Logo
শিরোনাম

জুনে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ আগামী জুন মাসে মোট ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন (সাড়ে তিন বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের বৈদেশিক ঋণ পেতে যাচ্ছে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে পাওয়া যাবে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার এবং বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি), জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা), এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি)-সহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা থেকে আসবে আরও ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

গভর্নর দুবাই থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সংবাদ সম্মেলনে ডেপুটি গভর্নর ড. হাবিবুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর জানান, ব্যাংক খাত সংস্কারে বাংলাদেশ ব্যাংক কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ব্যাংকের গর্ভানেন্স বা সুশাসন নিশ্চিত করা। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ১৪টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন আনা হয়েছে, যার ফলে গুণগত পরিবর্তনও এসেছে।’

তিনি আরও জানান, কোনো ব্যাংকের বিতরণকৃত ঋণের ১০ শতাংশ বা তার বেশি যদি খেলাপি হয়, তাহলে সে ব্যাংক শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিতে পারবে না। তাছাড়া, নগদ জমা ও বিধিবদ্ধ জমার ঘাটতির কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে দণ্ডসুদ বা জরিমানা পাওনা থাকলে সেসব ব্যাংকের লভ্যাংশ বিতরণেও নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

গভর্নর বলেন, ‘আমরা ব্যাংক সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। যারা অনিয়ম করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে ব্যাংক রাষ্ট্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হবে, মার্জার করা হবে—সবকিছুই করা হবে, যাতে ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংক সবসময় আমানতকারীদের পাশে আছে। ব্যাংক নয়, আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা করা।’

এই বক্তব্যের মাধ্যমে ব্যাংক খাতের প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর মনোভাব এবং সংস্কারপন্থী অবস্থান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।


আরও খবর



তরুণরা দুষ্টুমি করবে,দুষ্টুমিই তাদের অহংকার, নওগাঁয় ফজলে হুদা বাবুল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

''ভবিষ্যতে তরুণরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিবিএস ক্যাডার হয়ে সব জায়গায় নেতৃত্ব দিবে। তরুণরা দুষ্টমি করবে নাতো কে করবে। তরুণরাই দুষ্টুমি করবে। যারা দুষ্টুমি করবে তারাই একসময় দেশের জন্য ভালো করবে। দুষ্টুমি তরুণদের অহংকার''। 

বৃহস্পতিবার সকালে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা কমিউনিটি সেন্টারে তারুণ্য ফাউন্ডেশনের গেট টুগেদার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফজলে হুদা বাবুল। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি ফজলে হুদা বাবুল বলেন, শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ ভালো রাখতে তোমাদের মতো তরুণদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। শিক্ষাঙ্গনে পড়াশোনার মান যেন ভালো হয়, সেই বিষয়ে তোমাদের সচেতন হতে হবে। তোমাদের হাতে দেশটা যেন ভালো থাকে, সারাদেশ তোমাদের নিয়ে যেন প্রশংসা করেন, আর আমরা যেন গর্বিত হই, সেইভাবে তোমরা এগিয়ে যাও। কারণ তোমাদের হাত ধরেই বাংলাদেশ এসময় ভালো হবে। তাই তারুণ্যের জয় হোক, তারুণ্যে ভরপুর হোক আমাদের এই দেশ।

বদলগাছী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রমি হাসান ও এস এম মাসুদের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল লতিফ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শফিউল আলম, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির জনস্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগী গবেষক ফাবি হুদা ও স্থানীয় সাংবাদিকগণ। তারুণ্য ফাউন্ডেশন প্রাণচাঞ্চল্যের এ আয়োজনে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে হলরুম উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, গেট টুগেদার অনুষ্ঠানে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে। এধরণের অনুষ্ঠানে হলে বন্ধু বান্ধবীদের সাথে মিলিত হওয়া যায়। আমরা চাই এধরণের গেট টুগেদারের আয়োজন প্রায় অনুষ্ঠিত হোক, তাতে আমরা সকলে একসাথে মিলিত হতে পারবো, আনন্দ করতে পারবো। তারুণ্য ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক রিফাত রানা এবং সিনিয়র অফিসার আল রাকিব বলেন, এ পর্যন্ত আমাদের ৫ হাজার শিক্ষার্থী নিয়ে কাজ করা হয়েছে। আর আজ উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। আমরা ভবিষ্যতে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করে যাবে। সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের নিয়ে কাজ করা হবে। এছাড়া আমরা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে সবাই একটি করে গাছ লাগাবো।


আরও খবর



নওগাঁয় গাঁজা ও নগদ টাকাসহ কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রী আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর বদলগাছী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫শ' গ্রাম গাঁজা ও নগদ টাকাসহ রিয়া (২১) নামে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীকে আটক করেছে। বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বদলগাছী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন। আটককৃত রিয়া বদলগাছী উপজেলার আধাইপুর গ্রামের আসাদের মেয়ে ও বদলগাছী সরকারী কলেজের ডিগ্রী পড়ুয়া ছাত্রী। 

জানা যায়, আটককৃত কলেজ ছাত্রী দীর্ঘদিন ধরেই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল। বুধবার দুপুর আড়াই টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আধাইপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন থানা পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে প্রায় ৫শ' গ্রাম গাঁজা, সেই সাথে গাঁজা মাপার ডিজিটাল মেশিন ও নগদ ২০ হাজার ৫শ' ১০ টাকা উদ্ধার করেন পুলিশ। সত্যতা নিশ্চিত করে বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ আনিসুর রহমান বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রিয়াকে আটক করে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে তাকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।


আরও খবর



আমেরিকায় করোনার চেয়ে ভয়াবহ ছত্রাক পাঠাল চীন!

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

করোনা নামের ভাইরাস ছারখার করে দিয়েছিল গোটা বিশ্বকে। মৃত্যু হয়েছে লাখ লাখ মানুষের। সেই আতঙ্ক এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে সাধারণ মানুষ। এর মধ্যেই আমেরিকায় নতুন আশঙ্কার মেঘ। জৈবিক ছত্রাক ফুসারিয়াম গ্রামিনিয়ারাম নিয়ে শুরু হলো উদ্বেগ। এটি করোনা প্রথম শনাক্ত হওয়া চীন থেকে আমেরিকায় পাচার করা হয়েছে! মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ বলছে, চীন বিষয়ক মার্কিন বিশেষজ্ঞ গর্ডন চ্যাং দাবি করছেন, এই ছত্রাকের কারণে কোভিডের চেয়ে ভয়াবহ কিছু অপেক্ষা করছে আমেরিকায়।

প্রায় দুই দশক ধরে চীন ও হংকংয়ে কর্মরত গর্ডন। চায়না ইজ গোয়িং টু ওয়ার বইটির লেখক তিনি। আমেরিকা নিয়ে চীনের গতিবিধির বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন এই গর্ডন সম্প্রতি আমেরিকায় দুই চীনা গবেষক গ্রেপ্তার ইস্যুতে নতুন ভয়ঙ্কর পরিণতির আশঙ্কা করছেন। বিষাক্ত ছত্রাক পাচারের দায়ে সম্প্রতি আমেরিকায় গ্রেপ্তার করা হয় চীনের দুজনকে। তাদের কাছ থেকে যে ছত্রাক পাওয়া গেছে, তা চাষের খেতে প্রয়োগ করা হলে বিপুল মাত্রায় ফসলের ক্ষতি হয়।

 বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি একটি বায়োলজিকাল ওয়েপন, যার প্রয়োগে রীতিমতো খাদ্যসংকটের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করা সম্ভব। জানা যায়, মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক চীনা নাগরিক ইউনকিং জিয়া এবং তাঁর প্রেমিক জুনইয়ং লিউয়ের কাছ পাওয়া যায় এই ছত্রাক। আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, যে ছত্রাক নিয়ে কথা হচ্ছে, তা আসলে বায়োলজিক্যাল প্যাথোজেন। এই ছত্রাকের কারণে গম, বার্লি, ধান, ভুট্টার মতো ফসল নষ্ট হয়ে যায়। একটি দেশকে ভাতে মারার জন্য এই ছত্রাককে অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগাতে পারে শত্রু দেশ।

 এ নিয়ে চীন বিষয়ক আমেরিকান বিশেষজ্ঞ গর্ডন চ্যাং ফক্স নিউজকে বলেন, এটি বন্ধ করার একমাত্র উপায় হলো চীনের সঙ্গে সবরকম সম্পর্ক ছিন্ন করা। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো। আমরা সত্যিই কঠোরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো। কেবল কোভিডের জন্য নয়, কেবল ফেন্টানাইলের জন্য নয়। সম্ভবত আরও খারাপ কিছুর জন্য। গর্ডন ওই সাক্ষাৎকারে আরও উল্লেখ করেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সর্বদা যুদ্ধে যাওয়ার কথা ভাবেন। তিনি সমস্ত চীনা নাগরিক সমাজকে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য একত্রিত করেন। গর্ডনের ভাষ্যমতে, আমাদের দেশের (আমেরিকা) ক্ষতি হতে পারে। আমরা অনেক শক্তিশালী রাষ্ট্র হলেও সম্ভবত প্রয়োজনীয় শক্তি এবং দৃঢ় সংকল্পের সঙ্গে নিজেদেরকে রক্ষা করছি না।


আরও খবর



উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেস : ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা না করেই বিক্ষোভ কবলিত লস অ্যাঞ্জেলেসে হাজার হাজার ন্যাশনাল গার্ড ও ৭০০ মেরিন সেনা সদস্যকে মোতায়েন করায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের রাজ্য প্রশাসন।

রাজ্যের রাজধানী সান ফ্রান্সিসকো শহরের ফেডারেল আদালতে দায়ের করা এই মামলায় আসামি করা হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মার্কিন সংবিধান অনুসারে প্রেসিডেন্ট নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের কোথাও সেনা মোতায়েন করতে পারেন না এবং ক্যালিফোর্নিয়ার রাজ্যপ্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা না করেই লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড ও সেনা মোতায়েনের মাধ্যমে ট্রাম্প সংবিধান বহির্ভূত কাজ করেছেন।

সেই সঙ্গে দাবি জানানো হয়েছে যে বর্তমানে ন্যাশনাল গার্ড এবং মেরিন বাহিনীর যেসব আধা সামরিক ও সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়েছে, তারা যেন এই বিক্ষোভ পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা ট্রাম্পের পরিবর্তে ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলেন।

মামলা দায়েরের পর ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল রব বনতা সাংবাদিকদের বলেন, “লস অ্যাঞ্জেলেসে ট্রাম্পের ন্যাশনাল গার্ড ও মেরিন সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত অপ্রয়োজনীয়, বিপরীতমুখী এবং সর্বোপরি আইন বহির্ভূত।”

গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসন উচ্ছেদ এবং নথিবিহীন অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন ট্রাম্প। তার পর থেকে নথিবিহীন অভিবাসীদের শনাক্ত ও আটক করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে অভিযান শুরু করে পুলিশ এবং মার্কিন কাস্টমস বিভাগের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা আইসিই।

তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার দেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যের দ্বিতীয় প্রধান শহর লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিযানে নামে পুলিশ এবং আইসিই। প্রসঙ্গত, প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার নথিবিহীন অভিবাসী আছেন। এদের অধিকাংশই মেক্সিকো এবং দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা। সাধারণত শহরতলী এলাকাগুলোতে তারা থাকেন।

গত ৬ জুন শুক্রবার লস অ্যাঞ্জেলেসের শহরতলী এলাকা প্যারামাউন্টে নথিবিহীন অভিবাসীদের শনাক্ত ও আটক করতে অভিযানে নামেন পুলিশ ও আইসিই সদস্যরা। তবে অভিযানের শুরুতেই তারা ব্যাপক প্রতিরোধের সম্মুখীন হন। প্যারামাউন্টের বাসিন্দারা তীব্র বিক্ষোভের পাশাপাশি পুলিশ ও আইসিই সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল, বোতল ও মলোটভ ককটেল বা পেট্রোল বোমা ছুড়তে থাকেন।

অবস্থা বেগতিক দেখে পরের দিন পুলিশ ও আইসিই সদস্যদের সহায়তার জন্য মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন আধা সামরিক বাহিনী হাজার ন্যাশনাল গার্ডের ২ হাজার সদস্যকে মোতায়েনের নির্দেশ দেন ট্রাম্প। কিন্তু তাতে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটার পরিবর্তে সংঘাত আরও বাড়তে থাকে।

এই অবস্থায় গতকাল সোমবার লস অ্যাঞ্জেলেসে আরও ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড এবং তাদের সঙ্গে ৭০০ মেরিন সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাম্প।

আজ চার দিন ধরে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে আছে লস অ্যাঞ্জেলেস। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার নিউইয়র্ক সিটি, ফিলাডেলফিয়া এবং সান ফ্রান্সিসকোতেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রথম দফায় যখন লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের পাঠিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সে সময়েই এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের গভর্নর গ্যাভিন নিউসাম। সে সময় ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলার হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি। সোমবার লস অ্যাঞ্জেলেসে আরও ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য ও ৭০০ মেরিন সেনাসদস্য নামানোর পর সানফ্রান্সিসকোর ফেডারেল আদালতে এ মামলা করল ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্য প্রশাসন।

মামলার প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আনা কেলি সিএনএনকে বলেছেন, “নিউসাম নিজের মুখ বাঁচানো বা আত্মসম্মান রক্ষার জন্য এই মামলা করেছেন। এটা খুবই দুঃখজনক যে রাষ্ট্রের প্রয়োজন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তার থেকে নিজের আত্মসম্মানকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।”

এদিকে নিউসাম জানিয়েছেন, ট্রাম্প যদি ন্যাশনাল গার্ড ও সেনাদের প্রত্যাহার করেন, তাহলে তিনিও মামলা তুলে নেবেন।

সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় ট্রাম্পের উদ্দেশে নিউসাম বলেছেন, “এই সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করার ক্ষমতা আপনার আছে। দয়া করে সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করুন।


আরও খবর



ইতালির ভেনিসে ঈদুল আযহা উদযাপিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

পলাশ রহমান :

ঈদ উল আজহার পবিত্রতা ও ধর্মীয় আবেগে আজ শুক্রবার (৬ জুন) ইতালিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত মুসলিম সম্প্রদায় ঈদের নামাজ আদায় ও কোরবানির মধ্য দিয়ে পালন করেছেন মহান ত্যাগের এই দিনটি। 

ইতালির রাজধানী রোম, মিলানো, সিসিলি, ভেনিসসহ নানা শহরে লাখো মুসলিম প্রবাসীর অংশগ্রহণে ঈদের জামায়াত ধর্মীয় সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ এক দৃশ্যের অবতারণা করে।

প্রায় লক্ষাধিক মুসলিম অভিবাসীর শহর ভেনিসে সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় ঈদের নামাজ। মসজিদুল ইত্তিহাদসহ স্থানীয় কমিউনিটির উদ্যোগে আয়োজিত প্রায় ৩০টি জামায়াতে অংশগ্রহণ করেন ৪০ হাজারের বেশি মুসল্লি। নামাজে অংশ নেয় নানা বয়সের  মুসলিম অভিবাসীরা। ঈদের নতুন পোশাক পরে, আনন্দ ও উৎসাহ নিয়ে মুসল্লিরা জামায়াতে শরিক হন।


ঈদের খুৎবায় মাওলানা আরিফ মাহমুদ বলেন, ত্যাগ, ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানবিক মূল্যবোধের শিক্ষা নিতে হবে পবিত্র ঈদুল আযহার পশু কোরবানির মাধ্যমে।  

তিনি বলেন, কোরবানি কবুল হওয়ার অন্যতম শর্ত হলো- হালাল ইনকাম। হালাল আয় দিয়েই কোরবানি করতে হবে, অন্যথায় তা শুদ্ধ হবে না।

নামাজ শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দোয়া করা হয়।

ঈদের নামাজ শেষ করে প্রবাসীরা পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন, প্রিয়জনদের সঙ্গে ভাগাভাগি করেন ঈদের আনন্দ। প্রযুক্তির সহায়তায় ভিডিও কলে দেশে থাকা আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে সংযুক্ত হন অনেকে। এ সময় তাদের চোখে-মুখে ফুটে ওঠে আবেগঘন মুহূর্ত। ভেনিস বিএনপি'র সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ সেলিম বলেন, প্রবাসে আমাদের আলাদা একটা সমাজ গড়ে উঠেছে ঠিকই, কিন্তু দেশের মানুষদের মিস করি প্রতি মুহূর্তে।

শিশু-কিশোরদের ঈদের আনন্দ বাড়িয়ে তুলতে মসজিদুল ইত্তেহাদ কর্তৃপক্ষ তাদের হাতে তুলে দেন ঈদ উপহার। শহরের পার্ক, খোলা মাঠ ও রেস্টুরেন্টগুলোয় জমে ওঠে আড্ডা। বিকেলে পরিবার-পরিজন নিয়ে ভেনিসের দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে বেড়ান অনেকেই।


বাংলাদেশিদের ঘরে ঘরে রান্না করা হয় ঈদের মজাদার খাবার। সেমাই, পোলাও, বিরিয়ানি, ফিরনি, পায়েস, জর্দার ঘ্রাণে ভরে ওঠে চারদিক। গরুর মাংসের সুগন্ধে ঈদের ঐতিহ্য যেন ছুঁয়ে যায় দেশীয় আবেগকে।

ইতালীয় নাগরিকদের মাঝেও মুসলিমদের এমন রঙিন ও সুশৃঙ্খল ঈদ উদযাপন ভিন্নমাত্রার আগ্রহ ও সৌহার্দ্য সৃষ্টি করে। তারাও উপভোগ করেন মুসলিমদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা।

তবে দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, শুক্রবার কর্মদিবস হওয়ায় ও স্কুল খোলা থাকায় অনেক শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী প্রবাসী ঈদের নামাজে অংশ নিতে পারেননি। ইতালিতে বসবাসরত প্রায় ৭ লাখ মুসলিমের পক্ষে কমিউনিটি ব্যক্তিত্বরা সরকারের কাছে দুই ঈদে ছুটির দাবি জানিয়ে বলেন, প্রাচীন সভ্যতার দেশ ইতালিতে অভিবাসীদের ধর্মীয় অধিকারের প্রতি মানবিক সম্মান প্রদর্শন করা উচিত। এতে ইতালির মানবিক এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা হবে। পারস্পরিক ভ্রাতিত্ববোধ ও সম্মান বৃদ্ধি পাবে। মানবাধিকার রক্ষা হবে।

পবিত্র ঈদ উল আজহা মুসলিমদের জন্য শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং আত্মিক পরিশুদ্ধির এক অনন্য উপলক্ষ। ইউরোপের মাটিতে তা আজ আরও একবার প্রমাণিত হলো ধর্মীয় শ্রদ্ধা, আনন্দ ও একতার মহা মিলনমেলায়।

মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন- ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলোনিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক ব্যক্তিবর্গ।

ভেনিস প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি শাহানুর রহমান উজ্জ্বল বলেন, প্রবাসীদের ঈদ আর বাংলাদেশের ঈদের মধ্যে যোজন যোজন দূরত্ব রয়েছে। প্রবাসীরা প্রবাসে ঈদ করলেও তাদের মন পড়ে থাকে প্রিয় বাংলাদেশে। প্রবাসীরা বাংলাদেশকে বুকে ধারণ করেই বেঁচে থাকে।


আরও খবর