Logo
শিরোনাম

জয়পুরহাট কোটা সংস্কার আন্দোলনে ৬ মামলা সহ শতাধিক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ আগস্ট 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image
মোঃ আবু সুফিয়ান মুক্তার - জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি::



জয়পুরহাটে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পাঁচ থানার মোট ছয়টি মামলায় সহ এ পর্যন্ত জেলায় ১০২ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। 

পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জয়পুরহাটে এ পর্যন্ত ছয়টি মামলা হয়েছে এর  মধ্যে সদর থানায় ২ টি, পাঁচবিবি ১ টি, কালাই ১ টি খেতলাল ১ টি এবং আক্কেলপুর ১ টি মোট ৬ টি।

এসব মামলায় ৮৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও অনেকেই আসামি হয়েছেন। এসব মামলায় এ পর্যন্ত ১০২ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর মধ্যে সদর থানায় ৫২ জন, পাঁচবিবি থানায় ১৭ জন, কালাইয়ে ৮ জন, ক্ষেতলাল থানায় ১৪ জন ও আক্কেলপুরে ১১ জন।

সংশ্লিষ্ট থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলার সময় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, তাদের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে জয়পুরহাট থানার মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া গত ২০ জুলাই একই থানায় আরেকটি মামলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল থেকে পুলিশ ও বিভিন্ন দোকানে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল ছুঁড়ে মারার অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

পাঁচবিবি ও আক্কেলপুর থানায় একই দিন গত ২২ জুলাই নাশকতার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। পাঁচবিবি থানায় দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৩ জনকে এবং আক্কেলপুর থানায় আসামি করা হয়েছে ১৮ জনকে।

এ ছাড়া কালাই ও ক্ষেতলাল থানাতেও একই দিন গত ২৩ জুলাই মামলা করা হয়েছে। কালাই থানার মামলায় আসামি হয়েছে ৬ জন এবং ক্ষেতলাল থানায় ১১ জন। এই দুটি মামলাও নাশকতার বলে পুলিশ জানিয়েছে। একটি মামলায় অজ্ঞাত আসামির সংখ্যা উল্লেখ থাকলেও অন্য পাঁচটি মামলায় অজ্ঞাত আসামির সংখ্যা উল্লেখ নেই। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কয়েকজন জামিনও পেয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

আরও খবর



অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথে রোহিঙ্গা শিশুরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকা মানুষের মধ্যে ৫২ শতাংশই শিশু। আর এদের মধ্যে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীর সংখ্যা বেশি। আর প্রতিবছর ক্যাম্পে প্রায় ৩০ হাজার শিশুর জন্ম হয়। শিশুদের অভিভাবকরা বলছেন বাংলাদেশে জন্ম নিলেও তাদের সন্তান মিয়ানমারের নাগরিক। তারা মিয়ানমারের নাগরিকত্ব ফেরত দেবার দাবি জানান।

২০১৭ সালে রোহিঙ্গা ঢলে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে কক্সবাজার আসেন মোহাম্মদুর রহমান। ছোট্ট একটি ঘরে পরিবারের ৫ জনকে নিয়ে থাকেন। কক্সবাজারেই জন্ম হয়, তিন শিশুর। কিন্তু তাদের নেই কোনো নাগরিকত্ব। ১৯৮২ সালে মিয়ানমার এক আইনের মাধ্যমে ১৩৫টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব না দিয়ে করে রাষ্ট্রহীন।

মোহাম্মদুর রহমান বলেন, আমার পরিবারের সদস্য সংখ্যা এখন ৫ জন। আমার তিন সন্তানের জন্ম বাংলাদেশে। আমার বাচ্চারা কোনো দেশেরই নাগরিক না।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা বলছে, ২০১৭ সালের পর থেকে ১০ লাখ ৩ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আছে। এরমধ্যে শিশু ৫২ শতাংশ ও প্রাপ্ত বয়স্ক ৪৪ শতাংশ। শিশুদের মধ্যে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীর সংখ্যা বেশি। শরণার্থী, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিশন জানায়, প্রতিবছর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জন্ম হচ্ছে প্রায় ৩০ হাজার শিশুর।

ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গারা বলছেন, তাদের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব ফেরত দেয়া হোক। এমনকি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকা একাধিক শিশুর বলছে তারা নিজের দেশে ফিরে যেতে চায়। অন্যদিকে জাতিসংঘ বলছে, সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে। রোহিঙ্গাদের ভুলে যাবার কোন সুযোগ নেই বলেও মত গুতেরেসের ।


আরও খবর



বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করল ভারত

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

ভারতীয় স্থল শুল্ক স্টেশন ব্যবহার করে বন্দর এবং বিমানবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে পণ্য রফতানির জন্য বাংলাদেশকে দেওয়া দীর্ঘদিনের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত।

দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বাংলাদেশের এই সুবিধা বাতিল করেছে। ভারতের বার্তাসংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, এই সুবিধার ফলে ভুটান, নেপাল এবং মিয়ানমারের মতো দেশে বাংলাদেশের রফতানির জন্য বাণিজ্য প্রবাহ বাধাহীন ছিল। ভারত ২০২০ সালের জুনে বাংলাদেশকে পণ্য রফতানির এই সুবিধা দিয়েছিল।

এর আগে, ভারতের রফতানিকারকরা বিশেষ করে পোশাক খাতের প্রতিবেশী বাংলাদেশকে দেওয়া এই সুবিধা প্রত্যাহারের জন্য নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে ঢাকার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

ঈদুল ফিতরের নয়দিনের ছুটিতে নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে এবার রাজধানী ঢাকা ছাড়ছেন না অনেকে। সরকার ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করলেও বাস টার্মিনালে যাত্রীচাপ কম দেখা গেছে। তবে ফাঁকা রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করছে।

নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির হিসাব অনুযায়ী, এবার ঈদে বৃহত্তর ঢাকা থেকে প্রায় পৌনে দুই কোটি মানুষের বাড়ি ফেরার কথা ছিল। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ সড়কপথে এবং বাকি ৪০ শতাংশ নৌ ও রেলপথে যাতায়াত করবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে যাত্রীচাপ অনেক কম। বাস টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের ভিড় নেই, অতিরিক্ত যাত্রী বহনের জন্য ফিটনেসবিহীন যানবাহনও দেখা যায়নি। তবে কমলাপুর রেলস্টেশনে ঘরমুখো মানুষের কিছুটা ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্যমতে, প্রতি ঈদের আগের চারদিনে গড়ে ৩০ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়ে। কিন্তু এবার সে চিত্র ভিন্ন। শ্যামলী, কল্যাণপুর ও মহাখালী বাস কাউন্টারে যাত্রীদের উপস্থিতি কম। কল্যাণপুরে শ্যামলী পরিবহনের ম্যানেজার নাসিম জানান, এবার যাত্রীর চাপ নেই। সড়কের অবস্থাও ভালো, গাড়ি সঠিক সময়ে ছাড়ছে। ভিড় ছাড়াই মানুষ যেতে পারছে।

অনেকে নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে ঢাকা ছাড়তে চাইছেন না। গাবতলী বাস টার্মিনালে আবুল বাশার নামে এক যাত্রী জানান, দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুরবস্থার কারণে ফাঁকা বাসা রেখে গেলে ফিরে কিছু পাওয়া যাবে না। তাই স্ত্রী-সন্তানদের ঢাকায় রেখে একাই রংপুর যাচ্ছি। একইভাবে, মোশাররফ হোসেন নামে এক বেসরকারি কর্মকর্তা বলেন, রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তা সংকট তৈরি হয়েছে। পাশের বাসায় চুরি হয়েছে। তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঢাকার বাইরে যাওয়ার পরিস্থিতি নেই।

ডিএমপি জানিয়েছে, ঈদের সময় চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি রোধে রাতে পুলিশি টহল বাড়ানো হবে। বাস টার্মিনাল, লঞ্চ ও রেল স্টেশনে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার স্বর্ণের বাজারে কড়া নজরদারি থাকবে। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এসএন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, থানা-পুলিশ, পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও গোয়েন্দা পুলিশ মিলে ১৫ হাজার পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে। আবাসিক এলাকায় টহল বাড়ানো হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তল্লাশিচৌকি বসানো হবে।

 


আরও খবর

চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী

রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫




ফিলিস্তিনে গণহত্যা ও হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় শিবিরের বিক্ষোভ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি নৃশংস গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজ শেষে শহরের কাচারী মসজিদ চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্তির মোড়ে গিয়ে শেষ হয়ে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে ছাত্র শিবিরের সভাপতি বলেন, পবিত্র মাহে রমজানে সন্ত্রাসী অবৈধ রাষ্ট্র শান্তি চুক্তি ভঙ্গ করে গাজায় হামলা ও নির্মম গণহত্যা চালিয়েছে। এ হামলায় মাধ্যমে তারা শুধু শান্তি চুক্তি ভঙ্গই করেনি বরং যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন করেছে। ইতিহাস সাক্ষী মুসলমানরা কখনো পরাজিত হয়নি বরং পবিত্র মাহে রমজানে ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধে সীমিত সামর্থ ও জনবল নিয়ে বিশাল কাফির বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছে। তাই চূড়ান্ত বিজয় গাজা ও ফিলিস্তিনবাসীর জন্য অপেক্ষা করছে। 

এ সমাবেশে ছাত্রশিবির নওগাঁ জেলা শাখার  সভাপতি সারওয়ার হোসেন, সেক্রেটারি আব্দুর রাকিব অফিস সম্পাদক আজফারুল হকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০.৮৪ শতাংশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

চলতি অর্থবছরের (২৪-২৫) জুলাই-মার্চ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ মাসের দেশভিত্তিক রপ্তানি তথ্য থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

জানা গেছে, এই সময়ে ৩০ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। যা পোশাক খাতের স্থিতিস্থাপকতা এবং সম্ভাবনা তুলে ধরে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

তথ্য থেকে জানা যায়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের মোট রপ্তানির ৪৯ দশমিক ৮২ শতাংশই রপ্তানি হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নে। যার মোট বাজার মূল্য ১৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।

এরপরেই রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজার। এ বাজারে মোট রপ্তানি হয়েছে ৫ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক। যা মোট রফতানির ১৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ। যেখানে কানাডার মোট বাজার অংশ ছিল ৯৬৩ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ডলার। যার বাজার অংশ ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। যুক্তরাজ্যের বাজারও গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যার রপ্তানি মূল্য ৩ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশের মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির ১১ দশমিক ১০ শতাংশ ।

প্রবৃদ্ধির দিক থেকে ইইউতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বছরের পর বছর ধরে উল্লেখযোগ্যভাবে ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখিত সময়ে যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৭ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং কানাডা ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, যুক্তরাজ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানি ৪ দশমিক ১৪ শতাংশ এর একটি সামান্য প্রবৃদ্ধির হার প্রদর্শন করেছে।

ইইউর মধ্যে, জার্মানি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার হিসেবে দাঁড়িয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ ৩ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার, স্পেন ২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার, ফ্রান্স ১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার, ইতালি ১ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার, পোল্যান্ড ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার এবং নেদারল্যান্ডস ১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার।

প্রবৃদ্ধির হার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল- জার্মানি (১০ দশমিক ৭২ শতাংশ), ফ্রান্স (১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ), নেদারল্যান্ডস (২৩ দশমিক ১৫ শতাংশ), পোল্যান্ড (১০ দশমিক ৩২ শতাংশ), ডেনমার্ক (১২ দশমিক ৮০ শতাংশ) এবং সুইডেন (১৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ) ।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতেও অপ্রচলিত বাজারে প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, সামগ্রিকভাবে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে মোট রফতানি ৫ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা বাংলাদেশের মোট রফতানির ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ দখল করেছে।

এই বাজারগুলোর মধ্যে জাপান মোট ৯৬০ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন ডলার আমদানি করে শীর্ষে রয়েছে, তারপরে অস্ট্রেলিয়া ৬৫৩ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন ডলার এবং ভারত ৫৩৫ দশমিক ১৫ মিলিয়ন ডলার আমদানি করে।

তুরস্ক এবং মেক্সিকোর মতো দেশগুলোতেও উল্লেখযোগ্য রফতানি হয়েছে। তুরস্কে ৩৫৭ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার এবং মেক্সিকোতে ২৫১ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার, যা প্রশংসনীয়। উল্লেখিত সময়ে ভারতে ২০ দশমিক ৪৫ শতাংশ, জাপান ১০ দশমিক ০৬ শতাংশ, মেক্সিকো ২৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং তুরস্কের ৩২ দশমিক ৫৪ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

রিপোর্টে দেখা গেছে, এই সময়কালে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, তুরস্ক এবং মেক্সিকোতে প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক থাকলেও রাশিয়া, কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মালয়েশিয়ায় রফতানি হ্রাস পেয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া এবং কোরিয়ায় নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি এই বাজারগুলোতে আরও গুরুত্বসহকারে রফতানি বাজার দেখা দরকার।

নিটওয়্যার খাত মোট ১১ দশমিক ২২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে। ওভেন সেক্টরেও ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে প্রবৃদ্ধি ধীর হলেও অপ্রচলিত বাজারে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পয়েছে।

রফতানির চলমান প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে ইইউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল। যা বাংলাদেশের প্রধান বাজার হিসেবে অব্যাহত রয়েছে। যা এই ক্ষেত্রগুলির মধ্যে আরও সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়।

বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক, বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘এটি আমাদের মোট রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে প্রধান ঐতিহ্যবাহী বাজারের তাৎপর্য প্রদর্শন করে।’ তিনি আরও বলেন, অপ্রচলিত বাজারে মাঝারি প্রবৃদ্ধি এই বিভাগে আরও গবেষণা এবং মনোযোগের গুরুত্বকে তুলে ধরে, কারণ এর যথেষ্ট প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে, যা ঐতিহ্যবাহী বাজারের ওপর নির্ভরতা ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করবে।

রুবেল বলেন, স্থায়ী বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা ক্রমাগত বৈশ্বিক পরিবেশকে পুনর্গঠন করছে। এমন সুযোগ তৈরি করছে যা বাংলাদেশ সুবিধা নিতে পারে।

সূত্র : বাসস


আরও খবর

এবার পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা

বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫