Logo
শিরোনাম

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার খেজুর রসের ঐতিহ্য

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত,ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম)

হেমন্তের বিদায় কালে ভোরের হালকা কুয়াশায় নিমজ্জিত সবুজ ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশির বিন্দু আর ঝরে থাকা শিউলি ফুলের মিষ্টি সৌরভ যেন পৌঁছে দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা।আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস ছাড়া যেন শীতের আমেজেই পাওয়া যায় না। শীতের সকালে মিষ্টি রোদে বসে বসে সুস্বাদু খেজুরের রস খাওয়ার মজাটাই আলাদা। শীতের আগমনী বার্তা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে আগাম খেজুরের রস আহরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফুলবাড়ী উপজেলার খেজুর গাছিরা।


কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামবাংলার খেজুর রসের ঐতিহ্য। কুড়িগ্রাম জেলার জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ ও প্রাকৃতিক পরিবেশ উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট বন বিভাগ খেজুর গাছ সংরক্ষণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে না পারার কারণে এই অঞ্চলের খেজুর গাছ অনেকটা বিলুপ্তির পথে। খেজুরের রস দিয়ে তৈরি করা নলের গুড়,ঝোলা গুড়,দানা গুর মুটা গুড়, বাটালী গুড়ের মিষ্টি গন্ধেই যেন অর্ধভোজন হয়ে যেত। খেজুর রসের পায়েস রসে ভেজা পুলি  পিঠা সহ-বিভিন্ন সুস্বাদ খাবারের তো জুরিই ছিল না। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামবাংলার এই সব সুস্বাদু ঐতিহ্য খেজুরের রস,গুড়। কিছুদিন আগেও গ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় দেখা গিয়েছিল রাস্তার দুই ধারে কিংবা অধিকাংশ বাড়ির পুকুর পাড়ে সারি সারি ভাবে অসংখ্য খেজুর গাছ ছিল। খেজুর গাছগুলো কোন রকম পরিচর্যা ছাড়াই অনেকটা প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে উঠতো। শীত মৌসুমে রস গুড় উৎপাদন করে কয়েক মাস স্বাচ্ছন্দ্যে জীবিকা নির্বাহ করেন গ্রামের অনেক খেজুর গাছির পরিবার। খেজুর গাছ সংকটের কারণে প্রতিবছরের মতো এবছর চাহিদা অনুযায়ী রস ও গুড় পাওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা করছেন ফুলবাড়ীর গাছিরা।


সরেজমিনে ঘুরে দেখা মেলে সকালের মিষ্টি রোদে খেজুর রস সংগ্রহের জন্য উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুটি চন্দ্র খানা গ্রামের হারান গাছি, খেজুর গাছের বুকচিরে রস সংগ্রহের প্রান্তিক কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি জানান,আমার নিজের কয়েকটি গাছ সহ-অন্যের প্রায় ৬০টির মতো গাছ লিজ নিয়েছি, এক সময় খেজুর রস ও গুড়ের জন্য হামার ফুলবাড়ী উপজেলার খ্যাতি ছিল। শীত কালে শহর থেকে মানুষ দলে, দলে ছুটে আসতো গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস ও গুড় সংগ্রহের জন্য ওই সময় সন্ধ্যা কালীন গ্রামের পরিবেশটা খেজুর রসের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠতো। শীতে খেজুর গুড় দিয়ে গ্রাম বাংলার সেই আলোচিত ভাপা পিঠা খাওয়ার যেন জুরি নেই।


সদর ইউনিয়নের চন্দ্র খানা কালির হাট এলাকার খেজুর গাছ মালিক মিজানুর রহমান জানান,গাছিদের তিন/চার মাসের জন্য চার থেকে পাঁচ কেজি গুরের বিনিময়ে গাছগুলো আমরা ভাড়া দেই। অনেক পুরোনো গ্রামীণ ঐতিহ্য যাতে বিলীন না হয় অনেকটা স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখার চেষ্টা করতেছি,বর্তমানে যে হারে খেজুর গাছ হারিয়ে যাচ্ছে একসময় গ্রামীণ ঐতিহ্য খেজুর গাছ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

এব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামাঞ্চলে খেজুর গাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। আমাদের হাজার বছরের গ্রামীণ ঐতিহ্যকে আগামী প্রজন্মের জন্য ধরে রাখতে চাইলে খেজুর গাছ সংরক্ষণে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত।


আরও খবর

আমাদের মফস্বল সাংবাদিকতা ও কিছু কথা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪




রাজাপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপক্ষো করে জমি দখল ও ঘর নির্মানের অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ঝালকাঠির রাজাপুরের বড় কৈবর্তখালি গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পৈত্রিক ও কবলাকৃত জমিতে খুপড়ি ঘর নির্মান করে দখলের পায়তারার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে উপজেলার বড় কৈবর্তখালী গ্রামের মৃত ওফাজ উদ্দিন ফরাজির ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে জানান, বড় কৈবর্তখালী গ্রামের রুস্তুম আলীর ছেলে সোহরাফ হোসেন খোকন কিছুদিন পূর্বে তাদের অন্য ওয়ারিশদের কাছ থেকে গোপনে বড় কৈবর্তখালী মৌজায় বিএস ৭৬৯ নং খতিয়ানের ২২৭০ ও ২০৯২ দাগে ৬.১০ শতাংশ ও ৪.৩২ শতাংশ জমি ক্রয় করে এবং রাজাপুর-ভান্ডারিয়া মহসড়কের পূর্ব পাশে ২২৭০ দাগ থেকে প্রায় ৬.৫৩ শতক জমি ক্রয় করে। কিন্তু সোহরাফ হোসেন খোকন তার কবলাকৃত সম্পূর্ণ সম্পত্তির চেয়েও বেশি জমি রাস্তার পার্শ্বের দামী পজিশন থেকে আপোষ মিমাংসা না করে জোরপূর্বক রাতের আধারে দখল করে বেড়ি বাধ দেয়। মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান, তার পিতা ওফাজ উদ্দিন ফরাজী এর ওয়ারিশ ও রাশিদা আক্তারের কাছ থেকে একই তফসিলভূক্ত জমি সাব কবলা সূত্রে ও ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হন। ওই বিরোধীয় জমির ওয়ারিশসূত্রে মালিক মোস্তাফিজুর রহমানের শ্যালক তারিকুল ইসলাম ন্যায্য অধিকার বঞ্চিত হয়ে ঝালকাঠি আদালতে ঝালকাঠিতে প্রিয়েমশন (জমি অগ্রক্রয়) আইনে মামলা নং ১১/২০২৪ এবং ১৬/২০২৪ দায়ের করলে আদালত গত ১ নভেম্বর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। পরবর্তীতে মোস্তাফিজুর রহমানের ভাই মাহাবুবুর রহমান ওই জমি নিয়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা নং ১১২/২০২৪ দায়ের করেন। যা শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত উক্ত বিরোধীয় সম্পত্তিতে উভয় পক্ষকে নির্মান কাজ পরিচালনা করতে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও রাজাপুর থানার পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে রাতের আধারে স্থায়ীভাবে পাকা বিল্ডিং নির্মানের লক্ষ্যে পিলার তৈরী করে এবং পরবর্তীতে তাদের হয়রানী ও ফাসানোর জন্য জমির এক পার্শ্বে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে পূর্বে নির্মিত একটি ছোট কুঁড়েঘর নিজে ভাংচুর করে তাদের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে পাকা বিল্ডিং নির্মান ও পিলার তৈরি কাজ বন্ধ পূর্বক আইন আমান্যকারীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী বিষয়ে প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোহরাফ হোসেন খোকন জানান, তিনি দলিলমূলে ১৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন। তার মধ্যে ৬.১০ শতাংশ জমি নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে বিরোধ ও আদালতে মামলা চলমান। কিন্তু তারা তো পুরো জমির কাজ বন্ধ করে দিতে পারে না। আদালত যে রায় দিবে তা মেনে নিতে তো আমরা বাধ্য। তিনি দাবি করেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে অন্য অংশে কাজ শুরু করলে তারা কিছু পোলাপান নিয়ে সবকিছু মেচাকার করে ফেলছে। রাজাপুর থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী উভয় পক্ষকে শান্তিশৃঙখলা বজায় রাখতে জমিতে প্রবেশে বারন করা হয়েছে। উভয় পক্ষকে আদালতের রায়ের আদেশ অনুযায়ী কাজ করতে বলা হয়েছে। যেহেতু সম্পূর্ণ বিষয়টাই আদালতের তাই আদালতের নির্দেশনা কোন পক্ষ উপেক্ষা করলেও তা ওই আদালতে অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে।


আরও খবর



আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতেকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

ফটিকছড়িতে সুন্নী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী... 

উগ্রবাদীদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মতাদর্শে বিশ্বাসী সকল সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের সব পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মাইজভান্ডার দরবার শরীফের বর্তমান পীর ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি চেয়ারম্যান শাহজাদা ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী। তিনি বলেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মতাদর্শ ও সুফিবাদে বিশ্বাসীরা শান্তিপ্রিয় ও দেশপ্রেমিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিতর্কিত ভূমিকা থাকলেও মাইজভান্ডার দরবার শরীফ এবং এদেশের অন্যান্য সুফি দরবারগুলো স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদেরকে আশ্রয় দিয়েছেন। সুফিরা সব সময় সকল প্রকারের জুলুম ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকেন। তাই ২০২৪ সালের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনেও শিক্ষার্থীদের পক্ষে লেখনী ও বক্তব্যের মাধ্যমে এদেশের সুফি পীর মাশায়েখরা অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছিলেন। 

তিনি বলেন, ৫ই আগষ্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে শতাধিক মাজার, খানকা, দরগাহ্, দরবার, মসজিদ-মাদ্রাসায় হামলা লুটপাট, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে কথিত মব জাস্টিসের নামে  ধ্বংসযজ্ঞের উৎসবে মেতে উঠেছে এক শ্রেণীর চিহ্নিত ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠী। এই উগ্রবাদী গোষ্ঠীরা গত ১২ ই রবিউল আউয়াল বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রায় অতর্কিতভাবে হামলা করেছে। এমনকি ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে এদের হাতে একজন নবী প্রেমিক শহীদ হয়েছে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান জানিয়েছিলাম অনতিবিলম্বে এই উগ্রবাদীদের লাগাম টেনে ধরা না হলে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মতাদর্শী সবাইকে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। কিন্তু সরকার আমাদের আল্টিমেটামকে মোটেই কর্ণপাত করেছে বলে মনে হয় না। সম্প্রতি শেরপুরের মুর্শিদপুর দরবারকে পুরোপুরি ধ্বংস করেই এরা কান্ত হননি দরবারের সকল গাছগাছালি পশু পাখিকে পর্যন্ত অত্যাচার করেছে। বিএসপি চেয়ারম্যান উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রাখেন, ইসলামের নাম দিয়ে করলেই তাদের সকল কাজ কি হালাল হয়ে যায়? সরকার অদৃশ্য কোন এক শক্তির ইশারায় এইসব অন্যায় অপরাধ অত্যাচারের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নিতে পারছে না। 


দেশের আপামর সুফিবাদি জনগণের উদ্দেশ্যে সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারী বলেন, এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই, শান্তি প্রিয় সুন্নিদের  দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ও সুফিবাদের অস্তিত্বের ওপরে আঘাত এসেছে। সুন্নি সুফি মতাদর্শী রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের গন্তব্য আমাদেরকে ঠিক করতে হবে। আমাদের সিদ্ধান্ত আমাদেরকে নিতে হবে। যে কোন সময় বড় ধরনের কর্মসূচি আসতে পারে জানিয়ে তিনি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মতাদর্শী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের জন্য জোরালো প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান। ১৪ ডিসেম্বর (শনিবার) সাকেরা আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ময়দানে আয়োজিত এক সুন্নি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 


এতে উদ্বোধক ছিলেন মাইজভান্ডার গাউছিয়া রহমান মঞ্জিলের বাইতুল ইতকান শাখার সাজ্জাদানশীন শাহজাদা এ্যাডভোকেট সৈয়দ মিফতাহুন নূর মাইজভাণ্ডারী। মাইজভান্ডার শাহী জামে মসজিদের সাবেক খতিব আলহাজ্ব মাওলানা নুরুল ইসলাম ফুরকানীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান আলোচক ছিলেন, ছিপাতলী গাউছিয়া মইনীয়া বহুমুখী কামিল (এম.এ) মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক মুফতি মাওলানা ফখরুদ্দিন চাঁদপুরী। বিশেষ আলোচক ছিলেন, মাওলানা ওমর ফারুক নঈমী, মাওলানা জামাল উদ্দিন সহ আরো অনেকেই।

মিলাদ কিয়াম শেষে মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ, দেশ ও বিশ্ববাসীর শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী।


আরও খবর



সোমবার থেকে কমবে তাপমাত্রা

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও সোমবার থেকে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমতে থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রবিবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমানের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

এত বলা হয়েছে, সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামী ৩১ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সব পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া আগামী পাঁচ দিনে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা আরো হ্রাস পেতে পারে।

রবিবার ভোরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ, সামনে ভারত

প্রকাশিত:শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ চলতি মাসের শুরুতে ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জয় করে। এবার মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপেও ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ৯ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। ছেলেদের মতো মেয়েরাও শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ভারতকেই প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে।

কুয়ালালামপুরের বায়েমাস ওভাল মাঠে আজ যুব এশিয়া কাপে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও নেপালের মেয়েরা। বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে নেমে আসে ১১ ওভারে।

ম্যাচ টস জিতে নেপালকে ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার। বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং আর নেপালিজ মেয়েদের রানআউটের সঙ্গে ‘সখ্যতার’ ফলে অল্প রানেই থামতে হয় তাদের।

নির্ধারিত ১১ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেটে ৫৪ রান সংগ্রহ করেন নেপালি মেয়েরা ৮ উইকেটের মধ্যে চারটিই ছিল রানআউটে, আর বাকি চার উইকেটের একটি করে ঝুলিতে পুরেছেন ফারজানা ইয়াসমিন, আনিসা আক্তার সোবা, ফাহমিদা ও হাবিবা ইসলাম। নেপালের পক্ষে সর্বোচ্চ ১১ রান এসেছে সাবিত্রি ধামির ব্যাটে। এ ছাড়া তাদের আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেনি।

৫৫ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ শুরু থেকেই প্রাণবন্ত ব্যাটিং করেছে। দুই ‍ওপেনার ফাহমিদা ছোঁয়া এবং ইভা উদ্বোধনী জুটিতে ৭.২ ওভারে যোগ করেছেন ৪৬ রান। জয় থেকে মাত্র ৯ রান দূরত্বে থাকা অবস্থায় আউট হয়ে যান ইভা। এর আগে ২১ বলে এক ছক্কায় তিনি ১৮ রান করেন।

ওয়ানডাউনে নেমে সুমাইয়া আক্তার সুবর্না ৬ বলে ২ চারে ১০ রান করে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন। শুরু থেকে আরেকপ্রান্ত আগলে রাখা ওপেনার ফাহমিদা ৩২ বলে ৩টি চারে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ফলে ৯.৫ ওভারেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের। নেপালের পক্ষে একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন কুসুম গোদার।

এর আগে সুপার ফোরে নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারতীয় মেয়েরা শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে যুব এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করে।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত।


আরও খবর



নওগাঁয় মাছ আহরণ দিবস উদযাপন

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর সাপাহারে ব্র্যাক এডাপটেশন ক্লিনিক এর জলবায়ু অভিযোজিত মাছ চাষ কর্মসূচির অধীনে 'মাছ আহরণ দিবস' অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার ৮ জানুয়ারি সকাল সাডরে ৯টায় কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণকারী মহজিদ পাড়া গ্রামের মৎস্যচাষী আব্দুর রহমানের পুকুরে জাল দিয়ে মাছ ধরার মাধ্যমে এই মৎস আহরণ দিবসের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।

পরবর্তীতে মহজিদ পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণকারী সকল মৎস্যচাষীদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রোগ্রাম হেড জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির আবু সাদাত মনিরুজ্জামান খান, সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচি তৈসিফ আহমেদ কোরেশী, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ফাতেমা তুজ-জোহরা।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এডাপটেশন ক্লিনিক এরিয়া ম্যানেজার ডাঃ মোঃ জিল্লুর রহমান, সেক্টর স্পেশালিষ্ট কৃষিবিদ মোঃ মহিদুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক প্রধান শিক্ষক মহজিদ পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রমুখ।

উল্লেখ্য, নওগাঁর সাপাহার উপজেলা বরেন্দ্র অঞ্চল হওয়ায় অধিক খরা প্রবন। জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জলবায়ু সহনশীল মাছ চাষ এই এলাকার জন্য একটি টেকসই সমাধান হতে পারে এই লক্ষ্যে এডাপটেশন ক্লিনিক এর সহযোগিতায় প্রাথমিক পর্যায়ে ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি সাইজের পোনা ছাড়া হয়েছিল যা মাত্র ৪ মাসেই বাজারজাত করা সম্ভব হয়েছে। এর সাফল্য হিসেবে ৪০,০০০ হাজার টাকার পোনা মাছে দ্বিগুণ লাভবান হয়েছে মাছচাষীগণ।


আরও খবর