Logo
শিরোনাম

জুমার দিন সব দিনের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

জুমার দিনের মর্যাদা ও সম্মান সপ্তাহের অন্য দিনের চেয়ে বেশি। এই দিনকে আল্লাহ তাআলা সব দিনের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। কোরআন ও হাদিসে এই দিনের বিশেষ সম্মান ও মর্যাদা বর্ণিত হয়েছে।

কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, হে মুমিনগণ! জুমার দিন যখন নামাজের আহ্বান জানানো হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে (মসজিদে) এগিয়ে যাও এবং যাবতীয় কাজকর্ম ছেড়ে দাও। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর; যদি তোমরা জানতে। (সুরা জুমা)।

আল্লাহর রাসুল (সা.) একটি হাদিসে বলেছেন, মুমিনের জন্য জুমার দিন হলো সাপ্তাহিক ঈদের দিন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১০৯৮)

আউস ইবনে আউস (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করাবে (জুমার নামাজের পূর্বে স্ত্রী-সহবাস করে তাকেও গোসল করাবে) এবং নিজেও গোসল করবে অথবা উত্তমরূপে গোসল করবে। এরপর ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে আসবে, আসার সময় হেঁটে আসবে, কোনো বাহনে চড়বে না, ইমামের কাছাকাছি বসবে, এরপর দুটি খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং খুতবার সময় কোনো অনর্থক কাজকর্ম করবে না, সে মসজিদে আসার প্রতিটি পদক্ষেপে এক বছর নফল রোজা ও এক বছর নফল নামাজের সওয়াব পাবে। (আবু দাউদ, হাদিস: ৩৪৫)

ফজিলতের পাশাপাশি জুমার নামাজ অনাদায়ে হাদিসে শাস্তির কথা বলা হয়েছে। কেউ পরপর তিন জুমা আদায় না করলে তার জন্য সতর্কবাণী উল্লেখ করেছেন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

এক হাদিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত পরপর তিন জুমা পরিত্যাগ করে, আল্লাহ তাআলা তার অন্তরে মোহর এঁটে দেন। (বুখারি, হাদিস: ১০৫২; তিরমিজি, হাদিস: ৫০২; মুসলিম, হাদিস: ১৯৯৯)

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পরপর তিনটি জুমা পরিত্যাগ করবে, সে ইসলামকে পেছনের দিকে নিক্ষেপ করল। (মুসলিম)।

তবে অপর এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, চার শ্রেণির লোক ব্যতীত জুমার নামাজ ত্যাগ করা কবিরা গোনাহ। চার শ্রেণির লোক হলো: ক্রীতদাস, স্ত্রীলোক, অপ্রাপ্তবয়স্ক বালক, মুসাফির ও রোগাক্রান্ত ব্যক্তি। (আবু দাউদ)।

এ ছাড়া নামাজ পড়া মুসলিমদের একটি নিদর্শন। তাই হজরত উমর (রা.) বলতেন, নামাজ ত্যাগকারী নির্ঘাত কাফের (বায়হাকি: ১৫৫৯, ৬২৯১)। হজরত আলি (রা.) বলেন, যে নামাজ পড়ে না সে কাফের। (বায়হাকি: ৬২৯১)

নামাজ পরিত্যাগকারীর ব্যাপারে কোরআন-সুন্নাহর দলিলগুলো প্রমাণ করে, বেনামাজি ব্যক্তি ইসলাম নষ্টকারী বড় কুফরিতে লিপ্ত। তাই জুমা ও যেকোনো ওয়াক্তের ফরজ নামাজের প্রতি গুরুত্ব দেয়া জরুরি।


আরও খবর

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




নওগাঁয় ৪ বছরেও মেরামত হয়নি রিং কালভার্ট' দূর্ভোগে ২০ গ্রামের মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ন একটি গ্রামীণ রাস্তা হচ্ছে লোহাচূড়িয়া টু ঝিনা রাস্তা। রক্তদহ বিল থেকে আসা রতনডারী ডারার তীর দিয়ে এই গ্রামীণ রাস্তাটি চলে গেছে। এই রাস্তার পাশ দিয়ে গড়ে উঠেছে ছিন্নমূল, ভূমিহীন, গৃহহীন, গরীব ও অসহায় মানুষদের বসতি। প্রায় ৪ বছর আগে বন্যার পানিতে গহেলাপুর, ঝিনা ও লোহাচূড়িয়া রাস্তার সংযোগ স্থলের রিং কালভার্ট টি ভেঙ্গে গেলেও এখন পর্যন্ত তা মেরামত কিংবা সংস্কার না করায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার স্থানীয় বাসিন্দা সহ লোকজনদের। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে রিং কালভার্টটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে এই ভাঙ্গা অংশ পায়ে হেটে কিংবা বাইসাইকেল দিয়ে কোন মতে পার হওয়া গেলেও ভ্যান সহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে প্রতিনিয়তই আকনা, বাঁশবাড়িয়া, ঝিনা, বিজয়কান্দি, বড়বড়িয়া সহ প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষদের ঐতিহ্যবাহী লোহাচূড়িয়া ধানের হাটে যেতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই অঞ্চলের কৃষকদের ধানের হাটে ধান নিয়ে যেতে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বর্তমানে ২০-২৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা। অথচ এই রিং কালভার্টটি মেরামত করা হলে মাত্র ৫ কিলোমিটার রাস্তা পারি দিয়ে ধানের হাটে চলাচল করা সম্ভব। এতে করে কৃষিপণ্য বিপনন করতে লোকসান হিসেবে অতিরিক্ত খরচও গুনতে হবে না ২০টি গ্রামের কৃষকদের।

ঝিনা গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, শহরের সুবিধা এখনোও গ্রামের মানুষরা পাচ্ছে না। ৪ বছর আগে এই সামান্য রিং কালভার্টটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মেরামত না করায় এই রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দিনের বেলায় ঝুঁকি নিয়ে কোন মতে চলাচল করলেও রাতের আধাঁরে এই ভাঙ্গা স্থানটি পারাপার হতে অনেক মানুষই নিচে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। 

এলাকার বাসিন্দা নারী আছমা খাতুন বলেন, আমাদের ছেলে মেয়েদের এই রাস্তা দিয়ে গহেলাপুর স্কুলে যেতে হয়। এই ভাঙ্গা অংশটি ৪ বছরেও মেরামত না করায় প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করতে হয়। আবার বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটির ইটের উপর শেওলা জমে যাওয়ার কারণে হাটার সময় পিছলে পড়েও অনেক দূর্ঘটনা ঘটে। তাই এই ভাঙ্গা রিং কালভার্টটি দ্রুত মেরামত সহ পুরো রাস্তাটি ইটের পরিবর্তে পাঁকাকরণ করার জন্য উন্নয়নবান্ধব সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি। 

রাণীনগর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইসমাইল হোসেন মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। আমি স্থানটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে দ্রুত ঐ স্থানে আরেকটি রিং কালভার্ট কিংবা অন্য কোন কালভার্ট নির্মাণ করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানাবো।


আরও খবর



নওগাঁয় গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টা, যুবক গ্রেফতার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় পাওনা টাকা দিতে গিয়ে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে পাওনাদারের স্ত্রীকে একা পেয়ে ধর্ষণ চেষ্টা করেছে এক যুবক। গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ডাবলু প্রামাণিক (২৭) নামের অভিযুক্ত যুবক কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে পুলিশ।

গৃহবধূ কে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনাটি ঘটেছে সম্পতি নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার নয়া-হরিশপুর গ্রামে।

ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত যুবক হলেন, রাণীনগর উপজেলার নয়া-হরিশপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন প্রাং এর ছেলে ডাবলু প্রামাণিক। গ্রেফতারকৃত যুবক কে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেলা কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ।

মামলা সুত্রে জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলার নয়া-হরিশপুর গ্রামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫শ' টাকা ধার নেয় একই গ্রামের ডাবলু প্রামাণিক। ধারের সেই টাকা পাওনাদের কে দেওয়ার জন্য যান পাওনাদারের বাড়িতে। সে সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে অভিযুক্ত যুবক ডাবলু প্রামাণিক পাওনাদারের স্ত্রী গৃহবধূ কে জাপটে ধরেন এবং হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শ-কাতর স্থানে হাত দেয়া সহ জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এঘটনায় রাণীনগর থানায় মামলা দায়ের করা হলে থানা পুলিশ অভিযুক্ত যুবক কে গ্রেফতার করেন।

এব্যাপারে রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় ভিকটিম গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে সেই মামলায় ডাবলু প্রামাণিক কে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

কলেজ ফান্ডের অর্থ লোপাট, স্বজন প্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, নিয়মিত কলেজে উপস্থিত না থাকা সহ ডজন খানেক অভিযোগ উঠেছে নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল শাফায়ত শামীম এর বিরুদ্ধে। অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে গত বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও নওগাঁ জেলা প্রশাসক, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড চেয়ারম্যান সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। 

কলেজ এর সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথি মেডিসিন এন্ড সার্জাারি (ডিএইচএমএস) পেশাজীবী পরিষদের ২৫ সদস্যের স্বাক্ষরিত ঐ লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালটি ২০১৩ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই আব্দুল্লাহ আল শাফায়ত শামীম কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। কলেজের অনুমোদনের পর ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে এ পর্যন্ত ৮শ' ৪৭ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ভর্তি ও মাসিক বেতন বাবদ জমা নেওয়া টাকা থেকে অন্তত ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। এছাড়া কলেজ ভবন নির্মাণের নামে প্রত্যেক শিক্ষক কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা ও প্রত্যেক কর্মচারীর কাছ থেকে ২ লাখ করে টাকা আদায় করা টাকা ও শিক্ষক কল্যাণ পরিষদের নামে সংগ্রহ করা প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মাসাৎ করেন আব্দুল্লাহ আল শাফায়াত। কলেজ ফান্ডের অর্থ লোপাটের বিষয়ে একাধিকবার অভিযোগ করা সত্বেও কলেজ পরিচালনা পর্ষদ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, স্বজন প্রীতির অভিযোগও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল শাফায়াতের বিরুদ্ধে। কলেজের অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মচারী বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড অনুমোদিত নিয়োগ পেলেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কলেজ ফান্ড থেকে দেওয়া বেতন-ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য করে থাকেন। তার স্বজন ও পছন্দের শিক্ষক কর্মচারীরা নিয়মিত বেতন-ভাতা পেলেও অনেক শিক্ষক-কর্মচারীর ৪৪ থেকে ৫৭ মাস পর্যন্ত বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের এসব অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও বেতন-বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেও ঐসব শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে হয়রানি, চাকরিচ্যুতি করা ও নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হয়।

অভিযোগকারী ও কলেজ সংলগ্ন নওগাঁ পৌর সভার পিরোজপুর এলাকার বাসিন্দা রায়হান আলী বলেন, স্বজন প্রীতি আর অনিয়ম কাকে বলে তার চূড়ান্ত উদাহরণ হলো নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। তার বাবা জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার বাসিন্দা হলেও এবং কলেজের নামে এক খন্ড জমি দান না করলেও তাকে কলেজ পরিচালনা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য করা হয়েছে। এছাড়া তার শালিকা হাফিজা আক্তার ও ভায়রা রুহুল আমিন কে প্রভাষক হিসেবে চাকরি দিয়েছেন। এছাড়া তার চাচা শ্বশুরের ছেলে কামরুল ইসলাম কলেজ এর প্রশাসনিক শাখার একটি পদে চাকরি করেন। বলা যায়, নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল একটি পারিবারিক প্রতিষ্ঠান। অহিদুজ্জামান নামে নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক প্রভাষক অভিযোগ করেন, কলেজ এর প্রতিষ্ঠার সময় থেকে তিনি ঐ কলেজে প্রভাষক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। কলেজ অনুমোদনের পর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত ৬৬ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে তার। বার বার বকেয়া বেতন চেয়ে আবেদন করেও তা পাননি। উপরোন্তু চলতি মাসের জুন মাসে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাকে জানান, তাকে কলেজ কর্তৃপক্ষ বহিষ্কার করেছে। তার কলেজে আসার প্রয়োজন নেই। অহিদুজ্জামান বলেন, আমাকে যে বহিষ্কার করা হয়েছে তার কোনো কাগজ এখন পর্যন্ত আমি পাইনি। অথচ আমাকে কলেজে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ৭ লাখ টাকার উপরে বকেয়া বেতন-ভাতা পাওনা রয়েছে সেটাও দেওয়া হচ্ছে না। এ স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আমি মানবেতর জীবন-যাপন করছি। অহিদুজ্জামানের মতো আরো ৪ জন শিক্ষক ও ৩ জন কর্মচারীকে অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল শাফায়াত শামীম  বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। কলেজ এর কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মচারী অনুমতি ছাড়াই দিনের পর দিন অনুপস্থিত থাকায় কলেজ কলেজ পরিচালনা পর্ষদ তাদের বহিষ্কার করেছেন। 

বহিষ্কৃত শিক্ষক-কর্মচারীরা এখন আমার বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালাচ্ছে। নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস,এম জাকির হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে তার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



বাজার সিন্ডিকেটে বন্দি সরকার

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

লাগামহীনভাবে দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজার তিনটি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। গত বৃহস্পতিবার থেকে তা কার্যকর হলেও বাজারে এর তেমন প্রভাব নেই। সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু, ডিম ও পেঁয়াজ। নানা অজুহাত দেখিয়ে বাড়তি মূল্যে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন এসব পণ্য।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। সরকারকে কঠোরভাবে এদের দমন করতে হবে।

দীর্ঘদিন ধরেই নিত্যপণ্যের বাজার লাগামহীন। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা কাজে আসছে না। মাঝেমধ্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে অভিযান চালিয়ে কিছু ব্যবসায়ীরা জরিমানা করা হলে পরে আবার আগের অবস্থায় চলে আসে। এমন পরিস্থিতিতে তিনটি পণ্য ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দাম বেঁধে দেয় সরকার।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো পণ্য তিনটির দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের আলোকে আলুর সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩৫-৩৬ টাকা, দেশি পেঁয়াজের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৬৪-৬৫ টাকা আর ডিমের পিস সর্বোচ্চ ১২ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। জরুরি এই তিন পণ্যের দাম নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে এসব পণ্য।

গতকাল সোমবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮৫ টাকা, ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকা। সরকারের ঘোষণার আগেও এই দামে বিক্রি হয়েছিল এসব পণ্য।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার দাম ঘোষণা করলেও পাইকারি বাজারে সেই দামে কিনতে পারছেন না তারা।

রাজধানীর মুগদা এলাকায় খুচরা ব্যবসায়ী নুরু মিয়া বলেন, পাইকারি বাজারে আগে যে দাম ছিল এখনও সেই দামই আছে। আমরা কমে কিনতে পারলে তো বিক্রি করতে সমস্যা নাই। প্রতি কেজি আলুতে চার টাকা লাভ করতে পারলেই আমাদের আর লাগে না। কিন্তু সেটাও তো পারছি না।

একই এলাকার আরেক ব্যবসায়ী বলেন, দাম বেশি হওয়ায় আমাদের কাস্টমারও কমে গেছে। যেই লোক আগে আলু কিনত দুই কেজি, সে এখন এক কেজি কিনে। আগে প্রতিদিন দুই বস্তা আলু বেচতাম। এখন এক বস্তাই বিক্রি হয় না। আবার লাভও কম হচ্ছে। সরকার যেই জায়গায় ধরার দরকার সেই জায়গায় ধরলেই তো হয়।

ডিমের বাজারেও সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া দামের প্রভাব নেই। বেঁধে দেওয়া দামে ডিমের ডজন ১৪৪ টাকা বিক্রি করার কথা থাকলেও অধিকাংশ দোকানে তা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা দরে।

মুগদা এলাকার মুদি দোকানদার মিঠু বলেন, ডিমে তো লাভ হয় না। এক খাঁচা ডিম বিক্রি কইরা ২০-৩০ টাকাও লাভ করতে পারি না। রাখছি শুধু কাস্টমার ধরার লাইগা।

৭৫ টাকার নিচে নেই দেশি পেঁয়াজ। তবে সবচেয়ে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে। কিছু আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতাদেরও একই কথা। আড়তে দাম কমেনি। তাই তারা নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে পারছেন না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতি মুনাফালোভী কিছু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে।

ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, সরকার তো সব কিছু বিবেচনা করে হিসাব নিকাশ করেই এসব পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। এখন নির্ধারিত দামে বিক্রি করলে স্বাভাবিক মুনাফা হচ্ছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা তো স্বাভাবিক লাভে আগ্রহী না। বেশি লাভ করতে চায়। এখন ব্যবসায়ীদের এই প্রবণতা যদি বন্ধ না হয়, তবে যেখানে থেকে উৎপাদন হয় অথবা যেখান থেকে পণ্য ছাড় হয় সেখানে মূল্যটা প্রথম ঠিক করতে হবে। সাপ্লাই চেইন যদি ঠিক রাখা যায়, তবে পাইকারে খুচরা পর্যায়ে একটু তত্ত্বাবধায়ন করলেই বাজার ঠিক হয়ে যাবে। কড়াভাবে বলছে, শুধু বললেই হবে না। কড়াভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

বাজার শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে আসবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, আপনারা নিজেরাই দেখতেছেন আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী কিভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ডিজি স্যার নিজেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযানে যাচ্ছেন, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। আমরা নিয়মিত আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি খুব শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।


আরও খবর

বাজার তদারকিতে লোকবল সংকট

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3




লিবিয়ায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, নিখোঁজ ১০ হাজার

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে দ্রুত বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। দেশটিতে রেড ক্রিসেন্টের মুখপাত্র তৌফিক আল-শুকরি জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে তিন হাজার ৮৪ জনের প্রাণহানির খবর মিলেছে। তবে নিখোঁজ রয়েছে দশ হাজার। তাছাড়া এ ঘটনায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৩০ হাজার।

তবে বেনগাজিতে অবস্থিত লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় প্রশাসন ধারণা করছে ভয়াবহ এই বন্যায় এখন পর্যন্ত ৪ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

সেখানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওসমান আবদুল জালিল বলেছেন, এই অঞ্চলের পরিস্থিতি বিপর্যয়কর। অনেক জায়গায় এখনো মরদেহ পড়ে রয়েছে। হাসপাতালগুলো মরদেহে পূর্ণ হয়ে গেছে। এমন অনেক জায়গায় আছে যেখানে এখনো পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।

এর আগে পূর্ব লিবিয়া অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণে থাকা লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (এলএনএ) মুখপাত্র আহমেদ মিসমারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দেরনার বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণেই এই বিপর্যয় ঘটেছে।

এদিকে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, উদ্ধারকারী দল ও বিভিন্ন উপকরণ বহনকারী একটি প্লেন বন্যাকবলিত দেশটিতে পৌঁছেছে।

তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ লিবিয়াতে আমাদের অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলসহ সাহায্য সামগ্রী সরবরাহ অব্যাহত রাখছি।

সূত্র: আল-জাজিরা


আরও খবর

পাকিস্তানি ১৬ ভিক্ষুক আটক

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3