায় ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, শনিবার কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ যে অক্ষরেখা রয়েছে, তা এত নিচে নামবে না। সেটি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূমের পর বাংলাদেশের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর বলছে, আগামী সপ্তাহে বুধবার ও বৃহস্পতিবার কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এটি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে আঘাত হানতে পারে। পরবর্তীতে আরও নিখুঁতভাবে কালবৈশাখীর পূর্বাভাস দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা।

১) ১৭ ও ১৮ মার্চ কালবৈশাখী ঝড় বাংলাদেশে প্রবেশ করার আশঙ্কা বেশি রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে, যা পরবর্তীতে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দিকে অগ্রসর হতে পারে। এই দুদিন ব্যাপক বজ্রপাত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে এই দুই দিনে ২০২৩ কালবৈশাখী মৌসুমে বজ্রপাতের কারণে প্রথম মানুষ মারা যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এই দুই দিনে সকাল ৯টার পর থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ জেলায় তীব্র বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে। রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে এই দুই দিন তীব্র বজ্রপাতের ঝুঁকি, সেই সঙ্গে বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যুর প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।

২) ১৮ ও ১৯ মার্চ বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও তীব্র বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে।

দিনের বেলায় দেশের সব জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট ও রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে কালবৈশাখীর তীব্রতা সবচেয়ে বেশি হতে পারে।

 


আরও খবর



সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ, নিহত ৩

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭১জন দেখেছেন

Image

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কদমরসুলপুর এলাকায় একটি অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সেখান থেকে আগুনে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দগ্ধ হয়েছেন ১৫ জন।

শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কুমিরা ফায়ার স্টেশনের কয়েকটি গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করছে।

সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. ফজলে রাব্বি বিস্ফোরণের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

এদিকে, কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সুলতান মাহমুদ বলেন, বড় ধরনের বিস্ফোরণ হয়েছে। আমরা ঝুঁকির মধ্যে কাজ করছি।

বিকট শব্দে এ বিস্ফোরণের ঘটনায় আশপাশের এলাকা কেঁপে ওঠে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশিক বলেন, এখন পর্যন্ত মেডিকেলে ১০ জন আসছে। ৩ জন মারা গেছে। মৃত দেহ জরুরি বিভাগে আছে।


আরও খবর



অবৈধ বিশ হাজার সিএনজি ঢাকায়

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ২৫১জন দেখেছেন

Image

নুর মোহাম্মদ মিঠু :

মিটার নেই, নেই রুট পারমিট, এমনকি বাণিজ্যিকভাবে চলাচলের অনুমতিও নেই Ñএরকম ২০ হাজার অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ঢাকার সড়ক। ঢাকা মহানগরীর বৈধ সিএনজিগুলো মিটারে না চললে শাস্তির মুখোমুখি হলেও অবৈধ এসব সিএনজি বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে চলছে বহাল তবিয়তে। দীর্ঘদিন ধরেই এর নেপথ্যে রয়েছে শক্তিশালী একটি দালালচক্র। যে চক্রের মাধ্যমে অবৈধ সেসব সিএনজি অটোরিকশায় নগরীতে বাড়ছে বিশৃঙ্খলা, যানজট, চুরি, ছিনতাই ও রাহাজানি। জানা গেছে, মেট্রোর কালার পরিবর্তন করেই ঢাকা মহানগরীতে চলছে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী ও মুন্সিগঞ্জ জেলার ২০ হাজার অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা। এদের দাপটে অনেকটাই কোনঠাঁসা ঢাকায় বাণিজ্যিকভাবে চলাচলের জন্য অনুমোদিত পনের হাজার সিএনজি অটোরিকশার মালিক-চালকরাও। যদিও রহস্যজনক কারণে সেই দালাল চক্রের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে না কোনো ব্যবস্থা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বৈধ চালক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। এ নিয়ে বৈধ চালকদের মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও বিআরটিএ বলছে,......।

সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের দপ্তরে পৃথক দুটি অভিযোগ করে নিবন্ধিত শ্রমিক সংগঠন ঢাকা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের বেশকটি জেলার সিএনজি অটোরিকশা ঢাকা মহানগরীতে চলাচলের জন্য অনুমোদিত নয়। অননুমোদিত হলেও এমন ২০ হাজার সিএনজি অটোরিকশা ঢাকায় চলাচল করছে শুধুমাত্র দালাল চক্রের নেতৃত্বে। যে চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যাত্রাবাড়ী এলাকার বিদ্যুৎ গলির তাছলি। চক্রের সক্রিয় সদস্য রয়েছেন বাড্ডার ৩৯৫ স্বাধীনতা স্বরনীর জাহাঙ্গীর আলম, জয়নাল আবেদীন বাবু ও বাড্ডার বাগানবাড়ী এলাকার তোফাজ্জাল। এছাড়াও ওই চক্রে রয়েছেন আনোয়ার ভান্ডারী, আকাশ, শাহিন, বাড্ডার স্বপন চৌধুরী, রনি, রুবেল, বাড্ডার গোলাম মোয়াজ্জেম ও একই এলাকার বিল্লাল হোসেন। চক্রটির যোগসাজসেই ঢাকার বাইরের সিএনজি অটোরিকশায় ঢাকা মেট্রোর রং করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মহানগরীর সড়ক। জানা গেছে, অবৈধভাবে চলাচল করা ২০ হাজার সিএনজি অটোরিকশার কারণে ঢাকা মহানগরীতে প্রাণহানিসহ অসংখ্য ঘটনাও ঘটেছে। তবুও ঢাকার সড়ক থেকে অবৈধ সেসব সিএনজি অটোরিকশা উৎখাতে নেই কোনো উদ্যোগ। 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ এসব সিএনজি অটোরিকশা থেকে মাসিক হারে চাঁদা আদায় করছে দালালচক্রটি। সিএনজি প্রতি পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছে চক্রটি। বিনিময়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার মামলা, জরিমানার বিষয়গুলো সমাধান করছে তারা। চক্রটির আঁতাত রয়েছে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের সাথেও। এসব গাড়ি আটক করা মাত্রই তাদের তদবির বাণিজ্য শুরু হয়ে যায়। কখনো কখনো নিজেদের পেশাদার চালক হিসেবেও পরিচয় দেন তারা। বিভিন্ন  কৌশলে আইনি জটিলতা মোকাবিলা করার পরও ওই চক্রের সদস্যরা সিএনজি চুরির নাটক সাজিয়ে সহজ সরল চালকদের কাছ থেকেও হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ। সূত্র বলছে, ওই চক্রের সদস্যদের গোপন আঁতাত রয়েছে সিএনজি অটোরিকশা চোর সিন্ডিকেটের সঙ্গেও। কোন এলাকা থেকে কারা সিএনজি চুরি করে সেই তথ্যও তাদের কাছে থাকে। গত ৫ জানুয়ারি এমনই একটি ঘটনা ঘটে। সেদিন ঢাকায় (ঢাকা মেট্রো থ ১৩-৭৫৯২) নম্বরের একটি সিএনজি চুরির ঘটনা ঘটে। কিন্তু সিএনজির চালক হান্নান গ্যারেজ পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই দালাল চক্রের সদস্য এবং ওই সিএনজির মালিক জাহাঙ্গীর চোরের সাথে যোগাযোগ করে সিএনজি ফেরত নিয়ে আসে। যদিও চালক হান্নানের কাছ থেকে এই ঘটনায় জরিমানা হিসেবে ১১ হাজার টাকা আদায় করে জাহাঙ্গীর। শুধু তাই নয়- এ চক্রের সদস্যরা সরাসরি সিএনজি চুরির সঙ্গেও জড়িত। ঢাকায় দাপিয়ে বেড়ানো ওই দালাল চক্রের একজন তফাজ্জল। যার নামে টাঙ্গাইলসহ দেশের একাধিক থানায় সিএনজি চুরির মামলা রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ চক্রের বিরুদ্ধে এখনি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ঢাকায় চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা বন্ধ হবে না।

অভিযোগ সূত্রে আরও জানা গেছে, মিটারে চালিত সিএনজি অটোরিকশা চালকদের কাছ থেকে মাসিক এক হাজার টাকা করেও চাঁদা আদায় করছে চক্রটি। চালকদের বলা হচ্ছে, ঢাকায় মিটার ছাড়া গাড়ি চালানো, নো পার্কিংসহ অন্য কোনো মামলার সম্মুখীন হতে হবে না তাদের। এক হাজার টাকা মাসোহারায় এসব জক্কিঝামেলা মেটানোর দায়িত্বও নিচ্ছে তারাই। এছাড়াও নগরীতে সিএনজির দরজা লাগানোর বিধান না থাকলেও ওই দালালচক্রের দাপটেই দরজা লাগিয়ে ভাড়ায় চলাচল করছে অবৈধ সেসব সিএনজি। 

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ খোকন আমার সংবাদকে বলেন, সিএনজি অটোরিকশা সেক্টরে যদি শৃঙ্খলা ফেরাতে হয় তাহলে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। বিগত ২০০২ সালে ঢাকার সড়ক থেকে ৩৭ হাজার বেবিট্যাক্সি উচ্ছেদ করা হয়। এরস্থলে নিবন্ধন দেয়া হয় ভাড়ায় চালিত ১৫ হাজার সিএনজি অটোরিকশা। অথচ এতোদিনে ঢাকার পরিধি বেড়েছে চারগুণ, জনসংখ্যাও বেড়েছে কয়েকগুণ। এ বিবেচনায় ২০০৭ সালে সরকার ঢাকায় চলাচলের জন্য বৈধ পাঁচ হাজার থ্রি-হুইলার বরাদ্ধ দেয়। এ সংক্রান্তে একটি মামলাও করে ঢাকা অটোরিকশা মালিক সমিতি। মালিক সমিতির পক্ষে রায়ও হয়। তিনি আরও বলেন, ঢাকায় চলাচলরত অবৈধ গাড়িগুলো উচ্ছেদ করলে বৈধ গাড়িগুলোও মিটারে চালাতে আর কোনো সমস্যা থাকবে না। যদিও ইতোমধ্যে গ্যাস, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির উচ্চমূল্যের প্রভাবে বেড়েছে জীবনযাত্রার ব্যয়। এক্ষেত্রে মিটারের ভাড়াও না বাড়ায় দিনশেষে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে চালকদের। কারন ভাড়ায় চালিত গাড়ির মালিকরা দু-শিপটে দৈনিক জমা নিচ্ছে ১ হাজার ৬০০ টাকা। দিনশেষে চালকদের কিছুই থাকছে না। তিনি আরও বলেন, এসব অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে গ্যারেজে গ্যারেজে অভিযান পরিচালনা করতে হবে। অন্যথায় এদের নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় এবং ঢাকায়ও শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব নয়।


আরও খবর