

শনিবার ২১ জুন ২০২৫
উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে গেল অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে এক প্রকার মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল মানুষ। ফলে পুরো অর্থবছরে বিক্রির চেয়ে সঞ্চয়পত্র ভাঙানোর প্রবণতা ছিল বেশি। তবে চলতি অর্থবছরে এ খাতে বিনিয়োগে উল্টোচিত্র দেখা যাচ্ছে। সর্বশেষ আগস্ট মাসে সঞ্চয়পত্রে নিট বিনিয়োগ হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। আগের মাস জুলাইতে নিট বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল আরও বেশি, প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা। সব মিলে দুই মাসে নিট বিনিয়োগ ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
তবে একই সময়ে ব্যাংক খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে। চলতি অর্থবছরের দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) ব্যাংকগুলোয় আমানত কমেছে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। এর প্রভাবে আগস্ট শেষে বার্ষিক আমানতের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশে নেমে এসেছে, যা গত দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আস্থা সংকটে দুর্বল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে এখনো আমানত তুলে নেওয়ার প্রবণতা অব্যহত আছে। সেই আমানতের একটা অংশ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ হিসেবে আসছে। আবার সঞ্চয়পত্র ভাঙানোর প্রবণতাও কমেছে। সব মিলে সঞ্চয়পত্রে নিট বিনিয়োগে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, সঞ্চয়পত্রের নিট বিনিয়োগ সরকারের ঋণ হিসেবে গণ্য হয়। এটা বাজেট ঘাটতি অর্থায়নে ব্যবহার করে সরকার। নিম্ন মধ্যবিত্ত, সীমিত আয়ের মানুষ, মহিলা, প্রতিবন্ধী ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সঞ্চয়পত্রের বিভিন্ন প্রকল্প চালু রয়েছে। সামাজিক সুরক্ষার কথা বিবেচনায় নিয়ে সঞ্চয়পত্রে তুলনামূলক বেশি মুনাফা (সুদ) দেয় সরকার। বর্তমানে পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সুদের হার ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
এ ছাড়া পরিবার সঞ্চয়পত্রে সুদের হার ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে সুদ ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ ও তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে সুদের হার ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। অনদিকে বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পর ব্যাংককে ঋণের সুদহারের পাশাপাশি আমানতের সুদহার বেশ বেড়েছে। বর্তমানে কোনো কোনো ব্যাংকে আমানতের সুদের হার ১২ শতাংশ ছাড়িয়েছে। তার পরও ব্যাংক খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি কমে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের কারণে আগে থেকেই ব্যাংক খাতের ওপর মানুষের আস্থার ঘাটতি তৈরি হয়েছিল। এর সঙ্গে যুক্ত হয় জুলাই মাসের অস্থিরতা। এ সময় পাঁচ দিনের ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট, তিন দিন ব্যাংক বন্ধ থাকা এবং দেশজুড়ে অস্থিরতার কারণে ব্যাংকিং কার্যক্রমে এক প্রকার মন্দা নেমে আসে। এর মধ্যেই এস আলমের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকা অবস্থায় বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের সংকটে পড়া ব্যাংকগুলো পুনর্গঠন করার পর ওইসব ব্যাংক থেকে আমানত তোলার বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে। এই আমানতের একটা অংশ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ হিসেবে আসছে।
এদিকে ব্যাংকে আমানতের সুদ বাড়ায় সঞ্চয়পত্রের সুদহারও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া এখন থেকে সঞ্চয়পত্রের মেয়াদপূর্তির দিনই মুনাফাসহ আসল টাকা গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে জমা করার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডসহ সঞ্চয় অধিদপ্তর পরিচালিত ১১টি সঞ্চয় স্কিমের বিনিয়োগগুলো মেয়াদ শেষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনঃবিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হবে। এসব পদক্ষেপের ফলে আগামীতে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়ার আশা করা হচ্ছে।
সঞ্চয়পত্রের নিট বিনিয়োগ ইতিবাচক : এবার সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে মাত্র ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকার নিট ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। প্রাপ্ত তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) মোট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৯ হাজার ২৪ কোটি টাকা। একই সময়ে আগের কেনা সঞ্চয়পত্র ভাঙানো বাবদ আসল পরিশোধ হয়েছে ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। ফলে নিট বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২২৩ কোটি টাকা। অন্যদিকে গত অর্থবছরের সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে নিট ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৮ হাজার কোটি টাকা। তবে বিক্রি ধারাবাহিক কমতে থাকায় সংশোধিত বাজেটে এই লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৭ হাজার ৩১০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। কিন্তু এই লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হয়নি। উল্টো পুরো অর্থবছরে নিট বিনিয়োগ ঋণাত্মক হয়েছিল প্রায় ২১ হাজার ১২৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে অর্থবছরের প্রথম দুই প্রায় ১ হাজার ১১৭ কোটি টাকার নিট বিনিয়োগ ঋণাত্মক হয়েছিল। আর অর্থবছরের শেষ দুই মাসে নিট বিনিয়োগ ঋণাত্মকের পরিমাণ ছিল আরও বেশি, প্রায় ৬ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা।
জানা যায়, সঞ্চয়পত্র বিনিয়োগে ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে এনআইডি ও টিআইএন জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়। ফলে যারা আগে সঞ্চয়পত্র কিনেছিলেন, তাদের অনেকেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে নতুন করে আর এতে বিনিয়োগ করেননি। আবার বর্তমানে ৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ওপর অর্জিত সুদের বিপরীতে ১০ শতাংশ কর দিতে হয়। এ ছাড়া বিনিয়োগের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে সঞ্চয়পত্রের সুদের হারের নানা স্তর চালু করা হয়। এসব কড়াকড়ির পাশাপাশি উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে গত অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের নিট বিনিয়োগ বড় প্রভাব পড়েছিল।
ব্যাংকে আমাতের প্রবৃদ্ধি নিম্নমুখী : বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সর্বশেষ গত আগস্ট মাস শেষে ব্যাংক খাতে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৩১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা, যা গত জুনে ছিল ১৭ লাখ ২০ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা। ফলে দুই মাসের ব্যবধানে আমানত কমেছে প্রায় ১০ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে আগস্ট মাসে কমে ২ হাজার ৭৬৬ কোটি টাকা। আর জুলাই মাসে কমে ৮ হাজার ১৯৮ কোটি টাকা। এর ফলে বার্ষিক আমানতের প্রবৃদ্ধি আরও নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে। গত আগস্টে বার্ষিক আমানতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৭ দশমিক ০২ শতাংশ, যা গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর চেয়ে কম প্রবৃদ্ধি হয়েছিল গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ। অথচ কয়েক মাস আগে এ খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি ১১ শতাংশের ওপরে ছিল।
গত বছরের ডিসেম্বরে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১১ দশমিক ০৪ শতাংশ। এর আগে দেশে করোনার আঘাত আসার মধ্যেও আমানতের প্রবৃদ্ধি বাড়তে বাড়তে ২০২১ সালের মে মাসে সর্বোচ্চ ১৪ দশনিক ৪৭ শতাংশে উঠেছিল। কিন্তু তারপর থেকে টানা কমতে থাকে আমানতের প্রবৃদ্ধি। গত বছরের ডিসেম্বরে আমানতের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি নেমে আসে মাত্র ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশে, যা ছিল ইতিহাসে এযাবৎকালের সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি। এ ছাড়া গত কয়েক মাস ধরে মানুষের হাতে নগদ অর্থ ধরে রাখার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আলোচ্য দুই মাসে ব্যাংকের বাইরে মানুষের হাতে নগদ টাকা বেড়েছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা।
রবিবার ২২ জুন ২০২৫
রবিবার ২২ জুন ২০২৫
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, দেশে বৈধ পথে বাড়ছে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের প্রবাহ। কমছে হুন্ডির দৌরাত্ম্য। বিশেষত, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রেমিট্যান্সের পালে হাওয়া লাগে। প্রবাসী আয়ে একের পর এক রেকর্ড হতে থাকে। এরমধ্যে দেশের ইতিহাসে একক কোনো মাসে সর্বোচ্চ এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে যথাক্রমে গত মার্চ ও এপ্রিলে।
চলতি মে মাসেও রেমিট্যান্সে নতুন রেকর্ড হাতছানি দিচ্ছে। মে’র প্রথম ২৪ দিনে দেশে ২২৪ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স (প্রায় ২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার) এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ২৭ হাজার ৪০১ কোটি টাকা।
সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে রেমিট্যান্স আসছে ৯ কোটি ৩৫ লাখ ডলার বা ১১৪২ কোটি টাকা। মাসের বাকি দিনগুলোতে রেমিট্যান্স প্রবাহের এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে নতুন রেকর্ড হতে পারে। অর্থাৎ পুরো মাসে প্রবাসী আয় আসতে পারে প্রায় তিন বিলিয়ন ডলারের।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, মে মাসের প্রথম ২৪ দিনে ২২৪ কোটি ৬০ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে একটির (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে ২০ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বেশি। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩৭ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৪১ লাখ ৩০ হাজার ডলার।
চলতি মাসের ২৪ দিনে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আটটি। যার মধ্যে রয়েছে বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক। বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স আসে। এরপর আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার, নভেম্বরে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার এবং সবশেষ এপ্রিলে রেমিট্যান্স আসে ২৭৫ কোটি ডলারের।
রবিবার ২২ জুন ২০২৫
রবিবার ২২ জুন ২০২৫
শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :
নওগাঁ জেলায় গণঅভ্যুত্থানে জেলার ৮ জন শহীদের পরিবারের সদস্যদের হাতে সরকারের পক্ষ থেকে ৮০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র তুলে দেয়া হয়েছে। শনিবার দুপুর সাড়ে ১১ টায় এ সঞ্চয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠান শুরু হয়। শনিবার রাত সোয়া ১১টায় জেলার মিডিয়া সেল ডিসি গ্রুপে এ তথ্য জানানো হয়।
গণঅভ্যুত্থানে শহীদরা হলেন, নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার পানিশাইল গ্রামের মোঃ মামুন সরদারের ছেলে রায়হান আলী, ধামইহাট উপজেলার কৈগ্রাম ফারসিপাড়া গ্রামের মৃত ছাকোয়াত হোসেনের ছেলে বায়েজিদ বোস্তামী, আত্রাই উপজেলার তারাটিয়া গ্রামের শেখ আবু জাফরের ছেলে শেখ ফাহমিন জাফর, একই উপজেলার শ্রীধর গুড়নই গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে শাখিল আনোয়ার, নওগাঁ সদর উপজেলার শিমুলিয়া মন্ডলপাড়া গ্রামের লুৎফর মন্ডলের ছেলে বিপ্লব মন্ডল, একই উপজেলার দপ্তরী পাড়া গ্রামের এনাব নাজেজের ছেলে আস সাবুর, মান্দা থানার কশব ভোলাগাড়ী গ্রামের পিন্টু রহমানের ছেলে রাসেল রানা ও বদলগাছী উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের আহম্মদ উল্লাহর ছেলে রিদোয়ান শরীফ রিয়াদ। জানা যায়, গতকাল শনিবার দুপুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নওগাঁ জেলার শহীদদের পরিবারের সদস্যদের হাতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সঞ্চয়পত্র তুলে দেয়া হয়। জেলার ৮ টি শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দকে সর্বমোট ৮০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়েছে। শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে এই সঞ্চয়পত্র তুলে দেন নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। এসময় উপস্থিত ছিলেন নওগাঁর ডেপুটি সিভিল সার্জন মোঃ মুনির আকন্দ, জেলার সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, নওগাঁ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাগণ ও নওগাঁ জেলার ছাত্র প্রতিনিধিবৃন্দ।
মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫
সোমবার ২৩ জুন ২০২৫
আগামী ১ জুলাই থেকে সরকারি-বেসামরিক, স্বশাসিত এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো, ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশ বাহিনীতে চাকরিরতদের বিশেষ সুবিধা হিসেবে ন্যূনতম এক হাজার টাকা ও পেনশন ভোগীদের ন্যূনতম ৫০০ টাকা দেবে সরকার।
মঙ্গলবার (৩ জুন) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগ প্রবিধি-৩ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব দিলরুবা শাহীনা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ১৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জাতীয় বেতনস্কেলের আওতাভুক্ত সরকারি-বেসামরিক, স্বশাসিত এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো, ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও পুলিশ বাহিনীতে নিয়োজিত কর্মচারী এবং পুনঃস্থাপনকৃত পেনশনাররাসহ পেনশনভোগী ব্যক্তিদের জন্য ১ জুলাই ২০২৫ তারিখ থেকে বেতনগ্রেড ভেদে (গ্রেড ১ এবং তদূর্ধ্ব থেকে গ্রেড ৯ পর্যন্ত) ১০ শতাংশ এবং (গ্রেড ১০ থেকে গ্রেড ২০ পর্যন্ত) ১৫ শতাংশ হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রদান করা হলো। এ ‘বিশেষ সুবিধা’ চাকরিরতদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১০০০ টাকা এবং পেনশন ভোগীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০০ টাকা হারে প্রদেয় হবে।
এ বিশেষ সুবিধা নিম্নরূপভাবে কার্যকর হবে:
(ক) ০১ জুলাই ২০২৫ তারিখ থেকে প্রতিবছর ০১ জুলাই তারিখে প্রাপ্য মূল বেতনের ওপর গ্রেড ১ ও তদূর্ধ্ব থেকে গ্রেড ৯ এর অন্তর্ভুক্ত চাকরিরত কর্মচারীরা ১০ শতাংশ হারে এবং গ্রেড ১০ থেকে গ্রেড ২০ এর অন্তর্ভুক্ত চাকরিরত কর্মচারীরা ১৫ শতাংশ হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্য হবেন।
(খ) অবসর-উত্তর ছুটিতে (পিআরএল) থাকা কর্মচারীরা পিআরএল গমনের পূর্বকালীন সর্বশেষ প্রাপ্ত মূল বেতনের ভিত্তিতে উপর্যুক্ত (ক) অনুচ্ছেদে বর্ণিত গ্রেডভিত্তিক হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্য হবেন।
(গ) পেনশন পুনঃস্থাপনকৃত কর্মচারীরাসহ সরকার থেকে পেনশন গ্রহণকারী কর্মচারীরা পেনশনের বিদ্যমান অংশের ওপর উপর্যুক্ত (ক) অনুচ্ছেদে বর্ণিত গ্রেডভিত্তিক হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্য হবেন।
(ঘ) যেসব অবসর গ্রহণকারী কর্মচারী তাদের গ্রস পেনশনের ১০০ শতাংশ অর্থাৎ সম্পূর্ণ অংশ সমর্পণ করে এককালীন আনুতোষিক উত্তোলন করেছেন এবং এখনো পেনশন পুনঃস্থাপনের জন্য উপযুক্ত হননি, তাদের ক্ষেত্রে এ ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রযোজ্য হবে না।
(ঙ) জাতীয় বেতনস্কেলে নির্ধারিত কোনো গ্রেডে সরকারি কর্মচারী চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অব্যবহিত পূর্বে সর্বশেষ আহরিত তার মূল বেতনের ভিত্তিতে এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে। তবে শর্ত থাকে যে এরূপ চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত ব্যক্তি পেনশনভোগী হলে পেনশনের বিদ্যমান অংশ অথবা চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত হওয়ার অব্যবহিত পূর্বের সর্বশেষ আহরিত মূল বেতনের ভিত্তিতে যেকোনো এক ক্ষেত্রে এ সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
(চ) সাময়িক বরখাস্তকৃত কর্মচারীরা সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার তারিখের অব্যবহিত পূর্বের মূল বেতনের ৫০ শতাংশ (অর্ধেক) এর ওপর উপর্যুক্ত (ক) অনুচ্ছেদে বর্ণিত গ্রেডভিত্তিক হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্য হবেন; এবং
(ছ) বিনা বেতনে ছুটিতে (লিভ উইদাউট পে) থাকাকালীন কর্মচারীরা এ ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্য হবেন না।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারের রাজস্ব বাজেট থেকে প্রদত্ত অনুদানে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্যান্য স্বশাসিত সংস্থা ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মচারীদের ক্ষেত্রে যারা জাতীয় বেতনস্কেল ২০১৫ এর আওতাভুক্ত, এ ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রদান বাবদ প্রয়োজনীয় ব্যয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব বাজেট থেকে মেটাতে হবে।
অর্থ বিভাগের আদেশ নং ০৭.০০.০০০০.১৬১,৯৯.০১০,২৩-১৩২, তারিখ: ১৮/০৭/২০২৩ বাতিল করা হলো বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনস্বার্থে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো এবং ১ জুলাই ২০২৫ তারিখ থেকে এটি কার্যকর হবে।
মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫
মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫
১। ফার্মগেটে হঠাৎ দেখতে পেলেন, কতগুলো মানুষ একজন মানুষ কে মেরে রক্তাত্ত করে চলেছে আর সে আপনাকে বলছে ভাই, সাহায্য করেন। আপনি দয়া দেখাতে গিয়ে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলেই বিপদ হতে পারে। ওরা আপনাকে মেরে সব কিছু নিয়ে যেতে পারে, কারণ তারা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র।
২। ওভার ব্রিজ এর উপর মহিলা কাঁদছে যে, সে যার সাথে দেখা করবে তার মোবাইলে কল দিতে হবে কিন্তু তার কাছে টাকা নেই। বলবে আপনার মোবাইল দিয়ে সেই লোকের নাম্বারে মিসকল দিলেও সে ব্যাক করবে। আপনি কল দিলেন তো ফাঁদে পড়লেন। ওরা নিরীহ মানুষ দেখে তাদের নম্বর সংগ্রহ করে ও পরবর্তীতে সেই নাম্বারে কল করে লোভনীয় প্রস্তাব দেয়, রাজী হলে আপনাকে তাদের আস্তানাতে নিয়ে ব্লাক মেইল করবে।
৩। শাহবাগ, মহাখালী, যাত্রাবাড়ী জ্যামে আটকে আছেন, নানা ধরণের লিফলেট যেমনঃ দুর্বলতা,রোগে, নানা লোভে আপনাকে ফাঁদে ফেলার ব্যবস্থা।
এমন বলে যে রুম ডেট এর ব্যবস্থা আছে।
৪। রাস্তায় সুন্দর চোখ এর বোরকা আলি আপনার সাথে কথা বলতে চায়, প্রেমের প্রস্তাব নয়, কিন্তু ইসারা, যে আপনি ভাববেন একটু চেষ্টা করলে কাছে পাবেন, যদি তাই ভাবেন তবে ধরা পড়ার সম্ভাবনা শতভাগ। আপনাকে তাদের আস্তানায় নিবে, তারপর আর কিছু আপনার করা লাগবে না। সব হারাবেন। মেয়ে দিয়ে ব্লাক মেইল করবে।
৫। গাবতলি, সায়েদাবাদ, কিংবা সদরঘাট , মাওয়া, আরিচা, দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে বসে আছেন, দেখলেন যে বাইরে তাস, লুডু ইত্যাদি খেলছে, কাছে গেলেন কি ফেঁসে গেলেন।
৬। যাত্রাপথে অপরিচিত লোক এর সাথে মতবিনিময় করবেন খুবই কম। আপনি যে স্থানে যাবেন সে স্থান যেন আপনার পরিচিত।
৭। রেলগাড়ির ছাঁদে চলাচল করা থেকে বিরত থাকবেন, কারণ এক দল ছেলে পাওয়া যায়, যারা রেলের ছাদের উপর থেকে ছিনতাই করে ছাদ থাকে ফেলে দেয়।
৮। লঞ্চ এ কম যাত্রী থাকলে উঠবেন না।
৯। যারা দ্রুত যাতায়াত এর জন্য স্পীড বোট এ যাতায়াত করবেন তারা টাকা বা মুল্যবান কিছু সাথে নিবেন না। কারণ দেখা গিয়েছে যে, এক দল আছে যারা বোট ছাড়ার পর নির্জন স্থানে বোট ভিড়িয়ে ছিনতাই করে আপনাকে নামিয়ে দিতে পারে।
১০। হেঁটে যেতে হলে বিভিন্ন বাসের মাঝখান দিয়ে যাওয়া অনুচিত কারণ নেশাখোর ওঁত পেতে থাকে ছিনতাই এর জন্য।
এছাড়াও যাতায়াতের সময় এ জাতীয় অন্যান্য ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। সচেতনতা সৃষ্টিতে শেয়ার করে সকলকে জানিয়ে দিন। ধন্যবাদ।।
শুক্রবার ২০ জুন ২০25
বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫