Logo
শিরোনাম

জ্বালানি খাতে খুলছে সম্ভাবনার দুয়ার

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

দেশের জ্বালানি খাত নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। ব্যর্থতাও রয়েছে ভূরিভূরি। এরই মধ্যে মিলছে সুসংবাদ। শিগগিরিই চট্টগ্রাম থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ঢাকায় আসবে ডিজেল।

ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে ২৫০ কিলোমিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল পরিবহন শুরু হবে। এর মাধ্যমে জ্বালানি পরিবহনে নতুন একটি মাইলফলক স্পর্শ করবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানান, বন্দর নগরীর পতেঙ্গা থেকে রাজধানীর উপকণ্ঠে ফতুল্লা পর্যন্ত প্রথম ভূগর্ভস্থ এই পাইপলাইন চালু হলে প্রতি বছর জ্বালানি পরিবহনে প্রায় ২৩০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। ঢাকাসহ সারা দেশে ডিজেলের সরবারাহ বাড়বে দ্রুতগতিতে। কমবে পরিবহন খরচ। সংশ্লিষ্ট সূত্র এমনটাই নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, জানুয়ারি থেকেই পাইপলাইনে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল আনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত প্রায় ২৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপনের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এখন পাইপলাইনে তেল সরবরাহ কার্যক্রমের উদ্বোধনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে বছরে ৩০ লাখ টন তেল আসবে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল ও ফতুল্লা ডিপোতে। এতে বিপুল অঙ্কের পরিবহন ব্যয়ের পাশাপাশি সময়ও সাশ্রয় হবে। তেল চুরিসহ সিস্টেম লসের কবল থেকেও বহুলাংশে মুক্তি মিলবে। পাইপলাইনের মাধ্যমে পরিবহন ব্যয় ও তেল অপচয় ঠেকানোসহ বছরে অন্তত ২৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে বিপিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। জ্বালানি তেল পরিবহনে পাইপলাইন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে বিপিসি।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল আসে নদী ও সড়কপথে। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মাঝেমধ্যেই তেল পরিবহন বাধাগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া নদী ও সড়কপথে তেল পরিবহনের কারণে খরচ যেমন বেশি, তেমনি তেল চুরির অভিযোগও রয়েছে। একই সঙ্গে শুষ্ক মৌসুমে নৌপথে নাব্যতা কমে যাওয়ায় তেল পরিবহন করাও কঠিন হয়ে পড়ে। এসব সংকট নিরসনেই ২০১৮ সালের অক্টোবরে ‘চট্টগ্রাম হতে ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাইনে জ্বালানি তেল পরিবহন’ নামের প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। বিপিসির পদ্মা অয়েল কম্পানির তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন হয়। শুরুতে পাইপলাইন প্রকল্পটির ব্যয় দুই হাজার ৮৬১ কোটি ৩১ লাখ টাকা ধরা হয়। পরে সংশোধিত ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। তবে প্রকল্পটির কাজ আরো দুই বছর আগে শেষ হওয়ার কথা ছিল। নানা জটিলতায় দেরি হয়েছে।

বিপিসির চেয়ারম্যান (সচিব) মো. আমিন উল আহসান বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপলাইন প্রকল্পটি আগামী জানুয়ারিতে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এটির মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহ শুরু হলে পরিবহন খরচ ও অপচয় অকেটাই রোধ করা সম্ভব হবে।’ ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপলাইন প্রকল্পের পরিচালক আমিনুল হক বলেন, ‘এরই মধ্যে পাইপলাইন স্থাপনের কার্যক্রম শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। কমিশনিংয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। পুরোপুরিভাবে তেল সরবরাহ শুরু হলে যে পরিমাণ পরিবহন ব্যয় ও অপচয় রোধ হবে, তার মাধ্যমে ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যেই প্রকল্পের ব্যয় উঠে আসবে।’

জানা গেছে, দেশের জ্বালানি তেলের ৯০ শতাংশ পরিবাহিত হয় নৌপথে। তেল বিপণন কম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকা প্রায় ২০০টি অয়েল ট্যাংকার এসব জ্বালানি তেল পরিবহন করে। নৌপথে জ্বালানি তেল পরিবহনে সিস্টেম লসের পাশাপাশি বিভিন্ন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের উপমহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) আসিফ মালিক বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে নদীপথে ঢাকায় তেল যেতে অনেক সময় দুদিন লেগে যেত। বিভিন্ন সময় ট্যাংকারে আগুন লাগার মতো দুর্ঘটনা ঘটে। পাইপলাইনের মাধ্যমে পরিবহন ব্যয় সাশ্রয়ের পাশাপাশি অনেকটাই ঝুঁকিমুক্তভাবে তেল সরবরাহ করা যাবে।’ বর্তমানে চট্টগ্রাম থেকে রেল ও সড়ক ও নৌপথে দেশের অন্যান্য স্থানে ডিজেল পরিবহন করা হয়। পরিবহনের সময় প্রায়ই তেল চুরির ঘটনা ঘটে। এছাড়া শুষ্ক মৌসুমে নৌপথে নাব্যতা সংকটের কারণে জ্বালানি পরিবহনে সমস্যা দেখা দেয়। এতে প্রায়ই জ্বালানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে।

বিপিসির এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪তম ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। এতে খরচ হচ্ছে ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।

প্রকল্প পরিচালক কর্নেল জাহাঙ্গীর হোসেনের মতে, এরই মধ্যে পাইপলাইনে হাইড্রো টেস্ট করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পাইপলাইনের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে সফলভাবে পানি পাঠানো হয়েছে। পাইপলাইনে ৯টি পাম্পিং স্টেশন রয়েছে এবং এখন স্টেশনগুলোর সরঞ্জাম পরীক্ষা করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ‘আশা করছি ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে আমরা পাইপলাইনটি চালু করতে পারব।’

এই পাইপলাইন দিয়ে বছরে ২ দশমিক ৭ থেকে ৩ মিলিয়ন টন ডিজেল পরিবহন করা যাবে। ধাপে ধাপে এর সক্ষমতা পাঁচ মিলিয়ন টনে উন্নীত করা যেতে পারে।

বিপিসির তথ্য অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সারা দেশে নৌপথে ৫ দশমিক ৪ মিলিয়ন টন জ্বালানি পরিবহন করা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার গোদনাইল ও ফতুল্লা ডিপোতে ২ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন তেল পরিবহন করা হয়েছে। বর্তমানে এ রুটে প্রতি মাসে ১১০টি জাহাজ জ্বালানি পরিবহন করে।

দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই পাইপলাইনের দুটি অংশ রয়েছে : একটি ২৪১ দশমিক ২৮ কিলোমিটার ১৬-ইঞ্চি ব্যাসের পাইপলাইন। এটি পতেঙ্গা থেকে ফেনী, কুমিল্লা, চাঁদপুর এবং মুন্সীগঞ্জ হয়ে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল ডিপো পর্যন্ত তেল পৌঁছাবে। অন্য অংশটি ৮ দশমিক ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই অংশে ১০-ইঞ্চি ব্যাসের পাইপলাইন দিয়ে গোদনাইল থেকে ফতুল্লা পর্যন্ত তেল পরিবহন করা হবে। পতেঙ্গা থেকে গোদনাইল পর্যন্ত ২২টি নদী ও খালের তলা দিয়ে এই পাইপলাইন গেছে।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




পৃথিবীতে যত সংস্কার হয়েছে তা রাজনীতিবিদরাই করেছেন

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

পৃথিবীতে যত সংস্কার হয়েছে তা রাজনীতিবিদরাই করেছেন উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘রাষ্ট্রসংস্কার নিয়ে রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্য একজন উপদেষ্টা গতকাল যে বক্তব্য দিয়েছেন তা বিরাজনীতিকরণের একটি প্রয়াস। এটি তিনি অত্যান্ত ভুল কথা বলেছেন। পৃথিবীতে সব সংস্কারই হয়েছে পার্লামেন্টে। তার মন্তব্য বিভ্রান্তিমূলক।

আজ শনিবার মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। একদিনে সমাজের অনিয়ম দূর হয়ে যায় না। এর জন্য প্রয়োজন সর্বস্তরের সহযোগিতা।

এর আগে, এক অনুষ্ঠানের বন পরিবেশ উদেষ্টা সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ‘যদি রাজনীতিবিদেরাই সংস্কার করতে পারেন, তাহলে গত ৫৩ বছর তারা কী করেছেন? রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতার কারণেই আমাদের দায়িত্ব নিতে হয়েছে। সংস্কারের কাজ শেষ হলে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন।

এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।

এর আগে, দলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী, সমর্থক নিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি সৌধে ফুল দিয়ে তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান রুহুল কবির রিজভী। সময় তার সঙ্গে ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবীব উন নবী খান সোহেল, সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীমসহ অনান্যরা।


আরও খবর

উজ্জীবিত খালেদা জিয়া

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আত্মঘাতীমূলক

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ব্যবসা-বাণিজ্য খাতে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে। এখনও লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আত্মঘাতীমূলক। এ ধরনের কর এমন এক সময়ে বাড়ানো হলো যখন দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজমান। উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে শুধু নিম্ন আয় ও প্রান্তিক আয়ের মানুষ নয়; মধ্যবিত্তরাও হিমশিম খাচ্ছেন।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানী নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ও সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যর্থ হচ্ছে। তারা এখনো বাজার সিন্ডিকেট দমন করতে পারেনি। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা মানুষ। প্রতিদিনের সংসারের ব্যয় মেটাতে জনগণকে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। এর মধ্যে ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। তাতে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ আরেক দফা বাড়ছে সাধারণ মানুষের।

এমনিতেই মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। সেখানে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, এলপি গ্যাস, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, আচার, টমেটো কেচাপ বা সস, জুস, টিস্যু পেপার, ফলমূল, সাবান-ডিটারজেন্ট পাউডার, মিষ্টি, চপ্পলের ওপর ভ্যাট হার বৃদ্ধি মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষকে আরও চাপে ফেলবে, বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, বাজেটের আগেই এসব পণ্য ও সেবার দাম বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমবে। নতুন করে সংকটে পড়বে ব্যবসা-বাণিজ্য। জনজীবনের নিত্য দুর্ভোগ কিংবা বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি শুধু সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করেন, তাহলে জনগণের কাছে সংস্কার আগে না সংসার প্রশ্নটিই মুখ্য হয়ে উঠতে পারে।

তিনি আরও বলেন, দুর্ভোগ মেনে নিলেও জনগণ এখনো সরকারের বিরুদ্ধে তেমন উচ্চবাচ্য করছে না। কারণ, জনগণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সফল দেখতে চায়। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিজেরা নিজেদেরকে সফল দেখতে চায় কিনা, মানুষের ক্ষুধা নিবৃত্তির কার্যক্রমের মাধ্যমে সেটি তাদেরকেই প্রমাণ করতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন— বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ফরিদপুর বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিমুজ্জামান, সহ প্রচার আসাদুল করিম শাহীন, কেন্দ্রীয় নির্বাহীর কমিটির সদস্য (দফতরে সংযুক্ত) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, তারিকুল আলম তেনজিং, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির জাহিদ প্রমুখ।


আরও খবর

উজ্জীবিত খালেদা জিয়া

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




রোদের প্রভাবে দিনে বাড়ে তাপমাত্রা, রাতে তীব্র শীত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ ডিসেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শৈত্যপ্রবাহ কাটার পর দুই দিন ধরে ১০ ডিগ্রির ওপরে উঠেছে তাপমাত্রা। সকালে রোদ উঠে যাওয়ায় কমেছে কনকনে শীতের তীব্রতা। তবে সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত অব্যাহত থাকছে শীতের দাপট।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ১৩ থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পর দুই দিন ধরে ১০ ডিগ্রির ওপরে তাপমাত্রা রেকর্ডে কমেছে কিছুটা শীতের তীব্রতা।

সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শীতের প্রকোপ থাকলেও কুয়াশাহীন ভোরে রোদ ছড়াচ্ছে সূর্য। বেলা বাড়তে থাকলে কমে যেতে থাকে শীতের মাত্রা। ফলে জনজীবনে কর্মচাঞ্চল্য দেখা মিলছে সকাল থেকেই। সকালেই দেখা গেছে চা বাগানে শ্রমিকদের পাতা তুলতে। পাথর শ্রমিকদের কাজে যেতে। আলু ও গম রোপণের মৌসুমে ক্ষেত তৈরিতে ব্যস্ততা সময় পার করছেন চাষিরা।

সকালে চা শ্রমিক জামাল ও নাসির বলেন, সকালে রোদ থাকায় শীতের মাত্রা কিছুটা কমেছে। তবে ভোরের শিশিরের কারণে চা পাতাগুলো তুলতে গেলে হাত-পা অবশ হয়ে আসে।

পাথর শ্রমিক কামালসহ কয়েকজন বলেন, সকালে রোদ উঠে যাওয়ায় কাজে যেতে অসুবিধা হচ্ছে না। তবে নদীতে পাথর তুলতে গেলে নদীর পানি বরফের মতো লাগে। দিনভর পাথর তুলে রাতে সর্দি-কাশি এমনকি জ্বরও এসে যায়। কিন্তু কী করবো, পরিবারের কথা চিন্তা করেই বরফগলা নদীতে নেমে পাথর তুলতে হয়।

স্থানীয়রা বলছেন, দিনে ঠান্ডা নেই। ভোরেই ঝকঝকে আকাশে দেখা মেলে সূর্য। যার কারণে সকালে শীতের মাত্রা কমে যায়। তাপমাত্রা যেন জিরোতে নেমে আসে রাতে। রাতভর অনুভূত হয় বরফের শীত। বরফ হয়ে ওঠে ঘরের বিছানা, ঘরের ফ্লোর থেকে সব আসবাবপত্র। শীতবস্ত্রের অভাবে হতদরিদ্র মানুষগুলো পোহাচ্ছে দুর্ভোগ।

শীতের কারণে বেড়েছে জ্বর, সর্দি, ডায়েরিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগ ব্যাধি। প্রতিদিনই জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসকরা চিকিৎসার পাশাপাশি শীতে সুরক্ষা থাকতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।

জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, দুই দিন ধরে তাপমাত্রা বেড়েছে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ১৩ থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পর দুই দিন ধরে ১০ ডিগ্রির ওপরে তাপমাত্রা রেকর্ডে কমেছে কিছুটা শীতের তীব্রতা।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




ফুলবাড়িতে,গাঁজা সহ এক মাদক কারবারি আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত (ফুলবাড়ী) কুড়িগ্রাম :

চলমান মাদক বিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা সহ এক মাদক কারবারি কে আটক করেছে।

জানাযায়, ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুনুর রশিদ এর নেতৃত্বে,থানা পুলিশের এসআই রাকিব সহ মাদক উদ্ধার কারী একটি চৌকস টিম বৃহস্পতিবার ২৬(ডিসেম্বর) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার নাও ডাঙ্গা ইউনিয়নের গোড়ক মন্ডল এলাকার বাঘমারা গ্রামের মৃত: জব্বার আলীর বসতবাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি পালসার মোটরসাইকেলের ট্যাংকিতে বিশেষ কায়দায় ফিটিং অবস্থায় ২ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ তার মাদক কারবারি ছেলে,হাসেন আলী (৪২) কে হাতেনাতে আটক করে।

এব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুনুর রশিদ জানান, আটককৃত মাদক কারবারির বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



পেঁয়াজের রফতানি কমিয়েছে ভারত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ভারতের স্থানীয় বাজারে নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। এতে মসলা পণ্যটির দাম নিম্নমুখী। এ অবস্থায় রফতানি উৎসাহিত করতে পেঁয়াজের ন্যূনতম রফতানি মূল্য (এমইপি) কমিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্যটির আমদানি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভারতের হিলির সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অনিল সরকার জানান, এর আগে ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানির ক্ষেত্রে প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রফতানি মূল্য ছিল ৪০৫ ডলার। এর নিচে কোনো এলসি (ঋণপত্র) গ্রহণ করা হচ্ছিল না। বর্তমানে এমইপি কমিয়ে ৩০৫ ডলারে নামিয়ে আনা হয়েছে। ফলে আরো মূল্যে এলসি খোলা যাবে।

বন্দর সূত্রে জানা যায়, গত রোববার সন্ধ্যায় নতুন এমইপি ঠিক করে দেয় ভারতের মূল্য নির্ধারণী সংস্থা। গতকাল মূল্য কার্যকর হয়েছে।

তবে এমইপি কমলেও রফতানি শুল্ক আগের মতোই আছে। তবে মূল্য কমার ফলে শুল্কের পরিমাণও কমে আসবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন জানান, রফতানি মূল্য কমায় পেঁয়াজ কিনতে কেজিপ্রতি রুপি দাম কমে গেছে। এছাড়া বর্তমানে প্রতি ট্রাক পেঁয়াজ আমদানিতে ৫০ হাজার রুপির মতো কম শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রতি ট্রাক পেঁয়াজ আমদানিতে আগের চেয়ে চার লাখ টাকা কমে এলসি খোলা যাবে। এতে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বাড়বে।

তিনি আরো বলেন, ‘আমদানি বাড়লে দেশের বাজারেও পেঁয়াজ সরবরাহ বাড়বে। এতে পাইকারি খুচরা বাজারে পণ্যটির দাম কমে আসবে।

ভারতে পেঁয়াজের উৎপাদন বেশি হওয়ায় এবং দাম কমতে থাকায় সম্প্রতি দেশটির কৃষকরা আন্দোলন শুরু করেন। তাদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতেই ভারত সরকার রফতানি মূল্য কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে দেশী নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় সরবরাহ বেড়েছে দাম কমেছে। ফলে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। পরিস্থিতিতে ভারতীয় পেঁয়াজের রফতানি মূল্য কমানো বাংলাদেশী আমদানিকারকদের জন্য স্বস্তির বিষয় হলেও স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত পেঁয়াজের দাম কমার আশঙ্কা রয়েছে 


আরও খবর