Logo
শিরোনাম
তারেক রহমান লন্ডন বসে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে পারবেন না! ২০ বছর পর সিএনজিচালিত অটোরিকশার অনুমোদন সোহাগ হত্যার বিচার দাবীতে নওগাঁয় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল গুম খুন রাজনীতি বন্ধ করতেই আমরা মাঠে নেমেছি’ - নাহিদ ইসলাম ‎ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে মাভাবিপ্রবি ছাত্রদলের মিছিল নওগাঁর সাপাহারে দেশে প্রথম বারের মতো “ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল” হচ্ছে গজারিয়ায় পঞ্চম বারের মতো দুটি চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দিল তিতাস স্যার এবং ভাইয়ার প্রতি খোলা চিঠি! শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন সহ সকল ধরনের দুর্নীতির অবসান চাই ..নাহিদ ইসলাম বালুয়াকান্দীতে সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে মত বিনিময় সভা

কাকরাইলে সাদপন্থিদের বড় জমায়েত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

তাবলিগ জামায়াতের একাংশ দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা এবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন। আগামী ৭ ডিসেম্বর তারা সমাবেশ করবেন। শুক্রবার জুমার নামাজের আগে তারা এ ঘোষণা দেন।

এর আগে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার সকাল থেকেই কাকরাইলের মারকাজ মসজিদে প্রবেশ করে সেখানে অবস্থান নেন সাদপন্থিরা। এ কারণে ভোর থেকে ওই এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

সাদপন্থিদের ব্যাপক সমাগমে কাকরাইল মসজিদের আশপাশের রাস্তায় যানচলাচল সকাল থেকেই বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে রমনা ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যাওয়ার পথটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, কাকরাইল মসজিদে নির্ধারিত অবস্থানের সময় শেষ হওয়ায় সুরাপন্থিরা সকালে মসজিদ থেকে সরে যান।

এ বিষয়ে রমনা জোনের ডিসি গণমাধ্যমকে জানান, জুবায়েরপন্থিরা চার সপ্তাহ অবস্থান করেছিলেন। আজ তারা অবস্থান ছেড়ে দিয়েছেন। এখন দুই সপ্তাহ অবস্থান করবেন সাদপন্থিরা।

তিনি আরো বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন কোনো অবনতি না ঘটে, সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আজ শান্তিপূর্ণভাবে বের হয়ে যান জুবায়েরপন্থিরা, তারপর সুশৃঙ্খলভাবে প্রবেশ করেন সাদপন্থিরা।

জুমার নামাজের আগমুহূর্তে রাস্তা থেকে সারে যান অবস্থানকারীরা। এর আগে তারা ৭ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের নভেম্বরে দুপক্ষের দ্বন্দ্ব প্রথম প্রকাশ্যে রূপ নেয়। এরপর ৭ বছর ধরে প্রশাসনের সিদ্ধান্তে কাকরাইল মসজিদের এক অংশে জুবায়েরপন্থিরা ৪ সপ্তাহ ও সাদপন্থিরা দুই সপ্তাহ করে পর্যায়ক্রমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।


আরও খবর



হরমুজ প্রণালি বন্ধের হুঁশিয়ারি ইরানের

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ০৬ জুলাই ২০২৫ |

Image

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির প্রভাবশালী একজন উপদেষ্টা মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এ প্রণালি বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেল পরিবহনের প্রধান রুটগুলোর একটি। খবর সিএনএনের।

ইরানের কায়হান পত্রিকার প্রধান সম্পাদক হোসেইন শরিয়তমাদারি সতর্ক করে বলেছেন, ‘ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর, এখন আমাদের পালা।’

হোসেইন শরিয়তমাদানি ইরানের রক্ষণশীল কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত। অতীতে তিনি নিজেকে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির প্রতিনিধি বলে দাবি করেছেন।

সামাজিকমাধ্যম টেলিগ্রামে কায়হানের বার্তায় শরিয়তমাদারিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, কোনো সংশয় বা বিলম্ব না করে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আমরা অবশ্যই বাহরাইনে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাব এবং একযোগে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানি ও ফ্রান্সের জাহাজ চলাচলের জন্য হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেওয়া হবে।


আরও খবর



ঊর্ধ্বমুখী সবজি ও চালের বাজার, মাছ-মুরগিতে স্বস্তি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ |

Image

ঈদের পরও স্বস্তি ফিরছে না নিত্যপণ্যের বাজারে। চালের দাম টানা বাড়ছে, সবজির বাজারেও লেগেছে আগুন। ভরা মৌসুমেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না দাম। মাছ, মুরগি ও ডিমের বাজার কিছুটা সহনীয় হলেও মূল নিত্যপণ্য চাল ও সবজিতে চাপে সাধারণ মানুষ। বাজারে নেই নজরদারি, ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাদেরও কিছু করার নেই।

ঈদের পর থেকে কেজিপ্রতি চালের দাম বেড়েছে ২ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত। একাধিক মোকাম ও বাজার ঘুরে জানা গেছে, ৫০ কেজির বস্তায় চালের দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা পর্যন্ত। এদিকে সবজির বাজারেও বেড়েছে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম। তবে স্বস্তির খবর, কমেছে মুরগি ও ডিমের দাম। মাছের বাজারেও রয়েছে কিছুটা স্থিতিশীলতা।

২৭ জুন রাজধানীর নয়াবাজার, মোহাম্মদপুর, মালিবাগ, সেগুনবাগিচা ও কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

দেশজুড়ে চলছে বোরো ধানের মৌসুম। মিল মালিকদের দাবি অনুযায়ী চালের সরবরাহে ঘাটতি নেই, পরিবহন ব্যয় বা শ্রমিক মজুরিও বাড়েনি। তারপরও হঠাৎ করেই ঈদের পর থেকে বাড়ছে চালের দাম।

চাল ব্যবসায়ী রাকিব জানান, ‘চালকল মালিকরা নিজ থেকেই দাম বাড়াচ্ছেন। সরবরাহ বা চাহিদার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।’ আরেক চাল বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আগে ৬৮ টাকায় কিনতাম যে মিনিকেট চাল, সেটা এখন ৭৬ টাকা। বাধ্য হয়েই বাড়তি দামে বিক্রি করছি।’

বর্তমান খুচরা বাজারে চালের দর (প্রতি কেজি) মোটা চাল (বিআর-২৮, পারিজা) ৫৮-৬৫ টাকা, জিরাশাইল ৭৪-৮০ টাকা, মিনিকেট ৭৬-৮৪ টাকা, নাজিরশাইল ৭৬-৮৬ টাকা, পোলাও চাল ১১৬-১১৮ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

বর্ষা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিছু সবজির ক্ষেত পানিতে ডুবে যাওয়ায় কমেছে সরবরাহ, বেড়েছে দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কেজিপ্রতি বেড়েছে অনেক সবজির দাম।

বাজারে সবজির বর্তমান দাম (প্রতি কেজি) বরবটি ৬০-৮০ টাকা, পটল, ঢ্যাঁড়স ৪০-৫০ টাকা, করলা ৬০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা, ঝিঙা ৫০-৬০ টাকা, কাকরোল ৬০-৭০ টাকা, বেগুন ৬০-৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, ধনেপাতা ৪০০ টাকা (এক সপ্তাহে ১৫০ টাকা বেড়েছে)।

তবে যাত্রাবাড়ী, চিটাগাং রোড ও আশপাশের বাজারগুলোতে কিছু কিছু সবজি এখনও পাওয়া যাচ্ছে তুলনামূলক কম দামে ৪০-৬০ টাকার মধ্যে।

ঈদের পর হালকা খাবারের দিকে ঝুঁকছেন ক্রেতারা। এর প্রভাব পড়েছে মুরগি ও ডিমের বাজারে। দাম কিছুটা কমে এখন আগের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তিকর।

মুরগির বর্তমান দাম (প্রতি কেজি) ব্রয়লার ১৪০-১৫০ টাকা, সোনালি ২২৫-২৩৫ টাকা, লেয়ার ২৩০-২৪০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০-৫৫০ টাকা, হাঁস (প্রতি পিস) ৬০০-৭০০ টাকা। ডিম (ডজন) পাইকারি ১১৮-১২০ টাকা, খুচরা ১২৫-১৩০ টাকা।

ঈদের সময় মাছের চাহিদা কম থাকলেও এখন বাজারে ফিরেছে প্রাণ। রুই, কাতল, পাবদা, তেলাপিয়াসহ চাষের মাছের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক থাকলেও দেশি মাছ এখনো দুষ্প্রাপ্য।

চাষের মাছের মধ্যে রুই-কাতল ৩২০-৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০-২৪০ টাকা, পাঙাশ ২০০-২৫০ টাকা।

দেশি মাছের মধ্যে ইলিশ (১ কেজি) ২ হাজার টাকা, পাবদা ৩৫০-৪০০ টাকা, শিং-টেংরা ৫০০-৮০০ টাকা, দেশি শিং-কৈ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

দেশি পেঁয়াজের দাম এখনও নিয়ন্ত্রণে (৫০-৬০ টাকা/কেজি)। তবে আদা ও রসুনের দাম বাড়ছে সরবরাহ সংকট ও চাহিদা বৃদ্ধির কারণে।

আদা এক কেজি ১২০-১৮০ টাকা (এক সপ্তাহ আগে ৯০-১৭০ টাকা), রসুন ১১০-১৪০ টাকা (আগে ছিল ৯০-১৪০ টাকা) পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই চাল ও সবজির দাম বাড়ছে। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছেন।


আরও খবর

পেঁয়াজ উৎপাদনে আশার খবর

রবিবার ০৬ জুলাই ২০২৫

ঢাকায় ক্রমাগত বাড়ছে সবজির দাম

শুক্রবার ০৪ জুলাই ২০২৫




ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশর ঘোষণাপত্র

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ |

Image

সংস্কার, বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে :

এবং দেশ ও ইসলামবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের প্রতিবাদে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশে দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান কর্তৃক উপস্থাপিত মহাসমাবেশের ঘোষণাপত্র 

ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত আজকের এই মহাসমাবেশ আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে আরেকটি গৌরাবোজ্জ্বল মাইলফলক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলো। আজকের মহাসমাবেশ রাষ্ট্র সংস্কার, বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির পক্ষে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ধিতাংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। 


এ জাতির শতবছরের আকাঙ্ক্ষা এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে মহাসমাবেশের ঘোষণাপত্র পাঠ করছি- 


সংগ্রামী উপস্থিতি!

গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত সংস্কার কমিশনসমূহের মধ্যে ৬টি কমিশনের প্রস্তাবনা আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছিলো। আমরা সেই প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করে বিস্তারিত মতামত দিয়েছি। ভবিষ্যৎ স্বৈরতন্ত্র রোধ করা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় জনমতের প্রতিফলন নিশ্চিত করার বিষয়টি মূখ্য রেখে আমরা আমাদের প্রস্তাবনা জমা দিয়েছি। আমাদের প্রস্তাবনাগুলোকে সক্রিয় বিবেচনায় নেয়ার জন্য আজকের মহাসমাবেশ থেকে আহবান জানাচ্ছি। 


সংস্কার নিয়ে দ্বিতীয় দফা আলোচনা চলমান রয়েছে। সেটা বিবেচনায় নিয়ে আজকের এই জনসমুদ্র থেকে আমরা ঘোষণা করছি যে, 


১. সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের সাথে “আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসই হবে রাষ্ট্র পরিচালনার মূল নীতি” এ বিষয়টি অবশ্যই পূনঃস্থাপন করতে হবে। কারণ বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও সার্বভৌমত্বের জন্য ইসলাম হলো রক্ষাকবচ। তার প্রতিফলন সংবিধানের মূলনীতিতে থাকতে হবে।


২. সংসদের প্রস্তাবিত উভয়কক্ষে সংখ্যানুপাতিক পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে।


৩. জুলাই’২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে বৈষম্যহীন শোষন নিপীড়ন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মানে জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে আগামী জুলাই মাসের মধ্যে জুলাই সনদ ঘোষণা করতে হবে।


৪. আগামী দিনে বাংলাদেশে যাতে কোন নির্বাচিত স্বৈরাচার, দুর্নীতিবাজ, লুটেরা ও সন্ত্রাসী শ্রেনী রাষ্ট্রক্ষমতাকে ব্যবহার করে জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে, রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণের মাধ্যমে ধ্বংস করতে না পারে এবং একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনী মৌলিক রাষ্ট্রসংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।


৫. সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড অপরিহার্য। সেটা নিশ্চিত করার জন্য জনপ্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে।

পতিত ফ্যাসিবাদের সহযোগী যারা এখনো জনপ্রশাসনে কাজ করছে তাদেরকে চিহ্নিত করে দ্রুত অপসারণ করতে হবে। না হলে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করেই যাবে।


৬. পতিত ফ্যাসিবাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এবং বিদেশে পালাতক অপরাধীদের আটক করার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা আরো জোরদার করতে হবে।


৭. দেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে সক্রিয়, কার্যকর ও দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।


৮. দেশে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও খুনখারাবি রোধে প্রশাসনকে আরো কার্যকর ও অবিচল হতে হবে।


৯. ভারতের সাথে কৃত সকল চুক্তি জনসন্মুখে প্রকাশ করতে হবে এবং সকল দেশবিরোধী চুক্তি বাতিল করতে হবে।


১০. জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে সকল পর্যায়ে স্থানীয় নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। আগামীতেও জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সকল স্থানীয় নির্বাচনের বিধান প্রণয়ন করতে হবে।


১১. চিহ্নিত দূর্নীতিবাজ, ঋণখেলাপি ও সন্ত্রাসীদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।


১২. জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে দেশে অবশ্যই একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরী করতে হবে। সকল দলের জন্য সমতল পরিবেশ এবং সমান সুযোগ তৈরী ছাড়া কোন রাজনৈতিক পক্ষ বা ভিন্ন কোন দেশের চাপে অতীতের মতো যেন-তেন একটি নির্বাচনের জন্যে তফসিল ঘোষণা করা হলে তা কিছুতেই মেনে নেয়া হবে না।


১৩. ঘুষ, দূর্নীতিসহ সকল প্রকার নাগরিক হয়রানি বন্ধ করতে হবে। কোন নিরপরাধ ব্যক্তির বিরুদ্ধে শুধু রাজনৈতিক কারণে হয়রানিমূলক মামলা বন্ধ করতে হবে। হয়রানিমূলক সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। দেশের কোথাও কোন রকম মব সৃষ্টির সুযোগ দেয়া যাবে না। মব সৃষ্টিকারীদের দমনে যথাযথ আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ইসলাম ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিরোধী যে কোন কার্যক্রমে দ্রুততম সময়ে আইনী পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে গণবিক্ষোভ পুঞ্জীভূত না হয়।


১৪. দেশ বিরোধী ও ইসলাম বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত মোকাবেলায় সাম্রাজ্যবাদ, সম্প্রসারনবাদ ও আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।


১৫. আগামী জাতীয় নির্বাচনে দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক ও ইসলামী শক্তির ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।


১৬. রাষ্ট্রের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা, জনগণের জান-মাল ও ইজ্জতের নিরাপত্তা বিধান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষা, সর্বত্র শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা এবং কাঙ্ক্ষিত উন্নতি ও অগ্রগতির লক্ষ্যে রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ে ইসলামের সুমহান আলোকিত আদর্শের অনুশীলন করতে হবে।


আরও খবর



‎টাইমস হায়ার এডুকেশন র‍্যাঙ্কিংয়ে এবারও স্থান পায়নি মাভাবিপ্রবি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

‎মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :‎

‎বিশ্বখ্যাত শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন (THE) প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং ২০২৫’-এর তালিকায় এবারও জায়গা হয়নি মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি)।‎

‎বুধবার (১৮ জুন) প্রকাশিত এই তালিকায় বিশ্বের ১১৫টি দেশের দুই হাজারের বেশি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় স্থান পেলেও মাভাবিপ্রবি অনুপস্থিত রয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশা ও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।‎

‎বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের উপস্থিতি

‎এবারের র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ৮টি সরকারি ও ১২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে।

‎বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, যেটি বিশ্বের ১০১–২০০তম অবস্থানে রয়েছে এবং বাংলাদেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে। এছাড়া আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (AIUB), ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (UIU) যৌথভাবে রয়েছে ৬০১–৮০০তম স্থানে।

‎সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম অবস্থানে রয়েছে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর আছে 

‎বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

‎কেন নেই মাভাবিপ্রবি?

‎টাইমস হায়ার এডুকেশন র‍্যাঙ্কিং জানা গেছে, ১৭টি নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে র‌্যাঙ্কিংটি প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, নো পোভার্টি; জিরো হাঙ্গার; গুড হেলথ এন্ড ওয়েলবিং; কোয়ালিটি এডুকেশন; জেন্ডার ইকুয়ালিটি; ক্লিন ওয়াটার এন্ড স্যানিটেশন; অফ ডল এন্ড ক্লিন এনার্জি; ডিসেন্ট ওয়ার্ক অ্যান্ড ইকোনমিক গ্রোথ; ইন্ডাস্ট্রি ইনোভেশন এন্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার; রিকোয়ার্ড ইনেকুয়ালিটিস; সাসটেইনেবল সিটিজ এন্ড কমিউনিটিস; রেসপন্সিবল কনসামশান এন্ড প্রোডাকশন; ক্লাইমেট চেঞ্জ; লাইফ বিলোওয়াটার; লাইফ অন ল্যান্ড; পিস, জাস্টিস এণ্ড স্ট্রং ইন্সটিটিউশন্স ও পার্টনারশিপ ফর দ্যা গোলস। সংশ্লিষ্ট সূচকে পিছিয়ে থাকাই মাভাবিপ্রবির তালিকায় স্থান না পাওয়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

‎এ বিষয়ে মাভাবিপ্রবি গবেষণা সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল নাসির বলেন, “ আমাদের গবেষণা কার্যক্রমে বিনিয়োগ কম, গবেষণা অনুদান পর্যাপ্ত নয়, আন্তর্জাতিক প্রকল্প ও যৌথ গবেষণার অভাব রয়েছে।  যা আন্তর্জাতিক র‍্যাঙ্কিংয়ে প্রভাব ফেলে।

‎আমাদের একটি বড় সীমাবদ্ধতা হলো—বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগ ও শিক্ষকসংখ্যা কম। র‍্যাঙ্কিংয়ে যেতে হলে কমপক্ষে ৩৫টি বিভাগ এবং ৭০০ শিক্ষক প্রয়োজন। পাশাপাশি টানা ৫ বছর ধরে বছরে ৫০০টির বেশি ইনডেক্সড জার্নালে গবেষণা প্রকাশনার প্রয়োজন হয়।”‎

‎তিনি আরও বলেন, “মাভাবিপ্রবি থেকে অতীতে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত (ডেটা) প্রদান করা হয়নি। তবে বর্তমানে ‘র‍্যাঙ্কিং বিষয়ক কমিটি’ গঠন করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ডেটা সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে সময়মতো তা প্রদান করার ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই আমরা ভালো করতে পারব।

‎তবে অনেকেই মনে করেন, র‍্যাঙ্কিংয়ে স্থান না পাওয়া মানেই বিশ্ববিদ্যালয়টি অকার্যকর—এমনটা নয়। বরং এটি একটি চ্যালেঞ্জিং বার্তা, যা ভবিষ্যতে উন্নয়ন পরিকল্পনা ও গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য দিকনির্দেশনা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।‎

‎উন্নয়নের পথে অগ্রসর হওয়া জরুরি‎

‎বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাঙ্কিং এখন আর শুধু কাগজে তালিকা নয়; এটি একটি প্রতিচ্ছবি, যা শিক্ষা ও গবেষণায় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় কে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে তা বুঝতে সহায়ক। মাভাবিপ্রবির জন্য এটি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় গবেষণা খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা।

‎বিশ্বমানের তালিকায় স্থান পেতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণায় বিনিয়োগ, আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা, শিল্পখাতের সঙ্গে কার্যকর সংযোগ তৈরি এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে পরিকল্পিত উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলেই ভবিষ্যতে মাভাবিপ্রবি গ্লোবাল র‍্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন শিক্ষার্থীরা ও সংশ্লিষ্টরা।


আরও খবর



ফের কেঁপে উঠল জেরুজালেম-তেল আবিব

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ জুন ২০25 | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ জুলাই ২০২৫ |

Image

সাতসকালে ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইরান। হামলার পর জেরুজালেম ও তেল আবিবে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।  খবর জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো শনাক্ত করেছে এবং ইসরায়েলজুড়ে সাইরেন বাজানো হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা 'হুমকি' প্রতিহত করার জন্য কাজ করছে।

নতুন করে ইরানের এই হামলার প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রে প্রবেশ করতে নির্দেশনা দিয়েছে। একইসাথে "পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত" সেখানে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম বলছে, মধ্য ও দক্ষিণ ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের খবর পেয়ে চিকিৎসকরা সেখানে ছুটে গেছেন। এ হামলায় ইসরায়েলে ৩০ জন আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে অনন্ত দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় বে’র শেভার সোরোকা হাসপাতালে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্ হামলায় ছাদ ধসে আহত হওয়ার এ ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে, এ হামলাকে ‘ইরানি শাসকগোষ্ঠীর দ্বারা সংঘটিত একটি যুদ্ধাপরাধ’ বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী উরিয়েল বুসো।

জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ইরানের একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দেশটির বীরশেবার সোরোকা হাসপাতালে আঘাত হানে। এছাড়া মধ্য ইসরায়েলজুড়ে বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি স্থানে সরাসরি আঘাত হানার খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইরানি ভূখণ্ড থেকে কমপক্ষে ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।


আরও খবর