Logo
শিরোনাম

জ্যেষ্ঠতা ভঙ্গ করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ,সাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের সুবিদখালী দারুসসুন্নাত ফাজিল মাদ্রাসায় বিধি ও জ্যেষ্ঠতা ভঙ্গ করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দ্বায়িত্ব পালনের অভিযোগে উঠেছে মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। কোন নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করেই অবৈধ ভাবে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত হিসেবে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এ বিষয়ে মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। ছয়মাসের বেশি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থাকার নিয়ম না থাকলেও বছরের পর বছর এই মাদ্রাসাটি চলছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। ২১০৮ সাল থেকে মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগের কোন উদ্যোগ না নিয়ে অবৈধ ভাবে সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু সালেহ মোঃ খাইরুল্লাহ ক্ষমতা পেয়ে মাদ্রাসার বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাৎ করেন এমনও অভিযোগ উঠেছে। 

অভিযোগে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট সুবিদখালী দারুসসুন্নাত ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. শাম্সের আলী অবসরে যাওয়ার পরে জ্যেষ্ঠতা ভঙ্গ করে ও উপাধ্যক্ষকে বাদ দিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি ও পরিচালনা কমিটির ক্ষমতাবলে মাদ্রাসার সহকারি অধ্যাপক মাওলানা মো. খলিলুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দায়িত্বে নিয়োজিত হন। এরপরে তিনিও গত ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রæয়ারী অবসরে যাওয়ার পরে আবারও জ্যেষ্ঠতা ভঙ্গ করে ও সরকারি নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তাঁর পুত্র প্রভাষক আবু সালেহ মো. খায়রুল্লাহকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়। যথা নিয়মে মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ ও সিনিয়র সহকারী অধ্যাপকে দায়িত্ব দেয়ার বিধান থাকলেও পরিচালনা কমিটি পেশি শক্তির প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ ভাবে একজন প্রভাষককে অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেন। পিতা-পুত্র মিলে এই মাদ্রাসায় প্রায় চার বছর পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। ইসলামী আরবি বিশ্ব বিদ্যালয়ের বিধান অনুযায়ী কোন মাদ্রাসার অধ্যক্ষের পদ শূণ্য হলে পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে বিধি মোতাবেক শূন্য পদ পূরন করার কথা থাকলেও নিয়োগ প্রক্রিয়ার চার বছর অতিক্রম করার সুফল অবৈধ ভাবে এখন ষোলকলাই বহন করছেন পিতা-পুত্র। আর এমন সুযোগে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নানাদিক দাবড়ে লুটেপুটে খেয়েছেন। মাদ্রাসার ভর্তি,ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়, বিভিন্ন পরীক্ষার ফল বিবরণী ও পরীক্ষার খাতা যাচাই-বাছাইকরণ ফি,ভর্তির অতিরিক্ত ফি,উপবৃত্তি ফি,মাদ্রাসার ষ্টল দোকান ভাড়া,রেজিস্ট্রেশন ফি সহ নানাভাবে অর্থ আদায় করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। 

মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়,উপজেলার সুবিদখালী দারুসসুন্নাত ফাজিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৩ সালে। মাদ্রাসায় বর্তমানে চার শতাধিক ছাত্র রয়েছে। অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষসহ শূণ্য পদ রয়েছে ১৫টি ও কর্মচারী ৫জনের স্থলে ২জন। মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ ও কমিটি না থাকায় শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে জটিলতা রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষকরা জানান, সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে বিধি বর্হিভূত ভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হয়েছে প্রভাষক আবু সালেহ মো. খায়রুল্লাহ। গত বছরের ২৫ মার্চ তিনি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রারের স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া কমিটি গঠন করেন এবং মার্চ থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত ৫ মাসের বেতন বিলে অবৈধ স্বাক্ষর করে আর্থিক ভাবে লাভবান হয়েছেন। অবসরে যাওয়া সাবেক অধ্যক্ষের ৩ লক্ষ টাকা ভূয়া ভাউচার করে তহবিলে জমা না দিয়ে নিজেই খরচ করেন। তাদের কারনে মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। মাদ্রাসায় সরকারি ১৪টি কম্পিউটারসহ ল্যাব ছিলো। বর্তমানে ল্যাবের ভবন থাকলেও কম্পিউটার নেই। মাদ্রাসায় দান করা এয়ার কন্ডিশনার(এসি) চলছে সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বাস ভবনে। প্রতিষ্ঠানের জমিতে অগ্রিম অর্থ নিয়ে ১৬টি ষ্টল নির্মান করেন এবং ষ্টলের ভাড়ার কোন হিসাব মাদ্রাসার রেজিষ্ট্রারে নেই বললেই চলে। সাবেক এই অধ্যক্ষের নিজের নামেও ১টি ও ভাইয়ের নামে ২টিসহ মোট ৩টি ষ্টল দখল করে আছেন এবং ভাড়ার টাকা জমা না দিয়ে বছরের পর বছর তা আত্মসাৎ করেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থাকাকালীন সময়ে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারীদের চাকরী দেয়ার কথা বলে তুলেছেন অর্থ। ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মাদ্রাসার আয় - ব্যায়ের কোন হিসাব নেই। এ অনিয়ম জানাজানি হলে মাদ্রাসার শিক্ষক ও কর্মচারীদের চাপের মুখে গত বছর আগষ্ট মাসে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু সালেহ মোঃ খাইরুল্লাহ মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক ও সহকারি অধ্যাপক (আরবী) মোঃ হাবিবুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেন। কিন্তু এখনও তাকে মাদ্রাসার কোন চার্জ বুঝিয়ে না দিয়ে সাবেক অধ্যক্ষ আবু সালেহ মোঃ খাইরুল্লাহ ভয়ভীতি দেখান ও পিতাকে গভনিং বডির সদস্য নেয়ার জন্য গোপনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও মাদ্রাসার সংযুক্ত ইয়াতিম খানায় তাঁর পিতা সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ খলিলুর রহমান ৪০ বছর যাবৎ সেক্রেটারি হিসেবে রয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসার সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু সালেহ মো. খাইরুল্লাহ বলেন, অভিযোগ হয়েছে আমি শুনেছি। এটা মাদ্রাসার একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এখানে অনিয়মের কিছু নেই। মাদ্রাসার স¦ার্থে পরিচালনা কমিটি আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আমি অধ্যক্ষের পদ ছেড়ে দিয়েছি। জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিত্বে অধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, একজন শিক্ষক অসুস্থ ছিলেন তাই পরিচালনা কমিটি আমাকে যোগ্য মনে করেছেন বলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে ছিলাম। আর এখন আমি অধ্যক্ষের পদে নেই। যে দায়িত্বে আছেন তাঁর কাছে জানেন।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. হাবিবুর রহমান বলেন, অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। অভিযোগ যার নামে হয়েছে তাঁর কাছে জানতে পারেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. রেজাউল কবীর বলেন, জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে মাদ্রাসায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দিতে হবে। এটা না করে থাকলে বিধি ভঙ্গ করে কাজ করেছে পরিচালনা কমিটি। এখানে সিনিয়রদের বাদ দিয়ে প্রভাষককে অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া অন্যায়। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইয়েমা হাসান বলেন, নীতিমালা বহির্ভূত কোন পদায়ন/দায়িত্ব পেয়ে থাকলে এবং অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



উৎসবের রঙে রঙিন রাজধানীর সড়ক

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

চৈত্র সংক্রান্তির রাতে আলপনা উৎসবে মাতলো রাজধানীবাসী। একসঙ্গে দুই শতাধিক শিল্পী আর কয়েক হাজার মানুষের অংশগ্রহণে রঙিন হয়েছে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পিচঢালা পথ। আনন্দ ভাগাভাগি করে অংশগ্রহণকারীদের শপথ, সাম্প্রদায়িকতার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।

ষড়ঋতুর ছয়টি রঙয়ে রঙিন পিচঢালা রাজপথ। বুকজুড়ে আলপনা, তাতে জ্বলজ্বলে প্রিয় বাংলা ভাষার অমূল্য অক্ষর। চাঁদের আলোয় বিশাল আকাশের নিচে একমনে শিশুদের হাতে হাতখড়ি বাংলা নতুন বছর বরণের আলপনা।

তুলির নকশায় শুধু সৌন্দর্যই ফুটে ওঠেনি, এতে মিশেছে বাঙালির হাজার বছরের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি আর প্রাণের উচ্ছ্বাস।

শুধু কি শিল্পীর হাতে তুলি? ১৪৩১ কে বরণ করতে নিয়ন আলোতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নামে হাজারো মানুষের ঢল। নিজ হাতে রঙ-তুলি টেনে নিয়ে ভালোবাসা আর আনন্দ ভাগাভাগিতে শামিল হন নগরবাসী। অবাক হয়ে তারাই জানালেন শেষ যে কবে এমন উৎসবে শামিল হয়েছেন তা ঠাহর করা মুশকিল। বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসে মাতে শিশু, তরুণ-তরুণীরা।

আলপনা উৎসবের এই মাহেন্দ্রক্ষণে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চিরচেনা সংস্কৃতি বজায় রাখার ডাক দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী।

আলপনার পাশাপাশি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলা গানের সুর আর নাচের তালে শামিল হন নগরবাসী।


আরও খবর



রাতেও জ্বলবে সুন্দরবনে আগুন, ৩ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)

 পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়ার ড্রেনের ছিলা এলাকায় লাগা আগুন এখনও জ্বলছে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস ওই এলাকায় পৌঁছালেও আগুনের কাছেই যেতে পারেনি। সন্ধ্যা হওয়ায় এবং কাছাকাছি কোনও পানির উৎস না থাকায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা যায়নি। রবিবার সকাল ৬টা থেকে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা হবে। এদিকে এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী নুরুল করিম রাত ১০টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নুরুল করিম বলেন, প্রচন্ড তাপপ্রবাহ ও দুর্গম এলাকায় আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকল বাহিনী নিয়ে ছুটে যাই। প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে পানির উৎস খুঁজি। কিন্তু কাছাকাছি কোনও পানি পাওয়া যায়নি। অনেক দূরে ভোলা নদী থেকে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এরই মধ্যে সন্ধ্যা হয়ে যায়। তাই আগুনের কাছে আর যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয় এলাকাবাসী এবং বনরক্ষীদের চেষ্টায় অল্প পানি সরবরাহ করে প্রাথমিকভাবে আগুন যাতে ছড়াতে না পারে সেটি করা হয়েছে।

 রবিবার সকালে আমরবুনিয়া এলাকার ভোলা নদী থেকে পানির সংযোগ স্থাপন করে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগুন বেশি দূর ছড়াতে পারেনি। অল্প অল্প করে জ্বলছে, রাতের মধ্যেও ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই।

কী করে আগুন লেগেছে জানতে চাইলে ডিএফও নুরুল করিম বলেন, এখনও সঠিক কারণ বের করা যায়নি। তবে স্থানীয় কয়েকজন একেক তথ্য দিচ্ছে। সব তথ্যই আমলে নিয়ে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেবকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধার স্টেশন অফিসার ওবায়দুর রহমান এবং ধানসাগর স্টেশন অফিসার রবিউল ইসলাম। আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে আগুন লাগার সঠিক কারন উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দেবে এই কমিটি।

মোরেলগঞ্জের নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, শনিবার দুপুরে প্রথমে আগুন লাগে সুন্দরবনের ড্রেনের ছিলা এলাকায়। বিকাল সাড়ে ৪টায় আগুন ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় জানাজানি হয়। এরপর স্থানীয় এলাকাবাসী ও বনরক্ষীদের সমন্বয়ে প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। পরে বাগেরহাট ও মোরেলগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আসে। কিন্তু সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলে দমকল বাহিনীর সদস্যরা কাজ শুরু করতে পারেনি। রবিবার ভোর থেকে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করবেন তারা।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক সাইদুল আলম চৌধুরী বলেন, বিকালে আগুনের খবর পেয়ে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও নানা প্রতিকূলতার কারণে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারেনি। তবে আগুন লাগার ঘটনাস্থল চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে। সকাল  থেকে কাজ শুরু করা হবে। 


আরও খবর



তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

দেশজুড়ে বইছে তাপপ্রবাহ গরমে নাকাল জনজীবন মাঝেমধ্যে গায়ে বাতাস লাগলেও তা যেন আগুনের হলকা অনেক বেশি উত্তাপ অনুভূত হওয়ায় হাঁসফাঁস অবস্থা জনজীবনে তাপমাত্রার এমন অবস্থা সহসাই পরিবর্তন হচ্ছে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া চলমান তাপপ্রবাহ আরও তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পুরো এপ্রিলজুড়েই তাপমাত্রা ভোগাবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। তাপপ্রবাহের তীব্রতা আরও বাড়ার আশঙ্কায় সারাদেশে জারি করা হয়েছে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার বার্তা দিয়েছে সংস্থাটি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, জলীয়বাষ্প বেশি থাকার কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে। একইসঙ্গে সমুদ্রের লঘুচাপটি পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করার গরম প্রভাব দেখা যাচ্ছে ভূপৃষ্ঠে। এর আগে দেশে ১৫ থেকে ১৩ দিন পর্যন্ত লাগাতার তাপপ্রবাহ থাকার রেকর্ড থাকলেও এবার চলতি মাসের ১৯ দিনই টানা তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী পাঁচ দিনেও আবহাওয়ায় পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস বলছে, এপ্রিলজুড়েই তাপমাত্রা ওঠা-নামা করবে ৩৬ থেকে ৪২ ডিগ্রির মধ্যে। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় গরম অনুভূত হবে এর চেয়েও বেশি। এসময় কোথাও কোথাও বৃষ্টি সাময়িক স্বস্তি দিলেও দাবদাহ থেকে যাবে মে মাস পর্যন্ত।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, হিট অ্যালার্ট তিনদিনের জন্য জারি করা হয়েছে। এই সময় সবাইকে গরম থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকতে হবে। তবে সারাদেশে হিট অ্যালার্ট জারি থাকলেও কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।

টানা চারদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। শুক্রবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা গতকাল পর্যন্ত এ মৌসুমের সর্বোচ্চ। বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এসময়ে রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আরও খবর



বৈশাখের প্রভাবে ইলিশের দাম চড়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

আর একদিন পরই পহেলা বৈশাখ। বাংলা নতুন বছরের পয়লা দিনটি বিভিন্নভাবে উদযাপন করা হয়। দিনটিকে কেন্দ্র করে মঙ্গল শোভাযাত্রা থেকে শুরু করে পান্তা-ইলিশ শোভা পায় বাঙালির পাতে। ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবকে কেন্দ্র বাজারে ইলিশের প্রচুর চাহিদা তৈরি হয়। কিন্তু চাহিদার তুলনায় এবার সরবরাহ কম বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীদের দাবি, বর্তমানে ইলিশ কম ধরা পড়ায় বাজারে সরবরাহ কম। বৈশাখ উপলক্ষে চাহিদা গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে কিন্তু সে তুলনায় সরবরাহ বাড়েনি।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে পয়লা বৈশাখের প্রভাব পড়েছে ইলিশের দামে। জুরাইন, যাত্রাবাড়ী ও সূত্রাপুরের মাছ বাজারে  ৭০০ ও ৮০০ গ্রাম ওজনের জাটকা ইলিশ বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এক কেজির চেয়ে একটু বড় ইলিশ একবারেই কম। ইলিশ, চিংড়ি, রুইসহ অল্প কিছু মাছও পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। সবজি ও মুরগির বাজারে ক্রেতা কম।

সরজমিনে দেখা গেছে, প্রতিকেজি জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়। ৭০০ গ্রাম ইলিশ ১ হাজার ২০০ টাকা, ৮০০ গ্রাম ইলিশের দাম রাখা হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা। আর ১ হাজার টাকায় মিলছে ৫৫০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ। ছোট চিংড়ি প্রতিকেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

যাত্রাবাড়ী বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, ঈদের ছুটিতে বেশিরভাগ মানুষ শহর ছেড়ে বাড়িতে চলে যাওয়ায় বাজারে ক্রেতা নেই। ক্রেতা না থাকায় বেশিরভাগ দোকানি অলস সময় পার করছেন। আর বাজারে ইলিশের সরবরাহ কম থাকায় দামও একটু বেশি।


আরও খবর

দাম বাড়ল জ্বালানি তেলের

সোমবার ০৬ মে ২০২৪




অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স এক অশনি সংকেত

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ |

Image

বৈশ্বিক স্বাস্থ্যখাতের অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের হুমকি মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি সব খাতকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনিসংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স। মানুষ থেকে শুরু করে গ্রামগঞ্জে পশুপাখির মধ্যেও এটি বিস্তার লাভ করেছে। প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) বিষয়ক গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপের কো-চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ব্র্যাকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ব্রেস্ট ক্যানসার বা স্তন ক্যানসার, সার্ভিক্যাল ক্যানসার বা জরায়ুমুখ ক্যানসার ও হাইপারটেনশনের মতো বিষয়গুলোতে আরও বেশি সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। একজন ব্রেস্ট ক্যানসারের রোগী যখন চিকিৎসকের আছে আসে, তখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আর বিশেষ কিছু করার থাকে না। অথচ প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় হলে তা অনেকাংশেই নিরাময়যোগ্য। একইভাবে গ্রামাঞ্চলে অনেক ঠোঁটকাটা, তালুকাটা রোগী ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। তারা সঠিক চিকিৎসা পান না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে স্বাস্থ্যখাতে অনেক ভালো কাজ হচ্ছে, কিন্তু এসব ক্ষেত্রে অনেক সময় সমন্বয়ের অভাব দেখা যায়। সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলো সমন্বিতভাবে কাজগুলো করলে মানুষ উপকৃত হবে।

এ প্রসঙ্গে তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এবং ব্র্যাক লিম্ব অ্যান্ড ব্রেস সেন্টার (বিএলবিসি) পরিকল্পিত ও পরিচালিত কৃত্রিম অঙ্গ সংস্থাপন চিকিৎসাকেন্দ্রের কথা উল্লেখ করে বলেন, এর মাধ্যমে অনেক মানুষ কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সুবিধা পাচ্ছেন। মানুষের কল্যাণে বেসরকারি খাতের সহযোগিতায় এমন আরও অনেক উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, স্বাস্থ্যখাতে সরকারের কাজে যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সহযোগিতা করে আসছে, তাদের মধ্যে ব্র্যাক অন্যতম। তবে এসব কাজে ধারাবাহিকতা ধরে রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। কোনো একটা কর্মসূচি বা প্রকল্প হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাওয়া অবাঞ্চিত। তাই প্রকল্প শুরু করার সময়ই একটি প্রস্থান পরিকল্পনা সঠিকভাবে ডিজাইন করা গুরুত্বপূর্ণ।


আরও খবর