Logo
শিরোনাম
উত্তরায় মাভাবিপ্রবি টেক্সটাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল নওগাঁয় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী, শাশুড়ী ও দেবরকে আটক করেছে র‌্যাব নওগাঁয় হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ধামরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের ৪ জন অগ্নিদগ্ধ নড়িয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রামগড়ে বিজিবি'র উদ্যোগে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ নওগাঁয় মাটি ব্যবসায়ীদের নতুন কৌশল, রাতের আধারে কাটছে মাটি মাদক সেবনরত অবস্থায় ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গ্রেফতার মাভাবিপ্রবিতে দোল পূর্ণিমা উদযাপিত

জুমাতুল বিদায় মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের ঢল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে এবং ইহকাল ও পরকালের মুক্তি কামনায় আজ শুক্রবার সারাদেশে পবিত্র জুমাতুল বিদা পালিত হয়েছে। পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবার জুমাতুল বিদা হিসেবে প্রতিবছর পালন করেন মুসলমানরা। রমজান মাসজুড়ে রোজা রাখা আর ইবাদত-বন্দেগির অংশ হিসেবে এদিন নাজাত প্রার্থনা করেন সবাই। রাজধানীসহ বিভাগীয় ও জেলা শহরের প্রধান প্রধান মসজিদে ছিল না তিল ধারণের ঠাঁই। গ্রামে-গঞ্জেও ছিল নামাজিদের অভূতপূর্ব উদ্দীপনা। সকল পর্যায়ের কোটি মানুষ ছুটে আসেন রমজানের মহাসম্মানিত শেষ জুমায় শরিক হতে। রাজধানীর মসজিদগুলোতে লাখো মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ও ধর্মীয় আবেগভরা উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। আল্লাহর রহমত বরকত নাজাত প্রত্যাশী নানা বয়সী মানুষ যেন ¯্রােতের গতিতে ছুটে এসেছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ, মহাখালী মসজিদে গাউসুল আজম, গুলশান আজাদ মসজিদ, ধানমন্ডি সেন্ট্রাল মসজিদ, সোবহানবাগ মসজিদ, এলিফ্যান্ট রোড মসজিদ, বনানী বাজার মসজিদ, মহাখালী বায়তুল মাহফুজ, মিরপুর কাজীপাড়া জামে মসজিদ, শেওড়াপাড়া বড় মসজিদ, ১১নং কেন্দ্রীয় মসজিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ, মতিঝিল ওয়াপদা মসজিদ, কাওরান বাজার আম্বারশাহ ও হাইকোর্ট মাজার মসজিদসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার জামে মসিজদগুলোয়।

গতকাল জুমার আজানের আগে থেকেই মুসুল্লিগণ মসজিদে সমবেত হতে শুরু করেন। জুমাতুল বিদার জামাতে প্রায় সকল মসজিদই ছিল পূর্ণ। ভবনের ছাদ-বারান্দা ভরে নামাজিদের কাতার চলে যায় সড়কে। নামাজ শেষে মসজিদে মসজিদে হয় দীর্ঘ মুনাজাত। খতিবগণের বিশেষ মুনাজাতের সময় ছিল আমিন আমিন ধ্বনি আর গুনাহ মাফ চেয়ে আল্লাহর কাছে কান্না। ভাবগম্ভীর ইবাদত ও মুনাজাত গোটা রাজধানীর পরিবেশকে মোহিত করে তুলেছিল। পবিত্র আবহ বিরাজ করছিল মসজিদ নগরী ঢাকায়। প্রাণের উচ্ছ্বাসে আর হৃদয়ের টানে মসজিদে ছুটে আসা মানুষ অভিবাসী নির্যাতিত মুসলিম ভাইবোন ও শিশুদের জন্য প্রার্থনা করেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন-সমৃদ্ধি ও জাতির সর্বাঙ্গীণ মুক্তি-সাফল্যের পথে সকল বাধা দূর করা, দুর্নীতি-লুটপাট, অন্যায়-অত্যাচার, অযোগ্যতা-দায়িত্বহীনতায় পূর্ণ নেতৃবৃন্দের হেদায়েত জন্যও আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন। মুনাজাতে দেশের ঘৃণ্য রাজনীতির ব্যর্থতার চক্র থেকে উত্তরণ, অভিশপ্ত দুর্বৃত্তায়নের করাল গ্রাস থেকে পরিত্রাণ লাভ এবং বিশ্বময় উন্নতির যুগে, বাংলাদেশের অকর্মা, দুর্বৃত্ত ও লুটেরা চক্রের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ বের হওয়ার জন্য আল্লাহর রহমত ও করুণা কামনা করা হয়।
চট্টগ্রামে মসজিদে ধর্মপ্রাণ মানুষের ঢল
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, মাহে রমজানের শেষ জুমা জুমাতুল বিদা উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামের মসজিদে মসজিদে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল নামে। মহানগরী ও জেলার মসজিদগুলোতেও ছিল ব্যাপক উপস্থিতি। মসজিদে স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেকে রাস্তায় জুমার নামাজ আদায় করেন। এসময় বিভিন্ন মসজিদ এলাকায় সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। সেখানে মহান আল্লাহর কাছে দু’হাত তুলে দোয়া কামনা করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
জুমাতুল বিদায় নগরীর আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদে হাজারো মুসল্লি অংশ নেন হন। মসজিদের আঙিনা, ছাদ ছাড়িয়ে মুসল্লিদের উপস্থিতি এসে পড়ে সামনের সড়কের অনেকদূর পর্যন্ত। নামাজ শুরুর আগে প্রচ- খরতাপ মুসল্লিদের ভোগালেও নামাজ শুরু হতে হতেই হালকা বৃষ্টি সবার মাঝে যেনো প্রশান্তির ছোঁয়া নিয়ে আসে। নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ মসজদি, লালদীঘি জামে মসজিদ, বায়তুশ শরফ জামে মসজিদ, চট্টেশ্বরাই গায়েবি মসজিদ, সিজিএস কলোনী জামে মসজিদ, মুরাদপুর মসজিদে বেলাল, অলি খাঁ জামে মসজিদ, চন্দপুরা শাহী জামে মসজিদ, বহদ্দারহাট জামে মসজিদসহ নগরীর প্রায় সব মসজিদে তিল ধারণের ঠাঁই ছিলো না। নামাজের আগে জুমাতুল বিদা ও রমজানের তাৎপর্য নিয়ে বিশেষ খুতবা দেন ইমাম ও খতিবেরা।
খুলনাতে জুমাতুল বিদা পালিত
খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনাতেও পালিত হল জুমাতুল বিদা বা রমজানের শেষ জুমা। রোজাদার মুসল্লীগণ জুমা আদায়ের জন্য মসজিদে একত্রিত হন। ঈমামগণ খুৎবা দানকালে রমজান মাসের শেষ জুমার, শাবে কদরের ও ফিতরার গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিরা দু’হাত তুলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। খুলনার টাউন জামে মসজিদে জুমাতুল বিদার খুৎবা দেন মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ সালেহ। খুলনার প্রত্যেকটি মসজিদে নামাজ শেষে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করা হয়। এসময় মসজিদে মুসল্লিদের উপচে পড়া ভীড় দেখা যায়। কেউ কেউ শেষ রাতে কবরস্থানে গিয়ে কবর জিয়ারাত করে মৃত আত্মীয় স্বজনের কবর জিয়ারত করে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
বগুড়ায় মুসল্লিদের উপচে পড়া ভীড়
বগুড়া অফিস জানান, পবিত্র রমজান মাসের শেষ জুমাহ জুমাতুল বিদা’র জামায়াতগুলোতে বগুড়ার মসজিদগুলোতে ছিল মুসল্লিদের উপচে পড়া ভীড়।
বগুড়ার মহাস্থান গড় জামে মসজিদ, বগুড়া কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ, বগুড়া সেন্ট্রাল জামে মসজিদসহ ছোট বড় সব মসজিদেই দেখা যায় হাজার হাজার মুসল্লি মসজিদের ভিতরে যায়গা না পেয়ে আশেপাশের রাস্তায় জায়নামাজ বিছিয়ে বসে পড়ে।
হাজীগঞ্জ বড় মসজিদে লাখো মানুষের ঢল
চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা সংবাদদাতা জানান, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে জুমা’তুল বিদায় লাখো মানুষের ঢল নামে। সকাল থেমে থেমে বৃষ্টি ও বিশাল জামায়াতকে রুখতে পারেনি। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে সকাল ১০টার পর থেকে হাজীগঞ্জের প্রত্যান্ত অঞ্চল ও জেলা শহর থেকে মুসল্লিরা এসে নামাজ পড়ার জন্য জায়গা নেয়। মসজিদ, মসজিদের ছাদ, কওমী মাদরাসা ১-৬ তালা, হাজীগঞ্জ প্লাজা, হাজীগঞ্জ টাওয়ার, হাজীগঞ্জ পৌর সুপার মার্কেটের ২য় ও তৃতীয় তলা, বিভিন্ন মার্কেটের ওলিগলি পূর্ণ হয়ে যখন নামাজ শুরু হয় তখন চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়কে মুসল্লিরা দাঁড়িয়ে পড়লে নামাজের সময় সড়কটি বন্ধ থাকে। জুমাতুল বিদার নামাজ সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করতে মসজিদ কর্তৃপক্ষ, পৌরসভা ও পুলিশ প্রশাসনের আগে থেকে প্রস্তুত থেকে সেবা প্রদান করে। এ ছাড়া ২০টি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান কাজ করে। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মা ও বিশ্ব শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি আবদুর রউফ।
গফরগাঁওয়ে জমাতুলবিদা পালিত
গফরগাঁও উপজেলা সংবাদদাতা জানান, পবিত্র মাহে রমজানের শেষ শুক্রবার পবিত্র জমাতুল বিদা গফরগাঁও উপজেলার পৌরসভাসহ বিভিন্ন মসজিদে পালিত হয়েছে। প্রতিটি মসজিদে মুসুল্লিদের উপচে পড়া ভীর ছিল। কোথাও জায়গা নেই। সকলস্তরে মুসুল্লিরা জুমা নামাজে অংশ নেয়। এ উপলক্ষে প্রতিটি মসজিদে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
রাজশাহীতে জুমাতুল বিদা পালিত
রাজশাহী ব্যুরো জানান, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে শুক্রবার রাজশাহীতে পালিত হয়েছে পবিত্র জুমাতুল বিদা। জুমার আজানের পর রাজশাহী কেন্দ্রীয় শাহ্ মখদুম (র.) দরগা মসজিদ, সাহেব বাজার বড় মসজিদ ও হেতেম খাঁ মসজিদ, সোনাদিঘী মসজিদসহ নগরীর সব মসজিদে নামাজে মুসল্লিদের ভীড় লক্ষ্য করা যায়। জুমাতুল বিদাকে কেন্দ্র করে নামাজ শুরুর আগেই সব মসজিদ কানায় কানায় ভরে যায়। ঠাঁই না হওয়ায় অনেকেই বাইরে নামাজ আদায় করেন। জুমাতুল বিদার খুতবায় উচ্চারিত হয় ‘আলবিদা, আলবিদা, ইয়া শাহর রামাদান। অর্থাৎ বিদায়, বিদায় হে মাহে রমজান। জুমার দুই রাকাত নামাজ শেষে রাজশাহীসহ গোটা দেশ ও জাতির সুখ সমৃদ্ধি, কল্যাণ ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি এবং কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। নামাজ আদায়ের পর মহানগরের টিকাপাড়া, কাদিরগঞ্জ, হেতেম খাঁ, গৌরহাঙ্গাসহ বিভিন্ন কবরস্থানে বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনের কবর জিয়ারত করতে যান। এ মাসের শেষ জুমার দিন পালিত হয় আল কুদস দিবস।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, পবিত্র জুমাতুল বিদা নামাজে গতকাল বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের ঢল নামে।
জুমাতুল বিদা উপলক্ষে গতকাল দক্ষিণাঞ্চলে সর্ববৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত হয় ফরিদপুরের বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার জাকেরান ও আশেকানবৃন্দ বিশ্ব জাকের মঞ্জিল জামে মসজিদে জুমাতুল বিদার নামাজ আদায় করেন। পরে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের পীর ছাহেব খাজাবাবা ফরিদপুরী নকসবন্দী মুজাদেদ্দী (কু:ছে:আ:) ছাহেবের রওজা শরিফ জিয়ারতের নিয়তে ফাতেহা শরিফ পাঠান্তে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশালের চরমোনাই দরবার শরিফ মসজিদ, পিরোজপুরের ছারছীনা দরবার শরিফ মসজিদ এবং ঝালকাঠীর নেছারাবাদ দরবার শরিফ মসজিদ ও মোকামিয়া দরবার শরিফ মসজিদ ছাড়াও জামে বরিশাল মহানগরীর এবাদুল্লাহ মসজিদ, জামে কসাই মসজিদ, বায়তুল মোকাররম মসজিদসহ নগরীর বিভিন্ন মসজিদে জুমাতুল বিদার বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

আরও খবর



বেপরোয়া হয়ে উঠেছে স্বর্ণ চোরাচালান চক্র

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

দেশের সীমান্ত ও বিমানবন্দর ঘিরে ক্রমেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে স্বর্ণ চোরাচালান চক্র। মাঝেমধ্যে এসব চক্রের দুয়েকজন পাচারকারী ধরা পড়লেও বরাবরই অধরা রয়ে যাচ্ছে চক্রের সঙ্গে জড়িত হোতারা। অভিযোগ উঠেছে পেশাগত দায়িত্ব পালনের আড়ালে স্বর্ণ পাচার করছেন শাহজালাল বিমানবন্দরে কর্মরত এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী। তারা সিভিল অ্যাভিয়েশনের নিরাপত্তা পাস গলায় ঝুলিয়ে পেশাদার চোরাকারবারিদের সঙ্গে জড়িত। ফলে মামলা তদন্তে কাস্টমস ও এপিবিএনের দেওয়া আসামির বাইরে জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে পারছে না পুলিশ। এতেও বরাবরের মতো আড়ালেই থাকছে হোতারা।

জানা যায়, গত শনিবার বিমানবন্দরে ৫ কোটি টাকা মূল্যের ৪০টি স্বর্ণবারসহ নভোএয়ার এয়ারলাইন্সের কর্মীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে এপিবিএনের সদস্যরা। এ ঘটনায় এপিবিএন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় স্বর্ণ চোরাচালান আইনে মামলা করে। এ ছাড়া একই দিন বিমানবন্দরে চোরাচালান চক্রের আরো ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। চক্রটির হেফাজত থেকে জব্দ করা হয় প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণের পাউডার, স্বর্ণবার ও স্বর্ণালংকার। এ ঘটনায় ঢাকা কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দাস বাদী হয়ে চক্রটির বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা করেন।

দুই মামলায় গ্রেপ্তার আট আসামি হলো নভোএয়ার এয়ারলাইন্সের গাড়িচালক মো. হেলাল, রিসিভার কামাল হোসেন এবং স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সদস্য কামরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, সাইদুল ইসলাম, নাঈম উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম ও রাকিবুল ইসলাম। পুলিশ জানায়, গত রবিবার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আসামিদের আদালতের তোলা হয়। এ সময় শুনানি শেষে প্রত্যেকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালাত। বিমানবন্দর থানার ওসি ইয়াসির আরাফাত খান বলেন, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের দেওয়া তথ্য খতিয়ে দেখা হবে। স্বর্ণ পাচারে বিমানবন্দরের কোনো সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীর জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

এ বিষয়ে এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বর্ণ চোরাচালান প্রতিরোধে আমরা কাজ করছি। সেই ধারাবাহিকতায় বেসরকারি এয়ারলাইন্স নভোএয়ারের গাড়িচালক মো. হেলালকে নজরদারিতে রেখেছিল বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও এনএসআই। নভোএয়ারের গাড়িচালক মো. হেলাল অন্য দিনের মতো ডিউটিতে আসেন। এরপর অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের আগমনী গেট দিয়ে বের হন। এপিবিএন ও এনএসআইয়ের গোয়েন্দারা তাকে নজরদারিতে রাখেন। হেলালকে ডমেস্টিক টার্মিনালের ড্রাইভওয়ে থেকে একজন সহযোগীসহ অটোরিকশায় উঠতে দেখা যায়। পরে বিমানবন্দরের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে তাদের গতিরোধ করেন এপিবিএনের গোয়েন্দা সদস্যরা। এ সময় তল্লাশি করে তাদের কাছ থেকে ৪০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে। প্রতি মাসে গড়ে কতটি চালান ধরা পড়ে- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এটা সঠিকভাবে বলা কঠিন। তবে মাসে গড়ে ৫-৬টি চালান ধরা পড়ার রেকর্ড রয়েছে।

এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি বিমানবন্দরে সাড়ে ৩ কেজি স্বর্ণসহ দুবাইফেরত যাত্রী এম মাসুদ ইমামকে আটক করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। রাত পৌনে ১১টায় দুবাই থেকে ঢাকায় আসা ওই যাত্রীকে ১০ নম্বর বোর্ডিং ব্রিজে যুক্ত হওয়ার পর বিমান থেকে আটক করা হয়। জব্দ স্বর্ণগুলোর বাজারমূল্য ৩ কোটি ১৪ লাখ ৮২ হাজার টাকা। গত ২০ ডিসেম্বর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক নারী যাত্রীর ব্যাগ থেকে স্বর্ণের ৬৯টি বার ও ১টি স্বর্ণের চেইন জব্দ করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। এর আগে ৮ ডিসেম্বর শাহজালালে ৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা মূল্যের ৪৯টি স্বর্ণের বারসহ এক যাত্রীকে আটক করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। ওই যাত্রীর নাম ফজলে রাব্বী। তিনি দুবাই থেকে ঢাকায় এসেছিলেন। এর আগে স্বর্ণের বড় একটি চালান ধরা হয় গত বছরের জুলাই মাসে। সেই সময় বিমানের সিটের নিচ থেকে প্রায় ২৬ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। তারা জানান, একটি গোয়েন্দা সংস্থার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ফ্লাইটে অভিযান চালানো হয়। ফ্লাইটটির ১১টি আসনের নিচে নীল রঙের স্কচটেপ মোড়ানো অবস্থায় ৯৮টি ডিম্বাকৃতির স্বর্ণের পেস্ট পাওয়া যায়। সেই সময় জব্ধ করা স্বর্ণের মালিক পাওয়া যায়নি।

এদিকে, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি জানান, যশোর উপশহর এলাকায় একটি প্রাইভেট কার থেকে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের ৩২ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য ৪ কোটি টাকা। গতকাল সোমবার বিকেল ৩টার দিকে ডিবি পুলিশের অভিযানে স্বর্ণের বারসহ আটক পাচারকারী দুই ব্যক্তির নাম শহিদুল্লাহ ও সুমন। তাদের দুজনের বাড়ি শার্শা উপজেলায়। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে ঢাকা থেকে বেনাপোল সীমান্তের উদ্দেশে একটি প্রাইভেট কারে স্বর্ণের চালান নিয়ে আসছে। এমন সংবাদে উপশহর এলাকায় ডিবি পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ওঁত পেতে ছিলেন। সন্দেহজনক প্রাইভেট কার নিউমার্কেট এলাকায় পৌঁছলে পুলিশ গতিরোধ করে। গাড়িতে থাকা দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিতে গাড়িতে লুকিয়ে রাখা বিভিন্ন জায়গা থেকে তিন আকৃতির ৩২ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। আটকদের বিরুদ্ধে আগের কোনো মামলা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ২০১৩ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সারা দেশে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৫৮৩ কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে। এসব অভিযানে অংশ নেয় শুল্ক গোয়েন্দা, কাস্টমস হাউস, বিজিবি ও এয়ারপোর্ট এপিবিএন। গত বছরের ১২ জুন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ডাস্টবিন থেকে ৭ কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়। আটক করা হয় এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে আসা বারগুলো প্রধানত শাহজালাল ও চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করে। যেসব বাংলাদেশি স্বর্ণ বহন করেন দুবাই থেকেই তাদের ও তাদের একজন স্বজনের ফোন নম্বর, পাসপোর্টের কপি, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, এনআইডির ফটোকপি রেখে দেওয়া হয়। প্রবাসীরা প্লেন থেকে নামার পর প্রথমে যান কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাউন্টারে। সেখানে গিয়ে বারের ট্যাক্স দিয়ে রসিদ নেন। বার বৈধ করার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশি ডিলারের প্রতিনিধি বিমানবন্দরের আশপাশ থেকে রসিদসহ স্বর্ণ বুঝে নেন।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মতে, বিদেশ থেকে স্বর্ণ দেশে আসার পর মূলত দুটি জায়গায় যায়। প্রথমত, বাংলাদেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এটা কিনে নেন। দ্বিতীয়ত, ভারতে পাচার করা হয়। বিশ্বে স্বর্ণের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভোক্তা দেশ ভারত। সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ২৪ জুলাই বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় স্বর্ণের চোরাচালান আটক করেছিলেন শুল্ক গোয়েন্দারা। এদিন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের কার্গো হোল্ড থেকে ১২৪ কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়। তদন্ত শেষে ওই বছর বিমানের ১০ কর্মীসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত ১০ বছরেও এ মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হয়নি। আসামিরাও জামিনে রয়েছেন। ২০১৪ সালেও বিমানের এক ফ্লাইটের টয়লেটে লুকিয়ে রাখা ১০৬ কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়। এটা ছিল জব্দ হওয়া দ্বিতীয় বৃহত্তম স্বর্ণের চালান। এ ঘটনার ৩ বছর পর আদালতে চার্জশিট জমা দেয় ডিবি। তবে এখনো শাস্তি হয়নি কারো। শুধু এ দুটি নয়, নিম্ন আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঢাকায় স্বর্ণ জব্দের ঘটনায় ১৮৭ মামলা আদালতে বিচারাধীন।

চলতি বছর ১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পরিত্যক্ত অবস্থায় স্বর্ণের চোরাচালান ধরা পড়ে। এ চালানে প্রায় ৪ কেজি ৫৪০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে, যার বাজারমূল্য ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭১ হাজার ৩৬০ টাকা। জানতে চাইলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. আল মাসুদ খান বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স শুধু যাত্রী বহন করে। কিন্তু স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হলে যারা চেকিং করে তাদের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে। এয়ারলাইন্সে কাজ করা কর্মীদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তিনি বলেন, বিমানবন্দরে ২০ থেকে ৩০টি সংস্থা কাজ করে। এখানে যে চুরি করে, সে চুরিই করবে। তাকে তদন্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

 


আরও খবর



সবজির কমলেও মাছ মাংসের দাম বাড়তি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর মাছ, মাংস, খেজুর এবং বিভিন্ন সবজিসহ মোট ২৯টি নিত্যপণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল গত শুক্রবার। এরপর এক সপ্তাহ পেরোলেও নতুন এ দাম বাস্তবায়ন হয়নি এখনো। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে গতকাল দেখা গেছে, সবজি, ডিমসহ কয়েকটি পণ্যের দাম আগের চেয়ে কিছুটা কমলেও বেড়েছে আলুসহ কয়েকটি পণ্যের। আবার মাছ ও মাংস বিক্রি হয়েছে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে প্রায় ১০-২৫ শতাংশ বেশিতে।

বাজারে গতকাল প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২০০-২১০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি গরুর মাংস গড়ে ৭৫০-৭৮০ টাকায়, খাসির মাংস প্রতি কেজি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ ও সোনালি মুরগি ৩২০-৩৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া প্রতি কেজি চাষের পাঙাশ ২০০-২২০ টাকায় ও কাতলা আকারভেদে ৩০০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যদিও গত শুক্রবার এসব পণ্যের উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। সংস্থাটির হিসাবে প্রতি কেজি ব্রয়লারের উৎপাদন খরচ ধরা হয় ১৪৬ টাকা। আর খুচরা পর্যায়ে মূল্য নির্ধারণ করা হয় কেজিপ্রতি ১৭৫ টাকা।

 এছাড়া খুচরায় প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ৬৬৪ টাকা, ছাগলের মাংসের (খাসি) কেজি ১ হাজার ৩ ও সোনালি মুরগির মূল্য ২৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। প্রতি কেজি চাষের পাঙাশের উৎপাদন খরচ ধরা হয় ১১৫ টাকা। এছাড়া খুচরা পর্যায়ে পাঙাশের যৌক্তিক মূল্য ১৮১ টাকা এবং কাতলা মাছের যৌক্তিক মূল্য সর্বোচ্চ ৩৫৪ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। সে অনুযায়ী বাজারে মাছ ও মাংস নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে প্রায় ১০-২৫ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

রাজধানীর শাহজাদপুরের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‌মুরগির মাংসের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কিছুটা কমেছে। কিন্তু এর চেয়ে কমবে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ খামারিরা বলছেন তাদের উৎপাদন খরচ বেশি। আমরা কম দামে আনতে পারলে কম দামে বিক্রি করতে পারব।

এদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবজি ও ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। বর্তমানে রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৫০-৭০ টাকা, টমেটো ৫০, শিম ৫০-৬০, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০-৫০, মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ ও কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি শুকনা মরিচ ৩৮০-৪৫০ টাকা, পেঁয়াজ ৬০-৭০ ও দেশী রসুন ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

গত সপ্তাহে প্রতি কেজি বেগুন ৮০-১২০ টাকা, টমেটো ৭০-৮০, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৬০-৭০, মিষ্টি কুমড়া ৫০-৬০ ও কাঁচামরিচ ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। আর প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকা ও দেশী রসুন ১৩০-১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। যদিও কৃষি বিপণন অধিদপ্তর প্রতি কেজি কাঁচা ও শুকনা মরিচের সর্বোচ্চ দাম যথাক্রমে ৬০ টাকা ও ৩২৭ টাকা নির্ধারণ করেছে। অন্যদিকে সবজির মধ্যে খুচরা পর্যায়ে বাঁধাকপি প্রতি কেজি ২৮ টাকা, ফুলকপি ৩০, বেগুন ৪৮, শিম ৫০, টমেটো ৪০ ও মিষ্টি কুমড়া ২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

কারওয়ান বাজারে সবজি বিক্রেতারা জানান, বাজারে সবজির সরবরাহ আগের চেয়ে বেশি। তার তুলনায় চাহিদা কমেছে। এ কারণে দামও কম। বেশকিছু সবজির দাম অর্ধেকে নামলেও সবজি পুরোপুরি বিক্রি করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. বাবুল হোসেন বলেন, ‘‌পেঁয়াজের দাম এখন কমতির দিকে। গত এক সপ্তাহে ২০-৩০ টাকা কমেছে। কৃষকরা পেঁয়াজ তুলে ফেলছেন। অনেকে আমদানির খবর শুনে পেঁয়াজ ছেড়ে দিচ্ছেন। এ কারণে সরবরাহ বেশি। দামও অনেকটা কমেছে।

আলুর দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা। বর্তমানে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। যদিও সরকার নির্ধারিত মূল্য সাড়ে ২৮ টাকা। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি আলুর দাম ছিল ৩০-৩৫ টাকা। আমদানীকৃত আদার দাম ১৮০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে বিভিন্ন সময় দাম নির্ধারণ করে দেয়া হলেও বাস্তবায়নকারী বা তদারকি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে তা আর বাস্তবায়ন হয় না। এক সংস্থা আরেক সংস্থার ওপর দায় চাপিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে বাজারসংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে একই ছাতার নিচে এনে মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে।

এ বিষয়ে কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর একটির সঙ্গে আরেকটির সমন্বয় নেই। অতীতেও বিভিন্ন সময় দাম নির্ধারণ করে পরবর্তী সময়ে আর বাস্তবায়ন হতে দেখা যায়নি। এবারো আমরা তা দেখছি না। প্রতিষ্ঠানগুলো বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে। সবগুলো প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে কাজ করতে হবে। তা না হলে এসব মূল্য নির্ধারণ করে সুফল আসবে না।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সংশ্লিষ্ট সবগুলো সংস্থা একযোগে সমন্বিতভাবে কাজ করলে নির্ধারিত মূল্য দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম বলেন, আমরা আইনের ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ করে দিতে পারি। এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব এজেন্সিরই দায়িত্ব রয়েছে। আমাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের অংশের বিষয়ে আমরা যথেষ্ট সচেতন রয়েছি। এ মূল্য বাস্তবায়নে কিছুটা সময় লাগতে পারে।


আরও খবর



কুমিল্লাকে হারিয়ে বিপিএলের শিরোপা বরিশালের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে বিপিএলের প্রথম শিরোপা ঘরে তুললো তামিম ইকবাল নেতৃত্বাধীন ফরচুন বরিশাল।

শুক্রবার (১ মার্চ) মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে দশম আসরের ফাইনালে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তোলে কুমিল্লা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন অঙ্কন।

১৫৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৯ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান এসেছে কাইল মেয়ার্সের ব্যাট থেকে। এছাড়া ৩৯ রান করেছেন তামিম ইকবাল।

এর আগে ২০২২ সালের ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে এক রানে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয় বরিশালের।

টুর্নামেন্টে চারবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা। এবার তাদের ছিল হ্যাটট্রিক শিরোপায় চোখ। কিন্তু কুমিল্লার সাম্রাজ্য ভেঙে বরিশালের লঞ্চে উঠলো বিপিএল ট্রফি।


আরও খবর



রাণীনগরে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালিত

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

“দুর্যোগ প্রস্তুতিতে লড়বো, স্মাট সোনার বাংলা গড়বো” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নওগাঁর রাণীনগরে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে রবিবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও রাণীনগর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখার বাস্তবায়নে র‌্যালি, আলোচনা সভা, ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল ৯টায় উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে র‌্যালি বের করা হয়। এরপর পরিষদ সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনষ্ঠিত হয়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ দুলু, ভাইস চেয়ারম্যান জারজিস হাসান মিঠু, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান,ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমেন, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা জাফরুল ইসলাম, সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের পিন্টু প্রমুখ।


আরও খবর



ইফতারের উপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে মাভাবিপ্রবিতে গণ-ইফতার

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি  :

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ইফতার পার্টির ওপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে গণইফতার করেছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। 

আজ বুধবার (১৩ মার্চ) রমজানের দ্বিতীয় দিনে বিশ্ববিদ্যালয়টির মান্নান হল-দ্বিতীয় একাডেমিক প্রাঙ্গনের পাশের খেলার মাঠে  গণ-ইফতার কর্মসূচি পালন করেন তারা।

কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, দুটি ক্যাম্পাসে ইফতার মাহফিলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে  বাঙালির চিরায়ত মুসলিম সংস্কৃতি রমজান, সেহেরি ও ইফতার। এই সংস্কৃতি ও ধর্মীয়রীতির ওপর হস্তক্ষেপ কখনও কাম্য নয়। এর প্রতিবাদে মাভাবিপ্রবিতে গণ-ইফতার কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, গত রোববার ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ইফতার পার্টি আয়োজন না করার অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। পরদিন সোমবার সকালে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ও  ইফতার পার্টি আয়োজন না করার অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়।


আরও খবর