Logo
শিরোনাম

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে সড়ক দূর্ঘটনায় দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image
মোঃ আবু সুফিয়ান মুক্তার - জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি::



জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ট্রাকের ধক্কায় বাইসাইকেল আরোহী দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (১০) এর মৃত্যু হয়েছে। নিহত মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জয়পুরহাট সদর উপজেলা ভাদসা গ্রামের সাজু মিয়ার ছেলে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৫ টায় ইটাখোলা আক্কেলপুর সড়কের তেলাল মোড়ে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, নিহত মোস্তাফিজুর রহমানের মা মৌসুমী জর্ডান প্রবাসী। বিদেশে যাওয়ার পর থেকে নিহত মোস্তাফিজুর ক্ষেতলাল উপজেলার কুসুম শহর গ্রামের নানা জামাল উদ্দিন বাড়ীতে থেকে তেলাল কুশুমশহর সরকারি প্রাথমিক  বিদ্যালয় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়তেন। মঙ্গলবার বিকেলে পার্শবতী গ্রামের ওই স্কুল মাঠে বাইসাইকেল নিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে ফুটবল খেলা দেখতে যাওয়ার পথে তেলাল মোড়ে এসে পৌছলে পিছনদিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি ট্রাক ধাক্কায় দিলে সড়কে ছিটকে পরে মাথায় আঘাত পায় এবং ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। 

স্থানিয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বাবলু বলেন, ইটাখোলা আক্কেলপুরে সড়কের তেলাল মোড় একটি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান। এই মোড়ে ইতঃপূর্বে সড়ক দূর্ঘটনায় তিন জন ব্যক্তির প্রাণহানি হয়েছে তার মধ্যে দুইজন ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ছাড়া দুইজন পুঙ্গত্ব বরণ করেছেন। এলাকাবাসী এখানে গতিরোধক  দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

ক্ষেতলাল থানার অফিসার্স ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছে। কোন অভিযোগ না থাকায় পরিবারকে দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।

আরও খবর



ট্রাম্পকে ‘উড়ন্ত প্রাসাদ’ উপহার দিচ্ছে কাতার

প্রকাশিত:সোমবার ১২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

বিলাসবহুল ডাইনিং, বেডরুম, বোর্ডরুম, লাইব্রেরি, কী নেই বিমানে! তাই এর নাম ‘ফ্লাইং প্যালেস।’ বাংলায় যাকে বলে ‘উড়ন্ত প্রাসাদ’। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এমনই একটি বিলাসবহুল বোয়িং ৭৪৭-৮০০ উড়োজাহাজ উপহার দিচ্ছে কাতারের রাজপরিবার।

উড়োজাহাজটির দাম বাংলাদেশি টাকায় চার হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। সব কিছু ঠিক থাকলে মার্কিন সরকারের বিদেশি কোনো রাষ্ট্রের কাছ থেকে পাওয়া সবচেয়ে দামি উপহার হবে এটি। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।

যুক্তরাষ্ট্রের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপহারটি গ্রহণ করতে রাজি হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। উড়োজাহাজটিকে প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত ভ্রমণের কাজে ব্যবহৃত ‌‘এয়ারফোর্স ওয়ানের’ পদমর্যাদায় উন্নীত করা হতে পারে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিজস্ব ব্যক্তিগত উড়োজাহাজের নাম ‘ট্রাম্প ফোর্স ওয়ান’। এটা একটি পুরনো ৭৫৭ বোয়িং জেট। ২০১১ সালে এই উড়োজাহাজটি কিনেছিলেন তিনি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, একটি বাণিজ্যিক বোয়িং ৭৪৭-৮ মডেলের উড়োজাহাজের দাম প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় চার হাজার ৮৮০ কোটি টাকা)।

একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বিমান এখন কাতার থেকে আমেরিকায় পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। এয়ার ফোর্স ওয়ান হিসেবে এতে আরও কিছু আপগ্রেড করা হবে। বিশেষ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং অন্যান্য প্রযুক্তি ইনস্টল করা হবে। তাই কিছুটা সময় লাগতে পারে।

তবে কিছু আইনি জটিলতার মুখেও পড়তে হতে পারে ট্রাম্পকে। কারণ আমেরিকার সংবিধান অনুযায়ী, বিদেশি সরকারের কাছ থেকে উপহার গ্রহণে কিছু বিধিনিষেধ আছে। রাষ্ট্রপতি বা অন্যান্য ফেডারেল কর্মকর্তারা বিদেশি সরকার থেকে কোনও উপহার বা আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন না, যদি না আমেরিকার কংগ্রেসের অনুমোদন থাকে। এই বিমানটি যদি উপহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়, তবে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন।


আরও খবর



পৃথিবীর জন্য আশার বাতিঘর হতে চায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মঙ্গলবার বিশ্ববাসীর উদ্দেশে বলেছেন, বাংলাদেশ এখন এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে, যেখানে একটি নতুন সামাজিক চুক্তি করার সুযোগ এসেছে। এটি এমন এক চুক্তি যেখানে রাষ্ট্র ও জনগণ, বিশেষ করে যুবসমাজ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থা, ঐতিহ্য, ন্যায়বিচার, মর্যাদা এবং সুযোগের ভিত্তিতে একটি ভবিষ্যৎ একত্রে গড়ে তুলবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা পৃথিবীর জন্য আশার এক বাতিঘর হিসেবে দাঁড়াতে চাই এবং আমাদের বন্ধু ও অংশীদারদের আহ্বান জানাই অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক চুক্তি পুনর্লিখনের জন্য, পাশাপাশি সামাজিক ব্যবসা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং মাইক্রোফাইন্যান্সের ভূমিকা অন্বেষণ করতে, যা প্রান্তিক জনগণের জন্য টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়ক।

প্রধান উপদেষ্টা আজ কাতারের দোহায় ‘আর্থনা শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এটি এমন এক সামাজিক চুক্তি যেখানে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও প্রান্তিক জনগণের ক্ষমতায়ন মৌলিক বিষয় হিসেবে বিবেচিত হবে।

প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে একটি সহনশীল, সমৃদ্ধ এবং টেকসই ভবিষ্যতের স্বপ্নের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তবে এখন এমন নানা হুমকি রয়েছে যা আমাদের উন্নয়নকে বিপথে ঠেলে দিতে পারে।

তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একসময় পার করছি যেখানে বহুপাক্ষিকতা হুমকির মুখে, জলবায়ু পরিবর্তন দ্রুততর হচ্ছে, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে এবং মানবিক সংকট গভীরতর হচ্ছে। নতুন নতুন নীতিমালা, প্রযুক্তি এবং শাসন পদ্ধতি আমাদের পৃথিবীকে দ্রুত রূপান্তরিত করছে, যা অতীতের অনেক অনুমানকে অচল করে দিচ্ছে।

এমন প্রেক্ষাপটে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার পুনরুজ্জীবনের প্রয়োজন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আসুন আমরা সাহসী হই। একটি এমন পৃথিবী গড়ি, যেখানে কেউ এতটা দরিদ্র না হয় যে সে স্বপ্ন দেখতে না পারে এবং কোনো স্বপ্ন এত বড় না হয় যে তা অর্জন করা যায় না।

তিনি আরো যোগ করেন, ‘ভবিষ্যৎ এমন কিছু নয় যা আমরা উত্তরাধিকার হিসেবে পাই। এটি এমন কিছু যা আমরা তৈরি করি। এবং আমাদের প্রত্যেকেরই এতে একটি করে ভূমিকা রয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে, তা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমাদের উদ্ভাবন, সহমর্মিতা এবং সম্মিলিত কর্মকাণ্ডের সক্ষমতাও ব্যাপক।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, কাতার যেভাবে আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের উদ্যোগ নিয়েছে, তা দেখাচ্ছে কীভাবে একটি দেশ উদ্ভাবন, ঐতিহ্য ও অংশীদারিত্বের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট, সামাজিক বৈষম্য এবং কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ মোকাবিলা করতে পারে।

অধ্যাপক ইউনূস তার মূল বক্তব্যে সামাজিক ব্যবসা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং মাইক্রোফাইন্যান্সের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরির ওপর গুরুত্ব দেন।

তিনি কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন শেখ মোজা বিনতে নাসের এবং ভাইস চেয়ারপারসন ও সিইও শেখ হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানিকে সময়োপযোগী ও চমৎকার এই শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান।

দোহায় আজ শুরু হওয়া দুদিনব্যাপী আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে— ‘আমাদের উত্তরাধিকার গড়ে তোলা: স্থায়িত্ব, উদ্ভাবন ও ঐতিহ্যবাহী জ্ঞান’


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত:শনিবার ১০ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১০ মে) রাত ১২টা ১৫ মিনিটে  বিশ্ববিদ্যালয়ের হল চত্বর সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় একাডেমিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাদের কণ্ঠে শোনা যায়— ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, হ তে হাসিনা তুই খুনি তুই খুনি, ক তে কাদের তুই খুনি তুই খুনি, ‘আবু সাঈদের বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘২৪-এর বাংলায়, সন্ত্রাসের ঠাঁই নাই’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’ ইত্যাদি।

পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী তুষার আহমেদ বলেন, “জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারিয়ে পালিয়ে গেলেও এখনো তাদের বিচারে অগ্রগতি নেই। হাজারো শিক্ষার্থীর রক্ত ঝরার পরও সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।”, “আমরা জানতে চাই, আর কত রক্ত ঝরলে বিচার হবে? আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। বিচার বিলম্বে আমরা আর শান্ত থাকব না। অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”

পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী সাকিব আল হাসান রাব্বি বলেন,অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে হবে, যাতে দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কাঠামো ও বিচারপ্রক্রিয়ার রূপরেখা স্পষ্ট হয়। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না করা হলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে এবং ছাত্র জনতা ঘরে ফিরবে না।

বিজিই  বিভাগের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম বলেন ,ছাত্রসমাজ আর চুপ করে থাকবে না। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”আমাদের দাবি স্পষ্ট—যে রাজনৈতিক দল গণতন্ত্রকে হত্যা করে, তার কোনো বৈধতা থাকতে পারে না। আওয়ামী লীগকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে।”এই আন্দোলন কোনো দলের পক্ষে নয়, বরং গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং শিক্ষাঙ্গনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে পরিচালিত।


আরও খবর



বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি নিতে আগ্রহী ইতালি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

বৈধ উপায়ে বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি নিতে ইতালি আগ্রহী বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথাও জানান তিনি।

ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তাকে এ কথা জানান ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এ সময় নিরাপদ ও বৈধ অভিবাসন, মানবপাচার প্রতিরোধ এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ পারস্পরিক আগ্রহের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন তারা। এছাড়া ঢাকার সঙ্গে রোমের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নবায়ন ও পুনরুজ্জীবিতকরণ নিয়েও আলোচনা হয়। এ লক্ষ্যে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের আগেই ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বাংলাদেশ সফর করবেন বলে জানান মাত্তেও।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে একটি অসাধারণ বাংলাদেশি কমিউনিটি রয়েছে। আমরা তাদের নিয়ে খুবই সন্তুষ্ট। তারা তরুণ ও পরিশ্রমী। ইতালীয় সমাজে চমৎকারভাবে মিশে গিয়েছেন তারা। আমাদের আরও বাংলাদেশির প্রয়োজন।

তবে অনেক বাংলাদেশি অবৈধ উপায়ে ইতালিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন বলেও এ সময় উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, এভাবে ইতালিতে আসা খুব বিপজ্জনক। আমরা চাই তারা বৈধ পদ্ধতি অনুসরণ করুক।

মাত্তেও জানান, সমুদ্রপথে অনিয়ন্ত্রিতভাবে অভিবাসীদের আগমন ইতালির জন্য সমস্যাজনক। এ কারণে অবৈধ অভিবাসন ও সংঘবদ্ধ অপরাধ দূর করতে তিনি বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।

অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার রোধের মতো বিষয়ে বাংলাদেশও ইতালির সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বলে মাত্তেওকে আশ্বস্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা। ড. ইউনূস বলেন, ইতালিতে বসবাসরত বাংলাদেশিরা দেশটির প্রতি কৃতজ্ঞ। তারাও ইতালির প্রতি সন্তুষ্ট।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, কিছু আন্তর্জাতিক চক্র বাংলাদেশিদের অবৈধভাবে ইতালিতে যাওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করে। এরাই সমস্যার সৃষ্টি করে থাকে বলে মনে করেন তিনি। অন্তর্বতী সরকারপ্রধান বলেন, অভিবাসীরা হলেন মানবপাচারের ভুক্তভোগী, তারা সুবিধাভোগী নন।

এ সময় গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠকের কথাও উল্লেখ করে তিনি। বৈঠকে দুই দেশ একসঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা।


আরও খবর



মডেল মেঘনার জামিন মেলেনি

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

মডেল মেঘনা আলমের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন তিনি। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি মেঘনার পক্ষে তার আইনজীবী মহসিন রেজা, আইনজীবী মহিমা বাঁধন ও ব্যারিস্টার সাদমান সাকিব জামিন শুনানি করেন। শুনানিতে তারা বলেন, মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ নেই। যেই অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। শুধু হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি মহিলা বিবেচনায় জামিন পেতে পারেন। যেকোনও শর্তে তার জামিন প্রার্থনা করছি।

এর আগে গত ১৭ এপ্রিল এ মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়ার আদালত শুনানি শেষে তাকে গ্রেফতার দেখান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মেঘনা আলম, দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতনামা ২ থেকে ৩ জন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের কূটনীতিক বা প্রতিনিধি ও দেশিয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে বিভিন্ন উপায়ে অবৈধ পন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে তাদের সম্মানহানীর ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে চক্রটি। দেওয়ান সমির কাওয়াই গ্রুপ নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং সানজানা ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের ফার্মের মালিক মর্মে জানা যায়।

অভিযোগে আরও বলা হয়, এছাড়া আগে মিরআই ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামক একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। বিভিন্ন আকর্ষণীয়, স্মার্ট মেয়েদের তার প্রতিষ্ঠানে ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছে সহজে যাতায়াত নিশ্চিত করতো এবং দেওয়ান সমির তার ম্যানপাওয়ার ও অন্যান্য ব্যবসাকে অধিকতর লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করানোর জন্য চক্রান্তের অংশ হিসেবে অসৎ উদ্দেশে তার সহযোগী আসামিদের সহায়তায় ও অসৎ উদ্দেশে বিভিন্ন কুটনীতিকদের টার্গেট করে ব্লাকমেইল করে বড় অঙ্কের টাকা চাঁদা হিসেবে দাবি করে আদায় করে থাকে।


আরও খবর