জয়পুরহাট কোটা সংস্কার আন্দোলনে ৬ মামলা সহ শতাধিক গ্রেপ্তার
রাজশাহীতে জেলা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভা
বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বিচার বিভাগে ব্যাপক রদবদল
মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ঢালাওভাবে মামলা ও আসামী না করতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আহ্বান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন ও অভ্যুত্থানের ফলপ্রসূতায় জনমানুষের মনে স্বস্তি এসেছে। এ আন্দোলনের ছাত্র-জনতার আত্মোৎসর্গের প্রতি জাতি কৃতজ্ঞ। অপরপক্ষে যেসব প্রাণহানি হয়েছে সে বিষয়ে ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় রুজু হচ্ছে বহু মামলা। কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে অতি সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে প্রাণহানি ও হতাহতের ঘটনায় ঢালাওভাবে মামলা ও আসামি করে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশ। অনেকক্ষেত্রে মামলাগুলোতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে ও মনগড়া এজাহার দেওয়া হয়েছে বলেও জানা যায়। নানা অসংগতিতে মামলাগুলো গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলছে এবং প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। মামলাগুলোর ফলে একদিকে যেমন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি/পরিবার ন্যায়বিচার বঞ্চিত হওয়ার সম্মুখীন হচ্ছে অপরদিকে অনেক নিরপরাধ মানুষও হয়রানির শিকার হতে পারে এবং এর ফলে সমাজে অনেকেই ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে।
মামলা হলেই যাতে নির্বিচারে গ্রেফতারের ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মাননীয় চেয়ারম্যান সকলকে আহবান জানান। গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ইমরান হোসেন নামের এক তরুণকে হত্যার মামলায় প্রথিতযশা আইনজীবী ও স্বনামধন্য সাংবাদিকসহ ২৯৭ জনকে আসামি করা হয়েছে, এছাড়াও, পুলিশের নন অপারেশনাল ইউনিটে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদেরও মামলায় আসামী করা হয়েছে, শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীকে আসামি করে জুনের মৃত্যুকে আগস্টে আন্দোলনে নিহত দেখিয়ে মামলা করা হয়েছে, দেশের বাইরে থেকেও কেউ কেউ ‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে গুলি ছুড়ে’ হয়েছেন অভিযুক্ত, একই ঘটনায় ভিন্ন ভিন্ন এজাহার ও ভিন্ন ভিন্ন আসামীর নাম দিয়ে মামলা করা হয়েছে। এ ধরনের মামলাগুলোতে নির্বিচারে আসামী করা মামলাগুলোকে দুর্বল করে এবং তা প্রকৃত অপরাধী শনাক্তকরণে বাঁধা প্রদান করে।
অসঙ্গতিপূর্ণ, হয়রানি ও উদ্দেশ্যমূলক মামলা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এরই প্রেক্ষিতে শুধু নির্ভরযোগ্য তথ্য এবং সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা করার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। পাশাপাশি, মামলা হলেই যত্রতত্র গ্রেফতার না করার আহ্বান জানিয়েছে কমিশন। এ বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মাননীয় চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, নির্বিচারে ও ঢালাওভাবে আসামী করে মামলা দায়ের কোনোভাবে কাম্য নয়। এটি অনৈতিক এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘন। মামলাগুলো বস্তুনিষ্ঠ হওয়া প্রয়োজন। প্রকৃত ঘটনা নিরূপণ করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা এবং নির্দোষ ব্যক্তিকে হয়রানির হাত থেকে মুক্ত করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সকল অংশীজনের দায়িত্ব। তথ্যগত অসামঞ্জস্যতা ও অসংগতি মামলাকে দুর্বল করে ফেলে। যথাযথ যাচাই-বাছাই করে মামলা করা না হলে প্রকৃত অপরাধী পার পেয়ে যেতে পারে এবং তাতে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের ন্যায়বিচার প্রাপ্তিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে। সরকারের পক্ষ থেকে তল্লাশি ও মামলা গ্রহণে প্রচলিত আইন যথাযথভাবে মেনে চলার ও মামলা হলেই যত্রতত্র গ্রেফতার না করার যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তাকে স্বাগত জানায় কমিশন। কমিশন বিশ্বাস করে সকলের সহযোগিতা ও সহমর্মিতার ভিত্তিতে কাজ করলে দ্রুতই স্থিতিশীল অবস্থা তৈরি হবে ও জনমানুষের মানবাধিকার সুনিশ্চিত হবে।
সাগরে লঘুচাপ, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত
শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ড. ইউনূসের মেগাফোন কূটনীতিতে ভারতের অস্বস্তি
শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
রাঙ্গাবালীতে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী):
উৎসবমুখর পরিবেশে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার উপজেলা শাখার উদ্যোগে র্যালী, আলোচনা সভা ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপিত হয়।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুদ পারভেজ খোকনের সভাপতিত্বে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শাহরিয়ার সজিব মল্লিক ও যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল মাহমুদের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান ফরাজী।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদ হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মিজানুর রহমান নান্নু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মুন্সী, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক অরুন মীর, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব নিয়াজ আকন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সোহাগ মাহমুদ ও সদস্য সচিব আজিজুর রহমান প্রমুখ।
মানিকগঞ্জে শহীদ রফিক সেতুর টোল বন্ধে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ
বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মাশরুম চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নোবিপ্রবি ভিসি, প্রো ভিসি পদত্যাগের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান
সিনান তালুকদার নোবিপ্রবি প্রতিনিধি :
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ভিসি ও প্রো-ভিসির পদত্যাগের দাবিতে নিয়ে নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলনের নোবিপ্রবি 'র সমন্বয়বৃন্দ। নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রপতি বরাবর এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকাল ৫.০০ টায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নোবিপ্রবির সমন্বয়ক বানী ইয়ামিন ও মাহমুদুল হাসান আরিফ এর নেতৃত্বে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক এর নিকট এ স্মারকলিপি জমা দেয়া হয়।
স্মারকলিপিতে সমন্বয়কবৃন্দ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করে ভিসি ও প্রো ভিসির পদত্যাগ দাবি করা হয়। তা হলো: শিক্ষা ও গবেষণার গুণগত মান হ্রাস,আর্থিক অনিয়ম,ছাত্র শিক্ষক সম্পর্কের অনুভুতি, প্রশাসনিক অব্যবস্থপনা, বাড়ি ভাড়া নিয়ে অনিয়ম, রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য নিয়োগে স্বেচ্ছাচারিতা, উচ্চ আদালতের আদেশ অবজ্ঞা ইত্যাদি।
এর আগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নোবিপ্রবির সমন্বয়কবৃন্দের আল্টিমেটাম অনুয়ায়ী ভিসি, প্রো-ভিসি ও রেজিস্ট্রার এখনো পদত্যাগ না করায় নোবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবন, ভিসির বাস ভবন, ভি.আই.পি গেস্ট হাউস, একাডেমিক ভবন-১ ও ২ এবং লাইব্রেরি ভবনে তালা দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
গত ১২ আগস্ট উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারের কুশপুত্তলিকা আগুনে পুড়িয়ে প্রতিবাদ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি প্রশাসন পদত্যাগ না করলে ক্যাম্পাসকে 'শাটডাউন' করার হুশিয়ারি দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নোবিপ্রবির সমন্বয়কবৃন্দ।
এ প্রসঙ্গে নোবিপ্রবির বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর অন্যতম সমন্বয়ক মাহমুদুল হাসান আরিফ বলেন, গত ৫ তারিখের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পদত্যাগ করার জন্য আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছি। কিন্তু এই নির্লজ্জ ভিসি পদত্যাগ না করে বলেন পদত্যাগ করার মতো কোনো কারণ দেখছেন না তিনি। তাই, তার কেন পদত্যাগ করা উচিত সেই কারণগুলো লিখে আমরা সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি।
মানিকগঞ্জে শহীদ রফিক সেতুর টোল বন্ধে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ
বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মাশরুম চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
জাতির পিতার শোক দিবস পালন করায় ঢাবি অধ্যাপক ড. জামালের অফিস কক্ষ ভাঙ্গচুর ও তালাবদ্ধ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা
নিজস্ব প্রতিবেদক::
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম শোক দিবস পালন করায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের শিক্ষক, সিনেট সদস্য সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড.আ.ক.ম.জামাল উদ্দীনকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করার দাবিতে তার অফিস কক্ষ বুধবার সকালে (২১ আগস্ট) ভাঙ্গচুর ও লুটপাট করে তালা মেরে দেয়।
এতে পরীক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র, মার্কস, বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র, ফাইনাল ও মিট-টার্মের উত্তরপত্র, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরপত্র, মার্কস, ব্যাক্তিগত সার্টিফিকেট সমূহ, ব্যাংক ডকুমেন্টস কার্ড, টাকা-পয়সা ও ল্যাপটপ সহ মূল্যবান ব্যবহার্য্য সামগ্রী খোয়া যাওয়ার আশংকা তৈরি হয়েছে।
তারা বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার পদত্যাগের দাবীতে তার কক্ষেও তালা মেরে দেয়। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ৪ দফা দাবীতে বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে বিভাগীয় অফিস থেকে বের করে দিয়ে সকল কলাপসিবল গেটসমূহ তালাবদ্ধ করে সকল একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা করে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২৪ উপলক্ষে পূর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ী ১৪ই আগস্ট রাত ৯টার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আ.ক.ম জামাল উদ্দীন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীসহ বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে মোমাবাতি প্রজ্জলনের জন্য ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডের মাথায় পৌছালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা দেশীয় অস্ত্রসহ তাকে এবং তার সাথে থাকা নেতাকর্মীদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে অতর্কিত হামলা চালায়।
আনুমানিক রাত ৯টা ১০ মিনিটে তাদের হাত থেকে প্রানভয়ে বাঁচার জন্য অধ্যাপক জামাল দৌড় দেন। সেসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা তাকে ধাওয়া করে কয়েক দফা মারতে মারতে রাসের স্কয়ারের সামনে থেকে স্কয়ার হাসপাতালের মাঝামাঝি পর্যন্ত নিয়ে যায়। সেখানে চতুরদিক থেকে অধ্যাপক জামালকে ঘিরে আবারও উপর্যুপরি মারতে থাকে। এতে তিনি রক্তাক্ত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে মৃত ভেবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা তার হাতে থাকা মোবাইল ফোন এবং কাছে থাকা টাকা পয়সা নিয়ে অধ্যাপক জামালকে ফেলে যায়।
এসময় স্থানীয় জনতা তাকে উদ্ধার করে রিক্সায় করে পশ্চিম রাজা বাজারের একটি বাসায় নিয়ে যান। সেখানে ওই বাড়ির দারোয়ান প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে জ্ঞান ফেরান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ইতোমধ্যেই এই ঘৃণিত হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে।
নোবিপ্রবিতে পিএইচডি প্রোগ্রামের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু
বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ভাতকুড়া স্বেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশনের প্রশংসনীয় উদ্যোগ
সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4
রাজবাড়ীতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অস্ত্রের মুখে প্যানেল চেয়ারম্যানকে পদত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ, প্রতিবাদে বিক্ষোভ-
জেলা প্রতিনিধি রাজবাড়ী
রাজবাড়ীর সদর উপজেলার ৫নম্বর বরাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শামসুদ্দিনের বিরুদ্ধে অস্ত্রের মুখে প্যানেল চেয়ারম্যানকে পদত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগষ্ট) সকালে এঘটনার প্রতিবাদে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে শতাধিক নারী পুরুষ বিক্ষোভ করে প্যানেল চেয়ারম্যানকে স্ব-পদে বহাল রাখার দাবি করেন।
বরাট ইউনিয়ন পরিষদের ৯নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মিয়া শাহজাহান জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার অফিস চলাকালীন সময়ে বেলা ১২ টার দিকে চেয়ারম্যান ও পরিষদের সচিবসহ চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে রুমের মধ্যে আটকে ফেলে। আটকানোর পর তাকে জোরপূর্বক একটি লিখিত কাগজে সাক্ষর করতে বলে চেয়ারম্যান। কাগজটি না পরে সাক্ষর করতে তিনি অস্বীকৃতি জানালে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। এসময় তিনি রুম থেকে বের হতে গেলে নিজাম, দিরাজ শেখ, শফিক ও ইসলাম তার মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে মারধর করে। পরে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক একটি কাগজে স্বাক্ষর নেয়।
বরাট ইউনিয়ন পরিষদের ৯নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য সামসুদ্দিন বিশ্বাস সানা প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আব্দুল হালিম মিয়া শাহজাহান একজন জনপ্রিয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য। তিনি নির্বাচনের মাধ্যমেই প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন। পরিষদের চেয়ারম্যান একজন ধ্বংসকামি, সাধারণ মানুষকে তিনি মানুষ মনে করে না। দেশের পটপরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে চেয়ারম্যানের রুপ বদলে গিয়েছে। গতকাল ইউনিয়ন পরিষদে সন্ত্রাসী বাহিনী সাথে নিয়ে এসে শাহজাহানকে একা পেয়ে জোরপূর্বক প্যানেল চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি নিতে বাধ্য করেছে। এমন ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রশাসনের কাছে চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি করেন তিনি।
সুফিয়া আক্তার নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা আব্দুল হালিম মিয়া শাহজাহানকে স্ব-পদে বহাল চাই এবং অস্ত্র ঠেকিয়ে পদত্যাগে বাধ্য করা চেয়ারম্যানের অপসারণ চাই।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান কাজী শামসুদ্দিন হেসে হেসে বলেন, আমি এ ব্যপারে কিছুই জানিনা। তার সাথে আমার কোনো দ্বন্দ্ব নাই, আমি কেন তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করবো, তিনি নিজেই পদত্যাগ করেছেন।
মানিকগঞ্জে শহীদ রফিক সেতুর টোল বন্ধে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ
বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মাশরুম চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪